এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  স্কুলের খাতা

  • O SOJI ও ছোট্ট সে এক স্কুল।

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    স্কুলের খাতা | ১২ জুলাই ২০২৫ | ৩১১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • সে অনেক কাল আগের কথা। তখন আমি স্কুলের ছাত্র। আমাদের স্কুলের বাৎসরিক কর্মসূচিতে একটি বিশেষ দিনকে নির্দিষ্ট করা থাকতো বিদ্যালয় পরিষ্কারের জন্য। অবাক হলেন তো? না, না। একদম ঠিক পড়েছেন বা শুনেছেন – বিদ্যালয় সাফাই অভিযান। একেবারে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনের ঠিক আগের দিনটাকেই ঠিক করা ছিল এই বিশেষ কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য। নিজেদের স্কুল নিজেরাই যথাসম্ভব সাফসুতরো করে রাখবো – এই ছিল এমন কাজের নিহিত তাৎপর্য। যাইহোক এই দিনটি কীভাবে পালন করা হতো সে বিষয়ে দু একটা কথা একটু খোলসা করে বলি।
     
    নির্ধারিত দিনটিতে আমাদের রুটিন মাফিক ক্লাস বন্ধ রাখা হতো, তবে হাজির থাকতে হতো সবাইকেই। মূল দায়িত্ব দেওয়া থাকতো একটু উঁচু ক্লাসের ভাইদের ওপর। চিরকালই প্রতিটি স্কুলে কিছু কিছু করিৎকর্মা গোছের সর্দার পোড়ো থাকে। যেকোনো কাজেই তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। আমাদের সময়ের স্কুলেও তাদের কোনো অভাব ছিলোনা। আর তাছাড়া মাথার ওপরে থাকতেন আমাদের দাদা - দিদিরা। নিয়ম ছিল এরকম – প্রত্যেক ক্লাস তাদের ক্লাসঘর পরিষ্কার করবে , যেমন ফুলঝাড়ু দিয়ে ক্লাসঘরের ধুলো ঝাঁট দেওয়া, ঘরের আনাচে কানাচে জমা ঝুল সাফাই করা, যে বেঞ্চগুলোতে আমরা প্রতিদিন বসি সেগুলোকে ভালো করে ঝেড়ে জল ন্যাকড়া দিয়ে একটু মুছে ফেলা, বোর্ডগুলো ডাস্টার দিয়ে ভালো করে ঘষে পরিষ্কার করে, তাতে দু একটা ভালো কথা বা ফুলেল নকশা এঁকে রাখা ইত্যাদি ইত্যাদি। সাধারণ চোখে দেখতে গেলে খুবই সাধারণ কাজ, কিন্তু এসবের পেছনে গভীর ভাবনা কাজ করতো।
     
    নির্ধারিত দিনটি কাছে এলেই হৈ হৈ করে আমরা লেগে যেতাম কাজে। ছোট্ট স্কুল তায় ছোট ছোট ঘর, তুলনায় কাজ করতে উৎসাহী কর্মী মানুষের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। তাই এক‌ কাজ বেশ কয়েকজন কয়েকবার করে করতো। এরফলে একেবারে নিখুঁতভাবে পরিষ্কার করা হয়ে যেত সব। নিয়মিত ক্লাস ঘরগুলো সাফাই করার জন্য বাঁধা বেতনের সাফাইকর্মী ছিলেন বটে তবে আমাদের কাজের মধ্যে জড়িয়ে থাকতো এক অন্যরকম আবেগ, অন্য রকম নির্মিতির আভাস। একদিনের জন্য হলেও, নিজেরাই নিজেদের ঘরটাকে এভাবে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য বেশ তৃপ্তি বোধ করতাম। আমরাও পারি – এমন একটা বোধ আমাদের চাগিয়ে রাখতো বেশ কিছুদিন। বাড়িতে ফিরে এসব কথা মাকে বললে তিনি খুব খুশি হতেন এই ভেবে যে, পুঁথির পড়ার সাথেসাথে জীবনের শিক্ষাতেও আমরা বেশ পারঙ্গম হয়ে উঠছি। গায়ে ধুলোবালি মাখামাখি হচ্ছে জেনেও কোনোদিন বকাঝকা করেন নি তিনি।  
     
    এমনধারার শিক্ষা কি একান্তই আমাদের নিজস্ব উদ্ভাবন ছিল? সে কথায় অবশ্যই আসবো। তবে তার আগে একবার কাতার থেকে ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবো আপনাদের সঙ্গে। ২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর পাতা হয়েছিল কাতারে। ওই বছর ২৩ নভেম্বর তারিখে গ্রুপ লিগের খেলায় পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল খেতাব জয়ের দৌড়ে হট ফেভারিট জার্মানি এবং এশিয়ার প্রতিনিধি জাপান। সবাই ভেবেছিল জার্মান বাহিনীর প্রেসিঙ্ ফুটবলের চাপে নুইয়ে যাবে দ্বীপরাষ্ট্রটি । কিন্তু ফল হয়েছিল উল্টো। অনমনীয় দৃঢ়তা দেখিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেদিনের সেই ম্যাচ ২ –১ গোলে জিতে গেল জাপান। দলগত সংহতি আর হার না মানা অবিচল মনোভাবের জোর তো কম নয়!
     
    জাপানিদের আসল খেলা শুরু হলো তারপর। কিছুসময়ের মধ্যেই গোটা স্টেডিয়াম ভরে উঠলো শূন্যতায়। পড়ে রইলো নীল রঙের জার্সি গায়ে দেওয়া কঠোর নিয়মানুবর্তিতায় বিশ্বাসী এই প্রজন্মের কয়েকজন বিশ্বস্ত সামুরাই। ভাবছেন তো কী করলো তাঁরা? মুহূর্তের মধ্যেই তাঁদের দস্তানা শোভিত হাতে উঠেছে বড়ো বড়ো বিন ব্যাগ– আবর্জনা সংগ্রহের জন্য। ব্যস্ত হাতে কুড়িয়ে নিল সমস্ত আবর্জনা, জল আর পানীয়ের ফাঁকা বোতল, খাবারের বর্জিত শেষাংশ – আরও কত কি ! এরমধ্যেই মাঠ সাফাইয়ের কাজে নেমে পড়েছে দায়িত্বে থাকা সংস্থার সাফাই কর্মীরাও। তারা তো বিলকুল হতবাক। কস্মিনকালেও তারা এমন বিরলতম দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেনি। সকলে সোৎসাহে কাজে নামায় সুবিশাল খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম ঘন্টা খানেকের মধ্যেই ঝকঝকে তকতকে। শুধু একবার নয়, একাধিকবার এমন বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জাপানের মানুষেরা। সারা দুনিয়া প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছে নিপ্পনের মানুষদের। কেন এমন করো তোমরা? — প্রতিবারই একগাল হেসে তাঁরা সবিনয়ে উত্তর দিয়েছে – “আমরা তো এমনধারার শিক্ষাই পেয়েছি বাড়িতে এবং স্কুলে। নোংরা আবর্জনা দেখলেই আমাদের ওসোজির কথা মনে পড়ে। আমরা সবাই নেমে পড়ি পরিষ্কার করার কাজে। এই কাজে আমরা আনন্দ পাই।”
     
    খানিক আগেই ছুটির ঘন্টা বেজেছে স্কুলে। স্কুলের সামনে ইতস্তত বিক্ষিপ্তভাবে অপেক্ষা করছেন কিছু অভিভাবিকা। তাঁরা জানেন ছেলে মেয়েদের বাইরে আসতে এখনও ঢের সময় বাকি । আর হয়তো তাই ঘন্টার আওয়াজ শুনেও তাঁদের মধ্যে কোনো হামলে পড়া হুড়োহুড়ি নেই। তাঁরা জানেন তাঁদের সন্তানরা এখন নিজেদের স্কুল, ক্লাসঘর সব পরিষ্কার করছে। না না, আপনারা কেউই ভুল পড়েননি বা আমিও ভুল কিছু লিখিনি। জাপানে এমনটাই দস্তুর । দিনের পঠনপাঠনের পাট মিটে গেলে তাঁরা সবাই স্কুল বাড়ি সাফাইয়ের কাজে নেমে পড়ে। এই বিশেষ ব্যবস্থাকে জাপানে O SOJI বলা হয়। ক্লাস শেষের পর বাড়ি যাওয়ার তাড়া নেই, কতক্ষণে কোচিং সেন্টারে গিয়ে পৌঁছবে তার জন্য হাকুপাকু করা নেই ; পরম নিশ্চিন্তে ক্লাসঘর পরিষ্কার করে, জমা হ‌ওয়া সমস্ত আবর্জনা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে, খেলার মাঠ, জমায়েতের হলঘর সব জায়গা ঠিকমতো সাফাই করে প্রতিদিন তাঁরা ওসোজি কর্মসূচি পালন করে। এরপর হাতমুখ ধুয়ে তাঁরা চলে যাবে নিজেদের পছন্দের স্কুল ক্লাবে। সেখানেও চলবে আর‌ও এক আশ্চর্য নির্মিতির পর্ব। এমন নিমগ্নতার কারণেই জাপানি মানুষেরা আবর্জনায় ভরে ওঠা গোটা স্টেডিয়াম পরিষ্কার করতে একটুও দ্বিধা করেনা।*
     
    আজকের অত্যাধুনিক জাপানের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক যাপনের প্রেক্ষাপটে এমন একটা অনন্য অভ্যাস গড়ে ওঠার পেছনে এক আকর্ষণীয় ইতিহাস রয়েছে । একসময় জাপানে বৌদ্ধ ধর্মদর্শন প্রসার লাভ করেছিল। পাশাপাশি জাপানের আদি শিন্তো ধর্ম দর্শনের চিন্তা ভাবনার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে এই দ্বীপ রাষ্ট্রের আবাসিকদের চিন্তায় ও কর্মে।এই দুই ধর্মেই পরিচ্ছন্নতা, প্রকৃতি ও মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সামাজিক ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালনকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছে। এই ধর্মীয় সংস্কৃতির প্রভাবে জাপানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গড়ে উঠেছে বৃহত্তর সমাজের প্রতি এক গভীর দায়িত্বশীলতা এবং কর্তব্যপরায়ণতা বোধ। প্রাচীনতার দোহাই দিয়ে এইসব চিন্তা ভাবনা তথা শিক্ষাকে জাপানের মানুষ কখনও নেতিবাচক বা বস্তাপচা সাবেকি ভাবনা বলে মনে করেনি বরং তারা এগুলোকে সাদরে গ্রহণ করেছে সমাজের সর্বস্তরে, বিশেষ করে ছাত্রদের মধ্যে গভীর নিয়মানুবর্তিতা ও সহযোগিতার ভাবনাকে ছড়িয়ে দেবার জন্য। খালি নিয়ম পথে চলার নীরস মৌখিক নীতিমালার আলোচনা নয়, তাকে কাজের মধ্য দিয়ে আত্তিকরণ ও রূপায়িত করার কথা ভেবেছে তাঁরা। আর তার ফলেই আজ‌ও জাপানি মানুষেরা নির্দ্বিধায় মাঠের ময়লা পরিষ্কার করতে পিছপা হয় না , স্কুল ছুটির পর ক্লাস ঘর, স্কুল বাড়ি পরিষ্কার করার কাজে মেতে ওঠে সানন্দে। তাঁদের অভিভাবকরা জানেন স্কুল থেকে পাওয়া এইসব অমূল্য যাপন শিক্ষাই তাঁদের সন্তানদের ভাবী কালের চলার পথকে নির্বিঘ্ন করবে, কুসুমাস্তীর্ণ করবে। হয়েছেও তেমনটাই। সবকিছুকেই ভালোবেসে, আনন্দের সঙ্গে করা হলে তা নির্মাণের শ্রেষ্ষ্ঠতম পন্থা হিসেবে মান্যতা পায়। দশে মিলি করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ – এই দর্শন তো আমাদের‌ই।
     
    আজ এতো বছর পরও আমার স্কুল জীবনের সেই আশ্চর্য নির্মাণের ইতিকথা হৃদয়ের তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে সুখ জাগানিয়া সুর তোলে। এখন আমার রোমন্থনের সময়। তাই সেই কাজেই সময় কেটে যায় নিস্তরঙ্গ শান্ত নদীর মতো। মাঝেমধ্যে বিস্মিত হ‌ই একথা ভেবে যে , আজ থেকে ছয় দশক আগে একটা অখ্যাত,অনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার নবীন শিক্ষার্থীদের এমন প্রাণবান, কার্যকর শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে পেরেছিল, চলতি সময়ের গতানুগতিকতা থেকে আলাদা করে দেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমরা জাপানের ওসোজির কথা জানতাম না। না জেনেও তেমন ভাবনায় রাঙিয়ে নিতে পেরেছিলাম আমাদের সুদূর পিয়াসী মনকে। পুঁথির শিক্ষার পাশাপাশি এই ধারার সাবলম্বনের শিক্ষার‌ও প্রয়োজন আছে। গুরু শিষ্যের যৌথ সাধনা উভয়ের জীবনকেই পূর্ণ করে, ঋদ্ধ করে। এমন কাজের মধ্য দিয়েই তা পরিপূর্ণ ভাবে সম্ভব। আমরা কি আবারও সেই সাধনায় ব্রতী হতে পারিনা ?
     
     
    গুরু পূর্ণিমা 
    ২৫ আষাঢ়,১৪৩২ বঙ্গাব্দ 
    জুলাই ১০,২০২৫.
     
     এখানে ক্লিক করুন। বিস্মিত হবেন।
     https://g.co/kgs/3RX3cDS
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • স্কুলের খাতা | ১২ জুলাই ২০২৫ | ৩১১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    চরকি - Suvasri Roy
    আরও পড়ুন
    দহন - Manali Moulik
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Anirban Ray | 157.4.***.*** | ১২ জুলাই ২০২৫ ২২:৩১732395
  •  এক্কেবারে time travel হয়ে গেলো দাদা . স্কুলের সেই দিনগুলো যেমন  ভেসে উঠল , যদিও এতটা আমাদের সময় হতো না ।....তবুও যা হতো , তাই বা কম কি ।.....সেইসঙ্গে Japan এর বিশ্বকাপের সেই খেলার দিনগুলো ও চোখে ভেসে উঠলো . খুব ভালো লাগল . যেটা দমদম কিশোর ভারতী শুরু করেছিল সেটা বিদেশে ও চলেছে আর সেটা গোটা বিশ্ব স্বীকৃতি দিচ্ছে . হোক না হয় , আমাদের স্কুল স্বীকৃতি পেলো না , আমরা তাতেই খুশি . যদি  এই পরম্পরা বজায় থেকে , সেটি আসল স্বীকৃতি .
  • Dipanjan Das | 24.16.***.*** | ১৩ জুলাই ২০২৫ ০১:০২732396
  • একেবারে সেই স্কুল এর দিনগুলো ফিরিয়ে দিলেন দাদা আপনি। এরকম কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে আমার ছোট্ট স্কুল  কিশোর ভারতীর সাথে 
  • Skm | 2607:fb91:2ca2:c90c:ad2:5157:b0d5:***:*** | ১৩ জুলাই ২০২৫ ০৪:৪১732398
  • আমাদের গ্রামের  প্রাইমারী  স্কুলে  মন্ত্রী  সিস্টেম ছিলো . প্রাধানমন্ত্রী স্বাস্থ মন্ত্রী কৃষ্টি মন্ত্রী খেলার মন্ত্রী  আবহায়া মন্ত্রী। মন্ত্রীরা সব ওদের  বিভাগ অনুযায়ী কাজ  করতো। স্কুলে সব ছাত্র এর সাস্থ দেখতো বাগান করতে হতো। আবহায়া খবর  দিতে হতো। নিয়ম কোরে বিভন্ন খেলা হতো। 
  • রাজীব দাশ | 202.142.***.*** | ১৩ জুলাই ২০২৫ ১২:১২732401
  • Khub সময়উপযোগী 
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:1079:9335:8000::***:*** | ১৩ জুলাই ২০২৫ ১২:৫৪732404
  • শৈশবে ফিরিয়ে দিলেন।কিশোর ভারতী , জাপান,বিশ্বকাপ মিলে অনবদ্য।
     
    প্রাথমিক স্কুলে কাজটি নিয়মিত করতে হতো। না আপনার স্বপ্নের কিশোর ভারতী নয়  সামান্য একটি গ্রামীন স্কুলে একটু অন্যভাবে নিয়মিত করতাম এই কাজ।এখনও চলছে । ক্ষেত্র ও অবস্থানের  পরিবর্তন হয়েছে।তবে মোটিভেট করাটা ক্রমশ কঠিন হচ্ছে।আসলে সমাজ ও পরিবার এইসব কাজকে হীন দৃষ্টিতে দেখলে কাজ করানো কঠিন হয়ে পড়ে। শহুরে স্কুলে এসবের গল্প নেই অবশ্য।
  • সৌম্যদীপ সাহা রায় | 2405:201:8012:30e7:c8b2:d728:3496:***:*** | ১৩ জুলাই ২০২৫ ১৭:২৬732406
  • এ জন্যই দমদম কিশোর ভারতী সেরা স্কুল। খুব ভালো লাগলো লেখাটি।  
  • Sugata Bhattacharjee | ১৪ জুলাই ২০২৫ ১৯:৪৫732417
  • আমি গর্বিত যে আমি এই স্কুল এর প্রাক্তনী। স্কুলজীবন টা আপনাদের জন্যেই আমাদের এত সুন্দর ছিল দাদা।। এই শিক্ষা টা যদি সব স্কুল আয়ত্ত করতে পারে তবে সত্যিই আমাদের দেশ টা বদলে যাবে। 
  • সুস্মিতা মন্ডল | 2409:4088:9bb3:2ff5::fc9:***:*** | ১৫ জুলাই ২০২৫ ১২:২৫732424
  • আমাদের ছোটবেলায় সমাজসেবা বলে একটা বিষয় ছিলো যেখানে ক্লাসরুম,স্কুল পরিষ্কার করা হতো শুধু তাই নয় নিজেদের জুতো জামা ,এমনকি শরীরের পরিচ্ছন্নতাও বজায় রাখতে শেখানো হতো , পরীক্ষার দিন কম্পিটিশন চলতো কার কেডস্ কত পরিস্কার। পাশাপাশি ছিলো বিভিন্ন মণীষীদের জীবনী।কত ভালো ছিলো যা আজ বুঝি ,আজ বড়ই অভাব বোধ করি জীবনের শিক্ষার। আপনার লেখা পড়তে পড়তে সেই দিন গুলো য় চলে গেলাম ।বদলেছে শিক্ষা ব্যবস্থা বদলেছে অভিভাবকদের মনোভাব। আমাদের শিক্ষা এখন ব্যাকডেটেড
  • DrSouravM | 2401:4900:7435:3648:3deb:6afe:b7e1:***:*** | ১১ আগস্ট ২০২৫ ১৩:৩৫733200
  • Even the north east India is equally clean due to the mentality of the inhabitants... we will not stay clean until the mindset on cleanliness of the whole population is upgraded. Otherwise one will clean the school and its premises and a man passing by will paint the wall with "khyak thoo"-ing bolo zubaan kesari while urinating in the open drain openly...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন