১৩২৮ বঙ্গাব্দের চৈত্রসংক্রান্তির শান্তিনিকেতন । 'মুক্তধারা' লেখা শেষ হ'ল রবীন্দ্রনাথের।
১৪১৭ বঙ্গাব্দে মুক্তধারার প্রাসঙ্গিকতা বিচারে বসেছে সে। মাঝখানে প্রায় নব্বই বছর। প্রাত্যহিকতায়, জীবনচর্যায় মুক্তধারার চরিত্রসমূহের, রূপকের ওতপ্রোত অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব প্রমাণ করবে মুক্তধারার প্রাসঙ্গিকতা। সে পারিপার্শ্বিক জীবনচর্যার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে চেষ্টা করবে মুক্তধারার রূপক। খুঁজবে শিবতরাই, উত্তরকূট তার দৈনন্দিনে। এই দৈনন্দিন, তার চর্যা যে এমন-যা দেখে সে তার চতুর্পার্শ্বে - তার কর্মক্ষেত্রে, তার দৈনন্দিনে, যা পড়ে সে-মিডিয়ায় , দ্রুত চোখ বুলিয়ে যাওয়া পেপারব্যাকে অথবা নিছক ব্লার্বে-মুক্তধারার চরিত্রদের অস্তিত্ব কি কোথাও প্রত্যক্ষ করেছে সে? কোথাও? কোনো অনুষঙ্গে তার কি কখনও মনে এসেছে শিবতরাই? অভিজিৎকে খুঁজেছে সে কখনও? তার দৈনন্দিনে? অথবা পেয়েছে খুঁজে? বিভূতিকে দেখেছে? শুভ্র বস্ত্র লুটিয়ে কেউ কি ডেকে যায় - 'সুমন! আমার সুমন!'? নব্বই বছরে জীবনচর্যা বদলেছে। আমূল। বঙ্গাব্দ শব্দটি-ই বিদায় নিয়েছে দৈনন্দিন থেকে। নেই চৈত্রসংক্রান্তিও। আছে শপিং প্লাজা, মাল্টিপ্লেক্স, সেলফোন, আইপড। রিয়ালিটি শো। সাকিনও বদলে ভুবনগ্রাম যেখানে কুন্ঠিতচরণ প্রবেশ বাংলাভাষার। অথবা অনুপস্থিত।
গড়পড়তা সাধারণ মানুষ-ইঁদুরের পাল যেন-দলে দলে-দৌড়ে চলেছে। উদ্দেশ্যহীন।অষ্টপদী রাজামশাই জাল বুনছেন, জাল ফেলছেন, গুটিয়ে আনছেন। ইঁদুর দৌড়ছে, হাঁফাচ্ছে, আবার দৌড়ছে। আটকে পড়ছে ইঁদুরকলে। রক্ত মজ্জা ঘিলু মাখামাখি-থেঁতলে পড়ে থাকছে অকারণ। যত্রতত্র। ছাতা চটি ব্যাগ -গার্হস্থ্যের যাবতীয় উপকরণ ছড়িয়ে থাকছে মৃতদেহের চতুর্পার্শ্বে।হাতের জালিব্যাগ থেকে গড়িয়ে যাচ্ছে কমলালেবু। নিতান্ত অকারণ এই সব মৃত্যুর ভীড়ে আজ সে খুঁজুক অভিজিৎকে। খুঁজতে গিয়ে আজ সে জানুক আভা চ্যাটার্জির পেপারটির অস্তিত্ব। জানুক, মুক্তধারাকে ভিত্তি করে ভারতের প্রখ্যাত টেকনোলোজিকাল ইনস্টিটিউটের এঞ্জিনিয়ারিং এথিকসের কেস স্টাডি যেখানে অধিকাংশ তরুণ এঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রর কাছে বিভূতি-ই নায়ক। অভিজিৎ তাঁদের কাছে নিছক কাল্পনিক চরিত্র। অবাস্তব। তবু, মুক্তধারার প্রাসঙ্গিকতা বিচারে, ইঁদুরের ভীড়ে খুঁজে ফেরা সেই মানুষকে। যেমন ছিল অভিজিৎ। যা হ'তে পারত বিভূতি। যাকে আজকের পরিভাষায় বলা হয় হুইসল ব্লোয়ার । যাকে সে বলবে বাঁশিওলা। বাঁশিওলার অন্বেষণই নব্বই বছর পার করা নাটকটির প্রাসঙ্গিকতার শেষ কথা বলুক -এই লেখায়।
হুইসল ব্লোয়ার শব্দটি উঠে এসেছিল পুলিশের চিরকালীন হুইসল্ বাজানোর প্রথা থেকে। কোনো অপরাধ সংঘটনের সম্ভাবনা দৃষ্টিগোচর হ'লেই পুলিশ অফিসারটি তৎক্ষণাৎ বাঁশি বাজিয়ে সতর্ক ক'রে দেবেন সাধারণ মানুষকে।একই সঙ্গে আশু বিপদ সম্বন্ধে সচেতন হবেন অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মী, আইনরক্ষক।
পরবর্তীকালে এই শব্দটি-ই ব্যবহৃত হ'তে থাকে আরও বৃহত্তর অর্থে। কোনো সংস্থার কার্যকলাপে জনগণের সমূহ বিপদ সম্ভাবনায় ঐ সংস্থারই কোনো কর্মী যখন জনসমীপে আনেন সংস্থার সম্পূর্ণ আভ্যন্তরীণ সমস্যাটি-সেই কর্মীকেই হুইসল ্ব্লোয়ার বলা হয় আজকের দুনিয়ায়।
অলউইন জনসন যেমন। মেলবোর্নে ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়ান ব্যাঙ্কের উচ্চপদে আসীন। পদোন্নতি হয়ে তাসমানিয়া ব্রাঞ্চের চিফ ম্যানেজার। তাসমানিয়া এসে অলউইনের নজরে এলো ব্যাঙ্ক ঋণ সংক্রান্ত বিবিধ অনিয়ম। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারেবারে জানিয়েও কোনো লাভ হ'ল না। অলউইন তখন তৎকালীন প্রিমিয়ার মাইকেল ফিল্ডকে পরপর দুটি চিঠি দিলেন ব্যাঙ্কের আর্থিক নিরাপত্তার সংকট জানিয়ে। সাক্ষরবিহীন সে সব চিঠিতে বারেবারে আবেদন করা হ'ল-অনতিবিলম্বে সিদ্ধান্ত না নিলে সমূহ ক্ষতি। প্রিমিয়ার সঙ্গে সঙ্গে অডিটর নিয়োগ করলেন আশঙ্কা খতিয়ে দেখতে। অডিটের রিপোর্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইস্তফা দিলেন। বোর্ডের তরফ থেকে অজ্ঞাতনামা পত্রলেখককে ধন্যবাদ জানানো হ'ল। এরপরেই গল্পটি একদম অন্য বাঁক নেয়। সে বছরেই তাসমানিয়া ব্যাঙ্ক অন্য একটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে মার্জ করে যায়-ব্যাঙ্কের নতুন নাম ট্রাস্ট ব্যাংক। নতুন ব্যাঙ্ক, নতুন সি ই ও। কী খেয়াল হ'ল জনসনের, নতুন সি ইও কে জানালেন, তিনিই সেই অনামা পত্রলেখক। সেই দিন থেকে জনসন ব্রাত্য হয়ে গেলেন সংস্থায়। আর তিন মাসের মধ্যে চাকরি চলে গেল তাঁর। সি ই ও স্বয়ং ডেকে জানালেন, তাঁর আর প্রয়োজন নেই ব্যাঙ্কে। সিকিউরিটি গার্ডকে ডেকে বিল্ডিং থেকে স্রেফ বের ক'রে দেওয়া হ'ল জনসনকে। সিইওর তরফ থেকে অতীব পেশাদারি দক্ষতায় প্রচারিত হ'ল যে পার্সোন্যালিটি টেস্টে দেখা গেছে জনসন ট্রাস্ট ব্যাঙ্কের দায়িত্বের অনুপযুক্ত এবং জনসনের পূর্ববর্তী সমস্ত প্রোমোশন সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও নিয়ম বহির্ভূত। শেষ করে দেওয়া হ'ল জনসনের কেরিয়ার।
ঠিক যেমনটি হয়েছিল নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ সার্জেন্ট ফিলিপের। পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বহুল প্রচারিত কিছু পরিসংখ্যানের অসত্যতা জনসমক্ষে আনেন ফিলিপ। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় ফিলিপকে একটি হাসপাতালের মানসিক চিকিৎসা বিভাগে ভর্তি করে দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত হুইশল ব্লোয়ারকে মানসিক রোগের তকমা লাগিয়ে দেওয়াই কোনো সংস্থার সর্বপ্রথম প্রতিক্রিয়া। মানসিক রোগ, ডিজওর্ডারড পার্সোনালিটির তকমা এঁটে দিলে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করা অনেক সহজ হয়ে যায়।তদুপরি বাঁশিওলার আত্মবিশ্বাসে দেওয়া হয়ে যায় বড় সড় ঝাঁকুনি।
জ্যাক কিংএর গল্পটাই ধরুন। জ্যাক কেমিক্যাল এঞ্জিনীয়র। বহু বছর পেট্রোকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে সম্মানের চাকরি। তারপর সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ডিপার্টমেন্ট অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিংএ যোগ দেওয়া। সমস্যার সূত্রপাত তখনই। জ্যাক কোস্টাল ওয়াটার সংরক্ষণের রিপোর্ট দাখিল করলেন ক্যাবিনেটে। রিপোর্টে পোর্ট পিরির লেড স্মেল্টারটিকে ভারি ধাতু দূষণের দায়ে সাব্যস্ত করলেন জ্যাক। ক্যাবিনেট থেকে নির্দেশ এল পোর্ট পিরির যাবতীয় রেফারেন্স অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়ার। অথচ ততদিনে সি এস আই আর ও র বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন লেড স্মেল্টারের ভারি ধাতু কিভাবে মারাত্মক ক্ষতি করছে সে অঞ্চলের জীবজগতের। বলাই বাহুল্য, কিং তাঁর মত থেকে একচুলও বিচ্যুত হ'লেন না। বরং মন্ত্রী, আমলাবর্গের কাছে বারংবার দরখাস্ত করে যেতে লাগলেন। কোনোরকম সাড়া না পেয়ে, বাধ্য হয়ে মিডিয়ায় গেলেন কিং। অর্থাৎ ফুঁ পড়ল বাঁশিতে। সঙ্গে সঙ্গে কিংএর পোজিশন 'রিডানড্যান্ট। এরপর সেই এক গল্প- মানসিক রোগীর তকমা সেঁটে দিয়ে চাকরিটি কেড়ে নেওয়া।
এ'সমস্তই বিষুবরেখার অপরপারের কথা। উত্তরগোলার্দ্ধ কি অন্য কথা বলে? কেমন আছেন হুইসল ব্লোয়াররা বিষুবরেখার এ'পারে?
দুশ তেত্রিশ জন অ্যামেরিকান হুইসল ব্লোয়ারকে নিয়ে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নব্বই শতাংশ হুইসল ব্লোয়ার হয় চাকরি খুইয়েছেন অথবা পদাবনতি ঘটেছে তাঁদের, সাতাশ শতাংশের বিরুদ্ধে মামলা, সম শতাংশের ভাগ্যে মানসিক রোগের তকমা, পঁচিশ শতাংশকে মদ্যপ চিহ্নিত কত্রা হয়েছে, সতেরো শতাংশকে গৃহহীন হতে হয়েছে, পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়েছে পনেরো শতাংশ হুইসল ব্লোয়ারের গৃহকোণে, দশ শতাংশ আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন, শতকরা আট শতাংশ পর্যবসিত ব্যাংকরাপ্টে।
এই পরিসংখ্যান দিয়েই বোধ হয় ব্যাখ্যা করা চলে আভা চ্যাটার্জির পর্যবেক্ষণকে।
বছর দশেক আগে এঞ্জিনিয়ারিং এথিকসের একটি কেস স্টাডি প্রকাশিত হয় 'টিচিং বিজনেস এথিক্স' জার্নালে। পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রখ্যাত টেকনোলজিকাল ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের এঞ্জিনিয়ারিং এথিকস ব্যাখ্যা করা হয় মুক্তধারা নাটককে ভিত্তি করে। বিভূতি এবং অভিজিতের ভূমিকার বিশ্লেষণ করা হয়েছিল বিভিন্ন তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে- মূলতঃ ষাটের দশকের নরমাটিভ গ্রিডের পাঁচটি থিওরি , মর্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাপ্রোচ এবং ভারতীয় দর্শনের দৃষ্টিকোণ থেকে। ব্যাখ্যা করা হয়েছিল অভিজিতের মানসিকতার, সেই সঙ্গে বিভূতিরও। বিভূতির করণীয়, অ-করণীয় অথবা অভিজিতের আত্মোৎসর্গ । ক্লাসরুমে আলোচনা চলাকালীন দেখা গেছে-আভা চ্যাটার্জী যেমন লিখেছেন-অধিকাংশ ছাত্রর কাছেই নায়ক অভিজিৎ নন। বিভূতিই আদর্শ তাদের, বাস্তব প্রেক্ষিতে। বিস্তর তর্কাতর্কির পরে ছাত্ররা জানিয়েছিলেন, আধুনিক জগতে, ম্যানেজারের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যাওয়াটাই অনুচিত। এই ছাত্রদের তথাকথিত ঔচিত্যবোধ 'বস'এর তুষ্টিসাধনের পক্ষে। আপোষহীন অনন্য কারিগর হওয়ার চেয়ে স্বস্তির জীবনই কাম্য তাঁদের। অভিজিৎকে ঝাপসা ঠেকে এঁদের। অবোধ্য। এবং ঘোরতর অবাস্তব।
মুষ্টিমেয় ক'জন কেবল অভিজিতের পক্ষে। কতিপয়। তা'ও শুধুই তাত্ত্বিক আলোচনায়। মুক্তধারার প্রাসঙ্গিকতা অথবা অ-প্রাসঙ্গিকতা তবে কি এই সংখ্যাবিচারেই সীমাবদ্ধ থাকবে? নব্বই বছরের নাটকটির প্রাসঙ্গিকতা অনুসন্ধানে, পরিসংখ্যানই শেষ কথা বলবে? অভিজিৎ রইবে প্রাচীন নাটকটির পাতায়- একটি অবাস্তব চরিত্র হয়ে? প্রাসঙ্গিকতাকে অক্লেশে পিছনে ফেলে দেবে অ-প্রাসঙ্গিকতা?
ঠিক এইখানে এসে দাঁড়ায় তারা।
আই আইটির এঞ্জিনীয়র, ইন্ডিয়ান এঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসে কর্মরত- জানতে পেরেছিল গোল্ডেন কোয়াড্রিল্যাটেরাল প্রজেক্টের দুর্নীতির কিছু কথা। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি লিখে জানিয়েছিল। এবং , অবশ্যম্ভাবী- ফাঁস হয়ে গিয়েছিল তার পরিচয়। ফলস্বরূপ, গুলিবিদ্ধ পড়ে রইল সে গয়া রেলস্টেশনের কাছে। সাতাশ বছর বয়সেই।
অথবা ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের তরুণ মার্কেটিং ম্যানেজারটি। যে ধরে ফেলেছিল পেট্রল স্টেশনের জালিয়াতি-পেট্রলে ভেজাল। অবিলম্বে বন্ধ করে দিয়েছিল পেট্রলস্টেশনগুলি। স্টেশনগুলি পুনরায় চালু হ'লে, সারপ্রাইজ রেইড করতে চেয়েছিল সে। ফাঁস হয়ে যায় সে গোপন তথ্য। পরিণামে, ছ টি বুলেট গেঁথে যায় তার শরীরে।
অথবা দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ স্টেডিয়াম নির্মাণের যাবতীয় বে-নিয়ম, দুর্নীতি প্রকাশ করেছিল সে। কিম্বা মৃত্যুকে ডেকে এনেছিল।
অথবা ইরানের তরুণ ডাক্তারটি-কারাবন্দীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে জানতে পারে কারাগারের নৃশংস অত্যাচার। এবং এব্যাপারে তদন্তে নিযুক্ত পার্লামেন্টারি কমিটির সামনে সাক্ষ্য দেয় । ফলতঃ, তরুণ চিকিৎসকটি নিজেই নিক্ষিপ্ত কারাগারে। হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হ'ল পরবর্তীতে-যদিও শাসানি অব্যাহত রইল -মুখ বন্ধ রাখার জন্য। তরুণটির জন্য এ শাসন যথেষ্ট নয় সাব্যস্ত হ'ল অতঃপর। রহস্যময় মৃত্যু ঘটল তরুণ চিকিৎসকের। ছাব্বিশ বছরেই।
রবীন্দ্রনাটকের শিবতরাই পার হয়ে ভারতবর্ষ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরাণ।....
সত্যেন্দ্র দুবে, সন্মুগম মঞ্জুনাথ, জিমি মোলালা, রামিন পৌরন্দরজানি। নাম না জানা আরও কেউ-প্রচারমাধ্যমের আলো পড়ে নি যাদের গায়ে। ভিন্ন দেশ, ভিন্ন কাল। কাহিনী এক। মৃত্যুকে তুচ্ছ ক'রে দানবসদৃশ লৌহযন্ত্র ভাঙতে উদ্যত তারা। অভিজিৎরা। ইঁদুরের ভীড়ে একলা বাঁশিওলা।
মূল তথ্যসূত্রঃ
১। ১৯৯৫ সালে, অক্স্ফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত ড্যামিয়েন গ্রেস, স্টিফেন কোহেনের 'বিজনেস এথিকসঃ অস্ট্রেলিয়ান প্রবলেমস অ্যান্ড কেসেস'
২। ২০০০ সালে টিচিং বিজনেস এথিকস জার্নালে প্রকাশিত আভা চ্যাটার্জীর 'এক্সপ্লোরিং এথিকাল ডাইমেনসান্স ইন টেগোর'স মুক্তধারা।
* সাগ্নিকে ২০১১ সালে প্রকাশিত