এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • স্বাধীনতার ছেলেবেলায়

    শঙ্খ করভৌমিক লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৬ আগস্ট ২০১২ | ১৯০৬ বার পঠিত
  • আমাদের ছোটবেলায় পাড়ার ধারে কাছে যখনই কোনো পুলিশ আসত তখন আড়াল থেকে দুষ্টু ছেলেদের (মানে যাদের সঙ্গে ভাল ছেলেদের মিশাতে নেই) বলতে শুনতাম “বন্দে মাতরম, পুলিশের মাথাগরম।” দেখাদেখি দুএকবার বলতে গিয়ে মায়ের কাছে প্রবল ধমক খেয়েছি। কারণ, দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে- বন্দে মাতরম শুনে পুলিশের মাথা আর গরম হয় না। পরে বড় হয়ে জেনেছি ওটা ছিল স্বদেশী যুগের একটা ‘ব্যাকডেটেড’ রসিকতা। আর স্বাধীন ভারতের বয়েস তখন মাত্র পঁচিশ বছর ছিল কিনা, তাই পরাধীন বাঙালীর ভাষার কিছু লবজ, কিছু রঙ্গরসিকতা, মুদ্রাদোষ সম্ভবতঃ লোকপরম্পরায় টিঁকে গিয়েছিল। সেগুলো পরবর্তীকালে লোপ পেলেও পুলিশের প্রতি আমজনতার বিতৃষ্ণা তখনও রয়ে গিয়েছিল এবং সেই বিতৃষ্ণা এখনও বহাল তবিয়তে বিরাজমান। “কবিকে দেখে টুপিটা তোর খুলিস” থেকে শুরু করে “পুলিস তুমি যতই মারো মাইনে তোমার একশ বারো” তারই প্রমাণ। কার যেন (সম্ববত শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখায়) পড়েছি গ্রামের চৌহদ্দি দিয়ে একজন রোগা পুলিশকে পালং শাক কিনে ফিরতে দেখে গ্রামের সব লোক কেমন ভয়ে পালিয়েছিল। মায়ের কাছে শুনেছি, মায়েদের ছোটবেলায় চোরপুলিশ খেললেও দাদুভাইয়ের কাছে বকুনি খেতে হত- দেশ সদ্য স্বাধীন হয়েছে, সেই আনন্দে চোরেরা সব চুরি করা ছেড়ে দেয় নি কি? তাহলে এই অবাস্তব খেলার মানে কি? অবশ্য প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই স্বাধীন দেশের ভালোমন্দ সম্বন্ধে দাদামশায়ের ধ্যানধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটে গিয়েছিল- সে অন্য গল্প। যেবার মিনিবাস ধাক্কা মেরে আমার গাড়ির কাঁচ ভেঙ্গে দিল, আর থানায় ডায়েরী লেখানোর পর দারোগাবাবু যখন এক প্যাকেট সিগারেট কিনে দিতে বলেন সেবার “পুলিশে ছুঁলে আঠারো ঘা” কথাটার সত্যতাও বেশ মর্মে মর্মে উপলব্ধি করলাম। 

    মোদ্দা কথা, পুলিশ সম্পর্কে আম ভারতবাসীর মনোভাব সব যুগেই মোটামুটি এক। তবে দেশ/ রাষ্ট্র আর স্বাধীনতা সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা বিভিন্ন জনের বিভিন্নরকম। কয়েকটা উদাহরণ দেওয়া যাক।

    প্রথম উদাহরণঃ আমার পিতামহ- আক্ষরিক অর্থেই ‘আংরেজো কে জামানে কা জেলার’। পরবর্তীকালে স্বাধীন ভারতে আই জি প্রিজনস হয়েছিলেন। ইংরেজ সেনাপতি জেনারেল লর্ড অকিনলেকের সই করা সার্টিফিকেট (‘ডিস্টিংগুইশড সার্ভিস টু হার ম্যাজেস্টিজ এম্পায়ার’ না কি যেন) যত্ন করে সিন্দুকে রাখতেন। অথচ চরম বৈপরীত্যের পরিচয় দিয়ে, স্বাধীন দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন। (আর ঐ লালমুখোদের চাকরি করতে হয় না, আর কাউকে অকারণে জবাবদিহি করতে হয় না)। দেশভাগের কুফল অনেকটাই ভোগ করেছিলেন, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টদের নামে কুকুর পুষতেন। যেমন গোল্ডেন রিট্রিভার ভুট্টোর মৃত্যুর পর ডালমেশিয়ান জিয়া। তবু ভারতীয়ত্ব নিয়ে গর্বিত ছিলেন।

    দ্বিতীয় উদাহরণঃ আমার মাতামহ- স্বদেশী যুগে জেল খেটেছেন। স্বদেশী গোলাপজল থেকে স্বদেশী দেশলাই- সমস্ত ধরণের ব্যবসা করতে গিয়ে একাধিকবার সর্বস্বান্ত হয়েছেন। রাগারাগি করে একাধিকবার চাকরি ছেড়ে দিদাকে বিপাকে ফেলেছেন। স্বয়ং নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে মতানৈক্য হওয়াতে বিরূদ্ধ গোষ্ঠীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের হাতে মার খেয়ে স্বয়ং নেতাজীরই হস্তক্ষেপে ছাড়া পেয়েছেন। আগেই বলেছি, স্বাধীন দেশে চুরি ডাকাতি হয় না গোছের রোম্যান্টিক ধ্যানধারণা ছিল। কিন্তু স্বাধীনতার বয়েস চার বছর হতে না হতেই এই স্বাধীনতার অসারত্ব সম্পর্কে যে প্রতীতি জন্মায় তা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বজায় ছিল।

    তৃতীয় উদাহরণঃ কার্গিল যুদ্ধের সময় টিভির খবরে দেখা অজ্ঞাতপরিচয় মিষ্টান্ন শিল্পী যিনি বিশাল কড়ায় জিলিপি ভাজতে ভাজতে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলছিলেন “আমার রক্ত টগবগ করে ফুটছে। ইচ্ছে হচ্ছে আমিও কার্গিল গিয়ে যুদ্ধ করি।”
    চতুর্থ উদাহরণঃ বিদেশি ট্যাক্সিওয়ালা যিনি আমাকে জানালেন তাঁর এখনকার দেশ আমেরিকা, ভূতপূর্ব দেশ আজারবাইজান, যেটা আগে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। এও জানালেন যে তিনি তাঁর চল্লিশ বছরের জীবনের কোনো না কোনো সময় তিনি এই তিন দেশেরই নাগরিক ছিলেন। এবং যখন যে দেশের নাগরিক থাকেন তখন সেই দেশ নিয়ে গর্বিত হন। এটা আমার কাছে নতুন, কারণ আমার পরিবারে অনেকেই এক জীবনে দুটি বা তিনটি দেশের (ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ) নাগরিকত্ব ভোগ করেছেন, কিন্তু সব কটা নাগরিকত্বই তাঁদের মনে তিক্ততা ছাড়া অন্য কোনো অনুভূতির সৃষ্টি করে না।

    পঞ্চম ও শেষঃ আমার এককালের বন্ধু, সহকর্মী ও গুরু দান্তে কাস্তিলো রামোস। সিঙ্গাপুরের নাগরিক। মেক্সিকান বাবা ও ফিলিপিনো মায়ের সন্তান। জোর গলায় বলে থাকেন তাঁর কোনো দেশ নেই। রবিঠাকুর ছাড়া, আমার জানা একমাত্র বিশ্বনাগরিক।

    যদি জিজ্ঞাসা করেন, আমার জাতীয়তা নিয়ে আমার মনোভাব কি, মুশকিলে পড়ে যাব। স্বাধীনতা সঙ্গ্রামীর নাতি হিসেবে এই দেশ নিয়ে হৃদয়ের খুব গভীরে একটা নরম কোণ আছে। আবার মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে- যে দেশে কার্টুন ফরওয়ার্ড করে জেলে যেতে হয় সেই দেশের মানুষ হওয়াটা আদৌ গর্বের কিনা। কখনো ইচ্ছে করে চতুর্থ বা পঞ্চম উদাহরণটির মত হতে। ছোটবেলায় চাকমা শরণার্থীদের দেখতাম তাড়া খাওয়া পশুর মত সীমান্তের এপার ওপার করতে বাধ্য হতে। সেই স্মৃতির দিকে তাকালে মনে হয় দেশ বা জাতীয়তা এগুলো সব অর্থহীন। এই লেখার শেষ প্যারাগ্রাফ লেখার আগে ভেবে চিনতে দেখছি, যে, দিনের শেষে আমার ভারতীয়ত্ব নিয়ে আমি মোটের ওপর গর্বিত। কতগুলো ঘটনা বা অভিজ্ঞতা আমাকে এরকম ভাবায়। তার কয়েকটা বলি।

    ঘটনা একঃ গত বছর যখন রাজ্যে সরকার পালটালো তখন আমাদের গৃহপরিচারিকা মালতীকে তার এক বন্ধু বলল “তোদের দিদি তো মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেল।” মালতী বলল “হবেই তো, আমি ভোট দিয়েছি না?” এই মুহুর্তে ভাবছি, যাক, আমি অন্ততঃ এমন একটা দেশে বড় হয়েছি যেখানে একজন দরিদ্র মানুষ জানে, যে একজনকে মুখ্যমন্ত্রী বানানোর ক্ষমতা তার আছে। এদেশে প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার নেই, স্বাস্থ্য নেই, শিক্ষা নেই, কিন্তু এই ভরসাটুকু আছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই খাদ্য, স্বাস্থ্য বা শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে এই অধিকারটুকুও তো অনুপস্থিত। অবশ্য   আমাদের ভুল বুঝিয়ে এই অধিকারটার অপপ্রয়োগ করানো সহজ, আর তাই আমরা অধিকাংশ সময়ই আমাদের দেখাশোনার ভার অযোগ্য হাতে তুলে দিই- কিন্তু সে গল্প আলাদা।

    ঘটনা দুইঃ পার্ক সার্কাসের এক গলির মুখে একটা কার যেন মাজারের সামনে এক বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। একজন রিকশাচালক পথের ধারে রিকশা দাঁড় করিয়ে মাজারের ভেতরে গেলেন, যাবার আগে আমার দিকে একবার তাকালেন। একটু পরে বেরিয়ে এলেন একমুঠো কি যেন নিয়ে। এক টুকরো আখ আমার হাতে দিয়ে বললেন “ভগওয়ান কা পরসাদ লে লো বাবুজি।”


    আমার মেয়ে সেই দেশে জন্মেছে যেখানে কখনো স্কুলে না যাওয়া একজন মানুষ জানেন, তাঁর আল্লাহ আর আমার ভগবানে কোনো ফারাক নেই। আমার দাদুর জেল খাটা বৃথা যায় নি।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৬ আগস্ট ২০১২ | ১৯০৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • গান্ধী | ***:*** | ১৭ আগস্ট ২০১২ ০৮:০৮90127
  • সুন্দরঃ)
  • arindam | ***:*** | ১৮ আগস্ট ২০১২ ০২:২২90128
  • বেশ ভাল লাগল লেখাটা।
  • h | ***:*** | ২১ আগস্ট ২০১২ ০১:২৫90129
  • খুব সুন্দর হয়েছে লেখাটা।
  • i | ***:*** | ২১ আগস্ট ২০১২ ০১:৩০90130
  • ঝাঁ চকচকে সফল ছিলেন না নিরঞ্জন। মানসিক অবসাদ সঙ্গী ছিল। কখনও অসহনীয় স্বাধীনচেতা, পরমুহূর্তেই হয়তো পরমতনির্ভর, সিদ্ধান্তে টলমল।ডায়েরি লেখার অভ্যাস আবাল্য।
    নিরঞ্জন নেই। ডায়েরিসমূহও কীটদষ্ট। তবু, আর কোথাও নয়, এই ছেঁড়া খোঁড়া পাতায়, এলোমেলো বাক্যালী-এখানেই রয়ে যান হয়তো। একলা বিষাদময়।

    ৫/১২/১৯৩৭

    টাইফয়েড হয়েছিল বর্ষয়।বেঁচে উঠব ভাবেই নি কেউ। তুলসীতলায় শুইয়ে রেখেছিল নাকি.. আমার জন্য সবাই কাঁদছিল খুব।
    গল্পের এই জায়গাটা বারেবারে শুনি-আমার জন্য কাঁদছিল সবাই।

    খেতে বসলে বাসন্তী আমার পাতে সব থেকে বড় মাছটা তুলে দেয়, নইলে আমি ওর চুল ছিঁড়ে দি, গুমগুম করে কিল মারি পিঠে। আমার মেজদি। নাম ধরে ডাকি। বাবা মারে, বারণ করে। রাগ হয়ে যায়। কেউ বারণ করলেই রাগ হয়। ভীষণ রাগ হয়।

    ২০/০৮/১৯৪২

    একটা মিছিল আসছিল। নালগোদা যাবে। সচ্চিকে নিয়ে আমি দৌড়ই। হাতের কঞ্চিতে গেরিয়া সাদা সবুজ। গোয়ালভাওড় স্কুলের কাছে সোনাকাকা আমাদের কান ধরে বাড়ি নিয়ে এল।
    কেন বারণ করবে? কেউ বারণ করলে জানো না মাথায় রক্ত চড়ে যায় আমার?
    আমার বাপের অনেক টাকা, জানো না? বড়লোকের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হবে আমার, আমি বিলাত যাবো।

    ০৭/০৮/১৯৪৮

    গোবিন্দপুর থেকে নৌকায় বরিশাল টাউন। স্টীমারে খুলনা। খুলনা স্টেশন থেকে ট্রেন। মা, পিসিমা, মণি, সচ্চি।

    কতদিন লিখি নি। ঘোরের মধ্যে দিন কেটেছে। জমি, বাড়ি বিক্রি, বাবার শ্রাদ্ধ...

    ট্রেনে ভীষণ ভীড়
    -'জয় হিন্দ, জয় ভারত মাতা' -চমকে দেখি মার চোখ বোজা, জল গড়াচ্ছে.. ট্রেন বর্ডার পেরিয়ে বনগাঁয় ঢুকলো।

    তারিখবিহীন

    ডাক্তার গাঙ্গুলি,
    আপনার কথাতেই ডায়েরির কাছে ফেরা। কাউন্সেন্লিংএ বলেছেন-সব কথা খুলে লিখতে, প্রতিদিন।

    কেমন ভয় হয় সব সময়-পারব না, সব ভুল হবে, কেউ বারণ করবে.. সবাই বলে দায়িত্ব এড়ানোর ফন্দি..
    খুব চাইতাম , পাশে কেউ থাক যে বুঝবে আমি ভান করি নি-

    বিয়ের পর শিপ্রাকে নিয়ে অনেক ঘুরেছি-মশাট, ভাটোরা, বেড়াচাঁপা; লীভ ভেকেন্সির চাকরি সব-আপনি গেছেন কখনও , ডাক্তার গাঙ্গুলি?

    হিন্দি চীনি সৌহার্দ্য কমিটিতে ছিলাম, জানেন? কত কাজ। চাইন্জ অ্যাগ্রেশনে সব বদলে গেল। পার্টি ভাগ হল। ডাঙ্গে, ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত-ময়দানে গেছি-আজ এই নেতা কাল সেই নেতা। ময়দানে দাঁড়িয়ে ভয় হত ভীড়ের মাঝে-সোনাকাকা কান ধরে নিয়ে যাবে। কোনো শালা নেতা, পার্টি মিছিল আমার ভয় কাটাতে পারে নি।

    একটা ট্রেন ঢুকে পড়ে মাথায়। শিপ্রার খুব কাছে -মুখের কাছে মুখ নামাই যখন -দেখি ওর দু চোখ বোজা। দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে ধরা-ট্রেনটা জোরে হুইশল দেয়, বর্ডার পেরোতে থাকে...

    শিপ্রা আজ ডালে নুন দিতে ভুলে গেছে। বাটি ছুঁড়ে মেরেছি দেওয়ালে। দেওয়াল গড়িয়ে বসুধারা নামে।
    আঙুল দিয়ে চিঠি লিখি হাওয়ায়-শ্রীচরণেষু সোনাকাকা-

    ৬/১১/১৯৭১

    সকালে বিড়ির টুকরো দেখি বারান্দায়। রাতে জানলা দিয়ে দেখলাম- কটা ছেলে শুয়ে আছে। পাশে পাইপগান।
    বাজার যাওয়ার পথে সাধন মিস্ত্রিকে বললাম বারান্দায় ইঁট গেঁথে দিতে।
    দিনকাল ভালো নয়।
    সন্ধ্যে হলেই কারা চেঁচিয়ে বলে যায়-আলো নেভান, আলো নেভান।

    ১৫/০৮/১৯৯৭

    বিকেলের দিকটা স্টেশনে এসে বসি। ক্রাচে ভর দিয়ে গান গায় বলরাম -গৌরাঙ্গো আমারো গতি। নিঃশ্বাসগুলো বিসর্গর মতো হয়ে যায় । এক গান এক সুর। প্লাটফর্মে গোটা তিনেক সংসার। এই সময় ভাত ফোটে। ভাতের গন্ধ। কাঁচা লংকা। ওভারব্রিজের ওপর দু জোড়া ছেলে মেয়ে।
    এই সময় একটা বাতাস দেয়। কৃষ্ণচূড়া ঝরে। এক নম্বর লাইনে মালগাড়ির শান্টিং। হয়। ইউরিনালের গন্ধ আসে।
    তারা ফোটে। সোনাকাকা অ্যানাউন্স করে-বনগাঁ যাওয়ার গাড়ি আপ বনগাঁ লোকাল তিন নম্বর প্লাটফর্মে আসছে।

    আমার ফেরার সময় হয়।
  • krishanu | ***:*** | ২৩ আগস্ট ২০১২ ০৭:১৫90131
  • ভালো লাগলো।
  • hu | ***:*** | ২৯ আগস্ট ২০১২ ০৮:৩৪90132
  • এতদিন পরে পড়লাম। ভালো লাগল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন