এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • আসলে এগুলো তো ভারতীয় নেশন -স্টেট নিয়ে তর্ক - গত ক'দিনের তর্কের প্রেক্ষিতে 

    সিএস লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১০ মে ২০২৪ | ২৬৫৮ বার পঠিত
  • কিছু লোকের মত অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়া, সেই নিয়েই গত ক'দিনের তর্ক চলছিল। গভীরে, আমার যা মনে হয়, এই তর্ক আসলে ব্যক্তিমানুষের মত সংক্রান্ত ব্যাপার নয়, তাদের মতের মধ্যে দিয়ে যা ফুটে বা ফেটে বেরোচ্ছে, যা সমস্যার মনে হচ্ছে, সেগুলো ভারতীয় নেশন-স্টেটের চরিত্র কেমন হবে সেই তর্ক পরিণতি পায়নি বলেই, সেরকম ঘটছে।

    ইউরোপীয় নেশন স্টেটের মূলে একটি সোশাল গ্রুপ, তাদের ভাষা, তাদের ধর্ম, তাদের লোকাচার বা তাদের বিশ্বাসকে মূল বা প্রধাণ ধরা হয়েছে, এবং স্টেটটি সেইগুলিকে ভিত্তি করেই তৈরী হয়েছে, ব্যক্তিমানুষের বিবিধ অধিকারকেও মেনে নিয়ে। একটি ভাষা বা সংস্কৃতি (ফরাসী বা জার্মান), খ্রীস্টিয়ানিটি ধর্ম হিসেবে, এই দিক্গুলি প্রধান। এদের ঘিরে আরো অন্য কিছু। এইটি নেশন-স্টেটের একটি মডেল, যা ইউরোপ থেকে পাওয়া গেছে, আজ নয়, অনেক দিনই।

    বঙ্কিমের 'ভারত-কলঙ্ক ' লেখাটি ভাল করে পড়লে দেখা যাবে, এই লেখাটি ঐরকমের নেশন-স্টেট তৈরীর একটি থিওরাইজেশনের চেষ্টা। বঙ্কিম অনুযায়ী, ভারতের কলঙ্ক হল, তার একতা নেই, নেই কারণ সে জাতিভেদে বিভক্ত। এই জাতিভেদ উঁচু জাত - নীচু জাতের ভেদ নয়, এই ভেদ ভাষা, ধর্ম, বংশ সব কিছু নিয়েই ভেদ, ফলে একতার পরিণতি নেই। লেখাটিতে সমাধান পুরোপুরি নেই, কিন্তু ইঙ্গিতটা আছে, ইউরোপের তুলনা দিয়েই আছে, ইতালীর একত্রীকরণ ইত্যাদি দিয়ে , যে কোনভাবে ভারতকেও এক হতে হবে। ইংরেজের প্রসংসা এই জন্যই যে, উনিশ শতকের বাঙালী ইন্টেলেকচুয়ালদের কাছে ইংরেজ-ইউরোপ প্রধান মডেল, তাদের কাছ থেকে শিখে নিয়ে, ভারতের সমাজ-রাজনীতি গঠন করা যেতে পারে, ভারতীয় নেশন স্টেটটিও।

    উনিশ শতকের ইংরেজী শিক্ষিত বাঙালী ইন্টেলেক্চুয়ালদের ক্রাইসিস বলা যেতে পারে, ঐ শতকের প্রায় শেষ ভাগ অবধি - যতদিন না বিশ শতক এসে পড়ল, ইংরেজ শাসনের প্রতি বীরাগ তৈরী হতে থাকল, এবং বিশ্বযুদ্ধও ঘটে উঠতে থাকল - যে ভারত নামক দেশটি কেমন হবে সেই বিষয় ইংরেজদের কাছ থেকেই শিখতে হচ্ছে কিন্তু একই সাথে বিবিধ রকমের দোটানা থাকছে, ফলে সময়মত ইংরেজদের সমালোচনাও করতে হচ্ছে। বঙ্কিম বা ভূদেব, এনারা এই দোটানার মধ্যেই তাদের লেখাপত্তর করেছেন। ভূদেব ইংরেজদের জ্ঞান-বিজ্ঞান-শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছেন, আবার বাঙালী-ভারতীয় সমাজ জীবন কেমন হবে, পারিবারিক জীবন কেমন হবে, ইউরোপীয় মত জাতি বা দেশ গঠনে ব্যাবহার করার পরেও নিজস্বতা কেমন হবে, সেই নিয়ে অজস্র লেখা লিখেছেন। তো একটি সোশাল গ্রুপ ভিত্তিক জাতিগঠন বা নেশন গঠন- যা বঙ্কিম বা ভূদেবের ক্ষেত্রে মূলতঃ হিন্দুকেন্দ্রিক, এবং বঙ্কিমের ক্ষেত্রে প্রশ্নটা থাকলেও সমাধানটা পুরোপুরি আসেনি অর ভূদেবের ক্ষেত্রে সমাধানটা দুইদিক রেখেই - রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে, নেশন-স্টেটের সমাধানটি অন্যভাবে। সেটিই হল বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য এবং  হিন্দু-মুসলমান সমঝোতা দিয়ে। অতএব, বঙ্কিম-ভূদেব একটা মডেল, রবিবাবুর ধারণাগুলি আর একটা মডেল, নেশন - স্টেটের চরিত্র কেমন হবে সে নিয়ে । রবিবাবু যে এই ধারণাটি  দিতে পারলেন, তার কারণ মনে হয় না এই জন্য যে তিনি অন্যদের থেকে উদার, এই জন্যই যে তিনি অন্য সময়ে বাঁচছেন, উনিশ শতকের শেষ থেকে ইংরেজদের দাঁত-নখ আরো বেরিয়ে যাওয়ার পরে বাঁচছেন, বিশ্বযুদ্ধর মধ্যে বাঁচছেন, ইউরোপীয় সভ্যতার বিবিধ ক্রাইসিস দেখ্ছেন, রাশিয়ার বিপ্লবও দেখছেন, মুসোলিনির কাজকর্মও। ফলে চেতনা সম্প্রসারিত হয়েছে এবং তার সাথে দেশীয় ভাবের সাথে হয়ত বেশী পরিচিত, ইংরেজ শিক্ষার ওপরে নির্ভরতাও অনেক কমে এসেছে (সেই সময়ের দেশবাসীর মধ্যেও হয়ত )।

    তো সাভারকার-আরএসএসের মডেল বলা যায় বঙ্কিম-ভূদেব ধারণাকৃত নেশন-স্টেট-সমাজকে অনুসরণ করে। সিএএ সেই মডেলের এক্সট্রীম বা বিকৃত পয়েন্ট।

    আর স্বাধীনতার পরে, সংবিধান তৈরীর ডিবেটে রবিবাবুর ধারণাগুলি গুরুত্ব পায়। রবিবাবুর নাম করেই গুরুত্ব পায় সেটা বলছি না কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনের মধ্যে যেহেতু বিবিধ ভাব মিশে  ছিল, সেই সব ভাবের মধ্যে ভারতীয় বৈচিত্র্যকে মেনে নেওয়া ছিল (গান্ধীর ভারত পরিক্রমা ঐ বৈচিত্র্যকেই বোঝার চেষ্টা বা গান্ধী-রবিবাবুর সখ্যতা ঐ কারণেই, নানারকমের ডিবেট নিয়েও), ফলে যে সংবিধান তৈরী হয় তা একমুখী, হিন্দুবাদী, মিলিটারিস্টিক না হয়ে বিবিধ সোশাল গ্রুপকে গুরুত্ব দিয়ে ভারতীয় নেশন-স্টেটকে তৈরী করতে চেয়েছিল। সকল ধর্মের মানুষের ধর্মাচরণের অধিকার, মাইনরিটি রাইটস, রাজ্যগুলোর অধিকার ইত্যাদি ছিল বৈচিত্র্যকে মেনে নেওয়ার উপায়। কিন্তু সংবিধানের তো নানারকমের ক্রিটিসিজমও হচ্ছে এখন, দোটানা ঐ সংবিধানের মধ্যেও ছিল, অনেক ক্ষেত্রে কিছু দিলেও পুরোপুরি দেওয়া হয়নি, সে না দেওয়ার ফাঁক দিয়ে নেশন-স্টেটটির চরিত্র বদল করে ফেলা যায়। তো, গত দশ বছরের অস্থির অবস্থা, ভারতীয় নেশন-স্টেটের চরিত্র বদলেরই চেষ্টা। যখন বলি, আরএসএস তো দীর্ঘদিন ধরে ভেতরে ছিল, তখন মনে হয় এটাই বলি যে, নেশন-স্টেটের অন্য একটা মডেল বা দিক  - যা সংবিধানের মধ্যে পুরো গুরুত্ব পায়নি বা '৪৭ পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র গঠনে পুরো গুরুত্ব পায়নি, অথবা গান্ধী পরবর্তী স্বাধীনতা আন্দোলন যা গণ-আন্দোলন তার মধ্যে সেই মডেলের অনুসরণকারীরা বেশী গুরুত্ব পায়নি - সেই হিন্দুকেন্দ্রিক, তাদের মত ও বিশ্বাসকেন্দ্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা তৈরী করে নেওয়ার ইচ্ছেটা সুপ্ত ছিল, ঐ মডেলটি সংবিধান-আইন ইত্যাদি তৈরীর পরেও রয়ে গেছিল।

    অতএব, ভারতীয় নেশন-স্টেটের চরিত্রটি এখনও পুরো পরিণতি পায়নি, আপাতভাবে মনে হয় বৈচিত্র্যকে মেনে নেওয়াই হয়ত ঠিক পথ কিন্তু তাকে কাজে পরিণত করতে গিয়ে দেখা গেছে সবকিছু ঠিকভাবে ঘটেনি। ভোটের রাজনীতি বা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিই ফাঁকে ভরা ! সন্দেহ আছে, নেশন-স্টেটটি মনোমত পরিণতি পাবে কিনা, ফিরে ফিরে আসবে হয়ত নেশন-স্টেটের ক্রাইসিসগুলি, কখনও চাপা পড়বে, কখনও ফেটে বেরোবে। বৈচিত্র্য আছে বলেই ক্রাইসিসমুক্তি ঘটতে পারে, আবার বৈচিত্র্যগুলিকে আত্মসাৎ করে একমুখী মডেলের দিকে যাওয়াই ক্রাইসিসমুক্তির উপায় (যা আরএসএস-এর মত ), সে মতও রয়ে যাবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১০ মে ২০২৪ | ২৬৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 2402:3a80:a1f:4bb5:0:46:5660:***:*** | ১২ মে ২০২৪ ১৯:৪৮531643
  • ফ্রান্সের জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম স্তবকের ইংরেজি অনুবাদ। দেশকে পিতৃভূমি বলে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। গানটি ১৭৯২ সালে রচিত, অস্ট্রিয়া তখন ফ্রান্স আক্রমণ করেছে।
    ভাগ্যিস পশ্চিমবঙ্গের মহাবিপ্লবীরা তখন সেখানে ছিলেন না! ন‌ইলে এই হিংসাকে চাপিয়ে দেওয়া একেবারেই মেনে নিতেন না! 
    কেন সবাই দেশকে পিতৃভূমি বলবে?
    কেন শত্রুদের আক্রমণের কথা বলবে? 
     
     
    রামের পাঁঠা, বামের পাঁঠা; তফাৎ শুধু একটা ফুটকির!
  • r2h | 165.***.*** | ১৩ মে ২০২৪ ১৮:৩৫531673
    • &/ | ১২ মে ২০২৪ ০০:২১
    • মৌলবাদী গ্রুপগুলো সোশাল মিডিয়ায় ...
     
    আর একদল বলছে ইউনিফিকেশন চাই, রাষ্ট্রভাষা চাই, দেশমাতৃকা চাই - না হলে এইসব জুজু এসে গপ করে খেয়ে নেবে।

    আর দলহীন বলছে - এসব কিছুই চাই না, চাই বাচ্চারা পাড়াশুনো করুক, হাসপাতালে চিকিৎসা হোক, মানুষ খেতে পাক। এর জন্য দেশমাতৃকা কেন লাগবে? রাজনৈতিক সচেতনতা চাই, রাষ্ট্রনীতিতে বস্তুনিষ্ঠ প্র‌্যাগমেটিজম চাই।

    তখন বাকি তিন দল বলছে, আরে না না, একটা প্রতীক ছাড়া আমরা কাজ করতে পারি না। ওসব হয় নাকি? দেশমাতৃকা না থাকলে অবোধ সন্তানেরা সব কান ঢাকা জুলপি রেখে বিড়ি খেতে শিখবে যে। ধর্মরূপ আত্মা চলে গিয়ে দেশ যে জম্বি হয়ে কামড়ে দেবে।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:4519:c8dc:dcc0:***:*** | ১৩ মে ২০২৪ ২০:৩২531679
  • 'ধর্মরূপ আত্মা চলে গিয়ে দেশ যে জম্বি হয়ে কামড়ে দেবে' - এটা টু গুড :-)
  • দীপ | 2402:3a80:a38:bc8c::54dd:***:*** | ১৪ মে ২০২৪ ১২:৩১531720
  • প্রত্যেক দেশের নিজস্ব সভ্যতা-সংস্কৃতি থাকে। সেই সভ্যতা-সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে কাজ করা সম্ভব নয়।
    একটু আগেই ফ্রান্সের জাতীয় সঙ্গীতের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেশকে পিতৃভূমি রূপে বন্দনা করা হয়েছে। স্ট্যালিন তাঁর বক্তব্যে দেশকে পিতৃভূমি বলেছেন।
     
    কেউ বলেনি সর্বক্ষণ ম্যাম্যা করে কান্নাকাটি করতে হবে! কিন্তু কোনো কিছু নিয়ে আলোচনা করতে গেলে তা নিয়ে একটু পড়াশোনা প্রয়োজন!
    অবশ্য তা করলে তো প্রোপাগান্ডা লেখা যায়না!
     
  • lcm | ১৪ মে ২০২৪ ১৩:২৭531722
  • আহা, সেই আড়াইশো তিনশো বছর আগে কারা কাকে আক্রমণ করেছিল, শত্রুকে নিধন করতে কি গান বাঁধা হয়েছিল, সে কি আর এখন চলে নাকি।

    এখন নতুন গান বাঁধতে হবে। সমসাময়িক হতে হবে, প্রাসঙ্গিক হতে হবে। এখন আর পিতৃতান্ত্রিক মাতৃতান্ত্রিক শত্রুনিধন - এসব আর চলে নাকি।

    এখন গান হবে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলার, প্রগতিশীলতার, পজিটিভ থিংকিং এর।

    জাপানের জাতীয় সংগীতের লিরিকস দেখুন,

    May your reign (life)
    Continue for a thousand,
    Eight thousand generations,
    Until the tiny pebbles
    Grow into mighty rocks
    And moss grow on them.

    বেসিক্যালি বলছে সকলে অনন্তকাল ধরে জীবন উপভোগ করুন - May your life last for a long time, until the tiny pebbles grow into mighty rocks and moss grow on them.

    সংক্ষিপ্ত, টু-দ্য-পয়েন্ট এবং অপ্টিমিসটিক।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:89ce:2eb9:de70:***:*** | ১৪ মে ২০২৪ ১৩:৪৭531723
  • তাহলে জাপানিরা বলতে চাইছে - তুমি যখন ছোট ছিলে তখন তোমার পেবলগুলো ছোট্ট ছিল। তুমি বড়ো হলে সেগুলো বড়ো বড়ো পাথরের সাইজের হবে আর তার ওপরে ছাতকুড়ো পড়বে। 
     
    হুম। 
  • সিএস  | 103.99.***.*** | ১৪ মে ২০২৪ ১৪:০২531724
  • পেবল যা ছিল, পেবল যা হয়েছে, পেবল যা হবে।
  • দীপ | 2402:3a80:a00:4b73:0:5d:212d:***:*** | ১৪ মে ২০২৪ ১৪:২১531725
  • "ভারত ভাগ্যবিধাতা" ও "বন্দে মাতরম্" এই দুই সৃষ্টিই অসামান্য।
    ভারতভাগ্যবিধাতা পতন-অভ্যুদয়ের পথ দিয়ে ভারতের ইতিহাস পরিচালনা করছেন, তাঁর উদার আহ্বানে সকলে মহামানবের সাগরতীরে মিলিত হয়েছে। এই উদার মিলন ও ভারতভাগ্যবিধাতার বন্দনাই এই কবিতার মূল সুর।
    অন্যদিকে বন্দে মাতরমে মাতৃভূমির মঙ্গলদায়িনী কোমল করুণাময়ী মূর্তি প্রকাশিত হয়েছে।
    এই দুই সৃষ্টিই অসামান্য ও কালোত্তীর্ণ।
     
    প্রসঙ্গত বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতেও এই মাতৃমূর্তি প্রকাশিত। যাঁদের বন্দে মাতরমে সমস্যা, তাঁরা তখন কি বলবেন?
  • দীপ | 2402:3a80:196c:bc67:778:5634:1232:***:*** | ১৫ মে ২০২৪ ১২:৫৯531753
  • চাপিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে মনে পড়লো।
    খ্রিষ্টান মিশনারি পরিচালিত স্কুলগুলোতে যীশুর মূর্তির সামনে প্রার্থনাসঙ্গীত গাওয়া হয়। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই কিন্তু খ্রিষ্টান নয়। তাদের‌ও কিন্তু গাইতে হয়।‌ 
    এ সম্পর্কে বিপ্লবীদের মতামত কি?
     
    প্রসঙ্গত খ্রিস্টমাস ক্যারোল আমার অত্যন্ত প্রিয়। এর গাম্ভীর্য ও মাধুর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে।
     
    আসলে মূল আদর্শ বুঝতে পারলে কোনো সমস্যা হয়না। মূল আদর্শ ছেড়ে আমরা খোসা নিয়ে লড়াই করি। সেজন্যই এতো সমস্যা!
     
    একটা কথা আবার বলে যাই। পশ্চিমবঙ্গের মহাবিপ্লবীরা কোনোদিনই নামিদামি অভিজাত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের বিরুদ্ধে একটা কথাও বলবেন না!  এঁরা ভালো করেই জানেন এইসব অভিজাত স্কুলে বিপ্লব দেখাতে গেলে বিপদ আছে। পিঠের চামড়া তো আস্ত থাকবেই না, তারসাথে জেলের ভা‌ত‌ও খেতে হতে পারে! 
    অ‌ত‌এব নিরাপদ জায়গায় বীরত্ব দেখানোই শ্রেয়!
     
     
  • দীপ | 2402:3a80:a08:2c73:0:5b:8359:***:*** | ১৫ মে ২০২৪ ১৩:০৮531754
  • ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্মে মাতা মেরীর উপাসনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একাধিক চার্চে গেলে দেখা যায় মূল বিগ্রহস্থলে রয়েছেন মাতা মেরী, তাঁর কোলে শিশু যীশু। খ্রিষ্টান সেখানে গিয়ে দেবজননী ও দেবশিশুর উদ্দেশ্যে সশ্রদ্ধ প্রণাম নিবেদন করেন।
     
    কি আশ্চর্য,  এখানেও মাতৃকল্পনা!
    চার্চেও দেখছি যাওয়া যাবেনা!
  • দীপ | 2402:3a80:196c:aab3:778:5634:1232:***:*** | ১৫ মে ২০২৪ ১৩:১৭531755
  • "মানুষ তার হৃদয়, তার চিন্তাশক্তি, তার আশা-আকাঙক্ষা, তার শোকনৈরাশ্য দিয়ে বিরাট ব্রহ্মকে আপন করে নিয়ে কত রূপে দেখেছে তার কি সীমা-সংখ্যা আছে? ইহুদিরা দেখেছে যেহোভাকে তার রুদ্ররূপে, পারসিক দেখেছে আলো-আঁধারের দ্বন্দ্বের প্রতীক রূপে, ইরানি সুফী তাকে দেখেছে প্রিয়ারূপে, মরমিয়া বৈষ্ণব তাকে দেখেছে কখনও কৃষ্ণরূপে কখনও রাধারূপে, আর ক্যাথলিক তাকে দেখেছে মা-মেরির জননীরূপে।
     
    তাই মা-মেরির দেবী-মূর্তি লক্ষ লক্ষ নরনারীর চোখের জল দিয়ে গড়া। আর্ত পিপাসার্ত বেদনাতুর হিয়া যখন পৃথিবীর কোনোখানে আর কোনো সান্ত্বনার সন্ধান পায় না, তখন তার শেষ ভরসা মা মেরির শুভ্র কোল। যে মা-মেরি আপন দেহজাত সন্তান কন্টকমুকুটশির যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ অবস্থায় পলে পলে মরতে দেখলেন তার চোখের সামনে, তিনি কি এই হতভাগ্য কোটি কোটি নরনারীর হৃদয়বেদনা বুঝতে পারবেন না? নশ্বর দেহ ত্যাগ করে তিনি আজ বসে আছেন দিব্য সিংহাসনে—তার অদেয় কিছুই নেই, মানুষের অবারি সপ্তসিন্ধু হয়ে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডতে হানা দিলেও তিনি সেসপ্তসিন্ধু মুহূর্তের ভিতরেই করাঙ্গুলি নির্দেশে শুকিয়ে দিতে পারেন। তাই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে ক্যাথলিক গির্জায় গির্জায়–
     
    ধন্য হে জননী মেরি, তুমি মা করুণাময়ী। তুমি প্রভুর সান্নিধ্য লাভ করেছ। রমণী জাতির মধ্যে তুমিই ধন্য, আর ধন্য তোমার দেহজাত সন্তান যীশু। মহিমাময়ী মা-মেরি, এই পাপীতাপীদের তুমি দয়া কর, আর দয়া কর যেদিন মরণের ছায়া আমাদের চতুর্দিকে ঘনিয়ে আসবে।
     
    কত হাজার বার শুনেছি আমি এই প্রার্থনা। ক্যাথলিকরা সেই সুরে গেয়ে বিশ্বজননীকে আবাহন করে অষ্টকুলাচলশিরে, সপ্তসমুদ্রের পারে পারে।
     
    কত লক্ষবার শুনেছি আমি এই প্রার্থনা। পুরুষের সবলকঠে, বৃদ্ধার অর্ধস্ফুট অনুনয়ে, শিশুর সরল উপাসনায় মিলে গিয়ে যে মন্ত্র উচ্চারিত হয় সে মন্ত্র তখন আর শুধু ক্যাথলিকদের নিজস্ব প্রার্থনা নয়, সে প্রার্থনায় সাড়া দেয় সর্ব আস্তিক, সর্ব নাস্তিক।
     
    হঠাৎ মন্ত্রোচ্চারণ ছাপিয়ে সমস্ত গির্জা ভরে ওঠে যন্ত্রধ্বনিতে। বিরাট অর্গান সুরের বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছে গির্জার শেষ কোণ, ভিজিয়ে দিয়েছে পাপীর শুষ্কতম হৃদয়। উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে উপরের দিকে সে-গম্ভীর যন্ত্ররব, আর তার সঙ্গে গেয়ে ওঠে সমস্ত গির্জা সম্মিলিত কঠে—
     
    ‘ধন্য হে জননী মেরি, তুমি মা করুণাময়ী।’
     
    সেই ঊর্ধ্বদিকে উচ্ছ্বসিত উদ্বেলিত সঙ্গীতের প্রতীক ঊর্ধ্বশির ক্যাথলিক গির্জা। মানুষের যে-প্রার্থনা যে-বন্দনা অহরহ মা-মেরির শুভ্র কোলের সন্ধানে উপানে ধায় তারই প্রতীক হয়ে গির্জাঘর তার মাথা তুলেছে উর্বদিকে। লক্ষ লক্ষ গির্জার লক্ষ লক্ষ শিখর মা-মেরির দিব্যসিংহাসনের পার্থিব স্তম্ভ।"
     
    (তীর্থহীনা, সৈয়দ মুজতবা আলী)
  • r2h | 165.***.*** | ১৫ মে ২০২৪ ১৭:২৪531758
  • এ কোথাকার আপদ... উগ্র জাতীয়তাবাদ, ইওরোপকেন্দ্রিক জাতীয়তাবাদের ধারনায় নেশন স্টেটের সঙ্গে ভারতের তুলনামূলক আলোচনা, জাতীয়তাবাদে ধর্ম - এইসবের ফ্যালাসি নিয়ে কথা হচ্ছিল, তার মধ্যে ফ্রান্স, চার্চ মেরিমাতা পরমপিতা সব এনে হাজির করছেঃO
  • dc | 2a02:26f7:d6c0:680d:0:d273:caf:***:*** | ১৫ মে ২০২৪ ১৭:৩১531760
  • গৌমাতারা এরকম মাথা ভর্তি গোবর নিয়েই ঘুরে বেড়ায়, কি আর করা যাবে। 
  • kk | 172.58.***.*** | ১৫ মে ২০২৪ ২০:১০531761
  • দীপবাবু,
    আহা কী মুশকিল! আপনি (এবং আরো যার যার ইচ্ছে) দেশকে মা বলুন, মাম্মি, মামান, মাতেশ্বরী যা খুশি বলুন। মেরীমাতার শুভ্র কোলে গিয়ে জ্বালা জুড়োন। দিনে দশ বা একশো বার বন্দে মাতরম, সোনার বাংলা, বঙ্গ আমার জননী আমার গান। কোনো প্রবলেম নেই। কিন্তু মনে করুন, আমি দেশকে মেজো পিসেমশাই স্বরূপ মনে করি। বা ধরুন দেশ না, আমি পুরো পৃথিবীটাকেই সেজোবৌদি স্বরূপা বলে ভাবি। এখন আমি যদি দাবি করি, কাল থেকে আপনাদের সব্বাইকে দেশ সংক্রান্ত কিছু বলতে গেলেই "ভাই সেজোবৌদি" করে সম্বোধন করে বলতে হবে। তাহলে আপনার কি খুব ভালো লাগবে?

    আরেকটা কথা হলো, আপনার প্রতিটা পোস্ট থেকেই বেশ বুঝতে পারি যে এখানের লোকগুলো কেউ কিছু পড়াশোনা জানেনা, সব ফালতু মাতব্বর, পড়তেও পারেনা আবার খালি বাতেলা মারে আর "মহাবিপ্লব" (সেটা কী জিনিষ তা অবশ্য আমার মত অল্পবুদ্ধি লোক বুঝবেনা) করে বেড়ায়। একদম ঠিক বলেছেন। এবার সেটা যখন জানাই হয়ে গেছে, তাহলে আর এদের পেছনে সময় নষ্ট করে কী লাভ? আপনার ধমক খেয়ে কি এইসব "পাঁঠা" শ্রেণীর লোকদের কোনদিনও সুমতি হবে? বলুন তো?
  • :|: | 174.25.***.*** | ১৫ মে ২০২৪ ২০:৩৫531763
  • কুড়ি দশ : আসলে মেজো পিসেমশাই আর সেজবৌদি যদি শাস্ত্রসম্মত মাতৃসুলভ গুণের অধিকারী হন তবে তাঁদের মাতৃস্বরূপা ভাবতে অসুবিধা নাই আর -- মায়ের মতো সেজবৌদির মতো দেশ -- এই ইকুয়েশনে মায়ের মতো দেশ কল্পনাতেও অসুবিধা হবার কথা না। 
    দ্বিতীয় প্যারাতে কোনও মতদ্বৈত নাই। 
  • এই | 2001:67c:6ec:203:192:42:116:***:*** | ১৬ মে ২০২৪ ০০:০২531770
  • চড্ডি মালটা শব্দপিছু টাকা পায় নিজ্জস। ওইজন্যি আলবাল সব কপি মেরে মেরে রাখে।
  • s | 100.36.***.*** | ১৬ মে ২০২৪ ০০:৩৯531772
  • কিছুদিন ধরে এই বিতর্ক চলছে দেখছি দেশকে মা বলতে হবে কি হবে না। ভারতে কি কোনো আইন হয়েছে এই নিয়ে? দেশকে মা না বললে কি কেউ সিভিল না ক্রিমিনাল কেস ঠুকছে? যদি তার উত্তর না হয়, তাহলে এত অলোচনা কেন ঠিক বুঝতে পারছি না। এর মধ্যে যদি কোনো আইনি হস্তক্ষেপ না হয় তাহলে তো  এই ব্যাপারটা যাকে বলে মুট। যারা দেশকে মা বলতে না চান সেটা তাদের ফ্রিডম অফ স্পিচ আর তার জন্যে যারা তাদের গালি দেবেন সেটা তাদের ফ্রিডম অফ স্পিচ। ব্যাপারটা যতখন গালি গালাজের স্টেজে আছে, কি অসুবিধা? এবার দেশকে মা না বলার জন্যে যদি কেউ কাউকে অ্যাসল্ট করে সেটা ক্রিমিনাল এবং তখন আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু তখন তো প্রবলেমটা আর দেশকে মা না বলা নিয়ে নয়। তার আগে যার যত ইচ্ছে ফ্রিডম অফ স্পিচ প্র‌্যাক্টিস করুন। অন্যপক্ষকে গালি দিন, ট্রোল করুন। মনে রাখবেন ফ্রিডম ওফ স্পিচ কিন্তু ফ্রি নয়। নিজের ফ্রিডম অফ স্পিচ বা কনভিক্শন ধরে রাখতে গেলে দাম দিতে হবে।
  • যোষিতা | ১৬ মে ২০২৪ ০০:৪৫531773
  • "ফ্রিডম ওফ স্পিচ কিন্তু ফ্রি নয়। নিজের ফ্রিডম অফ স্পিচ বা কনভিক্শন ধরে রাখতে গেলে দাম দিতে হবে।" 
     
    খাঁটি কথা।
  • এলেবেলে | 202.142.***.*** | ১৬ মে ২০২৪ ০০:৫১531774
  • দেশ-ফেশ নয়, গোদা বাংলায় রাষ্ট্র। সেই রাষ্ট্রকে মা বলতে হবে, বলতে হবে ভারতমাতা কি জয়। সেই রাষ্ট্রে থাকতে গেলে বাধ্যতামূলক জয় শ্রীরাম বলতে হবে, গোরুকে মা বলতে হবে, বাধ্যতামূলকভাবে নিরামিষ খেতে হবে, জাতীয় সঙ্গীত বেজে উঠলে বাধ্যতামূলক দাঁড়িয়ে উঠে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে ব্লা ব্লা ব্লা। নাহলেই ইউএপিএ, আর্বান নকশাল, আখলাক কাণ্ড ঘটবে, ঘটতেই থাকবে...
  • s | 100.36.***.*** | ১৬ মে ২০২৪ ০৩:২৩531782
  • একটু আগে দীপের কিছু কবিতাসহ পোস্ট দেখেছিলাম। এখন আর দেখছি না। জানি না কোনো টেকনিকাল কারনে উড়ে গেছে নাকি গুরুচন্ডালির পক্ষ থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে। মুছে দেওয়া হলে সেটা খুবই বাকস্বধীনতা বিরোধি কাজ। এই সাইটে প্রথম পাতায় টইপত্তর বিভাগের জন্যে লেখা আছে 'খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন'। গুরুচন্ডালি যারা চালান তাদের উচিৎ টইপত্তর, ভাটিয়ালি এই সব বিভাগের ট্যাগলাইন ইমিডিয়েটলি চেঞ্জ করা। কি লেখা যাবে আর কি লেখা যাবে না পরিষ্কার করে লিখে দেওয়া উচিৎ। নাহলে সেটা রীতিমত মিথ্যাচার আর হিপোক্রিসি।

    অবশ্য দীপ কেন কবিতা কোট করেছিলেন আমি বুঝিনি। কিন্তু আমি বুঝিনি তো কি হয়েছে, অন্য কেউ নিশ্চই বুঝবেন। মোদ্দা কথা হল কবিতা ইত্যাদি লেখার অধিকার দীপের আছে, বিশেষত যেখানে সাইটে পরিষ্কার করে রুলস আর রেগুলশন উল্লেখ করা নেই। তবে ভারতীয়দের এই আচরণ প্রত্যাশিত। জেনেরালি ভারতীয়রা গাল খাওয়া এসেবারেই পছন্দ করে না। একটা জিনিস আবার বলছি, ফ্রিডম অফ স্পিচ কিন্তু ফ্রি নয়। শাস্তির ভয় না পেয়ে অন্যকে মন খুলে সমালোচনা করতে হলে আগে অন্যের সমালোচনা হজম করা শিখতে হয়। এই কালচার তৈরি হতে অনেক্দিন সময় লাগে। নাহলে রুলিং ক্লাস সবসময় বিরোধীপক্ষকে জেলে পুরবে। এই ব্যাপারে দেখা যাচ্ছে গুরুচন্ডালি, মোদি কি দিদির মধ্যে বিশেষ তফাত নেই। যার জেলে ভরার পাওয়ার আছে সে জেলে ভরবে আর যার পোস্ট মোছার পাওয়ার আছে সে পোস্ট মুছবে।
  • r2h | 208.127.***.*** | ১৬ মে ২০২৪ ০৫:৪৪531783
  • ব্যক্তির মতকে সবার মত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা আর গণতন্ত্র, টাকাকড়ি আর দেশমাতৃকার রূপক, পবিত্র গাভী আর আইন কানুন, বাক স্বাধীনতা আর সামাজিক মাধ্যমে স্প্যাম - সব একটা বড় কড়াইয়ে টগবগ করে ফুটছে, তার মধ্য থেকে মন মাতানো বৌদ্ধিক কসরতের ঘ্রাণ, আর নেপথ্যে গুনগুন ধ্বনি, কেন্দ্রগতং নির্বিশেষঞ্চ।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:91ab:4439:cb13:***:*** | ১৬ মে ২০২৪ ০৭:৩৩531784
  • "কিছুদিন ধরে এই বিতর্ক চলছে দেখছি দেশকে মা বলতে হবে কি হবে না। ভারতে কি কোনো আইন হয়েছে এই নিয়ে? দেশকে মা না বললে কি কেউ সিভিল না ক্রিমিনাল কেস ঠুকছে?"
     
    কদিন আগে ভাটে দুটো খবর পোস্ট করেছিলাম, সেগুলো এখানেও করে দি। কারন ইন্ডিয়াতে এখন কি হচ্ছে সেই রিয়েলিটি না জেনে অথবা অস্বীকার করে এরকম সরল প্রশ্ন আসতেও পারে :-)
     
     https://scroll.in/latest/1030468/maharashtra-officials-to-say-vande-mataram-and-not-hello-while-answering-calls-says-minister
     
    Maharashtra officials to say ‘Vande Mataram’ and not ‘hello’ while answering calls, orders minister
    An official direction will be issued on the matter by August 18, says Cultural Affairs Minister Sudhir Mungantiwar.
     
    https://thewire.in/communalism/three-policemen-who-forced-injured-men-to-sing-national-anthem-during-delhi-violence-identified
     
    Nearly 1.5 years after a shocking video emerged showing policemen forcing injured men to sing the national anthem during the communal violence in North-East Delhi, three of the policemen involved have reportedly been identified. According to the Indian Express, a lie-detector test is likely to be performed on the three policemen. None of them have been arrested so far.
    The video of 23-year-old Faizan, along with other Muslim men, being forced to sing the national anthem as they lay injured on the road on February 24, 2020 became viral during the riots. On February 26, 2020, Faizan passed away soon after his release, with his mother telling The Wire that her son had died because the police denied him medical treatment.
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:91ab:4439:cb13:***:*** | ১৬ মে ২০২৪ ০৭:৩৫531785
  • "ফ্রিডম ওফ স্পিচ কিন্তু ফ্রি নয়। নিজের ফ্রিডম অফ স্পিচ বা কনভিক্শন ধরে রাখতে গেলে দাম দিতে হবে।" 
     
    একদম ঠিক কথা। তবে আখলাক আর ফয়জানকে একটু বেশীই দাম দিতে হয়েছিল। 
  • ঘোড়া | 209.14.***.*** | ১৬ মে ২০২৪ ০৮:১২531788
  • গুরুরাও বাকস্বাধীনতা নিয়ে বাকতাল্লা ঝাড়ে। হাঃ হাঃ হাঃ। আয় তো গুপু।
  • | ১৬ মে ২০২৪ ০৯:৫৪531792
  • চাড্ডিগুলো হেব্বি লুদুর লুদুর করছে দেখি।
  • দীপ | 2402:3a80:a03:2134:0:17:472b:***:*** | ১৬ মে ২০২৪ ১৫:১৫531806
  • Kk, প্রথমেই আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
    কয়েকটি কথা পরিষ্কার করে বলা দরকার। কোনো কিছু জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। কখনোই বলা হয়নি সর্বক্ষণ ম্যাম্যা করে কান্নাকাটি করতে হবে! কিন্তু কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হলে সেই বিষয় নিয়ে একটু পড়াশোনা করা দরকার!
    ভারতীয় উপমহাদেশে মাতৃউপাসনা পাঁচহাজার বছরেরও বেশি প্রাচীন। আর বঙ্গদেশে এই মাতৃ উপাসনার প্রভাব আরো বেশী।
    আধুনিক বাংলা সাহিত্যে মধুসূদন, বঙ্কিম, রবীন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্দ্রলাল, নজরুল, রজনীকান্ত, অতুলপ্রসাদ, মাণিক; সবাই এই মাতৃ উপাসনার দ্বারা প্রভাবিত।
    বাংলা চলচ্চিত্র‌ও কোনো ব্যতিক্রম নয়।
    যারা একে অস্বীকার করে অথবা একে নিয়ে মিথ্যাচারিতা করে; তারা  সভ্যতা ও ইতিহাসকে বিকৃত করে।
    তাদের চেনা প্রয়োজন।
    মাতৃকল্পনা অস্বীকার করলে আধুনিক বাংলা সাহিত্য, চলচ্চিত্র, চিত্রকলা; সবকিছুই অস্বীকার করতে হয়! 
    স্বয়ং মহাকবির স্বদেশ পর্যায়ের গান অস্বীকার করতে হয়!
    নিজের দেশের সভ্যতা-সংস্কৃতি হয়তো আপনি অস্বীকার করতে পারেন, কিন্তু তাতে সত্য পরিবর্তিত হয়না।
  • দীপ | 2402:3a80:a03:2134:0:17:472b:***:*** | ১৬ মে ২০২৪ ১৫:১৯531807
  • আপনি গণতন্ত্র ও ব্যক্তিস্বাধীনতাকে মর্যাদা দেন। বেশ ভালো কথা।
    গতকাল আমি মহাকবির স্বদেশ পর্যায়ের বেশকিছু গান উদ্ধৃত করেছিলাম। দেখিয়েছিলাম মহাকবির সৃষ্টি কিভাবে মাতৃকল্পনা দ্বারা প্রভাবিত। লেখাগুলো মুছে দেওয়া হয়। তখন কিন্তু আপনি কোনো প্রতিবাদ করেন নি! 
    আপনার গণতন্ত্র ও ব্যক্তিস্বাধীনতার সংজ্ঞা কি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন?
  • dc | 2a02:26f7:d6c1:680d:0:e024:4964:***:*** | ১৬ মে ২০২৪ ১৫:৩৫531808
  • বাঃ এইত্তো, লাখ লাখ কপিপেস্ট স্প্যাম ডিলিট করার পর দীপ নিজেই লিখতে পারছে! গুপুর অধ্যবসায় সার্থক হয়েছে বলতে হবে :-)
  • সিএস  | 103.99.***.*** | ১৬ মে ২০২৪ ১৫:৪৬531809
  • "নাহলে রুলিং ক্লাস সবসময় বিরোধীপক্ষকে জেলে পুরবে। এই ব্যাপারে দেখা যাচ্ছে গুরুচন্ডালি, মোদি কি দিদির মধ্যে বিশেষ তফাত নেই। যার জেলে ভরার পাওয়ার আছে সে জেলে ভরবে আর যার পোস্ট মোছার পাওয়ার আছে সে পোস্ট মুছবে।"

    মানে এইটা ঠিক কী ? মানে কবে হল ? গুরুচন্ডালি রুলিং ক্লাস কবে হয়ে গেল ? সে কী নেশন-্স্টেটও ? নাকি স্প্যামদের কপি - পেস্টের রেশনিং করে বলে সে রেশন - স্টেট ?
  • দীপ | 2402:3a80:a03:2134:0:17:472b:***:*** | ১৬ মে ২০২৪ ১৫:৪৬531810
  • Thou Mother Lanka,
    Oh Mother Lanka we salute, salute, salute, salute Thee!
    Plenteous in prosperity, Thou,
    Beauteous in grace and love,
    Laden with grain and luscious fruit,
    And fragrant flowers of radiant hue,
    Giver of life and all good things,
    Our land of joy and victory,
    Receive our grateful praise sublime, we worship, worship Thee.
    Oh Mother Lanka! We salute, salute, salute, salute Thee!

    Thou gavest us Knowledge and Truth,
    Thou art our strength and inward faith,
    Our light divine and sentient being,
    Breath of life and liberation.
    Grant us, bondage free, inspiration.
    Inspire us for ever.

    In wisdom and strength renewed,
    Ill-will, hatred, strife all ended,
    In love enfolded, a mighty nation
    Marching onward, all as one,
    Lead us, Mother, to fullest freedom, we worship, worship Thee
    Oh Mother Lanka! We salute, salute, salute, salute Thee!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন