সমস্ত সরকারি চাকরিতে একশো শতাংশ এবং বেসরকারি চাকরি, ঠিকাদার, টেন্ডারে নব্বই শতাংশ ভূমিপুত্র সংরক্ষণ সহ বেশ কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে রবিবার প্রকাশ্য সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন 'বাংলা পক্ষ'। ২০১৮ সালে তৈরি হওয়া এই সংগঠন মূলত বাঙালিদের নানা অধিকার নিয়ে লড়াই আন্দোলন করে আসছে। ধর্মতলায় রানি রাসমণি রোডে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশকে ঐতিহাসিক দাবি করে, সংগঠনের তরফে কৌশিক মাইতি জানালেন,আসন্ন বিধানসভা ভোটে প্রতিটি কেন্দ্রে বাঙালি প্রার্থী দেওয়ার দাবি জানিয়ে খুব শীঘ্রই তাঁরা সমস্ত রাজনৈতিক দলকে স্মারকলিপি দেবেন।
সভার উদ্যোক্তাদের দাবি অনুযায়ী বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় হাজার দুয়েক সমর্থক আজকের সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে আসা তরুণ প্রদীপ সূত্রধর জানালেন, মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় বছর দুয়েক ধরেই বাংলা পক্ষের বিভিন্ন কর্মসূচি দেখে তিনি এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছেন। এদিন তাঁরা বেশ কয়েকজন বন্ধু একসঙ্গে সভায় এসেছিলেন।
বেকারত্বের সমস্যা যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তখন এই সময়ে দাঁড়িয়ে চাকরিতে সংরক্ষণসহ সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বাংলা বাধ্যতামূলক করা - এই দাবিসমূহ নিয়ে আন্দোলন মূলত তরুণদের মধ্যে বাংলা পক্ষের প্রতি আকর্ষণ তৈরি করেছে। সুদূর উত্তরবঙ্গ থেকে আসা মানস রায়ের মতে, বাংলা পক্ষের উচিত অবিলম্বে আসন্ন বিধানসভা ভোটে নিজেদের প্রার্থী দেওয়া। তবে এ প্রসঙ্গে, সংগঠনের অন্যতম প্রধান মুখ ড. গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, এখনই ভোটে লড়া নিয়ে তাঁরা কিছু ভাবছেন না, বরং যে দলই জিতে আসুক বাঙালির অধিকার রক্ষায় তাঁরা যাতে পদক্ষেপ করেন, তা বাংলা পক্ষ সুনিশ্চিত করবে।
কেন এই সমাবেশ ঐতিহাসিক তার ব্যাখ্যা করে গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, বাঙালি এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিছিল-সমাবেশ দেখেছে, ধর্মীয় সংগঠনের সভা দেখেছে কিন্তু জাতি হিসেবে বাঙালির দাবি-দাওয়া নিয়ে স্বাধীনতার পরে কোন সংগঠনই সোচ্চার হননি। সেই হিসেবে দেখতে গেলে বাংলা পক্ষ আজ এক ইতিহাসের সূচনা করল।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং আরএসএস এর সমালোচনা করে গর্গ জানালেন, খুব সুকৌশলে হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্থানের একটি প্রকল্প বাঙালির ওপর চাপানো হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বাংলায় কথা বলার জন্য অপদস্থ হতে হচ্ছে বাঙালিকে। এ ধরনের ঘটনার বিরোধিতায় বাংলা পক্ষ সর্বদা তৎপর থেকেছে বলে তাঁর দাবি।
অন্যতম সংগঠক অমিত সেন জানালেন, বাংলার নানা প্রান্ত থেকে আরও সর্মথকরা আজকের সভায় আসতে চেয়েছিলেন, মূলত অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে তাঁদের পিছিয়ে আসতে হয়েছে। তবে আগামী বছর ব্রিগেড ময়দানে আরও বৃহৎ আকারে কর্মসূচি করার ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী।
রবিবারের সভায় তরুণদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বাংলা পক্ষ মহিলা শাখার তরফে প্রচুর সংখ্যক মহিলাও এই সভায় যোগ দেন। ঘনঘন 'জয় বাংলা' ধ্বনিতে মুখরিত ছিল আজকের ধর্মতলা চত্বর। পথচলতি মানুষজন থমকে দাঁড়িয়ে শুনেছেন সভার বক্তব্য।
গর্গের মতে এদিনের সভার চেয়ার থেকে শুরু করে প্যান্ডেল মাইক সবই বাঙালির টাকায় বাঙালির কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। এই ছোট ছোট পদক্ষেপই আগামী দিনে বড় সাফল্য এনে দেবে বলে তাঁর প্রত্যয়।
হ্যাঁ, ঐ নব্বই শতাংশ একশো শতাংশ, ওসব আমার মতেও খুব বিপজ্জনক। কয়েকটা পোস্ট আগে লিখলামও। যেকোনরকম জাতীয়তাবাদও খারাপ জিনিসই।
ব্যক্তিগত মত, হ্যাঁ, তা তো বটেই। নাহলে সব মানুষের ক্ষেত্রে তো অত ভাষা শেখা সম্ভব না।
ন্যাড়াদা, বাংলাপক্ষের ঠিক কী দাবী বুঝি না, তবে আমি যা বুঝি, এটা অন্দোলন করে ভাষা বাঁচানো না, আন্দোলন করে ভাষা মেরে না ফেলার ব্যাপার, অন্য ভাষা চাপিয়ে না দেওয়ার ব্যাপার।
পবঙ্গ বোর্ডে এইট নাইন নাগাদ নাজি জার্মানীতে ভাষা চাপানো নিয়ে খুব মর্মস্পর্শী একটা গল্প ছিল কে যেন, ভুলে গেছি।
এখন ভারতে ফোন কল করলেই কোভিড নিয়ে একটা বানী হয়, আমি আছি লুরুতে, ইংরেজিতে বলে পুরোটা, মাঝখানে ছোট একটা হিন্দি কথা। আপত্তির কিছু আছে কি নেই, কে জানে। কিন্তু হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্তানের বৃহৎ পরিকল্পনা তো সুবিধের জিনিস না।
"অমুক চাকরি অমুকের জন্য ৯০% সংরক্ষিত করতে হবে, ভূমিপুত্রের অধিকার সবার আগে" এটা ভারতের অনেক রাজ্যে আছে তো । বাংলায় হলে আপত্তি কেন ?
সব রাজ্যের ক্ষেত্রেই তো আপত্তি! সেজন্যই তো শিব সেনার কথা লিখলাম!
@সম্বিৎ,
পূর্ব পাকিস্তানের বাঙলা ভাষা আন্দোলনকে কীভাবে দেখবেন? মানে বুঝতে চাইছি।
"...বিভিন্ন জায়গায় বাংলায় কথা বলার জন্য অপদস্থ হতে হচ্ছে বাঙালিকে..."
-- এরকম হলে সেটা খুবই বাজে ব্যাপার
ব্যাঙ্গালোর, গুরুগ্রাম, পুনে, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই ছেয়ে গেছে কলকাতা / পব থেকে আসা বাঙালিতে। সব স্তরে পাবেন তাদের। কলকাতায় চাকরী জেনারেটেড নাহলে স্বল্পকটা চাকরী নিয়ে মারামারি করে কি হবে? কলকাতার অর্থনীতির প্রাণ মারোয়াড়িরা ট্রেডিং ছাড়া অন্য বড় শিল্প বাইরে করলে ভাল ভাবে। তারা জানে সরকারী চাকরিতে বাঙালি থাকলে সুবিধা, অন্য রাজ্যের তুলনায় খাঁই কম। বেসরকারীতে হিন্দিভাষীরা কাছের লোক। অবশ্য বাঙালি যুবক যুবতীরা বুঝে গেছে ভাল হিন্দি ইংরেজি বলতে পারলে কলকাতায় কাজ পাওয়া সোজা। এখানে বাংলা নিয়ে জোরজারি করলে কাজগুলোই বাংলার বাইরে চলে যাবে।
একদম অমিতবাবু, এটাই বলতে চাইছিলাম।
নতুন চাকরিই নেই তো তার রিজার্ভেশন।
এটা আজকের খবর (Jan 20), অন্য রাজ্যে, এটা একটা জাতীয় সমস্যা, ফেডারেল স্ট্রাকচারের মধ্যে থেকে, স্থানীয় ভাষা এবং সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে এরকম "বিবিধ"-এর মাঝে "মহান" মিলন এর দরকার আছে কি না --
The ground-breaking ceremony for the campus, which was inaugurated by Shah in the presence of Chief Minister B S Yediyurappa and other state ministers, saw a banner put written only in Hindi and a plaque having Hindi and English.
Union Home Minister Amit Shah and the BJP-led Karnataka government received severe backlash from the Opposition and Kannada activists on Sunday for giving preference to Hindi over regional language Kannada at the ground-breaking ceremony for the new Rapid Action Force campus at Bhadravathi, Shivamogga district.
https://indianexpress.com/article/cities/bangalore/kannada-activists-amit-shah-event-hindi-7151245/
@সম্বিৎ,
পূর্ব পাকিস্তানের বাঙলা ভাষা আন্দোলনকে কীভাবে দেখবেন? মানে বুঝতে চাইছি।
সব স্টেটে তাদের ভাষায় সব সাইন বোর্ড ম্যান্ডেটরি লেখা থাক সেটা সমর্থন যোগ্য। বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি বা হিন্দিতে লেখা থাকলেও আপত্তি নেই। একই ভাবে সমস্ত কল সেন্টারে ডিফারেন্ট ভাষা অপশনও থাকা উচিত। কাউকে জোর করে হিন্দি বলানো আপত্তিজনক।
যদি কোনো ফেডারেল পলিসি হয় যে সব স্টেটের জন্যে যে যেকোনো অফিসে নিচের লেভেলের কাজে লোকালদের জন্যে একটা %-কোটা রাখতে হবে সেটা অন্য ব্যাপার। মালয়েশিয়াতে যেমন প্রতি স্টেটের আলাদা ওয়ার্ক পারমিট সিস্টেম আছে। কিন্তু সো কলড ভাষা রক্ষার নামে হটাৎ হটাৎ কোনো স্টেট্ ৮০-৯০- % চাকরি ভূমিপুত্রদের জন্যে জোর করে সংরক্ষণ করতে চাওয়া টা আপত্তিজনক। এগুলো জাস্ট লো লেভেল ডিভিসিভ পলিটিকাল এজেন্ডা এবং এসব দাবি যারা তোলে তাদের বেশির ভাগের পলিটিকাল ব্যাকগ্রাউন্ড ও ডুবিয়াস।
#NoVoteForTMC #একুশে_রাম_ছাব্বিশে_বাম
অনেক রাজ্যেই ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আছে। আপত্তিকর কিছু দেখছি না। তামিলনাড়ুতে তো এত বিহারী ওলা উবের ড্রাইভার নেই। এখানে এত কেন? এত পালে পালে বিহারী ঢুকছে কেন, অন্য রাজ্যে তো এরকম দেখছি না। নিজের স্বার্থ দেখার মধ্যে অন্যায় কি?
কর্নাটক তামিলনাড়ুতে এত পালে পালে বাঙালী আইটিওলা ঢুকছে কেন তা নিয়ে আবার না ওরা আপত্তি করে।
এইসবের এই বিপদ। খেটে খাওয়া অর্থনীতির নীচের তোলার লোকেদের ওপর ঝাল ঝাড়া সহজ।
বাংলাপক্ষের কিছু কিছু দাবী জানি, যেমন ব্যাংক বা আপিস কাছারির কাগজপত্রে বাংলার অপশন থাকা বাধ্যতামূলক, সাইনবোর্ড, রেল স্টেশন ইত্যাদি - এগুলো খুবই প্রয়োজনীয়, যুক্তিযুক্ত। এটা ভাষা বাঁচানো না, আমি আমার নিজের জায়গায় নিজের ভাষার সুবিধেটা যেন পাই সেটা নিশ্চিত করা।
কিন্তু সমর্থকদের দাবী যখনই এই 'পালে পালে বিহারি' ধরনের জায়গায় পোঁছে যায় তখন সেটা আর আসামের বাঙালখেদা বা শিবসেনার বাঙালী ফেরিওলাকে মারধর করার থেকে আলাদা কিছু হয় না।
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে তামিল তেলুগুরা এসে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বারোটা বাজিয়ে দিল এমন কথা শুনেছি। পবঙ্গে বিহার থেকে লোক আসেন কারন প্রতিবেশি রাজ্য, ভাষার মিল আছে।
একটা ভালো ম্যাপ দেখেছিলাম কাজের খোঁজে যাওয়ার হিসেবের, কোন রাজ্য থেকে কোন রাজ্যে বেশি মানুষ যান।
কোথাও পালে পালে বিহারী ঢোকে, কোথাও পালে পালে মেক্সিকান ঢোকে। এই পালগুলোকে নিয়েই হয়েছে মুশকিল।
সংরক্ষণ নিয়ে খুব বক্তব্য নেই, কিন্তু আগেও যেমন অনেকে বললেন, সংরক্ষণ করার মত যথেষ্ট কাজ, চাকরি তো থাকতে হবে।
রাজ্য সরকারের চাকরির নিয়মটা কী? আরবিট অন্য কোন রাজ্য থেকে চাকরিপ্রার্থী আবেদন করতে পারে? ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের একটা ব্যাপার হতো আগে। এটা একটু দেখতে হবে তো। এম্প্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ এখন কেমনভাবে কাজ করে, একটু খুঁজে দেখি।
এইগুলো সব ব্যবহারিক দিক, খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ, কিন্তু সংস্কৃতিরক্ষা জিনিসটার খুব উপকার এতে হবে না, তার জন্যে অল্পবয়সীদের আকৃষ্ট করার মত পপুলার কাল্চার না হলে এমনিতেও ভাষার ভবিষ্যৎ টিমটিমে। সে শহুরে জিনিস বা লোকশিল্প যাই হোক।
পুরো জিনিসটা খুবই গোলমেলে, বাঙালীরা চাপে আছে এ খুবই বাস্তব, জাতীয় স্তরের নেতা বক্তৃতায় বলে শ্রমিককে চিঁড়ে খেতে দেখে বুঝেছে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী, রাজ্যস্তরের নেতা বাংলা ভাষার যোগ্যতা নেই অন ক্যামেরা বলেও ফুটেজ পেতেই থাকে (আবার সেইসব ফুটেজ দেওয়া মিডিয়াকে দু'পয়সার বললে তাঁদের অকমান লাগে), মুখ্যমন্ত্রী ওয়ান্নাবি বাংলা মাধ্যমে পড়ে কেউ মানুষ হয় না বলে (এবং ফুটেজ, দু'পয়সা, ঐ ঐ), দিল্লিতে দেখেছি দিনাজপুর মুর্শিদাবাদ ঐসব জায়গার কথার টান শুনেই কলকাতার ডায়ালেক্টের সঙ্গে পরিচিত লোকেরা রিক্সাচালকদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে সনাক্ত করে ফেলে! আবার ন্যাড়াদা যেমন বললো। খোদ কলকাতাও অজ্ঞানতায় পিছিয়ে নেই, পনেরো বছর আগেও নিজেদের মধ্য আগরতলার ডায়ালেক্টে কথা বললে ট্রামে বাসে লোকজন বাংলাদেশ থেকে এসেছি কিনা জিজ্ঞেস করতো (এ নিয়ে কোন ক্ষোভ নেই, জানে না তো কী করবে, কিন্তু সেটা হতো)।
আর কোন ভাষাগোষ্ঠী ঐরকম টার্গেটেড হয় কিনা, বা হলেও এমন বৈরাগ্য, বিনয় ও তুষ্ণীম্ভাব দেখায় কিনা সেটা প্রশ্ন।
সেই, কোথাও বিহারী কোথাও মেক্সিকান কোথাও বাঙালী - বিদ্বেষের এদিক ওদিক বৈ কিছু না (@dc)
সেই যে অনেক সত্যিকারের পঙ্গপাল আসছিলো পাকিস্তান থেকে গুজরাট না পঞ্জাবে -- তা সেগুলোর কি হলো?
গর্গবাবু MIT এর খুব সম্ভাবনা ময় ক্যারিয়ার ফেলে এই অনিশ্চিত এক্টিভিস্ট জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন | তার জন্য বাঙালি ও মানুষ হিসেবে তাকে সাধুবাদ জানাই | কিন্তু বাঙালিকে বাঁচানো সম্ভব নয় | আমাদের জাতির যুবক যুবতীরা নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নয় , ভালো করে নিজেদের ভাষাটাই বলতে পারেনা তারা ; আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ সত্যি অনিশ্চিত | কোনো আশার আলো আমি দেখতেই পারছিনা | ভীষণ নিরাশার অন্ধকারে ডুবে গেছি |
"আন্দোলন করে ভাষা বাঁচিয়ে রাখার কোন ঐতিহাসিক ও প্রামাণ্য উদাহরণ আছে? পুরো মানবেতিহাস ধরলে?"
আছে তোঃ
আধুনিক ইদ্দিস আর হিব্রু ভাষার এই ভাবেই রিভাইভ্যাল হয়েছিল। মনে হয় মাওরি আর আইরিশ গ্যালিক, এই দুই ভাষাই ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাক্টিভিসিমের সুফল ভোগ করেছে।
এই লিঙ্কটা দেখতে পারেন।
https://www.sapiens.org/language/language-revitalization/
ইন্টারেস্টিং। অনেক ধন্যবাদ।
"মনে হয় মাওরি আর আইরিশ গ্যালিক, এই দুই ভাষাই ল্যাঙ্গু"
ভাষাটার নাম টে রেও, জাতির নাম মাওরী।
মাওরী ভাষার অ্যাকটিভিজম হয়েছে বলে জানা যায় না, তবে মাওরীদের দাবিদাওয়া এবং ওয়াইটাঙ্গি চুক্তির বলে মাওরি রীতিনীতি এবং রেওয়াজকে সর্বস্তরে নিয়ে আসার একটা উদ্যোগ নিউজিল্যান্ড এ বরাবর ছিল।
উইকি বা এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিট্যানিকার মতে ভাষাটার নাম মাওরি ভাষা (মাওরি (ম্যাকরন সহ) ল্যাঙ্গুয়েজ) বা টে রেও মাওরি, সংক্ষেপে টে রেও, বা মাওরি। লেখার ক্ষেত্রে উইকি বা এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিট্যানিকা কে মান্যতা দিয়ে থাকি।
ভাষা বিষয়ক আলোচনাগুলো দুটো ধারায় হয়ে থাকে, প্রথমটি হল বিশুদ্ধ ভাষাচর্চা আর দ্বিতীয়টি একটি ভাষাকে জাতিসত্তার অংশ হিসাবে বুঝতে চেষ্টা করা। দ্বিতীয়টি হলে ভাষার ইতিহাসটাও জানা যায়, বোঝা যায়। ১৮৪০ সালের ওয়াইটাঙ্গি চুক্তির ভাষা-বিভ্রম (ইচ্ছাকৃত??!!) নিয়ে প্রচুর অ্যাকাডেমিক কাজ হয়েছে। এই চুক্তির সাতাশ বছর পরে নেটিভ স্কুলস অ্যাক্ট বলবৎ হবে, এবং ইংরাজিকেই একপ্রকার শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে বিবেচনা করা হবে। মাওরি ভাষা বলা নিয়ে কোনো (সরকারী) বিধিনিষেধ ছিল না, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে নিজের ভাষায় কথা বলার জন্য বাচ্চাদের কপালে অনেকসময় শাস্তিও জুটতো। ১৮৪০ সালের ওয়াইটাঙ্গি চুক্তির বহু বহু বছর বাদে, অনেক আন্দোলনের ফসল হল, ১৯৮৭ সালের মাওরি ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাক্ট, যার বলে মাওরি সর্বপ্রথম সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি পায়। ভাষা পুনরুদ্ধারের কাজ এখনও চালু আছে।
১৯৮০ সালের মাওরি ভাষার সরকারী স্বীকৃতির দাবিতে প্রতিবাদ মিছিলের ছবি।
https://nzhistory.govt.nz/media/photo/maori-language-protest-march
বুঝেছি। আপনার লেখাটা পড়ে আরো স্পষ্ট হল।
আমার ঠিক করে লেখা উচিৎ ছিল, "মাওরি" ভাষায় মাওরি ভাষাকে "টে রেও" বলা হয় (অনেকটা বাংলা বাঙালীর ভাষা বলার মতন) | কথ্য, কোরেরো টে রেও। এইরকম |
আসলে মাওরীদের ক্ষেত্রে মনে হয় ব্যাপারটা শুধুই ভাষার নয়, মাওরী ভাষায় যাকে বলে "মানা" (বাংলায় "মান/মর্যাদা"), তারও একটা ব্যাপার আছে।
যাকগে।
আপনিই ঠিক |