এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সেটা কোনো কথা নয় - দ্বিতীয় পর্ব - ত্রয়োদশ তথা অন্তিম ভাগ

    Anamitra Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২১ মে ২০১৮ | ১৭৩৩ বার পঠিত
  • অবশেষে আমরা দ্বিতীয় পর্বের অন্তিমভাগে এসে উপস্থিত হয়েছি। অন্তিমভাগ, কারণ এরপর আমাদের তৃতীয় পর্বে চলে যেতে হবে। লেখা কখনও শেষ হয় না। লেখা জোর করেই শেষ করতে হয়; সেসব আমরা আগেই আলোচনা করেছি।তবে গল্পগুলো শেষ করে যাওয়া প্রয়োজন কারণ এই পর্বের কিছু গল্প পরবর্তী পর্বে আর ফিরে আসবেনা। কেন আসবেনা তার যথাযথ কারণ রয়েছে যা কিনা কাঠামোগত। পঠনকারীর সেসব না জানলেও চলবে। যদি কোনো সমালোচকের হাতে পরে থাকে এই আখ্যান আশা রাখছি তিনি যথেষ্ট দুঁদে এবং কারণটি খুঁজে নিতে সক্ষম হবেন। আর তিনি যদি তা না পারেন সেক্ষেত্রে আগে থেকেই তাঁকে দুয়ো দিয়ে রাখা গেলো।

    প্রথমে আসা যাক রংলির কথায়। এই পর্বে তার গল্প ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। কলকাতায় ঘরভাড়া নিয়ে চলে গিয়েছে সে। সপ্তাহান্তে যখন সে ফেরে হুগলীর বাড়িতে হাতে করে কোনোদিন মাছ কোনোদিন মাংস নিয়ে ফেরে। কখনও ফিরতে না পারলে পাড়ার পিসিওতে জানিয়ে দেয় ফোন করে। ঘটনাচক্রে পিসিওটি একটি মুদির দোকানও বটে যার মালিকের নাম চন্দন। চন্দন মুদির সাথে রংলির ইতিহাস অনেক পুরোনো। এরপর যত দিন যাবে রংলির না ফেরা সপ্তাহগুলোর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। তারপর একদিন আসবে সেই পার্সেল যার কথা আমরা তৃতীয় পর্বে পড়বো। আপাতত এটুকুই।

    এই পর্বে অসমাপ্ত গল্পদুটির একটি নওলকিশোরের এবং অপরটি অভিমন্যুর। অভিমন্যুর গল্পটি পরবর্তী পর্বেও চলতে থাকবে। তবে তার মানে এই নয় যে এই পর্বে তার গল্পটিকে একটি মোক্ষম জায়গায় নিয়ে গিয়ে শেষ করা হবে না। নিশ্চয়ই হবে। কিন্তু পরে। তার আগে আমরা জেনে নেবো ঠিক কিভাবে ভেঙে গেলো নওলকিশোর আর রুচিরার সম্পর্ক।

    ১৩|ক) নওলকিশোর :

    এসব আমাদের একেবারেই উচিত হচ্ছে না। নওলকিশোরের ব্যক্তিগত ব্যাপারস্যাপারে আমরা একটু বেশিই নাক গলিয়ে ফেলেছি।মাথায় রাখতে হবে যে, খিল্লি করাটা কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য নয়। এটা মূলত একটা ট্র্যাজিক লেখা যার একটা কাব্যিক পরিণতিও রয়েছে। সেখানে একটা উঠতি বয়সের ছেলের হাঁকুপাঁকু অবস্থা দেখে ফ্যাকফ্যাক করে হাসা বা তাকে জাজ করা মোটেই উচিত হচ্ছে না। অন্যের ব্যাপারে জাজমেন্টাল হওয়া মানুষের স্বভাব। বিশেষত কাউকে নিয়ে যদি বিস্তারিত আলোচনা হয় তাহলে তো কথাই নেই। এই অবিচারের হাত থেকে নওলকিশোরকে বাঁচাতে তাই আমরা এবার ঘটনাবলীর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ পেশ করা থেকে বিরত থাকবো এবং কাহিনীটি শেষ করার দিকে মনোনিবেশ করবো।এর ফলে আমাদের মূল আখ্যানটির সাইজ দু-তিন চ্যাপ্টার মতো ছোট হয়ে যাবে হয়তো, কিন্তু তা হলেই বা; নওলকিশোরও তো আমাদেরই গড়ে নেওয়া একজন। তার মুখটি আপনি যেরকম দেখতে কল্পনা করে নিয়েছেন আমি হয়তো ঠিক সেরকমটা করিনি। তার ওই অনির্দিষ্ট মুখটির দিকে চেয়ে এইটুকু সুবিচার তো আমরা করতেই পারি। তাই না? ভাবুন নওলকিশোর আপনাকে বলছে, " না হয় আমার বয়স মাত্র কুড়ি, না হয় আমার জন্ম একটি মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারে, তাই বলে কি আমার কোনো যৌনচাহিদা থাকতে পারে না? কোনো যৌনজীবন থাকতে পারে না? থাকলেই বুঝি সেসব পাঁচকান করে আপনাকে কেচ্ছা বানাতে হবে? রাষ্ট্র কিন্তু আমাকে এই অধিকার দেয়। সেদিন আমার আর রুচিরার মধ্যে কি হয়েছিল তা নিয়ে জলঘোলা করার আপনার কোনো অধিকার নেই ! "

    না, ঘাবড়াবেন না। আমরা পশুপ্রেমী।বেড়াল আমাদের ভারী প্রিয়। বেড়ালকে আমরা সাধারণত আদর করে থাকি। তাই মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের "বেড়া" গল্পটিতে আক্ষরিক অর্থে যা ঘটেছিলো এখানে সেরকম কিছু ঘটানোর অভিসন্ধি আমাদের নেই। তাছাড়া পর্বের শুরুতে ম্যাও যখন শোনা গেছে তখন নিশ্চিত থাকুন, বেড়াল আছেই। আমরা ফাঁকা আওয়াজ দিই না। তবে কিনা সেই বেড়ালের কেমন রং, কত বয়স, এবছর কটা বাচ্চা দিলো, সেইসব আলোচনা থেকে আমরা বিরত থাকবো। এতে খানদুয়েক সুবিধা হবে। আপনার যা জানার আপনি জেনে গেলেন, আবার আব্রুও রইলো। নইলে নওলকিশোরের পর এবার যদি স্বয়ং রুচিরাদেবীও এসে মুখ খোলেন তাহলে কিন্তু আমাদের আর মুখ লোকানোর জায়গা থাকবে না। বিশ্বাস করুন, রুচিরার পেলব স্তনযুগলের একটা পরিপাটি বর্ণনা লিখতে আমারও ইচ্ছা করছে, সেই প্রথম দিন থেকেই করছে, কিন্তু রুচিরাও ঠিক তারই অপেক্ষায় আছে কিনা বুঝতে পারছি না। যদি না থেকে থাকে তাহলে কিন্তু লেখাটা একেবারেই উচিত হবে না। মেয়েরা বড়ই জটিল। একশভাগ নিশ্চিত না হয়ে ওইসব ফাঁদে পা দেওয়ার মাল এই শর্মা নয়।

    অনেককিছুই এর ফলে রসিয়ে বলা হবে না। নওলকিশোরের দ্বিধা, নওলকিশোরের উত্তেজনা, সবই ছুঁয়ে ছুঁয়ে চলে যেতে হবে। না হয় অন্য কোনো সময় অন্য কোন লেখায় বলা যাবে সেসব। এমনিও বলা হয়নি সবকিছু। মোক্ষম সময়ে ফস্কে গেছে। যেমন ঘরের দেওয়ালে শচীন-সৌরভের পোস্টারটার কথা বলা হলেও বইয়ের তাকে নীললোহিতের বইগুলোর কথা বলা হয়নি। জন লেনন আবিষ্কারের কথা বলা হয়নি। রুচিরা চলে আসায় ফোকাস নড়ে গেছে। যাই হোক ! এমনিও কোন শালা নোবেল পাবে বলে লিখছে !

    সেদিনকার কথা থেকেই শুরু করা যাক। রুচিরাকে সেফলি বর্ডার পার করে দেওয়া গেছিলো । আমেরিকা টেরও পায়নি। কিন্তু নওলকিশোরের ৯/১১ যে পুরোপুরি সফল হয়নি সে তো বোঝাই যাচ্ছে। তো এরকম কেসে যা হয় আরকি, আবার প্ল্যানট্যান করা শুরু হয়ে যায়। এই প্ল্যান করতে গিয়েই সেদিন রাত্রে নওলকিশোর এক কান্ড করে বসলো। আমরা জানি যে লাভমাত্রেই জিহাদ, আর জঙ্গিমাত্রেই পুরুষ। তার ওপর কিশোর যখন নওল তখন জঙ্গ যে একদিন ছেড়বারই ছিল সে তো জানা কথা। কিন্তু সে যে এরকম ফাঁকা ময়দানে ফিদায়েঁ হবে কে জানতো ! সকলের স্মরণে থেকে থাকবে যে নওলকিশোরের কাছে ছিল তিনটি কন্ডোম। সেদিন রাত্রে সবাই শুয়ে পড়ার পর সে ভাবলো, মানে সে যেরকম ভেবে থাকে আরকি, "একদিন তো পরতেই হবে"! এইকথা ভেবে সে তার এরোপ্লেনটিকে কন্ডোম পরালো। তারপর সেই কন্ডোমাচ্ছাদিত এরোপ্লেন দেখে তার যে কি হয়ে গেলো কে জানে ! গোটা শরীরে সে এক আজব শিহরণ ! তার ওপর আবার মাথায় "লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান" কি "কাশ্মীর মাঙ্গে তো চিড় দেঙ্গে" টাইপ আলবাল চিন্তা তো ছিলই। তার এরোপ্লেন হঠাৎ টাওয়ার টাওয়ার টাওয়ার চাই / টাওয়ার ভেঙে বাঁচতে চাই বলে স্লোগান দিতে লাগলো। এগুলো বেশি এসএফআই করার ফল ! কিন্তু নওলকিশোর তখন টাওয়ার কোথায় পায় ! টাওয়ার চাইলেই যদি টাওয়ার মিলতো তাহলে কি আর এতো বাওয়ালি থাকতো পৃথিবীতে ! ফলতঃ যা হওয়ার তাই হলো; মরুভূমিতে প্লেনক্র্যাশ ! জগতের প্রভু শ্রী শ্রী জগন্নাথদেব যা করতে পারেন না তাই করলো নওলকিশোর নিতান্তই জীবনে প্রথমবার কন্ডোম পরার আনন্দে।

    এইখান থেকে একটা নতুন গল্প শুরু হতে পারতো। ধরা যাক রুচিরা পরদিন দেখলো যে প্যাকেটের ভিতর থেকে একটি কন্ডোম উধাও। সেখান থেকে তার মনে দানা বাঁধলো সন্দেহ। সেই থেকে ব্রেক-আপ। কিন্তু না! সেরকম কিছু ঘটেনি। কারণ সেরকম কিছু ঘটলে তা অতি সাধারণ ঘটনা হতো। তার মধ্যে কোনো নওলকিশোরেস্ক থাকতো না। সেক্ষেত্রে আমরা বলতেও যেতাম না অমন তুচ্ছ ঘটনার কথা। এই কন্ডোমানন্দ মহোৎসবের রাত্রির মাসখানেক পরেই ব্রেক-আপটা হয় তৃতীয় কন্ডোমটির ব্যবহার যেদিন হওয়ার কথা ছিল সেই দিনে।

    নওলকিশোর রুচিরাকে জানিয়েছিল তার আপত্তির কথা। প্রায়ই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে তাকে নকুল বলে ডেকে ফেলছিলো রুচিরা। এই নিয়ে তাদের মধ্যে খানিক আলোচনাও হয়। রুচিরার অন্যতম যুক্তি ছিল এই যে, ওইরকম সময়ে উচ্চারণ করার পক্ষে নওলকিশোরের গোটা নামটি রীতিমতো বড়। শুধু কিশোর বলে তার পক্ষে ডাকা সম্ভব নয় কারণ ওই নামে তার এক পাতানো ভাই রয়েছে ছোটবেলা থেকেই। আর শুধু নওল তো কোনোভাবেই বলা সম্ভব নয় কারণ ওই নামটা কিরকম যেন ওল ওল শুনতে। ফিলিং ড্যামেজ হয়ে যাবে। আর তাছাড়া নকুল নামে নওলকিশোরের কিই বা আপত্তি থাকতে পারে সেটা যখন তারই ডাকনাম? "জানি না ! নামটা আমার কোনোদিনই পছন্দ ছিল না ", বলেছিলো নওলকিশোর। তার সাথে এটাও জানিয়েছিল যে প্রবলেমটা কিন্তু সিরিয়াস। রুচিরা আশ্বাস দিয়েছিলো সে ব্যাপারটা মাথায় রাখবে। কিন্তু এতেও শেষরক্ষা হয়নি। ধৈর্যচ্যুতিটা ঘটে রুচিরার তরফেই। ভেবে দেখলে সেও কিন্তু বানিয়ে বলছিলো না। "উঃ নকুল" আর "উঃ নওলকিশোর", এই দুইয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক। বিশেষ করে কোন সময় উচ্চারিত হচ্ছে সেই মুহূর্তটির কথা মাথায় রাখতে হবে। নকুল আমাদের আপনজন, আর নওলকিশোর যেন ঊনবিংশ শতকের বিলেতফেরত ব্যারিস্টার; মিলিয়ে যাওয়া দূরবর্তী ছায়াপথের কোনো নবীন নীহারিকা, অথবা গত শতকের গোড়ার দিকে ব্যবসার কাজে পর্তুগাল গিয়ে আর ফিরে না আসা কোনও নাবিক। মোট কথা সে যেই হোক না কেন তার সাথে আমাদের কোনও কানেকশনই নেই।
    তাছাড়া এফোর্টটার কথাও ভাবতে হবে। সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। "উঃ নওলকিশোর" বলাই যায় অস্ফুটে, শুনতে ভালোও লাগে। কিন্তু সেটা একটা শান্ত মুহূর্তে বলার ব্যাপার। উথালপাথাল সময়ে যখন কিনা নওল একদিকে কিশোর আরেকদিকে, গোটাটা একসাথে বলে উঠতে পারা ভারী মুশকিলের কাজ।

    এই কারণেই শীৎকার সর্বদাই খুব সহজ শব্দের মাধ্যমে নির্গত হয়, সাধারণত একটি স্বরবর্ণ এবং বিসর্গ। ভিনদেশীরা অবশ্য দুইটি স্বরবর্ণ এবং বিসর্গও ব্যবহার করে থাকে, সে ওদের ব্যাপার আলাদা; কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে পৃথিবীর কোনোও নর বা নারীই শীৎকারের সময় জটিল ব্যঞ্জনবর্ণসমূহ ব্যবহারিয়া চিৎকারে না। প্রাঞ্জলতাঃ, কুঝ্ঝটিকাঃ, অথবা রঁদেভুঃ, দেজাভুঃ, কিংবা ডেক্সটারিটিঃ, অ্যানোনিমিটিঃ, এসব বলিয়া কোনো জাতির পুরুষ বা স্ত্রীলোকই শীৎকারেন না। এর মধ্যে একমাত্র রঁদেভুঃ আর দেজাভুঃ এইদুটির ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ফরাসীরা সব পারে। ওরা রুচিরার চেয়েও বেশি জটিল। যাই হোক, ঠিক এই কারণেই যৌনরোমাঞ্চের সময় কাউকে "নওলকিশোর" উচ্চারণ করতে বাধ্য করতে চাওয়াটা একপ্রকার স্যাদিসম। আর আমাদের নকুল ঠিক সেইটাই করতে গিয়েছিলো রুচিরার সাথে। বলাবাহুল্য, ফল ভালো হয়নি। এইধরণের নির্যাতন রুখতেই বোধ করি আগেকার দিনে ভারতীয় নারীদের স্বামীর নাম মুখে আনা পাকাপাকিভাবে বারণ করে দেওয়া ছিল। হায় সেই বিধান যদি আজও কার্যকর থাকতো সম্পর্কটা বেঁচে যেত হয়তো বা !

    এই কাহিনীর ক্লাইম্যাক্স কিছুটা এরকম যে, তৃতীয় কন্ডোমটির অস্তিত্ব যখন তার সার্থকতা খুঁজে পাচ্ছে সেরকম অবস্থায় রুচিরা যথারীতি ওই নিষিদ্ধ উচ্চারণটি করে বসে। করে অবশ্য সাথে সাথেই সে সরি ও বলে। কিন্তু ততক্ষনে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। বাসুদেব দাশগুপ্তর "বাবা" গল্পে সঙ্গমরত অবস্থায় বাচ্চাকে বৌ দুধ খাওয়াতে শুরু করায় পরিতোষের যা হয়েছিল আমাদের নকুলেরও ঠিক সেটাই হয় রুচিরার মুখে পুনর্বার নিজের ডাকনামের উচ্চারণ শুনে।

    কন্ডোমটি ভিতরেই রয়ে যায়।

    রুচিরা প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেনি। তারপর যখন সে নকুলের ঝুলে পড়া মুখ এবং এরোপ্লেন চাক্ষুষ করে সে বুঝে উঠতে পারেনি তার কি প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত। কয়েক সেকেন্ডের কিংকর্তব্যবিমূঢ়তার পর সে "তুমি বাঁড়া সাইকো" বলে বিছানা ছেড়ে উঠে জামাকাপড় পরে বাড়ি যাওয়ার জন্য তৈরী হয়ে নেয়। সেদিন সে আর তাকে অটোস্ট্যান্ডে ছেড়ে দিয়ে আসার জন্য নকুলের অপেক্ষা করেনি।
    নকুল অবশ্য নওলকিশোর। রুচিরার মুখে কাঁচা গালাগালি শুনে ক্ষনিকের জন্য মুষড়ে পড়লেও সেদিনের পরও সে নওলকিশোর হয়ে বেড়ানো বন্ধ করেনি। এই ঘটনার দিনদশেকের মাথায় সে আবার রুচিরার সাথে দেখা করতে চায়। তাতে রুচিরা জানায় যে সে আপাতত পড়াশোনায় মন দেওয়াই পছন্দ করবে। এর মাসখানেক পর অন্য বন্ধুদের থেকে নকুল জানতে পারে যে রুচিরাকে নাকি অন্য কোন ছেলের সাথে দেখা গেছে চন্দননগর স্ট্র্যান্ডে ফুচকা খেতে। তার হপ্তাখানেক পর সে নিজেও দেখে ছেলেটিকে। তার থেকে অনেক সুন্দর দেখতে। দেখেই মনে হয় বড়ঘরের ছেলে। একে তো পেটানো চেহারা তায় বাইকও আছে। ওই বাইকেরই পিছনের সিটে বসে ছিল রুচিরা। নকুলকে সে খেয়াল করেনি। সেটা অবশ্য ভালোই হয়েছে। কারণ নকুল তখন নাক খুঁটে খুঁটে রাস্তার ধারের বেদীতে মুছছিলো। বাইকটা ঘ্যামা দেখতে। সেটা দেখতেই তাকিয়েছিলো সে। রুচিরার ওপর বাই চান্স চোখ পড়ে যায়। হতেই পারে যে এই নতুন ছেলেটা হয়তো তার থেকে সবদিকেই ভালো, কিন্তু আমাদের নওলকিশোরও কি যে সে ! বোকা মেয়েটার জানাও হলো না যে সে ঠিক কি হারালো। রুচিরার ভাগ্যে যা লেখা ছিল না সেটা রুচিরা পেলো না। লসটা রুচিরার। ব্যাস ! পিরিওড !

    ১৩|খ) অভিমন্যু :

    - "পুলিশের লোক হয়ে তুমি কিনা শেষে ভূতে বিশ্বাস করো"?
    গাড়ির দরজা বন্ধ করে শুভাশীষের দিকে প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিলো অভিমন্যু। বোঝাই যাচ্ছে ব্যাখ্যাটা তার মনঃপূত হয়নি। শুভাশীষের বক্তব্য এরকম যে হোটেল রজনী নাকি একটা প্রাচীন কবরস্থানের জমিতে বানানো। মানে হোটেলটা যখন হয়েছে তখন কবরস্থানটা চালু ছিল না ঠিকই, কিন্তু পুরোনো বাসিন্দারা অনেকেই জানতেন ব্যাপারটা। কবে ছিল, কতটা জায়গা জুড়ে ছিল, সেসবের কোনো হিসেব না থাকলেও খবরটা লোকমুখে ছড়িয়ে পরে। ফলে জমিটা বিক্রি করতে মালিককে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। কেউ কেনেনি শেষ পর্যন্ত। তাই হোটেলটা উনিই বানান। তখন নাম ছিল হোটেল বেলাভূমি। দীঘার বুকে চালু হোটেল দেখে পরে একজন কিনতে রাজি হয়ে যায়। হোটেল রজনী নামটা এই নতুন ভদ্রলোকেরই দেওয়া। ওনার মায়ের নাম ছিল রজনী।
    - "এবার তো তুমি বলবে লোকদুটো ভ্যানিশও হয়েছে ভূতের খপ্পরে পরে! "
    - "হতেই পারে, স্যার, হতেই পারে। না হওয়ার কিছুই নেই। আপনিই বলুন না, এই ডাবের খোলার ভিতর লেখা ফুটে ওঠার আর কি ব্যাখ্যা হতে পারে ?"
    শুভাশীষ বসেছে সামনের সিটে ড্রাইভারের পাশে। অভিমন্যু মাঝের সিটে একা। বড় এসইউভি গাড়ি। ডাবের খোলার ভিতর লেখা ফুটে ওঠার কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা এই মুহূর্তে পাওয়া যাচ্ছে না বটে, কিন্তু তাই বলে শুভাশীষের এইসব আজগুবি মেনে নিতে অভিমন্যু একেবারেই নারাজ। সে বাগান খোঁড়াবার বন্দোবস্ত করছিলো বলে ভূতেরা বিপন্ন বোধ করে তাকে ডাবের খোলার মাধ্যমে বার্তাপ্রেরণ করেছে এমন চূড়ান্ত ভিত্তিহীন তত্ত্ব তার মতো পোড় খাওয়া টিকটিকির পক্ষে বিশ্বাস করা সম্ভব নয়। উল্টে তার এখন মনে হচ্ছে গোটা ব্যাপারটায় এই শুভাশীষের মতো পুলিশের দু-একটা ছোটোখাটো অফিসারের হাত থেকে থাকলেও থাকতে পারে। তাই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে মনে হয়।
    - হয় তোমার মাথার ঠিক নেই, আর নয়তো তুমি নিজেও এসবে যুক্ত।
    - এটা কি বলছেন স্যার! সে তো আপনিও জ্যোতিষে বিশ্বাস করেন।
    - না না না না না না। আমি জ্যোতিষে বিশ্বাস করি কারণ আমি জ্যোতিষে বিশ্বাস করে ফল পেয়েছি।
    - সে তো আমিও পেয়েছি।
    - কি?
    - কেন? ফল!
    - ভূতে বিশ্বাস করে?
    - হ্যাঁ !
    - কিরকম?
    - তাহলে শুনুন, সে অনেককাল আগের কথা। তখন আমার ধরুন ওই সাত আট বছর বয়স হবে। আমার মামাবাড়ি ছিল মালদা থেকে একটু ভিতরে, গ্রামের দিকে। তা সেখানে তো আবার অনেক আমগাছ । এইরকম একটা আমবাগানের মধ্যে দিয়ে একবার আমি আর মা ফিরছি । সন্ধে পেরিয়ে গেছে তখন। সে কি গা ছমছমে অন্ধকার ! আমি খালি ভাবছি এখানে যদি ভূত থেকে থাকে তো এক্ষুনি কিছু একটা হবে। আর মা খালি বলছে পা চালিয়ে চলতে। বলছে দিনকাল ভালো নয়। আমি তো বুঝতে পারছি মায়েরও ভূতের ভয় করছে। আর আমি ভাবছি ভূত যদি থেকে থাকে কিছু একটা তো হবেই। একটা ডাল নড়বে, কি কেউ হেসে উঠবে, কি ওরকম কিছু। ভাবতে ভাবতেই আমার ঠিক সামনে একটা আম পড়লো। আমি নিচু হয়ে আমটা তুলতে গেছি অমনি একটা ঝুপ করে আওয়াজ। পিছনফিরে দেখি, মা নেই ! আমি তো পড়ি কি মরি করে দে দৌড়। ছুটে এসে মামাদের সব কথা বললাম। সবাই মিলে লাঠিসোঁটা নিয়ে, আলো নিয়ে আমার সাথে গেলো ওই জায়গাটায়। কিন্তু মা কে আর খুঁজে পাওয়া গেলো না। তারপর থেকে আমার মাকে আর কেউ কোনোদিন দেখেনি, জানেন ! কেউ না !

    অভিমন্যুর মুখটা হয়ে গেছে থম মেরে যাওয়া প্যাঁচার মতো। কি বলবে সে বুঝে উঠতে পারছে না।
    - "ভাই তুমি কি বলছো বলো তো? আমার গায়ে ফায়ে কাঁটা দিচ্ছে। কিন্তু আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না ! তোমার মা মিসিং হয়ে গেলেন, আর তুমি বলছো ফল পেয়েছো? এটা কি ওই আমটার কথা হচ্ছে, নাকি "?
    - "না না, আমের কথা হতে যাবে কেন? আমি বলতে চাইছি যে ভূত আছে। আমি নিজের জীবনে প্রমান পেয়েছি সেটার"।

    এরপর গাড়ি এসপির অফিসে পৌঁছনো অবধি অভিমন্যুর আর কিছুই বলার ছিলো না। তার হতাশ লাগছিলো। মনে মনে শুভাশীষকে চোদু বলে গাল পারছিলো সে। "তুই সালা বালভোদুয়া। তোর পুলিশে আসাই উচিত হয়নি" বলতে ইচ্ছে করছিলো তার। গোটা ব্যাপারটাই বুঝতে পেরে গিয়েছিলো সে, কিন্তু শুভাশীষের মুখের দিকে তাকিয়ে তার এতবছরের ভুল ধারণাটা আর ভেঙে দিতে ইচ্ছা করলো না । এখনও এতটাও পেশাদার সে হয়নি।

    এসপি অফিসে অভিমন্যু নেমে যাওয়ার পর শুভাশীষ একটা হাত বাড়িয়ে দিয়ে হাসিমুখে বললো, "ওক্কে স্যার! তাহলে আসি?" কতরকমের মানুষ হয়, ভাবছিলো অভিমন্যু। হ্যান্ডশেক করতে করতে সে উত্তর দেয়, "আসুন। ভালো লাগলো আপনার সঙ্গে কাজ করে"। "সেম হিয়ার, স্যার, সেম হিয়ার" বলতে বলতে গাড়ির দরজা বন্ধ করে দিলো শুভাশীষ। তার এই হাসি লেগে থাকা মুখটা ভুলতে অভিমন্যুর মনে হয় অনেকদিন সময় লেগে যাবে। কতরকমের মানুষ হয়। তাদের জীবনের কত ঘটনা। আর একেকটা ঘটনা ঘিরে কতরকম ধারণা গড়ে নেয় মানুষ। সত্যিই !

    - নিশ্চিতভাবেই জটিল কেস। না হলে আপনারা আর আমাকে ডেকে পাঠাতেন কেন!
    - জটিল বলে জটিল। এ তো আলফ্রেড হিচককের গল্প মশাই। বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে দু'দুটো মানুষ হাওয়া? কোনো মানে আছে!
    - মানে আছে, সুপারবাবু, মানে আছে! সেই মানেটাই আমাদের খুঁজে বার করতে হবে। বমিটা অ্যানালাইজ করে কিছু পাওয়া গেলো?
    - বিশেষ কিছুই না ! মাছভাজা আর মদ। তাছাড়া বমির দু-তিনঘন্টা আগে রুটি-মাংস খেয়েছিলো যা বোঝা যাচ্ছে। তা এতে তো আর...
    - মানে মদ খেয়ে বমি ! সে তো অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। রোজই কেউ না কেউ করছে। আচ্ছা, দ্বিতীয় ব্যক্তিটি সম্পর্কে আমরা এখনও অবধি ঠিক কি জানি? কেউ খোঁজ করতে এসেছিলো তার?
    - না, খোঁজ কেউ করতে আসেনি, তবে একটা স্কেচ করিয়ে রেখেছি আমরা ম্যানেজারের বিবরণ অনুযায়ী। স্কেচটা অবশ্য হুবহু মেলেনি, প্রায় কাছাকাছি আরকি। আপনি চাইলে সেটা দেখতে পারেন।
    - বেশ তো, দেখান না।

    এসপি ছবিটি আনানোর ব্যবস্থা করেন এবং তুলে দেন অভিমন্যু-র হাতে।
    - সুপারবাবু, আপনাদের আর্টিস্টকে একবার পাওয়া যাবে?
    - কেন বলুন তো?
    - আমি সম্ভবত বুঝতে পারছি ঠিক কোথায় কোথায় মেলেনি। সাথে ম্যানেজারকেও আনার ব্যবস্থা করবেন। সেই তো বলবে, মিললো কিনা।
    - নিশ্চয়ই।

    এরপর আর্টিস্টের সাথে একটা ঘরে ঘন্টাদুয়েক কাটায় অভিমন্যু। মাঝখানে একবার শুধু তাকে জানানো হয় যে ম্যানেজার এসে গেছে। খানিক বাদে সে ম্যানেজারকেও ডেকে নেয়। তার ঠিক মিনিটদশেক পরে ম্যানেজার আর অভিমন্যু হাতে ছবিটা নিয়ে সুপারের ঘরে আসে আবার।
    - "মিলে গেছে স্যার। পুরোটা মিলে গেছে এবার", ম্যানেজার বলে।
    - "বাবা! আপনি তো ম্যাজিক জানেন দেখছি", সুপার বলেন অভিমন্যুর উদ্দেশ্যে। ছবিটা সুপারের টেবিলে রেখে অভিমন্যু বলে, "তাহলে সুপারবাবু, এবার আমায় কলকাতা ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিন"।
    - সে কি ! এখনও তো লোক ধরাই পড়লোনা।
    - ধরা যদি পড়ারই হয় তাহলে এখানকার চেয়ে কলকাতায় ধরা পড়ার সম্ভাবনাই বেশি।
    - কেন?

    ছবিটার ওপর একটা আঙ্গুল রেখে ঝুঁকে দাঁড়ায় অভিমন্যু। কিছু একটা বলে খুব নিচু গলায় যা আমরা শুনতে পাইনা, কিন্তু এসপি শুনতে পান, এবং বলেন, "বাবা! আপনার তো বিশাল নেটওয়ার্ক মশাই ! ঠিক আছে, তাহলে আপনাকে আর আটকাবো না।"
    এরপর আরও কিছু কথা হয় সুপার আর অভিমন্যুর মধ্যে। তারপরে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গাড়িতে চেপে বেরিয়ে পরে অভিমন্যু, কলকাতার উদ্দেশ্যে।
    প্রথম পর্ব : http://www.guruchandali.com/blog/2018/02/26/1519595113328.html
    দ্বিতীয় পর্ব : http://www.guruchandali.com/blog/2018/03/06/1520349527914.html
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২১ মে ২০১৮ | ১৭৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রুকু | ***:*** | ২১ মে ২০১৮ ০২:৪৬62528
  • ঘুম থেকে উঠেই পড়ে ফেললাম। :-D
    যাতা ভালো হচ্ছে লেখাটা
  • সুতপা | ***:*** | ২১ মে ২০১৮ ০৩:০০62529
  • তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায়। গুড়ের নাগরী তে মাছি আটকানোর মত আটকে , ভেবলে রইলাম! অনন্য!
  • Anamitra Roy | ***:*** | ২১ মে ২০১৮ ০৯:৪৮62530
  • রুকু দি, সুতপা দি, মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো। উৎসাহ পেলাম :)
    তৃতীয় পর্ব আসবে, তবে একটু সময় লাগবে। এই পার্টটা অনেকদিন লিখে বসেছিলাম। পোস্ট করার সুযোগ পাচ্ছিলাম না । অবশেষে পোস্ট যখন করে উঠতে পেরেছি তৃতীয় পর্বটাও হয়েই যাবে দেখতে দেখতে মনে হয় :D
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন