এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • ব্যান্ডপার্টি, নাইটরাইডার এবং গৌরী ধর্মপাল

    ত্রিদিব সেনগুপ্ত
    আলোচনা | বিবিধ | ২৫ জানুয়ারি ২০০৯ | ১৩২৪ বার পঠিত
  • গতকাল দুপুরে আমার বৌয়ের সঙ্গে পাড়ায় একটি ব্যান্ডপার্টির খুব অশান্তি হয়, রাতে মানু সেটা আমায় বলল। বিয়ের ব্যান্ডপার্টি। আমাদের পাড়ায় খুব আসে। আমাদের এলাকায় ভূমিসংস্কারের প্রবল সাফল্যে পুকুর প্রায় লুপ্ত প্রজাতি, সবই এখন প্রোমো-তাড়িত বহুতল। আমাদের বাড়ির গায়েই একটা পুকুর এখনো অবশিষ্ট, বিয়ের মরশুমে প্রায়ই নানা বিয়েবাড়ি থেকে এখানে জল নিতে আসে। একসময় যেগুলো ছিল আচার, কিছু বৌ উপচার হাতে আসতেন, শঙ্খ নিয়ে, উলু দিয়ে, এখন তার সঙ্গে আসে ব্যান্ডপার্টি, এবং টুইস্ট নাচ। এই নাচের সঙ্গে এলভিসের কোনও সম্পর্ক নেই, হিন্দি সিনেমার নাচ দেখে, এবং নাইটক্লাবের নাচ টিভিতে দেখে নাচ-না-জানা লোক যখন পৃথুল দেহ কামোদ্দীপক রকমে আন্দোলিত করতে চায়, কিন্তু হয়ে দাঁড়ায় বিকটতা, তাকে বলে টুইস্ট, এতদিন মূলত বিসর্জনে নাচা হত, ধীরে বিয়েতে ও অন্নপ্রাশনে, এরপরে বোধহয় শবযাত্রাতেও হবে। কিছুদিন থেকে আবার ব্যান্ডপার্টির সঙ্গে একটি করে রিক্সাও থাকে, তাতে বসানো থাকে মাইক। এবং ব্যান্ডপার্টি বাজাতে থাকে গত কিছুদিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাজা হিন্দি গান, যা সর্বত্র, এমনকি বাড়ির ডোরবেলে, ফোনের রিংটোনে অব্দি বাজানো এবং লোককে শোনানো চলছেই।

    এই লোককে শোনানো অংশটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কবে যেন আমাদের চারপাশে একটু একটু করে এটা বেড়ে উঠতে উঠতে একটা অশ্লীল জায়গায় চলে গেছে। ট্রেনের গাদাগাদি ভিড়ে ভয়ানক জোরে ফোন বেজে উঠবে, তারপরে আসবে চীৎকৃত কথোপকথন, এবং ঠিক তার পাশের মানুষ হওয়ার কল্যাণে মাত্র সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি দূরে দাঁড়িয়ে শুনে যেতে হবে। এরপর আছে চৈনিক সেলফোনগুলোর কল্যাণে সস্তায় পুষ্টিকর মনোরঞ্জন, খ্যাঁশখ্যাঁশে আওয়াজে ঐ গানগুলো দুতিন বন্ধুর মধ্যে বা এমনকি নিজেই, জোরে জোরে, মানে জনসমক্ষে বাজানো। এবং আবার সেই একই গান। এরপর আছে ফাংশন, এক এক পাড়ার এক একটা ক্লাব। কুকুরে যেমন নিজের এলাকার গাছের গোড়ায় মূত্রত্যাগ করে এলাকা চিহ্নিত করত, এখন গাছ আর কোথায়, এই ক্লাবগুলি ফাংশনরবে এলাকা চিহ্নিত করে। যতদূর আওয়াজ যাচ্ছে ততদূর আমার এলাকা, ভোটের দিন ততদূর অব্দি আমার শাসন। তাই এই গোটা শীতকাল জুড়ে প্রবল ফাংশন চলে। আমার ব্লগে আগে একটা আলোচনাও আছে, সেই ফাংশনের দাপট নিয়ে, বাঘা যেমন ধ্রুপদ শুনে ঘাবড়ানো মুখে গুপিকে বলেছিল, কী দাপট। আর পুলিশ ফুলিশ আমাদের এলাকায় একটা নিতান্তই কুসংস্কার, রীতিমত একটা অলৌকিক উপস্থিতি, পরিস্থিতি আক্ষরিকভাবেই অর্থবহ হওয়ার আগে অব্দি তারা কখনো রূপপরিগ্রহ করেনা। ঠিক এই ডিসেম্বর এবং জানুয়ারিতে এই দাপট অনেকটাই লুপ্তপ্রায়, কারণ শুনলাম পুলিশের এই অলৌকিককতায় বিরক্ত পলিউশন ক®¾ট্রালবোর্ড নাকি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করেছে। নিয়ন্ত্রণ মানে কিন্তু রাতটুকু। আগে যেমন ডিসেম্বর জানুয়ারিতে অর্ধেক কি তারও বেশি রাত যেত আমাদের পান খেয়ে আর গান শুনে, এবার রাত বারোটার পরে গেছে মাত্র দিনকয়েক আর সারারাত মাত্র একটিই। ফাংশন মানে আর কিছু না, আবার সেই মাইক এবং আবার সেই একই গান, এবং বীভৎসতর ঐ ড্রামবিট।

    এবং আরো বীভৎস এই যে বেশিরভাগ মানুষের এটা বীভৎস লাগে না। গতকাল দুপুরে মেয়েকে কোলে নিয়ে ও যখন গিয়ে নিষেধ করে, দুপুরবেলা, এখন বৃদ্ধরা ঘুমোচ্ছে, বাচ্চারা, পাড়ার ভিতর, মাইক বাজাচ্ছেন কেন, তারা বন্ধ তো করেই নি, উপরন্তু নানা বিদ্রূপ করেছে। এবং গোটা পাড়ার মানুষ কেউ আপত্তিও করেনি। ট্রেনে যখন সারাদিনের কাজের পর ক্লান্ত শরীরে ফেরত আসার সময়, মাঝে মাঝে আপত্তি করেছি, সেলফোনে গান বাজানোর বিচিত্রানুষ্ঠানে, কেউ আপত্তি শোনেনি, বরং অসভ্যতা করে বলেছে, কী করব বলুন হেডফোন কেনার পয়সা নেই, অন্য সমস্ত মানুষ চুপ করে থেকেছে। তারা কেউ কেউ আমাকে চেনেনও, মাস্টারমশাই বলেই চেনেন, চুপ করে যান স্যার, ও বলে কোনও লাভ নেই।

    কাল রাতে, মেয়ে রু ঘুমিয়ে পড়ার পর, আমরা দুজনে এটা নিয়েই কথা বলছিলাম, কেমন নি:সঙ্গ একা আর বিষণ্ন লাগছিল। ওরও আমারও। নিজেকেও বোঝাচ্ছিলাম, ওকেও, ধুর, ও বলে কোনও লাভ নেই, চুপ করে থাকাই শ্রেয়। এবং বোধহয় আমার বাল্য কৈশোর এবং যৌবন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে কেটেছে বলেই এই চুপ করে থাকার পন্থাটা কেমন দমবন্ধকর লাগে। দুজনেরই লাগছিল। আমি আবার ওকে মনে করালাম, ও আবার তো ঐ নাইটরাইডার আসছে।

    কী সেটা।

    আমি বললাম, ঐ যে ক্রিকেট। মাঝরাত্তিরে বোম ফাটাবে।

    ও। ও বলল। মনে পড়ে গেল ওর। আমাদের বাড়িতে বৃদ্ধ আর বাচ্চা দুইই আছে। তাদের কেঁপে কেঁপে ওঠা, মাঝরাত্তিরের বোমের আওয়াজে।

    গানের সঙ্গে সঙ্গে এই বোম। বিয়েতে পুজোয় খেলায় সব কিছুতে। খেলা দেখে আনন্দ পেলাম, চমৎকার কথা, তাতে অন্যকে মাঝরাত্তিরে ঘুম থেকে জাগিয়ে বোম ফাটানো কেন, বুঝতে পারিনা। গতবারে আইসিএলে নাইটরাইডার হারা মাত্র একটা উল্লাস হয়েছিল আমার, যাক বোমের অত্যাচার এবার কমবে। সত্যিই কমেছিল, অনেকটাই। তারই সঙ্গে কমেছিল মাঝরাত্তিরে গাবদা গাবদা চেহারার হাফপ্যান্ট পরা লোকের, যারা খেলেনা, শুধু মদ আর চিপস খায়, আর তাদের গাবদাতর বাচ্চারা, যারা খায় কোল্ডড্রিংক্স আর চিপস, এবং সারাদিন লেদিয়ে পড়ে থাকে টিভির সামনে, তাদের ঐ বোম ফাটানো, চীৎকার আর নাচানাচি। মনে পড়ছিল, মনটা কেমন শূন্য শূন্য হয়ে যাচ্ছিল। কেন আমারই লাগে, আর কারুর কেন বীভৎস লাগে না, আমিই কি অস্বাভাবিক? এরা আবার যখন নাচে না, তখন জোরে জোরে টিভি চালায়, গান বাজায় সাউন্ডসিস্টেমে। আর ইলেকট্রনিক্সের মত কোন জিনিসই বা সস্তা হয়েছে? খেলা নেই, টিভিতে খেলা দেখা আছে। খেলা গান নাচ সবই টিভি প্রোগ্রাম, লোকগুলো আর তাদের বাচ্চাগুলো শুধু টিভি দেখে আর খায় আর অন্য মানুষকে বিরক্ত করে, অসভ্যতা করে। গোটা সংস্কৃতিটাই হল বোকা অসভ্য প্রতিলিপির। সবকিছুই কপির কপির কপি। বদ্রিলার যেমন লিখেছিল, ট্রান্সপারেন্সি অফ ইভিলে। রাইগর মবিলিস। লোকগুলো টিভি দেখে চলেছে, চিপস খেয়ে চলেছে, ভুঁড়ি বাড়িয়ে চলেছে। কিন্তু আসলে মরে গেছে, সংস্কৃতি বলেই আর কিছু নেই। সবই কপির কপির কপি। গান শোনাও তাই, জীবনচর্যাও তাই, যৌনতাও তাই, যৌনতা মানেই কিছু অঙ্গভঙ্গী যাকে ইতিমধ্যেই মিডিয়া আমায় যৌনতা বলে চিনিয়ে দিয়েছে। শুধু পুকুর বুজিয়ে বাড়ি কেন, গোটা জীবনটাই এদের প্রোমোতাড়িত। কত কোল্ডড্রিংক্স কত চিপস প্রোমোটেড হবে এই আইসিএল আর নাইটরাইডারের কল্যাণে, খেলা বা শরীর বা জীবন কিছু হোক আর না-হোক।

    রাত বাড়ছিল। মানু ক্রমে ওপাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়ল। আমি টেবিলল্যাম্প জ্বালিয়ে গত কদিন ধরে রাতে যেটা পড়ছি, টিপিং পয়েন্ট আর ধূর্জটিপ্রসাদ রচনাবলীর একটা খন্ড, মাথার কাছে ছিল, নামিয়ে নিলাম, পড়তে পারলাম না। বেশ কয়েকবার পড়ে গেলাম একই বাক্য, কোনও মানে বুঝছি না। বিছানা থেকে উঠলাম, কম্পিউটারের টেবিলে বসে একটা সিগারেট খেলাম। রু-এর কথা মনে হচ্ছিল, ওকে নিয়ে একটা দুশ্চিন্তাও হয় আমার, বুড়ো বয়সের বাচ্চা, ও সঠিক অর্থে কৈশোর পেতে পেতেই আমার অবসরের দিন চলে আসবে। আর চারপাশে মানুষকে বিরক্ত করার, উত্যক্ত করার এই ব্যান্ডপার্টি আর নাইটরাইডারের সংস্কৃতি। কী মানুষ হবে এতে?

    ওর বইগুলো চোখে পড়ল, ছড়ানো রয়েছে, রাতে শুতে যাওয়ার আগেই মানু ওকে পড়ে শোনাচ্ছিল। একটা বই তুললাম, আশ্চর্য কৌটো, লেখক গৌরী ধর্মপাল। মানু এগুলো কিনে এনেছে শিশু সাহিত্য সংসদ থেকে, রু-এর জন্যে।

    একটু বাদে, ধীরে, মনটা ক্রমে কৃতজ্ঞতায় ভরে গেল। কী আশ্চর্য বই এই "আশ্চর্য কৌটো'। কী অদ্ভুত গদ্য, কী আবেগপ্রবণ। আর কী যত্ন করে ছাপা। নিজের মধ্যেই বেশ একটা আরাম এল। সংস্কৃতি তো এটাও। গৌরী ধর্মপাল কে আমি জানিনা, খুব বেশি নামও শুনিনি। ওঁর একটা বই আগেও পড়ছিলাম, সেটাও চমৎকার, ইংলে পিংলে। ও আরও একটা অনবদ্য বই পড়েছিলাম ওনার, বাচ্চাদের জন্য উপনিষদের গল্প। কিন্তু কোনও বইয়েই ওনার বিষয়ে কিছু ছিল না। মানু আর রু পাশে ঘুমিয়ে আছে। ওদের দুজনেরই মাথায় একটু একটু হাত বোলালাম। বেশ লাগছিল। জীবনের সবটাই ঐ ব্যান্ডপার্টি আর নাইটরাইডার নয়, এগুলোও তো আছে। গৌরী ধর্মপালের মত লোকেরাও আছে। তাদের এই অসাধারণ রকমের যুদ্ধটাও আছে, ভালো বই লিখে সাংস্কৃতিক ভাবে টিঁকে থাকার যুদ্ধ, এই শুয়োরের মত করে বেঁচে থাকার বিরুদ্ধে।

    জানুয়ারী ২৫, ২০০৯
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৫ জানুয়ারি ২০০৯ | ১৩২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন