১.
যে কবিতা কথা বলে বেশি, তার সঙ্গে
মনোমালিন্য হয়েছে বহুদিন
দ্রাক্ষাময় আঙুরলতাকে বাসস্টপে
দেখে, মনে হল ফিরছে সুদিন।
২.
আমাকে স্বতন্ত্র করো কুমড়ো ফুলের মতো
ওগো রাঙা রোদ চোঙার ভিতর স্বচ্ছ-জলে
রেণুস্নান খোলে বক্ষবন্ধনীর ছাল
মহীকোষ দোলে দোলায় আমার স্নিগ্ধসুনিবিড়
৩.
মৃত আমি, এ-চিন্তা হয়ত অনিবার্যভাবে
সামান্য হলেও দুঃখ দেয় কাউকে কাউকে
আমারও কষ্ট হয়, যেই ভাবি আমার বিরহ-তাপ
সেইদিন আর ছোঁবে না তোমাকে।
৪.
দুপুরবেলায় বাঁশপাতার মতন তীক্ষ্ণ মেয়েটির কাছে আমি নির্জনতা চেয়েছি যেরকমভাবে,
তার চেয়েও হাল্কা বাতাস উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে জলভরা সন্দেশের মতো মেঘ,
আর হেসে উঠছে বরাহনন্দন, অদৃষ্ট আমার।
৫.
কলাপাতা মেয়েটির কাছে যেই আমি দাবী করলাম হর্ষবর্ধন আর অমনি আমি ডুবে গেলাম পাপে।
ঠিক ডুবে গেলাম বলা যায় না, বরং বলা চলে হাবুডুবু খেতে লাগলাম।
আর দু’দিক থেকে হাততালি দিয়ে উঠল প্রিয় গবাদি পশুরা।
৬.
রাতদুপুরে আমার ধুনুচির ’পরে পরি নামছে।
অবিকল পাশের বাড়ির ঠিকে ঝি-র কলেজে পড়া মেয়েটির মতো।
তার মুখ জ্যোৎস্না রাতের আলোয় দেখা ঝিলের জলে ভাসমান মেঘ।
এই আমি, তারই হাতে হাত রেখে খুলে রাখছি আমার মহাজাগতিক বৃষ্টিবাকল।