এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মোটা মাথার বোকা প্রশ্ন (২)

    Abhijit Majumder লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ মে ২০১৯ | ৩১৫৬ বার পঠিত
  • শুরুতেই বলেছি, আমি অর্থনীতি বুঝি না। তাই কত টাকা কোথায় গেল বুঝতে আমার ভরসা গুগুল। কোন ঋণখেলাপি আমার কত টাকা খেয়ে গেল সেটা গুগুল করতে গিয়ে আরেকটা মজার জিনিষ পেলাম। জানলাম, রাজ্যসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রকের ছোটমন্ত্রী শিবপ্রসাদ শুক্লা গত বছর জুলাই মাসে জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী ভারতবর্ষের ব্যাংকিং সেক্টরে মোট এনপিএ-র পরিমান যা মার্চ ২০১৪তে ছিল আড়াই লক্ষ কোটি, তা ৩১শে মার্চ ২০১৮-তে বেড়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে নয় লক্ষ বাষট্টি হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ভারতের শিক্ষা বাজেটের দশগুন ও প্রতিরক্ষা বাজেটের প্রায় তিনগুন।

    মন্ত্রীমশাই আরও জানিয়েছেন, এই ঋণখেলাপি টাকার নব্বই শতাংশই গেছে বড় কর্পোরেটদের ঘরে।

    তা কাদের ঘরে গেল এই টাকা? গুগল করে জানতে পারলাম, আরবিআই এই তথ্য প্রকাশে অনিচ্ছুক। তবে গোপন কথাটি তো আর সবসময় গোপন থাকে না। ক্রেডিট সুইস বলে একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক পরামর্শদাতা সংস্হার দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, ২০১৫-র মার্চ অব্দি শুধু অনিল আম্বানিরই ঋণখেলাপের পরিমাণ সওয়া লক্ষ কোটি টাকা। আদানি, এসার ও বেদান্ত গ্রুপের প্রত্যেকের ঋণখেলাপের অংক কমবেশি এক লক্ষ কোটির ঘরে। আবার একটু হিসেবের সুবিধের জন্য জানিয়ে রাখি, ভারতবর্ষের শিক্ষাখাতে ২০১৯ সালের বাজেট হল কমবেশি নব্বই হাজার কোটি টাকা।

    এ পর্যন্ত পড়ে কেউ বলতেই পারেন, আহা রে, বাছাদের ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে। নচেৎ কি আর এরা ধারদেনা বাকি রাখত? সে হয়ত যাচ্ছে, কিন্তু অক্সফ্যামের দেওয়া হিসেব কিন্তু অন্য কথা বলছে. এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটির দেওয়া হিসেব অনুযায়ী ২০১৬ সালের উৎপাদিত সম্পদের ৫৮ শতাংশ গেছিল ভারতবর্ষের ধনীতম এক শতাংশের হাতে। ২০১৭ সালে সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিয়াত্তর শতাংশে। অর্থাৎ, ভারতবর্ষে ২০১৭ সালে যদি ১০০ টাকার সম্পদ উৎপাদন হয়ে থাকে, তার মধ্যে তিয়াত্তর টাকাই ঢুকেছে একজনের পকেটে। আর দরিদ্রতম পঞ্চাশজন একসাথে পেয়েছে এক টাকা, গড়ে দু পয়সা।

    এই যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অসাম্য, তা কিন্তু শুধু ভারতের সমস্যা নয়, তা ঘটে চলেছে বিশ্বের কমবেশি সর্বত্র। কিন্তু আবারও আমার মোটা মাথায় খচখচ করতে থাকে, এভাবে কি চলতে পারে? কতদিন দাঁড়িয়ে থাকবে এরকম মাথা ভারী পা রোগা কাঠামো?

    লেখাটা শুরু করেছিলাম ব্যাংক কর্মীদের দিয়ে, কিন্তু আসলে এই সমস্যাটা আমার আপনার সবার। একটু ভেবে বলুন তো, আজকের দিনে কোন পেশাটা আছে, যেখানে আট ঘন্টা কাজ করলে চলে? আমাদের আগের প্রজন্ম তাঁদের অফিসে যা সময় দিতেন, আমাদের সবাইকে দিতে হচ্ছে তার থেকে অনেক বেশি। চারপাশে সবাই ছুটছি। কেন? না, আমাদের বোঝানো হয়েছে সারভাইভ্যাল অফ দা ফিটেস্ট। থ্রি ইডিয়টস সিনেমার ভাইরাসের মত আমাদের সর্বক্ষণ বোঝানো হচ্ছে, জীবন হচ্ছে একটা রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম। এখানে আরাম করতে হবে নিক্তি মেপে, যার পারিভাষিক নাম, ওয়ার্ক-লাইফ ব্যলান্স। আসলে কিন্তু সেই ভারসাম্য থাকছে না। কর্মী কমছে, মাথাপিছু কাজ বাড়ছে। আট ঘন্টার কাজ গিয়ে দাঁড়াচ্ছে দশ বা বারো ঘন্টায়। কখনও আরো বেশি। কিছু বলার উপায় নেই। কেন না তোমার অফিসের বাইরেই অপেক্ষা করছে দশ হাজার চাকরিপ্রার্থী, তোমার ওই একটা চেয়ারের জন্য। গত বছরের একটা খবরে দেখলাম, বাষট্টিটি পিয়নের পোস্টের জন্য ইউপিতে জমা পড়েছে তিরানব্বই হাজার অ্যাপ্লিকেশন। তার মধ্যে প্রায় চারহাজার জন পিএইচডি ডিগ্রিধারী।

    এর ফল গিয়ে দাঁড়াচ্ছে নির্মমতায়, হিংসায়। আমাদের বোঝানো সহজ হচ্ছে যে আমার এই চাকরির সংকটের জন্য দায়ী আমার পড়শি। সে আছে, তাই চাপ বাড়ছে, তাই আমি চাকরি পাচ্ছি না। হতাশা বাড়ছে, বাড়ছে রাগ। মাথার ওপর বসে থাকা লোকেরা এই রাগটার খবর রাখেন না, এমন নয়। তারা জানেন, ওই নীচের তলার দুপয়সা ওয়ালা পঞ্চাশজন যদি একজোট হয়, তাহলে ওই তিয়াত্তরটাকা ওয়ালা একজনের সমূহ বিপদ। তাই ক্রমাগত বিভিন্ন ইস্যুতে ঝগড়া লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে- ধর্মে ধর্মে, ভাষায়-ভাষায়, গায়ের রঙ-এ, আর নাগরিকে নাগরিকে। বোঝানো হচ্ছে, যত সমস্যার মূলে ওই মেক্সিকানরা, অতএব দেয়াল তোলো।

    আমরা ভুলে যাচ্ছি, আসলে আমাদের কি প্রাপ্য ছিল। সাতমহলা বাড়ির ব্যালকনি থেকে মালিক ছুঁড়ে দিচ্ছে অর্ধভুক্ত মাংসের হাড়, আর নীচে দাঁড়িয়ে আমরা একে অন্যের সাথে প্রতিযোগিতা করছি কে কত উঁচুতে লাফ দিয়ে ওই ছুঁড়ে দেওয়া উচ্ছিষ্ট লুফে নিতে পারব। যে আজকে মাংসের টুকরোটা পাচ্ছে, কাল সে লাফাতে পারছে আরেকটু বেশি। আর যে পারছে না, সে অক্ষম আক্রোশে কামড়ে ধরছে পাশের জনের ঘাড়।

    যদি তর্কের খাতিরে মেনেও নেই যে সার্ভাইভ্যাল অফ দ্যা ফিটেস্ট, জীবনে প্রতিযোগিতা করেই টিঁকে থাকতে হবে, কিন্তু নিরপেক্ষ প্রতিযোগিতার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাওয়া যাচ্ছে কি? প্রাইভেট এয়ারলাইন্স জেট এয়ারওয়েজ প্রতিযোগিতায় হেরে গিয়ে দশহাজার কোটি টাকা দেনার দায়ে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে এসবিআই ও অন্যান্য সরকারি ব্যাংক শুধু সেই ঋণ মুকুবই করছে না, উপরন্তু আরও দেড় হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়ে তাকে বাঁচানোর বন্দোবস্ত করছিল। অন্যদিকে সরকারি বিএসএনএল ছাঁটাই করতে চলেছে তাদের পঞ্চান্ন হাজার কর্মীকে। একদিকে রাফায়েল ডিল পাচ্ছে দেনায় ডুবে থাকা অনিল আম্বানি, অন্যদিকে সরকারি সংস্থা হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল) চলে যাচ্ছে চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে। ইতিহাসে প্রথমবার কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য অন্যতম ধনী ও সফল সরকারি সংস্থা হ্যালকে বাজার থেকে ধার করতে হচ্ছে হাজার কোটি টাকা।

    (চলবে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ মে ২০১৯ | ৩১৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sm | ***:*** | ০৬ মে ২০১৯ ০১:১২48207
  • http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=48247&boxid=36097
    এসব কিভাবে সম্ভব হচ্ছে?এতো কাঁচা ব্যবসায়ী তো অনিল বাবু নন।উনি আবার বিদেশি এম বি এ।
  • | ***:*** | ০৬ মে ২০১৯ ০৭:৩৪48205
  • হুঁ
  • sm | ***:*** | ০৬ মে ২০১৯ ১০:৪৮48206
  • কতকগুলো জিনিস প্রথমে ঠিক করেনেওয়া প্রয়োজন।আলোচনার স্বার্থে।
    এক,শিল্পপতিদের এতো বিপুল লোন দেওয়া হচ্ছে কেন?
    মানে বিল গেটস হলেও কি করে এক লক্ষ কোটি টাকা ঋণ পায়?
    এদের ক্রেডিট চেকিং হয় কিভাবে?
    দুই,কোন কোন মিডিয়া তোল্লাই দেয়,এই শিল্পপতি দের।যেমন টাটা না এলে পব শ্মশান হয়ে যাবে।এই রকম প্রচার।
    রাজ্যে রাজ্যে কম্পিটিশন লাগিয়ে দেয়।
    এই অপপ্রচার রোখার উপায় কি?
    তিন,বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে কি বাঁধা?অর্থাৎ সরকার কেন বলছে না,শিল্পপতি তোমার বিপুল ঋণের দরকার হলে বিদেশি ব্যাংক থেকে নাও।নয়তো অন্য পথ দেখো।
    চার,সরকার কেন শ্রম নিবিড় প্রকল্প ছাড়া ঋণ দেওয়া কমিয়ে দিচ্ছে না?
    পাঁচ, ঋণ খেলাপী দের নাম প্রকাশ করতে কি অসুবিধা?যেখানে গরিব ট্যাক্সিওয়ালার দুতিনটা ই এম আই বাকি পড়লে,ট্যাক্সি কেড়ে নিয়ে নিলাম করা হয়।
    ছয়,পার্টি গুলো হিসেব দিক কতো টাকা শিল্পপতিদের কাছ থেকে ডোনেশন পায়?কিন্তু মৌচাকে ঢিল মারে কে?
    এই ভাবে চলতে থাকলে দেশ একদিন জিম্বাবোয়ে হয়ে যাবে।অসংখ্য পেনশন ভোগী, বৃদ্ধ জনতা বিপদে পড়ে যাবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন