এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • সাঁঝ আভা

    Ritwik Sengupta লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ২৬ মার্চ ২০২০ | ৩২২৩ বার পঠিত
  • মাইথনকে, ছোট শহর বললে, তার নিরিবিলি পরিবেশটাকে, উপেক্ষা করা হয়। তবে, মেডিকেল সেন্টারে ডাক্তার নিয়মিত আসেন, বাজারে সব সরঞ্জাম সহজলভ্য, নাগরিক নিরাপত্তার প্রতি স্থানিয় প্রশাসন সজাগ - শহুরে সাচ্ছন্দ্য যথেষ্ট।

    আসানসোল শহর থেকে, আড়াই-ঘন্টার পথ। আরো খানিকদূর গিয়ে, দক্ষিণ-পশ্চিমে, মাইথন ড্যাম। আসানসোল-চিত্তরঞ্জন হাইওয়ে অথবা এখন এস.এইচ-১৯ ( স্টেট হাইওয়ে-১৯ ) নামে পরিচিত, এই রাস্তা, এখানে খানিকটা দক্ষিণ-কাত হয়ে বরাকর নদী পার হয়েছে। পশ্চীমে ধানবাদ-মুখি এই রাস্তার উত্তর দিকে, কালানেশ্বরী মন্দির। মন্দিরের পশ্চিম দিকে যে মেলা-প্রাঙ্গন, স্থানিয় মানুষের কাছে সুভাষ-মেলার মাঠ নামে পরিচিত। সেই মাঠের একপ্রান্তে, নিম আর আমগাছে ঘেরা ক্যাম্পাস - 'সাঁঝ-আভা সিনিয়র হোম'।

    ওল্ড এজ হোম নয় - কারণ এখানে যাঁরা বসবাস করেন, তাঁরা সকলেই, অন্ততঃ আবেদনপত্রে, স্বেচ্ছায় এসেছেন, এমনই ঘোষণা করেছেন। সাধারণত, জীবন সঙ্গী বা সঙ্গীনি হারিয়ে, এখানে আশ্রয় নিয়েছেন, এখানকার সকল আবাসিকদের ক্ষেত্রে এমন নয়। পরিণত বয়সে সম্পর্কে বিচ্ছেদের কারণে, এই 'সাঁঝ-আভা'তে আবাসিক হয়েছেন, এমন ও কয়েকজন আছেন। তাই, সমকালীন ভাষায়, এই হোমটা, অন্য 'সেগমেন্টে'র। বেশীর ভাগ আবাসিক, কর্ম-জীবন শেষ করে, এসেছেন।

    তিনতলা উঁচু, সাদা রঙের, সবুজ-কার্নিসের ভবনটার , খানিকটা, বড় রাস্তা থেকে দেখা যায়। প্রায় বিঘে-তিন জমিতে ব্যাপ্ত - চারিদিকে মাঝারি-উচ্চতার পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। পাঁচিলের উচ্চতা বেশী নয় বলে, একতলার ঘরের বারান্দাতে বসেও পশ্চিমে তাকালে বরাকর নদীর ঢেউয়ে, নৌকা দুলতে দেখা যায়, স্পষ্ট।
    সামনের গেটের দারোয়ান-গুমটি পার করে, শ'দুয়েক মিটার দূরে, নদীর বাঁধানো ঘাট। পাঁচিলের এপারে, নদীর দিকটাতে, বাঁধানো-মেঝে ও টালির চাল দিয়ে তৈরী, একটা ভিউয়িং গ্যালারি - আবাসিকদের খুব প্রিয়। ভবনের পিছনের দিকে ছাঁটা-ঘাসের উঠোন - তার উপর খান পনেরো বেতের চেয়ার, সাথে ছোট-ছোট বেতের টেবিল। সকাল ও বিকেলের চায়ের আড্ডা, এখানেই জমে ওঠে। আবাসিকদের, পরস্পর পরিচিতি ও দৈনন্দিন মিলন-প্রাঙ্গন ও বটে। আবাসিকদের, নিরুদ্বেগ, আলগা ও সহজ কথোপকথনের, বড় আদরের যায়গা, এই চা-খাবার-উঠোন। পশ্চিমের দুটো নিমগাছ, গ্রীষ্মের দুপুরেও ছায়া-স্নিগ্ধ করে রাখে এই উঠোনটাকে। প্রথামত, নতুন কোন আবাসিক এলে, বিকেলের চায়ের আড্ডায়, এই উঠোনেই, সকলে তাকে স্বাগত জানান।

    আজ সকালেই, এই হোমের নোটিস বোর্ডে জানানো হয়েছে, রজত দত্তর কথা। তিনি আসছেন দূর্গাপুর থেকে, বছর তিন আগে কর্মবিরতি নিয়েছেন, ডি.পি.এল থেকে। জানা গেছে, থিয়েটার দেখা ও ভ্রমণের সখ আছে তাঁর। আর সকলের মতন, ব্রেকফাস্ট সেড়ে, রুমে যাবার সময়, লাউঞ্জের নোটিস বোর্ডে সূচনাটা পড়লেন শ্রীমতি মোহনা নাথ। অনেক বছর আগে, দূর্গাপুর ছেড়ে কলকাতা নিবাসি হয়েছিলেন তিনি। তাই ছেলেবেলার দূর্গাপুরের থেকে রজতবাবু আসছেন জেনে, অনেক স্মৃতি ভেসে উঠল যেন। অনেকদিনের পুরোন গীটারের তারে হাত বোলালে যেমন মনটা একটা সুরে বেজে ওঠে, তেমন। অন্যমনস্ক হয়ে বাইরে তাকিয়ে নিজের অজান্তেই মুচকি হেসে ফেললেন - হঠাৎ খেয়াল হল যখন, তড়িঘড়ি ঘরে চলে গেলেন।

    বিকেলে চায়ের আসরে, হোম-সুপার, অশেষবাবু, আলাপ করিয়ে দিলেন, শ্রী রজত দত্তকে, সাঁঝ-আভার সকল আবাসিকের সাথে। সৌমকান্তি চেহারা, মাথার সব চুল সাদা, মিতভাষী ও বিনীত প্রকৃতির মানুষ, রজত দত্ত। জানালেন, মেয়ে থাকে নাগপুরে, ও ছেলে নিউজিল্যান্ডে। বছর চার আগে, পালামপুর বেড়াতে গিয়েছিলেন, সেখানে কার্ডিয়াক আ্যরেস্ট হয়ে, দেবলোকে গমন করেন তাঁর বিগতা স্ত্রী। ছেলে-মেয়েকে জানিয়ে, বাড়ি ভাড়া দিয়ে, চলে এসেছেন এখানে - বাকি জীবনটা একান্তে, অনেকটাই নিজের মতন থাকতে চান। উল্লেখ করলেন, কোন এক ভ্যাকেশনে, কারো কাছে শুনেছিলেন, এই 'সাঁঝ-আভার' কথা। জানতে চাইলেন আর কেউ দূর্গাপুর থেকে এসেছেন কিনা - হাত তুলে মোহনা নাথ বললেন, "আমিও বর্ন এন্ড ব্রট আপ ইন দূর্গাপুর"।
    "বাহ্, তাহলে তো একজনকে পেয়েই গেলাম", বলে স্মিত হাসলেন রজত দত্ত। "আপনার সাথে তাহলে অনেক স্মৃতি রোমন্থন করা যাবে, ছেলেবেলার গল্পগুলো, ভাগ করে নেওয়া, সহজ হবে হয়তো"।
    "ছেলেবেলার গল্প তো এমনিতেই মন টানে", বললেন পাশে বসে থাকা সুলেখা রায়, মোহনা নাথের, কক্ষ-সঙ্গী বা রুম-মেট। বলে আলাপ করলেন রজতবাবুর সাথে।

    পরের দিন breakfast table এ, রজত দত্ত চায়ে চুমুক দিতে দিতে খবরের কাগজে চোখ রেখেছেন, হঠাৎ সুলেখা রায় এসে বললেন, "একটু ছেলেবেলার গল্প হবে নাকি?", বলে, হাতের কাপটা টেবিলে নামিয়ে, উল্টোদিকের চেয়ারে বসলেন। কিছুক্ষণ নিজের কথা বললেন, তারপর হঠাৎ বলে উঠলেন, "আপনি বলছিলেন আপনার শুধু ভ্রমনের সখ্, ভ্রমনের স্মৃতিগুলো, লিখে বা এঁকে রাখেন না?", "মানে স্মৃতি ধরে রাখার জন্য"।
    "হ্যাঁ, ছবি তুলি, ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট", রজতবাবু মুচকি হেসে, আবার বললেন, "ভালো লাগছে যে আমার 'হবি' আপনাকে এতটা ভাবিয়েছে - আপনার রুমমেটকে দেখছিনা যে"।
    "মোহনার সকালটা একটু দেরীতে শুরু হয়, এই নটা নাগাদ ব্রেকফাস্ট করে", বললেন সুলেখা, "আমি আসলে মর্নিং-ওয়াক করে, ব্রেকফাস্ট করে, তারপর স্নান করি, অনেক বছরের অভ্যাস, আমার স্বামী সকাল আটটায় অফিসে বেড়োতেন, একসাথে ব্রেকফাস্ট করাটা পছন্দ করতেন, সেই থেকে-"।
    "আপনারা থাকতেন কোথায়"?, জিগেস করলেন, রজত।
    " ওর চাকরি জীবনটা কেটেছে টাটা স্টীলে, জামশেদপুর, তারপর, ওদের পৈতৃক-ভিটে, গড়িয়া, কলকাতা - এখন উঠি, পরে কথা হবে", বলে উঠে পড়লেন সুলেখা।

    বিকেলে, রজত দত্ত আর তার রুমমেট, সোমেন বোস, চা নিয়ে ভিউয়িং গ্যালারিতে অনেকটা সময় কাটালেন। কথা বলতে বলতে রজত দত্ত, পকেট থেকে বলপেন বার করে, একটা পেপার-ন্যাপকিনে স্কেচ করতে মগ্ন ।
    সোমেনবাবু অভিভূত হয়ে বললেন, "আপনি তো বেড়ে আর্টিস্ট মশাই, এতদিন ধরে আমি এতজনকে এই ছাউনিতে এসে বসতে দেখছি, উদাস হতে দেখেছি অনেককে, কিন্তু এমন অসামান্য স্কেচ করতে কাউকে দেখিনি!", বলে ভবনের দিকে তাকিয়ে বললেন, "দাঁড়ান আমি একটা ফুলস্ক্যাপ কাগজ নিয়ে আসি, আপনার স্কেচ তো প্রিজার্ভ করতে হবে"‌।

    কতক্ষণ কেটেছে, খেয়াল নেই রজতবাবুর, হয়তো অপেক্ষায় আছেন সূর্যটা আরো একটু ঢলবে, হঠাৎ "Old habits die hard, রাজা", শুনে তাকিয়ে দেখলেন মোহনা নাথ হাসি মুখে চেয়ে আছেন।
    এতটুকু বিস্ময় প্রকাশ না করে রজত বললেন, "তোমার ও তো সেই কথা বলার ঢঙ্ পাল্টায়নি!"
    "মনি, তুমি সকালে সুলেখাদেবীকে পাঠিয়েছিলে, সিওর হবার জন্য আমি সেই রজত দত্ত কিনা - old habits die hard"!

    মোহনা: বিকেলে মনে হল তুমি চিনতে পেরেছো আমাকে, তাই নিজে এলাম।
    রজত: মাঝখান থেকে এতগুলো বছর কেটে গেল, কত মানুষ এলো-গেলো জীবনে, তারপরেও ফাঁক খুজে সঙ্গ পেতে এলে?

    মোহনা: স্কেচ করতে পারো, সেটা সুলেখাকে বলে দিলে, আরো হয়তো ঘন্টা কয়েক আগে সঙ্গ দিতে আসতাম!
    রজত: এতবছর পরে স্কেচ করা আবার শুরু করলাম, বোধহয় ইচ্ছে হল বলাটা ঠিক হবে - হয়তো চল্লিশ-বছর আগেকার দূর্গাপুরের বিকেল গুলো মনে পড়ল বলে।

    মোহনা: তখন তো নাটকের রিহার্সালের ফাঁকে আমার সংলাপের কপির পিছনে আমার স্কেচ করতে - সেই স্কেচ দেখেই তো বাড়িতে বৌদি আন্দাজ করেছিল আর তারপর যতো গন্ডগোল।
    রজত: গন্ডগোল কিসে - যদি আর দেখা না হত, তবেই না গন্ডগোল মানতাম!

    মোহনা: রাজা, তুমি তো আমার যে দশ-বারোটা ছবি তুলেছিলে, সেগুলো আমাকে দিয়ে দিয়েছিলে! তার মানে বিচ্ছেদটা গ্রাহ্য ছিল তোমার কাছে?
    রজত: নেগেটিভগুলো এখনো আমার কাছেই, মানে ফটোগ্রাফাররা যেটাকে অরিজিনাল ইম্প্রেশন বলে!

    দূরে, সাঁঝ আকাশের আভায়, বরাকরের ঢেউয়ের মাথা ছুঁয়ে, বুক ভিজিয়ে আবার দিগন্তে পারি দিল কিছু গাঙচিল।

    ঋত্বিক সেনগুপ্ত।।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ২৬ মার্চ ২০২০ | ৩২২৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সুদত্ত | 162.158.***.*** | ২৬ মার্চ ২০২০ ১১:০৫91770
  • বাঃ ! ভাল লাগল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন