এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • মুক্তধারার বাঁশিওলা

    ইন্দ্রাণী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৩ মে ২০১৩ | ১১৬২ বার পঠিত
  • ১৩২৮ বঙ্গাব্দের চৈত্রসংক্রান্তির শান্তিনিকেতন । 'মুক্তধারা' লেখা শেষ হ'ল রবীন্দ্রনাথের।

    ১৪১৭ বঙ্গাব্দে মুক্তধারার প্রাসঙ্গিকতা বিচারে বসেছে সে। মাঝখানে প্রায় নব্বই বছর। প্রাত্যহিকতায়, জীবনচর্যায় মুক্তধারার চরিত্রসমূহের, রূপকের ওতপ্রোত অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব প্রমাণ করবে মুক্তধারার প্রাসঙ্গিকতা। সে পারিপার্শ্বিক জীবনচর্যার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে চেষ্টা করবে মুক্তধারার রূপক। খুঁজবে শিবতরাই, উত্তরকূট তার দৈনন্দিনে। এই দৈনন্দিন, তার চর্যা যে এমন-যা দেখে সে তার চতুর্পার্শ্বে - তার কর্মক্ষেত্রে, তার দৈনন্দিনে, যা পড়ে সে-মিডিয়ায় , দ্রুত চোখ বুলিয়ে যাওয়া পেপারব্যাকে অথবা নিছক ব্লার্বে-মুক্তধারার চরিত্রদের অস্তিত্ব কি কোথাও প্রত্যক্ষ করেছে সে? কোথাও? কোনো অনুষঙ্গে তার কি কখনও মনে এসেছে শিবতরাই? অভিজিৎকে খুঁজেছে সে কখনও? তার দৈনন্দিনে? অথবা পেয়েছে খুঁজে? বিভূতিকে দেখেছে? শুভ্র বস্ত্র লুটিয়ে কেউ কি ডেকে যায় - 'সুমন! আমার সুমন!'? নব্বই বছরে জীবনচর্যা বদলেছে। আমূল। বঙ্গাব্দ শব্দটি-ই বিদায় নিয়েছে দৈনন্দিন থেকে। নেই চৈত্রসংক্রান্তিও। আছে শপিং প্লাজা, মাল্টিপ্লেক্স, সেলফোন, আইপড। রিয়ালিটি শো। সাকিনও বদলে ভুবনগ্রাম যেখানে কুন্ঠিতচরণ প্রবেশ বাংলাভাষার। অথবা অনুপস্থিত।

    গড়পড়তা সাধারণ মানুষ-ইঁদুরের পাল যেন-দলে দলে-দৌড়ে চলেছে। উদ্দেশ্যহীন।অষ্টপদী রাজামশাই জাল বুনছেন, জাল ফেলছেন, গুটিয়ে আনছেন। ইঁদুর দৌড়ছে, হাঁফাচ্ছে, আবার দৌড়ছে। আটকে পড়ছে ইঁদুরকলে। রক্ত মজ্জা ঘিলু মাখামাখি-থেঁতলে পড়ে থাকছে অকারণ। যত্রতত্র। ছাতা চটি ব্যাগ -গার্হস্থ্যের যাবতীয় উপকরণ ছড়িয়ে থাকছে মৃতদেহের চতুর্পার্শ্বে।হাতের জালিব্যাগ থেকে গড়িয়ে যাচ্ছে কমলালেবু। নিতান্ত অকারণ এই সব মৃত্যুর ভীড়ে আজ সে খুঁজুক অভিজিৎকে। খুঁজতে গিয়ে আজ সে জানুক আভা চ্যাটার্জির পেপারটির অস্তিত্ব। জানুক, মুক্তধারাকে ভিত্তি করে ভারতের প্রখ্যাত টেকনোলোজিকাল ইনস্টিটিউটের এঞ্জিনিয়ারিং এথিকসের কেস স্টাডি যেখানে অধিকাংশ তরুণ এঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রর কাছে বিভূতি-ই নায়ক। অভিজিৎ তাঁদের কাছে নিছক কাল্পনিক চরিত্র। অবাস্তব। তবু, মুক্তধারার প্রাসঙ্গিকতা বিচারে, ইঁদুরের ভীড়ে খুঁজে ফেরা সেই মানুষকে। যেমন ছিল অভিজিৎ। যা হ'তে পারত বিভূতি। যাকে আজকের পরিভাষায় বলা হয় হুইসল ব্লোয়ার । যাকে সে বলবে বাঁশিওলা। বাঁশিওলার অন্বেষণই নব্বই বছর পার করা নাটকটির প্রাসঙ্গিকতার শেষ কথা বলুক -এই লেখায়।

    হুইসল ‌ব্লোয়ার শব্দটি উঠে এসেছিল পুলিশের চিরকালীন হুইসল্‌ বাজানোর প্রথা থেকে। কোনো অপরাধ সংঘটনের সম্ভাবনা দৃষ্টিগোচর হ'লেই পুলিশ অফিসারটি তৎক্ষণাৎ বাঁশি বাজিয়ে সতর্ক ক'রে দেবেন সাধারণ মানুষকে।একই সঙ্গে আশু বিপদ সম্বন্ধে সচেতন হবেন অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মী, আইনরক্ষক।

    পরবর্তীকালে এই শব্দটি-ই ব্যবহৃত হ'তে থাকে আরও বৃহত্তর অর্থে। কোনো সংস্থার কার্যকলাপে জনগণের সমূহ বিপদ সম্ভাবনায় ঐ সংস্থারই কোনো কর্মী যখন জনসমীপে আনেন সংস্থার সম্পূর্ণ আভ্যন্তরীণ সমস্যাটি-সেই কর্মীকেই হুইসল ্‌ব্লোয়ার বলা হয় আজকের দুনিয়ায়।

    অলউইন জনসন যেমন। মেলবোর্নে ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়ান ব্যাঙ্কের উচ্চপদে আসীন। পদোন্নতি হয়ে তাসমানিয়া ব্রাঞ্চের চিফ ম্যানেজার। তাসমানিয়া এসে অলউইনের নজরে এলো ব্যাঙ্ক ঋণ সংক্রান্ত বিবিধ অনিয়ম। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারেবারে জানিয়েও কোনো লাভ হ'ল না। অলউইন তখন তৎকালীন প্রিমিয়ার মাইকেল ফিল্ডকে পরপর দুটি চিঠি দিলেন ব্যাঙ্কের আর্থিক নিরাপত্তার সংকট জানিয়ে। সাক্ষরবিহীন সে সব চিঠিতে বারেবারে আবেদন করা হ'ল-অনতিবিলম্বে সিদ্ধান্ত না নিলে সমূহ ক্ষতি। প্রিমিয়ার সঙ্গে সঙ্গে অডিটর নিয়োগ করলেন আশঙ্কা খতিয়ে দেখতে। অডিটের রিপোর্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইস্তফা দিলেন। বোর্ডের তরফ থেকে অজ্ঞাতনামা পত্রলেখককে ধন্যবাদ জানানো হ'ল। এরপরেই গল্পটি একদম অন্য বাঁক নেয়। সে বছরেই তাসমানিয়া ব্যাঙ্ক অন্য একটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে মার্জ করে যায়-ব্যাঙ্কের নতুন নাম ট্রাস্ট ব্যাংক। নতুন ব্যাঙ্ক, নতুন সি ই ও। কী খেয়াল হ'ল জনসনের, নতুন সি ইও কে জানালেন, তিনিই সেই অনামা পত্রলেখক। সেই দিন থেকে জনসন ব্রাত্য হয়ে গেলেন সংস্থায়। আর তিন মাসের মধ্যে চাকরি চলে গেল তাঁর। সি ই ও স্বয়ং ডেকে জানালেন, তাঁর আর প্রয়োজন নেই ব্যাঙ্কে। সিকিউরিটি গার্ডকে ডেকে বিল্ডিং থেকে স্রেফ বের ক'রে দেওয়া হ'ল জনসনকে। সিইওর তরফ থেকে অতীব পেশাদারি দক্ষতায় প্রচারিত হ'ল যে পার্সোন্যালিটি টেস্টে দেখা গেছে জনসন ট্রাস্ট ব্যাঙ্কের দায়িত্বের অনুপযুক্ত এবং জনসনের পূর্ববর্তী সমস্ত প্রোমোশন সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও নিয়ম বহির্ভূত। শেষ করে দেওয়া হ'ল জনসনের কেরিয়ার।

    ঠিক যেমনটি হয়েছিল নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ সার্জেন্ট ফিলিপের। পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বহুল প্রচারিত কিছু পরিসংখ্যানের অসত্যতা জনসমক্ষে আনেন ফিলিপ। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় ফিলিপকে একটি হাসপাতালের মানসিক চিকিৎসা বিভাগে ভর্তি করে দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত হুইশল ব্লোয়ারকে মানসিক রোগের তকমা লাগিয়ে দেওয়াই কোনো সংস্থার সর্বপ্রথম প্রতিক্রিয়া। মানসিক রোগ, ডিজওর্ডারড পার্সোনালিটির তকমা এঁটে দিলে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করা অনেক সহজ হয়ে যায়।তদুপরি বাঁশিওলার আত্মবিশ্বাসে দেওয়া হয়ে যায় বড় সড় ঝাঁকুনি।

    জ্যাক কিংএর গল্পটাই ধরুন। জ্যাক কেমিক্যাল এঞ্জিনীয়র। বহু বছর পেট্রোকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে সম্মানের চাকরি। তারপর সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ডিপার্টমেন্ট অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিংএ যোগ দেওয়া। সমস্যার সূত্রপাত তখনই। জ্যাক কোস্টাল ওয়াটার সংরক্ষণের রিপোর্ট দাখিল করলেন ক্যাবিনেটে। রিপোর্টে পোর্ট পিরির লেড স্মেল্টারটিকে ভারি ধাতু দূষণের দায়ে সাব্যস্ত করলেন জ্যাক। ক্যাবিনেট থেকে নির্দেশ এল পোর্ট পিরির যাবতীয় রেফারেন্স অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়ার। অথচ ততদিনে সি এস আই আর ও র বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন লেড স্মেল্টারের ভারি ধাতু কিভাবে মারাত্মক ক্ষতি করছে সে অঞ্চলের জীবজগতের। বলাই বাহুল্য, কিং তাঁর মত থেকে একচুলও বিচ্যুত হ'লেন না। বরং মন্ত্রী, আমলাবর্গের কাছে বারংবার দরখাস্ত করে যেতে লাগলেন। কোনোরকম সাড়া না পেয়ে, বাধ্য হয়ে মিডিয়ায় গেলেন কিং। অর্থাৎ ফুঁ পড়ল বাঁশিতে। সঙ্গে সঙ্গে কিংএর পোজিশন 'রিডানড্যান্ট। এরপর সেই এক গল্প- মানসিক রোগীর তকমা সেঁটে দিয়ে চাকরিটি কেড়ে নেওয়া।

    এ'সমস্তই বিষুবরেখার অপরপারের কথা। উত্তরগোলার্দ্ধ কি অন্য কথা বলে? কেমন আছেন হুইসল ব্লোয়াররা বিষুবরেখার এ'পারে?

    দুশ তেত্রিশ জন অ্যামেরিকান হুইসল ব্লোয়ারকে নিয়ে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নব্বই শতাংশ হুইসল ব্লোয়ার হয় চাকরি খুইয়েছেন অথবা পদাবনতি ঘটেছে তাঁদের, সাতাশ শতাংশের বিরুদ্ধে মামলা, সম শতাংশের ভাগ্যে মানসিক রোগের তকমা, পঁচিশ শতাংশকে মদ্যপ চিহ্নিত কত্রা হয়েছে, সতেরো শতাংশকে গৃহহীন হতে হয়েছে, পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়েছে পনেরো শতাংশ হুইসল ব্লোয়ারের গৃহকোণে, দশ শতাংশ আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন, শতকরা আট শতাংশ পর্যবসিত ব্যাংকরাপ্টে।

    এই পরিসংখ্যান দিয়েই বোধ হয় ব্যাখ্যা করা চলে আভা চ্যাটার্জির পর্যবেক্ষণকে।

    বছর দশেক আগে এঞ্জিনিয়ারিং এথিকসের একটি কেস স্টাডি প্রকাশিত হয় 'টিচিং বিজনেস এথিক্স' জার্নালে। পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রখ্যাত টেকনোলজিকাল ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের এঞ্জিনিয়ারিং এথিকস ব্যাখ্যা করা হয় মুক্তধারা নাটককে ভিত্তি করে। বিভূতি এবং অভিজিতের ভূমিকার বিশ্লেষণ করা হয়েছিল বিভিন্ন তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে- মূলতঃ ষাটের দশকের নরমাটিভ গ্রিডের পাঁচটি থিওরি , মর‌্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাপ্রোচ এবং ভারতীয় দর্শনের দৃষ্টিকোণ থেকে। ব্যাখ্যা করা হয়েছিল অভিজিতের মানসিকতার, সেই সঙ্গে বিভূতিরও। বিভূতির করণীয়, অ-করণীয় অথবা অভিজিতের আত্মোৎসর্গ । ক্লাসরুমে আলোচনা চলাকালীন দেখা গেছে-আভা চ্যাটার্জী যেমন লিখেছেন-অধিকাংশ ছাত্রর কাছেই নায়ক অভিজিৎ নন। বিভূতিই আদর্শ তাদের, বাস্তব প্রেক্ষিতে। বিস্তর তর্কাতর্কির পরে ছাত্ররা জানিয়েছিলেন, আধুনিক জগতে, ম্যানেজারের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যাওয়াটাই অনুচিত। এই ছাত্রদের তথাকথিত ঔচিত্যবোধ 'বস'এর তুষ্টিসাধনের পক্ষে। আপোষহীন অনন্য কারিগর হওয়ার চেয়ে স্বস্তির জীবনই কাম্য তাঁদের। অভিজিৎকে ঝাপসা ঠেকে এঁদের। অবোধ্য। এবং ঘোরতর অবাস্তব।

    মুষ্টিমেয় ক'জন কেবল অভিজিতের পক্ষে। কতিপয়। তা'ও শুধুই তাত্ত্বিক আলোচনায়। মুক্তধারার প্রাসঙ্গিকতা অথবা অ-প্রাসঙ্গিকতা তবে কি এই সংখ্যাবিচারেই সীমাবদ্ধ থাকবে? নব্বই বছরের নাটকটির প্রাসঙ্গিকতা অনুসন্ধানে, পরিসংখ্যানই শেষ কথা বলবে? অভিজিৎ রইবে প্রাচীন নাটকটির পাতায়- একটি অবাস্তব চরিত্র হয়ে? প্রাসঙ্গিকতাকে অক্লেশে পিছনে ফেলে দেবে অ-প্রাসঙ্গিকতা?

    ঠিক এইখানে এসে দাঁড়ায় তারা।

    আই আইটির এঞ্জিনীয়র, ইন্ডিয়ান এঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসে কর্মরত- জানতে পেরেছিল গোল্ডেন কোয়াড্রিল্যাটেরাল প্রজেক্টের দুর্নীতির কিছু কথা। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি লিখে জানিয়েছিল। এবং , অবশ্যম্ভাবী- ফাঁস হয়ে গিয়েছিল তার পরিচয়। ফলস্বরূপ, গুলিবিদ্ধ পড়ে রইল সে গয়া রেলস্টেশনের কাছে। সাতাশ বছর বয়সেই।

    অথবা ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের তরুণ মার্কেটিং ম্যানেজারটি। যে ধরে ফেলেছিল পেট্রল স্টেশনের জালিয়াতি-পেট্রলে ভেজাল। অবিলম্বে বন্ধ করে দিয়েছিল পেট্রলস্টেশনগুলি। স্টেশনগুলি পুনরায় চালু হ'লে, সারপ্রাইজ রেইড করতে চেয়েছিল সে। ফাঁস হয়ে যায় সে গোপন তথ্য। পরিণামে, ছ টি বুলেট গেঁথে যায় তার শরীরে।

    অথবা দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ স্টেডিয়াম নির্মাণের যাবতীয় বে-নিয়ম, দুর্নীতি প্রকাশ করেছিল সে। কিম্বা মৃত্যুকে ডেকে এনেছিল।

    অথবা ইরানের তরুণ ডাক্তারটি-কারাবন্দীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে জানতে পারে কারাগারের নৃশংস অত্যাচার। এবং এব্যাপারে তদন্তে নিযুক্ত পার্লামেন্টারি কমিটির সামনে সাক্ষ্য দেয় । ফলতঃ, তরুণ চিকিৎসকটি নিজেই নিক্ষিপ্ত কারাগারে। হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হ'ল পরবর্তীতে-যদিও শাসানি অব্যাহত রইল -মুখ বন্ধ রাখার জন্য। তরুণটির জন্য এ শাসন যথেষ্ট নয় সাব্যস্ত হ'ল অতঃপর। রহস্যময় মৃত্যু ঘটল তরুণ চিকিৎসকের। ছাব্বিশ বছরেই।

    রবীন্দ্রনাটকের শিবতরাই পার হয়ে  ভারতবর্ষ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরাণ।....

    সত্যেন্দ্র দুবে, সন্মুগম মঞ্জুনাথ, জিমি মোলালা, রামিন পৌরন্দরজানি। নাম না জানা আরও কেউ-প্রচারমাধ্যমের আলো পড়ে নি যাদের গায়ে।  ভিন্ন দেশ, ভিন্ন কাল। কাহিনী এক। মৃত্যুকে তুচ্ছ ক'রে দানবসদৃশ লৌহযন্ত্র ভাঙতে উদ্যত তারা। অভিজিৎরা। ইঁদুরের ভীড়ে একলা বাঁশিওলা।
     


    মূল তথ্যসূত্রঃ

    ১। ১৯৯৫ সালে, অক্‌স্‌ফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত ড্যামিয়েন গ্রেস, স্টিফেন কোহেনের 'বিজনেস এথিকসঃ অস্ট্রেলিয়ান প্রবলেমস অ্যান্ড কেসেস'

    ২। ২০০০ সালে টিচিং বিজনেস এথিকস জার্নালে প্রকাশিত আভা চ্যাটার্জীর 'এক্সপ্লোরিং এথিকাল ডাইমেনসান্স ইন টেগোর'স মুক্তধারা।

     

    * সাগ্নিকে ২০১১ সালে প্রকাশিত


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৩ মে ২০১৩ | ১১৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ***:*** | ১৪ মে ২০১৩ ০২:৫৪76717
  • এইটা আগেও কোথায় পড়েছি ..... ব্লগে বোধহয়। আবার পড়লাম। পুনঃপাঠেও বিন্দুমাত্র ক্লান্তি অনুভব করলাম না।

    আবারও পড়ব।
  • I | ***:*** | ১৪ মে ২০১৩ ০৬:৩৯76721
  • ভালো লাগলো। দক্ষতার সঙ্গে পরিশ্রম যখন মেশে, এমনি লেখা হয়।
  • Blank | ***:*** | ১৪ মে ২০১৩ ০৬:৪৭76722
  • খুব ভালো
  • sch | ***:*** | ১৪ মে ২০১৩ ০৭:৫৬76718
  • ইঞ্জিনিয়ারিং এথিক্স -- বড়ো ঝাঁকুনি দিলেন ইন্দ্রাণীদি - ডাক্তারদের হিপক্রেটিক ওথ নিতে হয় - ইঞ্জিনিয়ারদের কোনো শপথ নিতে হয় না...তাই বড়ো নির্ভার তাদের মন। হাতে খড়ি শুরু হয় কলেজ জীবনেই - বুক ফেয়ারে অনায়াসে বই তুলে নেওয়া - ক্লাস টেস্টে আটাচী - তারপর পালিশ বাড়ে চাকরীজীবনে। স্রোতের উল্টোদিকে গেলেই সে আউটলিয়ের। কার্ভে ফিত না করলেই সমস্যা। আউটলিয়ের মানেই আউটকাস্ট। তার পার্সোনাল ট্রেইট খুঁজে দেখো কোথায় সে ব্যতিক্রমী - সেইখানে আক্রমণ করো তাকে। আর তার পর সরিয়ে দাও - দেশ কাল নির্বিশেষে এক চিত্র।
  • ranjan roy | ***:*** | ১৪ মে ২০১৩ ০৮:১৯76723
  • মোক্ষম জায়গায় ঘা দিয়েছেন ইন্দ্রাণী।
    আঙুল তুলেছেন আমাদের দৈনন্দিন ছোট ছোট আপোষের অনন্ত সারণী কেমন করে ব্যব্স্থার অন্যায়ের সঙ্গে
    অনেক বড় আপোষের দিকে নিয়ে যায়।

    ধরুণ আইন ব্যব্সায়। ল' স্কুলে ভর্তির সময় প্রশ্ন করা হয়-- তুমি যদি জান যে আদালতে একটি মিথ্যে তোমার ক্লায়েন্টের প্রাণ বাঁচাতে পারে তখন তুমি কী করবে?
    নতুন ছাত্রটি জানে যে তাকে লিখতে হবে --- আমি মিথ্যে বলব না। কারণ অ্যাডভোকেট হল অফিসার অফ কোর্ট, তার কাজ বিচারক কে সত্য উদ্ঘাটনে সাহায্য করা।
    তারপর পড়তে পড়তে সে জেনে যায় তাহলে কোন ক্লায়েন্ট তার কাছে আসবে না।
    তাকে শেখানো হয় to tear apart the opponent, আদালতের ভেতরে।
    অভিজিতরা ব্যতিক্রম হয়ে প্রান্তিক হয়ে বাঁচে বা মরে। তারা বড় একা হয়ে যায়।
    ঘরের লোকজন আত্মীয় বন্ধুবান্ধব সবাই বলে---- কে বলেছে বাঁশি বাজাতে? সবাই তো চোখ বুঁজে আছে। তোমাকেই কেন বাঁশি বাজাতে হবে?
    তবু মুক্তধারার বাঁশি শোনা যায়। আমরা চমকে উঠি, ভয় পাই। দরজা বন্ধ করি। জানলার ফাঁক দিয়ে দেখি বাঁশিওলাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে ডালকুত্তার পাল।

    লেখাটির জন্যে ইন্দ্রাণীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
  • de | ***:*** | ১৪ মে ২০১৩ ০৮:৫২76719
  • বড় ভালো লেখা -- গায়ে কাঁটা দিয়ে যায়!
  • | ***:*** | ১৫ মে ২০১৩ ০৩:১৯76734
  • আচ্ছা ইন্দ্রানী দি। থ্যাঙ্কু। ঃ))
  • i | ***:*** | ১৫ মে ২০১৩ ০৩:২৫76725
  • লেখাটা বেশ আড়ষ্ট। আমার সব লেখাতেই আড়ষ্টতা থাকে। এটাতে অতিরিক্ত। ২০১১তে সাগ্নিকের সম্পাদক মুক্তধারার প্রাসঙ্গিকতা বিচারের ভার দিয়েছিলেন বেশ কজনকে। বিভূতি চরিত্রটি নিয়ে ভাবতে গিয়ে -রাজার আদেশমত সে বাঁধ বানালো-এনিয়ে ভাবতে গিয়ে এঞ্জিনিয়ারিং এথিকসের কথাই মনে হল। আভা চ্যাটার্জির পেপারটি হাতে এল। তখন অভিজিতকে খুঁজতে যেতে হল। ফোকাস একটু সরিয়ে ্হুইসল ব্লোয়ারের ওপর ফেল্লাম। ফরমায়েসি লেখা বলে লিখতে ভালোবাসিনি। পরে মনে হয়েছে, খুঁজতে গিয়ে কি পেলাম সেটা আছে এ লেখায় , যা খানিকটা প্রেডিকটেবল। এ লেখাতে খোঁজার গল্পটা মিসিং।
  • i | ***:*** | ১৫ মে ২০১৩ ০৩:২৯76726
  • মতামতের জন্য সক্কলকে অশেষ ধন্যবাদ।
  • ranjan roy | ***:*** | ১৫ মে ২০১৩ ০৩:৪৭76735
  • রূপংকরদা,
    আপনার দাদু প্রণম্য, ব্যতিক্রমী বলে। অবশ্যই উনি আইনবিদ হিসেবে প্রফেশনাল সার্কলে নিজের একটি জায়গা প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন। আজ সময় অনেক বদলে গেছে। ওঁর সময়ে কি ভাবা যেত যে সুপ্রীম কোর্টের জজ ( ধরুন সৌমিত্র মুখার্জি, রামাস্বামী বা লুরুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি) আর্থিক করাপশানের দায়ে অভিযুক্ত হবেন?
  • | ***:*** | ১৫ মে ২০১৩ ০৩:৪৮76727
  • ইন্দ্রানী দি, খুব প্রাসঙ্গিক লেখা। আমাদের এই ক্ষয়িষ্ণু সমাজের একটা পরিষ্কার ছবি ধরা পড়েছে এই ছোট ছোট ঘটন গুলো তে। তবু আশার কথা মানুষ এখন ও প্রতিবাদ করেন আমাদের এই পৃথিবী কে আরো সুন্দর করার জন্যে।

    খুভ ভালো লাগলো।
  • | ***:*** | ১৫ মে ২০১৩ ০৩:৪৯76728
  • মনে হচ্ছে ভিড়। "ভীড়" নয়। একটু দেখো তো।
  • Zn | ***:*** | ১৫ মে ২০১৩ ০৬:৫৫76736
  • ইন্দ্রাণীদি, আগেই পড়েছিলাম মুখবইতে তোমার পাতায় এর হদিশ দেখে, এখানে আবার পড়লাম। মুগ্ধ হয়ে।
  • শিবাংশু | ***:*** | ১৫ মে ২০১৩ ০৭:১৩76729
  • ইন্দ্রাণী,
    লেখাটি পড়লুম।
    দেশীয় ঘটনাগুলি সম্বন্ধে ধারণা ছিলো, বিদেশের ঘটনাগুলি এখন জানলুম। বিশেষতঃ সত্যেন্দ্র দুবের ব্যাপারটা বেশ কাছ থেকে জানি। আমার দীর্ঘদিন লালু-রাবড়ির শাসনকালে উত্তর বিহারে বসবাস ও ভ্রাম্যমান থাকার সূত্রে ছোটোবড়ো এরকম অনেক ঘটনারই সংস্পর্শে এসেছি। উপরোক্ত ঘটনাগুলি সংবাদ মাধ্যমের পোষকতা পাওয়ায় সারা পৃথিবীর মানুষ জানতে পেরেছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি উত্তরমধ্য বিহার, যাকে গর্ব করে বলা হয় Killing field of Central Bihar, সেইখানে একটি সুদূর দুর্গম গ্রামীণ এলাকায় ব্রাঞ্চ চালাতাম সেই আমলে। সরকারি স্কিমের ভুয়ো ঋণ দিতে অস্বীকার করায় দু'বার আমার উপর হামলার প্রচেষ্টা হয়। সেই অনর্থে স্থানীয় মাফিয়াদের সঙ্গে সরকারি আমলাদেরও প্রোৎসাহন ছিলো। স্বয়ং স্থানীয় বিডিও আমাকে এসে শাসিয়ে গিয়েছিলো, অন্যে পরে কা কথা। সেই শাখাটি ছিলো গয়া এবং বিহারশরিফের মাঝামাঝি এক জায়গায়। সংযোগবশতঃ স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং জেলাশাসক ( যাঁর সঙ্গে আমার পূর্ব পরিচয় ছিলো) এগিয়ে না এলে সত্যেন্দ্রর মতো ঘটনা হয়তো আমার সঙ্গেও হতে পারতো। তাই অভিজ্ঞতা থেকে জানি এই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতি নিয়ত কতো অজানা অচেনা বাঁশিওয়ালা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন, যা আমাদের সতত অজানা থেকে যায়। কখনও সময় পেলে হয়তো এই নিয়েও দু' ছত্র লিখতে পারি।

    এহ বাহ্য, নিজের লেখাকে 'আড়ষ্ট' বলে শংসিত করা মনে হয় অসমীচীন । এটি বস্তুতঃ একটি প্রতিবেদন, কিন্তু শুকনো খবরকাগজ শৈলির নয়। তাই পাঠকের সংবেদনাকে স্পর্শ করেছে। ফরমায়েসি হতে পারে, প্রেডিক্টেবলও হতে পারে, কিন্তু লেখার উদ্দেশ্যটি সফল হয়েছে, এটাই বড়ো কথা।

    'আড়ষ্টতা'র অভিমানে লেখার স্রোত যেন রুদ্ধ না হয়। ঃ-)
  • রূপঙ্কর সরকার | ***:*** | ১৫ মে ২০১৩ ০৭:৩১76730
  • খুব ভাল লেখা। ভীষণ রকম সত্যি। কিন্তু ভোগবাদী সমাজে এ জিনিষ চলবেই, কিচ্ছু করার নেই।

    রঞ্জন, একটা কথা বলি। আমার দাদুর নাম লেট( স্বর্গীয় অ্যাপ্রোপ্রিয়েট, যদি অ্যাট অল থাকে) দীনেশ চন্দ্র রায়। 'ল'জ অফ ক্রিমিনাল প্রোসিডিওর' বইয়ের লেখক, দীর্ঘদিন আইন কলেজে পড়ানো হ'ত সেই বই। দাদুকে দেখেছি মক্কেল আসলে এক ঘন্টা ধরে পুলিশের মত জেরা করতে। যদি জানতে পারত, লোকটা সত্যি ক্রাইমটা করেছে, দাদু কেস নিতনা। বলত আরও তো নামকরা লোকজন আছেন, তাঁদের কাছে যাও। আমি নিজের চোখে পায়ে ধরে হাউ হাউ করে কাঁদতে দেখেছি। নাছোড়বান্দা হ'লে দাদু ভাল ক্রিমিনাল ল'ইয়ারের ঠিকানাও দিয়ে দিত। তার এক কথা, যে নিরপরাধ কিন্তু ফেঁসে গেছে, আমি শুধু তার কেস করি। দাদুর কিন্তু ক্লায়েন্টের অভাব হ'তনা।
  • sda | ***:*** | ১৫ মে ২০১৩ ০৮:০০76731
  • খুব দরকারী লেখা। ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে আমাদের একটা পেপার ছিল - ভ্যালুজ অ্যান্ড এথিক্স অফ প্রফেশন , সেখানে এই হুইসল ব্লোয়িং সম্পর্কে পড়েছিলাম। এখন বুঝি "ভ্যালুজ অ্যান্ড এথিক্স" আর প্রফেশনালিজম পাশাপাশি মেনে চলা বাস্তবে খুব, খুব কঠিন।
  • i | ***:*** | ১৫ মে ২০১৩ ১১:৪৬76732
  • ব,
    এই আমাদের মাউসবাজি বুনামবিধি সাপলুডো খেলা ... ঃ)

    দুটি বানানই তো হয়। সংসদে ভিড় লেখা। আর ভীড় আছে ভিড় এর বানান ভেদ বলে। তবে এখনকার অকাদেমির এর বানানে বোধ হয় হ্রস্ব ই।

    শিবাংশুদা,
    লিখুন আপনি।

    আবার সবাইকে ধন্যবাদ।
  • sch | ***:*** | ১৫ মে ২০১৩ ১১:৫০76733
  • সদা তাহলে প্রফেসানিলিজম এর মাঝে নিজের অর্জিত নলেজের প্রপার আপ্লিকেশান নয়? কি জানি
  • nina | ***:*** | ১৫ মে ২০১৩ ১২:৫২76724
  • বড় সুন্দর বলেছ ইন্দ্রাণী! বাহ!
  • sosen | ***:*** | ১৬ মে ২০১৩ ০৪:২৯76737
  • আগেই পড়েছিলুম তো। ছোটাইদি বারংবার মুগ্ধ করেন-আড়ষ্টতা ঠিক নয়, স্কলাস্টিক এই লেখা।
  • DB | ***:*** | ১৬ মে ২০১৩ ১০:৫৫76738
  • ভালো লাগল লেখাটা। সেই সঙ্গে মনে জাগল এক ধরণের অসহায়তা। দেশে দেশে কলে কলে তবে কি এইই চেলতে থাকবে ? মুক্তির পথ নেই ?
  • নিরমাল্লো | ***:*** | ১৬ মে ২০১৩ ১২:১০76739
  • অনেক জানা/ অজানা কথাগুলি, ভিন্ন আঙ্গিকে উঠে এসেছে এই লেখায়। আড়ষ্টতার আক্ষেপ আশা করছি বিনয়, কেননা পড়তে গিয়ে একবারও চোখে লাগেনি।
  • অনুপম | ***:*** | ১৮ মে ২০১৩ ০৫:২০76740
  • খুব ভালো লাগলো। অনেক তথ্য জানা গেল। বর্তমান বিচার ব্যবস্থায় যে ভাবে কালাতিপাত করবার সামগ্রিক সমঝোতা পদ্ধতি বছরের পর বছর মানুষকে বিলম্বিত লয়ে বেঁধে ফেলেছে, সেখানে হুইশল বাজাবে কে ? বিচার প্রার্থী ছাড়া বাকি সবাই ঘিয়ে আঙুল দিয়ে বসে আছে যে।
  • চৈতালি | ***:*** | ১৯ মে ২০১৩ ০৬:১১76741
  • আরও একবার সমাজের বাস্তবতার মুখোমুখি হলাম এই লেখাটির মাধ্যমে। অনেক নতুন কিছু জানতে পারলাম। দারুন লেখা।
  • Humayun Ahmed Books | ***:*** | ১৯ মে ২০১৩ ০৭:৩৩76742
  • আমি ঢাকার পাঠক।আপনার লেখনী অসাধারন লাগল।
    ধন্যবাদ আপনার চমৎকার পোস্টের জন্য।
    <a href="http://bdpdfbook.blogspot.com/2013/05/humayun-ahmed-books.html">Humayun Ahmed Books </a>
  • indrani | ***:*** | ২০ মে ২০১৩ ১০:৩৭76743
  • আপনারা পড়েছেন, মতামত দিয়েছেন-সবাইকে আবার ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা।
    বহু বহুদিন নতুন কিছু লিখি নি। খারাপ লাগে। কষ্ট হয় খুব। চেষ্টা করছি লেখার।
  • aranya | ***:*** | ২১ মে ২০১৩ ০১:৪০76744
  • 'যারা চলে গেছে, তারা রয়েছে স্মৃতি, প্রতীতির কোন কক্ষে' , সত্যেন্দ্র দুবে, সন্মুগম মঞ্জুনাথ, জিমি মোলালা, রামিন পৌরন্দরজানি -
    এমন মানুষদের মৃত্যু ব্যর্থ হয় না, এই ভাবে ভাবতে ইচ্ছে করে, এখনও।
    ভাল লেখা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন