এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড দিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ?

    Samrat Amin লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৩০৮৭ বার পঠিত
  • যেকোন নারকীয় ধর্ষণের ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়ে সামনে আসার পর নাগরিক হিসাবে আমাদের একটা ঈমানি দায়িত্ব থাকে। দায়িত্বটা হল অভিযুক্ত ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তির দাবি করা। কঠোরতম শাস্তি বলতে কারোর কাছে মৃত্যুদন্ড। কেউ একটু এগিয়ে ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার কথা বলে। আবার কেউ আরও একটু এগিয়ে ধর্ষককে কুচিকুচি করে কেটে নুনলঙ্কা মাখানোর বিধান দেন । কাল একটা গ্রুপে দেখলাম একজন অতি দরদী নাগরিক বলেছে "শ্লা রেপিষ্টের মা বোনকে রেপ করা হোক, তবেই রেপিষ্ট বুঝবে জ্বালা"। ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর 'প্রতিবাদ' করতে গিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই ধর্ষণের সংস্কৃতিকে শীলমোহর দেওয়া। যে বা যারা এমন বলছে তাদেরও মনমানসিকতার ব্যবচ্ছেদ দরকার নয় কি ? ধর্ষণবিরোধী বয়ানের ধারা এমন যে আমি ধর্ষকের যত নৃশংস শাস্তির দাবি তুলতে পারব তত বেশি বেশি করে আমি ধর্ষিতার প্রতি 'দরদী'।ধর্ষণের বদলা ধর্ষন দিয়ে দেশের অতি সুনাগরিক হওয়ার প্রানপন চেষ্টা।

    যে অসহায় নারীকে বেঁচে থাকতে আমরা সুরক্ষা দিতে পারলাম না, তার মৃত্যুর পর ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তির দাবি করে নিজেদের অক্ষমতা ঢাকছি। অপ্রিয় হলেও সত্যি। কঠোর শাস্তিই কি সব ? এটা কোন প্যানাসিয়া? মৃত্যুদন্ড চালু হলেই তার পরের দিন থেকে নৃশংস হত্যা আর ঘটবে না ? আপনি বা আমি বুকে হাত দিয়ে জোর গলায় একথা বলতে পারব? বছর সাতেক আগে নির্ভয়ার ঘটনায় গোটা দেশ জুড়ে প্রতিবাদের স্বর ভেসে উঠেছিল। ক্ষোভের আগুনে ফুঁসতে থাকা ছাত্রছাত্রীরা নেমেছিল রাস্তায়। সেবারেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একই রকমের জনরোষ। একইরকম কঠোরতম শাস্তিবিধানের বয়ান। কিন্তু রাষ্ট্রের কাছে থাকে জনরোষ নিভিয়ে দেওয়ার হাতেগরম টোটকা। নির্ভয়া কান্ডে যে ছেলেটা সবথেকে নৃসংস ছিল সে নাবালক। তাই তিন বছর জেল খেটেই সে খালাস। জনরোষ নেভানোর জন্য এহেন নৃশংস অপরাধে অপরাধীর 'সাবালকত্ব' ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করা হল। অনেকেই ভেবেছিলেন এই বুঝি শেষ, আর আমাদের বোনেদের অসহায়ত্ব কেউ খাবলে খেতে পারবে না।

    কিন্তু তারপরেও সমপরিমান নৃসংসতাই কামদুনি, আসিফা, উন্নাও বা অতি সাম্প্রতিক হায়দ্রাবাদের শামসাবাদের মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে। আমরা আটকাতে পারি নি। পূর্বতন অপরাধীদের কঠোর শাস্তির নজির রেখেও ধর্ষণ আটকানো যায় নি। আসিফা হত্যার পর ধর্ষিতার বয়স ১২ এর কম হলে অপরাধীকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হবে বলে জশুনেছিলাম। ব্যাস, আমরাও আশ্বস্ত হয়ে গেলাম। যেন কাল থেকে আর শিশুদের উপর যৌন নির্যতনের ঘটনা ঘটবে না। কামদুনীর ঘটনার পরও মোমবাতি মিছিলে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু মোমবাতির আগুন বেঁচে থাকে না, নিভে যায়। তাই তারপরেও একের পর এক নৃশংসতা আমাদের বিবেককে বার বার নাড়া দিয়েছে। কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছি সেই আমরাই । সময়ের নিয়ম মেনে দাবি আবার নিভেও গেছে। কঠোর শাস্তির মধ্যে যে আসল সমাধান সুত্র লুকিয়ে নেই, এই বোধটা আমাদের সকলের গড়ে ওঠা প্রয়োজন। কারণ সমস্যার শিকড় অন্য জায়গায়। ধর্ষণ নির্মূল করতে তৃমমূল স্তরে রাষ্ট্রকে প্রচুর পুঁজিপতিস্বার্থবিরোধী কাজ করতে হবে এবং সেটা সময়সাপেক্ষ। এত বড় কাজ হাতে নিলে নারীর প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের পাহাড়প্রমান কাজের দায়িত্ব পড়ে যায় রাষ্ট্রের উপর। বিজ্ঞাপন ও বিনোদন জগতে নারীকে পন্যায়িত করার মুনাফাবাদী সংস্কৃতি যেগুলো থেকে প্রচুর রেভিনিউ আসে রাষ্ট্র কি আদৌ সেগুলোর উপর রাশ টানবে ? মনে তো হয় না। এই জায়গাটা যাতে আমরা ধরতে না পারি তাই জনরোষ শাস্তিবিধানের গেরোয় আটকে রাখা হচ্ছে। জনগণ শাস্তির মধ্যেই চরম সমাধান খুঁজছে। ঠিক রাষ্ট্র যেমনটা চায়। ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তি দিয়ে সস্তায় দায় ঝেড়ে ফেলে দেওয়ার এই চরম সুযোগ জনগনের কাছ থেকে সহজেই লুফে নেয় রাষ্ট্র। রাষ্ট্রকর্তৃক এহেন শাস্তির বিধান প্রতিবন্ধক হিসাবে কাজ করে, যাতে সাময়িক জনরোষ ঠান্ডা করে অন্যদিকে মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া যায়।

    শেক্সপিয়ারের "মেজার ফর মেজার" এ ইসাবেলার কথা মনে আছে? তার ভাই ছিল ক্লদিও। সেই ক্লদিও ছিল ব্যাভিচারে অভিযুক্ত। ডিউক অব ভিসেন্টোর থেকে রাজ্য চালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাঞ্জেলো তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদন্ড দিতে বদ্ধপরিকর। ইসাবেলা অ্যাঞ্জেলোর কাছে ভাইয়ের প্রাণভিক্ষা চাই। তাঁর রূপজ মোহে কামাতুর হয়ে পড়ে অ্যাঞ্জেলো । অ্যাঞ্জেলো বলে যে ইসাবেলা যদি তার কামনার আগুন নেভায় তবে তিনি ক্লদিওকে ছেড়ে দেবেন। ইসাবেলা রাজি হয় নি । ইসাবেলা রাগে ক্ষোভে দুঃখে ঘৃনায় পালিয়ে আসে। ইসাবেলা অ্যাঞ্জেলোর কুপ্রস্তাবের কথা তাঁর ভাইকে গিয়ে জানায়। ক্লদিও নিজের প্রানের ভয়ে বোনকে কুপ্রস্তাবে রাজি হয়ে যেতে বলে। ইসাবেলা রাজি হয় নি। নিজের ভাই এর জীবনের থেকেও তার সতীত্ব অনেক বড়। শুধু তৎকালীন ব্রিটিশ সমাজ বলে নয় আমাদের সমাজেও এই যে "সতীত্ব" এবং তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা "মর্যাদা" মানুষের জীবনের থেকেও বেশি মূল্য পায়। সতীত্বকে অতিমাত্রায় মূল্যায়িত করা হয় বলেই নারী নিরাপত্তাহীনতাই ভোগে। পুরুষের ভূমিকা হয়ে দাঁড়ায় হয় আক্রমনকারী কিংবা রক্ষাকর্তার। এই সম্ভ্রম ব্যপারটা ব্যক্তিনারীর পরিসর ছাড়িয়ে অনেক ক্ষেত্রেই জাতির মর্যাদায় পর্যবসিত হয়। কারণ জাতির মর্যাদা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার দায়ভার নারীকে বহন করতে হয়। যেন নারীর দু'পায়ের মাঝখানে গোটা জাতির সম্মান নিহিত। রাজপুত নারীর জহরব্রত পালন আমরা জানি।

    কড়া শাস্তিতে সমাধান সুত্র খোঁজার আগে আমাদের 'ধর্ষণ' সম্পর্কীয় ধারনার পরিবর্তন হওয়া দরকার। 'ধর্ষণ' আদতে একটি ঘৃন্য শারীরিক আক্রমন। যিনি আক্রমন করেন তিনি আক্রমনকারী এবং যার উপর আক্রমন হয় তিনি আক্রান্ত। কিন্তু আমরা ' ধর্ষণ', 'ধর্ষক', 'ধর্ষিতা' এই সব শব্দ ব্যবহার করে আক্রান্তের উপর সতীত্ব, সম্ভ্রম ও মর্যদার বোঝ চাপিয়ে দিই। যে কারনে আক্রান্ত মহিলা বাকি জীবনটা সেই 'লজ্জা' বয়ে বেড়ান। ঠিক সেকারনেই ধর্ষিতাকে অহরহ শুনতে হয় "মেয়েটার সব্বোনাশ হয়ে গেল গো"। এই মধ্যযুগীয় ভাবনাটাই নোংরা। সে ক্যামেরায় মুখ দেখায় না এই চাপানো 'লজ্জা' থেকেই। একজন 'ধর্ষিতা' নারী শুধু একবারই ধর্ষনের শিকার হয় না; পাড়াপ্রতিবেশীর কথাবার্তায়, মিডিয়ায়, বুদ্ধিজীবির আলোচনায়, রকের আড্ডায় বারংবার 'ধর্ষিতা' হয়। সামাজিকভাবে আমাদের উচিৎ এই ধর্ষন সম্পর্কীয় ধারনার বিনির্মাণ। আক্রান্ত নারী কেন লজ্জা নিয়ে বাঁচবে? লজ্জা তো তার না। বরং লজ্জাটা শুধু তোলা থাক ঐ কামুক ধর্ষকের জন্য। 'ধর্ষিতা' শব্দের বদলে ব্যবহার হোক "নির্ভয়া" বা "আক্রমন উত্তীর্ণা"। 'ধর্ষিতা' শব্দটিই নারীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলে, তাই এই ঘৃন্য শব্দের অবলুপ্তি হোক। আক্রান্ত নারীর ছবি ঠিকুজীকুষ্ঠি উদ্ধার আর নয়, বরং আক্রমনকারীর ছবি ও ঠিকুজীকুষ্ঠি সামনে আসুক। লজ্জাটা আক্রান্তের হাত থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক আক্রমনকারীকে।

    আক্রমনকারী ও আক্রান্তের সম্পর্ক যেমন ক্ষমতার, তেমনি ধর্ষক ও ধর্ষিতার সম্পর্কও ক্ষমতার। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কেবল অসহায় একা নারীকেই আক্রমনকারী কামনাজাত শারীরিক আক্রমন করতে উদ্যত হয়। দলের মধ্যে থাকা বিশেষ কোন নারীর উপর আক্রমন শানাতে আক্রমনকারীর কিন্তু সাহস হয় না। আবার এই 'ধর্ষণ' কখনও পাল্টা প্রতিশোধ, কখনও আবার রাজনৈতিক অস্ত্র। ধর্ষনের সঙ্গে মানসম্মানের প্রশ্ন সামাজিকভাবে জড়িয়ে দেওয়া হয় বলেই এই প্রবনতা গুলো দেখা যায়। যেকোন যুদ্ধ বিগ্রহে বা বীভৎস সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় হাজার হাজার ধর্ষনের ঘটনা ঘটে ঠিক এই কারণেই। এখানে 'ধর্ষক' যেন বিজয়ী, আর যাকে ধর্ষণ করা হল সে যেন পরাজিত। আমরা অবচেতনভাবেই এই বদ্ধমূল ধারণা লালন করি। তাই জয়-পরাজয়ের প্রশ্নে অবলীলায় যথেচ্ছাকারে "ধর্ষণ অলঙ্কার" ব্যবহার করি। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে দিলে হায়দ্রাবাদের সমর্থক বলে, "হায়দ্রাবাদ মুম্বাইকেকে পুরো চু* দিল রে"। এই ধরনের রেপ রেটোরিক এবার বন্ধ হওয়া উচিৎ। 'ধর্ষণ' সম্পর্কীয় এমন মানসিকতার নির্মাণ একদিনের নয়, স্মরনাতীত কাল ধরে চলে আসা পুরুষতান্ত্রিক সমাজেরই ফসল। আর আছে আধুনিকতার খোলস পরা পুঁজিবাদী মানসিকতা যা নারী শরীরকে পন্যায়িত করে নারীকে আরো বেশি করে ভোগ্যবস্তু ভাবার মানসিকতাকে পোক্ত করছে।

    ভারতে ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মনমানসিকতা নিয়ে বিস্তর গবেষনা চলছে। এরা ছোট থেকেই নারী এবং নারী শরীরের প্রতি তীব্র ঘৃনা নিয়ে বড় হয়। একদিকে নারী শরীরের প্রতি উদগ্র কামজ বাসনা, আর অন্যদিকে তীব্র ঘৃনার মিশ্রিত সাইকোসিস। পাশাপাশি ধর্ষকেরা বেশিরভাগ কোন পরিবেশে বড় হয়েছে, কেমন ভাবে বড় হয়েছে, তাদের বিচ্ছিরি শৈশব, বিকৃত কৈশর, ধর্ষণ মানসিকতার উৎসমূল সবকিছুর বিচারবিশ্লেষন জরুরী। আমদের সমাজ ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ নির্মূল করতে কঠোর শাস্তিবিধান বা নারীদের নানারকম রক্ষাকবচ দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সমাজে যাতে ধর্ষণ মানসিকতার জন্ম না হয় সেদিকে নজর নেই বললেই চলে। আপনার নিজের কন্যাসন্তান রাস্তায় বেরোলে সুরক্ষিত কি না সেটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, পাশাপাশি এটাও আপনার চিন্তার বিষয় হওয়া উচিৎ আপনার ছেলে ভবিষ্যতে ধর্ষকে পরিনত হয়ে যাচ্ছে না তো ? কারণ ধর্ষক ও তার ধর্ষণ মানসিকতা এই সমাজেরই উপজাত। আপনার ছেলের মানসিকতাও সেই ভাবে গড়ে উঠতে পারে।

    একটি পরিবারে নারীদের প্রতি ধ্যানধারনা কেমন, আচরণ কেমন এবং নারী সম্পর্কীয় অচলাধ্যাস এসবই শিশুমনে দাগ কাটে। পুত্রসন্তান যদি দেখে কথায় কথায় তার বাড়ির পুরুষ অভিভাবকেরা তার মাকে ছোট করছে তাহলে সে নিজেকে শিখিয়ে নেবে যে নারীদের এভাবেই ছোট করতে হয়। মা'কে ধমকে কথা বলতে হয় তবেই পৌরুষত্ব বজায় থাকে। তাই, বাড়ির বাইরের অচেনা নারীদের কথা পরে হবে, আগে নিজের বাড়ির নারীদের প্রতি সম্মান দিয়ে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। ছেলে দেখবেন সম্মান দেওয়ার ব্যাপারটা আপনাকেই অনুকরণ করছে। সম্মান মানে এমন নয় যে নারীকে দেবীর আসনে বসিয়ে পুজো করতে হবে। আমাদের ধর্মীয় বা সামাজিক ভাবনায় নারী কখনও 'দেবী' কখনও 'দানবী'। নারীকে এভাবে হয় 'দেবী' নাহয় 'দানবী' ভাবাটা পুরুষতান্ত্রিক একপেশে দৃষ্টিভঙ্গি। দেবী বা দানবী নয়, নারী মানুষ। পুত্রসন্তানকে শেখান নারীকে মানুষ হিসাবেই সম্মান দিতে। ভোগ্যবস্তু ভাবা যেমন একেবারেই কাম্য নয়, তেমনি 'দেবী' ভাবারও প্রয়োজন নেই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৩০৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্বাতী রায় | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৬50868
  • পূর্ণ সহমত। যাঁরা মৃত্যুদন্ড চাইছেন তাঁরা কেউ তলিয়ে ভাবছেন না। ফাঁসি দিয়ে নিজের দায় ঝেড়ে ফেলে নিজের বিবেককে পরিষ্কার রাখতে চাইছেন। অথচ সমস্যাগুলো জিইয়েই থাকবে।

    সমস্যা বহুমাত্রিক, তার সমাধানে মন দেওয়া দরকার।
  • Amit | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:১১50869
  • এইটা কিন্তু কেও কখনো বলেন নি যে ফাঁসি দিলেই কাজ শেষ। বাকি কিছুর দরকার নেই।

    সমস্যা যেমন বহুমাত্রিক, তার সমাধান ও বহুমাত্রিক ই হবে।ছেলে মেয়ের একোয়ালিটির শিক্ষা, বাচ্চাদের গুড টাচ ব্যাড টাচ চেনানোর শিক্ষা, ছেলেদের কে ছোট থেকে মেয়েদের পণ্য না ভাবতে শেখানোর শিক্ষা, সবার নিজেকে আত্মরক্ষার শিক্ষা, বিপদে পড়লে কাকে কিভাবে কনটাক্ট করবে, তার শিক্ষা, পুলিশ কে মানুষ হতে শেখানোর শিক্ষা - সব কিছুই তো দরকার, কিন্তু তার সাথে অপরাধ ঘটলে তার শাস্তিটাও কেন রাখা হবে না পাশাপাশি ?

    দুটোর মধ্যে তো কোনো বিরোধ নেই। একটার এগেইনস্ট এ আর একটা কে দাঁড় করানো হচ্ছে কেন ? এই দুটো অবজেক্টিভ কি মিউচুলি অপোজিট-? অপরাধ না করাটা শেখানো টা যেমন দরকার, অপরাধ ঘটলে সেটার ডিটেরেন্সে ও দরকার, বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে নৃশংসতা সীমা ছাড়িয়ে যায়।

    আকাশ কুসুম কল্পনা না করে আজকের ইন্ডিয়াতে বাস্তব অবস্থা টা এটাই যে এতো বছর পরেও ইন্ডিয়ার কোনো স্কুল এ প্রপার সেক্স এডুকেশন চালু করা যায়নি, কবে সম্ভব হবে কেও জানে না। আর এখনো সমাজের একটা বিশাল অংশ স্কুল শিক্ষার আওতারই বাইরে, একটা বিশাল অংশ মইগ্রান্ট লেবর যারা সাব হিউমান কন্ডিশন এ বছরের পর বছর কাজ করে চলেছে, একটা বিশাল অংশ যাদের কাছে মেয়েদের অধিকার মানে একটা গল্পকথা, এদের কাছে রাস্তায় মেয়ে মানে ই একটা সবার ভোগ্য বস্তু। বসে ট্রামে রোজ হাজার হাজার মেয়ে তার সাক্ষী আছে।

    যারা অন্য সব সমাধানের কথা গুলো বলেন, এই সব অংশের জন্যে তাদের কোনো প্রাকটিক্যাল সমাধান আছে যেগুলো ইম্প্লিমেন্টবলে ইন নিয়ার ফিউচার -? শুধু থিওরী নয় ?
  • স্বাতী রায় | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:০৭50870
  • যে সমস্যা দীর্ঘ দীর্ঘ দিনের তার সমাধান ইমপ্লিমেন্টেবল ইন নিয়ার ফিউচার হবে? ম্যাজিক?

    জেন্ডার সেন্সটাইজেশনের শিক্ষার সঙ্গে অনেক কিছুর যোগ - শিক্ষা, সম্পদ, জীবনের সুযোগ, বৈষম্য, সামাজিক সংস্কার, পুরুষত্ব-নারীত্বের ধারণা ইত্যাদি ইত্যাদি। সেগুলো সরাতে সারাতে না পারলে সমাধান হবে কি করে?

    অপরাধ করলে শাস্তি প্রাপ্য। কিন্তু ধর্ষণের জন্য মৃত্যু কেন? যে একজনের প্রাণ নিচ্ছে বা তার প্রতি তীব্র হিংসা করছে, তাকে তো আমরা অপরাধী বলছি। বহুদিন আগে জরাসন্ধ লিখেছিলেন অপরাধীদেরও শ্রেণী বিভাগ হয়, নারী নির্যাতন কারীরা সব থেকে নিচের স্তরে থাকেন। এবার যে কারণে একজন ঘৃণ্য অপরাধী বলে চিহ্নিত হন, রাষ্ট্র ও যদি সেই একই কাজ করে তাহলে রাষ্ট্র ঘৃণ্য নয়?

    আর কতজনকে ফাঁসি দেবে রাষ্ট্র? যারা শুধু রেপ করছে তাদের? এখনো সব কেস পুলিশ অবধি যায় বা পুলিশ কেস নেয়? আর শুধু রেপ কেন, যারা রেপ ভিডিও কিনছে তারা শাস্তির যোগ্য নয়? যারা ট্রামে বাসে মেয়েদের হেনস্থা করে বা বাড়ীর মধ্যে ছোট বাচ্চাদের মলেস্ট করে তাদের কি শাস্তি হবে? শুধু অশিক্ষিত ড্রাইভার বা খালাসি নয় কিন্তু, শিক্ষিত ভদ্রলোকরাও আছেন সে দলে।

    আর দুটিকে বাইনারীতে ফেলার আরেকটা কারণ হল দুটি পন্থার মধ্যে আমাদের দায় আমরা শেষ করে দিচ্ছি ফাঁসি চেয়ে। বাকিগুলোর জন্য আমরা তথাকথিত শান্তির সময়ে ( যদিও জানি না যে দেশে ধর্ষণের এত প্রকোপ, সেখানে শান্তির সময় কোনটা) রাষ্ট্রকে একউনটেবল করছি না। সারা বছর ধরে তেমন আলোচনা শোনা যায় কটা?
  • Amit | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:২০50871
  • ধর্ষণের জন্যে মৃত্যু র বিল জাস্ট গত কয়েক বছরেই এসেছে, আগে ছিল না। খুন করার জন্যে ফাঁসির প্রভিশন ছিল। সেটা কত গুলো ক্ষেত্রে ইমপ্লিমেন্ট হয়েছে ? যেখানে রায় দিতে ১৫ - ২০ বছর লেগে যায়, তার পরেও বহু বছর প্রেসিডেন্ট অ্যামনেস্টি, ইত্যাদি করে টাইম পাস করা হয়, সেখানে ফাঁসি কে কিভাবে ডিটেরেন্ট হিসেবে ক্লেম করা হচ্ছে ?

    আর হায়দেরাবাদের ঘটনা টা শুধু ধর্ষণ নয়, সাথে অমানুষিক নৃশংস ভাবে খুন। নতুন কি পুরোনো কোনো আইনেই এদেরকে ছাড়া উচিত নয়।

    ঠিক আছে, নিয়ার ফিউচার ছেড়ে দ্যান, ফার ফিউচার এর একখান পথ ফরওয়ার্ড দেওয়া হোক, যেটা প্রাক্টিক্যালি ইম্প্লিমেন্টবলে। শুধু থিওরী নয়।

    লং টার্ম জেন্ডার সেন্সটাইজেশনের শিক্ষার সাথে কড়া শাস্তির কোনো বিরোধ নেই। দুটো সম্পূর্ণ নিজের নিজের জায়গায়। এমন নয় যে ফাঁসি র আইন কড়া আছে বলে ধর্ষণ বেশি হচ্ছে, বরং উল্টোটাই। একটা বিশাল অংশের মধ্যে আইনের ভয় বলে কোনো কিছুই নেই, তাই এরকম জঘন্য অপরাধ করার আগে তারা চিন্তাও করে না। জানে যে ধরা পড়লেও প্রমান করতে ১৫-২০ বছর কেটে যাবে, তারপরেও অনেক ডিলে ট্যাকটিকস যাতে আছে আরো কয়েক বছর টেনে দেওয়ার , ততদিন ম্যাক্সিমাম জেলে থাকতে হবে, কিন্তু প্রাণে মরবে না। সেটা আর যাই হোক, ডেটরেন্ট নয়।
  • স্বাতী রায় | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:২১50872
  • আর জানেন তো এক সময়ের বিচার এক সময়ে প্রহসন বলেও দেখা যায়। ধনঞ্জয়কে আমরা খুব আহ্লাদ করে ফাঁসিতে চড়িয়েছিলাম, ভেবেছিলাম কঠিন শাস্তি দিচ্ছি। কি লাভ হল? অপরাধ এক চুলও কমল না, উল্টে যখন অন্য রকম জানা গেল তখন কি আমরা তার প্রাণ ফেরাতে পারলাম? মৃত্যু একটা ফাইন্যালিটি। irrevocable. যে প্রাণ দিতে পারি না, সে প্রাণ নিয়ে নেব?

    আর একটা ছোট কথা, যদিও সেটা ঠিক যুক্তি নয়, সিভিলিয়ানের মৃত্যুদন্ড চাইতে পারি, সেনাবাহিনীর নামে যখন সেই এক অভিযোগ আসে তাদের তো সেটা শোনান যাবে তো? উত্তর পূর্বে বা কাশ্মীরে যত রেপের খবর আসে, সেগুলোর কি হবে?
  • Amit | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:৩৪50873
  • আর এরা ড্রাইভার বা খালাসি বলেই এদের ফাঁসির দাবি তোলা হচ্ছে, তথাকথিত ভদ্রলোক হলে হতো না - এই সব তত্ত্ব কোদ্দিয়ে আমদানি হচ্ছে ? এটাই তো বলা হচ্ছে ইন্ডিয়া তে জাস্টিস সিস্টেম টাই ইনএফেক্টিভ। টাই মানু শর্মা খুন করেও ছাড়া পেয়ে যায়, কিন্তু সেটা কি পাবলিক চেয়েছে ? সেটা আইনের অপদার্থতা যে পয়সার কাছে বিকিয়ে যায়।

    ইন্ডিয়াতে রোজ হাজার ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, সব কটা কাগজেও আসে না, কিন্তু তার মধ্যেই কয়েকটা ঘটনা মানুষকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়, জাস্ট স্কেল অফ ভায়োলেন্স এর জন্যে। দিল্লির নির্ভয়া যেমন ছিল, তেমনি কাশ্মীরে মন্দিরে বাচ্চা আদিবাসী মেয়েটা, তেমনি হায়দরাবাদের ঘটনা টাও। এসব ক্ষেত্রে পাবলিক অউটরেজ ও বেশি ই হবে, যেটা সব ক্ষেত্রে সমান নাও হতে পারে।

    বিশেষ করে যেখানে আদৌ অনেক ক্ষেত্রে প্রমাণ ই করা যায়নি, যেমন তরুণ তেজপালের কেস টা বা জাস্টিস তরুণ গগৈ র কেস। যদি সেসব সত্যি হয় ও, তবুও স্কেল অফ ভায়োলেন্স এ সেসব আদৌ তুলনায় আসে ?

    এবার যদি কেও বলে বসেন যে আগে সব ঘটনা র কেন একুয়াল প্রতিবাদ হয়নি বা ফাঁসির দাবি ওঠেনি, তবে তো শ্রীজাতের কথা ধার করে বলতে হয় যে রোলের দোকান খোলা হয়নি।
  • স্বাতী রায় | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:৪১50875
  • একটু দেরী না করে ফাঁসি হলে সেই ভয়ে ধর্ষণ কমবে এই আশা যারা করছেন, তাদের শুধু মুকেশের জবানবন্দী আর হরিয়ানার লোকদের বক্তব্য শুনতে বলব।
  • i | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:৪২50876
  • অতীতে এই ধরণের বিতর্কে অনেকবারই মিনমিন করে একটি লিংক দিয়েছি-স্বাতী ভট্টাচার্যের একটি লেখা, ২০১৩ র জানুআরির সম্ভবতঃ। আমার চিন্তার সঙ্গে সে লেখা খুব মিলে যেত। দুঃখের বিষয় সে লিংক দিয়ে সহজে সারব, সে পথ নেই-লিংক খুঁজে পেলেওতা আর কাজ করে না। মুশকিল হল এখন সে লেখার সারবত্তা চট করে লিখতে গেলে আমার ভাবনা, স্বাতীর লেখা মিলে মিশে সামান্য জগাখিচুড়ি হয়ে যেতে পারে-
    যাই হোক, মোটের ওপর ব্যাপারটা এই-

    এই লেখায় , বুলবুলভাজায় এবং অন্যত্র প্রতিবছরই অনেক সমাধান দেওয়া হয়েছে/ হয়ে থাকে- ফাঁসি/ না-ফাঁসি, আত্মরক্ষা/ ছেলেদের ছোট থেকে শিক্ষা প্রদান/ সমাজে মেয়েদের স্থান ইত্যাদি ইত্যাদি-
    এসব বিতর্ক চলুক, কাজ চলুক-নিদেন পক্ষে শুরু হোক। সবই খুব ভালো প্রস্তাব। কিন্তু সেই আকাঙ্খিত সময় যতদিন না আসে , ততদিন কী হবে?

    স্বাতী ভট্টাচার্য লিখেছিলেন-একটা গোটা দেশ/ একটা গোটা রাজ্য এইভাবে বৃহৎ অঞ্চল না ধরে ছোটো ছোটো এলাকায় ভাগ করা হোক-পরিসংখ্যান ইত্যাদি দেখা হোক-দেখা যাবে ধর্ষণের প্রত্যক্ষ কারণ ভিন্ন ভিন্ন ( আমরা মূল সামাজিক কারণের কথা এখানে বলছি না- তার জন্য কাজকর্ম শুরু হোক /হচ্ছে /হবে-আগেই বলে নেওয়া হয়েছে)। প্রত্যক্ষ কারণের মধ্যে কোথাও দেখা যাবে-লম্বা নির্জন রাস্তা পেরিয়ে মেয়েদের স্কুল /কলেজ থেকে বাড়ি ফিরতে হয়-সে রাস্তায় হয়ত কোনো আলো নেই তদুপরি মদের ঠেক, কোথাও পানীয় জল আনতে বহুদূর পাড়ি দিতে হয়/ বাড়িতে শৌচাগার নেই-মাঠে যেতে হয়-এইরকম। এবারে ছোটো ছোটো এলাকা ধরে পুলিশ প্রশাসন ও জনসাধারণের সহযোগিতায় প্রত্যক্ষ কারণগুলি দূর করা হোক-এই কাজ গোটা দেশে সমান্তরালভাবে হতে পারে।
    প্র্যাকটিকাল মনে হয় না? করা সম্ভব মনে হয় না?
  • Amit | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:০১50877
  • ইন্ডিয়াস ডটার আর মুকেশ র ইন্টারভিউ, যেটার কথা বলা হচ্ছে , সেটা দেখেছি এবং দেখার পরে কোনো সহানুভূতি আসেনি। এই গুলো কে সবকটার ফাঁসির সাজা হলে অন্তত কোন দুহখ হবে না । হলে হোক।
  • | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:০১50878
  • হ্যাঁ তা কুলদীপ সেণ্গারকে পার্লামেন্টের ভেতরে ঝোলানোর দাবী কেউ তুলছেন? বেশ ভাল দৃষ্টান্তমূলক হবে। নাকি উন্নাওএর ঘটনা তেমন বীভৎস নয় বলে ফাঁসিবাদীরা মনে করেন?

    নিত্যানন্দ তো আবার ইক্যুয়েডারের কাছে গিয়ে দ্বীপ কিনে নিজের রাষ্ট্রই বানিয়ে ফেলেছে, নিজের পতাকা, পাসপোর্ট ইত্যাদিসহ।
  • Amit | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:০৯50879
  • কেও কি এখানে বলেছেন কখনো যে উন্নাও এর ঘটনা কম বীভৎস ? অথবা কুলদীপ সেনগারের শাস্তি হওয়া উচিত নয়? এই প্রশ্ন গুলো উঠছে কেন?
  • স্বাতী রায় | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:১৩50880
  • স্বাতী ভট্টাচার্য লিখেছিলেন-একটা গোটা দেশ/ একটা গোটা রাজ্য এইভাবে বৃহৎ অঞ্চল না ধরে ছোটো ছোটো এলাকায় ভাগ করা হোক-পরিসংখ্যান ইত্যাদি দেখা হোক-দেখা যাবে ধর্ষণের প্রত্যক্ষ কারণ ভিন্ন ভিন্ন ( আমরা মূল সামাজিক কারণের কথা এখানে বলছি না- তার জন্য কাজকর্ম শুরু হোক /হচ্ছে /হবে-আগেই বলে নেওয়া হয়েছে)। প্রত্যক্ষ কারণের মধ্যে কোথাও দেখা যাবে-লম্বা নির্জন রাস্তা পেরিয়ে মেয়েদের স্কুল /কলেজ থেকে বাড়ি ফিরতে হয়-সে রাস্তায় হয়ত কোনো আলো নেই তদুপরি মদের ঠেক, কোথাও পানীয় জল আনতে বহুদূর পাড়ি দিতে হয়/ বাড়িতে শৌচাগার নেই-মাঠে যেতে হয়-এইরকম। এবারে ছোটো ছোটো এলাকা ধরে পুলিশ প্রশাসন ও জনসাধারণের সহযোগিতায় প্রত্যক্ষ কারণগুলি দূর করা হোক-এই কাজ গোটা দেশে সমান্তরালভাবে হতে পারে।
    প্র্যাকটিকাল মনে হয় না? করা সম্ভব মনে হয় না?

    একদম একদম। শর্ট টার্ম না হোক মিড টার্মে তো এর ফল মিলবে। কামদুনির রাস্তায় যেতে হয়েছিল ঘটনার কিছুদিন
    পরে। সন্ধ্যে সাতটার সময় কি ঘোর অন্ধকার চারদিকে। বড় রাস্তা থেকে গ্রামে ঢোকার রাস্তায় নিশ্ছিদ্র অন্ধকার। কদিন আগেও উড়িষ্যার এক গ্রামে দেখলাম ঝুপসি অন্ধকারে মেয়েরা শুধু সাইকেলের ল্যাম্পের আলোয় ভরসা করে পড়ে ফিরছে। আমার শহুরে মন দেখেই বিপদের আশঙ্কায় ভয়ে কাঁপল।
    অবশ্য আমার কাছে যেটা ভয় সেটা তাদের কাছে ততটা বিপজ্জনক নাও মনে হতে পারে। হয়ত তাদের আশঙ্কা অন্যত্র। তাই স্থানীয় স্তরে আলোচনা করে সমাধানের উপায় খোঁজা দরকার।
  • স্বাতী রায় | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:১৯50881
  • @Amit আপনার সহানুভূতির কথা বলি নি। মুকেশের ইন্টারভিউ বা হরিয়ানার ভিডিও র কথা বলেছিলাম তাদের পারস্পেক্টিভটা যে অনেকটা আলাদা সেটা বোঝানোর জন্য। তারা ফাঁসীকে ডেটারেন্ট বলে ভাবছে না। বরং সেজন্য খুন ও দেহ পুড়িয়ে দিতে চাইছে।
  • হাল ছেড়ো না | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:৩৮50882
  • এই নৃশংস ঘটনা ঘটলেই ফাঁসি চাওয়ার মধ্যে একটা সাংঘাতিক হতাশা লুকিয়ে আছে, যেটা গণপিটুনি দেওয়ার মধ্যেও থাকে। দেশের প্রশাসন শেষপর্যন্ত কিছুই করবে না - এটা দীর্ঘদিন অপদার্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যে থাকতে থাকতে আমরা স্বাভাবিক বলে ধরে নিয়েছি। ফলে প্রিভেনশানের কথা ভাবতেই পারছি না। আর লিবারেল লোকজনদের কীরকম একটা অদ্ভুত স্ট্যান্ড দেখছি যে সরকারে তো সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট বিজেপি, ফলে তার কাছ থেকে কী আশা করব? পয়েন্টটা হচ্ছে প্রশাসনে যে-ই থাকুক, সে হিটলার থাকলেও তাকে চেপে ধরতে হবে। অদ্ভুত একটা রিয়েলিটি তৈরী হয়েছে সারা দেশে। অর্থনীতির এরকম বেহাল অবস্থা। খুনোখুনি চতুর্দিকে লেগেই আছে। নেতানেত্রীদের হুমকি-আস্ফালনের বিরাম নেই। আবার সেই দেশেই অম্বানি-আদানিরা সাতজন্মের ধনসম্পত্তি গুছিয়ে নিচ্ছে এক জমানায়। এই ঘটনাগুলো যে একসাথে জড়ানো সেটা কী আমরা বুঝতে পারছি না? দেশের নাগরিককে নিরাপত্তা দিতে না পারলে সেটা প্রশাসনের কলঙ্ক। প্রশাসনকে কড়া হতেই হবে, পুলিশ ৯১১ এর মত এমার্জেন্সী সার্ভিস চালু করুক। ফাঁসি-টাসি দেওয়ার ফালতু দাবী তুলে দয়া করে প্রশাসনকে পার পেয়ে যেতে দেবেন না।
  • | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:৪৩50883
  • একজন সম্ভাব্য ধর্ষপকারীর ভয়েসও থাকুক

  • Amit | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:০১50884
  • সোশ্যাল মিডিয়া এসে সমাজে যে যত ডাস্টবিন আছে, সব একেবারে উপুড় করে দিয়েছে। একদিকে ভালোই, লোকের আসল চেহারা টাও মাঝে সাঝে বেরিয়ে পড়ছে অতি উৎসাহের চোটে।

    আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি ধর্ষণের ক্ষেত্রে ফাঁসির আইন টা ভুল। ওটার কোনো দরকার ছিল না। দরকার ছিল যা আইন ছিল , তার প্রপার ইমপ্লিমেন্টেশন, যেটা প্যাথেটিক বললেও কম বলা হয়।

    কিন্তু খুনের ক্ষেত্রে (বা ধর্ষণ প্লাস খুন) ফাঁসি র ব্যাপারে যে যুক্তি তোলা হয় কাওকে ফাঁসি দিলে রাষ্ট্র ও সেই অপরাধে অপরাধী, তার কোনো খুঁজে পাইনা। রাষ্ট্র কোনো ব্যক্তি নয়, কোনো ফিজিক্যাল এনটিটি নয়, জাস্ট কিছু লোক এক সাথে থাকার জন্য একটা ইমাজিনারি জিওগ্রাফিকাল বাউন্ডারি তৈরী করে নিয়েছে, এবার সেটা প্রতি আবেগ জাগাতে দেশমাতা পিতা সব নিয়ে উলুত পুলুত করছে। ইন্ডিয়াতে তো আজকাল রামলালাও কোর্ট এ মামলা লড়ছে নিজের মন্দিরের জন্যে। এসব গাঁজাখুরি একদিন থামবে, সেটা ৫০০-১০০০ বছর পরে হলেও।

    আইন ব্যবস্থাও কোনো অবসোলুট কনস্ট্যান্ট নয়, সময়ের সাথে সাথে পাল্টে যায়। এনি মোমেন্ট তার জাস্ট এটাই মেন্ অবজেক্টিভ যে একটা সোসাইটি গড়ে উঠেছে, সেটাতে লোকে আপাতমূলক ভাবে শান্তি তে থাকতে পারে। সে খাপ পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে আদিবাসীদের গ্রামসভা সবার ই এটাই অবজেক্টিভ, তার ইমপেলমেন্টেশন বা রিলেটিভ প্রায়োরিটি যতই আলাদা বা শকিং হোক না কেন। মনুবাদে শুভ্র দের মানুষ বলেই ধরা হতো না, তাই কোনো শুভ্র কোনো ব্রাহ্মণ কে মারলে তাকে জ্যান্ত পোড়ানো হতো, কিন্তু উল্টোটা হলে দিব্যি সেই ব্রাহ্মণ হয়তো আরো কজন ব্রাহ্মণ কে পেটপুরে খাওয়ালেই পাপ মুক্তি। এই ভাতের আইন দিয়েই চলেছে তো কয়েক শো বছর। বিভিন্ন শ্রেণীর বিভিন্ন স্টেটাস, কেও অতি মানুষ, কেও কম মানুষ , বা অর্ধ মানুষ।

    এবার ২১স্ট সেঞ্চুরি তে রাষ্ট্র ব্যবস্থা এখনো অবধি একটা হাই পেডেস্টাল এ বসার সুযোগ পেয়েছে, যেখানে ইকুয়ালিটি কনসেপ্ট, সব মানুষই সমান, সেটা র এপ্লিকেশন যতই ভাট হোক না কেন,, কাগজে কলমে আইনের চোখে সব সমান, যেটা অনেকটাই ওয়েস্টার্ন ডেমোক্রেটিক কনসেপ্ট। এখন আদিবাসীরা কাওকে ডাইনি বলে নিদান দিয়ে মারতে চাইলে বা কেও ভিন জাতে বিয়ে করার জন্যে নিজের মেয়েকে পোড়ালে রাষ্ট্রের আইন তাকে অপরাধী ঘোষণা করতে পারে। সব কেস এ করে কিনা পরের কথা।

    এবার একজন কাওকে খুন করলে সেই পার্টিকুলার রাষ্ট্রের আইন মনে করতে ই পারে সে বাকি লোকেদের পক্ষে বিপদজনক। তাকে বাঁচিয়ে রাখলে আরো কেও খুন হতে পারে, সুতরাং ফাঁসিতে চড়ানো হোক। এতে রাষ্ট্র অপরাধী, রাষ্ট্রের অধিকার এতো সব ফিলোসোফিক্যাল আঙ্গেল কেন এসে পরে কে জানে ? আর যেখানে ক্রাইম এর সাথে শাস্তির একটা ২০-৩০ বছরের গ্যাপ, সেটাকে আর যাই হোক ডেটরেন্ট বলা যায়না।

    ইন ফ্যাক্ট বিদেশে যেসব দেশে ফাঁসি নেই, সেখানেও বহু ক্ষেত্রে ধর্ষণের শাস্তি তে ২০-৩০ বছর জেল হয় প্যারোলে ছাড়া, তার পরেও সেই সব অপরাধী কে সমাজে ছাড়া র পরে ক্লোস মনিটরিং করা হয়। এমনকি সে কোনো শহরে মুভি করতে চাইলে সেখানে কমিউনিটি তে ভোটিং করা হয় যে তারা এরকম একজন ক্রিনিনাল কে নিজের কমিউনিটি তে থাকতে দিতে চায় কি না, প্লাস রেগুলার পুলিশ সার্ভেইল্যান্স থাকে। রিসেন্টলি একটা কেস জানি যেখানে এরকম একটা ক্রিমিনাল কে বহুদূরে একটা রিমোট শহরে রিলোকেট করা হয়েছে কারণ বহু শহরে তাকে থাকতে দিতে চাইনি। এতো কম লোক নিয়েও এই দেশ গুলো ক্রাইম থামাতে পারে না। ইন্ডিয়াতে কি এই লেভেল এ সার্ভেইল্যান্স করা সম্ভব ১।৩ বিলিয়ন লোকের মধ্যে ?

    আর কড়া শাস্তির সঙ্গে সমাজ শিক্ষা বা অন্যান্য উন্নয়ন যেগুলোর কথা বলা হচ্ছে, তার বিরোধ কোথায় ? এগুলো তো হওয়াই উচিত , সেসবের জন্যে আন্দোলন একশোবার হোক না। কোথাও কি বলা হচ্ছে ফাঁসি দেওয়া হলে আর বাকি কিছু করার দরকার নেই ? এতেই সব শুধরে যাবে ?
  • Ndtv | ***:*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:৫০50886
  • সেই অত্যাচারিত ,খুন হওয়া মেয়ে দের মাবাবা দের কথা ও শোনা হোক।
    For seven years I have been waiting, going from court to court, making rounds of lower court asking to hang them, but the court said they also have human rights, can't hang them. But it's needed today," Asha Devi said. "Something has changed today with the action by the Telangana Police. I am very happy," she added.
    https://www.ndtv.com/india-news/telangana-encounter-its-been-7-years-we-die-everyday-nirbhayas-parents-thank-telangana-police-2144226
  • আহা | ***:*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:০২50887
  • উন্নাওতে ভিক্টিম জ্বালিয়ে দেওয়া
    শুভম ত্রিবেদি
    শিবম ত্রিবেদি
    রামকিশোর ত্রিবেদি
    হরিশঙ্কর ত্রিবেদি
    উমেশ বাজপেয়ি
    এদের নামে কেউ ফাসি হাত পা লিঙ্গ ছিড়ে ফেলা এনকাউন্টার চাইছে না।
    ত্রিবেদি বাজপেয়ির ফাসি চাওয়ার হ্যাডম কারো নেই
  • abp | ***:*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৮:১৯50888
  • "শিবম আর শুভমের বিরুদ্ধেই গত মার্চে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই তরুণী। তাঁর অভিযোগ ছিল, গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে তাঁকে ধর্ষণ করেছিল ওই দু’জন। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নেয় মাস তিনেক পরে। দু’জনের মধ্যে এক জনের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। কার সঙ্গে, জানা যায়নি। তবে সেই ‘প্রেমিক’ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়েটির সঙ্গে বেশ কয়েক বার সহবাস করে। তার পরে বন্ধুর সঙ্গে মিলে তাঁকে ধর্ষণও করে। একটি সূত্রের দাবি, এক অভিযুক্তের সঙ্গে বাড়ির অমতে বিয়েও হয় তরুণীর। পরে দুই পরিবারের ঝামেলায় তরুণী নিজের বাড়িতে ফিরে যান। অভিযুক্তেরা পরে গ্রেফতার হয়। এক জন দশ দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল। পুলিশের খাতায় অন্য জন ছিল পলাতক। "
  • স্বাতী রায় | ***:*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৩২50889
  • উন্নাও নিয়ে আমরা ফাঁসি এনকাউন্টার ভাবছি না কারণ তাকে ঠিক আমরা নিজেদের মেয়ের জায়গায় বসাতে পারছি না। আমাদের সহানুভূতি আছে, কিন্তু আইডেন্টিফিকেশন নেই। ফলে তীব্রতাও নেই।

    তবে আর কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না। সব মৃত্যুদণ্ডকামীদের আজ ইচ্ছা পুরণের দিন। উল্লাস। আমরা যারা দেশের মাটিতে বসে আছি, আমাদের কিছু কিছু জনের ভয় করছে। খুব ভয়।
  • aranya | ***:*** | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০০50890
  • গায়ে কেরোসিন ঢেলে জ্বালিয়ে দিল, কত সহজ এই কাজ। তার আগে বেত-এর মার, ছুরির কোপ। ভোর বেলা একা হাঁটছে মেয়ে, সাথে যাওয়ার কেউ ছিল না। আমাদের মত প্রিভিলেজড পরিবারের মেয়ে হলে, সঙ্গে আরও নিকটজন থাকত, গাড়িও থাকত হয়ত বা
  • aranya | ***:*** | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০১50891
  • অপরাধীরা নিশচয়ই প্রভাবশালী, তাই জেলের বাইরে
  • Atoz | ***:*** | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:২৭50892
  • অরণ্যদা, কানাকড়ি দাম নেই মেয়ের, গরীবের মেয়ের তো আরোই নেই। খাদ্য হিসাবে পরিগণিত তারা। আগেকার দিনে জমিদারেরা লেঠেল পাঠিয়ে তুলে নিয়ে যেত, তাও তখন জ্যান্ত ফেরৎ দিত। এখন গুন্ডারা তুলে নিয়ে খেয়েদেয়ে মুখ মুছে ফ্যালে, তারপরে একেবারে পুড়িয়ে নিকেশ করে দেয়।
  • abp | ***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:১৩50893
  • "বিয়ের প্রতিশ্রুতি পেয়ে প্রেমিকের সঙ্গে গ্রাম ছেড়েছিলেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা। অনেক টালবাহানার পরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁকে বিয়ে করে শিবম। কিন্তু শিবমের বাড়ির লোক সেই সম্পর্ক না মেনে নেওয়ায় এক মাসের মাথায় ফের নিজের বাড়িতে ফিরে যান তরুণী। তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, মাঝের সময়টায় বিভিন্ন শহর পাল্টে পাল্টে তাঁকে ভাড়া বাড়িতে নিয়ে গিয়ে উঠত শিবম। কথা না শুনলেই চলত মারধর আর যৌন নির্যাতন। তরুণী যাতে পালাতে না-পারেন, তার জন্য তাঁকে কড়া নজরদারিতে রাখা হত। বিয়ের পরেও তাঁকে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়। হুমকির হাত থেকে বাঁচতে একটা সময়ে তরুণী পালিয়ে রায়বরেলীর এক আত্মীয়ার বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু সেখানকার ঠিকানা জোগাড় করে শিবম রায়বরেলী গিয়ে নির্যাতিতাকে ফিরিয়ে আনে। এফআইআর-এ তরুণী জানিয়েছিলেন, ফেরার পথে ফাঁকা মাঠে তাঁকে গণধর্ষণ করে শিবম ও তার এক ভাই শুভম। পুলিশের কাছে গেলে শুধু তাঁকেই নয়, তরুণীর পরিবারকেও শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিত শিবম ও শুভম।"

    https://www.anandabazar.com/national/unnao-rape-survivor-alleged-that-she-was-made-sex-slave-1.1079991
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন