বিশ্বাস করুন, দস্তয়েভস্কির “ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট”-এর নায়ক রাস্কলনিকভের মতো আমার কোন “ব্রেন ফিভার” হয়নি। রাস্কলনিকভের মতো আমার নিজেকে জ্বরগ্রস্ত রোগীও আদৌ মনে হচ্ছেনা যে করোনার মতো প্রাদুর্ভাব বা “প্লেগ” পূবের দেশ থেকে এসেছে (“He dreamed that the whole world was condemned to a terrible new strange plague that had come to Europe from the depths of Asia.”) এ জাতীয় কিছু আমার চিন্তায় আসবে। কিন্তু আমি নিশ্চিত আজ কোন এক দুর্যোগ ঘটেছে আমার অস্তিত্বে। নাহলে ব্রেন ফিভারের মতো আমারও স্মৃতির ছায়াপথে আজ আবার আবছা করে কেন মনে পড়বে যে ১৯৮০-র দশকের শেষ দিকে আরেক ডাক্তার রাও (শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ ভাস্কর রাও) তাঁর চেম্বারে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন – নির্যাতিত মানুষের জন্য কথা বলার অপরাধে? সেদিন কিন্তু আমার কিচ্ছুটি মনে হয়নি। আরও অনেকের মতো বরঞ্চ মনে হয়েছিল – এমনটাতো হতেই পারে! এগুলোর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। অহেতুক ঝামেলা, অহেতুক আপদ।
কিন্তু আজ সকাল থেকে আবার অদ্ভুত এক ঘোর ঘোর লাগছে। ডঃ সুধাকর রাও বলে কোন ডাক্তারকে আমি চিনিনা। কিন্তু তাঁর ঘটনায় মনে হচ্ছে জার্মান লুথেরান পাদ্রী মার্টিন নিমোলার (Martin Niemoller) আমাকে আজ ভর করেছেন। নাৎসী জার্মানিতে ৭ বছর কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে কাটিয়েছিলেন হিটলারের নারকীয় মানবতা-বিরোধী কার্যকলাপের বিরোধিতা করবার জন্য। কিন্তু আমিতো কারও কোন বিরোধিতা কখনো করিনি। বরঞ্চ আমার সবসময়েই মনে হয়েছে আমার জীবনের বীজমন্ত্র – “আমরা তো অল্পে খুশি; কি হবে দুঃখ করে / আমাদের দিন চলে যায় সাধারণ ভাতকাপড়ে।”
বিশ্বাস করুন, কেবলমাত্র নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য, নিজের সর্বোত্তম অবস্থা সুনিশ্চিত রাখতে আমার এক জোরদার হাতিয়ার আছে – সবকিছুকে মানিয়ে নেবার, সবার সাথে গা ঘষে চলার, দেঁতো হাসি হেসে উপঢৌকন দেবার হিসেব আমার বিলক্ষণ জানা আছে। সেভাবেই চলি। কিন্তু কি যে হল। ঐ জার্মান পাদ্রী নিমোলারের কথাগুলো বড়ো কানে বাজছে। আমার এতদিনের স্বাভাবিক অভ্যেসে চিড় ধরলো নাকি? আমি গভীরভাবে শঙ্কিত বোধ করছি আমার সত্তায় যদি ভেজাল কিছু ঢুকে যায়!
নিমোলার কেন যে বলতে গেলেন –
First they came for the socialists, and I did not speak out—because I was not a socialist.
Then they came for the trade unionists, and I did not speak out— because I was not a trade unionist.
Then they came for the Jews, and I did not speak out—because I was not a Jew.
Then they came for me—and there was no one left to speak for me.
(ওরা প্রথমে এলো সোশ্যালিস্টদের জন্য, আমি একটি কথাও বলিনি – কারণ আমি সোশ্যালিস্ট নই।
এরপরে ওরা এলো ট্রেড ইউনিয়নের কর্মীদের জন্য, এবং আমি কিছু বলিনি – কারণ আমি ট্রেড ইউনিয়নের কর্মী নই।
এরপরে ওরা এলো ইহুদিদের জন্য, এবং আমি কিছুই বলিনি – কারণ আমিতো ইহুদি নই।
এরপরে ওরা এলো আমার জন্য – আর তখন আমার হয়ে কথা বলার জন্য কেউ পড়ে নেই।)
বেশ কদিন আগে ঘটেছে সুধাকর রাওয়ের ঘটনা। বিশাখাপত্তনমের সিনিয়র অ্যানেস্থেটিস্ট ডঃ সুধাকর রাওকে পুলিশ প্রকাশ্যে বড়ো রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে মারে, প্রকাশ্যে লাথি দেয়, পিছমোড়া করে হ্যান্ড কাফ পড়িয়ে দেয়। তখন আমি গা করিনি। মার্টিন নিমোলারের মতোই আমাকে তেমন আঘাত করেনি। কিন্তু ক’দিন গড়ানোর পরে আমার ভেতরে কেমন একটা হতে লাগলো – আমাদের অনেকেরই যেমন হয়। এরপরে হাই কোর্টের হস্তক্ষেপে আক্রান্ত ও অভিযুক্ত চিকিৎসকের সাময়িক স্বস্তি মিললো। এরকম সময়েই বিবিসি একটি খবর করলো – Doctor who raised concerns over PPE shortage admitted to mental hospital.
কি রকম একটা উন্মাদের, ঘোরতর পাগলের মতো বিষয় মনে হচ্ছেনা? ডাক্তারির শিক্ষাক্রমে যেন শোনা যাচ্ছে – “শিক্ষা নাও শিক্ষা এই উন্মাদের পাঠক্রম / খুলে দিলাম আজ থেকে ছাত্রদের সংখ্যা কম”।
মনে হচ্ছেনা আমরা ১৮-১৯শ শতাব্দীর আধুনিক রাষ্ট্র গড়ে ওঠার দিনগুলিতে পশ্চাৎ যাত্রা করছি? ব্যাপারটা তাহলে দাঁড়াল – একজন চিকিৎসক (ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার সরঞ্জামের দাবী জানানোর আগে পর্যন্ত স্বাভাবিক), করোনার বিরুদ্ধে যারা সবচেয়ে অগ্রণী সৈনিকদের প্রথম সারিতে আছে্ন, দাবী করলেন উপযুক্ত ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার সরঞ্জাম বা PPE (Personal Protective Equipment) দিতে হবে। এ দাবীর মধ্যে কোন অসঙ্গতি বা অস্বাভাবিকতা নেই আপাতদৃষ্টিতে (যেমনটা ছিলনা কাফিল খানের অক্সিজেন সিলিন্ডার জোগার করার মধ্যে) – অন্তত আমাদের মতো সাধারণ চুনোপুঁটিদের কাছে। কিন্তু রাষ্ট্রের কাছে ঠিক এমনটা মনে হয়নি। আধুনিক রাষ্ট্রের জন্মই হয়েছে সমস্ত নাগরিককে সুশীল, অনুগত (docile), বাধ্য (obedient), এবং রাষ্ট্র-নির্ধারিত স্বাভাবিকতাকে মান্যতা দিতে প্রস্তুত (normalized) নাগরিক হিসেবে তৈরি করার এবং জন্ম দেবার জন্য।
এখানে অনেকেরই ফুকোর কথা মনে পড়বে – Naturally it’s medicine which has played the basic role as a common denominator. It was in the name of medicine both that people came to inspect the layout of houses and, equally, that they classified individual as insane, criminal or sick. (Power/Knowldge, 1980, p. 62) ১৯শ শতাব্দিতে আধুনিক রাষ্ট্র তৈরির শুরু থেকেই রাষ্ট্রের প্রয়োজন ছিল মানুষ যাতে “স্বাভাবিক (normal)” এবং “অস্বাভাবিক (pathological” এই দ্বৈত বিভাজনের গবাক্ষ দিয়ে দেখতে শেখে, সড়গড় হয়ে ওঠে। কিন্ডারগার্টেন, নার্সারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়োত্তর গবেষণা সবকিছুর মধ্য দিয়ে এ শিক্ষা চারিয়ে যায় প্রতিদিন, প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের বোধের মধ্যে।
পশ্চিমী দেশগুলোতে রাষ্ট্র এবং নাগরিকের মাঝে নিরন্তর টানাপোড়েন এবং লড়াইয়ের ফলে একটি গণতান্ত্রিক সামাজিক পরিসর তৈরি হয় – যাকে আমরা বলি নাগরিক পরিসর বা তৃতীয় পরিসর বা কোন ঐতিহাসিক পরিস্থিতিতে বাম পরিসর। কিন্তু ইউরোপের আধুনিকতার বিকাশ এবং বেড়ে ওঠার সাথে ভারতের কিছু পার্থক্য স্বাধীনতার জন্মলগ্ন থেকেই রয়ে গিয়েছিল।
Engrafted মডার্নিটির যে যাত্রা ১৯৪৭ পরবর্তী সময়ে ভারতে রাষ্ট্রিক উদ্যোগে শুরু হয়েছিল সেখানে সবাই মানে সমস্ত ভারতবাসী হয়ে উঠলো নাগরিক, খানিকটা হঠাৎ করেই। লক্ষ্যণীয় যে জাতি-রাষ্ট্র হিসেবে যেখানে ব্রিটিশ রাষ্ট্র বা ইউরোপের একটি বড়ো অংশ প্রায় ৩০০ বছর ধরে ধীরে ধীরে একটু একটু করে গড়ে উঠেছে ভারত সেসমস্ত ধাপ অতিক্রম করার জন্য পেয়েছে কয়েক দশক মাত্র। ফলে ইংল্যান্ড সহ ইউরোপের গুরুত্বপুর্ণ দেশগুলোতে যেভাবে ঐতিহাসিকভাবে প্রথমে ব্যক্তির অভ্যুদয়, পরবর্তীতে রাষ্ট্রের সাথে নাগরিকের সহাবস্থান, পারস্পরিক সম্পর্ক এবং সমাজ জীবনে ধর্ম-নির্লিপ্ততার (secularism) যে পরিসর তৈরি হয়েছে তা ভারতে হয়নি। যেভাবে শ্রমিক তথা মার্ক্সের ধারণানুযায়ী সর্বহারা শ্রেণীর এবং পুঁজির সাথে শ্রমের টানাপোড়েন থেকেছে বিভিন্ন স্তরে, যেভাবে দেশগত ভিন্নতা থাকা সত্বেও বিভিন্ন সামাজিক ও শ্রেণী সম্পর্কের মানুষের একটি পাব্লিক ডিসকোর্সের পরিসর তৈরি হয়েছে, যেভাবে চার্চ এবং রাষ্ট্র পৃথক হয়েছে, যেভাবে সমাজ জীবন থেকে অপসৃত হয়ে ধর্মানুগত্য ব্যক্তিগত রুচি এবং পরিসরের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ঐতিহাসিকভাবে সেসব পরিবর্তনের পর্যায়গুলি এখানে হয়নি। বিভিন্ন সামন্ত রাজ্যে বিভক্ত ভারত নামের ভৌগলিক ভূখন্ডে সামন্ত রাজা, উদীয়মান বৃহৎ শিল্পপতি শ্রেণী, ব্যবসায়ী, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজ এবং ওকালতি ও ডাক্তারির মতো বিভিন্ন স্বাধীন পেশার ব্যক্তিদের উপনিবেশের বিরুদ্ধে ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থে রাজনৈতিক এবং সামরিক সংগ্রামের বিভিন্ন সফলতা ও ব্যর্থতার চিহ্ন বহন করেছে ১৯৪৭ পরবর্তী স্বাধীন ভারতবর্ষ।
এধরনের বিভিন্ন সময়-চিহ্নের স্থায়ী ছাপ নিয়ে যে রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং একক ব্যক্তির একক ভোটাধিকার চালু হলো সেগুলো মূলত সমাজের উপরের স্তরের ক্ষমতা চিহ্ন। এরকম এক ঐতিহাসিকতায় প্রধানত কৃষিসম্পর্কে আবদ্ধ শতকরা ৮০ ভাগ মানুষকে নিয়ে গড়ে ওঠা নতুন ভারতীয় জাতি-রাষ্ট্রে মডার্নিটি বা আধুনিকতা প্রকৃত অর্থে engrafted হয়ে যায়, ঐতিহাসিকভাবে সামাজিক পরিবর্তন ও গতিশীলতার (social and historical dynamics) নিয়মে জন্ম নেয় না। রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যক্তি-সমাজ-কৌম-রাষ্ট্র-নাগরিকতার যে সম্পর্ক নতুন করে রচিত হয় ১৯৪৭ পরবর্তী ভারতবর্ষে তা প্রায়-সম্পূর্ণ ব্রিটিশ রাজনৈতিক সংবিধানের ধারায় তৈরি হওয়া।
প্রধানত শিল্প বিপ্লবোত্তর ইউরোপে সমাজ এবং কৌমের ধারণা খসে গেছে প্রায় ২০০ বছর জুড়ে। নাগরিক ও রাষ্ট্রের মাঝে সরাসরি সম্পর্ক – অধিকার এবং কর্তব্যের বাঁধনে, cash nexus-এর প্রবল উপস্থিতিতে। এখানে মধ্যস্থতাকারী কোন সামাজিক পরিসর নেই, যা আছে তা নাগরিক পরিসর বা সিভিল স্পেস। ডেমোক্রেসির স্বর্ণযুগে কিংবা সামাজিক পরিসরের সবল, জোরালো উপস্থিতির সময় আধুনিকতা নির্মিত নাগরিকতার ভাষ্য ছাড়াও আরও অনেক স্বর, কণ্ঠ, আত্মপ্রকাশ করে – indiscernible থেকে discernible হয়ে ওঠে, invisibility থেকে visibility-র স্তরে উঠে আসে। বিখ্যাত উদাহরণ হিসেবে ১৯৬০-৭০-এর দশকের প্যারিসের ছাত্র বিদ্রোহ বা আমেরিকায় ভিয়েতনাম বিরোধী আন্দোলনের কথা কিংবা সাম্প্রতিক কালের “Another World is Possible” বা “Occupy Wall Street” আন্দোলনের কথা স্মরণ করা যেতে পারে। এরকম একটা পরিসরে নাগরিক হবার ধারণার সাথে নাগরিক না-হবার কিংবা অ-নাগরিকের ধারণাও সামাজিকভাবে মান্যতা, গ্রাহ্যতা পায়। বহু ভাষ্যের নির্মাণ হতে থাকে।
কিন্তু সমগ্র রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রক্রিয়াটাই যদি ভিন্নধর্মী হয়? যদি জাতি-রাষ্ট্র তৈরিই হয় প্রভুত্বকারী সামন্ত রাজা ও এর উপযোগী পরিব্যাপ্ত মানসিকতা, কৃষি শ্রম, শিল্পীয় শ্রম, শিক্ষিত জায়মান নাগরিক সমাজ, বৃহৎ পুঁজি এবং জাতীয়তাবাদের উত্তুঙ্গ পর্বে গড়ে ওঠা ছোট বা স্বাধীন পুঁজির মধ্যেকার অসংখ্য বাস্তব দ্বন্দ্বকে অমীমাংসিত রেখে? যদি গড়ে ওঠে জাতিস্বত্তার প্রশ্নকে সমাধানের আওতায় না এনে? Integer বা পূর্ণসংখ্যা না হয়ে, কোন ত্রৈরাশিক বা ভগ্নাংশ কিংবা অ-নাগরিক হয়ে কেউ থাকতে পারেনা। আধুনিকতার একটি এবং একমাত্র ভাষ্যেই এদের শিক্ষিত করে তুলতে হবে। রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে প্রবণতাটি সবসময়েই কেন্দ্রাভিমুখী। প্রান্ত এখানে প্রান্তিক, কখনো ব্রাত্যও বটে। অসংখ্য দ্বন্ব অমীমাংসিত রেখে জাতি-রাষ্ট্র হিসেবে ভারত গড়ে ওঠার এক অসামান্য চলমান চরিত্র (দলিলও বলা যেতে পারে) সতীনাথ ভাদুড়ীর সৃষ্টি ঢোঁড়াই। এরকম দলেই পড়বে আমার মতো সুশীল, সুবোধ, গোপাল-বালক গোছের মানুষজন।
ইউরোপীয় আধুনিকতার ভাষ্য, যা আমাদের দেশে ১৯৪৭ পরবর্তী সময়ে অনুসৃত হচ্ছিল, তার উপাদানের মাঝে (matrix) নিহিত যুক্তি অনুসরণ করে আমরা বুঝতে পারলাম আমাদের মতো নাগরিকদের ধরা হবে একেকটি integer বা পূর্ণ সংখ্যা হিসেবে। এখানে ভগ্নাংশের কোন জায়গা নেই। উদো-বুধোর ত্রৈরাশিক না ভগ্নাংশ, এসব ভাবার কোন অবকাশই নেই। মণিপুরী বা কাশ্মিরী বলে আবার আলাদা কিছু হয় নাকি? এগুলো তো ভগ্নাংশ। পূর্ণসংখ্যা ভারতীয় নয়।
এরকম এক social psyche তৈরির অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হল ভাষা এবং disciplinary time তথা শৃঙ্খলাবদ্ধ সময়। আবার পূর্ণ সংখ্যা পজিটিভ বা ইতিবাচক হতে পারে, যেমন স্থিতধী, প্রজ্ঞাবতী-প্রজ্ঞাবান সব নাগরিক। পূর্ণ সংখ্যা নেগেটিভও (নেতিবাচক) হতে পারে। ভাবুন দেখি নেগেটিভ পূর্ণ সংখ্যার কি ভারী একখানা দল। এর মধ্যে সুধাকর রাও, কাফিল খান, গৌরি লংকেশরা পড়বেন। এখানেও তো আবার অন্য বিপদ আছে, ইংরেজিতে যাকে বলে numbing of collective consciousness – বিবশ হয়ে যাওয়া সম্মিলিত সংবেদনশীলতা, যাকে বলে historical and social amnesia – ঐতিহাসিক আর সামাজিক বিস্মরণ।
এই বিস্মরণের জোরেই কিনা আমার সুধাকর রাওকে নিয়ে কোন কথাই আমার মনে হয়নি আজকের সকাল অবধি।
কি বিচিত্র বিষয় ভেবে দেখি একবার! নাগরিক-অনাগরিক, ভারতপ্রেমী-রাষ্ট্রদ্রোহী, হিন্দী-অহিন্দী, কেন্দ্রের ভারত-প্রান্তের ভারত, আলোর ভারত-আলো-আঁধারির ভারত, ক্ষমতার ভারত-ক্ষমতাহীনের ভারত, ক্রিকেটের ভারত-ডাংগুলির ভারত, টেনিসের ভারত-গোল্লা ছুটের ভারত, কমপ্লানের ভারত-ডিম খেতে চাওয়া মিড ডে মিলের ভারত! উফ, মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে। এত্তো এত্তো ভারতকে মনে রাখতে হবে? সবাইকে প্রকাশ করতে হবে “তোমারই প্রকাশ হোক”-এর মতো পজিটিভ পূর্ণ সংখ্যা দিয়ে? আমার পরিচালক রাষ্ট্র তো সে কথাই বলছে। আমাদের কি আর নেগেটিভ সংখ্যা হবার – এরকম দলভারী মিছিল দেখার পরেও – কোন “সদিচ্ছা” আছে বা থাকতে পারে।
হয় তুমি ভারতীয়, নয় তুমি ভারতীয় নও। মানে তুমি আধুনিক, থুড়ি, বর্তমান রাষ্ট্রের নিয়ম-টিয়ম মানো তো? আমাদের আধুনিক গণতন্ত্রের প্রথম যুগে মানে ইউরোপে যখন এলায়িত সামন্ত রাজ্য/রাষ্ট্রগুলো নতুন করে জুড়ে এবং বিন্যস্ত হয়ে ধীরে ধীরে আধুনিক শিল্পনির্ভর জাতীয় রাষ্ট্র হয়ে উঠছে সেসময় থেকেই তো অস্তিত্বের অন্যসব স্তর তলিয়ে যাচ্ছে, ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নাগরিক সত্তার মাঝে। একটি নির্দিষ্ট ভুখণ্ড নিয়ে, তার নিজস্ব আইনকানুন নিয়ে একটি রাষ্ট্র – বহুলাংশেই জনমতের উপরে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে (যাকে এখন অ্যাকাডেমিক জগতের ভাষায় বলে “manufacturing consent”)। আরো একধাপ এগিয়ে আবার আমার আপনার মতো কোন অর্বাচীন, অকালপক্ক, অর্ধশিক্ষিত দেখে এর মাঝে hegemony তথা মান্যতা নিয়ে টিঁকে থাকবার নানা রকমের কৃৎ-কৌশল রয়েছে। কৃৎ-কৌশল রয়েছে রাষ্ট্রের অতিরাষ্ট্রের হয়ে ওঠার চারিত্র্যলক্ষণের মধ্যে। আছে ক্রমশ ঘৃণাকে সামাজিক-সাংস্কৃতিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া – শব্দে, চিত্রকল্পে, প্রাত্যহিক সংলাপে।
হিংসাকে আকর্ষণীয় প্রদর্শনী করে তুলতে হবে (spectacularized violence)। ধীরে ধীরে এগুলোকে সহনীয় করে তোলা। নিজের নিয়মেই সহনীয় হয়েও যায়। যাকে পছন্দ করিনা তাকে ‘দানব’ বানিয়ে দাও (demonization), শিক্ষা থেকে থেকে সরিয়ে দাও প্রশ্ন করার সাহস, উৎসাহ এবং পরিসর। সরিয়ে দেবার প্রস্তাব আসবে রবীন্দ্রনাথকে – শিক্ষার আঙ্গিনা থেকে। শিক্ষকেরা হয়ে যাবে educational managers – ছাত্রের মাঝে “কেন?”-র প্রবাহ তৈরি করার অভিলাষী কোন জ্ঞানভিক্ষু নয়। একটি সংস্কৃতির জন্ম হবে যার ভিত্তি হবে কেবল তাৎক্ষণিকতা-নির্ভর, শুধুমাত্র বর্তমানকে চিনি বুঝি যাপন করি, অন্য কিছু নয়। অতীতের এবং ইতিহাসের পুনর্নিমাণ হবে। সমাজের অন্ধকার জগৎ (যাদেরকে চালু ভাষায় লুম্পেন বলা হয়) আলোয় আসার, রাজপথের দখল নেবার, ক্ষমতার বৃত্তের সাথে সংস্থাপিত থাকার গৌরব অর্জন করবে।
এরকম এক সময়ে ফ্যাতাড়ুরা আর অন্তর্ঘাত ঘটাতে পারেনা। এরা নিজেরাই রাষ্ট্রের জন্ম দেওয়া অন্তর্ঘাতের অংশীদার হয়ে যায়। এর হিংসা আর শক্তি প্রদর্শনের extra-judiciary, extra-state হাতিয়ার হয়। এরা “নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে”-র সৌম্যকান্তি পাগল চরিত্রটির মতো দুর্বোধ্য “গ্যাৎচরেৎশালা” উচ্চারণ করেনা। এরা স্পষ্ট ভাষায় হিংসা-ঘৃণা-হিংস্রতা-পেশির ভাষা উচ্চারণ করে। ভাষার চিহ্ন এঁকে দেয় “অপরের” শরীরে। পার্টি এবং রাষ্ট্রের ভেদরেখা মুছে যেতে থাকে। আমাদের বোঝা রাজনীতির চেনা ছকে ঠিক এই গল্পগুলো তৈরি হচ্ছেনা। ঘটনাচক্রে এখানে আক্রান্ত হন বেচারা বিদ্যাসাগর। তিনি এই চলমান ঘূর্ণাবর্তের মধ্যে পড়ে যান।
আবার সুধাকর রাওয়ে ফিরে আসি এসব শক্ত কথা ছেড়ে। অথচ সামান্য PPE কিট নিয়ে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ইতালি সহ পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশে ডাক্তারদের মধ্যে বিক্ষোভ ক্রম-ধূমায়িত। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন (NEJM)-এ প্রকাশিত “In Pursuit of PPE” প্রতিবেদনে (৩০.০৪.২০২০) বলা হয় করোনা আমেরিকায় যুদ্ধের একেবারে সামনের সারিতে থাকা যোদ্ধা হিসেবে থাকলেও ডাক্তাররা “continue to be stymied by a lack of personal protective equipment (PPE)”। NEJM-এর আরেকটি প্রতিবেদনেও (৩০.০৪.২০২০) বলা হয়েছে – “Equally worrisome is the lack of adequate PPE for frontline health care workers, including respirators, gloves, face shields, gowns, and hand sanitizer. In Italy, health care workers experienced high rates of infection and death partly because of inadequate access to PPE.” অর্থাৎ, আমেরিকা, ইতালি ইংল্যান্ডের চিকিৎসকের উল্লেখযোগ্য অংশের মৃত্যুর একটা কারণ PPE-র অপ্রতুলতা। লান্সেট=এ প্রকাশিত (২৩.০৫.২০২০) প্রতিবেদন (The plight of essential workers during the COVID-19 pandemic) জানাচ্ছে আমেরিকাতে ২৭ জন, ইংল্যান্ডে ১০৬ জন এবং রাশিয়ায় ১৮০ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু ঘটেছে PPE-র যথেষ্ট সরবরাহ না থাকার জন্য।
তাহলে আমাদের দেশে “বেড়ে ব্যাটাকে ধর”-এর মতো সুধাকর রাওকে এত নিগ্রহ এবং অপমান সহ্য করতে হল কেন? প্রশ্ন করেছিলেন বলে? প্রশ্ন করাতো বুনিয়াদি গণতন্ত্রের কাঠামোকে শক্তিশালী করে, আবহকে বেগবান করে।
আর আমরাই বা এরকম নিশ্চুপ হয়ে থাকছি কেন? এর খানিকটা উত্তর আছে ভারত রাষ্ট্র গড়ে ওঠার ঐতিহাসিকতার মধ্যে, আংশিক উত্তর আছে বর্তমান সময়ে জন্ম নেওয়া নিজেকে ছাড়া অন্য সব বিষয়ে চরম ঔদাসিন্য এবং নিস্পৃহতার মাঝে, এবং বাকি উত্তর এসমস্তকিছুকে অতিক্রম করে রাষ্ট্রের অতিরাষ্ট্র হয়ে ওঠার রাস্তায় যে সামাজিক মান্যতা ও গ্রাহ্যতা অর্জন করছে তার মধ্যে। এরপরেও কিছু উত্তর অধরা থেকে যাবে। হয়তো আরও কিছু সময় গেলে বুঝবো।
এর মধ্যে দু-একটা রূপালি রেখা আছে। পশ্চিমবাংলার ডাক্তারদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম সক্রিয় প্রচারে নেমেছে।
ডাক্তারদের সর্বভারতীয় সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে। বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হল অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট সেশন কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দিয়েছেন সরাসরি ডঃ সুধাকর রাওয়ের সাথে দেখা করে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের রিপোর্ট জমা দিতে।
রাষ্ট্র বনাম নাগরিকের এই দ্বৈরথ অন্তত নিঃশেষ হয়ে যায়নি। আমরা সবাই একেকজন সুধাকর রাও – সম্মান নিয়ে, মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চাই। আমাদের কোন “ব্রেন ফিভার” নেই, পাগলামো নেই। আমরা সম্পূর্ণ সুস্থ। জীবিত থাকা অবধি আর্ত মানুষকে বাঁচাতে চাই।
খুব উদ্বিগ্ন লাগছিল।ডাঃ সুধাকর রাও রাষ্ট্রযন্ত্রের শিকার! কী ভয়ানক একজন সম্মানিত মানুষকে প্রকাশ্যে নির্যাতন করার স্পর্ধা দেখে স্তম্ভিত লাগে।
গণমুখী বনাম রাষ্ট্র কেন্দ্রীক দ্বন্দ্বের বিষয়টি ইতিহাস তথ্য নির্ভরতার মাধ্যমে স্পষ্ট ভাবেই আলোচিত হয়েছে ।
আর ডাঃ সুধাকর রাওরা তো সব ব্যবস্থাতেই কাঠগড়ায় দাঁড়ান ।
Dr. J. Bhattacharya কে অসংখ্য ধন্যবাদ এ ধরনের একটি প্রবন্ধ উপহার দেয়ার জন্য ।
ঘন্টা বাজিয়ে আর বাতি জ্বালিয়ে ক্লান্ত........ এবার স্বাস্থ্য কর্মীদের উপর সরাসরি আক্রমণ.......... দারুণ সময়োপযোগী গুরুত্বপূর্ণ লেখা
ঘন্টা বাজিয়ে আর বাতি জ্বালিয়ে ক্লান্ত........ এবার স্বাস্থ্য কর্মীদের উপর সরাসরি আক্রমণ.......... দারুণ সময়োপযোগী গুরুত্বপূর্ণ লেখা
ঘন্টা বাজিয়ে আর বাতি জ্বালিয়ে ক্লান্ত........ এবার স্বাস্থ্য কর্মীদের উপর সরাসরি আক্রমণ.......... দারুণ সময়োপযোগী গুরুত্বপূর্ণ লেখা
"The English have certainly effectively used the medical profession for holding us. English physicians are known to have used their profession with several Asiatic potentates for political gain.
Doctors have almost unhinged us. Sometimes I think that quacks are better than highly qualified doctors. Let us consider: the business of a doctor is to take care of the body, or, properly speaking, not even that. Their business is really to rid the body of diseases that may afflict it. How do these diseases arise? Surely by our negligence or indulgence. I overeat, I have indigestion, I go to a doctor, he gives me medicine, I am cured. I overeat again, I take his pills again. Had I not taken the pills in the first instance, I would have suffered the punishment deserved by me and I would not have overeaten again. The doctor intervened and helped me to indulge myself. My body thereby certainly felt more at ease; but my mind became weakened. A continuance of a course of medicine must, therefore, result in loss of control over the mind. I have indulged in vice, I contract a disease, a doctor cures me, the odds are that I shall repeat the vice. Had the doctor not intervened, nature would have done its work, and I would have acquired mastery over myself, would have been freed from vice and would have become happy.
Hospitals are institutions for propagating sin. Men take less care of their bodies and immorality increases. European doctors are the worst of all. For the sake of a mistaken care of the human body, they kill annually thousands of animals. They practise vivisection. No religion sanctions this. All say that it is not necessary to take so many lives for the sake of our bodies. These doctors violate our religious instinct. Most of their medical preparations contain either animal fat or spirituous liquors; both of these are tabooed by Hindus and Mahomedans. We may pretend to be civilized, call religious prohibitions a superstition and want only to indulge in what we like. The fact remains that the doctors induce us to indulge, and the result is that we have become deprived of self-control and have become effeminate. In these circumstances, we are unfit to serve the country. To study European medicine is to deepen our slavery. It is worth considering why we take up the profession of medicine. It is certainly not taken up for the purpose of serving humanity. We become doctors so that we may obtain honours and riches. I have endeavoured to show that there is no real service of humanity in the profession, and that it is injurious to mankind. Doctors make a show of their knowledge, and charge exorbitant fees. Their preparations, which are intrinsically worth a few pence, cost shillings. The populace, in its credulity and in the hope of ridding itself of some disease, allows itself to be cheated. Are not quacks then, whom we know, better than the doctors who put on an air of humaneness?"
অসামান্য লেখা ' শুনেছি জগদীশ চন্দ্র বসু রঘু ডাকাতের কাধে চড়ে ভীড়ের মধ্যে অনেক দূরের জিনিস দেখতেন ! আমরাও অনেকে সেই ভাভে এই লেখার পীঠে চড়ে আমার ভারতের বতর্মান আর মাণব জতীর আগিমীকালের বেচে থাকা দেখতে পেলাম,. একটা বিষয় আরো জানার ইছছা রইল- Dr Harshwardhan is now with WHO -_will it help Ind govt to chang in health and medical policy.
একেবারে গোড়ার প্রশ্ন রেখেছেন ডঃ কাঞ্চন মুখার্জি।
এই অতিমারি চরিত্রের দিক থেকে ভীষণভাবে ভিন্ন - আমাদের এতদিনের চেনা কোন ছবির সাথে মিলছে না। এজন্য এত গাণিতিক মডেল, এত এপিডেমিওলজিকাল হিসেব নিকেশ আমাদের সামনে। ভিন্নমুখী নানা বিশ্লেষণে শিক্ষিত অথচ অ-বিশেষজ্ঞ মানুষও দিশেহারা হচ্ছেন কমবেশি।
এবার প্রশ্নে আসি। এবারের অতিমারিতে একটি মাত্র দেশ ভিয়েতনাম যার চিনের সাথে ১১০০ মাইলের বর্ডার থাকা সত্ত্বেও একটিও মৃত্যু হয়নি করোনা। ওখানে হেলথ ফর অল কমবেশি চালু আছে। আরেকটি দেশ নিউজিল্যান্ড যেখানে ইংল্যান্ডের এনএইচএসের মতো ব্যবস্থা না থাকলেও স্বাস্থ্যের জন্য নাগরিককে পয়সা দিতে হয়না। ২০০৮-এ আস্থানা সম্মেলন হয় যেখানে আলমা-আটার সংহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার ধারণাকে লঘু করে ইন্সিউরেন্সকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। আরেকদিকে ১৯৭৮-৭৯ থেকে শুরু হয় সিলেক্টিভ প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার ধারণা। উদগাতা ফোর্ড ফাউন্ডেশন, কেনেথ অ্যারো (সবচেয়ে কমবয়সে ইকোনমিক্সে নোবেলজয়ী) এবং নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন।
এত কথা বলছি কেন? কারণ ৭০০ কোটির বেশি মানুষের কাছে সংহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা না পৌঁছুলে মানুষ অর্ধমৃত কম পয়সার শ্রমিক হিসেবে বাঁচবে। স্বাস্থ্য এবং বহুমূল্য, পাঁচতারা হাসপাতালের হাই-টেক স্বাস্থ্য পরিষেবা একই অর্থ বহন করবে।
আমার আশঙ্কা করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে হাই-টেক মেডিসিন এবং কর্পোরেট পুঁজি প্রাথমিক জায়গায় আসবে। আপাতত এই সংকটের সময়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যের কথা কেউ ভাববেও না, implementation তো অনেক পরের কথা।
আন্তর্জাতিক মন্দা থেকে বেরনোর রাস্তা করে দেবে মেডিসিন।
আপাতত আলমা-আটা, সংহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা হেরে যাবে। আমরাও যারা মানুষের সার্বজনীন স্বাস্থ্যের জন্য নিজেদের নিবেদন করার জন্য প্রস্তুত করেছি তারাও আপাতত হেরে যাওয়াকে মেনে নিতে হবে - সমস্ত যন্ত্রণা বুকে চেপে।
পিনাকী,এসব কারণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়,পর্তুগাল আর স্পেন,ফ্রান্সের তুলনামূলক মৃত্যু হার?
আমেরিকায় এতো মৃত্যু,কিন্তু ভিয়েতনাম,কোরিয়া,বাংলাদেশে কম কেন?
মেক্সিকো তে কম কেন?
প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, পাব্লিক হেল্থ,আমেরিকা,ফ্রান্স,স্পেনের নিশ্চয় বিরাট খারাপ নয়!
পিনাকী বাবু, ডা: ভট্টাচার্য এবং sm মহাশয়কে ধন্যবাদ তাঁদের মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য। ওই দেশগুলোর সমস্যা লঘুচাপ করে দেখাতে চাইছি না তবে আমি যতদূর জানি ব্রিটেনের মত অনেক দেশে কোভিড ডেথের criteria অনেক বেশি inclusive. যেমন test positive না হলেও মৃত্যুর দুই সপ্তাহ আগে জ্বর, কাশি ইত্যাদি থাকলেও তাকে কোভিড ডেথ হিসাবে ধরা হয়েছে। WHO র মতে, প্যানডেমিক এর সময় এমনটাই হওয়া উচিত। ফলে ওদের March 19 বা April 19 এর মোট মৃত্যুর সাথে গত দুমাসে মৃত্যুর সংখ্যার বিশাল ফারাক নেই। যদিও বিশ্ববাসীর চোখে সংখ্যা গুলো অনেক এবং তারা গত বছরের পরিসংখ্যান ছাড়াই সেটা পড়ছেন।
আমরা যারা ভারতে UHC নিয়ে স্বপ্ন দেখি বা প্রচার করি তারা একটু ব্যাকফুটে চলে গেছি মনে হচ্ছে। কারণ বুনিয়াদি স্বাস্হ্য থেকে আলোচনা অনেক সরে গেছে এবং তার পরিবর্তন এক্ষুনি দেখতে পাচ্ছি না। আলোচনার অভিমুখ আবার কিভাবে ঘোরানো যায় তা আমাদের ভাবতে হবে।
কাঞ্চন বাবু,পারলে পরিসংখ্যান দিয়ে ফেলুন তো।ইউ কে,ইউ এস এ বা ফ্রান্সে গত পাঁচ বছরে মার্চ এপ্রিল ও মে মাসে মোট মৃত্যু কতো।এ বছরের সঙ্গে কম্পেয়ার করলে কতো বেশি?
কিন্তু একটা পেপারে লিখেছে দেখলাম ইউ এস এ তে এক লাখ মৃত্যু করোনা হেতু হলেও,আসল সংখ্যা নাকি আরো বেশি!?
Mr sm thank you.
আমার ধারণা ভুল ছিল। যাচাই না করা তথ্য তুলে ধরার জন্য দু:খিত।
আমি UK death figures check করলাম (সূত্র one.gov.uk)। এবছর এপ্রিল মাস ওদের খুবই খারাপ গেছে। তবেমে মাসে ওরা পরিস্থিতি অনেকটাই আয়ত্তে এনে ফেলেছে।
Sky news এর এই ছোট্ট অংশটি দেখার অনুরোধ রইল।https://news.sky.com/video/coronavirus-we-are-beyond-the-peak-of-covid-19-11991247
Mr sm thank you.
আমার ধারণা ভুল ছিল। যাচাই না করা তথ্য তুলে ধরার জন্য দু:খিত।
আমি UK death figures check করলাম (সূত্র one.gov.uk)। এবছর এপ্রিল মাস ওদের খুবই খারাপ গেছে। তবেমে মাসে ওরা পরিস্থিতি অনেকটাই আয়ত্তে এনে ফেলেছে।
Sky news এর এই ছোট্ট অংশটি দেখার অনুরোধ রইল।https://news.sky.com/video/coronavirus-we-are-beyond-the-peak-of-covid-19-11991247
ফ্যাতাড়ুরাই সভ্যতার নামে জিতে গেল। সময়োপযোগী লেখা।
কোনটা বেশি বিপজ্জনক জানি না, সুধাকর রাওয়ের ওপর সরাসরি আক্রমণ, নাকি রাষ্ট্রের তরফ থেকে ওনাকে 'উন্মাদ ' হিসেবে certify করা !