খুব ভালো। সময়োপযোগী।
ভারত ছাড়া আর একটাও দেশ তার নাগরিকদের টীকার জন্য চার্জ করছে কি? ভারত কেন করছে তাহলে? এর সাথে ১লা এপ্রিল থেকে সিস্টেমে ঢোকা ইলেক্টোরাল বন্ডের কোন সম্বন্ধ আছে কি?
এই দুষ্কালের মধ্যে ভারত ছাড়া আর কোন দেশের প্রধান বিলাসবহুল প্রাসাদ বানাচ্ছে কি?
তথ্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী লেখা। লেখাটার প্রচার হওয়া দরকার।
"প্রশ্ন হল সরকার সমস্ত ইচ্ছুক নাগরিকদের বিনা পয়সায় টীকা দেবে না কেন? প্রাথমিক পর্যায়ে কোভ্যাকসিনের তিনপর্যায়ের পুরো পরীক্ষা সম্পূর্ণ না করেই বাজারে নিয়ে আসা হয়েছিল। সে নিতে বহু বিতর্ক হয়। একধরনের সবজান্তা ষড়যন্ত্রপ্রেমী মানুষ (কিছু চিকিত্সকও ছিলেন এর মধ্যে) টীকার বিরুদ্ধে নানা আজগুবী যুক্তি হাজার করেন সামাজিক মাধ্যমগুলিতে..."
মোক্ষম কথা বলেছেন লেখক। এই সবজান্তা ষড়যন্ত্রপ্রেমী মানুষগুলোর (কিছু চিকিত্সকও ছিলেন এর মধ্যে) জন্য অকারণ কতগুলো দিন নষ্ট হয়েছে।
আমি টিকাকরণের পক্ষে।
তবু কটা জায়গা নিয়ে খটকা আছে। এক পর্যাপ্ত ট্রায়াল না হওয়ার পরেও কেন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার যথেষ্ট ভাল করে মনিটরিং আর স্বচ্ছ রিপোর্টিং হল না? যে কটি মৃত্যু হল সেগুলো নিয়ে সরকারি রিপোর্ট কোথায়?
দ্বিতীয়ত যতটা জেনেছি দুটো ভ্যাকসিন দু রকমের । দুধরনের ভ্যাকসিনের যেটুকু ট্রায়াল হয়েছে তাতে আলাদা করে নারী স্বাস্থ্যের উপর এদের প্রভাব থাকা বা না থাকা নিয়ে কোন স্টাডি হয়েছে কি? সেই নিয়ে যখন কথা উঠেছে, তখন ডাক্তার রা বলেছেন এসব গুজব, ফালতু কথায় কান দেবেন না। কিন্তু কি যুক্তিতে বলছেন গুজব সেটার কোন ব্যাখ্যা পাই নি। আমার জানা কম হতেই পারে, হয়ত স্টাডি হয়েছে আমি জানি না। কিন্তু তবু স্টাডির রেফারেন্স পেলে বিশ্বাস করতে ভরসা হয় বেশি। মুখের কথা বড্ড পাল্টে পাল্টে যায়।
তৃতীয়ত এমন কোন ডেটা আছে কি যাতে প্রত্যেকটা ভ্যাকসিনের একটা এবং দুটো ডোজ নেওয়ার পর সংক্রমণের, hospitalisation এবং মৃত্যুর হার জানা যায়? এমনি ক্যাজুয়াল ভাবে বলা আনুমানিক কথা না, প্রমাণিত কোল্ড হার্ড সায়েন্টিফিক ডেটা।
টিকা ভাল জিনিস। আর এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ট্রায়ালের সময়ও ছিল না। কিন্তু ইমপ্লিমেন্টেশন পর্ব টাও ভরসাযোগ্য করার দায় ছিল ICMR এর। সেটাও কি ঠিকমত হল?
আর এই ফাঁক দিয়েই বিভিন্ন কনস্পিরেসি থিওরিস্ট রা ঢুকে পড়েন।
তবে সবকিছুর পরেও ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা বৃথা। কারণ সে তো ঈশ্বরের মতন। তাকে দেখা যায় না। তবু তিনি আছেন বলে মানতে হয়।
দেশব্যাপী এই অন্যায় নীতি ও টীকাকরণের অব্যবস্থার মধ্যেও সানন্দে জানাতে চাই দিল্লীর কেজরিওয়াল সরকার এই কাজটি দক্ষভাবে পরিচালনা করছে। শহরের সরকারি স্কুলভবনগুলি (যা গত কয়েক বছরে যথেষ্ট উন্নত হয়ে উঠেছে) টীকা কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কমবয়সী ছেলে মেয়েরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে মাত্র ৪০-৪৫ মিনিটের মধ্যে সুশৃঙ্খলভাবে টীকা নিয়ে ফিরে আসছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
১৮ বছরের নিচে ভ্যাকসিন যায় তা তো পরীক্ষিতই নয়।..???