An omicron-specific Covid vaccine will be ready by March but some experts warn it could be “too late” due to the variant’s highly transmissible nature.
On Monday, Pfizer CEO Albert Bourla told CNBC that its vaccine with BioNTech that targets omicron — and other variants that are currently circulating — will be ready for distribution by spring and that the company has already started manufacturing doses.
But an omicron-targeted vaccine was needed in December, says Dr. William Moss, executive director of the International Vaccine Access Center at the Johns Hopkins Bloomberg School of Public Health. “It still could be valuable but I do think in many ways, it’s too late” for the current omicron wave, Moss says.
Avik Sankar Maitra
আমেরিকা এবং ব্রিটেনে স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় খোলা ছিল আবার বন্ধও ছিল, কিছু জায়গায় হাইব্রিড ছিল, পুরো ২০২০-২১ সময়। ১২-১৮ বয়সে টীকা চালু হওয়ার আগে থেকেই।
আমেরিকায় এখনো ৬০% লোকের টীকাকরন সম্পূর্ণ হয়েছে, আজ অব্দি।
এইরকম ভুল তথ্য কি দেওয়া হল ইচ্ছাকৃতভাবে?
কারণ এই তথ্য সহজলভ্য।
Arnab Saha
সেই পরীক্ষানিরীক্ষা আমাদের রাজ্যেও হয়েছে। অন্তত দু-বার আমাদের রাজ্যে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি খোলা হয়েছে। সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করায় ফের বন্ধ হয়েছে। কিন্তু মোটের উপর ভ্যাক্সিনেশনের হার আমাদের দেশে অনেক কম। আমাদের জনসংখ্যা ওদের চেয়ে অনেক বেশি। আবার জনগণের সমস্ত অংশের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা একরকম নয়। ভারতে পরিস্থিতি অনেক বেশি জটিল।
মার্কিনপ্রবাসী মধ্যবিত্ত শ্রেণির যতজনকে জানি, তাদের প্রত্যেকের বুস্টার সহ তিন ডোজ ভ্যাক্সিন হয়ে গেছে। বাচ্চাদের 12 থেকে 18 ভ্যাক্সিনের কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমাদের দেশে কী তা হয়েছে?
Avik Sankar Maitra
ওদেশে স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থেকেছে কম, খোলা থেকেছে বেশী। আমাদের হয়েছে ঠিক উল্টো। আর আশেপাশের মধ্যবিত্তদের দেখে, যদি সামগ্রিক চিত্রটা ভাবি, তাহলে আমাদের দেশেও ৯৯% ডবল ভ্যাক্সিন হয়ে গেছে।
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10159727175172184&set=p.10159727175172184
Arnab Saha
স্কুল কলেজে কি শুধু মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলেমেয়েরা পড়ে? স্কুলে ভ্যাক্সিন দেওয়া তো শুরু হয়েছে মাত্র। এখনও শেষ হতে অনেকটা পথ হাঁটতে হবে।
অবশ্য যদি বলেন, করোনা কেবল মধ্যবিত্তের রোগ। তাহলে আর কথা এগোবে না। আর মধ্যবিত্ত শিক্ষকদের একটা বড়ো অংশ থার্ড ওয়েভে কাবু। তারা কীভাবে এই অবস্থায় ক্লাস নেবে এবং ফ্রিতে কোভিড ছড়াবে? সেটাই চাইছেন কি?
Avik Sankar Maitra
আমি তো সেটা বলিনি।
আমি বলতে চেয়েছি। আপনি ভুল তথ্য দিয়েছেন আপনার পোস্টে। একজন শিক্ষক হিসাবে ভুল তথ্য দেওয়া অশ্লীলতার নামান্তর, যেখানে তথ্যগুলো সহজলভ্য।
দ্বিতীয়, আপনি আপনার জানা আমেরিকা মধ্যবিত্তদের খোঁজ নিয়ে ধারণা করলেন, ১২-১৮ বয়েসের বাচ্চাদের টীকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে, স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে। আমি সেই ধারণা করার পদ্ধতি কে ভুল বলেছি।
Arnab Saha
দেখুন, টিকাকরণের হার ইউরোপ আমেরিকায় ইন জেনারেল বেশি। অসংখ্য বাম ও দক্ষিণপন্থী গ্রূপ আছে ওখানে যারা ভ্যাক্সিন বিরোধী। ব্রাসেলসে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে ভ্যাক্সিনবিরোধীদের। ওদের জনসংখ্যা আমাদের চেয়ে অনেক কম। ওদের পরিকাঠামো, বিশেষত ইউরোপের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আমি নিজের চোখে দেখে এসেছি। ভারতের সঙ্গে কোনও তুলনাই চলে না। এই এগিয়ে থাকা ব্যবস্থার সঙ্গে আমি আমাদের পরিস্থিতির তুলনা করেছি মাত্র।
একটা জিনিস লক্ষ করেছেন কি না জানি না। ভ্যাক্সিন, মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব এগুলোর চরম বিরোধিতা প্রথম থেকে করে আসছে উগ্র দক্ষিণপন্থী রাষ্ট্রনায়কের দল। ডোনাল্ড ট্রাম্প। জায়ের বোলসেনারো। বরিস জনসন। সবকটা আল্ট্রা রাইট উইং। আমেরিকা ও ব্রিটেনে এদের সমর্থকও প্রচুর। এরা কোন কোন কারণে কোভিড কোনও রোগ নয় বলে যাচ্ছিল, সেগুলোও একটু খতিয়ে দেখা দরকার। আর আমাদের এখানকার কুচো বিপ্লবী নকশালগুলো এই আল্ট্রা রাইট উইং এর সুরে সুর মেলাচ্ছে। এটাও আমার কাছে কৌতুকপ্রদ।
Avik Sankar Maitra
শতকরা হিসাবে পশ্চিমের দেশ গুলো এগিয়ে থাকবে, তা খুবই স্বাভাবিক। তাও বিভিন্ন কারণে অনেকেই ওদেশে এই ট্রায়াল ভ্যাক্সিন নেয়নি এটাও সত্য।
কোভিড আছে এটা যেমন সত্য, তেমনি কোভিডের মারনক্ষমতা (সামগ্রিক পরিসংখ্যান নিরিখে , ব্যক্তিগত জীবনের ভিত্তিতে নয়) অনেক কম, যেপ্রকার আতংক ছড়ানো তার ভিত্তিতে।
আতংক অনেকাংশে তৈরি করা, সেটা বোঝা যায়, ব্রুজখলিপা বা পার্কস্ট্রিটের ভীড় দেখে।
দুম করে বিশ্বের নেতারা বড় বড় প্রাইভেট কোম্পানিগুলো গোটা বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে বিশাল চিন্তিত হয়ে পড়লো কেন সেটাও ভাববার দরকার।
"যখন কোনো কিছু বিনামূল্যে বিতরণ হচ্ছে, ভয় হয় হয়তো আমরাই তাদের প্রোডাক্ট"
Arnab Saha
অবশ্যই। কোভিড আছে এবং এর স্প্রেড করার ক্ষমতা, আক্রান্ত করার ক্ষমতা যথেষ্ট। এটা একটা নতুন অসুখ, তাই এখনও চিকিৎসাশাস্ত্রের কাছেও এটা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। এটা অবশ্যই সত্য।
একইসঙ্গে এটাও সত্য কর্পোরেট মাফিয়ার দল এই কোভিডকে মুনাফা বৃদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। পরিসংখ্যান থেকেই তা পরিষ্কার।
কিন্তু আপনি আমার তোলা প্রশ্ন এবং সংশয়ের কোনও জবাব দিলেন না। কেন বলুন তো আল্ট্রা রাইট উইং দেশনায়কগুলোই সবচেয়ে বেশি চিৎকার করছিল, "কোভিড বলে কিছুই নেই?"। কেন বোলসেনারো প্রকাশ্যে মাস্ক ছিঁড়ে ফেলেছিল টিভি ক্যামেরার সামনে? কর্পোরেটপ্ৰভুদের পুতুলেরা কেন বলুন তো কোভিড প্রোটেকশন চাইছিল না, প্রথমদিকে? কারণগুলো কী বলে মনে হয়? কেন আল্ট্রা রাইট উইং আর আল্ট্রা লেফট উইং মতামত একজায়গায় মিশে যাচ্ছিল? কেন?
Avik Sankar Maitra
এর উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। তবে এটা পরিস্কার, দুটি দলে বিভক্ত হয়েছে কর্পোরেট কোম্পানিগুলো। একদল ট্রেডিশনাল ব্যাবসা করে, তাদের জন্য এই কোভিড আতংক তাদের ব্যাবসার পরিপন্থী। অন্যদিকে ২০০৭-০৮ মন্দার পরে দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকা ডিজিটাল ব্যাবসার ভীষণ সুবিধা করে দিয়েছে এই কোভিড আতংক। ক্রিপ্টোকারেন্সি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি, মেশিং লার্নিং, ইত্যাদি সম্পূর্ণভাবে ব্যাবহার করার সুযোগ এনে দিয়েছে কোভিড আতংক, লোকডাউন, অনলাইন ব্যাবসা বাড়বাড়ন্ত।
ট্রাডিশ্যনাল ব্যাবসার থেকে যে অসাম্যের ইন্ধন যোগায়, তার থেকে অনেক বেশী অসাম্যের ইন্ধন যোগায় এই নব ডিজিটাল ঢেউ। ২০১৯ আগে আর ২০১৯-২০২১ বিশ্বে আয়ের অ-সাম্য দেখলেই বোঝা যায়।
Avik Sankar Maitra
আরেকটু সহজভাবে বলতে গেলে, যা ছোয়া যায় এমন দ্রব্য বিক্রি করে খায়, তারা ট্রেডিশনাল ব্যাবসা, আর যারা কিছু বিক্রি না করে খায়, তারা ডিজিটাল ব্যাবসা।
লোকডাউনে এই বিক্রি কমে গেছিল ভীষণ ভাবে। ক্ষতি হয়েছে ছোট বড় সব ট্রেডিশনাল ব্যাবসার। কিন্তু ঠিক সেই সময় বিশাল অংকের লাভ ঘরে এনেছিল এই নব্য ডিজিটাল ব্যাবসা।
মাথায় রাখতে হবে যারা বিক্রি করে খায়, ক্রেতার হাতে পয়সা যোগান নিশ্চিত করতে তারা বাধ্য।
কিন্তু ডিজিটাল ব্যাবসায়ীদের সেই দায়বদ্ধতা নেই।
Arnab Saha
আমেরিকায় ফার্স্ট ওয়েভ এবং সেকেন্ড ওয়েভের গণমৃত্যু, গণ-সংক্রমণ পুঁজিবাদী ব্যবস্থার উলঙ্গ চেহারা তুলে ধরেছে। ট্রাম্প। জনসন। বলসেনারো। কেউই গরিব মানুষের জীবন নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়। মানুষের শ্রম নিংড়ে যে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা বেঁচে থাকে, সেই ব্যবস্থার মালিকদের পাশে দাঁড়াতেই এই উগ্র দক্ষিণপন্থীরা চিৎকার করছিল কোভিড বলে কিছু নেই।
আপনি ট্র্যাডিশনাল ক্যাপিটালিজম আর ডিজিটাল ক্যাপিটালিজমের ফারাক ঠিকই বলেছেন। ট্রাম্প এই দুটো গোষ্ঠীরই চাকর মাত্র। আমেরিকায় মোট কোভিড মৃত্যু সংখ্যা প্রায় 10 লক্ষ। ভারতের চেয়ে বেশি। ম্যাক্সিমাম মারা গেছে ব্ল্যাক, ইমিগ্র্যান্ট, বৃদ্ধ এবং চাকরিহীন, স্বাস্থ্যবীমাহীন মানুষেরা। এরা মার্কিন সমাজের বোঝা। এরা মরে গিয়ে ওদের পার ক্যাপিটা ইনকাম স্থিতিশীল রেখেছে।
Avik Sankar Maitra
ডিজিটাল ক্যাপিটাল ট্রাম্প কে চাইছিলেন না, তা বাইডেনের ইলেকশন ক্যাম্পিংয়ের টাকা ঢালার পরিমাণ দেখলেই বোঝা যায়।
আরেকটা ইন্টারেস্টিং তথ্য দিয়ে রাখি,
https://www.who.int/news-room/fact-sheets/detail/the-top-10-causes-of-death