এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অক্ষর শব্দমালা

    Somnath Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৮ অক্টোবর ২০১৩ | ১৮২০ বার পঠিত
  • নাথুসংকটে হাঁকে তিব্বতী হাওয়া
    ---------------
    শব্দরা ধনী। অর্থের বিত্তই তার সম্পদ। ধ্বনির শরীর থেকে উঠে আসে শব্দ। আওয়াজেরা মারা যায়, যৌথ আওয়াজে উঠে আসে মানে, দ্যোতনা, খোদাই করে রাখা অমরত্বের নিশানা। হিরণ্যগর্ভের আভাস পেয়ে ব্যক্তি মানব চিৎকার করে ওঠে- শৃণ্বন্তু। গোষ্ঠীর স্মৃতিতে থাকে অমৃতের অধিকার। আক্রান্ত গোষ্ঠীর নিশ্চিন্ততম মানুষটি শব্দের ইশারায় কেঁপে ওঠে। বিদেশ থেকে ফিরে আসে জাহানারা ইমামের সন্তান, চিরপরিচিত শব্দের মায়ায়, মর্যাদায়, শব্দের মধ্যেই ডুবে যায় একাত্তরের রুমি, একাত্তরের দিনগুলি।

    তারপর, কিম্বা তার আগেও লক্ষবছরের মৌখিক ইতিহাসে বারবার সম্মিলিত উচ্চারণে ভেঙে যেতে থাকে শব্দের শরীর, বদলে যায় ধ্বনির ইশারা। আড় না ভাঙা জিভে ডয়ে শূন্য বয়ে শূন্য গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যেতে থাকে, আরও চূর্ণতম, প্রায় আণবিক। অণুর শক্তি নিয়ে জন্মে ওঠে নতুন শব্দ, নতুন ভাষা। নতুনভাবে দেশকালের মানুষ ছড়িয়ে দিতে থাকে শব্দদের। কন্ঠনালীর কেঁপে ওঠা তারে বসিয়ে যেতে থাকে নতুনতর বিন্যাস। ভাষা জন্মায়, ইতিহাসও। আকর শব্দ এখন মৃত। অথচ সন্তান সন্ততির জিনে এখনও লুকিয়ে আছে প্রথম সারের ব্যবহার। নদীর স্রোতময় ধারা থেকে প্রাচীন খননযন্ত্রে কেটে আনা খালের উপকথা, কিম্বা যে পাহাড় একদিন বন্যায় ডুবে গেছিল তার শীর্ষে ঘুঘুডাঙা খুঁজে পাওয়া নৌ-চালক নোয়ার কিংবদন্তি। কিম বদন্তি! অবাক হয়ে যেতে থাকে উত্তরজন্মের গোষ্ঠী ও ব্যক্তি মানুষ।

    ধর্মের শ্বাশ্বতসূত্র শেখাতে নাথযোগী হেঁটে যান তিব্বতের দিকে। বরফের চাদর পেতে দিচ্ছে নতুন ছাত্রের দেশ। চাদরের নিচে লুকিয়ে থাকে বরফ না হওয়া চার ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মৃত্যুভীষণা নদী। চাদরের ওপরে ভেঙে যাওয়া শব্দ, জিভ বার করা উগ্রমূর্তিকা নীলতারা। মীননাথের সন্তান শুনতে থাকেন আদিবাংলা (মতান্তরে ওড়িয়া, ভোজপুরী, মণিপুরি বিষ্ণুপ্রিয়া) বদলে যাচ্ছে অশ্রুতপূর্ব তালব্যবর্ণ ও অনুস্বার শব্দে। ডানদিকে মাথা তুলে থাকছে চেমোলহরি। এসব পেরিয়ে অন্য এক সমতলে পৌঁছবেন নাথযোগী। সাধনার গূঢ় শব্দার্থ মুনিদত্ত শ্লোকে ধরে রাখবেন। উত্তরপ্রজন্মের জন্য পাহাড়ঘেরা সেফভল্টে তুলে রাখা থাকবে সান্ধ্য আবাহন, গূহ্য আচরণমালা। আবিষ্কার করা হবে উড্ডয়নের রহস্য। পরবর্তী শতাব্দীতে মহাযোগী মিলেরোপা উড়তে শিখবেন, তিব্বতে।

    দুধ না খেলে, হবেনা ভালো-
    --------------
    -‘কগনিশনের ব্যাপারটাই ডিফিকাল্ট, মেশিনটার কতটুকুই বা জানি!’ নিজের মাথায় টোকা মেরে বললেন ডঃ সরকার। ‘দেখুন, নিজের থেকে রিকভারি তো করছেই। পরে বোম্বে বা সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া যেতেও পারে।’

    অ্যাক্সিডেন্টটা কাটিয়ে উঠেছে বিল্টু, জানুয়ারি ঘুরে জুন হয়েছে। ভেন্টিলেশন সিস্টেম গিয়ে ঠোঁটনড়া, বেডপ্যান, ক্রাচ করে ক্রমশঃ এখানে। হাত নাড়তে পারে, চলতে পারে, আঙুল গুণে এক-তিন-পাঁচ দ্যাখাচ্ছে। এমন কী ভাতের মধ্যে ডাল মেখে দিলে নিজের হাতে খেয়েও নিচ্ছে।

    কিন্তু কথা এখনও অর্থবহ হয় নি। বাড়ির সবাই বলেছেন, বুঝতে তো পারছে, তবে বলতে গেলে যা বলছে শূন্যস্থান পূরণের মতই।

    সমস্যাটা যে সে নিজে বুঝছেনা এরকম মনে হয় না। ভাবপ্রকাশের স্বতঃস্ফূর্ত স্পৃহায় উচ্চারণ করে চলেছে একাদিক্রমে অজস্র ভাওয়েল কন্সোনেন্ট। বিড়বিড় নয়, স্পষ্ট করেই উচ্চারণ। এখন অবধি যা জানা গ্যাছে, সমস্যা স্বরযন্ত্রের নয়, ধ্বনিপ্রকরণেরও নয়। স্পিচ থেরাপিস্টের কাছে সেশনে প্রমাণ হয়েছে উচ্চারণের অনুকরণ করতেও সে অপারগ নয়। কিন্তু মস্তিষ্কের কোনও অজানা প্রকোষ্ঠে হারিয়ে গ্যাছে অর্থবহ উচ্চারণের প্রকৌশলগুলি। লিখতে দিলেও APPLE বা মৌসম্বি-র অনুকরণে অনুরূপ বর্ণসমাহার এঁকে ফেলছে। কিন্তু ছবি দিলে আলাদা করে দেখিয়ে দিতে পারছেনা কোনটা কী।

    -‘ধরুন, একটা বাচ্চা যখন কথা শেখে। সে শুনে শুনে বুঝে নেয়, অন্ততঃ একদম বেসিক লেভেলে, কোনটা কী। এই সাদা যে লিকুইডটা তার খিদে মেটায়, সেটাকে ‘দুঃ’ টাইপের উচ্চারণে সে বোঝাতে শেখায়। এগুলো শুনে শেখা, কিন্তু মানুষের মাথার মধ্যে এই আওয়াজ আর সিম্বল রিলেট বসিয়ে নেওয়ার কোডটা লেখা হয়ে আছে। এর ক্ষেত্রে, প্রবলেমটা সেই জায়গায়। বাট আই অ্যাসার্ট, হয়তো নিজের থেকে ঠিক হয়ে যাবে।‘

    ঠিক হয়ে যাওয়ার দরকারটা অবশ্যই সবচেয়ে বেশি বিল্টুর। সে ক্রমশঃ বুঝতে পারছে, অন্যলোকগুলোর সঙ্গে কথা বলা, খাটঘর ছেড়ে বেরোতে পারার থেকেও বেশি কোনও স্বভাব সে হারিয়ে ফেলছে। হারিয়ে ফেলছে নিজের লোক, আলো। ফুটপাথের ধারে সূর্যের আলোর মতন রঙ নিয়ে যেগুলো ঝরে পড়ে, তাদের সে মনে করতে পারছে না। মনে করতে পারছেনা চায়ের গ্লাস থেকে সাদা রঙের যে আলো আকাশে মিলিয়ে যায়, কিম্বা আকাশের রঙ, তার মধ্যে ওইরকমই সাদা দাগ টেনে যে যন্ত্রগুলো উড়ে যায়। উড়ে যাওয়া ব্যাপারটাকেই কী বলে সে বুঝে উঠতে পারছেনা। বুঝে উঠতে পারছেনা ছোটবেলার ইস্কুলের সামনে বাঁধানো চকটায় ওরা কী করেছিল, কিম্বা আরেকটু বড় হয়ে কলেজের সিঁড়িতে সে আর …। খুঁজে পাচ্ছেনা, গলা কাঁপাচ্ছে, নিঃশ্বাস টানছে, ফ্যারিংক্স ল্যারিংক্সের আওয়াজ তুলছে, ঘরে টিভি চললে, লোকে কথা বললে দেখে নিতে চাইছে চেনা শব্দের ছবিগুলো আছে কিনা, আওয়াজের মধ্যে মধ্যে আলোর ফোকাসে ভেসে উঠছে কিনা জয়িতা, পুষ্পা, শুভময়, বিশাখ, ভাইটু, অমলস্যার, চেগুয়েভারা।

    এই সমস্ত প্রচেষ্টাই বিল্টুর নিজস্ব কথনে হয়েছিল। অনুভূতি, অভিব্যক্তি, আর গোপন চিৎকারের সেই চর্যাসকল অধরা থেকে যাচ্ছে আমাদের সেন্সিটিভিটিতে। পাঠক বা লেখক, আমি আপনি যাঁরা এই আখ্যান পড়ছেন বা যাঁরা যাঁরা এই আখ্যান পড়েননি, তাঁদের কেউই সেই ভাষাপদ্ধতি জানতে পারব না। শুধু স্বপ্নের মধ্যে মাঝে মাঝে অমলমাস্টারমশাই এসে স্কেল নেড়ে নেড়ে টাস্ক দিয়ে যাবেনঃ এককথায় প্রকাশ করঃ ‘যে ধোঁয়া সিগারেট থেকে হাওয়ায় মিশে যাচ্ছে।’

    – মীনক পানি। জীবক জীবন হাম তুহু জানি॥
    ----------------------------
    শব্দের মধ্যে গেঁথে রাখা থাকে পুরাতন প্রেমিকার মুখ, হাস্কি কন্ঠস্বর, অবনত দৃষ্টির রোদ মাখা বিকেলসমূহ। চূর্ণ হয়ে হয়ে ছবিগুলো যখন আর মেলানোর অবস্থায় থাকেনা, ভুলে যাওয়া শব্দ হঠাৎ শ্রুতিতে এলে আকাশে দিব্যি ভেসে ওঠে তারা, অনেক বছর পরে একলা কংক্রিটের রাস্তায় প্রায় মধ্যরাতে বাড়ি ফেরার পথে স্বগতোক্তি হয়ে জেগে ওঠে চেনা দুঃখ চেনা সুখ। সেদিন যা ভাবিনি, আজকে তাই প্রায় ভুলে ওঠা সম্ভব। শূন্য শতাংশ সম্ভাবনা ‘প্রায়’ সবটাই হয়ে ওঠে মস্তিষ্কের গূঢ়তম কক্ষে রেখে দেওয়া বীজমন্ত্রের জাদুতে। শব্দের মধ্যে শুয়ে থাকে- ফেলে আসা পাড়া, চোরপুলিশ, কুমিরডাঙা, বাপনের বাড়ির চিলেকোঠার ঘরে টুকি দিয়ে লুকিয়ে পড়ে বিশাল মাকড়সা দেখে আঁতকে ওঠার মৃত্যুভয়। ক্যাডবেরির নরম স্বাদ, চাঁদমামার রঙিন ছবি, আদেখলা খেলনার দোকানে বায়না, হাঁটাপথে পা টনটন করা, রিক্সা না পাওয়া কিম্বা শিলকাটাইয়ের আগুনতোলা প্যাডেলযন্ত্র। বাসের হর্ন, মারুতির ধোঁয়া ভেদ করে সাইরেনের মত ভেসে আসে সতর্কতাবাণী। খেলার মাঠের ঝগড়া, সেমসাইড গোলার পর অবধারিত ঢিলের সঙ্গে মিশে থাকে খিস্তির প্রথম উচ্চারণ। সেইসব শব্দকে আমরা আহ্বান করি নস্টালজিয়া বলে। সেরকমই শব্দকে পাঠ করি ইতিহাস বলে। শ্রবণ করি বাবা বুড়োশিবের নামে চড়কের মেলায়। চড়ককাঠ থেকে, ঝাঁপতলা থেকে রক্তের বিন্দুর মধ্যে মিশে থাকে সন্তানের মঙ্গলকামনা, প্রগাঢ় মমতা নিয়ে ক্ষরণের আগে প্রার্থনা করা হয়, গাভীটি যেন বা ঘরে ফেরে, যেন মাঠ ভরে যায় আশ্বিনের ধানে, যেন বৃষ্টি হয়, যেন রোদ উঠে শীতের গাঢ়তা মুছে দ্যায়, যেন আগায় তুলতুল গোড়ায় মৌ নিয়ে বেড়ে ওঠে আঁখগাছ গুলি, যেন…

    সেই শব্দকে আমরা আহ্বান করি মৃতভাষার দোহাই পেড়ে; মৃতসভ্যতা, পরাজিত গ্রামের মেঠো ঘ্রাণে ডাকি, কুমিরের জল থেকে বাঁচিয়ে তুলুক। পণ্ডাসুরের নামে মাড়াইযন্ত্র থেকে আখগাছ রস হয়ে যাকঃ আমরা পাঁচালি পড়ি। আমরা বাউলের সঙ্গে আখড়ায় আখড়ায় নাচি। ধুনো দিলে খুব ধোঁয়া হয়, নিঃশ্বাস বন্ধ করা ধোঁয়া। হরিধ্বনির মতন করে আমরা শোর তুলি- মহামারী গ্রামের বাইরে দিয়ে ফিরে যায়। এইসব ইতিহাস খুঁজে পেলে ভাষার শরীরে আমরা চিয়ার্স বলি। তারপর দেখে নিই কারা হরিজন, কারা রিজার্ভেশন, কারা মরিচঝাঁপি, কারা গ্রাম্যতাদোষে দুষ্ট। কারা তালব্য ও দন্ত্য স-কে শুধু দাঁত দিয়েই উচ্চারণ করে ইংলিশ S-এর মতন ধ্বনিক্ষেপে। কোথায় ডাকাত পড়ত, কোথায় ভুষণ্ডির মাঠ, কোনখানে ঠগিরা গলার ফাঁসি দিত বলে গ্রামের নাম গলসি হয়ে গ্যালো, এসব খুঁজতে বসি আমরা। আমরা দেখতে পাই ফোর্ট উইলিয়াম পেরিয়ে হার্মাদশোণিতে দূষিত শব্দসকল। আমরা দেখতে পাই শাহজালালের আগে ফার্সির আঙুল সরিয়ে পড়ে থাকছে অপভ্রংশ, প্রাকৃত। আমরা দেখতে চাই পাণ্ডববর্জিত দেশের অস্ট্রিকভাষী জনতাকে। যাঁরা বোঙ্গার উপাসক, যারা জঙ্গল সরিয়ে চাষযোগ্য করে তুলছে বঙ্গদেশ। যারা গরু পোষে, মাছ ধরে, শাঁখের গহনা বানায়। যাদের রাজা পৌণ্ড্র বাসুদেব কৃষ্ণকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। যারা আগডুম বাগডুম সৈন্য নিয়ে যুদ্ধ করছে ব্রাহ্মণদের সাথে। আমরা দেখতে পাচ্ছি কাশীর নিষ্ঠাবান বেদজ্ঞ বীরভূমের শ্মশানে তারার মন্দিরে এসে উষ্ণকুন্ডে স্নান করছেন, গৃহে স্থিত হচ্ছেন লালমাটির সরানসহগে।

    এরকমভাবে শব্দের পরত সরাতে পারলে খুঁজে পেতে পারি পরিত্যক্ত পল্লী, মৃত ইতিহাস, পরাজিত পূর্বপুরুষ, পূর্বস্মৃতি? খুঁজে পেতেই পারি কারণ ডঃ সরকার মনে করছেন- যদিচ কগনিশনের ব্যাপারটা খুবই ডিফিকাল্ট, কিন্তু নিজের থেকেই রিকভারি করতে পারে বিল্টু। না হলে বোম্বে বা সিঙ্গাপুর, কিম্বা মেলবোর্ণ, শিকাগো। পৃথিবীর কোনও অপরতর প্রান্তে তৈরি হচ্ছে অদ্ভুত উচ্চারণ আর অস্পষ্ট অভিব্যক্তি থেকে স্পিচ নির্মাণের প্রকৌশন। পৃথিবীর কোনও অজানা গ্রন্থাগারে, হো, মুণ্ডা, পেরুভিয়ান উপজাতির নৃতত্ত্বে লুকিয়ে রাখা থাকছে মুনিদত্ত টীকা। ধর্মের উল্লাস আর মদ্যমত্ততার ফাঁকেও দেখতে পাচ্ছি মৃত্যুভীষণা উলঙ্গিনী শ্যামা। এই দেবী মহাকালের সঙ্গে বিপরীতরূপে রতাতুরা। মায়ের কবন্ধমালিকায় পঞ্চাশতটি বর্ণ দোলে। বর্ণেরা অ-ক্ষরণীয়; দেশ, কাল, জিভের জড়তা, স্মৃতির দূষণ পেরিয়ে তারা জমাট রেখে দ্যায় উচ্চারণের কোডসমূহ। চিহ্নে আকারে, কন্ডিশনাল এন্ট্রপির তত্ত্বাধারে। আর স্মৃতিহীনতার ইস্কুলে নতুন করে পড়া হয়ে যায় হায়রোগ্লিফিক, হরপ্পা, সুমেরীয় সভ্যতা।

    স্মৃতির স্বপ্নে এখনও বেত হাতে আসেন অমল মাস্টারমশাই; প্রবল পাঠ-উদ্যোগে ব্ল্যাকবোর্ড ফিকে হয়ে আসে। গুলিয়ে যায় তত্ত্বাধার তথ্য নাকি তথ্যাধার তত্ত্ব। বইয়ের পাতা উলটোতেই দেখি বঙ্গের সারস্বত সমাজ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললঃ যবনসংসর্গ থেকে বাঁচতে, আজ থেকে পানি-কে কেবল জল-ই বলা হবে।

    (bookpocket.net থেকে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৮ অক্টোবর ২০১৩ | ১৮২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন