এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  প্রথম পাঠ

  • গভীর বিশ্বাসে দুঃসাহসিক উচ্চারণ

    মীরাতুন নাহার
    পড়াবই | প্রথম পাঠ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ২২৩৭ বার পঠিত
  • গৌরী লঙ্কেশ। হিন্দুত্ববাদীদের ষড়যন্ত্রে নিহত অকুতোভয় সাংবাদিক। তাঁর আটটি নিবন্ধের বাংলা তরজমা ও সঙ্গে লেখকপরিচিতি। আবেগের প্রকাশ এবং প্রয়োজনের তাগিদ— এ দুয়ের সমন্বয় ঘটানোর দুরূহ কাজটি সুসম্পন্ন হওয়া একটি জরুরি বই। পড়লেন মীরাতুন নাহার


    'আমার প্রতিবাদের ভাষা' মাত্র চৌষট্টি পৃষ্ঠার একটি অতি ক্ষুদ্রকায়া পুস্তিকা। অধ্যায় অনেকগুলি—এগারোটি। তিনটি—লেখিকার পরিচিতি এবং বইটি লেখা হল কেন, এই দুটি বিষয় সম্পর্কিত এবং বাকি আটটি লেখিকার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কিত রচনার অনুবাদ। কন্নড় ভাষা থেকে ইংরেজি অনুবাদের বাংলা ভাষান্তর করেছেন সজল রায়চৌধুরী ও সোমনাথ গুহ। বইটি সম্পাদনার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করেছেন সজল রায়চৌধুরী। লেখিকার নাম গৌরী লঙ্কেশ—সত্যকথনে নির্ভীক এক মানবী-নাম। তাঁর রচনা ক-টি পড়তে পড়তে এবং পড়ার পর পাঠক-হৃদয় গুরুভার বইতে অপারগ হয়ে যায়। ক্ষুদ্রাকৃতি বইয়ের আধারে ধৃত সহজসরল ভাষায় অনূদিত রচনা-পাঠ যে এত বহন-অযোগ্য হতে পারে তা অকল্পনীয়! চোখের জলের ধারায় বন্যা নেমে আসে! বইয়ের প্রচ্ছদে আটকে থাকা উজ্জ্বল রক্তমাখা মুখখানি আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে মনের আয়নায়। বিড়বিড় করে ওঠে ঠোঁট—সার্থক জন্ম তোমার গৌরী লঙ্কেশ!

    গৌরী লঙ্কেশ (১৯৬২-২০১৭) খ্যাতনামা সাংবাদিক-পিতার যোগ্য সন্তান। তাঁদের পারিবারিক পত্রিকার নাম ‘লঙ্কেশ পত্রিকে’। পিতা পি লঙ্কেশের মৃত্যুর পর তিনিই পত্রিকাটি চালানোর ভার নেন। পরে ‘গৌরী লঙ্কেশ পত্রিকে’ প্রকাশ করতে থাকেন। ইংরেজি ভাষায় পড়াশোনা। কন্নড় ভাষা, নিজের মাতৃভাষা, না জেনে বিপাকে পড়েছেন। কিন্তু সাংবাদিকতা তিনি ছাড়তে পারেন না। অতএব লড়াই-ব্যর্থতা-সাফল্য পাশাপাশি চলেছে। হারতে তিনি জানেন না। হারেননি। আর সেটাই হল ‘কাল’! দুর্জয় সাহসকে নমিত করার জন্য পরিকল্পিত হত্যার শিকার হতে হল তাঁকে। ব্যর্থতা? তাঁকে ছুঁতে পারবে কেমন করে? তিনি লাভ করলেন অমরত্ব! ‘নামাবলি গায়ে’ চড়ানো অনেকেই যে জানে না, মৃত্যুতেই কোনো কোনো জীবনের সমাপ্তি ঘটে না! কীধরনের সত্যকথনে পারঙ্গম ছিলেন গৌরী লঙ্কেশ? কিছু উল্লেখ করা যাক।

    কর্ণাটকের বাবাবুদান গিরিকে ‘দক্ষিণের অযোধ্যা’য় পরিণত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ‘গেরুয়া বাহিনী’। গুরু দত্তাত্রেয় বাবাবুদানস্বামী দরগায় হিন্দু-মুসলমানের যাওয়া-আসা চলে নিরন্তর। এই দরগা ‘প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতার এক মহান উদাহরণ’। এটিকে কেবলমাত্র হিন্দুদের পবিত্র স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি এবং বজরং দল। এর বিরুদ্ধে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় লিখলেন তিনি ‘লঙ্কেশ পত্রিকে’য়। বহু বিশিষ্ট মানুষদের নিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সভা করলেন। ২০০৩ সালের ঘটনা। গৌরী লঙ্কেশ গেরুয়া বাহিনীর শত্রু হিসেবে পরিচিতি লাভে এতটুকু শঙ্কা বোধ করলেন না। [‘বাবাবুদান গিরিতে আমি কী দেখেছিলাম’, ২০০৩]



    বাবাবুদান গিরি

    লিঙ্গায়েত দক্ষিণ ভারতের একটি ব্রাহ্মণ্যবাদ ও জাতিভেদ-বিরোধী ধর্মসম্প্রদায়। এই ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা বাসবান্না মন্দির ও মূর্তি প্রতিষ্ঠার বিরোধী ছিলেন। দ্বাদশ শতাব্দীর কবি ও সমাজসংস্কারক এই দৃঢ়চিত্তের অধিকারী মানুষটি যে মন্ত্র উচ্চারণ করেছিল তা হল—কর্মই ধর্ম। নীচু জাতির মানুষদের সঙ্গে ছিল তার ঐকান্তিক হৃদ্যতা। তিনি অসবর্ণ বিয়ের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেন, যার নৃশংস কুফল ভোগ করতে হয় তাঁর অনুগতদের। তিনি স্থানত্যাগ করতে বাধ্য হলেন। লিঙ্গায়েত ধর্মের মূল ভাবাদর্শ ভুলিয়ে দেওয়া হল সেখানকার মানুষজনকে। সুপণ্ডিত, ইতিহাসবিদ, কন্নড় ভাষার ঐতিহ্য রক্ষায় একনিষ্ঠ কুলবুর্গি তাদের বোঝাতে চাইলে তাঁকে ‘ধর্মদ্রোহী’ আখ্যা দেওয়া হল এবং তাঁকে প্রাণ দিতে হল। গৌরী লঙ্কেশ লিখলেন, “তবু প্রতিবাদী ভাবাদর্শের তো মৃত্যু হয় না।’ [‘গতকাল বাসবান্না, আজ কুলবর্গি’, ২০১৫]

    জয়পুর সাহিত্য উৎসবে সলমন রুশদির আগমনবার্তা জানাজানি হলে দেওবন্দ মুসলিমরা প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। এমনকি তাঁকে হত্যা করার পরিকল্পনার কথাও শোনা যাচ্ছে। আবার রাস্তায় মুসলিম ছেলেরা হিন্দু মেয়েদের সঙ্গে ‘ছিনালি’ করে এই অপরাধে তাদের ‘মেরে ফেলা ন্যায্য’ বলে দাবি তুলেছেন আরএসএস নেতা। গৌরী লঙ্কেশ আরও কিছু মৌলবাদী হুঙ্কারের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে দৃঢ় অভিমত প্রকাশ করলেন যে, সকল মৌলবাদ কেবল ধ্বংসই সৃষ্টি করে এবং সেকারণে সকল মৌলবাদই সমান নিন্দাযোগ্য। [সব মৌলবাদ ভ্রান্ত, সাল অনুল্লিখিত]



    কবি হুচ্ছাংগিপ্রসাদ

    কবি প্রসাদ মাত্র ২৩ বছরের তরুণ কবি। তাঁর পুরো নাম হুচ্ছাংগিপ্রসাদ। এতটুকু বয়সে তাঁর কবিতার বই ‘ওড়ালা কিচ্ছু’ (অন্তরাগ্নি) পুরস্কৃত হয়েছে। সে জাতিভেদ প্রথা, হিন্দুত্ব ও অন্ধবিশ্বাসের প্রবল বিরোধী। তার মা দেবদাসী, বাবা দলিত। তার জীবন শুরু হয়েছে দাস মজুর হিসেবে। সে শিক্ষালাভ করার সুযোগ পায় একটি সরকারি প্রকল্পের দৌলতে। সে ক্রমাগত লিখতে থাকে তার যন্ত্রণার কথা। ধর্মের নামে নানাপ্রকার তীব্র সমালোচনামূলক রচনা। তার হাত কেটে নেওয়ার ষড়যন্ত্র থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারলেও হাতের তালুতে আঘাত নিয়েও সে লিখল, ‘ওরা দ্রোণাচার্যের বংশধর হতে পারে আমরা একলব্যের বংশধর।’ গৌরী লিখলেন, ‘... ওহে ডানপন্থী গুন্ডারা, তাকে তোমরা কোনোদিন গুঁড়িয়ে দিতে পারবে না।’ সে প্রতিজ্ঞা করেছে যে, গুরু আম্বেদকরের দেখানো পথেই সে ‘নিজেদের জন্য উঠে দাঁড়াতে’ পারবে আত্মমর্যাদাবোধ ও আত্মসচেতনতা অন্তরে জাগিয়ে রেখে। [‘আমরা একলব্যের বংশধর’, ২০১৫]



    দয়ামণি বারলা

    দয়ামণি বারলা আদিবাসী পরিবারে জন্ম নেওয়া ঝাড়খণ্ডের এক বিরলদর্শন লড়াকু মানবীর নাম। জন্মের পর থেকে খাওয়া-পরা-থাকা-শিক্ষা-জীবিকা সবকিছুর জন্যই লড়াই চালিয়ে হারেননি এই ভারতকন্যা। স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে চায়ের দোকান দিয়ে রুজিরোজগার সম্ভব করেছেন। নিজস্ব এই সংগ্রামে থেমে থাকেনি তাঁর জীবন। দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার, গরিব আদিবাসীদের ক্ষুধার অন্ন কেড়ে নেওয়া বিত্তবান, দুর্বৃত্ত, কোম্পানির মালিক—কাদেরকেও তিনি রেয়াত করেননি। তাদের আদিবাসী স্বার্থঘাতী সমস্ত প্রকল্পে জল ঢেলে দিয়েছেন জন-আন্দোলনের জোয়ার এনে দিয়ে। ‘জন হক’ নামে সংবাদপত্র প্রকাশ করেছেন। ‘আদিবাসী মূলবাসী’ অস্তিত্ব রক্ষা সমিতি’ গঠন করেছেন। পুরস্কার মিলেছে সেসবের জন্য জেল-হাজতবাস।

    গৌরী আশা প্রকাশ করেছেন, দয়ামণির মতো ‘সাহসী কর্মীরা’ তাঁর রাজ্যেও উঠে আসবে এবং কর্ণাটকে বিজেপি সরকারের লুট করার লক্ষ্যকে রুখে দেবে। [‘দয়ামণি বারলার মর্মবেদনা’, ২০১২]

    মহিলা শ্রমিক বিস্ময়কর প্রতিবাদ আন্দোলন বাস্তবায়িত করে ভবিষ্যনিধি বিলটিকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। সরকার বারংবার চেষ্টা করেছে যাতে মহিলা শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের গর্ভে তলিয়ে যায়। ভবিষ্যনিধি তহবিল বলে তাদের জন্য কিছু না থাকুক। অরুণ জেটলির ভূমিকা সেক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য রকমের অমানবিক বললে কম বলা হয়! গৌরী লঙ্কেশের বিবৃতি থেকে তা স্পষ্ট হয়েছে। তিনি ধিক্কার জানিয়েছেন বোম্মানাহাল্লিতে বিজ্ঞাপিত এক প্রয়াসকে যাতে দুজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উল্লিখিত বিল প্রত্যাহার করার জন্য বাহবা দেওয়া হয়েছে!

    দুর্জয় সংকল্পের অধিকারী মহিলা পোশাককর্মীদের তিনি কর্ণাটকের কিট্টুর অঞ্চলের ইংরেজ শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মৃত্যুবরণ করা বীরাঙ্গনা রানি চিন্নাম্মার উত্তরসূরি বলে গণ্য করে গর্ব প্রকাশ করেছেন। [‘বুড়ো বয়সে মরূদ্যানের বদলে মরীচিকা’, ২০১৬]

    নিজের মাতৃভাষা কন্নড় ভাষা শেখার সুযোগ তিনি পাননি। মূলত মায়ের ভুলে। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিশুবয়সে ভরতি করার ফল তাঁকে ভালোমতোই ভোগ করতে হয়েছিল! অথচ এই ভাষার প্রয়োজন দেখা দিল তাঁর জীবনে এমনভাবে যে ভাষাটি আয়ত্ত করা ভিন্ন গতি ছিল না। জেদি স্বভাবের গুণে সে কঠিন পরীক্ষাতে উতরে যাওয়ার বৃত্তান্ত লিখেছেন তিনি সরসতা মিশিয়ে। পরিবারের পত্রিকা, নিজের পত্রিকা, পেশা—সবই সামলেছেন মাতৃভাষাতে এবং সেই সঙ্গে মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন গভীর ভাবে। তিনি নির্দ্বিধায় লিখেছেন যে, মাতৃভাষায় শিক্ষালাভ বিনা সেই ভাষায় কিছু ভাবা এবং অনুভব করা যায় না। এমনকি ‘কন্নড় রাজোৎসব’-এ এই সত্য তিনি অকপটে উচ্চারণ করেছিলেন। [‘কন্নড় ভাষা: পরিত্যগ ও ফিরে আসার গল্প’, ২০১৩]

    প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণকালে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষালাভ করা যে কত জরুরি তা স্বল্প কথায় হলেও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর পাঠক ও দেশবাসীকে। তিনি বিশ্বাস করেছিলেন, মাতৃভাষার ‘জোরালো ভিত্তি’ এবং ইংরেজিকে ‘বাড়তি হাতিয়ার’ হিসেবে পেলে শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় যে-কোনো মানুষের জীবনে। যদি মাতৃভাষা বর্জন করে দেশবাসী তার সন্তানদের ইংরেজি ভাষায় শিক্ষা দেওয়ার উপর বেশি গুরুত্ব দেন তাহলে ‘আমরা শিকড়হীন প্রাণীর দেশ তৈরি করব’—গভীর বিশ্বাসে উচ্চারণ করেছিলেন তিনি।

    অপূর্ব ভঙ্গিতে মাটি ও আকাশকে তিনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন দেশবাসীকে—মাতৃভাষায় শিক্ষালাভ ঘটলে পা শক্ত মাটিতে আটকে থাকবে আর তার সঙ্গে ইংরেজি ভাষা জানতে পারলে শিক্ষার্থীদের ‘প্রসারিত হাতে ধরা থাকবে আকাশ’। [‘ভাষার শিকড় এবং ইংরেজির আকাশ’, সাল অনুল্লিখিত]

    আবেগের প্রকাশ এবং প্রয়োজনের তাগিদ—দুয়ের সমন্বয় ঘটানো বড়ো কঠিন কাজ। আলোচ্য বইখানির প্রকাশ-মুক্তি ঘটিয়েছেন যে সম্পাদক, অনুবাদক, অলংকরণ শিল্পী ও প্রকাশক গোষ্ঠী তাঁরা সেই দুরূহ কাজটি সম্পন্ন করেছেন। সমগ্র পাঠকমহলের পক্ষ থেকে তাঁদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানানোর দায় নিলাম আমি। মূলত ‘লঙ্কেশ পত্রিকে’, ‘গৌরী লঙ্কেশ পত্রিকে’ এবং ‘ব্যাঙ্গালোর মিরর’ নামক তিনটি পত্রিকা থেকে তাঁরা গৌরী লঙ্কেশের লেখাগুলি নিয়েছেন। পাঠকের ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন তাঁর জীবনবার্তা ও জীবনাদর্শ। তাঁদের এই প্রয়াস নিঃসংশয়ে সমাদৃত হবে। তা ছাড়া কিছু কিছু ঐতিহাসিক বিষয়ে তাঁদের প্রদত্ত টীকা পাঠককুলের বিশেষ প্রাপ্তি বলে গণ্য হবে, বলা বাহুল্য।




    আমার প্রতিবাদের ভাষা
    গৌরী লঙ্কেশ
    সম্পাদনা: সজল রায়চৌধুরী
    অনুবাদ: সোমনাথ গুহ ও সজল রায়চৌধুরী
    মাতৃভাষা
    মুদ্রিত মূল্য: ৪০ টাকা
    প্রাপ্তিস্থান: কলেজস্ট্রিটে দে'জ, দে বুক স্টোর(দীপুদা),ধ্যানবিন্দু


    বাড়িতে বসে বইটি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।


    গ্রাফিক্স: মনোনীতা কাঁড়ার

    এই বিভাগের লেখাগুলি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করে 'পড়াবই'এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ২২৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন