এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • মেটিরিয়া মেডিকার কাব্য – ( পর্ব - ১৭ ) 

    Goutam Dutt লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ১৬ জুন ২০২২ | ১২৩৪ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)

  •  
    মাস ছয়েক কেটেছে সবে। একটা গা বমি বমি ভাব। পাড়ার ডাক্তারবাবুর সন্দেহের তীর ছিল এক পুরোনো অসুখের দিকেই। পাতি বাংলায় যার নাম ‘ন্যাবা’। চিকিৎসাশাস্ত্রে তাকে বলা হয় হেপাটাইটিস। চালু শব্দ ‘জনডিস’। সত্যিই জনডিস কেসে ফেঁসে গেলাম। রক্ত পরীক্ষায় জানা গেল আমার শরীরে বাসা বেঁধেছে ওই ন্যাবা’ই তবে বিরল গোত্রের! কি সেটা ? হেপাটাইটিস ‘বি’। যা নাকি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে ব্যবহৃত ইঞ্জেকশন সিরিঞ্জের ছুঁচের মাধ্যমে অথবা রক্তের ইনফিউশন থেকে। অর্থাৎ এ অসুখ মানুষের থেকেই মানুষে ছড়ায়। কি বিশ্বভ্রাতৃত্ব একবার ভাবুন দিকি !

    প্রথম পরীক্ষাতেই বিলিরুবিন (ওই হেপাটাইটিস এর মাপ) এলো সাড়ে পাঁচ। যা নাকি একের নিচের থাকাকেই ন্যায্য বলে ধরা হয়। সে রাতেই আবার বাড়ির বিছানা ছেড়ে উত্তর কলকাতার এক মাঝারি মানের নার্সিং হোমের বিছানায় আশ্রয় নিলাম।

    ছাব্বিশটা দিন !!  ভাবতে পারেন মশা’য়েরা ?  দিনে দিনে বাড়িতে লাগলো বিলিরুবিন এর মাপ। খাঁটি সর্ষের তৈলের চেয়েও আরো উজ্জ্বল হলো আমার ইউরিন। হাত পা মুখ বুকে হলুদ রঙের আবছা মায়া। সেই বিলিরুবিন গিয়ে থামলো সাড়ে পঁচিশে গিয়ে। মেডিসিনের বিখ্যাত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডাক্তার অবনী রায় চৌধুরীকে আনাতে হলো। দুদিন তিনি এসেছিলেন। আমায় দেখার পরে দেখতে পেতাম গম্ভীর চিন্তান্বিত এক মুখ! আশ্বাসবাণী শোনাতেও পারলেন না। তবে আমায় যিনি দেখছিলেন সেই ডাক্তার রণজয় চ্যাটার্জিকে (*) কখনোই উদ্‌ভ্রান্ত হতে দেখিই নি। আসলে বেশ চওড়া দুহাতে আমাকে ধরে রেখেছিলেন তিনি। ছাব্বিশ দিনের দিন বিলিরুবিন নামতেই মুক্তির উল্লাস শুধু নয় – প্রথমবারের ওই দুর্ঘটনার পরেও দ্বিতীয়বারে ঈশ্বর আমার জন্যে এক্সট্রা টাইম স্থির করলেন। এখন আমি সেই এক্সট্রা টাইমেই খেলে চলেছি, বিশ্বাস করুন।

    এবারে প্রশ্ন হলো আমার শরীরে এই হেপাটাইটিস ‘বি’ এলো কোত্থেকে ? এই দুই নার্সিং হোমের মাঝের সময়্টায় আমি তো নিই-ই নি কোনো রক্ত, বা ফুঁড়তেও হয়নি কোনো সিরিঞ্জের ছুঁচ ! তাহলে ? এ তো আর হাওয়ায় বা জলে ভেসে আসার জীবানু নয়। একমাত্র সেই লখীন্দরের বাসর ঘরের ছ্যাঁদার মতো আমার শরীরে এই বিষ নিঃসন্দেহে এসেছিল ওই সেই দক্ষিণ কলকাতার বিশিষ্ট নার্সিং হোমের - সেই স্টকে থাকা বিশেষভাবে পরীক্ষিত রক্তের থেকেই। আর তো কোনো মাধ্যমই ছিল না হেপাটাইটিস ‘বি’ আগমনের।

    এখনো পর্যন্ত হেপাটাইটিসের নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ কি চিকিৎসা শাস্ত্রে আছে ? আমার জানা নেই। ডাক্তারবাবুরা রাগ করবেন কিন্তু না বলা পাপ হবে আমার – বিলিরুবিন যখন কুড়ি ক্রশ করে আরো বাড়তে চলেছে – আমি যখন এক জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে সে সময় আমি বাধ্য হলাম আয়ুর্বেদ-ইউনানি ওষুধ খেতে।

    আমার এক কলিগ যিনি চলিত বাংলায় মারোয়ারি নামেই পরিচিত, যদিও তাঁর মাতৃভূমি রাজস্থানের বিকানীর – সে বিভিন্ন কলিগদের দিয়ে চাপ সৃষ্টি করলো আমার এবং আমার পরিবারের ওপরে। তাঁর পরিচিত এক আয়ুর্বেদ-কাম-ইউনানি ডাক্তার যিনি থাকতেন পুরোনো পাথুরিয়াঘাট অঞ্চলে এবং পরিচিত ছিলেন ‘লিভারের যে কোনো অসুখের ধন্বন্তরী’ – তাঁর দেওয়া সেই বানানো বড়ি আর পাঁচন খাওয়া শুরু করতে। তিনি প্রেশক্রিপশন লিখেই আমার চিকিৎসা করেছিলেন। ওই বড়ি দুটো করে দুবেলা খেতে হতো সাদা দই এর সাথে। আর সেই পাঁচন চোখে দেখলেই মনে হতো বোধহয় কাঁচা নর্দমা থেকে পাঁক-ঝাঁঝি সহ একটা বোতলে ভরে আমার কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই ওষুধ শুরুর দিন চারেক বাদ থেকেই কমতে থাকলো সাড়ে পঁচিশে ওঠা আমার বিলিরুবিন।

    একটা নার্সিং হোমে লুকিয়ে দই জোগাড় করে ওই বড়ি খাওয়া যে কী নিদারুন ব্যাপার ছিল তা আমিই জানি। আমার কলিগরা হাসিমুখে সব কষ্ট সয়েছেন সে সময়ে। তাঁদের ঋণ অপরিশোধ্য আমার পক্ষে। ঈশ্বর তাঁদের মঙ্গল করুন। ওই বড়ি আর পাঁচন লুকোনো থাকতো নার্সিং হোমের বিছানার পাশে রাখে সেই ছোট্ট জামা কাপড় রাখার ড্রয়ারের মধ্যে। এদিক ওদিক তাকিয়ে বাধ্য হয়ে খেতাম সে সব।

    সেই আয়ুর্বৈদিক কাম ইউনানি মানুষটির হাতে লেখা প্রেশক্রিপশন এখনো আমার সংগ্রহে আছে। পরবর্তিকালে অন্যের জন্য ওষুধ আনতে তাঁর বাড়িও গেছি কয়েকবার। কলকাতার পুরোনো বাড়ির তিনতলার ছাদে শুকোতে দেখেছি নানারকম গাছগাছড়া। উনি নিজেই ওই বড়ি আর পাঁচন তৈরি করতেন। আর বলে বলে লিভার এর যে কোনো বদরোগ সারিয়ে তুলতেন এবং অবশ্যই প্রেশক্রিপশন সহ। ওনার তখন বেশ বয়স। জিজ্ঞেস করে জেনেছিলাম যে উনি তাঁর বাবার কাছ থেকেই পেয়েছিলেন এই সব গাছ-গাছালির ভেষজ অভিজ্ঞতা এবং অবশ্যই সেই দিয়ে চিকিৎসারও। জানতে পেরেছিলাম চিৎপুর রোডের (বর্তমানে রবীন্দ্র সরণী) ‘নতুন বাজার’ থেকেই উনি কিনে আনেন এই সমস্ত গাছ-গাছড়া। তারপরে তৈরি করেন এইসব বড়ি বা পাঁচন। আপনার পরে কেউ কি থাকবে আর – এই চিকিৎসাকে বাঁচিয়ে রাখতে ? উত্তরে জানিয়েছিলেন ওনার একমাত্র মেয়েকে শিখিয়ে চলেছেন এই ভেষজ বিদ্যার অমূল্য মণিরত্ন।

    জনডিস উনি কতো বন্ধুর যে সারিয়ে তুলেছেন তার ইয়ত্তা নেই। আমাদের এক কলিগের বন্ধুর বিলিরুবিন উঠেছিল সাড়ে ত্রেত্রিশ। তাকে দেশবন্ধু পার্কের কাছে সরকারি আয়ুর্বেদ হাসপাতালে ভর্তি করে খাওয়ানো হয়েছিল এই একই ওষুধ। নো এ্যালোপ্যাথি। বিজ্ঞান না মানলেও সেই ছেলেটিও সেরে উঠেছিল এই ওষুধের গুণেই।

    বেশ ছিলাম তার পর। বছর আষ্টেক কাটিয়ে দিলাম বেশ আনন্দেই। আবার শুরু হলো ওই রড লাগানো পায়ে ক্রনিক ব্যথা। যিনি অপারেশন করেছিলেন তাঁকে দেখানো গেল। কিন্তু উনি তেমন কিছু ব্যথার উৎস খুঁজে পেলেন না।

    এবারে আবার এক কলিগ আমায় নিয়ে দেখালেন আরেকজন ব্যস্ত অর্থো’কে। তিনি এক্সরে করালেন এবং ব্যথার উৎস আমার ফিমারে ঢোকানো ওই রড বলেই সাব্যস্ত করলেন। এক্স-রে প্লেট খুঁটিয়ে খুঁজে পাওয়া গেল – ওই তরোয়ালের মতো রডটির মাথায় যেখানে ইংরেজি ‘টি’এর মতো জায়গাটা রয়েছে সেখানে একটা সরু ক্রাক দেখা যাচ্ছে। উনি জানালেন ওই বস্তু বা রডটির দুদিকে দুখানা স্ক্রু লাগানোর কথা থাকলেও এক্স-রে প্ল্বেটে দেখা যাচ্ছে যে একমাত্র মাথার দিকেই একটা স্ক্রু লাগানো হয়েছিল এবং নিচের স্ক্রু লাগানোর ছিদ্রটায় কোনো স্ক্রু লাগানোই হয়নি।

    আমি তারপরে চেন্নাই যাই। ওখানে এমআরআই এবং সিটিস্ক্যান করে দেখা গেল যে ক্রাকটি আরো একটু বেড়েছে। কলকাতায় ফিরে আমি একজনের সাথে দেখা করলাম যিনি এই চিকিৎসা সংক্রান্ত আইন নিয়ে কাজ করেন। সেই নার্সিং হোমকেও একটা চিঠি দিলাম রক্তের এবং ওই মেটার রডের বিলের ব্যাপারে। যথারীতি ওনারা অস্বীকার করলেন যে ওদের রক্ত থেকেই আমার এই ন্যাবায় ধরলো তার কোনোই প্রমাণই নেই এবং আমি যে ওই রড ম্যানুফাকচারকে ধরবো তারও কোন উপায় নেই যেহেতু আমার কাছে সেই বস্তুটা কেনার কোনোরকম ক্যাশ মেমো বা বিল নেই – মানে নার্সিং হোম বা ডাক্তারবাবু আমাকে দেন নি। ফলে আমি পিছিয়ে আসতে বাধ্যই হলাম। সেই এক্সট্রা ইনিংস খেলেই চলেছি তারপর থেকে। যদিও আমার হাঁটা চলায় এখন বিস্তর বাধা।

    ওই রড ম্যানুফ্যাকচারের তৈরি করা রডের বিলটাও অন্তত যদি হাতে থাকতো তাহলে তাদের উৎপাদিত বস্তুটির সম্পর্কে যেমন জানা যেত, তেমনই আমিও সেই রেফারেন্সে এই ক্রাক হওয়ার জন্য কিছু তো বলতে পারতাম !  আমি জানিনা, ইউরোপ-আমেরিকায় এই সব কিছুর প্রমাণ কিভাবে হয়। আসলে আমরা তো আমাদের দেশের একশ্রেণীর গিনিপিগ যে !! টাকা-পয়সা আর ক্ষমতা (অবশ্যই রাজনৈতিক) থাকলে পচা গলা কুকুর-বাঁদর- গরুর মাংস বিক্রির কারবারিরা সকলেই মুক্তি পেয়ে যায় কারাবাস থেকে।

    আর আমাদের সংবিধান প্রদত্ত আইনে তো “কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।” এর অকৃপণ প্রাচুর্য্য। ভেজাল যারা দেয় প্রমাণের দায় তাদের নয়, যে বা যারা সেই ভেজাল খেয়ে স্বর্গে গেল – প্রমাণ করার দায় তাদের। সুতরাং অতএব কিন্তু অর্থাৎ এবং ইত্যাদি সহযোগে কিভাবে আর আশা করা যায় যে দোষী’র হবে সাজা !

    ……চলবে……পরের পর্বে…
    #
    ©গৌতমদত্ত
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৬ জুন ২০২২ | ১২৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন