এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি

  • অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন: সংখ্যা, প্রবণতা ও বাস্তবতার খুঁটিনাটি

    যদুবাবু
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৬ জুলাই ২০২৫ | ১৬০৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)


  • যারা খবর দেখেননি তাদের জন্য আজকের তাজা খবর এই যে রাজস্থানে আমির শেখ নামে এক ব্যক্তিকে, নাগরিকত্বের সচিত্র পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও, শুধুমাত্র বাংলা ভাষা বলার অপরাধে ডিটেইন করা হয়, এবং অভিযোগ এই যে, ডিটেনশন ক্যাম্পে কিছুদিন বন্দী থাকার পর তাকে বসিরহাট সীমান্তে এনে একটি পে-লোডার মেশিনের সাহায্যে কাঁটাতারের ওপারে ছুঁড়ে দেওয়া হয়। আমির শেখ মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা, আমির শেখের সচিত্র পরিচয়পত্র ছিল, আমির শেখ কাজ করতেন অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে, দোষ বলতে এক তিনি বাঙালি, আর দুই তিনি শ্রমিক ছিলেন বিজেপি-শাসিত একটি রাজ্যে।

    আমির শেখ একা নন, এই এক-ই ঘটনা ঘটে চলেছে গত কয়েক বছর ধরে, এবং ক্রমাগত বাড়ছে। চাঁচল থেকে হরিয়ানায় গেছিলেন আলম আলি, আধার কার্ড দেখানো সত্ত্বেও তাকে, জোর করে শুধু অন্তর্বাস পরিয়ে অভুক্ত অবস্থায় একটি জানলাবিহীন কুঠুরিতে বন্দী করে রাখা হয় আরও ন’জনের সাথে, বাধ্য করা হয় বাথরুম ও পুলিশের জুতো পরিষ্কার করতে। তাঁরও অপরাধ? তিনি বাংলা ভাষী মানুষ। শুধু ২০২৫ সালের গত কয়েক সপ্তাহের খবর অনুযায়ী গুরগাঁও, ঝাজ্জর, দিল্লি, ঝাড়সুগুদা সহ নানা জায়গায় এদের মতই শতশত বাংলাভাষী অভিবাসী শ্রমিক আটক হয়েছেন, এবং তাদের আইনী পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও “বাংলাদেশি” বলে হয়রানি করা হয়েছে। এর মধ্যে গত তিন মাসের মধ্যেই ২৯শে মার্চ হরিয়ানায় ৩০০, ২৫শে জুন ঝাজ্জড়ে ৭, ২৬শে জুন ও ৭ই জুলাই দিল্লিতে ৬ এবং ৮, ১১ই জুলাই ঝাড়সুগুদায় ২৭৭ জন অত্যাচারিত, আক্রান্ত। এতোগুলো আলাদা জায়গায় একই প্যাটার্নের নিহিত অর্থ এই যে এটি পরিকল্পিত আক্রমণ, বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এবং এটি প্রশাসনের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া সম্ভব নয়। এর উত্তরে আমাদের রাজ্য পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় আপাততঃ পাওয়া খবর অনুযায়ী শুধু একটি হোয়াটস-অ্যাপ নম্বর শেয়ার করেছেন। আপৎকালীন কোনো ব্যবস্থা সরকার এই গত ৯০ দিনে নেননি।

    কিন্তু এই পরিকল্পিত আক্রমণ শুধু বিজেপিশাসিত রাজ্যের পুলিশের একার কাজ নয়, এদের নৃশংসতাকে বৈধতা দিতেই একাধিক লোক মিডিয়ায় অথবা রাস্তার মিছিলে দাবী করছেন এইসব আক্রমণের ঘটনা সাজানো, বানানো, এবং তৃণমূলের পালে হাওয়া দেওয়ার একটি ফিকির বই কিছু নয়। মহঃ সেলিম বলেছেন, এরকম আগেও হয়েছে, এইভাবে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় না। এরা কেউ সত্যিটা জানেন না এমন নয়, কিন্তু অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তার থেকে স্বাভাবিকভাবেই তারা ভোটের ডিমিনিশিং মার্জিন নিয়ে অধিক চিন্তিত। এদের কেউ রামপন্থী, কেউ বামপন্থী, এবং সকলেই বাঙালির সুরক্ষা ও অধিকারের পরিপন্থী।

    এই পরিপ্রেক্ষিতে সংখ্যার প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। কতজন আক্রান্ত যেটুকু খবরে দেখা যাচ্ছে, কিন্তু কতজন বিপন্ন? এবং রাজ্য সরকারের দায়িত্ব কী? প্রশ্ন, অভিবাসী শ্রমিকদের কতজন বাংলা থেকে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে গেছেন কাজের সূত্রে, এবং তার উল্টোদিকে বাইরের অন্যান্য রাজ্য থেকে কতজন বাংলায় এসেছেন কাজের খোঁজে?

    এই প্রশ্নের উত্তর কিছুটা পাওয়া যাবে ডিসেম্বর ২০২৪-এর – বিবেক দেবরয় ও দেবীপ্রসাদ মিশ্রার লেখা একটি গবেষণাপত্রে, যার শিরোনাম “Examining volume and directions of domestic migration in India using novel high-frequency data” (EAC-PM Working Paper No. 35/2024) (দেবরয় ও মিশ্রা’র (২০২৪)-কে সংক্ষেপে দে-মি-২৪ বলবো পরের অংশটুকুতে।) আমি সেই পেপার পড়ে যা-যা বুঝেছি তার কিছু এখানে লিখে রাখি, স্বীকার করে নিয়েই যে আমি অর্থনীতির ছাত্র নই, কাজেই কিছু ভুল ব্যাখ্যা করে থাকলে অগ্রিম ক্ষমাপ্রার্থী।

    যাই হোক, এই গবেষণাপত্রে দে-মি-২৪ শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশের অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের ছবিটি তুলে ধরেছেন। লেখকদের পর্যবেক্ষণ এই যে মোটের উপর, ডোমেস্টিক মাইগ্রেশন অর্থাৎ অভ্যন্তরীন অভিবাসন আগের থেকে কমেছে, আগের থেকে প্রায় ১১.৭৮% কমে এখন চল্লিশ কোটি, এবং অভিবাসনের হার কমে হয়েছে ২৮.৮৮%।
     
    এখানে দুটো কথা বলে নেওয়া দরকার। প্রথমত, ডেটা অর্থাৎ তথ্য-উপাত্তের সমস্যা। আভ্যন্তরীণ অভিবাসনের তথ্য-উপাত্ত মূলত আসে জনগণনা অর্থাৎ সেন্সস থেকে, যা হয় দশ বছরে একবার। আমাদের দেশের শেষ সেন্সস হয়েছিল ২০১১, ঠিক সময়ে চললে ২০২১-এ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু প্যানডেমিকের ফলে সেটি হয়নি। সেও অতীত আজ বেশ কয়েক বছর, এবং সরকারী দীর্ঘসূত্রিতার ফলে পরের সেন্সস হবে ২০২৬, ফল বেরুতে বেরুতে ২০২৭, আর তারও পরে সেই উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে আরও দেরি। অর্থাৎ, সেই ফল প্রকাশ হওয়ার আগেই কিঞ্চিৎ পুরানো। দ্বিতীয়ত, সেন্সসের সংজ্ঞানুযায়ী অভিবাসন বলতে, এক রাজ্যের মধ্যেই অভিবাসীও পড়েন, আবার এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যেও। আমাদের দেশে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে অভিবাসনের সংখ্যা চিরকাল-ই রাজ্যের মধ্যে অভিবাসনের চাইতে অনেক কম। উদাহরণ-স্বরূপ – ২০১১ সালের সেন্সাস অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের মোট অভ্যন্তরীণ অভিবাসীর মধ্যে ২ কোটি ৯০ লাখ রাজ্যের ভেতরেই (ইন্ট্রা-স্টেট) স্থানান্তর করেছেন; এদের বাদ দিলে ৪৩.৯৫ লাখ মানুষ অন্যান্য জায়গা থেকে বাংলায় এসেছেন (ইন-মাইগ্রেন্ট) এবং ২৪.৫০ লাখ মানুষ বাংলা থেকে অন্যান্য জায়গায় গেছেন (আউট-মাইগ্রেন্ট)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দে-মি-২৪-এর টেবল ৩-এ অন্য দেশ (লাস্ট রেসিডেন্স আউটসাইড ইণ্ডিয়া) এবং ‘আনক্লাসিফায়েড’ – এইরকম দুটি ‘অরিজিন’ বা উৎস আছে, এরাও ইন-মাইগ্র্যান্ট জনসংখ্যার অংশ। নিচের ছবিতে নেট = ইন - আউট হিসেবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের অবস্থানের একটা মোটামুটি ধারণা দেওয়া হ’ল। ছবির বাঁদিকে যেসব রাজ্য – মহারাষ্ট্র, দিল্লি – সেগুলি জনপ্রিয় গন্তব্য, তে অনেক বেশি লোক আসে কর্মসংস্থানের আশায়, আর বাঁদিকে যেগুলি সেগুলি জনপ্রিয় উৎস – উত্তরপ্রদেশ, বিহার।





    এবার আমরা এর মধ্যে থেকে পশ্চিমবঙ্গের অংশটুকুতে আলো ফেলব। পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসী এই আউট-মাইগ্র্যান্ট-রা, অর্থাৎ যারা আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা, কিন্তু কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে গেছেন তারা কোন-কোন রাজ্যে থাকেন? নিচের ছবিতে দিলাম প্রথম দশটি গন্তব্য। যে রাজ্যগুলিতে অত্যাচারের খবর পড়েছি তার সবকটিই এখানে উপস্থিত। এটিও সেন্সাস ২০১১-র ডেটা অনুযায়ী।



    আর ২০১১ অব্দি দেশের সামগ্রিক ছবিটা এইরকম – ১৯৯১, ২০০১, ও ২০১১ সালে, ভারতবর্ষের মধ্যে অর্থনৈতিক কারণে অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৬০ লক্ষ, ৩ কোটি ২৭ লক্ষ, এবং ৪ কোটি ৫০ লক্ষ, রাজ্যের মধ্যে, রাজ্যের বাইরে সব মিলিয়ে। এই সময়েই দেশের ওয়ার্ক-ফোর্স-ও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে, হিসেব কষলে দেখা যাবে, ২০০১ সালে ওয়ার্কফোর্সের ৮.১৫% ছিলেন অভিবাসী, ২০১১-তে সেটা বেড়ে হয়েছে ৯.৩৪%।
    ২০২৪-এ দাঁড়িয়ে কে কোথায়? এইটি মাপতে, দে-মি-২৪ তাই ব্যবহার করেছেন, তিনটি হাই-ফ্রিকোয়েন্সি (এবং ম্যাসিভ!) ডেটাসেট –
    ১) ভারতীয় রেলওয়ের আনরিজ়ার্ভড টিকিট সিস্টেম অর্থাৎ ইউ-টি-এস থেকে যাত্রীর সংখ্যা (যাতে প্রায় তিরিশ কোটি ডেটাপয়েন্টস) - আনরিজার্ভড টিকিট ব্যবহৃত হয়েছে ‘ব্লু কলার’ অভিবাসী-সংখ্যার প্রক্সি হিসেবে।
    ২) টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইণ্ডিয়া অর্থাৎ ট্রাই থেকে মোবাইল ফোন রোমিং-এর ডেটা, আর
    ৩) জেলাভিত্তিক ব্যাঙ্কিং ডেটা।

    বলাই বাহুল্য, এগুলি প্রত্যক্ষ সেন্সস ডেটার অভাবে অন্য সারোগেট/সাপ্লিমেন্টারি ডেটা থেকে অভিবাসন মাপার কাজে লাগবে, এবং এদের নিজস্ব সীমাবদ্ধতা আছে – যেমন ট্রেনের ডেটা স্টেশনভিত্তিক, শহরভিত্তিক নয় – যে ব্যক্তি থানেতে নামলেন, তিনি হয়তো যাচ্ছেন পুনে, আবার যিনি হাওড়া থেকে ট্রেন ধরলেন তার বাড়ি হয়তো অন্যত্র। তাছাড়া, উৎসবে-পার্বণের সময় ট্রেনযাত্রা বেশি হয়, যেমন হয় পারিবারিক অনুষ্ঠানে। এবং ট্রেনের টিকিটের তথ্যে বয়স-লিঙ্গ ইত্যাদি অমিল। তবুও, দে-মি-২৪, ২০১১ অব্দি পাওয়া ডেটায়, রিগ্রেশন লাইন টেনে দেখাচ্ছেন যে এই অসংরক্ষিত টিকিটের সংখ্যা অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের ‘রোবাস্ট প্রেডিকটর”। সেই ডেটা থেকে কী দেখা যাচ্ছে? প্রথম দশ স্টেট-টু-স্টেট রুটের মধ্যে পাঁচ নম্বরে বিহার -> পশ্চিমবঙ্গ। এবং, উল্লেখ্য ব্যাপার “যে রাজ্য থেকে” অর্থাৎ সোর্সের প্রথম দশে আসলে ৬টি রাজ্য – বিহার চারবার, উত্তরপ্রদেশ দুবার, আর গন্তব্য-রাজ্য দেখলে প্রথম দশে মহারাষ্ট্র ৩ বার, দিল্লি দুই। আবার গন্তব্য স্টেশন দেখলে ২০১২, ২০২৩ দুই বছরেই হাওড়ার র‍্যাঙ্ক তিন।



    এ ছাড়াও, দে-মি-২৪-এর গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছে ট্রাই-এর মোবাইল রোমিং ডেটা – অর্থাৎ ভি-এল-আর (ভিজ়িটর লোকেশন রেজিস্টার)। যে কোনো মোবাইল ডিভাইস একসঙ্গে একটিই ভি-এল-আরে কানেক্ট করতে পারে, এবং একসাথে একাধিক ভি-এল-আরে কারুর পক্ষে থাকা সম্ভব নয় – এই ভি-এল-আরের ভিত্তিতেই সার্ভিস প্রোভাইডার-রা বুঝতে পারেন একটি ডিভাইস ‘হোম’ অঞ্চলে না ‘রোমিং’। বলাই বাহুল্য, রোমিং-এর ডেটা আমাদের শুধুই জানাচ্ছে সেই সিমকার্ডটি কেনা হয়েছিল কোথা থেকে আর ব্যবহৃত হচ্ছে কোথায়। কিন্তু এই ডেটায় দিকনির্দেশ, কোথা থেকে কোথায়, নেই। এ ছাড়াও আরেকটি সমস্যা এই যে হয়তো অনেক অভিবাসী-ই গন্তব্যে পৌঁছে, সেইখানে একটি নতুন সিম কার্ড কিনে ব্যবহার করতে শুরু করেন - সেক্ষেত্রে তিনি অভিবাসী কিন্তু রোমিং ক্রাইটেরিয়ায় ধরা পড়বেন না। 
     
    ট্রাইয়ের রোমিং ডেটা থেকে দে-মি-২৪ মূলতঃ দেখিয়েছেন সিজ়নাল ভ্যারিয়েশনের খুঁটিনাটি। সংক্ষেপে বললে, ওদের সিদ্ধান্ত এই যে, এপ্রিল থেকে জুন মাসে এর মান সবথেকে বেশি, আর তার ঠিক পরেই নভেম্বর–ডিসেম্বরের সময়ে। এপ্রিল-জুন অর্থাৎ গরমকালে সম্ভবত অধিকাংশ পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফেরে। আর শীতকালের ‘পিক’ সম্ভবতঃ উৎসব বা বিয়ের মরসুমের যাতায়াতের জন্য, আর ঠিক এর পরেই, জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে কম।
    --
    দে-মি-২৪’এর হিসেব অনুযায়ী ২০১১-এর তুলনায় গোটা দেশেই অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের হার কমেছে, ওঁদের হিসেবে ২০২৩ সালে দেশে মোট অভ্যন্তরীণ অভিবাসীর সংখ্যা প্রায় আনুমানিক ৪০,২০,৯০,৩৯৬ – অর্থাৎ, ২০১১ সালের সেন্সাসে গোনা ৪৫,৫৭,৮৭,৬২১ জনের তুলনায় প্রায় ১১.৭৮% কম। ফলত ২০১১ সালে, যদি মাইগ্রেশন রেট হয়ে থাকে ৩৭.৬৪%, এখন তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৮.৮৮%–এ। কিছু সহজ-সরল জিনিষ ধরে নিলে, হিসেব কষে দেখা যাবে, পশ্চিমবঙ্গে এই হিসেব অনুযায়ী আউট-মাইগ্র্যান্টের সংখ্যা ২১.২১ লাখ। তারা ছড়িয়ে আছেন সারা দেশে।
     
    এবং সেই ২১ লক্ষ মানুষের বিপদে এই মুহূর্তে রাজ্যের অবদান একটি মাত্র হেল্প-লাইন!
     
    তবে, কয়েকটা কথা মোটামুটি পরিষ্কার করে বলে রাখা যায়। এক, ভারতের সর্বত্রই পরিযায়ী শ্রমিকদের আন্তঃরাজ্য অভিবাসন কম এটা ঘটনা, কিন্তু নেট মাইগ্রেশন বিচার করলে পশ্চিমবঙ্গ সবার পিছে, সবার নিচে এরকম ধারণাটি ভুল। বরং কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, অনেকটাই তার উল্টো। তবে, মনে রাখা দরকার একে দে-মি-২৪ বলেছেন, 'ব্লু কলার মাইগ্রেশন', অর্থাৎ, এই ছবি/রিপোর্ট থেকে স্কিলড লেবার বা 'দক্ষ শ্রমিকে'র অভিবাসন বোঝা যাবে না। তারা ঐ পেপারের, এবং এক-ই কারণে এই লেখাটির আওতার বাইরে।

    দুই, এই আতঙ্কের আবহাওয়ায় যদি অন্যান্য রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা শ্রমিকরা ফিরে আসতে থাকেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই তাদের জন্য তাদের রাজ্যে কাজের যোগান সুনিশ্চিত করার কিছুটা দায়িত্ব এসে বর্তায় রাজ্য সরকারর উপরেও। অতএব, এই অভিবাসী শ্রমিক, যাদের এমনিতেও সামাজিক সুরক্ষাকবচ বলে প্রায় কিছুই নেই, তাদের সংরক্ষণের দাবি অত্যন্ত ন্যায্য।
     
    তিন, ঠিক কতটা অত্যাচার হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপরে তার সম্যক ধারণা করার আশু প্রয়োজন। এ কথা প্রায় সমস্ত ক্রিমিনোলজিস্ট বা সমাজতাত্ত্বিক জানেন যে অভিবাসী জনতার উপরে সংঘটিত অপরাধের আণ্ডার-রিপোর্টিং-এর হার সবথেকে বেশি। ভেবে দেখুন, যে অসহায় শ্রমিককে রাত্রি দুটোয় পুলিশ এসে তুলে নিয়ে যায় বিনা অপরাধে, সে নালিশ করবে কার কাছে? আইন-প্রশাসন- কে তার পাশে? এই মুহূর্তে কেউ না।




    পুনশ্চ

    দে-মি-২৪ অর্থনীতির বিভিন্ন তত্ত্ব তুলে বুঝিয়েছেন কেন মানুষ অভিবাসী হয়? যেমন, যতজন লোক অন্য রাজ্যে গেছেন, তার সংখ্যা যদি অন্য রাজ্য থেকে আগত শ্রমিকের তুলনায় কম হয়, তার অর্থ “সাধারণভাবে” তার উৎস রাজ্যে অদক্ষ বা অল্প-দক্ষ শ্রমিকের কাজের অভাব মূল কারণ নয়, বাড়তি উপার্জনের আশা বা অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। অর্থনীতির তত্ত্ব বলে, মানুষ যখন লং-ডিস্ট্যান্স অর্থাৎ বাড়ি থেকে অনেক দূরে কোথাও গিয়ে বসবাস করতে আরম্ভ করে তার অধিকাংশ-ই হয় অর্থনৈতিক কারণে, তেমনি গ্রামের লোকের অভিবাসনের হার শহরের থেকে বেশি, এবং তার কারণ বাড়তি উপার্জনের আশা, সত্যিকারের বাড়তি উপার্জন নয়, এক্সপেক্টেড ইনকাম – অ্যাকচুয়েল ওয়েজ নয়। আবার কর্মক্ষম-বয়সের পুরুষের অভিবাসনের হার বেশি অন্যান্য ডেমোগ্রাফিক ক্যাটেগরির চাইতে। তেমনি লিউয়িস মডেলের তত্ত্ব বলে, শ্রমের প্রকৃতি কৃষিকাজ থেকে ক্রমশঃ বদলে যায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে, কম উৎপাদনক্ষমতা, কম শ্রমসাপেক্ষ ও কম মাহিনার থেকে বেশির দিকে।


    সূত্রঃ

    ১) Debroy, Bibek, and Devi Prasad Misra. "400 Million Dreams! Examining volume and directions of domestic migration in India using novel high frequency data." Indian Public Policy Review 6.1 (2025): 1-54. https://eacpm.gov.in/wp-content/uploads/2024/12/FINAL-Internal-Migration-Project.docx-Publication-Version.pdf
    ২) "রাজস্থানে গ্রেপ্তার বাংলার শ্রমিক, বসিরহাট সীমান্তে পে লোডারে তুলে বাংলাদেশে ছুড়ে দিল BSF!"  https://www.sangbadpratidin.in/bengal/worker-from-maldah-was-pushed-back-from-rajasthan-to-bangladesh/
    ৩) https://thewire.in/rights/you-speak-bengali-so-you-are-bangladeshi-muslim-families-ncr
    ৪) https://refugeewatchonline.wordpress.com/2025/07/13/framed-as-undocumented-denied-citizenship-rights-the-case-of-bengali-migrant-workers-in-india/ 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৬ জুলাই ২০২৫ | ১৬০৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • MP | 2409:4060:2d41:7209:d69d:590a:69bb:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২৫ ০৯:২৬732718
  • ভালো লিখেছেন l ধন্যবাদ l
  • | ২৬ জুলাই ২০২৫ ১৪:৫৬732721
  • খুব জরুরী লেখা ভাল লেখা। 
  • . | ২৬ জুলাই ২০২৫ ১৭:০৮732727
  • বাঙালিদের ওপর হিন্দুস্তানিদের বরাবরই রাগ। এখন চান্স পেয়ে অত‍্যাচার করছে। উড়িষ‍্যা এবং আসামে একাধিকবার বাঙালি খেদানো আন্দোলন হয়েছিল। ওরাও বাঙালিদের হিংসে করে।
  • যদুবাবু | ২৬ জুলাই ২০২৫ ১৮:৪৩732728
  • দ-দি,  ম্প - থ্যাংকু।
     
    .-দি - হ্যাঁ anti-Bengali sentiment ভারতের বহু জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে আছে বা ছিল। ভারতের বাইরেও, বর্মা মুল্লুকে। শুধু বিদ্বেষ না, ম্যাসাকার কতগুলো — নেলি, শিলাপাথর, খয়রাবাড়ী ... ইত্যাদি। এরা সবাই "হিন্দুস্তানি" নন, বিভিন্ন উপজাতিও এর মধ্যে শামিল। স্বাধীন ভারতবর্ষে বাঙালি বিদ্বেষের শেকড় কী ব্রিটিশ অপশাসনের এবং দেশভাগের অনেকগুলো পরিণামের একটা, সে জানি না। ইতিহাসের চলন যারা লক্ষ্য করেছেন ভালো করে তারা হয়তো বলতে পারবেন। 
     
    যদিও কারণ খোঁজার সময় বোধহয় এটা নয়। 
  • <> | 2405:201:802c:7858:5579:e454:3e98:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২৫ ২২:৫৯732732
  • মানুষকে সঙ্গে আধার নিয়ে ঘুরতে হয়, এখন। মূলতঃ মুসলমানদেরই করতে হত, যারা ঘুরে ঘুরে কাজ করে, পরিযায়ী শ্রমিক বা জিনিসপত্র বিক্রী করে। এখন বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে ঘুরতে হবে, যদি থাকে। এই ব্যবস্থা এখন সব বাঙালীদের করতে হবে। তারপর সঙ্গে উকিল নিয়ে ঘুরতে হবে।

    তারপরও, রাজস্থান থেকে লোককে তুলে পে লোডারে করে বাংলাদেশে ছুঁড়ে ফেলা হবে। কিন্তু সেলিম বা তিলোত্তমার মত লোকজন এসবেও বিশেষ কিছু দোষ দেখবেন না, রাজনৈতিক স্বার্থ বা শ্রেণীস্বার্থর জন্য। ওসব ছোট ঘটনা, কই কজনের বা হচ্ছে, বা সেটিং তত্ত্ব, এই হবে লাইন।

    ব্যাপার হল, না মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। সব মানুষে নেয় না। ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার পরেও মানুষের চূড়ান্ত অপমানের কথা বোঝে না।
  • ar | .***.*** | ২৬ জুলাই ২০২৫ ২৩:২৭732734
  • https://www.reddit.com/r/kolkata/comments/1m8twm2/ja_hochee_bhalo_hoche_na/

    সবাইকে কমেন্টগুলো পড়তে অনুরোধ করি। মধ্যবিত্ত-উচ্চ মধ্যবিত্ত বাঙালীর একটা বিরাট অংশ এই ড্রাইভকে (পড়ুন বংগালি খেদাও!!) সমর্থন করেন বলেই মনে হয়।
  • Souvik Deb | 2402:3a80:42f4:2652:678:5634:1232:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২৫ ২৩:২৮732735
  • আরো কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট যোগ করতে চাই:
    ১) মাঝে মাঝেই বলা হয় (এবং এইটা সত্যিইও) যে পশ্চিমবঙ্গে blue collar worker দের মজুরি দক্ষিণ ভারত অথবা পশ্চিম ভারতের থেকে কম। তাই বাঙালিরা মজুরির জন্য সেই সব রাজ্যে যাচ্ছে। তাহলে প্রশ্নটা জাগে বিহার/ ইউপির মানুষরা কি বোকা যে তারা দক্ষিণ ভারত অথবা পশ্চিম ভারতের না গিয়ে বাংলায় আসছে মজুরি করতে? 
    ২) উপরের পয়েন্টের সূত্র ধরেই বলা যায়, যেহেতু তাত্ত্বিক এবং প্রত্যক্ষভাবে আমরা সবাই দেখছি যে পশ্চিমবাংলায় হিন্দি বলয়ের থেকে প্রচুর মানুষ মজুরি করতে আসছে, তার মানে এই দাঁড়ায় যে তাদের জন্য কাজ আছে। মানে পশ্চিমবাংলায় অনেক কাজ আছে, কিন্তু বাঙালির কাজ নেই
    ৩) দ্বিতীয় নম্বর পয়েন্টের সূত্র ধরেই আর একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন। আজকাল প্রায় খবরের কাগজ অথবা বিভিন্ন জব পোর্টালে বাঙ্গালীদের কাজে না নেবার বিজ্ঞাপন অহরহ দেখা যাচ্ছে: Only non-Bengali candidates required, Only Hindi speaking candidates to apply, Only Marwari female candidates to apply. 
    এইটা আবার প্রমাণ করছে যে blue collar বাইরে white collar চাকরিতেও বাঙ্গালীদের না নেবার প্রবণতা বাড়ছে । এই সব কিছুই জাতিবিদ্বেষী ক্রাইম এর ভিতর পড়ছে কিন্তু মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত বাঙালি চুপটি করে বসে আছে। 
    বাঙালি জাতি রাজনৈতিক ভেদাভেদের উপর উঠে এই জ্বলন্ত সত্যগুলোকে আগে দেখুক এবং সামাজিকভাবে পর্যালোচনা করুক। আমরা কিন্তু একটা ভয়ংকর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
  • <> | 2405:201:802c:7858:5579:e454:3e98:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২৫ ২৩:৪৯732737
  • https://indianexpress.com/article/cities/delhi/we-are-indians-why-must-we-prove-it-again-men-quizzed-by-gurgaon-cops-during-verification-drive-10150347/

    রিপোর্টটায়, এক্জন নয় বছর ধরে গুরগাওতে, একজন ছোটবেলা থেকে। রেডিটে যারা কমেন্ট করছে তাদের থেকে বেশীদিনই হবে হয়ত।তাও দেখবেন, একজনকে ওখানকার লোকই সাহায্য করেছে।
     
     রেডিটের কমেন্টের মত কথা নিউ টাউনেও শুনবেন, ফ্ল্যাটবাসে বাংআলী অবাঙালীদের মধ্যে। চারদিকে অনেক মুসলমান দেখে, এরা তো সব বাংলাদেশী। অথচ রাজারহাট চত্ত্বরের গ্রামে মুসলমানরা কত, কদিনের সেসব তো এরা জানে না। আসলে এরাই তো সেখানে বহিরাগত।

    কথা হল সন্দেহ। এক্সপ্রেসের রিপোর্টে আছে, একজন বলেছে, সন্দেহে দৃষ্টিতে দেখা হত। বাঙালী (হিন্দু) হোক বা বাঙালী মুসলমান, সবাই সাসপেক্ট।
  • . | ২৭ জুলাই ২০২৫ ০১:১৭732741
  • বাঙালির কালেকটিভ মেমরি থেকে বাঙালি খেদানো ড্রাইভ গুলো কনভিনিয়েন্টলি মুছে ফেলা হয়েছে।
    নতুন প্রজন্মের শহুরে ছেলেমেয়েরা হিন্দি বলতে চায়, ওটাই কুল। রাজ‍্যের ভাষা বলতে রাজ‍্যের ভূমিসন্তানেরা অস্বীকার করছে। আজ থেকে নয়, এই ব‍্যাধি বহু বছর ধরে শুরু হয়ে এখন পেকে পুঁজ বের হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। যত জাতে উঠতে চায়, তত বাংলা না বলার এবং না বোঝার ভান করে এরা। সমস্যা গরীব মানুষের যারা বাংলা ভাষায় কথা বলে।
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:1de3:9506:21e2:***:*** | ২৭ জুলাই ২০২৫ ০৩:৫০732744
  • পশ্চিমবঙ্গ থেকে শ্রমিকরা শুধু যে বিজেপি শাসিত রাজ‍্যেই কাজ করতে যায় তেমন তো নয় মনে হয়, ভারতের অন‍্যান‍্য রাজ‍্যেও যায়। বিজেপি শাসিত নয়, এমন রাজ‍্য থেকে বাঙালী শ্রমিকদের বহিষ্কারের এবং অত‍্যাচারের হার কিরকম, এই বিষয়ে কি তথ‍্য রয়েছে? 
     
    ভারতে আন্তঃরাজ‍্য মাইগ্রেশন কম হওয়ার খবরটা ভাল মনে হল না, কারণ একটা ফেডারেটেড সিস্টেমে এক রাজ‍্য থেকে আরেক রাজ‍্যে মানুষ কাজ করতে যাবে, এইটাই বাঞ্ছনীয়। সেখানে মানুষগুলোকে অবর্ণনীয় কষ্ট করতে হবে কেন, এই প্রশ্ন তুলতেই হয়। প্রসঙ্গত, আপনাদের মনে থাকতে পারে দিল্লিতে করোনার সময়ে কীভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাধ‍্য করা হয়েছিল পায়ে হেঁটে ফিরতে, এবং তাঁদের গায়ে ক্লোরিন ব্লিচ মেশানো জল ছোঁড়া হয়েছিল। 
     
    এখন যেটা হচ্ছে, বাংলায় কথা বলার জন‍্য এদের বাংলাদেশী বলে দাগিয়ে নির্মম অত্যাচার করা হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে অন্তত আমরা যারা পৃথিবীর যেখানেই থাকি, নিজেদের বাঙালী বলে যদি পরিচয় দিই, আমরা যে যেখানে আছি, আমাদের প্রতিবাদ করা কর্তব‍্য। পড়ে খারাপ লাগছে যে এর পরেও কিছু সেলিব্রিটি এই তথ‍্য অস্বীকার করছেন। 
     
    এখানে আরো একটা প্রশ্ন ওঠানোর সঙ্গত যে যদি কেউ বাংলাদেশ থেকেও আসে এবং ভারতে কেউ তাকে কাজ করায় নিয়োগ করে, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক লেবার আইন অনুযায়ী নিয়োগকর্তা তার কর্মচারীর সুরক্ষা বন্দোবস্ত করতে বাধ‍্য। সমস্যা এখানে ঠিকাদারি আর অসংগঠিত শ্রমিকদের নিয়ে, ইউনিয়নের বিশেষ করে বাঙালী লেবার ইউনিয়নের নেতাদের এই নিয়ে কোন বক্তব‍্য আমার নজরে পড়েনি, আপনারা জানেন? 
    ভাষা এবং জাতিবৈষম‍্যের এই ব্যাপারটা আন্তরাজ‍্য মাইগ্রেশন  স্টাডি করে কতটা মাপা যাবে আমি নিশ্চিত নই, এবং টেলিকম সার্কেল বা সিম স্টাডি করে বলা সম্ভব নয়, কারণ dyad এর ডাটা পাওয়া যাবে না (লেখকদ্বয় দেখলাম স্বীকার করেছেন) । 
  • যদুবাবু | ২৭ জুলাই ২০২৫ ০৯:০৬732749
  • আপনারা সবাই অত্যন্ত মূলবান মতামত রেখেছেন, সেগুলি নিয়ে আমার খুব কিছু নতুন কথা বলার নেই। 
     
    রেডিট কমেন্ট, নিউটাউন কেন, আরও বহু জায়গায় এই বিশ্রী স্টিরিওটাইপ শুনি আর শিউরে উঠি। এর থেকে উত্তরণ/উদ্ধার আছে কি না জানি না। আমি নিজে রাইট-উইং প্রোপাগাণ্ডাকে এই আদারাইজ়েশন এবং ঘৃণার আবহাওয়ার জন্য দাবি করি, কিন্তু আমার এও মনে হয় যে দেয়ার ইজ় সামথিং ফাণ্ডামেন্টালি ব্রোকেন। সেটা কী আমি জানি না। 

    অরিনদাকে এটা বলার যে, আপনি যা বলেছেন - "একটা ফেডারেটেড সিস্টেমে এক রাজ‍্য থেকে আরেক রাজ‍্যে মানুষ কাজ করতে যাবে, এইটাই বাঞ্ছনীয়", আমি ১০০% সহমত। সংবিধানে আর্টিকল ১৯ বলে, All citizens shall have the right ... (e) to reside and settle in any part of the territory of India; (g) to practise any profession, or to carry on any occupation, trade or business. অর্থাৎ, এই যে অত্যাচার করা হচ্ছে বা ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেওয়া হচ্ছে, এগুলি অসাংবিধানিক। 

    আপনার শেষ কথাটির সাথেও (" যদি কেউ বাংলাদেশ থেকেও আসে") সহমত। 
     
    আন্তঃরাজ্য মাইগ্রেশন স্টাডি করে বৈষম্য বোঝা যাবে বলে আমারও মনে হয় না, NCRB-র ডেটাতেও  -- এই ক্যাটেগরি ধরা যায় কি না শিওর নই। এবং সে ডেটাবেস এমনিও কারেন্ট নয়। হয়তো, আইপিসি-র সেকশন 153A. Promoting enmity between different groups on grounds of religion, race, place of birth, residence, language, etc., and doing acts prejudicial to maintenance of harmony দেখলে হয়তো কিছুটা ধরা যাবে। এর পর ইচ্ছে আছে, এইরকম বিভিন্ন ডেটাসেট মার্জ করে (মাইগ্রেশন, লেবার ফোর্স পার্টিসিপেশন, এন-এফ-এইচ-এস, ক্রাইম ব্যুরো) একসাথে দেখার। হলে এখানেই লিখবো অবশ্যই। 

    এখানে যা ডেটা/কোড ইত্যাদি ব্যবহার করেছি সেগুলো এই রিপোজ়িটরিতে রাখা আছে, কেউ চাইলে দেখতে পারেন - https://github.com/DattaHub/migrantlabour
  • স্বাগত ব্যানার্জি | 2401:4900:3a06:e7b1:de45:c49e:6fba:***:*** | ২৭ জুলাই ২০২৫ ১২:১৯732751
  • দেমি২৪ তথ্যের অভাবে যে হাই ফ্রিকোয়েন্সি ম্যাসিভ ডাটা সেট ব্যবহার করেছেন (শুনেই ভয়ে গা শিউরে ওঠে) তাতে সত্য প্রতিফলিত হচ্ছে হয়তো: কিন্তু অভিজ্ঞতা নিম্নরূপ। আমার গ্ৰামে ও এতদঞ্চলে ২০১১  সালের পর থেকে ক্রমশ দিনমজুরের অভাব লক্ষনীয়। কোভিড পূর্ব  হতেই পুরুষের মধ্যে মূলতঃ মাতাল ছাড়া সুস্থ কর্মক্ষম পুরুষ দক্ষিণের রাজ্যে। আর কাতে পড়া মহিলা ছাড়া বাকিরাও দক্ষিণের রাজ্যে। নির্যাস ৪-৫% বর্ণ হিন্দু ২০% মুসলমান বাকি ৭৫% তফসিলভুক্ত প্রায় ২০০০জন জনসংখ্যার একটি গ্ৰামে শেষ ৭৫% এর ৫০ % ই ভিনরাজ্যে যাচ্ছেন। 
  • Swati | 2001:4490:4051:df60:e8d7:4af6:ed0e:***:*** | ২৭ জুলাই ২০২৫ ২০:১৮732762
  • https://www.mospi.gov.in/sites/default/files/publication_reports/Migration%20in%20India%20RL16082023.pdf

    এই লিংকে mospi  থেকে PLFS এর একটা 2020-21 সালের সার্ভে রিপোর্ট বেরোয় সেটাতে পাওয়া গিয়েছিল যে মোটামুটি এক লাখ চৌদ্দ হাজার মাইগ্র্যান্টদের মধ্যের সার্ভে তে পাওয়া গেছে যে অতীতে কখনো  বিদেশে থাকতেন আর অন্তত ছয় মাস জন গণনার জায়গায় থাকতেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা ওই মাইগ্র্যান্ট দের মধ্যে  0.7% । ধরে নেওয়া যেতে পারে যে এর মধ্যে ব্লু কালারর্ড জব বা পাতি শ্রমিক লাগভাগ  ০.6%. 

    ওখানে অবশ্য চেতাবনি দেওয়া আছে যে "Periodic Labour Force Survey (PLFS) is not specifically focused on generation of indicators relating to migration particulars and temporary visitors. The sample design is also
    not tailored to ensure netting adequate number of migrants / temporary visitors in the sample
    in different States/UTs."  বেশ তো গোটা ভারত এর ছবিই  দেখা যাক। এদিকে ভারতের জন সংখ্যার ২৮.৯% মাইগ্রেট করেন। তার মধ্যে 0.7%  তাহলে তো মোটে  ২৯ লক্ষ লোক বিদেশ থেকে আসা হয়। এবার পাঁচ কোটি বাংলাদেশী আর রোহিঙ্গা যদি এদেশে বেআইনী  অনুপ্রবেশ থাকে তাহলে তো PLFS সার্ভের তথ্য পুরো ভুল। আর কিনা সেই সব ভুল তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের পলিসি  নির্ধারণ হয় ! ছি ছি !
  • ar | .***.*** | ২৭ জুলাই ২০২৫ ২০:৩১732763
  • এসে গেছে বাংলাভাষী ধরার গাড়ি!! আমাদের ছেলেবেলায় পাড়ায় পাড়ায় কলিকাতা কর্পোরেশ্যনের "রাস্তার কুকুর" ধরার গাড়ি আসত, অনেকটা সেই রকম আর কি!! দ্য হিন্দুর একটা খবরে দেখলাম, মালদার এক শ্রমিক পরিবারের সদস্যকে বিএসফ বাংলাদেশে চালান করে দিয়েছে। তারা কালিয়াচক পৌরসভার ইস্যু করা জমির দলিল দেখিয়েছিলো। ১৯৫০ সাল থেকে সেই পরিবারটি কালিয়াচকের স্থায়ী বাসিন্দা!!

    https://www.reddit.com/r/kolkata/comments/1mahwuo/are_they_really_looking_for_illegal_bangladeshis/

    Are they really looking for 'illegal Bangladeshis' or just anyone who speaks 'Bengali'?
     
  • যদুবাবু | ২৭ জুলাই ২০২৫ ২২:০৬732769
  • @Swati দেখুন, পাঁচ কোটি শুনেই বোঝা যায় যে কিছু একটা গগনবিদারী নাম্বার বলে দিতে হবে বলে দিয়েছে, ঐ যেমন পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার ইকনমি, পনেরো লাখ টাকা। পাঁচ কোটি শুনলে যত লোক তাতানো যায়, পনেরো লাখ বললে কী ততটা হবে? একটা বিগ এনাফ নাম্বার বলে দিলেই লোকে হৈহৈ করবে, এমনিও ফ্যাক্টচেকিং বলে কিছু নেই পৃথিবীতে।

    কিন্তু এইটাও তো ভুলে গেলে চলবে না যে, মাইগ্রেশন একটা ন্যাচারাল ফেনোমেনন। কারুর লাস্ট রেসিডেন্স অন্য দেশ হোক না, তাতেই তো সে অবৈধ হয়ে যায় না! 

    তবে অনির্বাণদার আর্টিকলে খুব সুন্দর বোঝানো আছে কেন অনুপ্রবেশের মিথ একটি মিথ। নিচে অনেকেই এই নিয়ে সুন্দর আলোচনা করেছেন। 

    এদিকে, আমেরিকার ছবিটাও খুব আলাদা নয়, ডিউ প্রোসেসের কোনো নামগন্ধ নেই, রোজ-ই খবরে পাওয়া যাচ্ছে বৈধ নাগরিকদের 'ভুল করে' ধরে নিয়ে গেছে, ওদিকে অ্যালিগেটর আলকাট্রাজ় খুলে বসে আছে, আর সেনেট আনপ্রিসিডেন্টেড ফান্ডিং বরাদ্দ করেছে। (এখান থেকে প্রশ্ন আসে, আমেরিকায় একজন হিস্প্যানিক মানুষ যে রকম রেশিয়াল/এথনিক/লিঙ্গুইস্টিক প্রোফাইলিং-এর শিকার হচ্ছেন, ভারতে বাঙালিও কী সেই এক-ই বিপন্নতায় ভুগছেন বা ভুগবেন?)  
  • Sara Man | ২৭ জুলাই ২০২৫ ২৩:৫৯732775
  • আমার মনে একটাই প্রশ্ন, এই বাঙালি বিতাড়নে কেন্দ্রীয় শাসকদলের লাভ কী? 
    ১, ডবল ইঞ্জিন রাজ্য উন্নয়নে পিছিয়ে পড়ছে। কোটি কোটি বাংলাদেশী বাংলাভাষী গরিব মুসলমান তোমাদের কাজের সুযোগ মজুরি সব কেড়ে নিচ্ছিল। এইবার তাড়িয়ে দিলাম। হে রাজ্যের গরীব শ্রমিক গণ, তোমাদের "আচ্ছে" মজুরি পাবার দিন এল বলে । ওদের, এমন কড়কান দিলাম জীবনে আর এমুখো হবেনা। - এমন একটা মন বোঝানো গল্প খাওয়ানো যেতে পারে। 
    ২, আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা বলে যে বাঙালি মুসলমান শ্রমিকেরা অনেকেই নির্মাণ শিল্পী। পে লোডার দিয়ে যাকে ছুঁড়ে দেওয়া হল, সে যদি বেঁচে ফিরে আসে, তবে চারপাশের উঠতি তরুণ শ্রমিকেরা রাজ্যের ভেতরে কাজ খুঁজবে। রাজ্যকে টাকা না দিয়ে টাইট দিয়ে রাখা হয়েছে।‌ এবারে গরিবি থেকে অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়তে পারে। তখন কলার তোলা ভদ্রলোক খেপানো সুবিধে হবে।‌
    ৩। বাঙালি - অবাঙালি আঞ্চলিকতা বাড়িয়ে কিছু ডিসটার্ব করা যেতে পারে। 
     
    এখন এগুলো কি আমি ভুল ভাবছি? 
  • Swati Ray | 2001:4490:4051:df60:a8eb:bb2:a5a0:***:*** | ২৮ জুলাই ২০২৫ ০০:১৬732777
  • মাইগ্রেশন ন্যাচারাল তো বটেই  লাস্ট রেসিডেন্স অন্যত্র হলেও সে অবৈধ কিনা সেটা কোর্টে বিচার হোক ।এখন যা চলছে তা স্রেফ হিউম্যান রাইট ভায়োলেশন। ওই পে লোডারের কথা শুনে থেকে অবধি আমারই আতঙ্ক হয়ে যাচ্ছে !
  • পাপাঙ্গুল | 103.24.***.*** | ২৮ জুলাই ২০২৫ ০১:৩৩732779
  • একটা অন্য মেট্রিক - ভোটার লিস্টের সঙ্গে একশো দিনের জবকার্ড মিলিয়ে দেখলে কিছুটা বোঝা যেতে পারত বলে মনে হয়। 
     
    উত্তরপ্রদেশ বিহারে বর্গা হয়নি বলে ভূমিহাররাই এখনো বেশিরভাগ জমির মালিক। ফলে ভূমিহীনরা পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে যায়। পবতে উল্টো, জমি ভাগ হতে হতে সবার হাতেই হয়ত জমি আছে। কিন্তু ছোট জমিতে চাষ করলে খরচ ওঠে না ফলে পরিবারের একজন বা দুজনকে বাইরে পাঠিয়ে দেবার চল। ধান কাটা হয়ে গেলে তারা ছমাস বাদে ফিরে নিজের ছোট জমিতে হয়ত শীতকালে শাকসবজির চাষ করেন।
  • যদুবাবু | ২৮ জুলাই ২০২৫ ০১:৪৯732780
  • স্বাতী - হ্যাঁ, বেসিক হিউম্যান রাইট ভায়োলেশন। 

    শারদা-দি, একেবারেই এইগুলোই - বিশেষ করে (১) আর (২)-টা আমার-ও মনে হয়। যত দারিদ্র্য বাড়ছে, ইনইকুয়ালিটি বাড়ছে, ততো এইগুলো বাড়বে। বিজেপি (বা এদিকে রিপাবলিকান পার্টি) নিজেদের বেস কনসলিডেট করছে। 

    আর (৩)- দাঙ্গা হলেও বিজেপির সুবিধে, রাহিল ধাত্তিওয়ালা আর মাইকেল ব্রিগস একটি পেপারে দেখিয়েছিলেন যে, গুজরাটে যেখানে যেখানে বেশি দাঙ্গা হয়েছে, সেখানেই বিজেপির ইলেক্টোর‍্যাল মার্জিন বেড়েছে। ("The political logic is confirmed by analysis of the subsequent election: the BJP’s vote increased most in districts with the worst violence.")। 

    https://journals.sagepub.com/doi/pdf/10.1177/0032329212461125
  • অরিন | 119.224.***.*** | ২৮ জুলাই ২০২৫ ০২:১০732782
  • অনির্বাণ আর যদুর লেখাদুটো থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট হওয়া যে বাঙালী এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের লোকে দল বেঁধে ভারতে প্রবেশ করে বাংলাকে করিডোর বানিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ করছে। অনির্বাণ দেখিয়েছিল ২০১১র ডাটার,যদুবাবু আনলেন সেন্সাস নয় কিন্তু অন‍্য তথ‍্য । সহজ অপটু মডেলিং করলে দেখানো যাবে যে ২০১৪ পরবর্তী জমানাতেও অতিরিক্ত মাইগ্রেশন হয়ে যে মারাত্মক চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে এবং যার ভিত্তিতে বাংলাভাষীদের মারা হচ্ছে তার কোন ভিত্তি নেই। 
    অতএব এই গুজব ছড়ানোটা বন্ধ করা একটা দিক । 
    তার সঙ্গে আরেকটা ব্যাপার মনে রাখতে হবে এ ডাটা কিন্তু ইকোলজিকাল এ থেকে ব‍্যক্তিমানুষের রিস্ক কিছুই বলা যাবে না। মানে মনে করুন আমি একজন পরিযায়ী বাঙালী শ্রমিক উত্তরপ্রদেশে কাজ করি। আমাকে আটক করে বুলডোজারের ডগায় তুলে ছুঁড়ে ফেলার রিস্ক কতটা সে কিন্তু পেতে গেলে যে ধরণের তথ‍্যের প্রয়োজন তা কিন্তু যদুবাবু বা অনির্বাণের কথা‍্যে পাবেন না। 
    তার কিছুটা পাওয়া যাবে আমির বা দেবাশিস দাসের মত মানুষের সঙ্গে গভীর আলোচনার মাধ‍্যমে (কোয়ালিটেটিভ research)। না হলে এক শ্রেণীর মানুষ শুধু anecdotal তথ‍্যের ভিত্তিতে এই মানুষগুলোর হেনস্থাকে অস্বীকার করতেই থাকবেন। 
    মাইগ্রেশনের তথ‍্য প্রাসঙ্গিক, তথাপি বড় ছবিটা মাইগ্রেশনের নয়, মাইগ্রেশন পরবর্তী মানুষের হেনস্থার সমস‍্যা। কাদের হেনস্থা করা হচ্ছে, এই হেনস্থার কারণ ও তার প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করার পরিসর আছে, কিন্তু মাইগ্রেশন ডাটা নিয়ে পড়ে থাকলে মাতালের lamp post এর নীচে হারিয়ে যাওয়া চাবি খোঁজার কেস হবে। শুধু মাইগ্রেশন ডাটা দিয়ে পরিযায়ী মানুষের হেনস্থার তল পাওয়া যাবে না। 
  • অরিন | 119.224.***.*** | ২৮ জুলাই ২০২৫ ০২:১৩732783
  • "অনির্বাণ আর যদুর লেখাদুটো থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট হওয়া যে বাঙালী এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের লোকে দল বেঁধে ভারতে প্রবেশ করে বাংলাকে করিডোর বানিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ করছে" 
    পড়তে হবে, 
    "অনির্বাণ আর যদুর লেখাদুটো থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট হওয়া যে বাঙালী এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের লোকে দল বেঁধে ভারতে প্রবেশ করে বাংলাকে করিডোর বানিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ করছে, এই থিওরির কোন ভিত্তি নেই।"
     
    ফোনে লেখার এই সমস‍্যা। 
  • যদুবাবু | ২৮ জুলাই ২০২৫ ০২:৩৬732784
  • ঠিক, একদম-ই ঠিক। তবে, যারা অস্বীকার করছেন তারা এমন জায়গায় পৌঁছে গেছেন যে নিজের চোখের সামনে দেখলেও, বা নিজের কানে শুনলেও বিশ্বাস করবেন না। সে একরকম কগনিটিভ ডিজ়োন্যান্স। আর একদল আছে - তারা খুব ভালো করে জানেন কী হচ্ছে, জেনেই অস্বীকার করছেন। আমার মনে হয় একটা তৃতীয় দল হয়তো আছে, যাদের প্রমাণ দেখালে একটু নড়ে-চড়ে বসবেন। তবে সেই আশাও দিন-দিন কমছে। 

    আজকেই পড়লাম যে আসামে একজন ৭৫ বছর বয়সী ভদ্রলোককে (নিশিকান্ত দাস) ফরেন ট্রাইব্যুনাল বলেছে নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে। তিনি জমির দলিল, আধার কার্ড, ভোটার আইডি নিয়ে গেছেন, ট্রাইব্যুনাল সেগুলি রিজেক্ট করে বলেছে প্রমাণ করতে হবে সেই ভদ্রলোকের বাবা ভোটার ছিলেন। 

    এরকম বহু বহু কাহিনি ডকুমেন্টেড। কী লাভ হচ্ছে জানি না! 

    @পাপাঙ্গুল - অবশ্যই। নিশ্চয়ই যারা এসবে সিরিয়াস্লি কাজ করেন, কেউ এই ম্যাপিং-টা করেছেন, জানি না। অনির্বাণ-দা জানবেন হয়তো - উনি সত্যিকারের এক্সপার্ট। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:b116:2cb3:a285:***:*** | ২৮ জুলাই ২০২৫ ০৪:০০732785
  • আগে লেখা হয় নি। খুবই ভাল এবং জরুরী - মূল লেখা ও তা নিয়ে আলোচনা 
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৮ জুলাই ২০২৫ ০৪:৫১732786
  • কেউ কেউ পরোক্ষে পশ্চিমবঙ্গকে দায়ী করছেন। বলছেন অনুপ্রবেশকারীদের টেম্পোরারি জায়্গা দিয়ে রেশনকার্ড ভোটার-আইডি এইসব করিয়ে দেয় রাজ্যসরকার। তারপর সেইসব লোকেরা নাকি মহারাষ্ট্রে গুজরাটে উত্তরপ্রদেশে ইত্যাদি আরও বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে নানাবিধ ঝামেলা ঘটায়।
    ( ধরা যায় যে এই গল্পটাও খাওয়ানো হয়েছে উপরোক্ত মতপন্থীদের। )
  • অরিন  | 132.18.***.*** | ২৮ জুলাই ২০২৫ ০৭:৪৪732789
  • রাজ্য সরকার বড়জোর রেশন কার্ড ইসু করতে পারে , ভোটার আই ডি "ECI" এর দেবার কথা |
    গল্প খাওয়ার ফল যে কি মারাত্মক সে তো দেখাই যাচ্ছে |
  • . | ২৮ জুলাই ২০২৫ ১২:১৬732795
  • কেন জানিনা বেশ কিছুদিন ধরেই এই জিনিসটার সঙ্গে পাসপোর্ট বা আইডি কার্ডে J স্ট‍্যাম্প মেরে ডিপোর্ট করার ঐতিহাসিক ঘটনাবলির সঙ্গে মিল পাচ্ছি।
  • . | ২৮ জুলাই ২০২৫ ১২:২০732796
  • J স্ট‍্যাম্প মারা এবং বাঙালি ধরে ধরে চিহ্নিত করবার পেছনেও যুক্তির মিল রয়েছে। প্রায় পঁচাশি বছর পরে ইতিহাস আবার ফিরে আসছে এটা কিন্তু উপেক্ষা করবার বিষয় নয়।
  • ar | .***.*** | ২৯ জুলাই ২০২৫ ০৯:৫১732808
  • পঃবঃ-ভাজপা শাখার "ফাইন্ডিং বাংলাদেশী" লাইন!! উর্দু/পাঞ্জাবী= পাকিস্তানি বিষয়টি নিয়ে এখনও ভাবনা চিন্তা শুরু হয়নি!!!

    https://www.reddit.com/r/kolkata/comments/1maxbbc/bjps_official_message_every_bengali_is_a_suspect/
    BJP’s official message is loud and clear Every Bengali in India is a potential illegal Bangladeshi, unless they prove their innocence.
     
  • Anirban M | ২৯ জুলাই ২০২৫ ১১:৪৪732811
  • যদবাবু, লেখাটি চমৎকার। আমার কয়েকটা জিনিষ মনে হল। আলোচনাটা একটু দীর্ঘ বলে এখানে না লিখে আমার ব্লগেই লিখে দিলাম। লিঙ্ক এইখানেঃ https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=32813&shareit=true
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন