এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  পুজো ২০১০

  • বেহায়া পাখী ও ইত্যাদি

    সম্বিত বসু
    ইস্পেশাল | পুজো ২০১০ | ০১ অক্টোবর ২০১০ | ৫৪৩ বার পঠিত
  • (লেখাটা আরও গুছিয়ে লেখার ইচ্ছে ছিল। লেখার আছেও অনেক। কিন্তু বিভিন্ন কারণে অগোছালো হয়ে গেল - বাংলা গানে দেবদেবীদের বাহনের আনাগোণার মতন - এলোমেলো, ছ্যাতরা-ব্যাতরা। )



    কুহু কুহু কুহু কুহু কোয়েলিয়া
    পিউ পিউ পাপিয়া বলে
    চোখ-গেল চোখ-গেল কেন ডাকিস রে
    ও মোর ময়না গো
    ময়না বল তুমি কৃষ্ণরাধে

    বাংলা গানে বহুদিন ধরে পাখী ডেকেছে। কুহু কুহু কোয়েলিয়া, পিউ পিউ পাপিয়া, চোখ গেল, চোখে গেল বলে চোখ-গেল পাখী। সবিতা চৌধুরী 'বউ-কথা-কও' বলে পাখীকে ডাকতে বারণ করেছেন। এমনকি আরতি মুখোপাধ্যায় বেহায়া পাখীকে অন্যত্র গিয়ে কথাবার্তা বলতে অনুরোধ করেছেন। এছাড়া বদ বা বোবা ময়না পাখীর আস্ত কলোনিই তো বাংলা গান। তাকে "কৃষ্ণরাধে" বলানোর চেষ্টা হয়েছে, সে কেন কার বিরহে যে একেলা তাই নিয়ে গভীর গবেষণা হয়েছে আর শেষ পর্যন্ত কেন যে সে কথা কয়না এই ভেবে লতা মঙ্গেশকর হাহুতাশ করেছেন।

    সত্যি কথা বলতে কি, বাংলা গান একটি আস্ত পক্ষী-নিলয়। বর্ষা, প্রেম-বিরহ ও পাখী বাংলা গানকে যেরকম আচ্ছন্ন করে রেখেছে, অন্য কিছুকে সেখানে জায়গা করে নিতে গেলে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়। অথচ বাংলার, অন্তত: বিংশ শতকের শহুরে বাংলাদেশে পাখির সঙ্গেই দেখা দেখা যেত অন্য পশু। কুকুর বা গরু। শহর তো শহর। গ্রামের কথা ভাবুন। সেটি তো প্রায় অভয়ারণ্য। বাঘ-সিংহ-হাতি-টাতি বাদ দিলে পুরো
    চিড়িয়াখানা উপস্থিত । তবে কেন এই পক্ষীবিলাস।

    বর্ষা বলতে বাঙালী গীতকারের প্রেম, এবং বিরহ, উথলে ওঠে। গগনে জলভার মেঘের গর্জন মনে পড়ে, ময়ূরের নাচ মনে পড়ে। কিন্তু অগীতিকারদের অন্য কথা মনে পড়ে। এ নিয়ে অবশ্য একটা গানই আছে - 'আমি গান গাই'। কিন্তু তাতেও বর্ষা বললে বাঙালীর যে সাপ-ব্যাঙ-বিচ্চুর কথা মনে পড়ে, তার উল্লেখ নেই। কিংবা মাছ? বর্ষা আসছে-আসছে, এ সময়ে ইলিশসঙ্গ করার জন্যে যদি আপনার হৃদয় উদ্বেল না হয়ে ওঠে, তাহলে আপনাকে বাঙালী বলতে অনেকেই কিঞ্চিৎ দ্বিধাগ্রস্ত হবেন। পাকা রুই, বাগদা-ও-গলদা, ভেটকি, কাতলা, ট্যাংরা প্রমুখরা বাংলা শহুরে গানে কেন নেই? বলুন তো আপনি কটা বর্ষার গান জানেন, যেখানে সাপ বেরিয়েছে? বর্ষার গান ছাড়ুন, সাপ নিয়ে কোন বাংলা গান জানা আছে - মনসার পাঁচালী ছাড়া? বর্ষায় ব্যাঙ? আমার তো সবেধন নীলমণি একটি গানই মনে পড়ছে যেখানে অন্তত: বর্ষার অনুষঙ্গে ব্যাঙ ডেকে বর্ষার আমেজ তৈরি করেছে। অতুলপ্রসাদের 'বঁধুয়া নিদ্‌ নাহি আঁখিপাতে' গানের অন্তরাতে আছে, 'ডাকিছে দাদুরি মিলন তিয়াশে / ঝিল্লি ডাকিছে উল্লাসে'। ঐ প্রথম বোধহয় বাংলা গানে ব্যাঙ ও পোকার আগমন। অন্তত: যে গান ডকুমেন্টেড। অবশ্য পোকার লিস্ট থেকে অলি ও ভ্রমরাকে বাদ রাখছি, কেননা তারা আবহমানকাল ধরে গুণগুণ করে চলেছে।
    আর তাছাড়া দেখবেন পাখি ব্যতীত অন্য সব পশুপাখি এসেছে অ্যামবিয়েন্স তৈরি করতে। ঐ যেমন আশির দশকের আর্ট ফি®ÒÈ নিশুতি রাতের অ্যামবিয়েন্স তৈরি করতে কুকুরের ডাক দেওয়া হত, এও সেইরকম।

    কুকুর বলতে মনে পড়ল, বাংলাদেশের পথেঘাটে নেড়িদের খুব আনাগোনা। কী গ্রাম, কী শহর। কিন্তু বাংলা গানে কুকুর এসেছে মনে করতে পারেন? আমি একটা মাত্র গান মনে করতে পারি, সুমন চট্টোপাধ্যায়ের 'আমি গান গাইছি, বিশেষ কিছুই হচ্ছে না'। সেখানে একটি বিয়েবাড়ির বাইরে এঁটোকাঁটা ফেলার জায়গায় 'নেড়িকুকুরের খ্যাঁক খ্যাঁক খ্যাঁক খ্যাঁক' শোনা গেছে। যেমন শোনা গেছিল নবান্ন নাটকে চল্লিশের দশকে। আর সুমন চাটুজ্জের গান বেরিয়েছিল নাগরিক গোষ্ঠীর 'অন্য কথা অন্য গান' অ্যালবামে, আশির দশকে। অর্থাৎ নাটক থেকে গানে আসতে নেড়িকুকুরের চল্লিশটি বছর লেগে গেল। অবশ্য ঊনিশশোর বাহান্নর 'পালকির গান'-এ কুকুর এসেছে - শব্দকল্পে নয়, দৃশ্যকল্পে। শালিখ এসেছে, ছাগল এসেছে, গরু এসেছে, মাছি এসেছে।

    দুধের চাঁছি
    শুষছে মাছি
    উড়ছে কতক
    ভনভনিয়ে।
    ...
    কুকুরগুলো
    শুঁকছে ধুলো
    ধুঁকছে কেহ
    ক্লান্ত দেহ।

    ঢুকছে গরু
    দোকানঘরে
    আমের গন্ধে
    আমোদ করে।
    ...
    তাকায় দূরে
    শূণ্যে ঘুরে
    চিল ফুকারে।
    মাঠের পারে
    গরুর বাথান
    গোয়ালখানা।
    ...
    পেরজাপতির
    হলুদ বরণ
    শশার ফুলে
    রাখছে চরণ।
    ...
    পোড়ো ভিতের
    পোতার পরে
    শালিখ নাচে
    ছাগল চরে।
    ...

    আমাদের চারপাশের মনুষ্যেতর প্রাণী নিয়ে এরকম পরিপূর্ণ ছবি কি আর কোন বাংলা গানে আমরা পেয়েছি। সম্ভবত পাই নি। একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে এও মনে পড়ে যায়, পালকির গান বাঙালীর সমবেত চেতনায় আজকে গান হিসেবে গেঁড়ে বসলেও, আদতে এটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তর কবিতা। সলিল চৌধুরী তার দুর্কল্পনীয় সাঙ্গীটিক দক্ষতায় কবিতার শরীরে সুর বুনে দিলেও, কবিতাটি গান হবার জন্যে তৈরী হয় নি। মানে গানে যে পাখী, অলি, ভ্রমর-টমরের বাদ দিয়ে গরু-ছাগলও যে আসতে পারে, বাঙালী গীতকাররা ভেবে উঠতে পারেন নি।

    আসলে বাংলা গানের এসথেটিক্সের যে একটি ধাঁচা রবীন্দ্র-দ্বিজেন্দ্র-রজনী-অতুল তৈরি করে দিয়েছিলেন, তার বাইরে যাবার কথা দীর্ঘ চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর আর কেউ ভাবেন নি। রবীন্দ্রনাথের কাছে তাঁর জমিদারী দেখার সুযোগেই হোক বা শান্তিনিকেতনবাসের জন্যেই হোক 'ডাকছে থাকি-থাকি ঘুমহারা কোন নাম-না-জানা পাখি' যত বাস্তব, শহুরে সলিল চৌধুরীর কাছে কি 'আরও কিছু দিতে বাকি, বলে রাতজাগা পাখি' তত বাস্তব হতে পারে?

    তবু সলিল চৌধুরীই পেরেছিলেন এসথেটিক্সের চলতি হাওয়ার বাইরে গিয়ে মাছি, ব্যাঙদের নিয়ে গান বাঁধতে। শুধু যে গিয়েছিলেন তাইই নয়, বাংলা গান যদি কোনদিন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে অমুকের গান, তমুক সঙ্গীত, পল্লীগীতি, ছোটদের গান ইত্যাদি ছাপ্পা মারার বাইরে গিয়ে গানকে গান বলেই মর্যাদা দিতে শেখে, সলিল চৌধুরীর 'ও সোনা ব্যাঙ, ও কোলা ব্যাঙ' বাংলা গানে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বিষয়-কথা-সুর-গায়ন-বিন্যাস সব মিলিয়ে এরকম কমপ্লিট গান বাংলায় খুব বেশি খুঁজে পাওয়া শক্ত।

    হয়তো গীতিকারদের কাছে বাঙালি চরিত্রই এই। তারা ভাবতেই পারেন না যে প্রাপ্তবয়স্ক বাঙালীর জীবনে পশুপাখির একটা জায়গা থাকতে পারে। তাই 'পুসিবল পুসিবল' কিম্বা পাকা-পাকা 'শোন শোন শোন মজার কথা ভাই, আমার কুত্তা শুধায়, ভালুক শুধায়, বান্দর শুধায়' ধরণের শিশু কনটেক্সট ছাড়া গানে পশুদের আনা গীতিকারদের এসথেটিক্সের ধারণায় হোঁচট খেয়েছে।

    অথচ পশ্চিম ধ্রুপদী সঙ্গীত দেখুন। অক্লেশে ঙনঢ়নক্ষ তশধ ঢ়বন ঠষরপ-এর মতন কম্পোজিশন বেরিয়ে এসেছে। 'অক্লেশে'টা কথার কথা। প্রোকোফিয়েভকে হয়তো অনেক ক্লেশ করেই লিখতে হয়েছিল, এবং এও মূলত: শিশুভোগ্য। কিন্তু মোদ্দা কথা হল সঙ্গীতের বিষয় হিসেবে পশুদের অচ্ছুত করে রাখেন নি। এর আরেকটা কারণ হল বিদেশী লোকসাহিত্যে দুষ্টু লোকরা প্রায়ই রাজপুত্র/রাজকুমারীদের পশুপাখীতে রূপান্তরিত করে দিত। আর অনেক বিদেশী ধ্রুপদী সঙ্গীত তার থিম আহরণ করেছে লোকগাথা থেকে। যেমন এই জংতশ কতযন।

    এমনকি হিন্দিতেও 'মেরে ভঁইসকো ডান্ডা কিঁউ মারা' গান অনেকদিন আগেই হয়ে গেছে। 'হিন্দি সিনেমার গানে সাঙ্গীতিক এসথেটিক্সের বদলে সিনেম্যাটিক এসথেটিক্সের প্রতি দায়বদ্ধতা বেশি, কাজেই ছবির প্রয়োজনে বিষয় হিসেবে যা খুশি আসতে পারে' বলে যদি কেউ যুক্তি দেন তাহলে তার বদলে বলতে হয়, হিন্দি ছবির গান স্বতন্ত্র প্রকাশ হিসেবেই ছবিতে আসে। সেখানেই সঙ্গীতই তার মাপকাঠি, ছবিতে সুপ্রযুক্ত কিনা সে অনেক পরের বিবেচনা।

    বাংলা গানের স্বর্ণযুগ-ফুগ নামে অনেক বাতেলা চলে। খুঁজে দেখলে এরকম অনেক বিষয় পাওয়া যাবে, বাংলা গানে যাদের একেবারেই কোন খোঁজ নেই। স্বর্ণ, রৌপ্য, তামা, লৌহ - কোন যুগেই। প্রস্তরযুগ, কবে তুমি আসিবে বল তো?

    ছবি- সুমনা বিশ্বাস
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ০১ অক্টোবর ২০১০ | ৫৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন