টেলিভিশন ও অন্যান্য জনপ্রিয় বিনোদন মাধ্যমগুলোর দাপটে মাঝে মূলধারা থেকে হারিয়ে গেলেও FM প্রচার তরঙ্গের হাত ধরে এই শতাব্দীর প্রথম থেকে প্রবল পরাক্রমে ফিরে আসে রেডিও এবং তার হাত ধরে শ্রবণ মাধ্যম। প্রথমে রেডিওকে সম্বল করে এবং পরবর্তীকালে অডিও আপ্লিকেশনের হাত ধরে দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে অডিও-স্টোরি বা শ্রুতি-গল্প। ইউটিউবেও অনেকে তাদের কাজ ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আগামী দিনে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠতে চলেছে এই ধারাটি। গল্প শোনার অভিজ্ঞতা, গল্প পড়ার থেকে কিছু কম নয়। আমাদের অনেকেরই ছোটবেলায় দাদু-ঠাকুমার কাছে রাতে শুয়ে গল্প শোনার স্মৃতি অমলিন।
আমাদের এই শ্রুতি-গল্প নির্মাণের পরিকল্পনা করি লকডাউনের শুরুতেই। গুরুচণ্ডা৯-র ওয়েব ম্যাগাজিনে পড়ি শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য্যর লেখা আউশভিৎস ছোট গল্পটি। চমকে দিয়েছিলো নাতিদীর্ঘ গল্পটির অভিঘাত। তাই যখন শ্রুতি-গল্প নির্মাণের ভাবনা মাথায় চলছিল, তখন অন্য অনেক গল্পের মধ্যে এটিকে বেছে নিতে খুব একটা অসুবিধে হয়নি। এই নির্মাণের প্রায় পুরোটাই হয়েছে স্কটল্যান্ডে বসে। যদিও মূল গল্প পাঠের রেকর্ডিং হয়েছে কলকাতায়। আমাদের এটি প্রথম প্রয়াস। গল্প-পাঠটি শুনুন, সমালোচনা করুন, কীভাবে আরো ভালো করা যায় পরামর্শ দিন, ভালো লাগলে উৎসাহ দিন এবং অবশই শেয়ার করুন। ধন্যবাদ দিতে চাই লেখক শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য্যকে যিনি আউশভিৎস নিয়ে শ্রুতি-গল্প করার আমাদের এই প্রয়াসকে সানন্দে সম্মতি দিয়েছেন। গুরুচণ্ডা৯-র কাছে কৃতজ্ঞ, কেননা তাদের সহায়তা ছাড়া এতো মানুষের কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতা আমাদের ছিল না।
— স্টোরিওয়ালাস প্রোডাকশনস
শাক্যজিতের গল্পটি আগে পড়া হয়নি, তাই চমক হলো বেশ। যেমন গল্প, তেমনই এর চমৎকার পাঠ! তীর্থের কণ্ঠে জাদু আছে। অন্যান্য কণ্ঠ শিল্পীও খুব ভাল। ন্যাট সাউন্ড ইত্যাদিতে জম্পেশ আয়োজন।
ব্রেভো স্টোরিওয়ালাস!
অসাধারণ নির্মাণ। সবার উপরে কাহিনী, তার ভাষা, তার psycho handling. চমৎকার বাচন ও bongpiper -র আবহধ্বনি মিলিয়ে ঘটনা ও ঘটনাস্থলকে একেবারে চোখের সামনে আমাদের চারদিকে যেন বাস্তব করেছে। মন্দিরার কণ্ঠ্যে উপস্থাপনা matter-of-fact ভাবে হয়েও শব্দের জাদুতে আবহাওয়া তৈরী করে দিয়েছে সার্থক। শুভ্রনীল রীকা তীর্থ-র কণ্ঠ্যাভিনয় চমৎকার ভাবে গল্পটাকে বাস্তব করেছে। আর সার্বিক গঠন ও পরিচালন একেবারে উচ্চতম মানের।
suspense মেশানো আনন্দ যা পেলাম - ছোট বয়েসে ফিরে গেছিলাম।
সাবাশ।
অনেক ধন্যবাদ বিপ্লব বাবু । মূল গল্প পাঠের কৃতিত্ব সুমন সেনগুপ্তর । আমি ত্রিদিবের ভূমিকায় ছিলাম । আপনার কথায় অনুপ্রাণিত হলাম ।
সুব্রত দাশগুপ্ত ও সুস্মিতা দাশগুপ্ত - অনেক ধন্যবাদ । আপনাদের ভাল লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম । আগামী কাজের অনুপ্রেরনা ও ।