এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • আফগানিস্তান নিয়ে তসলিমা নাসরিন 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৬ আগস্ট ২০২১ | ১৮৩১১ বার পঠিত | রেটিং ৪.৪ (৫ জন)
  • তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশ প্রতিদিনে আফগানিস্তান ইত্যাদি নিয়ে একটি লেখা লিখেছেন। তার সারকথা মোটামুটি এইঃ
     
    ১। আমেরিকা আফগানিস্তানে গণতন্ত্র গড়ে দিতে গিয়ে অশ্বডিম্ব প্রসব করেছে।
    ২। সাধারণ মুসলমানরা এখন আফগানিস্তান থেকে পালাচ্ছেন, বা পালাতে চাইছেন, কারণ মুসলমানরাই সপ্তম শতাব্দীর ধর্মীয় আইনকে খুব ভয় পায়। 
    ৩। তালিবানি আইন চূড়ান্ত নারীবিরোধী। সামান্য স্বাধীনতা উপভোগ করতে গেলেই মেয়েদের তারা পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলে। এবারও ফেলবে। বিয়ের নামে যৌনদাসী বানাবে। 
    ৪। এই তালিবানি আইন এক দেশের ব্যাপার না। সিরিয়া এখন এসে গেছে আফগানিস্তানে, আফগানিস্তান বাংলাদেশে। এ হল প্যান ইসলামিজম। গোটা উপমহাদেশকে তার ফল ভুগতে হবে। 
    ৫। বর্বর এই জঙ্গীরা নারীর সর্বনাশ করবে। তাদের মদত দেবার দায় পাকিস্তান, চিন, রাশিয়ার। 
    ৬। দুনিয়ার মুসলমানরা নারীর এই অবমাননার বিরুদ্ধে তেমন প্রতিবাদ করছেনা, যেমন তারা করে থাকে পালেস্তাইনের ক্ষেত্রে। মুসলমান মৌলবাদীরা তো জায়গায় জায়গায় তালিবানের নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছে।
    ৭। নারীর পরনে যে দাসত্বের শৃঙ্খল, তা ভেঙে ফেলতে কয়েক শতাব্দী লেগেছে। এখন দুদিনেই আবার পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ধর্মের আরেক নাম পুরুষতন্ত্র। কিন্তু ধর্মন্ধতা, মৌলবাদ, নারীবিদ্বেষ পুরুষকে রক্ষা করবেনা।
     
    এই সারসংক্ষেপ আমার তৈরি (শুধু পরের মুখে ঝাল না খেয়ে আসল লেখাটি অবশ্যই পড়ুন -- https://www.bd-pratidin.com/editorial/2021/08/19/681973 ) । আলোচনার জন্য। না, তসলিমাকে নিয়ে কিছু বলার নেই, বরং ধন্যবাদই দেবার আছে। এই ধরণের একটি ন্যারেটিভ আভাসে ইঙ্গিতে টুকরো-টাকরায় পশ্চিমী এবং প্রাচ্যের মিডিয়া এবং সোশাল মিডিয়ায় ঘুরছে, সেটাকে গুছিয়ে স্পষ্ট করে লিখে ফেলার জন্য। না লিখলে আলোচনাটাই করা যেতনা। 
     
    তা, এই ন্যারেটিভের কয়েকটি সুনির্দিষ্ট লক্ষণ নিয়ে কথা বলা যাক। এই ন্যারেটিভের প্রথম লক্ষণ হল, আফগানিস্তানকে আফগানিস্তান বানানোর জন্য পাকিস্তান, চিন এবং কখনও সখনও দুষ্টু রাশিয়াকে দায়ী করা। আর আমেরিকাকে স্রেফ একটু ব্যর্থতার জন্য সমালোচনা করা। আমেরিকা আফগানিস্তানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে লাট করেছে, সে নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, কিন্তু উদ্দেশ্য তো ভালোই ছিল, গণতন্ত্রই তো গড়তে গিয়েছিল। মানুষকে ধর্মান্ধতা থেকে স্বাধীনতা দিয়েছিল, মেয়েদের দিয়েছিল ওড়ার আকাশ। কাইট রানার সেই পশ্চিমী স্বাধীনতার প্রতীক, মালালা হল মুখ। এখন আমেরিকার পিছিয়ে আসায় সে আকাশ ভেঙে পড়ে যাচ্ছে, এবার অ্যাসিড বৃষ্টি আসন্ন -- এরকম একটা ভাব। 
     
    তো, এ ন্যারেটিভ এতই মোটাদাগের, এবং এতটাই অলীক, যে, আলাদা করে সমালোচনা করার এমনি কোনো কারণই নেই। তবু লেখা যখন হচ্ছে, তখন সংক্ষেপে, স্পষ্ট করেই বলা যাক, বাস্তবতা থেকে এসব অনেক দূরে। ইন্দোনেশিয়া থেকে আফগানিস্তান হয়ে আরব পর্যন্ত মৌলবাদীদের উত্থানে সক্রিয় ভূমিকা, মদৎ ছিল কাদের তা কোনো গোপন তথ্য নয়। আফগানিস্তানে মুজাহিদিনদের প্রশিক্ষণ, সৌদি আরবের অগাধ কনট্র‌্যাক্ট, এবং তালিবানদের সঙ্গে চলমান আলোচনা, এসব নিশ্চয়ই গণতন্ত্র এবং নারীর অধিকারের স্বার্থে করা হয়নি। বস্তুত জঙ্গী ইসলাম, মূলত প্রত্যক্ষভাবে পশ্চিমের তৈরি।  
     
    এই ন্যারেটিভের দ্বিতীয় লক্ষণটি আরও কৌতুহলোদ্দীপক। লেখাটিতে, এই ধরণের লেখাগুলির সবকটিতেই, দুইটি বর্গের রমরমা। নারী এবং ইসলাম। এই দুটিকে ঘিরেই চর্চা চলে অবিরত। তা, এই নারী বর্গটি নিয়ে বিস্ময়ের কিছু নেই। গোটা পশ্চিমী মিডিয়াতেই এখন তথাকথিত 'অপর'দের প্রাধান্য। নারী হোক বা কালো রঙের লোক। এও এক নির্মিতি। কিন্তু তার গতিবিধি আলোচনা এখানে করা হচ্ছেনা। যেটা আকর্ষণীয়, সেটা হল, অন্য এক 'অপর'এর ক্ষেত্রে এই অপরবান্ধবতা একেবারেই ভেঙে পড়ছে। সেই অপর হল 'ইসলামিজম'। ইসলামও পশ্চিমের এক 'অপর'। পশ্চিমী সভ্যতার আলোর উল্টোপিঠ। কিন্তু এই 'অপর'কে গৌরবান্বিত করার ব্যাপার তো নেইই, বরং পুরোটাই ভিলেনের রঙে আঁকা। প্যান ইসলামিজম এখানে ভিলেন। দুষ্টু লোক। 
     
    এটা একটু কঠিন করে বলা হয়ে গেল। সোজা করে বললেই ব্যাপারটা বোঝা যাবে। ধরুন, হিলারি ক্লিন্টন ছিলেন যুদ্ধবাজ। বা মার্গারেট থ্যাচার উজিয়ে ফকল্যান্ডে যুদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু এঁদের জন্য নারীবাদকে বা নারীকে পশ্চিমী মিডিয়ায় কেউ ভিলেন ঠাওরায়না। যদি আদৌ কথাটা ওঠে, তখন বলা হয়, ওগুলো ব্যক্তির লক্ষণ, নারী নামক বর্গের নয়। কথাটা অবশ্য ওঠেইনা, বস্তুত এঁদের গৌরবের প্রশ্নে এই লক্ষণগুলোকে সযত্নে আড়াল করা হয়। যেমন হিলারি ক্লিন্টনের পক্ষের মিডিয়া ন্যারেটিভ ছিল 'গ্লাস সিলিং ভাঙা'। যুদ্ধ টুদ্ধ তার অনেক পিছনে। এই সমর্থন  বা সহমর্মিতা কিন্তু ইসলামিজম পায়না। আড়াল করার তো প্রশ্নই নেই, বরং হিলারির সম্পূর্ণ উল্টোদিকে গিয়ে লাদেন একজন বিচ্ছিন্ন মানুষ নন, একটি প্রতীক হয়ে যান, যদিও হিসেব করলে দেখা যাবে, লাদেনের আদেশে একটি শহরের একটি বহুতল ভেঙেছে, হিলারির আদেশে হয়তো একশটি। মুসলমানরা সদলবলে তালিবানদের নিন্দে না করে ভিলেন হয়ে যান, কিন্তু দুনিয়ার পশ্চিমীরা, মিডিয়া সহ, বুশ নামক এক রাষ্ট্রনায়কের স্রেফ গুলবাজি করে ইরাক নামক একটি গোটা দেশকে ধ্বংস করে দেবার নিন্দে সজোরে কখনই করে উঠতে পারলনা, তাই তারা গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক। এই অন্তর্নিহিত দ্বিচারিতা, আলোকজ্জ্বল পশ্চিমে আছে। ফলে লিঙ্গ বা গাত্রবর্ণ নিয়ে যতই ঢক্কানিনাদ চলুক, আদতে অপরবান্ধবতা, বোঝা যায়, পশ্চিমের আর পাঁচটি গিমিকের মধ্যে একটি।
     
    তৃতীয় এবং সর্বশেষ লক্ষণটি এখানে লক্ষ্যণীয়, যে, শুধু ইসলামিজম-বনাম-নারী দ্বৈত নয়, আরও একটি দ্বৈতও এখানে প্রকট। সেটি হল নারী বনাম পুরুষ। নারীকে শুধু জঙ্গী ইসলামই পীড়ন করছে তা নয়, সামগ্রিক ভাবে পুরুষও একই দোষে দুষ্ট। অর্থাৎ শুধু 'ঐস্লামিক' পুরুষ নয়, এই ক্ষেত্রে বৃহত্তর ভিলেনটি হল পুরুষ। এর জন্য নির্মান করা হয়েছে একটি নতুনতর বর্গ, পুরুষতন্ত্র। ইংরিজিতে যে কথাটি ব্যবহৃত হত, বা এখনও হয়, তার বাংলা হল পিতৃতন্ত্র। সেটা ব্যবহার করা হত, বা হয়, একটি নির্দিষ্ট কারণে। পিতৃতন্ত্র একটি ব্যবস্থা, যা পুরুষ এবং নারীর জন্য অসমঞ্জস অবস্থান নির্ধারণ করে। অর্থাৎ, পুরুষ যুদ্ধ করবে, দেশনেতা হবে, নারী বাড়ির কাজ করবে, নার্স ও শিক্ষিকা হবে -- মোটাদাগে বললে, এইরকম। নারীর স্বার্থে এই ব্যবস্থাটা বদলানো দরকার, বিংশ শতকের নানা ঢেউএর নারীবাদ, সেই কথাই বলত, আভ্যন্তরীন নানা বিতর্ক এবং মতভেদ সত্ত্বেও। এখানে কাঠামোগতভাবে কোনো ভিলেন ছিলনা। কিছু পুরুষ নিশ্চয়ই বদ, পুংরা জাতিগতভাবেই ভিলেন না, ভিলেন হল কাঠামোটা। একবিংশ শতকে জনপ্রিয় আখ্যানে বিষয়টা বদলাতে শুরু করে। ব্যবস্থা নয়, সরসরি 'ম্যান'কে ভিলেন তৈরি করা হয়। পুরুষের বৈশিষ্ট্য আলাদা করে চিহ্নিত করে তাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়। তৈরি হয় 'টক্সিক ম্যাসকুলিনিটি' বা 'ম্যানসপ্লেনিং' এর মতো বর্গ। বিংশ শতকের 'এমসিপি' জাতীয় বর্গের সঙ্গে এর তফাত হল, এমসিপি বা মেল-শভিনিস্ট-পিগ বলা হত কিছু ব্যক্তিকে। কিন্তু 'বিষাক্ত পৌরুষ' জাতীয় বর্গ সামগ্রিকভাবে পুরুষের লক্ষণকে উদ্দেশ্য করে তৈরি। ইংরিজিতে পিতৃতন্ত্র বর্গটি এইভাবেই তার পুরোনো অর্থ থেকে নড়েচড়ে গেছে। শব্দটি যদিও বদলায়নি। বাংলায় সোজাসাপ্টা ভাবে শব্দটিই বদলে পিতৃতন্ত্রের জায়গায় পুরুষতন্ত্র করে ফেলা হয়েছে। এই বর্গের ব্যবহার একটুও আপতিক না, কারণ তসলিমার আখ্যানও এই একই লক্ষ্যে ধাবিত। 
     
    এটাও একটু কঠিন করে বলা হয়ে গেল। সোজা করে বললে, ধরুন, আপনার চারদিকে 'প্রগতিশীল' মনে করেন এমন একজন মানুষকেও দেখেছেন, যিনি তালিবানদের সমর্থক? লিঙ্গ বা ধর্ম নির্বিশেষে? খবরের কাগজে এরকম লোকেদের কথা নিশ্চয়ই পড়েছেন, কিন্তু কাছে পিঠে? সম্ভবত দেখেননি। কারণ তালিবানি কথাটিই প্রায় সর্বজনস্বীকৃত নিন্দাসূচক শব্দ। খোদ আফগানিস্তানেও পুরুষরা কি খুন হচ্ছেন না, না লড়ছেন না? নিশ্চয়ই তালিবানরা সংখ্যায় অনেক, কিন্তু উল্টোদিকটাও, কম হলেও তো আছে। তার মরছে টরছেও। তাহলে ধর্ম পুরুষদের রক্ষা করছে, বা চিরকাল করবেনা, এই কথাটার মানে কী? 
     
    মানে একটাই। এই কথাটা শুধু নয়, সামগ্রিক ভাবে তিনটি লক্ষণেরই। একবিংশ শতকে রাজনীতির নতুন বয়ান তৈরি হচ্ছে। এগুলো তার অংশ। সেখানে আমেরিকা বা সামগ্রিক ভাবে পশ্চিমী সাম্রাজ্যবাদ আর ভিলেন নয়। মূল ভিলেন সন্ত্রাসবাদ, বা পড়ুন প্যান ইসলামিজম। খুচরো ভিলেন সামগ্রিকভাবে পুরুষরা। এবং সহমর্মিতা ধাবিত হবে, নারী, কালো, নিচু জাত এই বর্গগুলির দিকে। বিংশ শতকের রাজনীতির থেকে যা অনেকটাই আলাদা। 
     
    বিংশ শতকের রাজনীতির এরকম নির্দিষ্ট কেন্দ্রিকতা ছিলনা। পশ্চিমী দুনিয়ায় মূল শত্রু ছিল কমিউনিজম। নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত। তৃতীয় বিশ্বে পরিস্থিতি ঠিক উল্টো ছিল। সেখানে চিরশত্রু ছিল পুঁজিপতিরা এবং আমেরিকা। দুই জায়গাতেই এই রাজনীতিই মূল প্রাধান্য পেত। নারী বা কৃষ্ণাঙ্গ বা সমকামীদের ইস্যু ছিল পিছনের সারিতে। তারা মাঝেমাঝে উপচে পড়ত মূল ধারায়। চলত বিতর্ক। এখন হয়েছে ঠিক উল্টো। লিঙ্গ-বর্ণ-জাত -- শুধু উপচে পড়েছে নয়, নির্ণায়ক জায়গা নিয়ে নিয়েছে রাজনীতিতে। অবাস্তবরকম চরম জায়গায়ও চলে যাচ্ছে থেকেথেকেই। উল্টোদিকে পুঁজিবাদ আর ভিলেন নয়, নতুন ভিলেন হয়েছে, আগেই যা বলা হল, সন্ত্রাসবাদ, পুং ইত্যাদি। 
     
    রাজনীতি এভাবেই বদলায়। বিতর্ক হয়। আবার বদলায়। তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু একবিংশ শতকের রাজনীতির একটা জায়গাই খুবই বিপজ্জনক। তার রাজনীতির এককেন্দ্রিকতা। বিতর্কের অভাব। বিংশ শতকের রাজনীতি, তার সমস্ত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও, বিতর্কের অভাবে কখনও ভোগেনি। বিতর্কের অভাব, পৃথিবীর ইতিহাসে, বরাবরই টোটালিটারিয়ান বা প্রায়-টোটালিটারিয়ান ব্যবস্থা ডেকে এনেছে। সে ম্যাকার্থির আমেরিকাই হোক, বা হিটলারের জার্মানি। শুধু তসলিমা তো নন, তাঁর লেখায় যে তিনটি লক্ষণের কথা বলা হয়, বাম-দক্ষিণ নির্বিশেষে সেগুলি সকলেরই গ্যান্ড ন্যারেটিভ হয়ে উঠছে। ভয়টা সেখানেই। গ্র‌্যান্ড ন্যারেটিভের ভয়। দেয়ার ইজ নো অল্টারনেটিভ এর ভয়। যে ভয়, বিংশ শতকে কেউ কখনও পায়নি। 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৬ আগস্ট ২০২১ | ১৮৩১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kallol Dasgupta | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:৪০497497
  • অমিত আর ডিসি। 
    তোমাদের/আপনাদের  যুক্তিগুলো এতো ছেলেমানুষী যে উত্তর দিতে বেশ আমোদ হয়।এই দুঃসময়ে আমোদ দেবার জন্য ধন্যবাদ। 
    ১) আমার দেশের ব্যাপার হলে যোগী/মোদীর বিরুদ্ধে চ্যাঁচাবো। তাদের ভোট দিতে বারন করবো। তাদের প্রচার করা মূল্যবোধের বিরুদ্ধে বলবো - এটা সারা ভারত ঘুরে ঘুরেই বলবো। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে ফলস ভোট দিতে যাবো না।  
    ২) অন্য দেশের বিষয় হলে আমার মত জানবো। তাই ন্যে প্রচার করবো। কিন্তু সেদেশে গিয়ে সেদেশের মানুষের "আমার মতে তদের যাতে ভালো হয়" কক্ষনো তা করার চেষ্টি করবো নাবা তাদের কিসে ভালো হবে সে উপদেশ দেওয়রও চেষ্টা করবো না। কারন সেটা করাটা আর একটা আধিপত্যবাদ - আমরা যার বিরুদ্ধে। 
    কলিয়ার ?
    তোমরা আসলে ডায়েটিশিয়ানের কাছে ওষুধ চাইছো। অসুখ হলে কি, সে অসুখে কি খাওয়া উচিৎ বা উচিৎ নয় সেটা ডায়টিশিয়ান বলে দেন। তাতে অসুখ সারে না। কিসে অসুখ সারবে সেটা ডাক্তার ঠিক করেন রোগীকে পুঙ্খনুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ করে।    
  • dc | 122.174.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:১৪497498
  • "ডায়েটিশিয়ানের কাছে ওষুধ" - এটা ​​​​​​এক ঘর ​​​​​​​হয়েছে। ​​​​​​​শেক ​​​​​​​হ্যান্ড ​​​​​​​কল্লোলদা :d 
  • Amit | 203.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:১৯497499
  • আপনার অন্য টইতে অলরেডি এর উত্তর দিয়েছি কল্লোলদা। এসব চ্যাঁচামেচি ভোটাভুটি তদ্দিনই চালানো যাবে যদ্দিন আরএসএস র হাতে বাঁশের লাঠি আছে  আর কয়েকটা সেফ চেঁচানোর জায়গা বেঁচে আছে ইন্ডিয়ায় (পব বা কেরালা বা পাঞ্জাবের র মত এখনো অবধি )। যেদিন তার বদলে একে-৪৭ উঠে আসবে ওদের হাতে আর চেঁচানোর জায়গা গুলো একে একে বন্ধ হবে , তখনই নাহয় দেখবো কে কোথায় কতটা চেচাচ্ছে আর প্রতিবাদ করছে -? এখন থেকে প্রেডিকশন করে কি লাভ ? বীরত্ব তো ​​​​​​​আসল বিপদের ​​​​​​​মুখে ​​​​​​​দাঁড়ালে ​​​​​​​দেখা ​​​​​​​যায়। ​​​​​​​মায়াপাতায় ​​​​​​​দেখে ​​​​​​​কি ​​​​​​​লাভ। 
     
    আর ​​​​​​​আমি তো ​​​​​​​বলেইছি ​​​​​​​সবার মধ্যে ক্ষার ​​​​​​​খেয়ে ​​​​​​​ক্ষুদিরাম হওয়ার ​​​​​​​ইচ্ছে ​​​​​​​থাকতে ​​​​​​​হবে ​​​​​​​এমন ​​​​​​​কোনো ​​​​​​​নিয়ম ​​​​​​​নেই ​​​​​​​কোথাও। 
     
    ইন ​​​​​​​ফ্যাক্ট শখ থাকলে ​​​​​​​এখনই উত্তরপ্রদেশে ​​​​​​​গিয়ে ​​​​​​​দেখতে ​​​​​​​পারেন ​​​​​​​গোহত্যা বা লাভ জিহাদ নিয়ে যোগীকে হিন্দি বা মৈথিলী  ভাষায় ​​​​​​​খিস্তি ​​​​​​​দিয়ে ​​​​​​​কি ​​​​​​​হয়। কে ​​​​​​​আটকাচ্ছে ? অবশ্য ​​​​​​​বাংলায় ​​​​​​​দিলে ​​​​​​​আর ​​​​​​​কে ​​​​​​​বুঝবে :) :) যত ​​​​​​​ইচ্ছে ​​​​​​​দিতে ​​​​​​​পারেন হয়তো। 
     
     
    সেই জোকটা মনে পড়ে গেলো। 
     
    প্রাক-১৯৮০-৯০ এর সোভিয়েত কমুনিজম এর গোল্ডেন ইরার সময় কোথাও একটা সেমিনারে একটা আমেরিকান আর  একটা রাশিয়ান এর মধ্যে ইন্ডিভিজুয়াল ফ্রিডম নিয়ে কথা হচ্ছে। 
     
    আম্রিগানটা বলে -  আমি ইচ্ছে করলে এখুনি হোয়াইট হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে আম্রিগান প্রেসিডেন্টকে বাপ মা তুলে খিস্তি করতে পারি। কেউ কিচ্ছু করবে না। এটাই আমাদের ডেমোক্রেসি আর ফ্রিডম। 
     
    শুনে রাশিয়ানটা বলে - ধুস . এ আর এমন কি ? আমিও ক্রেমলিনের সামনে দাঁড়িয়ে আম্রিগার প্রেসিডেন্টকে বাপ মা তুলে যত ইচ্ছে খিস্তি করতে পারি।  কেও কিচ্ছু বলবে না। 
     
     
    ভালো থাকবেন 
  • Amit | 203.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:৪৪497500
  • আর ভারতীয় বুদ্ধিজীবীদের কার কদ্দুর চ্যাঁচানোর দৌড় , সেটা  তো ১৯৭৬ এর ইন্দিরা গান্ধীর এমার্জেন্সির সময় অলরেডি একবার সবার দেখাও হয়ে গেছে। সেরকম সময় এলে আবার নাহয় দ্যাখা যাবে আর একবার ?
     
    বলেই তো হিস্ট্রি রিপিটস ইটসেলফ। 
  • হেহে | 2a0f:9100:110:a::***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:৪৯497501
  • ইমার্জেন্সির সময় কল্লোল জেলে ছিল না? অস্ট্রেলিয়ায় বসে অমিত তাকেই খিস্তাচ্ছ। কি মাল গুরু।
  • guru | 103.2.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:০৩497502
  • অরণ্য লিখেছেন "পাকিস্তানী মেয়েদের না পাওয়ায় পাকিস্তানের প্রতি ঘৃণার জন্ম - এটা ঠিক ​​​​​​​মনে  ​​​​​​​হয় ​​​​​​​না। ​​​​​​​মানে ​​​​​​​অল্প ​​​​​​​কিছু পুরুষের ​​​​​​​ক্ষেত্রে ​​​​​​​সত্যি ​​​​​​​হতে ​​​​​​​পারে, ​​​​​​​তবে ​​​​​​​মূল ​​​​​​​কারণ ​​​​​​​নয় 
    মূল কারণ অমিত যেগুলো বলেছেন - যুদ্ধ ইঃ + ইসলামের প্রতি ঘৃণা । এই ঘৃণারও বিবিধ কারণ আছে, তার মধ্যে একটা হল এখন দুনিয়া এত কানেক্টেড, বোকো হারাম, আইসিস, আল কায়দা আরও হরেক ইসলামিক জঙ্গী গ্রুপ কোথায় কী করছে, তা মানুষ ঘরে বসেই জানতে পারছে। এবং অনেকেই সেটাকে ইসলাম ধর্মটার অন্তর্নিহিত সমস্যা বলে মনে করছে।"  
     
    দেখুন পাকিস্তানের প্রতি ঘৃণা এখন আমাদের আইডেন্টিটি এর একটা অভিচ্ছেদ্দ্য অঙ্গ | ৯০ এর দশক থেকেই যে সিনেমাগুলি এসেছে সে রোজা সারফারোস , গাদার থেকে হালামলের শেরশাহ বা ভুজ সবই মূলত এই ঘৃণাটিকে পপুলার কালচারের একটা অভিচ্ছেদ্দ্য অঙ্গ করে তুলেছে | আমার নিজের থিওরি হল যে এর মূলে আছে গত ৩০ বছরে এই দেশে যে আর্থিক অসাম্য তৈরী হয়েছে রাষ্ট্র তাকেই ব্যবহার করেছে এই ঘৃণার ন্যারাটিভ তৈরী করতে|amader দেশে এটাই বাস্তব সে পাওয়ারে যেই থাকুক না কেন|ekhon ভারতে ভারতীয় হওয়া মানেই পাকিস্তান বিরোধী হওয়া|
     
    আর ইসলামের প্রতি ঘৃণার কথাই যদি ওঠে তাহলে বলতে হয় যে আমরা সবাই কাউকে না কাউকে ঘৃণা করতে ভালোবাসি | আম্রিগার মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স কয়েক দশক অন্তর অন্তর শত্রু তৈরী করে যেহেতু তাকে যুদ্ধ করে খেতে হবে| প্রথমে রাশিয়ানরা পরে ইসলাম এখন চীনারা পরে আরো কেউ হবে | আম্রিগা ও ইন্ডিয়া এই দুটি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে নির্বাচন মানেই ঘৃণার চাষ | গত কয়েক বছরেই তা হয়ে এসেছে | যদি তথ্য দেখেন তাহলে বলতে হয় যে ইসলামিক সন্ত্রাস আম্রিগা তথা সমগ্র বিশ্বের কাছে কোনরকম সমস্যাই নয় | আম্রিগাতে প্রতি বছর প্রায় ৮৫০০০ মানুষ শ্বেতাঙ্গদের রেন্ডম শুটিংয়েই মারা যায় কিন্তু আম্রিগাতে শ্বেতাঙ্গ দের আমূল পরিবর্তন দরকার কেউ তো বলেনা | আসলে ইসলামকে ঘৃণা করা খুবই সোজা লোকে তাই করে | সত্যি কথাটা হল যে আমেরিকাতে নাইন ইলেভেন আদৌ ওসামা বিন লাদেন করেছিল কিনা এখন তাই নিয়েও বিতর্ক আছে |
     
    আপনার মতামতের অপেক্ষায় রইলাম |
     
  • guru | 103.2.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:০৩497503
  • অরণ্য লিখেছেন "পাকিস্তানী মেয়েদের না পাওয়ায় পাকিস্তানের প্রতি ঘৃণার জন্ম - এটা ঠিক ​​​​​​​মনে  ​​​​​​​হয় ​​​​​​​না। ​​​​​​​মানে ​​​​​​​অল্প ​​​​​​​কিছু পুরুষের ​​​​​​​ক্ষেত্রে ​​​​​​​সত্যি ​​​​​​​হতে ​​​​​​​পারে, ​​​​​​​তবে ​​​​​​​মূল ​​​​​​​কারণ ​​​​​​​নয় 
    মূল কারণ অমিত যেগুলো বলেছেন - যুদ্ধ ইঃ + ইসলামের প্রতি ঘৃণা । এই ঘৃণারও বিবিধ কারণ আছে, তার মধ্যে একটা হল এখন দুনিয়া এত কানেক্টেড, বোকো হারাম, আইসিস, আল কায়দা আরও হরেক ইসলামিক জঙ্গী গ্রুপ কোথায় কী করছে, তা মানুষ ঘরে বসেই জানতে পারছে। এবং অনেকেই সেটাকে ইসলাম ধর্মটার অন্তর্নিহিত সমস্যা বলে মনে করছে।"  
     
    দেখুন পাকিস্তানের প্রতি ঘৃণা এখন আমাদের আইডেন্টিটি এর একটা অভিচ্ছেদ্দ্য অঙ্গ | ৯০ এর দশক থেকেই যে সিনেমাগুলি এসেছে সে রোজা সারফারোস , গাদার থেকে হালামলের শেরশাহ বা ভুজ সবই মূলত এই ঘৃণাটিকে পপুলার কালচারের একটা অভিচ্ছেদ্দ্য অঙ্গ করে তুলেছে | আমার নিজের থিওরি হল যে এর মূলে আছে গত ৩০ বছরে এই দেশে যে আর্থিক অসাম্য তৈরী হয়েছে রাষ্ট্র তাকেই ব্যবহার করেছে এই ঘৃণার ন্যারাটিভ তৈরী করতে|amader দেশে এটাই বাস্তব সে পাওয়ারে যেই থাকুক না কেন|ekhon ভারতে ভারতীয় হওয়া মানেই পাকিস্তান বিরোধী হওয়া|
     
    আর ইসলামের প্রতি ঘৃণার কথাই যদি ওঠে তাহলে বলতে হয় যে আমরা সবাই কাউকে না কাউকে ঘৃণা করতে ভালোবাসি | আম্রিগার মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স কয়েক দশক অন্তর অন্তর শত্রু তৈরী করে যেহেতু তাকে যুদ্ধ করে খেতে হবে| প্রথমে রাশিয়ানরা পরে ইসলাম এখন চীনারা পরে আরো কেউ হবে | আম্রিগা ও ইন্ডিয়া এই দুটি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে নির্বাচন মানেই ঘৃণার চাষ | গত কয়েক বছরেই তা হয়ে এসেছে | যদি তথ্য দেখেন তাহলে বলতে হয় যে ইসলামিক সন্ত্রাস আম্রিগা তথা সমগ্র বিশ্বের কাছে কোনরকম সমস্যাই নয় | আম্রিগাতে প্রতি বছর প্রায় ৮৫০০০ মানুষ শ্বেতাঙ্গদের রেন্ডম শুটিংয়েই মারা যায় কিন্তু আম্রিগাতে শ্বেতাঙ্গ দের আমূল পরিবর্তন দরকার কেউ তো বলেনা | আসলে ইসলামকে ঘৃণা করা খুবই সোজা লোকে তাই করে | সত্যি কথাটা হল যে আমেরিকাতে নাইন ইলেভেন আদৌ ওসামা বিন লাদেন করেছিল কিনা এখন তাই নিয়েও বিতর্ক আছে |
     
    আপনার মতামতের অপেক্ষায় রইলাম |
     
  • guru | 103.2.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:১৫497504
  • অরণ্য আরো লিখেছেন "সচলায়তনে ইসলামিক সমাজতন্ত্র-র ওপর একটা আর্টিকল পড়ছি। গত শতকের মধ্যভাগে এর চর্চা ও  প্রসার। এই মতবাদের একজন প্রস্তাবক, গোলাম পারভেজ কোরান এবং অন্যান্য কোরানিক টেকস্ট গুলে খেয়েছিলেন। 
    তার মতে শরিয়া র মাধ্যমে ইসলামের বিচ্যুতি ঘটানো হয়েছিল। উনি এও বলেছেন যে বেশির ভাগ হাদীস- ই প্রাচীন স্বেচ্ছাচারী শাসকদের ঐশ্বরিক বৈধতা দিতে তৈরী করা হয়েছে। 
    এই কথাগুলো সামনে আসা দরকার।"
     
    গোলাম পারভেজ একমাত্র ব্যক্তি নন আরো অনেকেই যেমন সায়েদ কুতুব , হাসান আল বান্না , আবু মৌদুদী , আলী শরিয়তি , রুহুল্লাহ খোমেইনী প্রত্যেকেই নিজের মতো করে কোরান ও হাদিসের ব্যাখ্যা করেছেন | ইসলামিক দর্শনে একটা মূল ব্যাপার হলো ন্যায়বিচার | তো প্রত্যেকেই তাদের সময় অনুযায়ী একে ব্যাখ্যা করেছেন | ইসলামিক সমাজতন্ত্র যদি বলেন তাহলে বলা যায় ইরান , পাকিস্তান , বাংলাদেশ বা তুরস্ক তাদের নিজেদের সমাজের মতো করে ইসলামিক সমাজতন্ত্র তৈরী করার কথা ভেবেছে এবং করেওছে | আমার মনে হয় এই মডেলগুলিকে আরো সময় দিতে হবে তাদের এক্সপেরিমেন্টের ফল দেখতে | আপনার কি মনে হয় জানার অপেক্ষায় রইলাম?
     
    আর ইসলামকে রিফর্ম করার কথা যদি ওঠে তাহলে বলতে হয় যে এটা একটি বহুলপ্রচলিত "ওরিয়েন্টালিস্ট ফ্যান্টাসি" এডওয়ার্ড সাঈদ এর ভাষায় | ইসলাম কোন ছোট জিনিস না যে কেউ রামা শ্যামা চাইলেই রিফর্ম হয়ে যাবে | ইসলাম রোমান ক্যাথলিক চার্চ নয় যে আজকে কোনো pope বলে দেবেন যে বাবাসকল সমকামিতা খুব ভালো জিনিস আর কাল থেকে সব মেনে চলবে |sudhu সুন্নিদের মধ্যেই ৪ টি স্কুল আছে শরিয়ার আবার শিয়াদের মধ্যে তো অসংখ্য | তাছাড়া দেশকালের প্রকারভেদে আরো বেশি বৈচিত্র্য | মিশরে যেটা চলে নাইজেরিয়া বা আলজেরিয়ায় তা চলেনা সৌদিতে যা চলে তুরস্ক , ইরান ইরাক বা সিরিয়াতে তা চলেনা আবার পাকিস্তানে যা চলে তা বাংলাদেশে চলেনা আবার ইন্ডিয়াতে যা চলে সেটা ইন্দোনেশিয়াতে চলেনা | তাহলে কে কিভাবে "রিফর্ম " করবে আর কিভাবেই বা করবে ? অন্যেরা কেনই বা  তা মানবে ? বাইরে থেকে শুধু আম্রিগা কেন কেউই কিছু চাপিয়ে দিতে পারবেনা | তুরস্কে মুস্তাফা কামাল যা করেছিলেন সেই স্টেট একশো বছরও টিকতে পারলোনা , ইরানের শাহ ৩০ বছরও টিকে থাকতে পারেননি আফগানিস্তানে আম্রিগার তৈরী করা স্টেটটি মাত্র ২০ বছরও টিকলোনা | আম্রিগার পেটোয়া সৌদি আরবকে তো ছোট্ট কাতার আর দরিদ্র ইয়েমেন পর্যন্ত মানেনা | তাছাড়া আদৌ ওয়েস্টার্ন আধুনিকতার মডেল এই সব সমাজে চলবে তাই বা কে বলেছে ? ইরান ইরাক পাকিস্তান বা তুরস্ক অনেক প্রাচীন সভ্যতার উত্তরসূরী ,তাদের আধুনিকতা তারা নিজেরাই তৈরী করে নিতে পারবে এবং tara tai korcheo| 
     
    apnar mulyoban motamoter apekkhay roilam |
  • guru | 103.2.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:০২497505
  • অমিত বলেছেন "আপনার অন্য টইতে অলরেডি এর উত্তর দিয়েছি কল্লোলদা। এসব চ্যাঁচামেচি ভোটাভুটি তদ্দিনই চালানো যাবে যদ্দিন আরএসএস র হাতে বাঁশের লাঠি আছে  আর কয়েকটা সেফ চেঁচানোর জায়গা বেঁচে আছে ইন্ডিয়ায় (পব বা কেরালা বা পাঞ্জাবের র মত এখনো অবধি )। যেদিন তার বদলে একে-৪৭ উঠে আসবে ওদের হাতে আর চেঁচানোর জায়গা গুলো একে একে বন্ধ হবে , তখনই নাহয় দেখবো কে কোথায় কতটা চেচাচ্ছে আর প্রতিবাদ করছে -? এখন থেকে প্রেডিকশন করে কি লাভ ? বীরত্ব তো আসল বিপদের ​​​​​​​মুখে ​​​​​​​দাঁড়ালে ​​​​​​​দেখা ​​​​​​​যায়। ​​​​​​​মায়াপাতায় ​​​​​​​দেখে ​​​​​​​কি ​​​​​​​লাভ। 
     
    আর ​​​​​​​আমি তো ​​​​​​​বলেইছি ​​​​​​​সবার মধ্যে ক্ষার ​​​​​​​খেয়ে ​​​​​​​ক্ষুদিরাম হওয়ার ​​​​​​​ইচ্ছে ​​​​​​​থাকতে ​​​​​​​হবে ​​​​​​​এমন ​​​​​​​কোনো ​​​​​​​নিয়ম ​​​​​​​নেই ​​​​​​​কোথাও"
     
    কথাটা খুব ভুল নয় | ঘটনা হলো আরএসএস এর অনেক গোষ্ঠীর হাতেই বন্দুক এসে গেছে এবং আরো আসছে যেহেতু ইন্ডিয়ান আর্মি আর পুলিশের মধ্যে আরএসএস এর সমর্থক এখন অনেক | উত্তর প্রদেশের অবস্থা সত্যি ভয়াবহ এবং যোগী ২০২২ জিতে নিলে আরো ভয়াবহ হবে | দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বলা যায় যে ভারতে হয়তো এটাই ভবিতব্য |rajnoitik কোনো সমাধান তো চোখে পড়ছেনা | আর যদি এক্সটার্নাল ইন্টারভেনশন বলেন কে করবে কিভাবেই বা করবে ? প্রশ্নটা নৈতিকতা নয় আমার মতো geopolitics এর ছাত্রের কাছে প্রশ্নটা সবসময় ক্যাপাবিলিটি এর | পাঞ্জাবে না হয় পাকিস্তান খালিস্তানিদের মদত করতে পারে কিন্তু পব বা কেরালা কি করবে ? সত্যি এ বড় চিন্তার বিষয় | আপনার যত কানেকশন আছে আরএসএস এর মধ্যে আপনার কি মনে হয় শেষপর্যন্ত আরএসএস ফাস্সিস্ট একনায়কতন্ত্রের দিকেই যাবে ? ইন্টারভেনশন করতে হলে কে কিভাবে করবে ?কেনই বা করবে ?
  • Amit | 203.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:৪৩497506
  • গুরু ১০:০৩  র পোস্টে বললেন "আসলে ইসলামকে ঘৃণা করা খুবই সোজা লোকে তাই করে"। ​​​​​​​কথাটা ​​​​​​​য় ​​​​​​​একটু ​​​​​​​দ্বিমত ​​​​​​​আছে।  বেশ কয়েকটা ইসলামিক দেশে নিজে বেশ কয়েক বছর থাকা ​​​​​​​এবং ​​​​​​​কাজের ​​​​​​​অভিজ্ঞতা ​​​​​​​থেকে ​​​​​​​বলতে ​​​​​​​পারি ​​​​​​​তালি ​​​​​​​কখনোই এক ​​​​​​​হাতে ​​​​​​​বাজেনা-দুদিকেই বাজে। আর ​​​​​​​বাজতে ​​​​​​​শুরু ​​​​​​​করলে এমপ্লিফাই ​​​​​​​ও ​​​​​​​হয়ে ​​​​​​  যায়। 
     
    অনেক ইসলামিক ​​​​​​​দেশ গুলোতেই  ​​​​​​​অন্য ​​​​​​​ধর্মের লোকেদের ​​​​​​​সাথে ​​​​​​​সরাসরি সবক্ষেত্রে বাজেভাবে ডিসক্রিমিনেশন করা ​​​​​​​হয়- ব্যাঙ্কিং -ব্যবসা -শিক্ষা -চাকরি প্রমোশন -সবকিছুতেই । টলারেন্স জিনিসটা খুবই কম-হয়তো সব দেশে এক লেভেলে নয় -যতটা উগ্রতা মিডল ইস্টে দেখেছি -মালয়েশিয়ায় তার থেকে অনেক কম - কিন্তু আছে।
     
    জাস্ট ​​​​​​কেও ​​​​​​​ধর্মে ​​​​​​​বা ​​​​​​​ভগবানে ​​​​​​​বিশ্বাস ​​​​​​​না ​​​​​​​করলে ​​​​​​​বা দুএকটা হালকা তর্ক করলে তাকে ব্ল্যাসফেমি ​​​​​​​আইনে ​​​​​​​ফেলে ​​​​​​​জেলে ​​​​​​​ঢুকিয়ে ​​​​​​​দেয় ​​​​​​​বা ​​​​​​​ধরে ​​​​​​​পিটিয়ে ​​​​​​​দেয়। দোকানে ​​​​​​​হালাল ​​​​​​​ফুড ​​​​​​​ছাড়া ​​​​​​​অন্য ​​​​​​​কিছু ​​​​​​​বিক্রি ​​​​​​​করা ​​​​​​​অপরাধ , পর্ক ​​​​​​​হলে ​​​​​​​তো ​​​​​​​খুনোখুনি ​​​​​​​হয়ে ​​​​​​​যেতে ​​​​​​​পারে। গোরক্ষক দের থেকে ​​​​​​​আলাদা ​​​​​​​কিচ্ছু ​​​​​​​নয়- ​​​​​​​বরং ​​​​​​​আরো ​​​​​​​উগ্র ​​​​​​​ভার্সন। ​​​​​​​মেয়েদের ​​​​​​​কথা ​​​​​​​তো ​​​​​​​ছেড়েই ​​​​​​​দ্যান। ​​​​​​​হাস্যকর ​​​​​​​হয়ে ​​​​​​​যাবে ​​​​​​​বলতে ​​​​​​​গেলে। সব ​​​​​​​নিউস ​​​​​​​চেপে ​​​​​​​দেওয়া ​​​​​​​হয় - সুতরাং ​​​​​​​অনেকেই ​​​​​​​ভেবে ​​​​​​​বসেন ​​​​​​​ওসব ​​​​​​​দেশে ​​​​​​​মেয়েরা ​​​​​​​খুব ​​​​​​​সেফ। ​​​​​​​জাস্ট এ ​​​​​​​জোক। ​​​​​​​
     
    উল্টোদিকে আবার এটাও সামনে থেকে দেখা যে যখন ​​​​​​​ইউকে ​​​​​​​বা অস্ট্রেলিয়ায় মুসলিমরা ​​​​​​​একটা ​​​​​​​জায়গায় বা পাড়ায় সংখ্যায় ​​​​​​​বেশি ​​​​​​​থাকেন তখন ​​​​​​​সেখানে ​​​​​​​সুপারমার্কেট ​​​​​​​গুলোতে ​​​​​​​শুধু ​​​​​​​হালাল ​​​​​​​ফুড ​​​​​​​বিক্রি ​​​​​​​করার ​​​​​​​জন্যে ​​​​​​​চাপ ​​​​​​​দ্যান। তখন সেই ​​​​​​​পাড়ায় অন্য মাইনোরিটি ​​​​​​​দের যে ​​​​​​​হালাল ​​​​​​​ফুড ​​​​​​​ভালো ​​​​​​​নাও ​​​​​​​লাগতে ​​​​​​​পারে , সেটা একেবারেই ​​​​​​​চিন্তা ​​​​​​​করেন ​​​​​​​না ​​​​​​​বা ​​​​​​​চাননা।
     
    আবার এই ওপরের যাবতীয় জিনিসগুলোই  হিন্দু বা অন্য কমুনিটিও নিজের নিজের পাড়ায়  অল্প বিস্তর করে থাকেন। কারোর হাত ই পরিষ্কার নয়। 
     
    সুতরাং ঘৃণা জিনিসটা ম্যাজিক করে আকাশ থেকে আসেনা- এই সবকটা কাম্যুনিটি গুলোর বাকিদের অপর করে রাখা বা অপর হয়ে থাকতে চাওয়া র মধ্যে যে বিরাট গ্যাপ, যেকোনো দেশের  রাইট উইং ডিভিসিভ পলিটিক্স সেই গ্যাপের মধ্যে দিয়ে গলে যাবেই। 
     
    যাকগে -আবার টোয়ি বেলাইনে চলে যাচ্ছে। 
  • র২হ | 2405:201:8005:9947:293d:1bb3:af5:***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১২:৪৭497508
  • সেনা পুলিশ বিচার ব্যবস্থা ব্যাংকিং আমলা সর্বত্র আরেসেস গিজগিজ করছে। ইতিহাসের গতি বিচিত্র ও আনপ্রেডিক্টেবল, কিন্তু মনে হয় আমাদের দেশ টাইম বোমার ওপর বসে।
  • Kallol | 2409:4060:2e08:382d::d09:***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:৩১497509
  • এটা পেলাম । 
    ভিয়েতনামে খুন করাহয় - ৬২৭,০০০ জন সিভিলিয়ান।
    ইরাকে খুন করা হয় - ২১৩,০০০ জন সিভিলিয়ান।
    আফগানিস্তানে খুন করা হয় -১৭০,০০০ জন সিভিলিয়ান।
     
    এই খুনের কারিগর আমাদের প্রিয় আমেরিকা।
     
    এসকল তথ্য তুলে ধরাটা অন্যায় কারণ এতে আমেরিকানদের মহত্ব কমে যায় আর তা লি বা ন দের পক্ষে মতামত চলে যায়। সুতরাং আমাদের উচিত এ-সকল তথ্য স্কিপ করে যাওয়া।
     
    পুলিন বকসী
  • Amit | 103.6.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:৪০497510
  • আমেরিকান দের হাতে প্রচুর লোক মরেছে। সত্যি কথা। ​​​​​​​
     
    সুতরাং পাল্টা হিসেবে তালিবান দের মালালাকে বা অন্য মেয়েদের গুলি করাটা বা মেয়েদের সেক্স স্লেভ করাটা তার থেকে  লেস হার্মফুল বা জায়েজ বা জাস্ট কোলাটেরাল ড্যামেজ - তাইতো ? 
  • Kallol | 2409:4060:2e08:382d::d09:***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:৫১497511
  • অমিত লিখছে আর ভারতীয় বুদ্ধিজীবীদের কার কদ্দুর চ্যাঁচানোর দৌড় , সেটা  তো ১৯৭৬ এর ইন্দিরা গান্ধীর এমার্জেন্সির সময় অলরেডি একবার সবার দেখাও হয়ে গেছে। সেরকম সময় এলে আবার নাহয় দ্যাখা যাবে আর একবার ?
    মাথা টাথা ​​​​​​​কি ​​​​​​​একেবরেই গেছে ?? ১৯৭৭ ​​​​​​​এ ​​​​​​​নির্বাচনে ​​​​​​​ইন্দিরা ​​​​​​​মুছে ​​​​​​​গেছিলো  ।  জনতা ​​​​​​​দল ​​​​​​​উঠে ​​​​​​​আসে। ​​​​​​​জনতা ​​​​​​​দলের ​​​​​​​মন্ত্রীসভার ​​​​​​​পতন ঘটায় ​​​​​​​বামেদের ​​​​​​​ছল ​​​​​​​চাতুরি । 
    আর এস এস যেদিন একে ৪৭ হাতে নামবে সেদিনও রাস্তায় থাকবো । 
    এই গুরু বা ফেসবুক আমার কাছে লড়াইয়ের হাতিয়ার ।  রাস্তার মতোই  দরকারি ।  আমি এখানে নিছক ভাট করতে আসিনা। লড়াই সব  ফ্রন্টেই লড়াই লড়তে হয় । 
  • Amit | 103.6.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:৫৭497512
  • হাহাহা। এটা ভালো দিয়েছেন কল্লোলদা।
     
    ভুল গোয়েন্দা রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে ইন্দিরা গান্ধী ইমার্জেন্সি তুলে দিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার ডিসিশন না নিলে ১৯৭৭ হয়না. ইন্ডিয়া পাকিস্তানের মতো মিলিটারি স্টেট্ হয়ে নেক্সট ১০-২০ বছর কাটাতে পারতো। জয়প্রকাশ নারায়ণ স্ট্যান স্বামী হয়ে যেতেই পারতো. nজাস্ট ইতিহাসের একটা লাকি টার্নআরোউন্ডে সেটা বেঁচে গেছে। নেক্সট টাইম অতটা লাক নাও থাকতে পারে। 
  • Kallol | 2409:4060:2e08:382d::d09:***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:৩৭497513
  • ভারতের মতো দেশে সামরিক শাসন সম্ভব না, এটা ১৯৭২ বা ১৯৭৩এই প্রমানিত ।  যখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা স্যাম  মানেকশ ইন্দিরার মরিয়া হয়ে প্রশ্নে স্যাম মুচকি হেসেছিলেন - তুমি কি ক্যু প্ল্যান করছো? 
  • Amit | 121.2.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:৪৪497514
  • সেই আনন্দেই থাকুন। সেই ইন্দিরাও নেই , মানেকশ ও নেই। আছে এখন মোদী শাহ আর বিপিন রাওয়াত এর মতো পাবলিক। 
     
    জার্মানির লোকও এই আনন্দেই ছিল। যখন বুঝতে পারলো তখন বাঁশ অনেক ভেতরে ঢুকে গেছে। 
  • guru | 103.2.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:০১497515
  • অমিত "ভুল গোয়েন্দা রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে ইন্দিরা গান্ধী ইমার্জেন্সি তুলে দিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার ডিসিশন না নিলে ১৯৭৭ হয়না. ইন্ডিয়া পাকিস্তানের মতো মিলিটারি স্টেট্ হয়ে নেক্সট ১০-২০ বছর কাটাতে পারতো। জয়প্রকাশ নারায়ণ স্ট্যান স্বামী হয়ে যেতেই পারতো. nজাস্ট ইতিহাসের একটা লাকি টার্নআরোউন্ডে সেটা বেঁচে গেছে। নেক্সট টাইম অতটা লাক নাও থাকতে পারে। "
     
    এটা কি ব্যাপার ? একটু খুলে বলুন তো দাদা!
  • Kallol Dasgupta | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৩৫497516
  • জার্মানীতে সামরিক শাসন ? কবে ? আমি তো জানতাম নাৎসী পার্টি মদীর মতোই ভোটে জিতে এসেছিলো। পুলওয়ামার বদলে রাইখস্ট্যাগ পুড়িয়েছিলো। 
    বাঁশ কতোটা ভিতবে ঢুকলে মনে হয় বিজেমূল বলে কিছু হয় না, সেটা তো দেখাই গেলো। 
    জয়প্রকাশ স্ট্যানস্বামী হতেন কি না জানি না, তবে অনেকেই তা হয়েছে। তাদের আত্মত্যাগের মূল্যেই ইন্দিরর পতন। মানুষের ভূমিকাকে ছোট করে দেখা চিরকালই ভারতীয় বামেদের (হ্যাঁ নকশালদেরও) স্বভাব। নতুন কিছু বলো। এরাই নৌবিদ্রোহীরা সাহায্য চাইলে "মার্ক্স নৌবিদ্রোহ নিয়ে কিছু লিখে যাননি" এমনটা বলেছিলেন।    
  • b | 14.139.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৩৭497518
  • দেকেচো, কল্লোলদা  অমিতকে একে তো বামপন্থী , তদুপরি নকশালও বললেন।
  • :|: | 174.255.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:৪০497520
  • ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১২:৪৭-এর প্রেক্ষিতে: "মনে হয়" আবার কি? সময়, মানে ওই টাইম বোমাটিই, তো সব। গোটা ক্রিয়েশনের ক্ষেত্রেই সেটা সত্যি। শুধু আমাদের দেশ না। পাতি বাংলায় বললে লোকে কি আর মানবে? এই দেখুন সমস্কিতে কি বলেছে: 
    কালেন জায়তে সর্বং কালে  পরিতিষ্ঠতি 

    কালে বিলয়মাপ্নোতি সর্বে কালবশানুগাঃ  ২১॥

     
  • Amit | 120.22.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০১:২০497522
  • কল্লোলদা কোন খোপে ফেলবেন ভেবে কুল পাচ্ছেন না। তাই এক্কেরে দাবাং এর সলমন খান হয়ে গেছেন : "ইতনা গোলি মারেঙ্গে , ইতনা ছেদ করেঙ্গে কি ভুল যাওগে খানা কাঁহাসে হ্যায় আওর  "- বাকিটা উহ্য থাক। জানতে হলে ঝপ করে মুভি টা দেখে ফ্যালেন। ইন ফ্যাক্ট ​​​​​​​আমি ​​​​​​​নিজেও কনফিউজ ​​​​​​​হয়ে ​​​​​​​গেছি ​​​​​​​এতদিনে পুরো :) :).
     
    তবে মানতেই হবে আফগানিস্তান নিয়ে কল্লোলদা আর সৈকতবাবু যা কয়েকটা মাল নামালেন গত কদিনে আর তার ফলো আপ যা সব চমকপ্রদ যুক্তিবিন্যাস দেখা গেলো ওনাদের তরফে , এগুলো সাজিয়ে রাখা যাবে। ভবিষ্যতে ওনাদের এন্টি- মোদী কোনো হ্যাজ  কাউন্টার করতে হলে জাস্ট এগুলো থেকে কপি পেস্ট আর ফাইন্ড-রিপ্লেস করে দিলেই হবে। লেখার দরকার পড়বেনা বেশি। :) :) আফটার অল পশ্চিমি আগ্রাসন থেকে নিজেদের সনাতন কালচার রক্ষার দায় আছে তো সবারই , শুধু তালিবানরা একা খাটতে যাবে কেন ? 
     
     
    গুরুকে: 
    যতদূর পড়েছি যে ১৯৭৬ এ ইন্দিরা বা সঞ্জয় গান্ধীর সরকারি গোয়েন্দারা ওনাদেরকে গোপন রিপোর্ট দিয়েছিলো ডেসপাইট ইমার্জেন্সি , ম্যাংগো পাবলিক এর ওভারঅল প্রেফারেন্স গান্ধীদের ফেভার-এই আছে এন্ড ভোট হলে ওঁরাই মেজরিটি ভোটে জিতে যাবে। সেই কনফিডেন্সে ইন্দিরা গান্ধি ইমার্জেন্সি তুলে নিয়ে ৭৭ এ ভোট ডেকে দ্যান। এর সত্যি মিথ্যে জানিনা। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:3489:89c8:d347:***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৩:১৮497524
  • পুরো পৃথিবীকেই দেশ ভাবুন, হৃদয় প্রসারিত করুন। চে গ্যেভারা-কেই দেখুন না , নিজের দেশ ছেড়ে কত অন্য দেশে গেলেন বিপ্লব আনতে, তিনি কিন্তু এসব অর্থহীন সীমান্তে বিশ্বাস করতেন না 
    আর ডিসি-র মত ব্রড মাইন্ডেড হলে এই গ্যালাক্সি, বা পুরো ইউনিভার্সই হল দেশ। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:3489:89c8:d347:***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৪:০১497525
  • কাগজে পড়লাম তালিবান- রা এবার সমকামীদের সাজা দেওয়ার জন্য গণধর্ষন করছে, সর্বোচ্চ ​​​​​​​শাস্তি অবশ্য মৃত্যুদন্ড। সে ​​​​​​​শাস্তিও ​​​​​​​হয়ত ​​​​​​​শুরু ​​​​​​​হবে। ​​​​​​​শরিয়া আইনে, স্বাভাবিক ভাবেই, সমকামিতা নিষিদ্ধ।  
    জনসংখ্যার ১০% ​​​​​​​মানে ​​​​​​​৪ মিলিয়ন ​​​​​​​আফগান ​​​​​​​এলজিবিটি ​​​​​​​সম্প্রদায়ভুক্ত 
    কে, কীভাবে রিফর্ম করবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে তবে এই দানবিক শরিয়া ​​​​​​​আইন নামক বস্তুটি (যতরকম ফ্লেভারের শরিয়া আইন আছে) যে বন্ধ হওয়া দরকার, তা নিয়ে আশা করি এখানে কেউ  দ্বিমত হবেন না ​​​​​​​
     
  • Amit | 203.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৪:৩৫497526
  • আহা দ্বিমত হওয়া না হওয়া সেসব পরের কথা। ওগুলো লেসার ইভিল- লো প্রায়োরিটি আইটেমস।
    সক্কলের  আগে আমেরিকা র সাম্রাজ্যবাদী কালো হাত ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া টা  টপ প্রায়োরিটি অনেকের কাছে। 
     
    মোটামুটি তেনাদের যা মতামত বোঝা যাচ্ছে - বাই চান্স কোনো জঙ্গলে একপাল বাঁদর যদি আমেরিকান হোক বা রাশিয়ান বা ব্রিটিশ বা যেকোনো আর্মির ফেলে যাওয়া কয়েক বাক্স রাইফেল খুঁজে পেয়ে যায় আর কোনোমতে একসিডেন্টালি ট্রিগার টিপতে শিখে গিয়ে এলোপাথাড়ি চাদ্দিকে ধুমধাড়াক্কা গুলি ছুড়তে শুরু করে দেয় আর তার ভয়ে তখন আর্মি হোক কি বাকি মানুষ-বাঁদর বা অন্য সব জানোয়ার সক্কলে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে যায় - তাহলে তেনারা সেই বাঁদর গুলোকেও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী বিপ্লবী ঘোষণা করতে নির্ঘাত রেডি হয়ে যাবেন। :) :) 
     
    অবশ্য এটা বলাই যায় তারা জঙ্গলের ঐত্যিহ্যশালী বাঁদরামি রক্ষা করেছে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে। আফটার অল সংস্কার হোক বা মিনি স্কার্ট -কিছুই ওপর থেকে চাপানো উচিত নয়। ওসব নিজেদের ভেতর থেকেই  উঠে আসতে হবে - কিন্তু কিভাবে এখনো জানা গেলো না আর। এটাও ডাইরেক্ট জানা গেলোনা মালালাকে গুলি করাটা বা সেক্স স্লেভ বানানোটা ভালো না খারাপ- শুধু এটাই জানা গেলো ওখানে যাদের এসব সমস্যা বলে মনে হচ্ছে - তাদেরকেই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে টিল ডেথ। সেসব বাকিদের সমস্যা নয়- বাকিরা পাঁচিলে বসে বাদামভাজা খেয়েই খালাস । 
    :) :) 
     
    এটাকে হেট্  স্পিচ ভাববেন না দয়া করে। বাঁদর বা যেকোনো জানোয়ার মনে হয় মানুষের থেকে অনেক লেস হার্মফুল  দুনিয়ার জন্যে। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:5599:18ff:89a2:***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:০১497529
  • আফগান মহিলারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন - ছবি দেখছি। খুবই সাহসের কাজ। কুর্ণিশ 
  • dc | 122.174.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৫৬497531
  • সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার কালো হাতের ছায়ায় অফগানিস্তানে একটা মেয়েদের অর্কেস্ট্রা তৈরি হয়েছিল। তালিবানরা আসায় যথারীতি সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। অবশ্য যারা অর্কেস্ট্রায় বাজায় তারা সব এলিট শ্রেনী, গ্রাম টামের কৃষক তো আর না। শহুরে এলিট ট্রান্সলেটার আর অর্কেস্ট্রা বাদকদের এবার দেওয়ালের সামনে দাঁড় করিয়ে গুলি করা হবে। 
  • Amit | 203.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:১০497532
  • কল্লোলদা কালকে আমেরিকার হাতে খুনের হিসেব দিলেন : ভিয়েতনামে খুন - ৬২৭,০০০ জন। ইরাকে খুন  - ২১৩,০০০ জন, আফগানিস্তানে খুন  -১৭০,০০০ জন।এগুলো না দিলে নাকি ​​​​​​​তালিবানদের ​​​​​​​বিপক্ষে ​​​​​​​মতামত ​​​​​​​চলে ​​​​​​​যাচ্ছে। খুব ​​​​​​​অন্যায়। 
     
    তো ​​​​​​​জিগালাম ​​​​​​​এতগুলো ​​​​​​​খুন ​​​​​​​খুব ​​​​​​​খারাপ কাজ - অবসোলুটলি। ​​​​​​​কিন্তু এর ​​​​​​​উল্টোদিকে তালিবান দের মালালাকে বা অন্য মেয়েদের গুলি করাটা বা মেয়েদের সেক্স স্লেভ বানানোটা তার থেকে  লেস হার্মফুল বা জায়েজ বা জাস্ট কোলাটেরাল ড্যামেজ  কিনা ? 
    তার ​​​​​​​কোনো ​​​​​​​উত্তর ​​​​​​​পেলাম ​​​​​​​না। ​​​​​​​খেপে ​​​​​​​আছেন ​​​​​​​হয়তো। 
  • guru | 103.135.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:১১497558
  • অরণ্য "কাগজে পড়লাম তালিবান- রা এবার সমকামীদের সাজা দেওয়ার জন্য গণধর্ষন করছে, সর্বোচ্চ ​​​​​​​শাস্তি অবশ্য মৃত্যুদন্ড। সে ​​​​​​​শাস্তিও ​​​​​​​হয়ত ​​​​​​​শুরু ​​​​​​​হবে। ​​​​​​​শরিয়া আইনে, স্বাভাবিক ভাবেই, সমকামিতা নিষিদ্ধ।  
    জনসংখ্যার ১০% ​​​​​​​মানে ​​​​​​​৪ মিলিয়ন ​​​​​​​আফগান ​​​​​​​এলজিবিটি ​​​​​​​সম্প্রদায়ভুক্ত 
    কে, কীভাবে রিফর্ম করবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে তবে এই দানবিক শরিয়া ​​​​​​​আইন নামক বস্তুটি (যতরকম ফ্লেভারের শরিয়া আইন আছে) যে বন্ধ হওয়া দরকার, তা নিয়ে আশা করি এখানে কেউ  দ্বিমত হবেন না"
     
    তালিবান মালালা নিয়ে তো অনেক কথা হলো এইবার ইনশা মুস্তাক নিয়েও কিছু কথা হোক | 
    হিবা নাসির এর উপরেও কিছু বলুন  
                                    শুধু মালালা নয় ইনশা, হিবা এরাও আক্রান্ত তা এরা তো আফগানিস্তান নয় ভারতেই আক্ৰান্ত |ta এদের নিয়ে তসলিমার মতো নারীবাদীরা চুপ কেন ?  আপনারা যারা আফগানিস্তানের মুসলমান নারী দের নিয়ে চিন্তিত তারা এদের কথাও বলুন না একটু |details দিন কিভাবে এদের ন্যায়বিচার দেওয়া যায় | এই মেয়েরা কি মুসলিম নয় নাকি মেয়েই নয়  তাহলে আপনাদের মূল্যবান সমর্থন এরাও পাবেনা কেন ? এদের উপর আক্রমণ কিভাবে আটকানো যায় ?    
     
    মালালার মতো মেয়েরা তো অন্তত নোবেল prize পেয়েছে এই মেয়েরা কি পাবে ? আর কি করলে "নারীবাদীরা" এদের মানুষ বলে মনে করবে ?                                                                                             
     
    মুসলিম বিশ্বে শরিয়তি আইন একমাত্র সৌদি আরবে আছে কিন্তু সেটি তো আম্রিগার সবচেয়ে বড়ো কেল্লা পশ্চিম এশিয়ায় | এই দেশটি না থাকলে কি আম্রিগার বোয়িং বা লোকহীড মার্টিনের মতো কোম্পানি করে খেতে পারবে ? আপনার সাহস হবে কি সৌদিতে শরিয়তি আইন বন্ধ করার কথা বলার জন্য ?
     
     
  • guru | 103.135.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:১৩497560
  • সরি হিবা নিসার কে নিয়ে লিংকটা ভুলভাল পড়েছে | আমারি ভুল | এইটে সঠিক লিংক 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন