এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  কূটকচালি

  • ব্র্যান্ডমাস্টার

    যশোধরা রায়চৌধুরী লেখকের গ্রাহক হোন
    কূটকচালি | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ | ৮০২ বার পঠিত
  • পরীক্ষায় ভাল করলে তারা সব কিটক্যাট খায়।

    আমার একটা কবিতার লাস্ট লাইন এটাই ছিল। কিন্তু এখন আর কবিতাটা লিখলে এই লাইনটা লেখা যাবে না। কিটক্যাট এখন তেমন কোন বাঘা ব্র্যান্ড নয়, যা ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চারা সারাক্ষণ খাচ্ছে। এখন লিখলে অন্য কোন ব্র্যান্ড দিয়ে ব্যাপারটা বোঝাতে হবে। ফুডুল অথবা ইপ্পি, চকো অথবা বিগ বাবুল... অবস্থা, স্থান, কাল , পাত্র অনুসারে ভ্যারি করবে ব্যাপারখানা...

    ব্র্যান্ডের এটাই সমস্যা। ব্র্যান্ডবাজির ভেতরে কোন অবিনশ্বর পরমেশ্বর নেই, সারদামণির স্টাইলে, "যখন যেমন, তখন তেমন' আছে।

    ব্র্যান্ড নিয়ে এটাই আমার প্রথম বলবার কথা। লাস্টিং ভ্যালু নেই কোন একটি ব্র্যান্ডের, অথচ ব্র্যান্ডভ্যালু ব্যাপারটা লাস্টিং। না না, লাস্টিং নয়, তারও একটা জন্ম–শৈশব-বেড়ে ওঠা আছে। যেসব সমাজতাত্ত্বিকের ক্ষেত্র। বেশ বেশ। তা, ব্র্যান্ডের মধ্যে যে একটা মার্লন ব্র্যান্ডো মার্কা পুরুষালি জৌলুশ আছে সেটির মূলে তো অর্থ । টাকা না থাকলে প্রোডাক্ট হয় না, আর টাকা আরো আরো না ঢাললে সেই প্রোডাক্টটিকে ব্র্যান্ডিং করানো যায় না, বেচা যায় না। প্রচুর বিজ্ঞাপনের পর এক একটা জিনিশের ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি হয়। নাম শুনলে এক ডাকে চিনতে পারার ক্ষমতা আসে ব্র্যান্ডের।

    সেভাবে দেখলে এক সময় থেকে আরেক সময়ে, বা এক বছর থেকে আর এক বছরে, ব্র্যান্ড বিলাসিতা বা ব্র্যান্ড হুজুগের দিকে তাকিয়ে নতুন নতুন তালিকা তৈরি করতে হবে, সময়ের সঙ্গ ধরতে হবে ব্র্যান্ডের তুমুল জনপ্রিয়তার নিরিখেই। সে তালিকা যথেষ্ট লম্বা, কিছু কিছু কাগজওয়ালা পয়সা কড়ি নিয়ে (ব্র্যান্ড-ওয়ালাদের থেকেই টাকা কড়ি পাওয়া যায় ভাল) টপ টেন, টপ টয়েন্টি, বা টপ হানড্রেড এমন ব্র্যান্ড তালিকা বানাচ্ছেন ও বেচছেনও বটে।



    এসব নেহাতই বাজারি মেইনস্ট্রিম ব্যাপার। এর ভেতরে কোন গুরুচন্ডালির সম্ভাবনাই নেই। সবই খুব গ্রামার মেনে করা কাজ। আমাদের তাই কোন ইন্টারেস্ট নেই সে সবে। আমাদের তাহলে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কোন কাজই থাকছে না এ ক্ষেত্রে? এমনও আবার হয় নাকি? রে ব্যানের চশমা নাকে সেঁটে, সত্য পলের শাড়ি বা রিতু ভিমানির জামা পরে, গুচ্চির জুতো পরে, গুচ্ছের টাকার গন্ধ ছড়িয়ে যে যে ছেলেমেয়েগুলো সামনে দিয়ে চলে গেল তাদের দিকে তাকিয়ে ল্যা ল্যা করে লাল ঝোল ফেলা ছাড়া আরো অনেক কাজ থেকে যায়।

    এই তালিকার বাইরে কারা কারা আছে সেইদিকেই তাকানো একটা কাজ হয়ে ঊঠতে পারে।

    আমাদের বং লাইফস্টাইলে বহুদিন যাবত গেঁথে আছে যেসব ব্র্যান্ডিং, যেমন । তাদের কোন হ্যাতক্যাত নেই, কোন উত্থানপতন নেই, কোন পাশ ফিরে শোয়া নেই। তারই একটি অলটারনেটিভ তালিকা বানান যেতেই পারে:

    বাঙালির বগলে পাউডার। পন্ডস পাউডারের গোলাপি কৌটোটি অনেকদিনের । সেই কবে মা বা কাকির ড্রেসিং টেবিল থেকে টিনের সেই কৌটোটি ঝেড়ে দিয়ে, আমি ও বুটু মেঝেতে পাউডার ছড়িয়ে ব্যালে নাচ ব্যালে নাচ খেলেছিলাম পেছল শানে পা ঘষে। ফলত মাথা ফাটা আছাড় খেয়ে। সেই পন্ডসের জায়গায় আরো কিছু কিছু অ-ব্র্যান্ডেড নামের আনাগোনা ছিল, তার উবে গেছে গ্রীষ্মের সন্ধেতে ক্রমক্ষীয়মান পাউডারের গন্ধের মত । তাদের মধ্যে একটির নাম হালকা ভাবে মনে পড়ে, কিউটিকিউরা। কী অদ্ভুত নাম। আর বোধ হয় ছিল মাইসোর স্যান্ডালে–এর কৌটোগুলোও। পরে ওগুলোতে কানের দুল, ক্লিপটিপ রাখা যেত, দিব্যি শক্তপোক্ত কৌটো।

    তারপর ধরুন, বাঙালির পাড়ার দোকান । ব্র্যান্ডহীন পাড়ার দোকানগুলো ছিল নিজেরাই এক একটি ব্র্যান্ড । প্রসঙ্গত, আমার এক বন্ধুর বরের জীবনের স্বপ্ন ছিল মুদিখানার মালিক হবার। হাতে হাতপাখা, পিঠে ঘামাচি, কোমরে লুঙ্গি, ভুঁড়িতে মাছি পিছলে যায়। সারাদুপুর ঘুমের পর বিকেলে দোকানের ঝাঁপ খুলে রাস্তার সবার সঙ্গে আড্ডা দেয়। ভদ্রলোকের অবশ্য বাড়িতে ওটাই চেহারা, শুধু মুদির দোকানটা বাদ গেছে জীবন থেকে। হাই পাবলিক লাইফের চূড়ান্ত এই ফর্মটা ওনার খুব পছন্দ কেননা জনসংযোগের দিক থেকে এটার মত এফেক্টিভ আর কিছুই না। ভদ্রলোক হিউম্যান ওয়্যার নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে পছন্দ করেন, মানে সাদা বাংলায় আড্ডাবাজ। বাকি সব কাজ ফালতু মানেন।

    বাঙালির পাড়ার দোকান যদি শপার স্টপ বিগ বাজার প্যান্টালুন রিলায়েন্স ফ্রেশ টারগেট হ্যানোত্যানো সব কটি ব্র্যান্ডের শপিং মলের সঙ্গে তুলনা করেন, তাহলে দেখবেন, তোমারই তুলনা তুমি প্রাণ! আসলে তুলনাই চলে না। ঘুপচি দোকানগুলোর ভেতরে এসি নেই, আলোর রমরমানি নেই কিন্তু চমৎকার অ্যাম্বিয়েন্স পাবেন। গ্রীষ্মের দিনে ঠান্ডা থাকবে। এত অন্ধকার, সেখান থেকে ডাল তেল নুন কোনকিছুই ব্র্যান্ড বেছে কেনা যাবে না। টাটা নমক চাইবেন, পাবেন ঘড়ি নমক। ফুলছাপ জিনিস কিনতে চাইলে পাবেন মালিনী ছাপ জিনিস। নাকের বদলে নরুনের মত ফুলের বদলে মালিনী। ক্ষতি কী। আর আটা বা তেলের প্যাকেটের সঙ্গে দু তিনটে মরা আরশুলাও ফ্রি পাবেন। এই আর কি। কিন্তু জিনিস এনে দেবার দ্রুততা আর তালিকায় দাম যোগ করার দ্রুততা, দুইই দেখার মত হবে। তালিকাটিতে যোগে ভুল থাকতেই পারে, সেটা ব্র্যান্ডেড দোকান সি থ্রি-তে গিয়েও আমার দু তিনবারের অভিজ্ঞতা। পুঁক করে লাল চোখ দিয়ে বার কোডিং পড়ে যে যন্ত্রটি, তার বদান্যতায় একাধিকবার একটি শ্যাম্পু ক্রয় করে আমি তিনটির দাম দিয়ে চলে এসেছি, একবার পড়তে যন্ত্রগণক তিনবার পড়েছিলেন । সেই থেকে লম্বা ফালি ফালি বিলের ফিতে আমি দোকান থেকে বেরোবার আগেই সবটা পড়ে বেরোই, লক্ষ্মীপুজোর দিনে পুরোহিতদের বিড়বিড় করে সুপার কুইক মন্ত্র পড়ার ভঙ্গিতে। একবার বেরিয়ে গেলে ফিরে এসে শতবার কমপ্লেন করেও পাওয়া যাবে না পয়সা ফেরত। আনব্র্যান্ডেড পাড়ার দোকানে যোগে ভুল পেলে ফিরে এসে ধমকানো যায় কাকুকে। এমনকি, পাড়ার দোকানে ধারেও জিনিস কেনা যায় হারগিস, যদিও কাকু লজ্জা লজ্জা ভাব করে নোটিশ টাঙিয়েছেন, আজ নগদ, কাল ধার।

    বাঙালির সরষের তেলটি খাঁটি হওয়া চাই কিন্তু ব্র্যান্ড বার বার বদলে যায়, আমাদের কিসসু আসে যায় না। আমাদের সাবানটি সুগন্ধি হওয়া চাই, কিন্ত লাক্স-সিন্থল-ডেটল-লিরিল যা খুশি চলতে পারে, আমরা উদাসীন। আমাদের মাথায় কিন্তু এখনো অমর অজর নারকেল তেল, ব্র্যান্ডটা জবাকুসুম থেকে ঘুরে গিয়েছে লাইট, চিপচিপাহট-মুক্ত আরো কী কী সব তেল-এর দিকে, সকালে আমাদের একঘন্টা দাঁতন করার অভ্যেস কিন্তু কোলগেট টুথপেস্ট একাধিপত্য খুইয়ে বসেছে, তার বদলে একগাদা ব্র্যান্ড ঘেঁষাঘেঁষি করে ভিড় জমাচ্ছে, তবে ম্যাকলিন্স-বিনাকা তার প্ল্যাস্টিকের গুটিগুটি জন্তুজানোয়ার সহ উধাও...

    শুধু একটা ব্র্যান্ডই জেঁকে রইল। হাওয়াই চপ্পলে দিদির ব্র্যান্ডেড অজন্তা। সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে।

    বাঙালির ব্র্যান্ড বিলাসিতার সবচেয়ে বড় এরিয়া আসলে বই-টই পত্রপত্রিকা কাগজপত্তর। সেখানে অসংখ্যের ছড়াছড়ি। বহুস্বরের আন্দোলন। অথচ ব্র্যান্ডিং-এ আনন্দের একচ্ছত্তর এখনো কোন নতুন প্রকাশনসংস্থা ভেঙ্গে বেরোতে পেরেছে? উহুঁ! সব নতুন কাগজ ও পাবলিকেশন ওই স্বপ্ন থেকেই তৈরি হয়, ও ব্যাটাদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাব!

    "দেশ' ব্র্যান্ডটির অপ্রতিরোধ্যতা এতটাই যে চূড়ান্ত প্রকারের অসাংস্কৃতিক অথবা অশিক্ষিত, অথবা শিক্ষিত ও ইংরিজিবলিয়ে, সারাদিন স্টক মার্কেট অথবা দাঁতের ফুটোর বা নাকের ডাক্তারির চর্চা করা বাঙালিও দিনান্তে বসবার ঘরের টেবিলে পড়ে থাকা দেশ উলটে পালটে নিবিড় আত্মপ্রসাদ অনুভব করেন, যাক, বাঙালি হয়ে সঙোস্‌কিতি হল । কুল্টু নই সে অপবাদ কেউ দিতে পারবে না। সার্কুলেশনে অনেক বেশি বাঘা "সাপ্তাহিক বর্তমান' পত্রিকা আভিজাত্য পেল না, পাঠককুল বাজারের মাছওয়ালা থেকে বৃদ্ধা গৃহিণী, টোটাল জনগণ হলে কী হবে। নব্য বাবুর মত ফট ফট করে মানেগুণে দেড়া হয়ে উঠেছে যে সংবাদ প্রতিদিন, আনন্দবাজারের ব্র্যান্ডিং-এর মুখে সে খড়মাত্র।

    কিন্তু দুর্জনে বলে থাকে সে হেন আবাপ–কে নিরন্তর ব্র্যান্ডিং অক্ষুণ্ন রাখার জন্য লড়ে যেতে হচ্ছে। বিজ্ঞাপনের বাজেট বেড়ে চলেছে। কোন বাজারই অনন্তকালের জন্য ধরে রাখা স্বত:সিদ্ধ নয়, তারই প্রমাণ। সুতরাং আরো আরো পরিকল্পনা ফেঁদে চলার হাত থেকে বঙ্গর এমন ব্র্যান্ডো-র মুক্তি নেই। যে বাঙালি আনন্দবাজারকে গালাগালি না করে সকালে চা পর্যন্ত খায় না সে বাঙালির পাতে এখন ছ সাতখানা খবরের কাগজ ... পড়তে হয়, নইলে পিছিয়ে পড়তে হয়-এর প্রচারেও শানাচ্ছে না বোধ হয়!

    যাহোক যে কথা হচ্ছিল। যে ব্র্যান্ডগুলি বড় ব্র্যান্ডের তালিকাভুক্ত নয় সেগুলোকে নিয়েই ভাবা যাক। জামাকাপড়ের ব্র্যান্ড যেমন এই ১০০ কোটির ভারতবর্ষে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ নয়, তবু তো ব্র্যান্ডেড কাপড়জামার চল হয়েছে, হচ্ছে, আরো আরো হবে। আমাদের পাড়ার ছোট্ট টেলারিং শপে কিন্তু তৎসত্ত্বেও পাওয়া যাচ্ছে চমৎকার সব কাপড় চোপড়, ব্র্যান্ডেড-এর মতই ডিজাইন, শুধু দাম দেড় গুণ কম। জিগ্যেস করায় ছেলেটি বলল, বড় দোকান যাদের থেকে কেনে ,আমিও তো তাদের থেকেই কিনি, না দিদি! শুধু আমি ক্যাশ পেমেন্ট করি আর ওরা পেমেন্ট ফেলে রাখে। তাই আমি সস্তায় পাই। আর ওরা বেশিদামে কিনে নিজেদের ট্যাগ লাগায়। তারপর আপনারা আবার সেল-এর মওকা খুঁজে ওসব দোকানে যান। কী লাভ দিদি। জানবেন সব ব্র্যান্ডেড দোকান উঠে যাবে । আমাদের কম্পিটিশন দিতে পারবে না ওরা। দেখুন কদ্দিন পারে। একটূ এসি লাগালেই কি হয়! আর আমি তো কাপড় আপনার মাপে বানাচ্ছি, ওরা তো সব এল, এক্স এল, এক্স এক্স এলের চক্কর! কিচ্ছু ফিট করবে না।

    এ কোন ইউটোপিয়ার কথা শোনাল ছোকরা! এর উল্টোটাই তো শুনে ও পড়ে আসছি কাগজে কাগজে, তত্ত্বে আলোচনায়। বড় পুঁজির হাতে ছোট পুঁজির মৃত্যু। যেমন ঘটছে, ঘটেছে মালয়েশিয়া বা ফিলিপিনসে, চিনে বা দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলিতে। হয়ত এটা ওর স্বপ্নের কথা , যা ও বলল। ছোট পুঁজির স্বপ্ন, ধীরে ধীরে মরুভূমির বুকে জলের ফোঁটার মত মিলিয়ে নিশ্চিহ্ন হবার আগে! কে জানে!

    আমাদের গলায় একটূ একটু করে চেপে বসছে ব্র্যান্ডিং-এর ফাঁস, এমনটাই তো দেখতে পাচ্ছিলাম চাদ্দিকে তাকিয়ে। দেখতে পাচ্ছিলাম ট্রেনে উঠলে আমরা কেমন স্টেশনের কল থেকে জল খাওয়া ভুলে দৌড়ে গিয়ে দুটো বিসলেরির জলের বোতল কিনে এনে নিশ্চিন্ত, বলা যায়না জলটা ওই কলের জলের থেকেও হয়ত বিপজ্জনক। কিন্তু সেসব ভুলে গেলাম। ছেলেটি ওই কথা বলার পর বাইরে বেরিয়ে দেখি, হাওয়া উঠেছে, চৈত্রের, ছেঁড়া শালপাতা উড়ছে, মনে পড়ে গেল অমনি, কলকাতার রাস্তার ফুচকার অ্যাট লিস্ট কখনও ব্র্যান্ডিং হবে না, চিরদিন থেকে যাবে লেবেলের বাইরে।

    কলকাতা কেন, আমাদের দেশের অনেক ভাল ভাল জিনিশেরই ব্র্যান্ডিং হবে না। অপারেশন সানশাইনের পরেও ফুটপাতের দুধ ও চিনি দিয়ে ফোটান হাঁড়ির চায়ের কোন ব্র্যান্ডিং নেই, টোস্ট ডিমভাজার কোন ব্র্যান্ডিং নেই। যেমন থেকে যাবে মোড়ের পানসিগারেটের দোকানের নাম- না- লেখা প্যাকেটের হাতে বাঁধা বিড়ি, থেকে যাবে ঘুগনি আর আচারওয়ালার ঠেলাগাড়ি । থেকে যাবে ফিতে চুড়ি টিপ বিক্রির ছোট্ট ছোট্ট দোকান, ফুটপাতে বিক্কিরি হওয়া অসমভব সস্তা বাচ্চাদের টেপফ্রক আর সস্তা কাপড়ের ব্লাউজ সায়া । বটতলা নেই, কিন্তু বটতলামার্কা হলুদ মলাট বইএরও ব্র্যান্ড নেই! এখন সিডির রমরমার যুগে পাইরেটড হলুদ সিডি থেকে যাবে। ব্র্যান্ড নেই।

    দেড় লাখি ব্র্যান্ডেড হিরে বসানো ঘড়ি পরতে গিয়ে ব্যাংকে টাকা তছরুপ করা মেয়ে অফিসারটির গল্পটা তো আমিই লিখেছিলাম, না, যতদূর মনে পড়ছে। ব্র্যান্ডিং মানে আরো লোভ আরো কান্না আরো সংশয় আরো খারাপ খারাপ করে বাঁচা।

    জয় আন্ডার ডেভেলপমেন্ট!

    ছবি: সুমেরু মুখোপাধ্যায়
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • কূটকচালি | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ | ৮০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রৌহিন | ***:*** | ১৭ মে ২০১৫ ০৫:৪৩89000
  • টিঁকে যাওয়া ব্র্যান্ডের কথা যখন উঠল - পন্ডস আর অজন্তা ছাড়াও - বোরোলিন, ব্রিটানিয়া থিন এরারুট, লিঙ্ক পেন, রেজিনা ব্রা, মার্গো সাবান আর লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট - ভারতীয় জীবন বীমা নিগম - আর কিছু মনে পড়ছে না এখন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন