এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপার বাংলা

  • আসামের বাংলা কবিতা চর্চা - দ্বিতীয় কিস্তি

    অমিতাভ দেব চৌধুরী লেখকের গ্রাহক হোন
    অপার বাংলা | ১১ জুলাই ২০১১ | ১৫৮২ বার পঠিত
  • প্রবাসী মনোতোষ চক্রবর্তীর মানস-পৃথিবীতে সূর্যোদয় আজও হয় ভুবন পাহাড়ে। আসলে যাঁরা একটা ভূগোল ছেড়ে চলে যান, তাঁরা তাঁদের মনের ভিতর নিয়ে যান এক একটা দেশের ছবি। সেই দেশ মনের দেশ বলেই কখনও বদলায় না, বরং সময়ের ধূলিবালি থেকে, ওই মনের দেশের মানচিত্রকে ঝাড়পোঁছ করে উজ্জ্বলতায় ভরিয়ে তোলে মনই। হয়ত ঠিক একারনেই শিলচরের সন্তান, মহানাগরিক রণজিৎ দাশের কবিতায়ও হঠাৎ কখনো জেগে ওঠে এক মানসভূগোল যাত্রা:

    "এত রাতে আমি একা বাবাকে পাহারা দিচ্ছি
    ভাইয়েরা ঘুমিয়ে আছে ভিন্ন ভিন্ন ঘরে
    উঠোনের চারদিক নারকেল-সুপুরিগাছে ঘেরা
    বাবার নিজের হাতে পোঁতা সেই গাছগুলি ফিকে জ্যোৎস্নায়
    লম্বা, দু:খী ছায়া ফেলে মৃত্যুর পথ আগলেছে।
    .........
    বাবার নিস্তব্ধ মুখে ফুটে আছে বাবার জীবন-
    দেশভাগে নি:স্ব এক উদ্বাস্তুর ভুমণ্ডল, যাত্রা, অভ্যুদয়।
    উদয়াস্ত কি আনন্দ পেতেন জীবনযুদ্ধে, ক্রীড়ামগ্ন বালকের মত
    দুরন্ত, অপরাজেয়, সৎ, সমীচীন!
    নীরবে শায়িত ওই বিশাল যোদ্ধার টুপি পালকে রঙিন।
    উঠোনের অন্ধকারে তাঁর বন্ধু প্রতীক্ষা-নিশ্চল-
    দীর্ঘকায়, কীর্তনিয়া, গলায় ঝোলানো খোল, দুই চোখে জল।'


    এই কবিতা যতবারই পড়ি না কেন, আমার দু'চোখের বাইরে নয়, ভেতরে অশ্রুপাত হয়। মৃত্যু নিয়ে এত এত কবিতা পড়েছি আমরা বাংলাভাষায়, কিন্তু মৃত্যুর এই দীর্ঘকায় কীর্তনিয়া রূপটি একটি ভৌগলিক সংস্কৃতিরই উত্তরাধিকারকে স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদের - যেরকম বার্গম্যানের অবিস্মরণীয় একটি ছবিতে সেই নাইটের মৃত্যুর সঙ্গে দাবা খেলা মনে করার ইউরোপীয় মধ্যযুগীয় সংস্কারের কথা।

    পঞ্চাশের শেষদিক এবং ষাটের দশককে যদি ধরে নিই বরাক উপত্যকার কবিতাচর্চার সুবর্ণযুগ হিসেবে, তাহলে এই যুগের নন্দনপ্রস্থানের চিহ্নগুলিই সচরাচর বেশি বেশি করে চোখে পড়ে আমাদের। আমরা ভুলে যাই নান্দনিক উৎকর্ষের অন্ত:রালে বয়ে যাওয়া নি:শব্দ ভূগোল-চেতনার চিহ্নগুলিকে। কিন্তু ভূগোল-চেতনা আরও তীব্রভাবে আছে এই যুগের পূর্ববর্তী কোনও কবির লেখায়। মনে রাখতে হবে, সেই কবিদের প্রায় সবারই সাংস্কৃতিক রক্ত ছিল পূর্ববঙ্গের, এদেশে এসে কিংবা এদেশেই বড় হতে হতে রক্তের সম্পর্কের চেয়েও বড় করে তুলে ধরতে পেরেছিলেন এঁরা এক প্রতিবেশ কিংবা প্রতিবেশী-চেতনার পতাকাকে। আর একটি কথা, করুণাসিন্ধু দে, শক্তিপদ ব্রহ্মচারী, উদয়ন ঘোষ, বিজিৎকুমার ভট্টাচার্য - এঁরা সবাই পরবর্তী জীবনে বামপন্থায় বিশ্বাসী হয়ে পড়লেও যে ভূগোল-চৈতন্যের কথা আমরা এখন বলছি তা কিন্তু শেষপর্যন্ত আটকে থাকেনি কোনও বামপন্থী-নিগড়ে, আত্মপরিচয় সন্ধানের সমার্থক হয়ে উঠেছে তা কখনও কখনও। যেমন শক্তিপদ-পূর্ববর্তী কবি দেবেন্দ্রকুমার পাল চৌধুরীর "হাফলং হিল' নামের এক অসামান্য কবিতা আছে, তাতে আকাশে সদ্য ওঠা তারাদের দেখে কবির মনে হচ্ছে-

    "ব্রাসো-দেওয়া ঝিকিমিকি
    পিত্তল-পিন?
    আকাশেরে এঁটে দিল
    সন্ধ্যা-তিমিরে।'


    আবার যে অশোকবিজয় রাহা সিলেট থেকে কলকাতা যাবার মাঝখানে কর্মসূত্রে অল্পদিনের অতিথি হয়েছিলেন বরাক উপত্যকার, তিনিও কবিতা লিখেছিলেন নাগারানির পবিত্র চুল নিয়ে, কিংবা কাছাড়ের ডলু-পাহাড়ের জ্যোৎস্না রাতকে নিয়ে। রামেন্দ্র দেশমুখ্যের "প্রেমিকা শহর' যেমন এক কবির স্বদেশভূমিতে ফিরে আসার আর্তি, তেমনই সুধীর সেনের "রিহাং নৃত্য' তো প্রতিবেশী-চেতনারই দুর্মর সাক্ষ্য, তাই নয় কি?

    "... সাপের মতন
    যেন সে পেরিয়ে এল ত্রিপুরার পাহাড়িয়া বন।'


    এই ভূগোল-চৈতন্যের আরেকটি মুখও আমরা খুঁজে পাই আসামে। না, শুধু আসামেই নয়, সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চলে। ত্রিপুরার বাংলা কবিতার এক অন্যতম পাওয়ার হাউস যেমন কবি সমরজিৎ সিংহ যাঁর মাতৃভাষা আসলে বাংলা নয়, বরাক উপত্যকারও তেমনি আছেন এক পাওয়ার হাউস - বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরভাষী কবি ব্রজেন্দ্রকুমার সিংহ। যে কোনও বাঙালি ছেলের ঘাড় ধরে তাকে তার মাতৃভাষা শেখানোর অবিশ্বাস্য ক্ষমতা ধরেন এঁরা। তাই ব্রজেন্দ্রকুমার সিংহ যখন তাঁর "পঁচিশে বৈশাখ' নামক কবিতায় লেখেন -

    "আমাদের শব্দ অর্থ পরেছে গাধার টুপি, আর
    আনুষঙ্গহীন পরিধান।'


    তিনি তো এক সাংস্কৃতিক ভূগোলেরই পরিসরের কথা বলেন যে পরিসর "রুদ্ধশ্বাস বিজ্ঞাপন মায়া'য় আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে বসেছে। কিংবা বরাক উপত্যকার বধূ অনিতা দাস ট্যান্ডন একটি ককবরক কবিতা পাঠ করে লেখেন -

    "নোয়াই পাখি, তুমি ফিরে এসো।
    নোয়াই পাখি, তুমি ফিরে এসো।
    তোমার পালকে লুকানো চিঠিটি
    আজও তুমি কাউকে দিতে পারনি।
    নোয়াই পাখি, তুমি ফিরে এসো
    বসে আছি তোমার পালকে
    লুকানো সেই চিঠির অপেক্ষায়।'


    তখন ভৌগোলিক সেই চৈতন্যের কি অসামান্য বিস্তার দেখুন - ঠিক যেমনটা ঘটে অসমীয়া দুই কবি সমীর তাঁতি আর সনন্ত তাঁতির বাংলাভাষায় লেখা কবিতায়। তখন কি মনে হয় না যে ভূগোল-চেতনা তো আসলে সাংস্কৃতিক এবং মানসিক কাঁটাতারগুলিকে ছাড়িয়ে যাওয়ারই নাম হয়ে উঠেছে এই আসামে তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলে? সত্যিকারের ভূগোলজ্ঞান তো কেবল বৈচিত্র্যই মানে, কোনও ঘেরাটোপ মানে না।

    বরাক উপত্যকা ছেড়ে যাওয়া দুই কবি-প্রতিভা স্বর্ণালী বিশ্বাস ভট্টাচার্য ও সপ্তর্ষি বিশ্বাস যেমন অবচেতনেই তাঁদের ভূগোলকে মনের ভেতর গেঁথে নিয়ে চলে যান, তেমনই এই আসাম-দেশেই তো উত্তরবঙ্গের মানচিত্র-প্রান্তর-তিস্তাতোর্ষা মাথায় করে নিয়ে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বসতি গাড়েন দুই কবি- বিকাশ সরকার আর অভিজিৎ চক্রবর্তী। তারপর কি হয় দেখুন। বিকাশ এই ভূগোলে বসেই তাঁর শৈশবের গ্রাম গয়েরকাটার দিকে এক অনন্ত মানসভ্রমণে মেতে ওঠেন। মানচিত্রের অবরোধ ভেঙে পড়ে। এক প্রান্তিকতা আরেক প্রান্তিকতাকে কাছে টেনে নেয়। কারণ কে না জানে, আজকের এই রাজনৈতিক মানচিত্রে কলকাতার কাছে উত্তরবঙ্গ এখনও এক প্রান্তই।

    "হোজাই পেরিয়ে তারপর একবার ডংকা মোকামের দিকে যাই
    বাসের ভিতর থেকে বিহুগান গেয়েছিল ভ্যালেরির বউ
    উমলিনে গারোবালিকার পিঠে ছিল কার জানি নখের আঁচড়
    নেলির পথে বসে আমরাও কম তো দেখিনি বলো নরসংহার।'


    আর অভিজিৎ চক্রবর্তী তাঁর পত্রিকার নাম দেন "কবিতার পূর্বোত্তর'। ভৌগোলিক প্রান্ত এভাবেই আরেক ভৌগোলিক প্রান্তের সংহতকরণের চেষ্টা চালায়। অভিজিৎ-এর একটি কবিতা দেখুন:

    "কিছু কবিতা বাপ-মা-মরা সংসারে রুগ্ন ছেলেটার মতো
    গামছা জড়িয়ে যে ঠাকুর দেয় সকালে সন্ধ্যায়
    যে সহিষ্ণু মাছ-কোটা শিখে নেয়
    যে জানে আদা চিরে কাঁচালঙ্কা বাটা, জানে রসুন ফোড়ন
    স্বপ্নে যে মুরগি পালে, ডিম ফোটায়, আনে স্বচ্ছলতা
    আর ব্যবসা দাঁড়ালে যে ভাইটার বিয়ে দেবার অপেক্ষায় আছে
    হ্যঁ¡, একটা পুংলিঙ্গ আছে বটে তার, নতমুখ
    এমনকি নিম্নবিত্ত গাদাগাদি রাতেও মাথা-তোলার সাহস করে না।

    নখে-হলুদ এইসব বাংলা কবিতার সঙ্গে
    গুয়াহাটি-শিলচরের বাসে আমার প্রায়শই দেখা হয়ে যায়।'


    মনে হয়না কি গুয়াহাটি-শিলচরের এই পথটিই শেষপর্যন্ত আমাদের পার্কস্ট্রিট হয়ে উঠেছে যেরকম তা আরও আগে হয়েছিল দেবাশিস তরফদারের এই পথ নিয়ে লেখা দীর্ঘ কবিতায়?

    মনে হয়না কি, যে ভূগোল-চেতনার সঙ্গে নান্দনিকতার সহাবস্থান এককালে এতদ্দেশের কবিতায় সচরাচর ঘটত না, একালে এসে তা কেমন অনায়াসেই ঘটে যেতে পারছে? মনে হয়না কি, এই ভূগোল-চৈতন্য আসলে, উত্তরপূর্বাঞ্চলের আবহে এক দার্শনিকতারও রূপ পরিগ্রহ করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কোথাও ভেতর ভেতর?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপার বাংলা | ১১ জুলাই ২০১১ | ১৫৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন