এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • সম্পর্কের কঙ্কালে দাঁড়িয়ে সাম্রাজ্য, ফেসবুক জানে

    অর্ক দেব
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০৯ অক্টোবর ২০২১ | ৩৩৮০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টিম জুকারবার্গের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিলেন ফেসবুকেরই ডেটা সাইন্টিস্ট সোফি ঝাং। এক বছর এক মাসের মাথায় আরও একবার বিশ্বজুড়ে তোলপাড়। নেপথ্যে এক মার্কিন সংবাদপত্র-ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং আরও এক খাপখোলা তলোয়ার, তাঁর নাম ফ্রান্সিস হাউগেন। ফ্রান্সিসের দেওয়া তথ্যকে হাতিয়ার করে জুকারবার্গের তৈরি করা মহাপ্রাণের মিনারকে টলমলো করে দিয়েছে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের পো়ড়খাওয়া ফেসবুক সাংবাদিকরা, ফেসবুক ফাইলস নামে একটি ধারাবাহিকে একে একে উঠে আসছে ফেসবুক সংক্রান্ত একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। আর এই তথ্যই বলছে আঁচ পোহাতে হবে আপনাকেও, কারণ ফেসবুক-জাত সমস্যার শিকড় আস্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে এই বাংলাকেও।

    ৩৭ বছর বয়সি ফ্রান্সিস ফেসবুকে যোগ দিয়েছিলেন বছর দুয়েক আগে, প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে। নির্বাচনের সময়ে ফেসবুকের অপব্যবহার রুখতে ব্যবস্থা নেওয়াই ছিল তাঁর কাজ। দু'বছরের বেশি সময় ফেসবুকের অন্দরে কাটিয়ে ফ্রান্সিস পদত্যাগ করেন চলতি বছরের এপ্রিল মাসে, যদিও কিছু কাজ শেষ করার জন্য মে মাস পর্যন্ত তাঁকে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়ছিল। ১৭ মে ফ্রান্সিস শেষবার লগ ইন করে সংস্থাকে লেখেন, "আমি ফেসবুককে ঘৃণা করি না, আমি ফেসবুককে ভালোবাসি, আমি ফেসবুককে বাঁচাতে চাই।" বলার অপেক্ষা রাখে না ততদিনে অবশ্য ফেসবুকের ভিতরটা চিনে গিয়েছেন ফ্রান্সিস। কারণ খানিকটা এক্তিয়ারহীন ভাবেই ততদিনে তিনি ফেসবুকের হাজার হাজার নথি পড়ে ফেলেছেন। কথা বলেছেন বেশ কিছু পুরনো কর্মচারীদের সঙ্গে। বুঝতে শুরু করেছেন তিনি যা দেখেছেন যা শুনেছেন তা অবিলম্বে আইনপ্রণেতা, নিয়ামকদের জানা উচিত, গোটা বিশ্বের চেনা উচিত এই মরণফাঁদকে।

    ফ্রান্সিসের কথায়, "ফেসবুকে কাজের সময় বারংবার দেখেছি জনস্বার্থ আর ফেসবুকের স্বার্থের মধ্যে একটা বিরোধাভাস থাকছে।" আর জনস্বার্থকে বারংবার বিসর্জন দিয়েই ফেসবুক নিজেরটা কড়ায় গণ্ডা বুঝে নিয়েছে। অর্থাৎ আরও আরও বেশি আর্থিক মুনাফা আদায় করেছে।

    মার্কিন সিকিওরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে মোট আটটি অভিযোগে করেছেন ফ্রান্সিস। সেই অভিযোগের সঙ্গে তিনি পেশ করেছেন বিস্তর তথ্যও। এমনকী ভারতে ফেসবুকের ভূমিকা নিয়েও উঠে এসেছে একাধিক বিস্ফোরক নথি। হাউগেন ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ কাগজপত্র তুলে এনে দেখিয়েছেন কী ভাবে শেষ সাত বছরে ফেসবুকের উদাসীন কার্যকলাপ ভারতে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
    প্রশ্ন হল, কেন ফ্রান্সিসের অভিযোগ নিয়ে নতুন করে মাথা ঘামাব? ফেসবুকের কার্যকলাপ নিয়ে কী এমন অজানা কথা তিনি বলছেন যা কেম্ব্রিজ অ্যানালিটিকাতে উঠে আসেনি। সচেতন মানুষ মাত্রই জানেন ঘৃণা ছড়াতে আজ ফেসবুক হোয়াটস অ্যাপের মতো মঞ্চের কোনও বিকল্প বিশ্বে নেই। কে না জানে রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডের জন্য সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের তরফে ফেসবুককে দায়ী করা হয়েছে? মায়ানমার তো অনেক দূর, কলকাতা থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে মুজফফারনগরের হিংসাতেও ফেসবুক একই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

    ফ্রান্সিস আসলে প্রমাণ হাতে নিয়ে বলেছেন, রাজা তোর কাপড় কোথায়? আমাদের আর অনুমান করতে হবে না।
    ফেসবুকে করোনার অপতথ্য ছড়াচ্ছে, নির্বাচনী মেরুকরণ হচ্ছে, হিংসায় মদতদান চলছে এসব আমাদের চোখে পড়েছে অতীতে। তবে আমরা জানতাম না এর কতটুকু ফেসবুক নিজে জানে। ফ্রান্সিস তথ্য ধরে ধরে দেখিয়েছেন, ফেসবুক জানে ফেসবুক কী করছে (নিউজ ফ্রম হর্সেস মাউথ)। ফেসবুকের বিজনেস মডেলে তথ্য আদান প্রদান, খবর দেওয়া, বন্ধুত্ব-আড্ডা এসবের জায়গা সবচেয়ে কম। ফেসবুক সবসময় সেই ব্যবস্থাই তৈরি রাখে যেখানে আমরা আরও আরও বেশি সময় কাটাব। যারা আমাদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে চায়, ফেসবুক তাদের কাছে আমাদের বা বলা ভালো আমাদের মূল্যবান সময়কেই বিক্রি করে দেয়। ফেসবুক আমাদের প্রতিটি ব্যবহার, কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ , মাৎসর্যের খবর রাখে আমাদের চেয়েও বেশি। আর সেভাবেই আমাদের চালিত করে। এভাবেই ফেসবুকের মোট আয়ের ৯৫ শতাংশ আয় হয়। এভাবেই ফেসবুক আজ ৬ ট্রিলিয়ন ডলারের এক সংস্থা।

    মার্কিন কংগ্রেসের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে ফ্রান্সিস বলেছেন, "ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ গবেষকরাই বলেন, ফেসবুক সার্বিকভাবে বিপজ্জনক কন্টেন্টকে চিহ্নিত করতে পারে না। আর সেই কারণেই দেশকালের সীমা ভেঙে বহু বিপজ্জনক কন্টেন্টই একই সঙ্গে বিভেদকামী ও স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে।"

    মনে রাখতে হবে ফ্রান্সিস অ্যালগোরিদম বিষয়টি অন্য অনেকের থেকেই ভালো বোঝেন। তিনি অ্যালফাবেট.আইএনসি, গুগল, পিন্টারেস্টের মতো সংস্থায় কাজ করেছেন অ্যালগোরিদম ডিজাইন নিয়েই। হার্ভার্ডে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে তিনি স্নাতকোত্তর পড়েছেন গুগলের খরচে। ফ্রান্সিস বলছেন অ্যালগোরিদমই হল সেই পটাশিয়াম সায়ানাইড যা আমরা পল অনুপল যার মোহগর্তে পড়ছি, আর ফেসবুক রোজগার বাড়িয়ে চলেছে নিশ্চিন্তে।

    ফ্রান্সিস দেখাচ্ছেন, কমবয়সিরা ফেসবুকে যে বিষয়গুলি দেখে তা একধরনের স্নায়বিক চাপ সৃষ্টি করে। এই ধরনের তথ্য দেখে দেখে কমবয়সিদের মধ্যে লো-ক্যালরি খাবার খাবার প্রবণতা তৈরি হয়। কেউ কেউ না খেয়েও থাকতে শুরু করে সুন্দর থাকার তাগিদে, যে তাগিদ তার উপর চাপিয়ে দিয়েছে ফেসবুক। ফেসবুকের জন্যেই শত শত পরিবার বিচ্ছিন্ন। ফেসবুকের জন্যেই লাশের পাহাড় ইথিওপিয়ায়।

    ফেসবুকের প্রাক্তন এই প্রোডাক্ট ম্যানেজার রাখঢাক রাখেননি, বলে দিয়েছেন, সব ভাষায় বিষাক্ত তথ্যকে শনাক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ফিল্টার বা ল্যাঙ্গুয়েজ চেকার ফেসবুকের হাতে নেই। বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ ব্যবহৃত ভাষা হিন্দি, পঞ্চম সর্বোচ্চ ব্যবহৃত ভাষা বাংলার কথা উদাহরণ হিসেবে এনেছেন ফ্রান্সিস। আর এসব সবই জানেন জুকারবার্গ ও তাঁর সাম্রাজ্যের মন্ত্রীসান্ত্রীরা।

    নতুন ভাবে ঝড় তোলা যাবতীয় প্রশ্নের উত্তরে জুকারবার্গ লিখেছেন, "আমরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার চেয়েও মুনাফাকে অগ্রাধিকার দিই এ কথা ঠিক নয়। সংস্থার ভুল চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।" জুকারবার্গ আরও বলছেন, হ্যাঁ, মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করে প্রতিটি ক্ষতিকর কন্টেন্ট যাচাই করা সম্ভব নয়। আমাদের সামাজিক পরিসরে ব্য়ক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ খুব ভালো ভাবে মেনেও নেওয়া যায় না। জুকারবার্গের যাবতীয় কথার উত্তর হতে পারে একটি পরিসংখ্যান। ফেসবুক যখন বলছে প্রায় ৯৪ শতাংশ বিষাক্ত কন্টেন্টই তাঁরা শনাক্ত করে ফেলে, তখন ফ্রান্সিসের জোগাড় করা তথ্য বলছে আসলে ফেসবুকের হাতেই আসে ৩-৫ শতাংশ কন্টেন্ট, মানে হিমশৈলর চূড়াটুকু।

    এবার নিজেই ভাবুন, ঠিক কী কারণে প্রকাশ্যে রোহিঙ্গাদের গুলি করে মারা উচিত বলার পরেও বিজেপির সম্পদ টি রাজা সিং-এর ফেসবুক, ইন্স্টাগ্রাম পেজ সক্রিয় থাকে। বিচার করুন, কপিল মিশ্র দিল্লির রাস্তায় দাঁড়িয়ে যখন বলেন, পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আমরাই রাস্তা সাফ করে দেবো তা কী ভাবে ভাইরাল হয়। হ্যাঁ, ফেসবুক পরে কপিল মিশ্রর এই ভাইরাল বার্তা সরিয়ে নিয়েছিল। এমনকি জুকারবার্গ কপিল মিশ্রর নাম না করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। দিল্লির রাজপথে ভাই ভাইকে খুন করেছে। ক্রাউডট্যাঙ্গল ডেটা থেকে জানা গিয়েছিল ফেসবুক সরানোর আগে কপিল মিশ্রর ওই ভিডিও বার্তা ২৫ লক্ষ লোকের কাছে পৌঁছেছিল।

    পরিশেষে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। এতটা তৎপর হলেন কেন ফ্রান্সিস? এর একটা বড় কারণ- অত্যাগসহন বিচ্ছেদ। ২০১৪ সালে এক জটিল স্নায়বিক রোগের শিকার হয়ে ফ্রান্সিসকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেও একবছর বাড়িতেই কাটাতে হয় ফ্রান্সিসকে। এই সময়ে ফ্রান্সিসের দেখাশোনা করতেন যে ব্যক্তি, তিনি ফেসবুকে সেইসব ফোরামগুলিতে ঘোরাফেরা করতেন যেগুলি অপতথ্য ও মিথ্যে জাতীয়তাবাদ প্রচারের আখড়া। ফ্রান্সিস অনেক বুঝিয়েসুঝিয়ে তাঁর বন্ধুর মন বদলাতে পারেননি। অগত্যা সেই বন্ধু ফ্রান্সিসের দায়িত্ব ছেড়ে সানফ্রান্সিসকো ছেড়ে যান। ফ্রান্সিসও আস্তে আস্তে কাজে ফেরেন। ফ্রান্সিসের নিজের উপলব্ধি, এই ঘটনা তাঁকে দুটো শিক্ষা দিয়েছিল। তিনি ঘরের চার দেওয়ালের ভিতরেই দেখতে পেয়েছিলেন কী ভাবে ভুল তথ্য মানুষের মন বদলে দেয়। দেখতে পেয়েছিলেন, মতান্তর-মনান্তর-বিচ্ছেদ এই সরলরেখা রচনা ফেসবুকের সৌজন্যে কেমন জলভাত হয়ে গিয়েছে। দুরাশা এই যে, আমি আপনি আমরা যারা ফেসবুক গিলি, ফেসবুকে বাঁচি, আমাদেরও এমন অভিজ্ঞতা প্রতিদিনের জীবনে রয়েছে। ফেসবুকের সাম্রাজ্য দাঁড়িয়ে রয়েছে আমাদের সম্পর্কের কঙ্কালে।

    তথ্যঋণ
    ৬০ মিনিটস
    আদার নিউজ
    ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
    টাইম ম্যাগাজিন

    জেফ হরউইচ (সাংবাদিক)
    রায়ান কুটসন (সাংবাদিক)
    পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা ( স্বাধীন সাংবাদিক)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৯ অক্টোবর ২০২১ | ৩৩৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 45.95.***.*** | ১০ অক্টোবর ২০২১ ০০:৩১499378
  • কয়েকদিন ধরে ফেসবুক নিয়ে যে হইচই হচ্ছে, আমেরিকার সেনেট সাবকমিটিতে একজন ডিপোজিশান দিয়েছেন আর সেই নিয়ে কতো রিপোর্ট বেরোচ্ছে, এটা আমার সত্যি অবাক লাগছে। ফেসবুক তো বাই ডিজাইন ইউজার এনগেজমেন্ট ড্রিভেন! ফেসবুক প্রচুর বিহেভিয়রাল সায়েন্টিস্ট, সাইকোঅ্যানালিস্ট, হিউম্যান বিহেভিয়ার অ্যানালিস্ট ইত্যাদিদের চাকরি দিয়েছে, যারা পুরোপুরি জেনেবুঝে, প্রচুর রিসার্চ করে তবেই ফেসবুক নামের প্ল্যাটফর্মটা বানিয়েছে। ফেবু ম্যানেজমেন্ট  যে এসবই জানে শুধু তাই না, একদম বাই চয়েস এমনভাবে ডিজাইন করেছে যাতে লোকজন আরও বেশী করে ফেবু অ্যাডিকটেড হয়, আরও বেশী করে ইমোশনালি অ্যাটাচড হয়, পরষ্পরকে আরও বেশী করে খোঁচায় ইত্যাদি। এ নিয়ে প্রচুর রিসার্চও হয়েছে, অন্তত দশ বছর ধরে গুচ্ছের পেপারও পাবলিশ হয়েছে। এখন এমন হইচই হচ্ছে যেন এসব জিনিস সবে প্রকাশ পেলো। 
     
    ধরা যাক হঠাত করে হইচই শুরু হলো যে ফোর্ড গাড়ির ম্যানেজমেন্ট জানে যে গাড়িতে গোল চাকা লাগানো আছে। ফেবুকে নিয়ে হইচই অনেকটা সেরকম লাগছে। দশ পনেরো বছর ধরে যেগুলো নোন আর পাবলিশড ফ্যাক্ট সেগুলো নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। 
  • সুকি | 117.214.***.*** | ১০ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৫১499385
  • আমি dc এর সাথে পুরোপুরি একমত। এই প্রশ্নটি আগেও মনে হয় রেখেছিলাম এখানে - ফেসবুকের এগুলো সবই তো জানা বিষয়। এতে সবাই আশ্চর্য কেন হয়, এটাই আমি বুঝতে পারি না। তবে একটা জিনিস আমাকে কে যেন বলল - যে সব মানুষ হয়ত জানে না এত ব্যাপার। তাদের আরো বেশী করে প্রকৃত তথ্য জানানোর জন্যই এমন লেখা দরকার। 
  • Sobuj Chatterjee | ১০ অক্টোবর ২০২১ ০৮:১২499386
  • যারা ইতিমধ্যে দিব্য দৃষ্টি সম্পন্ন জ্ঞানী পুরোষোত্তম ,  তারা জানেন ভালো কথা!  আরো ভালো কথা , যারা ফেসবুকের এই মহিমা সম্পর্কে নিতান্তই উজবুক , তাদের এই লেখা কিঞ্চিৎ জ্ঞানার্জনের সহায়ক হবে! শ্রী অর্ক দেবকে ধন্যবাদ! তার পরিশ্রম সার্থক হউক। শারদীয় শুভেচ্ছা!
  • Ramit Chatterjee | ১১ অক্টোবর ২০২১ ১৩:৩৩499425
  • আমার তো যা মনে হয় ইয়ং জেনারেশন ফেবুর এই ক্ষতিকর দিক সম্মন্ধে অনেক সচেতন আজকাল। খুব কম জন ফেবু করে বিদেশে। বেশিরভাগ যারা ফেবু করে তারা 44 - 75 । দেশে তাও কিছু ইয়ং জেনারেশন ফেবু করে। এদের ইন্সটা, টুইটারের দিকে ঝোঁক বেশি।
  • এখন এমন হইচই হচ্ছে যেন এসব জিনিস সবে প্রকাশ পেলো | 52.87.***.*** | ১১ অক্টোবর ২০২১ ২৩:০০499442
  • স্মোকিং ইজ ইন্জুরিয়াস টু হেলথ - এটা কবে থেকে জানা ছিল বলে আপনাদের মনে হয়? 
     
    যাদের বড়বেলার অধিকাংশই ফেসবুক সময়্কাল জুড়ে - তাদের এই ডায়্নামিক্সটা বুঝতে এক্টু সময় লাগবে। দেখি যদি অন্য কেউ পারে, বা আমার পরে সময় হয় 
  • lcm | ১২ অক্টোবর ২০২১ ০০:২৯499444
  • lcm | ১২ অক্টোবর ২০২১ ০০:৪৮499445
  • "দশ পনেরো বছর ধরে যেগুলো নোন আর পাবলিশড ফ্যাক্ট সেগুলো নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে।"

    হইচই এর যথেষ্ট কারণ আছে তো বটেই, ব্যাপারটা পুরো ফ্যাড নয়।

    ফেসবুক তথা সোশ্যাল মিডিয়ার সমস্ত কোম্পানিই অফিসিয়ালি দাবী করে যে তারা - যাতে মানুষের ক্ষতি হয় এরকম কিছু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রোমোট করে না।

    কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সেটা - গুল। প্রফিট মার্জিনের জন্য জেনেশুনে ক্ষতিকারক কনটেন্ট, প্রোভোকেটিভ কনটেন্ট তারা প্রোমোট করে।

    গুলটা না মারলে এই হৈচৈ হত না। এই যে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর দেখানোর প্রচেষ্টা যে তারা মরালি, এথিকালি খুব হাই স্ট্যান্ডার্ড মেইন্টেইন করে - এই ডাহা গুলটা না মারলে ঝামেলা হত না।

    কিন্তু এই গুলটা না মারলে আবার ব্যবসা করা যায় না।
     
  • কিন্তু এই গুলটা না মারলে আবার ব্যবসা করা যায় না | 52.87.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২১ ০৭:৫৬499448
  • সত্য। 
    এখন এই ব্যবসায় যদি মানুষ মরতে বসে তখন দায় এসে যায় লমেকারদের। মানুষ যে মরতে পারে সেটা সবাই জানত, কিন্তু সেই ঝাপসা জানা দিয়ে আসলে আইন বানান যায় না। কোম্পানিও গুচ্ছ টাকা দিয়ে উকিল রেখেছে প্রমাণ করার জন্য যে ঐ ঝাপসা জানা আসলে সত্য নয়। 
    কিন্তু এখন এত বছরের ব্যবহারের পর রাশি রাশি প্রামান্য তথ্য সামনে চলে এসেছে - এটা আর কেউ অস্বীকার করতে পারে না। কোম্পানিকে এবার রেগুলেট করা সম্ভব - কিছুটা। তবে তাও সোজা ব্যাপার নয়। সোসাল মিডিয়া বলে যে ঘটনাটা - তার পুরো স্কোপটাই তো ভাল করে পরিষ্কার নয়। আর সেটা ফাজি হলে রেগুলেশানও ফাজি হবে। 
    এমনকি আজকের কাগজেও রয়েছেঃ 
     

    But any new regulations would have to be carefully designed. It is one thing to upbraid Facebook executives in hearings; it is quite another to craft an effective regulatory regime for social networks, where the details of how users engage with the company and each other quickly get complicated. Lawmakers don’t appear to be there yet.

    After chiding Facebook for its “move fast and break things” motto, the last thing regulators want is to do the same thing.

  • উপরের বক্তব্য | 52.87.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২১ ০৭:৫৮499449
  • শেষ বক্তব্য বিশেষ করে ডিসি ও সুকির জন্য 
  • Debanjan Banerjee | ১২ অক্টোবর ২০২১ ০৮:৪৯499452
  • ফেসবুক একটি যন্ত্রমাত্র l আসল কথা হলো ভারত ও আমেরিকাতে নির্বাচন মানেই ঘৃণা ও মেরুকরণ l এটাই এই দুটি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে ভোটে জেতার একমাত্র উপায় সে যেই দলই গদিতে বসুক না কেন ! ফেসবুক একটি ব্যবসায়িক উপকরণ মাত্র সেই মানুষের প্রতি মানুষের ঘৃনাকে কাজে লাগাতে l এই ঘৃণার উদ্ভবের মূল কারণ আম্রিগা ও ভারতে বিপুল ভাবে বেড়ে চলা আর্থিক অসাম্য l এই মূল কারণটিকে অস্বীকার করে কোনোভাবেই শুধু ফেসবুক কে কাঠগড়ায় তুলে লাভ নেই l এই নিচের টেবিলে আমেরিকাতে সমাজে ক্রমবর্ধমান ঘৃণার পরিসংখ্যান l এইজন্যকি শুধুই ফেসবুক দায়ী ? আপনারা কি মনে করেন ?             Mass shootings in the US by year (defined as 4 or more shot, including the perpetrator when applicable):
     
    2021: 652 (to date)
    2020: 696
    2019: 503
    2018: 426
    2017: 427
    2016: 477
    2015: 371
    2014: 325
    2013: 339
  • dc | 122.174.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২১ ০৯:৫৬499453
  • আমি হইচই হচ্ছে বলতে বিশেষ করে মিডিয়ায় হইচইএর কথা বলতে চেয়েছিলাম, অর্থাত সিএনএন, বিবিসি, এবিসি, নিউ ইয়র্ক টাইমস ইত্যাদি ইলেকট্রনিক আর প্রিন্ট মিডিয়ার কথা। এরা এমন ভাব করছে যেন হঠাত করে আবিষ্কার হয়েছে যে ফেবুতে অ্যাডিকটিভ এনগেজমেন্ট বাই ডিজাইন প্রোমোট করা হয় বা পুরো এনভায়রনমেন্টটাই এমনভাবে তৈরি হয়েছে যাতে অ্যাডিকশান বাড়ে, অসহিষ্ণুতা বাড়ে ইত্যাদি। ফেবু ইউজাররা হয়তো কেউ কেউ এটা জানতো না, কিন্তু মিডিয়াও জানতো না? সিরিয়াসলি?  
     
    "কিন্তু এখন এত বছরের ব্যবহারের পর রাশি রাশি প্রামান্য তথ্য সামনে চলে এসেছে - এটা আর কেউ অস্বীকার করতে পারে না। কোম্পানিকে এবার রেগুলেট করা সম্ভব"
     
    সব সোশ্যাল ​​​​​​​মিডিয়াই রেগুলেট ​​​​​​​করার একটা ​​​​​​​সোজা ​​​​​​​উপায় ​​​​​​​আছে, ​​​​​​​তা ​​​​​​​হলো ​​​​​​​সেকশান ​​​​​​​২৩০ ​​​​​​​বদলানো। ​​​​​​​ফ্রান্সেস ​​​​​​​হাউগেন ​​​​​​​একটা ​​​​​​​উপায় ​​​​​​​বলেছেন, ​​​​​​​ফেবুর অ্যালগোরিদমকে ​​​​​​​এই ​​​​​​​সেকশানের ​​​​​​​বাইরে ​​​​​​​আনা, ​​​​​​​যাতে ​​​​​​​করে ​​​​​​​কিনা ​​​​​​​সেটাকে ​​​​​​​লায়েবল ​​​​​​​করা ​​​​​​​যায়। ​​​​​​​আরও ​​​​​​​অন্যান্য ​​​​​​​উপায় ​​​​​​​নিশ্চয়ই ​​​​​​​ভেবে ​​​​​​​বার ​​​​​​​করা ​​​​​​​যেতে ​​​​​​​পারে। 
     
    "সোসাল মিডিয়া বলে যে ঘটনাটা - তার পুরো স্কোপটাই তো ভাল করে পরিষ্কার নয়।"
     
    খুব ​​​​​​​একটা ​​​​​​​একমত ​​​​​​​নই। ​​​​​​​সোশ্যাল মিডিয়া ​​​​​​​নিয়ে দশ ​​​​​​​পনেরো ​​​​​​​বছর ​​​​​​​ধরে ​​​​​​​গুচ্ছের ​​​​​​​রিসার্চ ​​​​​​​হয়েছে ​​​​​​​আর ​​​​​​​হয়ে ​​​​​​​চলেছে, ​​​​​​​এর ​​​​​​​সাইকোলজিকাল, ​​​​​​​সোশ্যাল, ​​​​​​​বিহেভিয়রাল অ্যাসপেক্ট ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​কয়েক ​​​​​​​কোটি ​​​​​​​পেপার ​​​​​​​আর ​​​​​​​বই ​​​​​​​পাবলিশ ​​​​​​​হয়েছে। সোশ্যাল ​​​​​​​মিডিয়ার ​​​​​​​স্কোপ, ​​​​​​​রিচ, ​​​​​​​আর ​​​​​​​ইনফ্লুয়েন্স ​​​​​​​খুব ​​​​​​​একটা ​​​​​​​আর ​​​​​​​অজানা ​​​​​​​নেই। ​​​​​​​
  • Debanjan Banerjee | ১২ অক্টোবর ২০২১ ১০:১১499454
  • আমার আগের পোস্টের পরিসংখ্যান Mass Shooting Tracker ওয়েবসাইট থেকে নিয়েছি l ওদেরকে ধন্যবাদ এই তথ্যের জন্য l                                                              সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আম্রিগাতে এই মাস শুটিং এখনো পর্যন্ত ৬৬১ ২০২১ সালের আজকে পর্যন্ত  Mass Shooting Tracker Website অনুযায়ি l
  • lcm | ১২ অক্টোবর ২০২১ ১০:১৪499455
  • না, ছিল না, মিডিয়ার কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ কিছু ছিল না। কি করেই বা থাকবে। যা আছে কোম্পানির কাছে আছে। কোম্পানির ভিতরের লোক ছাড়া এসব জানা যাবেই বা কি করে।

    এখন একজন এমপ্লয়ি, যিনি ধাপে ধাপে কিছু প্রমাণ তথ্য সংগ্রহ করে রেখেছেন, তিনি হুইসিল বাজিয়েছেন, কোম্পানি ছেড়ে বাইরে এসে তথ্য পাবলিশ করেছেন। এটা করতেও একটা পরিকল্পনা লাগে। সবার পক্ষে সম্ভব নয়।

    গভর্নমেন্ট রেগুলেশন আসবে আসতে আসতে। এখনও পর্যন্ত, সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারের দিক বেশি ভারি, অপকারের থেকে। তাই তেমন চাপ নেই। তবে হ্যাঁ, রেগুলেশন না বসালে বাজে দিকগুলো আরও বাড়তে থাকবে।
  • Debanjan Banerjee | ১২ অক্টোবর ২০২১ ১০:২০499456
  • এখন চীন আম্রিগা ঠান্ডা যুদ্ধের নতূন অধ্যায় শুরু হচ্ছে l আম্রিগার অর্থনীতিতে যেইসব ইনভেস্টর্স আছে তাদের একটু খোঁচা দেওয়া যে ফেসবুক এর মত জায়গায় ইনভেস্ট না করে আম্রিগার নৌবাহিনীতে তোমরা বিনিয়োগ করো যাতে তাইওয়ান নিয়ে যুদ্ধ হলে আম্রিগা জিততে পারে l ফেসবুক বিরোধী  বর্তমান প্রচারের পিছনের আসল সত্য এটাই l আর অন্যকোনো কারণ নেই l
  • dc | 122.174.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২১ ১০:৫৫499459
  • সেকশান ২৩০ নিয়ে কিছু চিন্তাভাবনাঃ 
     
     
    আর 
     
     
    বিশেষ করে কোর্টের এই অ্যাপ্রোচটা ভেবে দেখার মতো (এইচবিআর এর লিংক থেকে)ঃ  
     
    In a June 25, 2021 decision, for example, the Texas Supreme Court ruled that Facebook is not shielded by Section 230 for sex-trafficking recruitment that occurs on its platform. “We do not understand Section 230 to ‘create a lawless no-man’s-land on the Internet,’” the court wrote. “Holding internet platforms accountable for the words or actions of their users is one thing, and the federal precedent uniformly dictates that Section 230 does not allow it. Holding internet platforms accountable for their own misdeeds is quite another thing. This is particularly the case for human trafficking.”
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন