বৌদ্ধ পূর্ণিমা আসবে বলে যে বিকালটি অপেক্ষা করছে শহুরে খাপছাড়া ছাদগুলোতে, তারই একটা ছাদে ঘুড়ির দিকে তাকিয়ে বসে আছি আমি। ছাদ তারপরেই আকাশ ব্যাপারটা আমার খুব পছন্দের। মাঝে আর কেউ নেই। কিন্তু দূরত্বটা, এই প্রশ্নটা সহজেই খারিজ করে দিতে পারি। কারণ কয়েক মিলি ইঞ্চি মানে নিঃশ্বাসের কাটাকাটিতেও আমাদের মধ্যে আলোকবর্ষ দূরত্ব ছিল। এই হিসেবে আকাশের দূরত্বটা নেহাত কম। বৈশাখের স্বচ্ছ আকাশে রঙেবেরঙের ঘুড়ির দিকে তাকিয়ে থাকতে মন্দ লাগছে না। এই লকডাউনে রঙবেরঙের ঘুড়ি, কাটাকুটি, বাচ্চাদের কাঙ্ক্ষিত শৈশবের আটকে পড়া কৃত্রিম আনন্দ দেখতে দেখতে বিকালটা ভালোই কেটে যায়।
আজকে আকাশটাকে শান্ত মনে হচ্ছে। বৃষ্টির পরের আকাশ। পাশের ছাদ থেকে দুইটি আর দূরের জাপান গার্ডেন সিটির আকাশে দুই-একটা ঘুড়ি ছাড়া আর কোনো ঘুড়ি নেই আমার সীমাবদ্ধ চোখে। পাশের বিল্ডিংয়ের হলদে-সবুজ ঘুড়িটাকে বনফুলের মতো লাগছে আকাশে। বিস্তীর্ণ নীলের কোলাহলের ভিতর ছোট্ট বনফুল, তার ছোট্ট পাপড়ি। মনে হচ্ছে কচি পাপড়িটাতে আমি বসে আছি। ঝরে পড়ব? নাকি ঝাঁপ দিব? যদি মেঘ এসে তুলে নিয়ে যায়? অথবা ছোট্ট বাদুড়? বাদুড় নিবে না। কেননা তাদের এত ব্যস্ততা। যেন থামতেই শেয়ার বাজারে ধস নামে! তাদের আটকানোর শোকেই যেন কিশোরী আকাশ সময়ে-অসময়ে কাঁদে৷
মাগরিবের আজান সূর্য ডুবার রং বাতাসে মিশে ঘুড়ির সুতোতে কেটে কেটে কানে আসছে। ঢাকা শহরে এভাবে কোনোদিন আজান শোনা হয়নি। চারদিক থেকে বিভিন্ন কণ্ঠের কর্কষ, মায়াবী, সুরেলা কণ্ঠ ভেসে আসছে। এত-শত আজান ঘুড়ির সুতোতে কেটে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্তবক আকারে এলোমেলো ভাবে কানে বাজতে লাগল। ছন্দের মূর্ছনা অথবা ভাঙচুর। পশ্চিমের আকাশ আজানের গভীরতার সাথে সাথে হাসেন-হুসেনের রক্ততে কালিমাহীন ভয় ছড়িয়ে দিচ্ছে। স্বচ্ছ কালচে মেঘে হলদে নৈসর্গিক আভা।
শিল্পীর দীর্ঘ অপেক্ষার একটা ছবির মধ্যে দিয়ে পশ্চিম আকাশ থেকে অনেকগুলো কাক আমার মাথা, বুক, উরুর ফাঁকে, কিডনির পাশ ঘেঁষে ছিদ্র করে বেরিয়ে যাচ্ছে পুবদিকে। আবার পুবদিক থেকে আসা একঝাঁক বক, চোখের মধ্য দিয়ে উড়ে গেল। যেন চোখের পাতা পড়লেই কয়েকটা বক মুখ থুবড়ে পড়বে। কয়েকটা হৃদয়ে আটকা পড়ে হুলুস্থুল শুরু করে দিল৷ একটা বকের দীর্ঘ সরু ঠোঁট মগজে আটকে গিয়েছে, ছোটার জন্য পা দিয়ে মগজে ধাক্কা দিচ্ছে নিউটনের থার্ড ল-এর চিন্তা করে। এসবের মাঝে আদাবরের দিকে থেকে একঝাঁক স্বপ্নের টিয়া মনে আনন্দের জোয়ার তুলে বসিলার দিকে উড়ে গেল। বিশ্বাস হচ্ছে না এটা ঢাকার আকাশ?
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। নামতে যাব এমন সময় চাঁদটাকে দেখে থমকে দাঁড়াই। এত উজ্জ্বল! ওইদিন শহরের আগন্তুকের মতো রংধনুর স্ফুরণ যেমন মাথাটা তুলে নিয়ে বসন্তের রঙের ভিতর মিশিয়ে দিয়েছিল, আজকের এই সুন্দর, আলোকিত, স্পষ্ট, বুড়ির চরকার গল্পের চাঁদের সাথে এক টুকরো মেঘ দেখে উৎফুল্লের পাশাপাশি ঢাকা শহরের জন্য মায়া হতে লাগল। এসব তো আর কয়দিন পর থাকবে না। এই বিষাদ নিতে পারবে শহুরে আকাশ? কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলাম। কয়েকটা বাদুড় মর্গের ড্রয়ারে রাখা লাশের বরফধোঁয়ার মতো অ্যাম্বিয়েন্সের নরম কালো আকাশ থেকে বেরিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। চাপা একটা ভয় ক্রমে গ্রাস করছে আমাকে।
চাঁদটাকে বার বার পরাজিত করে বাদুড় দুইটা এগিয়ে আসছে। মাথার ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় পাশ থেকে দারোয়ানের ছোটো ছেলেটা ‘করোনা! করোনা!’ চিৎকারের সাথে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে ঢিল ছুড়ছে বাদুড়গুলোর দিকে। এ কোন্ শহর? যার আকাশে কোনোদিন তারা দেখিনি তার এসব ন্যাকা আচরণে গগনচুম্বী আশা-আকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি করছে। বোকা পাখিগুলো ইটপাথরের মধ্যে খাবারের খোঁজে আসে। ঢালাও ভাবে বোকা বলাটাও দোষের। শহরে তো আজকাল ছাদকৃষি হয়। হয়তো হরির সংসারের মতো অবস্থা বাগানগুলোর।
উঠতে ইচ্ছা করছে না৷ লকডাউনে বাড়িতে যেতে খুব মন চায়। কবে যে স্বাভাবিক হবে দেশ! পশ্চিম পাশের বিল্ডিং-এ কয়েকটা পাখি লাইন ধরে বসে চেনা একটা সুরে নিজেদের মধ্যে কথা বলছে৷ সুর এত পরিচিত যে বুক ভারী হয়ে আসতে লাগল। এগুলো চড়ুই হতে পারে না। শহরে মধ্যে খড় পাবে কই যে বাসা বানাবে। ভুলভাল লজিকে নিজেকে বুঝাতে চাচ্ছি এগুলো চড়ুই না৷ চড়ুই মানে আমার শৈশব, কৈশোরের অর্ধেকটা। মাহমুদুল হকের কয়েকটা লাইন মাথায় পিয়ানোর শুরু দিকের মতো থেমে থেমে বাজচ্ছে। “আসলে আমরা সবসময় ছোটো হতে চাই, শৈশবে ফিরতে চাই।” “মনখারাপ বিষয়টা সুন্দর, এটা না থাকলে হয়তো পৃথিবীতে বাঁচার স্বাদ পেতাম না।”
আম্মার চেহারা হুট করে সামনে চলে এসেছে। আর কিছু দেখতে পারছি না। ইফতারে আম্মার নাকি হাঁসফাঁস লাগে আমার শূন্যতায়। কবে বাড়ি যাব এটা তার কমন প্রশ্ন। এর উত্তর আমি জানি না, নেই আমার কাছে। জোর গলায় কতক্ষণ উলটাপালটা বুঝিয়ে থামিয়ে রাখা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আজকে দুপুরে ফোন দিয়ে বলে উঠানে জাম্বুরা গাছ মনে করে যে গাছটা অযত্নে বড়ো হতে দিয়েছিল সেটা নাকি আসলে মাল্টা গাছ। আমার সময়ের স্বপ্নগুলো চোখে ভাসতে লাগল। আমিও মায়ের উঠানে জাম্বুরা গাছে মাল্টা হয়ে ধরতে চেয়েছি বার বার। মা যেন খুশিতে সবাইকে বলতে পারে, “আমি কী ভাগ্যবান দেখছেন জলিল ভাই, জাম্বুরা গাছ মনে করে সারাবছর যত্নআত্তি না করে এখন দেখি মাল্টা ধরে।” আম্মা মাল্টা মনের আনন্দে ভাগাভাগি করে। একটা বোনরে, একটা চাচার ঘরে আর দুইটা আমার জন্য ফ্রিজে রেখে দিবে।
আজকে কেন জানি বারান্দার চড়ুই পাখিগুলোর কথা মনে পড়ছে। বিকালের সব পাখি দেখে হয়তো। বাড়িতে থাকার সময় তাদের নিয়ে এত মাথাব্যথা ছিল না। বরং বিরক্ত ছিলাম৷ সারাদিন কিচিরমিচির, বিষ্ঠা দিয়ে বারান্দা নোংরা করা, এসবের জন্য বাড়ির সবাই বিরক্ত ছিল। চড়ুইরা ঝাঁকে ঝাঁকে থাকে৷ বিষণ্ণ একদল পাখি। আত্মকেন্দ্রিকও বলা যায়। আপনগণ্ডিতে বন্দি। জীবনানন্দ দাশের “গাছের গায়ে গাছের ডাল ছুঁড়ে দিলে গাছ ব্যথা পায় না”—এই লাইনটাকে তিনি ব্যাখা করেছিলেন “শরীরে নিজের হাত লাগলে যেমন ব্যথা করে না, তেমনি গাছে ডাল ছুড়ে মারলেও গাছ ব্যথা পায় না।” ঠিক এরকম তাদের কিচিরমিচির শব্দ বিশেষভাবে কানে আসত না। স্বাভাবিক ব্যাপার। সকালে খাওয়াদাওয়ার পর গ্রামে বিষণ্ণ একটা সময় নেমে আসে। ছুটির দিনে এই সময়টাতে রোদও বাতাসের শব্দহীনতাকে এক করে তাদের ঝগড়া বিবাদ, মনোমালিন্যে অথবা পরিবারিক আলাপে ব্যস্ত রাখে।
বয়ঃসন্ধির সকালে যখন মাথা ভরতি ভ্যাপসা গন্ধ নিয়ে ম্যামের খোলা পিঠ থেকে অন্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণে এসে থামত তখন তারা ডেকে উঠত। হয়তো পুরুষ চড়ুইটা। সঙ্গমহীনতার বিষাদে৷ ঘরবন্দি ভালোবাসা ছুঁয়ে দেখতে চাইত। পুরুষত্বকে বলিয়ান করতে চাইত। হিমালয়ে শীর্ষে তার পুরুষত্বকে রাখতে চাইত। যেখানে তার কামনার সবকটা রং ছুঁয়া যাবে। রঙধনুতে হেঁটে যাবে সংস্কারে আটকে পড়া সঙ্গিনীর নিঃশ্বাস পুঁজি করে। পরস্পরের রঙের আদানপ্রদান হবে তারাদের মাজারে। খসে পড়া তারা বয়সি মফস্বলে স্পর্শ এঁকে যাবে কামনার উৎকৃষ্ট সময়ে। যে সময় এখনও বার বার ফিরে আসে। ফিরে যায় কাঙ্ক্ষিত শৈশবের আটকে থাকা ভূগোলে। রাত নেমে আসে, বাড়ি ফিরে একটি নিঃসঙ্গ চড়ুই।
অনেক সময় প্রকৃতিতে বিশেষ করে বৈশাখ মাসে রোজা, তীব্র গরম, ধানকাটা ও ইদ একসাথে আসে। সেবারও এমন একটি বৈশাখ মাস ছিল। ইদে বাড়ি পরিষ্কার করার নামে কত বস্তু অবস্তু যে উদ্বাস্তু হয়ে গেল তার হিসাব ময়লার ডাস্টবিন ছাড়া আর কেউ জানে না৷ চড়ুইদের খড়ের বাসা থেকে একটা একটা খড় বাবার সংসারের মতোই ক্ষণে ক্ষণে পড়ে যেত। বাতাসে, পচে গিয়ে বারান্দা ময়লা করে ফেলত এই শস্যহীন খড়গুলো। এসবের জন্য এবার ইদে তারাও টার্গেট হল। বাচ্চা থাকার আশঙ্কায় আম্মা তানজিমকে দিয়ে চড়ুইদের ডিম এবং পিচ্চি বাচ্চা তাদের গোছানো সংসার থেকে কেড়ে এনেছিল। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হল এই নিয়ে চুড়ইদের মধ্যে কোনো আতঙ্ক, উৎকণ্ঠা ছিল না। হাজার হাজার বছর ধরে মানুষদের সামাজিক ডিসকোর্সে বসবাস করার জন্য হয়তো এমনটা তারা মেনে নিয়েছে, স্বাভাবিকতা। তা হবারই ছিল এমন একটা ভাব নিয়ে উঠানের ধানে ছায়া ফেলে রোজ আহার করে। শোকের কোনো পরিচিত প্রতীক তাদের মাঝে দেখা যেত না। বরং মনে হত পারিবারিক পরিকল্পনা তখন শক্তপোক্ত ভাবে করত। কয়েকটা ডিম আর বাচ্চা আম্মার কথা চিন্তা করেই যেন নেওয়া হত। মানুষ আর চড়ুইদের যে আদিমতার সংবিধান তাতে যেন এটাই মানায়। সংশোধন অর্থে বোকা প্রেমিক।
বাসাগুলোকে যখন এক এক করে ভাঙছিল আমার এতটুকু কষ্টও লাগেনি। আনন্দ হয়েছে এই কথা ভেবে যে চড়ুই-এর মাংসে শক্তি বেশি। এই শক্তিটুকু তাদের চিৎকার-চেঁচামেচির কাছে একসময় হার মানে, কষ্ট লাগতে শুরু করে, বারান্দায় রেলিঙে সারি বেঁধে বসে থাকে নিগৃহীত চড়ুইরা, চুপচাপ দেখছে কর্মকাণ্ড, যেন অবৈধ দখলদারি ভাঙছে সরকার। একটি বাসা হাতে নিয়ে তাদের বাড়িঘরের খবর নিলাম। একগুচ্ছ খড়কে নৌকার মতো করে সাজিয়ে মাঝখানটায় স্বামী-স্ত্রীর ছোটো সংসার। একক পরিবার। অথবা সদ্য বিবাহিত। পালকের ছড়াছড়ি দেখে মনে হচ্ছে গতকাল রাতেই তাদের সোহাগরাত হয়েছে।
দুপুরের খাওয়ার সময় চড়ুই-এর ভুনা আম্মা আমার আর আব্বার প্লেটে ভাগ করে দিল৷ খেতে খেতে মনে হাজারো প্রশ্ন এলোপাতাড়ি বেরিয়ে আসতে চাইল। হুট করে আব্বারে জিগ্যেস করলাম:
—তারা এখন কোথায় থাকবে? আমরা যে তাদের খাচ্ছি গুনাহ হচ্ছে না?
মুখে মৃদু হাসি রেখে আব্বা উত্তর দিল
—একটু পরই দেখবি আবার নতুন বাসা বানিয়ে ফেলবে। একটু থেমে, পেঁয়াজটা ভালোভাবে মেখে খাও।
কিশোর মন তখন তার ছোটো একটা সমাধান করে ফেলল। আমরা যেমন কয়েকদিন আগে টিনের ঘর ভেঙে পাকা দালান ঘর করেছি৷ নতুন ঘর। পুরাতনকে ভুলে নতুনত্ব। তখন আরও ভালো লেগেছিল। টিনের চারচালা ঘরের কথা তখন একবারও মনে পড়েনি।
হুট করে ফ্যানে কিছু একটা ধাক্কা খাওয়ার আওয়াজের সাথে সাথে ঝোলের বাটিটার কাছে একটা মাথাবিহীন চড়ুই পড়ে থাকতে দেখি, কয়েক ফোঁটা রক্ত আমাদের দুজনের প্লেটে সমানভাগে ভাগ হয়ে পড়েছে।
রক্তের ফোঁটা থেকে লক্ষ লক্ষ চড়ুই থেমে থেমে চিৎকার করে উড়ে যাচ্ছে।
খুব সুন্দর লেখনী। গল্পের শুরুতে সন্ধ্যার এতো সুন্দর বর্ণনায় মনে হচ্ছে যেন নিজে সেখানে উপস্থিত। চড়ুইয়ের সংসারের উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে মানবজীবনের প্রতিফলন খুবই সুন্দর হয়েছে। শেষ অংশে চড়ুইয়ের মৃত্যু বড়ই বেদনাদায়ক ছিল।
আমার ছোটবেলার বন্ধু পাখি ছিল ঘুলঘুলি র দুটি চড়ুই!
ভীষণ মন কেমন করে উঠলো আপনার লেখায়..!
এই গল্পে বর্ণিত সাতের দশকের মায়াবী ঢাকার শহরের খানিকটা যেন চোখের দেখতে পাই।
তখন আদাবর থেকে সত্যি সত্যি টিয়া পাখির ঝাঁক টি টি শব্দে উড়ে যেত বছিলার দিকে। সাত গম্বুজ নদী ঘেঁষে বয়ে যেত স্বচ্ছ বুড়িগঙ্গার উপ নদী। আরও পরে ইস্কুল পালিয়ে খেয়া পাড়ি দিয়ে বছিলার চরে অপুর মতো মুগ্ধতায় কেটেছে কতো অলস দুপুর, উদাসী বিকাল!
সবই এখন কংক্রিটে চাপা পড়া ধুসর অতীত।
লেখার বয়ান খুবই সুন্দর, প্রায় সিনেমাটিক । শেষাংশে বুকটা খুব মুচড়ে ওঠে। আরও লিখুন
*সাত গম্বুজ মসজিদ হবে
হেমায়েত উল্লাহ ইমন লকডাউন ও একটি চড়ুই পড়ে খুব ভালো লাগল। শুরুটা হয়েছে চমৎকার, সন্ধ্যার বিবরণ মনোমুগ্ধকর। নিজ শহরের গল্প পড়ার মজাই আলাদা।