এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  স্বাস্থ্য

  • “অন্ধ বিশ্বাসের উপনিবেশ” – কয়েকটি পর্যবেক্ষণ

    ডঃ জয়ন্ত ভট্টাচার্য
    আলোচনা | স্বাস্থ্য | ১৯ জুলাই ২০২২ | ১১০৯৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৪ জন)
  • জুলাই মাসের ১৬ তারিখে (২০২২) একটি বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে “অন্ধ বিশ্বাসের উপনিবেশ” (লেখক স্থবির দাশগুপ্ত) শীর্ষক উত্তর-সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধটিতে কর্পোরেট মিথ্যাচার ও দুর্নীতি, কোভিড টিকার মাঝে লুকিয়ে থাকা “নির্মিত অন্ধ বিশ্বাস”, কর্পোরেট পুঁজি কিভাবে ডাক্তার-বিজ্ঞানী-সাধারণ মানুষ নির্বিশেষে (সম্ভবত জনস্বাস্থ্য কর্মীদের এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে) সবার ক্ষেত্রে মানসিক উপনিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় এবং এরা কর্পোরেটদের তৈরি করা তথ্যের নির্বিচার ব্যবহার করে এক ধরণের মানসিক দাসত্বের শিকার হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা কিভাবে কর্পোরেটদের হাতের ক্রীড়নক হয়ে ওঠে এবং, সর্বোপরি, রাষ্ট্রের তরফে কোনভাবেই “লোকস্বাস্থ্যের নীতিমালা, নৈতিকতা ও ন্যায্যতা রক্ষা করা অসম্ভব” বলে “প্রস্তাবিত চুক্তি ও প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে স্রেফ ‘না’ বলা ছাড়া” আর কোন রাস্তা আমাদের সামনে নেই – এরকম পরস্পর-সংযুক্ত বিভিন্ন ধর্মী বিষয়কে স্বল্প পরিসরে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া হয়েছে।

    জুলাই মাসের ১৬ তারিখে (২০২২) একটি বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে “অন্ধ বিশ্বাসের উপনিবেশ” (লেখক স্থবির দাশগুপ্ত) শীর্ষক উত্তর-সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধটিতে কর্পোরেট মিথ্যাচার ও দুর্নীতি, কোভিড টিকার মাঝে লুকিয়ে থাকা “নির্মিত অন্ধ বিশ্বাস”, কর্পোরেট পুঁজি কিভাবে ডাক্তার-বিজ্ঞানী-সাধারণ মানুষ নির্বিশেষে (সম্ভবত জনস্বাস্থ্য কর্মীদের এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে) সবার ক্ষেত্রে মানসিক উপনিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় এবং এরা কর্পোরেটদের তৈরি করা তথ্যের নির্বিচার ব্যবহার করে এক ধরণের মানসিক দাসত্বের শিকার হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা কিভাবে কর্পোরেটদের হাতের ক্রীড়নক হয়ে ওঠে এবং, সর্বোপরি, রাষ্ট্রের তরফে কোনভাবেই “লোকস্বাস্থ্যের নীতিমালা, নৈতিকতা ও ন্যায্যতা রক্ষা করা অসম্ভব” বলে “প্রস্তাবিত চুক্তি ও প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে স্রেফ ‘না’ বলা ছাড়া” আর কোন রাস্তা আমাদের সামনে নেই – এরকম পরস্পর-সংযুক্ত বিভিন্ন ধর্মী বিষয়কে স্বল্প পরিসরে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া হয়েছে।

    লেখাটির মাঝে কিছু সত্য আছে। আবার সত্যকে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে লেখকের নিজের মর্জিমাফিক বিজ্ঞান ও জনস্বাস্থ্যের ব্যাপারে অনেক কিছুই বলা হয়নি, দুয়েকটি বিষয় এবং প্রধানত ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালের অ্যাসোসিয়েট এডিটর (“বরিষ্ঠ সম্পাদক” নন, সত্যের খাতিরে বললে) পিটার দোশীর একটি বা দুটি প্রবন্ধকে হাতিয়ার করা হয়েছে। এর বাইরে অসংখ্য গবেষণাপত্র আছে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল, ল্যান্সেট, নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন-এর মতো আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মান্য জার্নালগুলোতে। এবং এ জার্নালগুলো কর্পোরেটদের টাকায় নিয়ন্ত্রিত হয়না। এসব জার্নালে স্বাধীন গবেষণাপত্র ছাপা কর্পোরেট ফান্ডিংয়ের বদান্যতা ছাড়া। যদি বিজ্ঞানের এই স্বাধীন পরিসর না থাকে তাহলে বলা ভালো – প্রপঞ্চময় এ কর্পোরেট বিশ্বে কেউ স্বাধীন নয়। স্বাধীন হওয়া সম্ভবও নয়, “জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া” ফুটিয়ে না দিলে।

    এখানে একবার স্মরণ করে নেওয়া ভালো – যখন বিভিন্ন রকম সাক্ষ্যপ্রমাণ, উপাত্ত বা সম্ভাবনা থেকে শুধুমাত্র নিজের অনুকূলে বা পক্ষে যায় এরকম উপাত্ত, প্রমাণ বা সম্ভাবনাকেই বাছাই বা নির্বাচন করা হয় তখন যে হেত্বাভাস বা অনুপপত্তি (অর্থাৎ ভ্রান্ত যুক্তি) সংঘটিত হয়, তাকে যুক্তিবিদ্যায় পক্ষপাতদুষ্ট বাছাই বা ইংরেজি ভাষায় চেরি পিকিং (Cherry picking) বলা হয়। পক্ষপাতদুষ্ট বাছাই ইচ্ছাকৃতভাবে বা অজান্তেই হতে পারে। তবে জনবিতর্কে এই ভ্রান্তি একটি বড় সমস্যা।

    আমি শুরু করি আলোচিত প্রবন্ধের প্রধান বা একমাত্র হাতিয়ার পিটার দোশীদের প্রবন্ধটি দিয়ে – “Covid-19 vaccines and treatments: we must have raw data, now - Data should be fully and immediately available for public scrutiny”। প্রবন্ধটি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে ১৯ জানুয়ারি, ২০২২-এ প্রকাশিত হয়েছিল। প্রবন্ধের সহ-লেখক ছিলেন আরও ২ জন – ফিওনা গডলি এবং কামরান আব্বাসি, কেবলমাত্র পিটার দোশী নয়।

    স্থবির দাশগুপ্তের প্রবন্ধে ব্যবহৃত সমস্ত তথ্যই আহরিত হয়েছে এই একটি প্রবন্ধ থেকে, এর অতিরিক্ত কোন প্রবন্ধ থেকে নয়। এমনকি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালের (এখন থেকে বিএমজে) পূর্বোদ্ধৃত প্রবন্ধে ব্যবহৃত শব্দবন্ধও ব্যবহার করা হয়েছে দাশগুপ্তের আলোচিত প্রবন্ধে। দোশীর প্রবন্ধে বলা হয়েছিল “মেমরিজ আর শর্ট”। দাশগুপ্তের প্রবন্ধে এর বাংলা করে বলা হল – “কিন্তু লোকস্মৃতি ক্ষণস্থায়ী”। বিএমজের প্রবন্ধে বলা হয়েছিল – “Pharmaceutical companies are reaping vast profits without adequate independent scrutiny of their scientific claims. The purpose of regulators is not to dance to the tune of rich global corporations and enrich them further; it is to protect the health of their populations. We need complete data transparency for all studies, we need it in the public interest, and we need it now.” এ কথাগুলো ভিন্ন স্বরে এবং বিশেষ আঙ্গিকে বঙ্গীকরণ হয়েছে দাশগুপ্তের প্রবন্ধে।

    ১৯ জানুয়ারি, ২০২২-এ বিএমজে-তে দোশীদের প্রবন্ধটি প্রকাশের পরে ২৪ জানুয়ারি একটি সংশোধনী প্রকাশিত হয়। এখানে বলা হয় – “This editorial by Peter Doshi and colleagues (BMJ 2022;376:o102, doi:) originally stated that the Medicines and Healthcare Products Regulatory Agency (MHRA) has “stopped posting information released in response to freedom of information requests on its website.” The online version has been corrected to say that MHRA’s posting is delayed, not stopped completely. MHRA posted no additional freedom of information requests on its website between 14 August and 28 December 2021. Since 29 December, however, it has posted a selection of materials for responses from July to September.” অর্থাৎ, প্রবন্ধটির একটি ছোট সংশোধনী প্রকাশের প্রয়োজন পড়লো।
    বিজ্ঞানে এরকম ঘটাই তো স্বাভাবিক। কোন একজন মানুষ বা সংস্থা কিংবা জার্নাল বা গোষ্ঠীর কাছে একমাত্র সত্যের কোন লুকনো হীরক খনি নেই। এখানে কোন তত্ত্ব বা ধারণা বা পরীক্ষালব্ধ ফলাফল পেশ করা হয়। আন্তর্জাতিক মহলে বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা এ নিয়ে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করেন। পরিণতিতে, গৃহীত হয় কিংবা পরিবর্তিত বা বাতিল হয়। এভাবেই বিজ্ঞান এগোয়।

    পিটার দোশীর আরেকটি প্রবন্ধের যৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিক ভিত্তিকে প্রশ্ন করে বিএমজে-তে অন্য একটি প্রি-প্রিন্ট প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল “Comment on the BMJ opinion of the associate editor Peter Doshi about “Pfizer and Moderna’s 95% effective vaccines—we need more details and the raw data” শিরোনামে ফেব্রুয়ারি, ২০২২-এ। লেখকেরা হলেন ভিয়েনা ইউনভার্সিটির পদার্থবিদ্যার দু’জন অধ্যাপক - Dieter Suess এবং Florian Slanovc। আরেকজন ছিলেন Sabrina Dorn, যাঁর অ্যাকাডেমিক পরিচয় দেওয়া হয়নি। তাঁদের প্রবন্ধের সিদ্ধান্ত ছিল – “In summary, we conclude that Peter Doshi’s claim contradicts any reasonable assumption about the false negative rate of the used PCR tests. Furthermore, his argument that false negative tests due to an increase in the false negative rate decrease the reported efficacy of the phase III study, does not hold in principle if in both groups the PCR tests show the same false negative rate.”

    দাশগুপ্তের প্রবন্ধে অন্তর্লীনভাবে রয়েছে, কোভিড টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন – কারণ সমস্ত ট্রায়াল কর্পোরেটদের নিয়ন্ত্রিত, তাদের তৈরি ভূতুরে লেখকেরা (ghost writers) এসব গবেষণাপত্র লেখে এবং বিভিন্ন বিখ্যাত, প্রথমসারির জার্নালে প্রকাশিত হয়। আর আমাদের মতো চিকিৎসক-বিজ্ঞানী-সাধারণ মানুষের দঙ্গল মানসিক উপনিবেশের প্রভাবে চোখ বন্ধ করে এগুলোকে গিলে নিই।

    বিএমজে-তেই ২৭ এপ্রিল, ২০২২-এ প্রকাশিত হয়েছিল “Public health impact of covid-19 vaccines in the United States: observational study” শীর্ষক গবেষণাপত্র। ৭ পৃষ্ঠার এই গবেষণাপত্রে বলা হয় – “In addition to individual level benefits, we observed that vaccines protect communities against severe disease and infection. Higher coverage of vaccines seemed to confer greater levels of community benefits ... Vaccines should be deployed strategically with public health and social measures based on ongoing levels of transmission.” সহজ কথা হল, ভ্যাক্সিন তৈরির নেপথ্যে পূতিগন্ধম, কদর্য কার্যকলাপকে মনে রেখেও টিকার কার্যকারিতা নিয়ে কথা বলা যায় ৩টি স্তরে – ব্যক্তির উপকার, কমিউনিটির উপকার এবং পাবলিক বা জনস্বাস্থ্যের উপকার।

    এর আগে বিএমজে-তে (১৭ মার্চ, ২০২১) প্রকাশিত হয়েছিল “Vaccinating the world against COVID-19: getting the delivery right is the greatest challenge” শিরোনামের প্রবন্ধ। এতে খুব স্পষ্ট ভাষায় বলা হল – “Protecting the global community from the COVID-19 pandemic is not ‘rocket science’, it is much harder than that. Timely delivering the COVID-19 vaccine to the global population will require a strategic all-of-government approach, and an unprecedented all-of-society approach that spans government and the private sector, crossing entrenched economic divisions between
    the Global North and South, as well as burgeoning antiscientific movements that threaten to scuttle dramatic advances before they can even be brought to market.”

    ল্যান্সেট-এ (১৩ জুলাই, ২০২২) প্রকাশিত হয়েছে সুদীর্ঘ গবেষণাপত্র “Effectiveness of a fourth dose of mRNA COVID-19 vaccine against all-cause mortality in long-term care facility residents and in the oldest old: A nationwide, retrospective cohort study in Sweden”। গবেষকদের কোন কর্পোরেট সংস্থা বা অন্য কেউ ফান্ডিং করেনি। এখানে বলা হল – “These findings suggest that a fourth dose may prevent premature mortality in the oldest and frailest even after the emergence of the Omicron variant, although the timing of vaccination seems to be important with respect to the slight waning observed after two months.”

    ল্যান্সেটে (২৩ জুন, ২০২২) প্রকাশিত হয়েছিল – “Global impact of the first year of COVID-19 vaccination: a mathematical modelling study” শিরোনামে গবেষণাপত্র। গবেষকদের ফান্ডিং এসেছিল Schmidt Science Fellowship in partnership with the Rhodes Trust; WHO; UK Medical Research Council; Gavi, the Vaccine Alliance; Bill & Melinda Gates Foundation; National Institute for Health Research; and Community Jameel প্রভৃতি জায়গা থেকে। এই ফান্ডিংয়ের উৎসকে কর্পোরেট ফান্ডিং বলা শক্ত। এখানে বলা হয় – “COVID-19 vaccination has substantially altered the course of the pandemic, saving tens of millions of lives globally. However, inadequate access to vaccines in low-income countries has limited the impact in these settings, reinforcing the need for global vaccine equity and coverage.”

    ১৫ জুলাই, ২০২২-এ ল্যান্সেট-এ প্রকাশিত হয়েছে “ Vaccine effectiveness of one, two, and three doses of BNT162b2 and CoronaVac against COVID-19 in Hong Kong: a population-based observational study”। এদের ফান্ডিংয়ের উৎস হল "কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন ইভাল্যুয়েশন প্রোগ্রাম" এবং "চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর জোগানো অর্থ – কর্পোরেট পুঁজি নয়। প্রবন্ধের সিদ্ধান্ত – “Third doses of either BNT162b2 or CoronaVac provide substantial additional protection against severe COVID-19 and should be prioritised, particularly in older adults older than 60 years and others in high-risk populations who received CoronaVac primary schedules. Longer follow-up is needed to assess duration of protection across different vaccine platforms and schedules.”
    মোদ্দা কথা হল যে প্রায়-ব্যতিক্রমহীনভাবে এবং কর্পোরেট প্রভাব ছাড়াও কোভিড ভ্যাক্সিন নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অতি বৃহৎ ট্রায়ালগুলো হচ্ছে এবং ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে।

    ১৫ জুলাই, ২০২১-এ নেচার-এ প্রকাশিত হয়েছিল “A long-term perspective on immunity to COVID”। এটি নেচারের আমন্ত্রিত গবেষণাপত্র ছিল। স্বাভাবিকভাবেই কোন ফান্ডিংয়ের প্রসঙ্গ আসেনি। এই স্টাডিতে বলা হয়েছিল – “In evaluating vaccine efficacy, we should not expect the high antibody concentrations characteristic of acute immune reactions to be maintained in the memory phase. It is an old misconception”।
    ক্লিনিকাল এথিক্স জার্নালে (মার্চ, ২০২২) প্রকাশিত হয়েছে (কোন ফান্ডিং ব্যতিরেকে) “How to continue COVID-19 vaccine clinical trials? The ethics of vaccine research in a time of pandemic”। গবেষণাপত্রে সিদ্ধান্ত হিসেবে জানানো হল – “given that currently approved vaccines are clearly more effective than placebo in at least preventing the occurrence of symptomatic COVID-19, we argue that they should be used as controls in future studies, unless there are “compelling scientific reasons to use placebo” which should be clearly identified and documented.”

    কোভিডকালে জনস্বাস্থ্য এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা



    নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন-এ (আগস্ট ৫, ২০২১) হার্ভার্ড T.H. Chan School of Public Health, Boston-এর তরফে প্রকাশিত প্রবন্ধটি ছিল “Fundamentals of Public Health — A New Perspective Series”। এ প্রবন্ধে বলা হয়েছিল – “The Covid-19 pandemic has awakened many physicians to the value of viewing wellness and disease through the lens of public health as well as that of clinical medicine ... a well-structured and adequately financed public health system would benefit all subpopulations — including children, among whom disparities in prevention and care have profound, life-long effects”। এখানেও কোন কর্পোরেট বদান্যতা ছিলনা।

    আমরা করোনা অতিমারির মৃত্যু মিছিলের সময়ে এবোলার সময়টিকে একবার স্মরণ করি। আইএমএফ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের চাপে ১৯৯০-এর দশক থেকে শুরু হয় “স্ট্রাকচারাল অ্যাডজাস্টমেন্ট প্রোগ্রাম”। এর ফলে হাই-টেক যন্ত্রপাতি কেনা শুরু হয়৷ প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা একেবারে ভেঙ্গে যায়। যখন এবোলা শুরু হয়েছিল তখন স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে সামান্য গ্লাভস বা মাস্কও ছিলনা।

    কেনেথ শেরিল এবং ক্যারোলাইন সমারভিল তাঁদের “AIDS, Ebola, and Politics” প্রবন্ধে (আমেরিকান পলিটিক্যাল সায়ান্স-এর মুখপত্র পলিটিক্যাল সায়ান্স-এর ২০১৫ সালের জানুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত) বলেছিলেন যে সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়াতে গৃহযুদ্ধের ফলে এবোলা মারাত্মক চেহারা নেয় এবং এই গৃহযুদ্ধের প্রধান কারণ ছিল – “দুর্নীতি এবং কর্তৃত্ববাদী শাসন এবং তদুপরি ঠাণ্ডা যুদ্ধের পরিসমাপ্তিতে পশ্চিমী বিদেশী সাহায্য হারানো” এবং “আইএমএফ-এর তরফে স্ট্রাকচারাল অ্যাডজাস্টমেন্ট পলিসিসমূহকে চাপিয়ে দেওয়া।”
    এর ফলশ্রুতিতে কয়েক হাজার মানুষ এবোলায় অসহায়ভাবে মারা গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে তেলের দখল নেবার জন্য আমেরিকা যুদ্ধের জন্য ব্যয় করেছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ম্যালেরিয়া নির্মূল প্রোগ্রামের জন্য বরাদ্দ ১০০ মিলিয়ন ডলার। আর এখন তো আমেরিকা চিনের সাথে “সখ্যের” অজুহাতে খোদ WHO ছেড়েই বেরিয়ে গেছে। যদিও সাম্প্রতিককালে আবার যোগ দিয়েছে।

    ১২ ডিসেম্বর, ১৯৯১, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ লরেন্স সামার্স একটি গোপন নোট তৈরি করে সহকর্মীদের মধ্যে বিলি করেন, মতামত চান। ১৯৯২-এর ফেব্রুয়ারি মাসে বিখ্যাত পত্রিকা The Economist নোটটি প্রকাশ করে দেয় “Let Them Eat Pollution (ওদেরকে দূষণ খেতে দাও)” শিরোনামে। নোটটির মোদ্দা কথা ছিল, ধনী বিশ্বের সমস্ত প্রাণঘাতী, দূষিত আবর্জনা আফ্রিকা বা কম উন্নত দেশগুলো তথা LDC (Less Developed Countries)-তে পাচার করতে হবে। এজন্য একটি স্বাস্থ্যের যুক্তিও দিয়েছিলেন সামার্স। তাঁর বক্তব্য ছিল আমেরিকার মতো দেশে ১,০০,০০০ জনে ১ জনেরও যদি দূষিত বর্জ্যের জন্য প্রোস্টেট ক্যান্সার হয় তাহলেও এর গুরুত্ব আফ্রিকার মতো দেশগুলোতে যেখানে ৫ বছরের নীচে শিশুমৃত্যুর হার ১০০০ শিশুতে ৫ জন তার চাইতে বেশি। এবং সেখানেই প্রথম বিশ্বের দেশের এই দূষণ পাচার করতে হবে, পাচার করতে হবে এই বিষাক্ত বর্জ্য। এরকম “চমৎকার ও অভিনব” ধারণার পুরস্কার হিসেবে ক্লিন্টন প্রশাসনে ৭ বছর U.S. Treasury Secretary পদে ছিলেন। সে মেয়াদ শেষ হলে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। এসব পুরস্কারের কথা থাক। সামার্স এখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বিডেনের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা।

    এরকম একটা প্রেক্ষিতে আমরা যদি স্বাস্থ্যের চোখ দিয়ে দেখি তাহলে সহজেই বুঝবো স্বাস্থ্যের জগতে দু’ধরনের নাগরিকত্ব (health citizenship) তৈরি হল। একটি পূর্ণ রাশি ১, আরেকটি ০। আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও এরকম integer দেখা হয় – হয় ০ কিংবা ১। এখানে ভগ্নাংশের কোন জায়গা নেই। যেমনটা আজকের ভারতে এবং বিশ্বে দেখছি আমরা। স্বাস্থ্য নাগরিকত্বের প্রশ্নটিতে আমাদের মনোযোগ দেবার প্রয়োজন এ জন্য যে বিশ্ব স্বাস্থ্যের দুনিয়ায় একজন নাগরিক নৈতিকভাবে স্বাস্থ্যের সমস্ত সুবিধে ভোগ করার অধিকারী, “স্বাস্থ্য আমার অধিকার” এই শ্লোগানের বাইরে। এরকম স্বাস্থ্য নাগরিকত্বের অবস্থান থেকে মান্য জনস্বাস্থ্য গবেষক এবং দার্শনিক (যিনি social determinants of health-এর ধারণার প্রবক্তাও বটে) মাইকেল মার্মট প্রশ্ন করেন – “রোগীদের কেন চিকিৎসা করছো এবং যে পরিস্থিতিতে থেকে তাদের অসুখ শুরু হয়েছিল সেখানে আবার ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছ?” প্রশ্ন করেন সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর জন্য – “আমরা কি হয় ব্যক্তি চিকিৎসক কিংবা ডাক্তার-সমাজ হিসেবে যুক্ত হবোনা?” (“Shouldn’t the doctor, or at least this doctor, be involved?”) (The Health Gap, 2016) আমাদের কাছে সত্যিই কি এসব প্রশ্নের সদুত্তর আছে?

    নিওলিবারাল অর্থনীতি, অতিবৃহৎ বহুজাতিক সংস্থা, নিওলিবারাল অর্থনীতির বাহক ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন এবং পৃথিবীর বড়ো রাষ্ট্রগুলোর চাপে হু নিজের অবস্থান বদলাতে বাধ্য হচ্ছে। “সকলের জন্য স্বাস্থ্য”, “স্বাস্থ্য আমার অধিকার” এবং “সংহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা”-র ধারণা ১৯৭৮ থেকেই নিঃসাড়ে বদলাতে শুরু করে। প্রথমে আসে “সিলেক্টিভ প্রাইমারি হেলথ কেয়ার (বেছে নেওয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা)”, তারপরে এলো GOBI (growth monitoring, promotion of oral rehydration, promotion of breast feeding, immunization) এবং পরবর্তীতে খুব খোলাখুলি ভার্টিকাল বা রোগ-কেন্দ্রিক প্রোগ্রাম। কমিউনিটির অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি জীবন্ত ও সক্রিয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রোগ্রাম পরিত্যক্ত হল। এর বিষময় ফল আমরা এই অতিমারির সময়ে প্রত্যক্ষ করছি।

    যদি একটি উজ্জীবিত, প্রাণবন্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আমরা গত প্রায় ৫০ বছর ধরে তিলেতিলে মেরে না ফেলে, একটি কাঠামো-সর্বস্ব ব্যবস্থা হিসেবে না রেখে যেমনটা ১৯৭৮-এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়েছিল যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাই হবে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রাথমিক ভিত্তি তাহলে একেবারে প্রাথমিক স্তরে আমরা করোনা আক্রমণের সময়ে “টেস্টিং, কনট্যাক্ট ট্রেসিং এবং আইসোলেশন”-এর কথা ভাবতে পারতাম। রোগী এবং সরকার উভয়েরই বিপুল খরচ বাঁচার সম্ভাবনা ছিল। আলমা-আটা সনদের ১০ নম্বর ধারায় যা বলা হয়েছিল তার মূল কথা ছিলো – পৃথিবীর দূরতম প্রান্তের স্বাস্থ্যের সুযোগহীন মানুষটির জন্যও প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা সুরক্ষিত করতে হবে এবং এজন্য স্বাধীনতা, শান্তি, দ্বিপাক্ষিক আলাপ-আলোচনা এবং নিরস্ত্রীকরণের নীতি গ্রহণ করতে হবে যার মধ্য দিয়ে একটি দেশের সুষম বিকাশের জন্য আরো বেশি মানবসম্পদ সৃষ্টি হতে পারে।

    এদেরকে কে বাঁচাবে? একমাত্র সক্রিয় ও জীবন্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা এদের বাঁচাতে পারে। যদি এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা না যায় তাহলে কোভিডে যত মানুষের মৃত্যু হবে তার চেয়ে বেশি মৃত্যু হবে এ রোগগুলোর জন্য। নেচার-এর “The Pandemic’s Future” (৬.০৮.২০২০) প্রবন্ধের শেষে মন্তব্য করা হয়েছে – “কোভিড-১৯ সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে দিয়েছে কয়েক বছরের জন্যতো বটেই, এমনকি কয়েক দশকও হতে পারে।” বলা হয়েছে – “একটি সংক্রামক ব্যাধির হাত থেকে (পড়ুন কোভিড) মানুষকে রক্ষা করতে গিয়ে আরেক সংক্রামক ব্যাধিতে মানুষ মারা যাচ্ছে সেটা হল এমন এক শেষ হিসেব যা মানুষ কখনো চায়না।”
    কে দেবে এর উত্তর? রাষ্ট্র, রাজনৈতিক নেতারা কিংবা আক্রান্ত জনসাধারণ? সময় এবং ইতিহাস সেকথা বলবে।

    আসুন, আমরা প্রহর গণি! এই তমসার প্রহরকে চিরে দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু অবশ্যই সমস্ত চিন্তা কর্পোরেট এবং রাষ্ট্র গ্রাস করে নিয়েছে এরকম ধারণার বেড়াজাল থেকে বেরোতে হবে। স্বাধীন বিজ্ঞানচর্চা এখনও হয়, হয়ে চলেছে। একে লঘু করা খুব ন্যায্য অবস্থান নয় – কি বিজ্ঞানের দিক থেকে, কি জনস্বাস্থ্যের অবস্থান থেকে।



    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৯ জুলাই ২০২২ | ১১০৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • a | 2405:8100:8000:5ca1::2b8:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ০৭:৫৯510352
  • বাপু সখ হয়েছে তো ভ্যাকসিন নে, কিন্তু না নিলেই তাকে উন্মাদ জোচ্চোর শয়তান বলে লাফাস কেন? অনেকেরই অর্শ থাকে, নিজেকে মহর্ষি মনে করলে কর, কিন্তু না থাকলেই সে অমানুষ এ কেমন দাবি?
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ০৮:০৩510353
  • লাফাচ্ছে কারা? আপনারা অ্যান্টিভ্যারাই তো! কেউ তো আপনাদের কাছে পরামর্শ চায় নি।
  • সুকুমার তালুকদার | 2601:5c0:c280:4020:b06c:31e2:f3b5:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ০৮:১৫510354
  • "In psychology, projection refers to placing your own negative traits or unwanted emotions onto others, usually without reason"
     
    মিলি প্রোজেক্ট করছেন, আর বাকি অ্যাভ্যারাও ...  নিজেরা যা যা করছেন সেগুলোকেই লোকে করছে বলে চ্যাঁচাচ্ছেন। শুনুন, ভ্যাকসিন নিয়ে যারা কাজ করছেন বা করবেন তারা নিজদের ডায়গ্নোসিস গুপ্তরোগের মত মোটেও লুকিয়ে রাখেনি। বরং পাবলিকলি ডকুমেন্ট করেছেন। আর বেশীরভাগ যুক্তিবাদী লোক অ্যাভেইলেবল এভিডেন্সের বেসিসে নিজেদের প্রতিনিয়ত আপডেট করছেন, করে থাকেন। বিজ্ঞান এইভাবেই এগোয়, বিলিফ আপডেট করতে করতে। 
     
    আর কন্সপিরেসি-থিওরিস্টরা কী করছেন? না তন্ন তন্ন করে এখান থেকে ওখান থেকে খুঁটে খুঁটে লোককে মিসলিড করার খেলা খেলে যাচ্ছেন। অপবিজ্ঞান যেভাবে পেছোয়। নিজেদের, এবং বাকিদের-ও। 
     
    আসলে কী জানেন? আপনারা স্যাডিস্ট, পাক্কা স্যাডিস্ট। খুব ভালো করে জানতেন যে নিজেদের শরীর খারাপ হলে, একটা হ্যাঁচ্চো হলে পাঁচজন লোক দাঁড়িয়ে যাবে,বললেই হাস্পাতালে ডাক্তারবাবুর বেডের ব্যবস্থা হবে, কিন্তু যাদের মনে ভয় ঢোকাচ্ছেন তাদের সে উপায় নেই। ভেবেছিলাম গালি দেবো না, কিন্তু না দিয়েও উপায় রইলো না। 
     
    তবে এটাও ঠিক যে, আপনাদের মতন লোক চিরকাল ছিলো। এপিডেমিওলজিতে পড়ায় তো। টেমস নদীর জল কলেরার উৎস বলাতে কার্টুন আঁকা হ'লো, "মনস্টার স্যূপ, কমনলি কলড টেমস রিভার", কতো লোকে তারপরেও সেই দূষিত জল খেয়ে মরেছেন ... পড়ার সময় বিশ্বাস হতো না, এরকম লোক-ও হয়? এখন দেখছি, দিব্যি হয়। 
  • hmm | 2405:8100:8000:5ca1::12:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ০৮:৩২510355
  • এই গালি দেবো না বলে গালিবাজিটা বেশ নতুন হয়েছে। অন্যরা অবশ্য শুরু থেকেই ঘোমটা ছাড়াই চালিয়ে খেলছেন।
    আচ্ছা কোভিশিল্ড প্রথমে ৬ সপ্তাহের গ্যাপে দু ডোজ বলেছিল, তারপর ১২ সপ্তাহ হয়ে গেল। বুস্টার বলেছিল সেকেন্ড ডোজের আট মাস পর, হঠাৎ ৬ মাসে নেমে এল, এসবের পেপারটেপার সব তো আছে নিশ্চয়? আমরা মুখ্যুসুখ্যু লোক, যা বলবেন সোনামুখ করে মেনে নেব। একেই তো বিজ্ঞান বলে?
  • অ্যাঁ | 2a0b:f4c2:1::***:*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ০৮:৩৭510356
  • ভ্যাক নিয়েও করোনা হচ্ছে নাকি?
  • বিরক্ত হয়ে গেছি | 2601:5c0:c280:4020:b06c:31e2:f3b5:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ০৮:৪৩510357
  • হ্যাঁ রে বাবা। একটা ভাইরাস যেটা রিয়েল টাইমে ইভলভ করছে, যার ডাইন্যামিক ট্র্যাজেক্টরির কিছুই জানা নেই, কোন অ্যামাইনো অ্যাসিড পোজিশনে পরের মিউটেশন হবে তাও আন্দাজের বেশী কিছু নেই ... কিন্তু এদিকে হুহু করে ফ্যাটালিটি বাড়ছে একদিক, অন্যদিকে ইকনমি কোলাপ্স করছে, এডুকেশন সেক্টর ... তার মধ্যে পলিসি বারংবার পাল্টাতে হয় বেসড অন রিয়েল-টাইম ডেটা। 

    আর হ্যাঁ, অফ কোর্স পেপার আছে। রীতিমত কোনটা হলে কী হবে, রোল-আউট প্ল্যানের বিভিন্ন ভ্যারিয়ান্ট শুদ্ধু, তারপর কোয়ারাণ্টাইন করা হচ্ছে কি না, হলে কদ্দিন, ফলস পজিটিভ রেট কেমন, টেস্টিং ক্যাপাসিটি ... সব ফ্যাক্টর নিয়ে অমানুষিক খাটনির কম্প্রিহেনসিভ পেপার আছে। পড়লে বলুন, গোটাকে গোটা বিবলিওগ্রাফি এনে দেবো। কিন্তু শর্ত একটা, তারপর পড়া ধরবো।
  • s | 2405:8100:8000:5ca1::2b9:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ০৯:১৪510359
  • উত্তানবাবু, শাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা কেউ পছন্দ করে না। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ হলে আপনাকে আর্বান নকশাল দাগিয়ে বের করে দিত। এখানে সেটা করতে না পারায় অনেকেরই জ্বলছে। তবে আপনার প্রশ্নের সদুত্তর পাবেন না। কমন সেন্স আনকমন কিনা। প্রতি মাসে অবস্থান পরিবর্তন নিয়ে পেপারের রেফারেন্স আসবে। কেউ ভাববে না এতটাই ভোলাটাইল রিসার্চ নিয়ে কি করে এত লম্বা চওড়া ক্লেম নামানো যায়। এসব ভাবা মানেই ইবলিসের বাচ্চা। এই তো অবস্থা। গোটা দেশেই রাষ্ট্রবিরোধী কাজের জন্য কোণঠাসা করা চলছে। এখানে ব্যতিক্রম হবে কি করে?
  • যত্তসব | 2601:5c0:c280:4020:b9ac:3ac4:70f6:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ০৯:৩৬510360
  • আশ্চর্য কথা ! ভ্যাকসিন হেজিট্যান্সি রাইট-লেফট দুই উইং-এরই আছে। 
     
    এই যেমন আমি মনে করি ভ্যাকসিন নেওয়ার দরকার আছে সিরিয়াস ইলনেস প্রিভেন্ট করার জন্য। এবং আমি এও মনে করি যে আমাদের মত সোশ্যাল সেফটি-নেট না থাকা দেশে দমাদ্দম লকডাউন করে মোদী একটি ম্যাসাকার করেছে। তাছাড়াও ভারতে ডেটা ট্রান্সপারেন্সি খুব, খুব বড়ো বাধা পাব্লিক হেলথের পথে। 
     
    (আর এখানে প্রাসঙ্গিক না হলেও বলে রাখি, ভারতের প্যানডেমিক পলিসির সমালোচনা করায় আমার এক পরিচিত সমমনস্ক বৈজ্ঞানিককে বলা হয়েছিলো সব সরকারী ফান্ডীং বন্ধ করে দেবে যদি আরো সমালোচনা করেন। কাজেই ভ্যাকসিন-পন্থী == বিজেপি, আর অ্যান্টিভ্যাক্স == গৌরী লঙ্কেশ এই ঢপের চপটা বন্ধ রাখেন। কেউ বিশ্বাস করে না। সম্ভবতঃ আপনি নিজেও করেন না, যুক্তিতে হেরে গিয়ে এসব আবোলতাবোল লিখছেন।) 
     
    হ্যাঁ, মোদীর প্যানডেমিক ম্যানেজমেন্ট জঘন্যতম বলেও এটা বলাই যায় যে হ্যাঁ ভ্যাকসিনের দরকার ছিলো, আছে, থাকবে - হ্যাঁ সব ভ্যাকসিন সমান নয়, ভাইরাস-টাও যেন ডারউইনের সারভাইভাল অফ দ্য ফিটেস্টের মত উদবর্তন করেই চলেছে - কিন্তু তা সত্ত্বেও সিরিয়াস ইলনেস/ ডেথ আটকাতে ভ্যাকসিন-ই প্রধান অস্ত্র। 
     
    রোল-আউট কী খুব আরবিট্রারিলি হয়েছে? হ্যাঁ ... নিশ্চয়ই, আরও ট্রান্সপারেন্সির দরকার ছিলো। কিন্তু সে সরকার ইমপ্লিমেন্টেশনে ছড়িয়েছে, ছড়ানোর-ই কথা ছিলো, কোন কাজটা ঠিক করে করেছে এরা? 
  • mp | 2405:8100:8000:5ca1::16:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ১১:১২510363
  • কেমন একটা ব্যাকফুটে যাওয়া লাইন। ভ্যাকসিন তো ভালই, কিন্তু ইমপ্লিমেন্টেশন খারাপ। ডিমনি তো ভালই, কিন্তু ইমপ্লিমেন্টেশন খারাপ। লকডাউন তো ভালই, কিন্তু ইমপ্লিমেন্টেশন খারাপ। তো আর কি করবেন, উনিজি যখন করেছেন ভালর জন্যই করেছেন। এ যুক্তির সামনে দাঁড়ানো মুসকিল বটেক।
  • আবার সেই এক কথা | 2601:5c0:c280:4020:f4f7:b55c:a655:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ১১:২৫510364
  • হ্যাঁ, ভ্যাকসিন ভালো। হ্যাঁ ইমপ্লিমেন্ট করায় সমস্যা ছিল। এটা অন্তত আমার জানা সব পাবলিক হেলথের লোকেদের বক্তব্য, অন্তত ভারতের ব্যাপারে। 
     
    ডিমনির কোনো relevance নেই এখানে। Vaccine উনিজী আবিষ্কার করেননি, covid টিকা শুধু একটা দেশেই দেওয়া হয়েছে এমন না, সব জায়গায় উনিজির ক্ষমতা নেই। আর উনিজির জায়গায় আপনিজি থাকলেও vaccine mandate করতে হতো। 
  • Shepherd | 223.19.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ১১:৩০510365
  • Achchha, keu Jodi 6.2 ft dure theke social distancing koren, tahole tar akranto hobar chance kyamon seta ki BIG-gyani ra mepe dekhechhen?
  • lcm | ২৬ জুলাই ২০২২ ১১:৪৯510366
  •  
  • অকাট্য যুক্তি | 2405:8100:8000:5ca1::1f5:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ১১:৫৬510367
  • "আমার জানা সব পাবলিক হেলথের লোকেদের বক্তব্য"|
    হুম।
  • ঋদ্ধিমান বসু | 103.52.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ১১:৫৬510368
  • 'Father of Experimental Philosophy' ফ্রান্সিস বেকন তাঁর 'Novum Organum' এ একটা কথা লিখেছিলেন। 

    "Among Prerogative Instances I will put in the fourteenth place Instances of the Fingerpost, borrowing the term from the fingerposts which are set up where roads part, to indicate the several directions. These I also call Decisive and Judicial, and in some cases, Oracular and Commanding Instances. I explain them thus. When in the investigation of any nature the understanding is so balanced as to be uncertain to which of two or more natures the cause of the nature in question should be assigned on account of the frequent and ordinary concurrence of many natures, instances of the fingerpost show the union of one of the natures with the nature in question to be sure and indissoluble, of the other to be varied and separable; and thus the question is decided, and the former nature is admitted as the cause, while the latter is dismissed and rejected. Such instances afford very great light and are of high authority, the course of interpretation sometimes ending in them and being completed. Sometimes these instances of the fingerpost meet us accidentally among those already noticed, but for the most part they are new, and are expressly and designedly sought for and applied, and discovered only by earnest and active diligence."

    মানে মোদ্দা কথা হল, বেকনিয়ান মেঠডে, একটা সাইনবোর্ড কে ধরতে হবে, যেটা সঠিক পথের দিকে নির্দেশ করে। এই সাইনবোর্ড টা বাস্তব পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে হবে। বর্তমান অবস্থায়, এই সাইনবোর্ড টা হওয়া উচিত, "এতে কার লাভ হচ্ছে? (ক্ষমতা অথবা অর্থের দিক দিয়ে)" এইভাবে একটা মতামতের পক্ষের এবং বিপক্ষের দুদিকটাই পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। তার থেকেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উত্তর পাওয়া যায়। বিভিন্ন বিষয়ের জন্য বিভিন্ন সাইনবোর্ড প্রযোজ্য হবে।
    কাজেই, এবার ভেবে দেখুন, যারা কোডিড এবং তার ভ্যাক্সিন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়ে, ফার্মা লবির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে, তাদের লাভ হচ্ছে; না যারা ফার্মা লবি, গ্লোবাল ক্যাপিটালিস্ট দের সমর্থনে কথা  বলছেন, তাদের লাভ হচ্ছে?
    এটা ভেবে দেখলেই উত্তর পেয়ে যাবেন, অর্থ ও ক্ষমতার জোর কাদের পিছনে আছে।
  • উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায় | 43.25.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ১২:১৪510369
  • বাহ্ সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যত্রও কোটারি করে আদ্দশ্রাদ্ধ চলছে। বলা হচ্ছে - কোনো একটি প্রাইভেট থ্রেডে - 
    ২০১৭ র জনস্বাস্থ্য বিল নিয়ে বক্তব্য কেও কন্সপিরেসি থিয়োরি বলা হয়েছে। 
     
    (তার মানে অভিযোগকারী ওই বিলেরও সমর্থক। 
    বিলটা এখানে দেবো? লজ্জা পাবেন না তো সমর্থক হতে?)
     
    কৃষি বিল নিয়ে যদি কৃষকেরা আন্দোলনে না নামত, তাহলে ওর বিরোধিতা কেও হয়তো কন্সপিরেসি বলতেন তারমানে।
  • জুতো বোস | 143.244.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ১৩:০৫510370
  • দেবাশিস ভটচাজের প্রতিটি পোস্টই এক একটি রত্ন, বাঁধিয়ে রাখার মত। প্রতিটাই পড়ি আর ভাবি, এটাই এর লিমিট, এর চেয়ে বেশি মূর্খামি কারুর পক্ষে দেখানো সম্ভব না। কিন্তু না, পরের পোস্টই সে ভুল ধারণা ভেঙে দেয়। এদের নিশ্চয়ই সবার PhD-ও আছে, এরা অনেকে আবার কলেজে ইউনিভার্সিটিতে "পড়ায়"। বাজে বকার আর ফালতু কথা বলার PhD.
    এদের সবার আবার ধারণা এরা সব বড়ো কমেডিয়ান, তাই মাঝে মাঝে মজা করার চেষ্টা করে। জানে না যে এদের সেন্স অফ হিউমার দেখলে লোকে পালানোর দরজা খোঁজে।
  • dc | 2a02:26f7:d6c1:680d:0:7903:a5c4:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ১৩:২০510371
  • এই টইতে দীপবাবুকে মিস করছি। 
  • Shepherd | 223.19.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ১৪:৪৫510372
  • Hyan LCM, CDC recommendation amio porechhi. Ekhane copy paste korar jonye dhonyobad.
     
    Etai vebe obak lagchhe, khetro bisheshe 'ondho-biswas' Kora ta acceptable! 
  • Shepherd | 223.19.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ১৪:৪৫510373
  • Hyan LCM, CDC recommendation amio porechhi. Ekhane copy paste korar jonye dhonyobad.
     
    Etai vebe obak lagchhe, khetro bisheshe 'ondho-biswas' Kora ta acceptable! 
  • উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায় | 43.25.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ১৬:৫৬510374
  • Preventive and social medicine by Park - এই বইটার লেটেস্ট এডিশনটা মিলিয়ে নিন। Community Medicine আর Epidemiology তে এটি বেদ , বা কোরাণ বা বাইবেল। কোথায় এই বইটিতে লকডাউন কথাটির উল্লেখ আছে! বইটি ভারি বই তাই এখানে আপলোড করা যাবে না।
  • রেফারেন্স - ১ | 2601:5c0:c280:4020:c5a3:c01f:d041:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ১৮:৪৪510376
  • ১) Martinez, D.L., Das, T.K. Design of non-pharmaceutical intervention strategies for pandemic influenza outbreaks. BMC Public Health 14, 1328 (2014). https://doi.org/10.1186/1471-2458-14-1328
     
    "In scientific literature, pandemic containment is defined as keeping the number of new infections under control by lowering the reproduction number under one (R 0<1) or reducing the infection attack rate (IAR) under 10% (I A R<0.1). Known approaches for pandemic influenza and mitigation containment utilize both pharmaceutical interventions (PHIs) and non-pharmaceutical interventions (NPIs). PHIs include vaccines and antiviral drugs. NPIs include social distancing, quarantine, isolation, school and workplace closure, and travel restrictions."
     
    ২) Ana Mensua, Sandra Mounier-Jack, Richard Coker, Pandemic influenza preparedness in Latin America: analysis of national strategic plans, Health Policy and Planning, Volume 24, Issue 4, July 2009, Pages 253–260, https://doi.org/10.1093/heapol/czp019
     
    "Interventions included those targeted at limiting the spread of the disease internationally (border control was envisaged in 12 countries and entry screening in two plans); reducing its spread nationally (quarantine was anticipated in 12 plans, closure of schools in eight plans); and reducing individuals’ risk of infection (personal hygiene measures were noted in nine plans, and use of masks for the general population in three plans) (Bell 2006)." 
     
    (২০০৯ আর ২০১৪ সালের পেপার, কোভিডের পরে পোস্ট-হক পেপার নয়, ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিক নিয়ে পেপার। বলাই বাহুল্য, ভারতের কথা নেই এতে, উনিজিও নেই (কী আশ্চর্য!) আর টেক্সটবইইয়ের রেফারেন্স-ও দেবো। ইনফেকশাস ডিজিজের এপিডেমিওলজির যে কোনো ভালো বইতে পাওয়া যায়।) 
     
    প্রসঙ্গতঃ, "লকডাউন" ঠিক সায়েন্টিফিক টার্ম নয়, যদিও এখন হয়ে গেছে বলা চলে, প্রি-কোভিড লিটারেচার সার্চ করলে নন-ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্টারভেনশন / কোয়ারান্টাআইন ইত্যাদি বলে সার্চ করুন। 
  • জুতো বোস | 143.244.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ১৯:১৭510378
  • গুলিয়ে দেওয়ার আর ভুলিয়ে দেওয়ার লেটেস্ট উদাহরণ: "আরে লকডাউন আর কোয়ারান্টাইন একই জিনিস"।
    অনেকটা রাতারাতি ভ্যাকসিনের ডেফিনিশন পাল্টে দেওয়ার মত।
  • মোটেও না | 2601:5c0:c280:4020:c5a3:c01f:d041:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ১৯:৩০510379
  • কোথায় বলা হয়েছে এক জিনিষ? বলা হয়েছে সায়েন্টিফিক লিটারেচারে 'লক-ডাউন' সার্চ করলে ঠিকঠাক রেজাল্ট পাওয়ার চান্স কম। 
     
    বরং উল্টোদিকে দেখুন। মিসডিরেকশন/মিস-লিডিং-এর কী ভালো উদাহরণ আপনাদের পোস্টগুলো। আর সেই স্লিপারি স্লোপ। 

    একসাথে পাঁচ খানা জিনিষের সমালোচনা করা হলো। ভ্যাকসিন, "লক-ডাউন", উনিজির পলিসি, জনস্বাস্থ্য বিল, ডেটা ট্রান্সপারেন্সি ইত্যাদি - যেন হয় সবকটাকেই খারাপ বলতে হবে, না হলে সবকটাকেই ভালো বলতে হবে, তারপর জুড়ে গেলো ডিমনিটাইজেশন আরো হাবিজাবি। 
     
    এরকম হয় না কি রে ভাই? উনিজি যা করেছেন সব খারাপ, অতি পাজি শয়তান, জেনোসাইডাল ম্যানিয়াক। ভ্যাকসিনপন্থীদের চাড্ডী প্রমাণ করার চেষ্টা করে লাভ নেই। 
     
    ভ্যাকসিন সিরিয়াস ইলনেস/ সিভিয়ার আউটকান প্রিভেনশনে কাজ করে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে জনস্বাস্থ্য বিল ভালো, উনিজির পলিসি ভালো, লকডাউন খুব বিবেচনাপূর্ণ কাজ, মানুষের কিছু অসুবিধে হয়নি, ইত্যাদি প্রভৃতি। আসলে আপনারাই এই গুলিয়ে দেওয়ার খেলাটা খেলে যাচ্ছেন, যাতে মানুষ ভাবে ওহো ভ্যাকসিনের সপক্ষে যারা বলছেন তারা হয় বিজেপি-চাড্ডী, নয় ঘোর অমানুষ। 
     
    এই বারবার ডিসকোর্স ঘুরিয়ে, গোলপোস্ট সরিয়ে লাভ নেই। ভ্যাকসিন প্রাণ বাঁচায়। এইটা বক্তব্য। 
  • জুতো বোস | 82.102.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ২২:৫২510386
  • "আপনারাই এই গুলিয়ে দেওয়ার খেলাটা খেলে যাচ্ছেন, যাতে মানুষ ভাবে ওহো ভ্যাকসিনের সপক্ষে যারা বলছেন তারা হয় বিজেপি-চাড্ডী, নয় ঘোর অমানুষ।"
     
    এখনও বিশেষ কিছুই বুঝে উঠতে পারেন নি। Divide and rule টা আমাদের খেলা না, ওটা NWO র খেলা। আমরা খুব ভাল ভাবেই জানি যে সব রাজনৈতিক দল আর সব নেতার টিকি এক জায়গায় বাঁধা, সে বাইডেনই হোক বা মোদি বা মমতা বা "কমিউনিস্ট"। ওই দলাদলির খেলায় এখনও আপনারাই পড়ে আছেন, আমরা ওখান থেকে অনেক দিন আগেই বেরিয়ে এসেছি। তবে হ্যাঁ, এর মধ্যে কমিউনিস্টদের একটা আলাদা জায়গা আছে, তাদের ভন্ডামি, শঠতা আর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার জন্য।
  • Kelo korechhe! | 2401:4900:382e:1356:a2be:a615:23a0:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ২৩:০৪510387
  • Enara ekhono miracle cocktail (Jake era vaccine bolchhen) er mahatmo kopchachhen r enara bujhben NWO! 
  • Debasis Bhattacharya | ২৬ জুলাই ২০২২ ২৩:০৯510388
  • অ্যাঁ, আধপাগ্লা জোচ্চরটার আবার একটা পোলিটিক্যাল থিওরিও ছিল তা'লে! সবই অচ্ছে দিনের কৃপা!
  • Robert Mendelssohn | 2a03:4000:27:6f8:e466:27ff:fe82:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ২৩:২৫510389
  • যে অসুখে প্রাণ যাবার সম্ভাবনা অতি নগন্য, 0.23% ( সারা পৃথিবীর গড়) এবং আমাদের দেশে 0.05% এর কাছাকাছি। অর্থাৎ বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা 99.95%। সেই  অসুখে ভ্যাকসিন নেবার কি প্রয়োজন আছে, জ্ঞান পাপীরা একটু জানাবেন?
    মৃত্যুর সম্ভাবনা এত নগণ্য তবু কেউ ইচ্ছা করলে ভ্যাকসিন নিতেই পারেন। কিন্তু কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তিতে এই অসুখের বিরুদ্ধে গণ টিকাকরণের প্রয়োজন আছে পন্ডিত প্রবররা কি একটু জানাবেন ?
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ২৩:৩২510390
  • মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ তো 'হরের্নাম হরের্নাম হরের্নাম কেবলম' বলতে বলতে মরে গেল। কোনো আধিব্যাধি কিছু ছিলই না! দলে দলে মরে যাচ্ছে ! এরা কী উটকো ঝামেলাবাজ বলুন তো?
  • dc | 2401:4900:1cd1:1388:4153:365b:eea:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ২৩:৪৯510392
  • "যে অসুখে প্রাণ যাবার সম্ভাবনা অতি নগন্য, 0.23% ( সারা পৃথিবীর গড়) এবং আমাদের দেশে 0.05% এর কাছাকাছি। অর্থাৎ বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা 99.95%"
     
    খোরাক কি আর গাছে ফলে? laugh
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২২ ২৩:৫৪510393
  • এসব সিদ্ধান্ত কি এরা নিজেরাই করে? নাকি কারুর কাছে শেখে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন