এই সাইটটি
বার পঠিত
অবশেষে এসে পড়েছে গুরুর নিজস্ব ঠেক ও ঠিকানা - ১৫ বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার! ফোন/ হোয়াটসঅ্যাপঃ +৯১৯৩৩০৩০৮০৪৩
- হরিদাস পাল আলোচনা বই
-
আফগানিস্তান
দ লেখকের গ্রাহক হোন
আলোচনা | বই | ২২ জুন ২০২৫ | ৬৭৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৮ (৪ জন) - ৮ খানা নানারকম বই | বাঁকাউল্লার দপ্তর | A Time of Madness - Salman Rashid | In Freedom's Shade - Anis Kidwai | রক্তের অক্ষর - রিজিয়া রহমান | Remnants of a Separation | হেনরিদ্বীপের পরণকথা | রৌরব - হেলফায়ার | ভ্রমণসমগ্র - মোহনলাল | লবণাক্ত | খন্ডিতার বিশ্বদর্শন | চরের মানুষ | মানসাই | মিশন পৃথিবী | নারীসাক্ষ্যে জেনোসাইড | কাশ্মীর রাজনৈতিক অস্থিরতা গণতন্ত্র ও জনমত | মেঠোবই – বাঙলার জীববৈচিত্র্য | হাঁটার গল্প | অর্থম অনর্থম | বৃষ্টিজাতক | আফগানিস্তান#মাসকাবারি_বইপত্তর আফগানিস্তান
আফগানিস্তান দেশটার সাথে আমার কিছুকিঞ্চিৎ পরিচয় সৈয়দ মুজতবা আলির ‘'দেশে বিদেশে’র মাধ্যমে। মুজতবা গিয়েছিলেন বিশ শতকের তৃতীয় দশকে। তারপরে পড়েছি খালিদ হোসেইনি। মধ্যের সময়কাল নিয়ে আর কিছু পড়ি নি। সম্প্রতি পড়লাম রামনাথ বিশ্বাসের আফগানিস্তান। ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাস, সাইকেল চড়ে ও পায়ে হেঁটে ঘুরে বেরিয়েছেন প্রায় গোটা দুনিয়া। চীন সম্পর্কে তাঁর খান তিনেক বই আছে, আফ্রিকা সম্বন্ধেও আছে বেশ কয়েকটা। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে তো বেশ কিছু বই আছেই। এসব জায়গায় গেছেন একাধিকবার। আফগানিস্তান তিনি একবারই গিয়েছিলেন, ১৯৪০ নাগাদ।
শ্যামসুন্দর বসুর ‘'রামনাথের পৃথিবী’ বইতে তাঁর চীন ভ্রমণকালে রামনাথের সাথে মাও সে তুঙের এক গোপন মিটিঙের বিবরণ আছে। আফগানিস্তান বইয়ের ভূমিকায় শ্রী রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য লিখেছেন “২৬শে জানুয়ারি ১৯৪১এ গোপনে অন্তর্ধানের আগে রামনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু কাবুলের খবরাখবর নেওয়ার জন্য - এমন একটি কথাও চালু আছে।” এই দুটোর কোনটার পক্ষেই কোন নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ নেই। কিন্তু ব্যক্তি রামনাথ ও তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী সম্পর্কে আগ্রহ জাগানোর জন্য যথেষ্ট। পরাধীন ভারতের অধিবাসী রামনাথ আফগানিস্তানকে ভারতের অংশ ধরে নিয়ে সেখানে নিজের পরিচয় দিয়েছেন বাঙালি বলে, ভারতীয় নয়। যেমনটা আমরা অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে বলে থাকি।
ভারতের অংশ কেন ভেবেছেন সেই কারণ স্পষ্ট করে লেখা নেই, তবে আফগানিস্তান এক স্বাধীন দেশ, বাসিন্দাদের সাম্রাজ্যবাদের প্রভাবমুক্ত সম্পূর্ণ স্বাধীন চলাফেরা, চিন্তা ভাবনা তাঁকে মুগ্ধ করেছিল তা বোঝা যায়। এইটা আমার কাছে একটু কন্ট্রাডিক্টারি অদ্ভুত লেগেছে। একইসাথে আফগানদের স্বাধীন এবং নিজেকে পরাধীন ভাবছেন আবার নিজেকে ভারতীয় বলে পরিচয় দিচ্ছেন না। বইতে চারখানা অধ্যায়। কাবুলের পথে, কাবুল, গজনী আর কান্দাহার। কাবুলের পথে অধ্যায়ে জানতে পারি কতগুলো সম্প্রদায় মিলে আফগান জাতি, সব সম্প্রদায় একই ধর্ম অনুসরণ করে না। এমনকি একই সম্প্রদায়ের মধ্যেও আলাদা আলাদা ধর্ম আছে। যেমন হিলজাই সম্প্রদায়ে হিন্দু মুসলমান দুইই আছে।
স্বগ্রামে এরা হিন্দু বা মুসলমান হিসেবে পরিচিত হয় কিন্তু বাইরে, বিশেষত বিদেশে এরা হিলজাই তথা আফগান। রামনাথ বলছেন আমাদের দেশে যত কাবুলিওয়ালা দেখতে পাই তাদের মধ্যে অনেক হিন্দুও থাকে। কিন্তু আমরা তাদের সবাইকেই পাঠান ও মুসলমান বলেই জানি। এটা রীতিমত চমকে দেবার মত তথ্য। আগে কোথাও পড়েছি বলে মনে পড়ছে না। দেশরক্ষার্থে সব সম্প্রদায় থেকেই সেপাই পাঠাতে হয়, সেখানে হিন্দু মুসলমান বলে আলাদা কোন কোটা নেই। সরকার সম্প্রদায় প্রতি সেপাই সংখ্যা জানিয়ে দেন, সম্প্রদায়ের মন্ডল সেই সংখ্যক সেপাই পাঠিয়ে দেন।
এখানে উল্লেখযোগ্য হিন্দুরা অনেকসময়ই নিজেরা সেপাই হতে চায় না, লোক ভাড়া করে পাঠিয়ে দেয়। এই ভাড়াটে সৈন্যরা যেমন সরকার থেকে বেতন পায় তেমনি আবার যে পরিবারের হয়ে ভাড়া খাটছে তাদের থেকেও বেতন পায়। যদিও এই ভাড়াটে সৈন্যদের মধ্যে একধরণের ভীত সঙ্কুচিত ভাব লক্ষ করেছেন লেখক। পরে ডাক্কা নামের একটা ছোট গ্রামে লেখক রাত্রিবাস করেন। তখন আফগানিস্তানের প্রতি গ্রামেই একটা করে থানা ছিল, থানার দারোগা যাঁকে কুমিদান বলে, তাঁর বাসায় রাত্রিবাসের জন্য যান লেখক। অতি সমাদরে গৃহীত হন সেখানে।
কুমিদানের কাছে খবর নিয়ে গ্রামের হিন্দুদের অবস্থা দেখতে ও পরিচিত হতে যান। ফিরে আসেন অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে। তাঁর ভাষায় “ আমি গিয়েছিলাম, এখানকার হিন্দুরা কেমন করে ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলেছে তা দেখতে। যদি দেশে গিয়ে বলতে পারি নতুনের প্রতি সম্পূর্ণ বিমুখ হয়ে শুধু পুরাতন আচার- পদ্ধতি আঁকড়ে ধরে থাকলে কী করে একটা জাত ধরাপৃষ্ঠ থেকে বিলুপ্ত হতে থাকে, তবে হয়ত তাতে হিন্দুস্থানের হিন্দুদের উপকার হতে পারে। এই হতভাগারা টাকার কুমীর, অথচ কৃপণ। ওরা নিজেদের স্বাস্থ্যের জন্যও টাকা খরচ করে না, টাকা খরচ করে স্বর্গে যাবার জন্য। এদের মুখে হাসি নেই, এরা অতিথি দেখলে ভয় পায়। এদের এই অবস্থা মরবার পূর্বলক্ষণ ছাড়া কিছু নয়।”
এই ডাক্কা গ্রামেই রামনাথ লক্ষ করেন হিন্দু বাসিন্দাদের মনস্তুষ্টির জন্য কোন মুসলমান গ্রামের ভিতরে গোহত্যা করে না। আফগানদের সম্পর্কে দেশ থেকে শুনে আসা সাংঘাতিক সব মিথ্যা গল্পকথা মনে করে তাঁর বড় লজ্জা করে। আবার গজনীর কাছাকাছি একটি গ্রামে দেখেছেন হিন্দুদের।প্রতি তীব্র বিরাগ। সেখানে প্রতি শীতে প্রবল তুষারঝড় বয়। এতে গ্রামের বহুলোক মারা যায় প্রতিবারই। অল্প কয়েকঘর হিন্দু বেঁচে যায়। কারণ তাদের বাড়িগুলো পাথরের তৈরী। তো তুষারঝড় আটকাতে মুসলমানরা কেন পাথরের ঘর বানায় না? উত্তরে জানেন হিন্দুরা বানায় বলেই তা বারণ করেছে কোনো মোল্লা।
গজনীর আশেপাশে সুলতান মামুদের কবর ও আরো কিছু স্মৃতিচিহ্ন ঘুরে দেখেন লেখক। এখানে একটা বেশ উঁচু স্তম্ভ দেখিয়ে স্থানীয়রা জানায় ভারত জয় করে ফিরে মামুদ এটা বানিয়েছিলেন। যদিও স্তম্ভের গায়ের চিত্রকলা দেখে লেখকের মনে হয়েছিল সেটাতে দ্রাবিড়সভ্যতার ছাপ স্পষ্ট, আরবীয় প্রভাবের কোন চিহ্ন নেই। কান্দাহার থেকে কিছুদূরে এক পাহাড়ে উপরে সুবিশাল এক বুদ্ধমূর্তি দেখতে যান রামনাথ। সে মূর্তির মুখের অংশ বেশ খানিকটা ভাঙা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে জানতে পারেন শঙ্করবাদের প্রচার হবার পরে মুর্তির মুখ নষ্ট করে দেওয়া হয়। পরে ইসলামের প্রচারের পর আরো খানিক ভাঙা হয়।
মূর্তিটা ভাল করে দেখে পাহাড় থেকে নেমে আসার পর কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা, যাঁরা এতক্ষণ নীচে দাঁড়িয়ে লেখককে লক্ষ করছিলেন, জিজ্ঞাসা করেন এই মূর্তিতে কী আছে? এটা কি ভুত? আফগান সরকার এটাকে এখনো রক্ষা করছে কেন? তো বিবরণ পড়ে মনে হচ্ছে এটাই বামিয়ানের বিখ্যাত বুদ্ধমূর্তি। কিন্তু কান্দাহার থেকে বামিয়ানের দূরত্ব দেখছি প্রায় ৬০০ কিলোমিটারের মত। নেহাৎ কাছে তো নয়। যাই হোক যেটা লক্ষ্যণীয় সেটা হল বুদ্ধুমূর্তির উপরে রাগ শুধু গোঁড়া মুসলমানদেরই নয়, গোঁড়া হিন্দুদেরও বিলক্ষণ ছিল দেখা যাচ্ছে। অবশ্য যাবতীয় বৌদ্ধমঠগুলো উঁচু উঁচু পর্বতের উপরে নিয়ে যাওয়ার কারণ তো শঙ্করাচার্য্যের অনুগামীদের আক্রমণ।
১৫২ পাতার পাতলা বই, প্রায় একবসাতেই শেষ হয়ে যায়। লেখার ধরণ খুব যে আকর্ষক তা বলব না। না চাইলেও মুজতবার ‘'দেশে বিদেশে”র সাথে তুলনা এসেই যায়, অমন বারেবারে ফিরে ফিরে হয়ত পড়ব না এ বই। তবে মাঝেমধ্যে দু'একপাতা উলটে দেখে নিতে মন্দ লাগবে না। বইটা দীর্ঘকাল আউট অব প্রিন্ট থাকার পর ২০২০তে কোরক থেকে আবার প্রকাশিত হয়েছে।
বই - আফগানিস্তান
লেখক - ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাস
প্রকাশক - কোরক
দাম - ১২৫/-
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।৮ খানা নানারকম বই | বাঁকাউল্লার দপ্তর | A Time of Madness - Salman Rashid | In Freedom's Shade - Anis Kidwai | রক্তের অক্ষর - রিজিয়া রহমান | Remnants of a Separation | হেনরিদ্বীপের পরণকথা | রৌরব - হেলফায়ার | ভ্রমণসমগ্র - মোহনলাল | লবণাক্ত | খন্ডিতার বিশ্বদর্শন | চরের মানুষ | মানসাই | মিশন পৃথিবী | নারীসাক্ষ্যে জেনোসাইড | কাশ্মীর রাজনৈতিক অস্থিরতা গণতন্ত্র ও জনমত | মেঠোবই – বাঙলার জীববৈচিত্র্য | হাঁটার গল্প | অর্থম অনর্থম | বৃষ্টিজাতক | আফগানিস্তান - আরও পড়ুনছেঁয়াবাজীর ছলনা - ২৬ - দআরও পড়ুনছেঁয়াবাজীর ছলনা - ২৫ - দআরও পড়ুনছেঁয়াবাজীর ছলনা - ২৪ - দআরও পড়ুনছেঁয়াবাজীর ছলনা - ২৩ - দআরও পড়ুনবইমেলার নতুন বই - বৃষ্টিজাতক - দআরও পড়ুনপঞ্চাশ বছর পর - দআরও পড়ুনদ্বাদশ গিরিবর্ত্মের দেশে - ২ - দআরও পড়ুনদ্বাদশ গিরিবর্ত্মের দেশে - ১ - দআরও পড়ুনকাঠবিড়ালী ও বনায়ন - AR Barkiআরও পড়ুনকবিতা - Suvankar Gainআরও পড়ুননির্যাতিতার জবানবন্দী - দীপআরও পড়ুনবদলাই না প্রভু - Anjan Banerjeeআরও পড়ুনকী আসে যায় নামে? - দিলীপ ঘোষআরও পড়ুনলাল রঙ - Nirmalya Nagআরও পড়ুনভোগবাদের প্যারাডক্স - পাপাঙ্গুল
- মতামত দিন
-
বিষয়বস্তু*:
-
হীরেন সিংহরায় | ২৩ জুন ২০২৫ ০৯:০৯732139
- অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই এমন বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ।
-
রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৩ জুন ২০২৫ ১০:০৭732140
- ভীষণ ভালো বই। এই সিরিজের প্রত্যেক আলোচনার মতো এবারের টাও খুব ভালো লাগল।
MP | 2401:4900:733a:d714:28a8:c075:11ad:***:*** | ২৩ জুন ২০২৫ ১৩:০০732143- লেখিকাকে অনেক ধন্যবাদ একটি প্রায় বিস্মিত বইকে বাঙালী পাঠকের সামনে নিয়ে আসবার জন্যে l "স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে জানতে পারেন শঙ্করবাদের প্রচার হবার পরে মুর্তির মুখ নষ্ট করে দেওয়া হয় l " শঙ্করবাদের ফলে যে বহু বৌদ্ধ মঠ ধ্বংস করা হয়েছে উপমহাদেশে এটা তুলে ধরে লেখিকা খুব ভালো কাজ করেছেন l প্রশ্ন হচ্ছে যে আফগানিস্তানের একটা গ্রামের মানুষের কিভাবে শঙ্করবাদ সম্বন্ধে জানবে তাও ১৯৪০ সালে ? শঙ্করবাদ তো আফগানিস্তান অবধি যায়নি বলেই জানি l আমি যদি ভুল করি সংশোধন করে দেবেন প্লিজ l
- অরিন | 2404:4404:4405:700:3d79:18a4:57d3:***:*** | ২৩ জুন ২০২৫ ১৪:৫৯732145
- "কেন? তো বিবরণ পড়ে মনে হচ্ছে এটাই বামিয়ানের বিখ্যাত বুদ্ধমূর্তি। কিন্তু কান্দাহার থেকে বামিয়ানের দূরত্ব দেখছি প্রায় ৬০০ কিলোমিটারের মত।"বইটা না পড়ে মন্তব্য করছি,ভুল হতে পারে তবে আফগানিস্তানে বহু পাহাড়ের গুহায় বোধিসত্ত্বের বা বুদ্ধের মূর্তির নির্মাণ করা হয়েছিল দিগদর্শণের জন্য। এও হতে পারে এমনই কিছু তিনি দেখেছিলেন পরে হয়ত সে সব ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। বামিয়ান অতি বিখ্যাত বলে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।"শঙ্করবাদ তো আফগানিস্তান অবধি যায়নি বলেই জানি l "আপনার এমন কেন মনে হয়েছে? কেন ঐতিহাসিকের লেখায় পড়েছেন? পূর্ব আফগানিস্থানে শৈব প্রভাবের কথা অনেকে লিখেছেন।
-
- হীরেনদা, কি যে বলেন! আগেকার দিনের ভ্রমণ কাহিনীর উপরে আমার বিশেষ ইন্টারেস্ট আছে তাই পেলেই কিনে ফেলি।রমিত,বইটা খুব দারুণ ভাল কিছু লাগে নি আমার। ইন্টারেস্টিং বই।অরিন,আচ্ছা এটা আমি জানতাম না। তাহলে খুব সম্ভব অন্য কোন বুদ্ধমূর্তি। ওই অনেক উঁচু আর মুখের দিকটা ভাঙা দেখেই বামিয়ান মনে হয়েছিল।অনেক ধন্যবাদ।এমপি,শঙ্করাচার্য্য নিজে যান নি বটে কিন্তু শঙ্করবাদ যায় নি এই ধারণার উৎস কী? অদ্বৈত বেদান্তবাদ কান্দাহার (গান্ধার), ব্যাক্ট্রিয়া অঞ্চলে যথেষ্ট প্রচলিত ছিল বলেই তো পড়েছি। আর ১৯৪০ এ লেখক শুনেছেন এ মূর্তি হিন্দুদেরও নয়। আরো শুনেছেন শঙ্করবাদীরা প্রথমে মুখ বিকৃত করে দেয় পরে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা আরো ভাঙে। তো ভাঙাভাঙি অনেক আগেই হয়েছে।
-
পাপাঙ্গুল | ২৩ জুন ২০২৫ ২০:৫০732149
- নাম শুনেছি পড়া হয়নি। এইবারে সব পড়ে ফেলতে হবে -
-
- আমি অনেকদিন আগে পড়েছিলাম। তখন একা নানা দেশ ঘোরার ওপর আমার বেশ একটা ফ্যাসিনেশন ছিল। ইউটিউব ট্রাভেল ব্লগ পপুলার হওয়ার আগে। তাই হয়তো ভালো লেগেছিল খুব। এখন জানিনা আবার পড়লে সেরকমই ভালো লাগবে কিনা।
- MP | 115.187.***.*** | ২৪ জুন ২০২৫ ১২:১৪732164
- @দ ও অন্যানোরা ,আসলে হিন্দুধর্ম বলতে আজকে আমরা যা বুঝি সবসময়ে সেরকম ইউনিফর্ম কোনো ধর্ম ছিলোনা উপমহাদেশে | অনেক জায়গাতেই শুনেছি বিভিন্ন লোকাল দেবদেবীর পুজো হত | সরাসরি ব্রাহ্মণ্যবাদের কতটা প্রভাব ছিলো বলা মুশকিল | শুনেছি আফগানিস্তানের মত জায়গা গুলো ; যেগুলো মোটামুটি দুটো আলাদা সভ্যতা অর্থাৎ পার্শিয়ান আর উপমহাদেশীয় এই দুটো সভ্যতার ভরকেন্দ্র থেকে অনেক দূরে একটা বর্ডারলান্ডে আছে ; তাদের মধ্যে আজকের শঙ্করবাদ অধ্যুষিত ব্রাহ্মণ্যবাদ অনেক কম প্রভাব ছিলো | আফগানিস্তানের বহুজায়গাতেই একটা প্রকৃতিপূজারী ধর্ম ছিলো বলে শোনা যায় কিন্তু সেটাকে কতটা আজকের শঙ্করবাদ হিন্দুধর্ম বলা যায় জানিনা ! ১৯৪০ সালে তো শঙ্করবাদ আরোই কম ছিলো বলে আমার মনে হয় | তবে আমার ভুল হতেই পারে |আফগানিস্তানের বিস্তীর্ন অনেক অংশে একসময়ে বৌদ্ধধর্ম মঠ ইত্যাদি প্রচলিত ছিলো অনেক এটা ঐতিহাসিক সত্য | এছাড়াও উনিশ শতক অবধি বর্তমান পাক আফগান বর্ডারে কাফিরিস্তান বলে একটি জায়গা ছিলো যেটা প্রকৃতি পূজারীদের স্থান ছিলো বলে শোনা যায় | বর্তমান এজায়গাটিকে নুরিস্তান বলা হয় |
-
- ধুত্তেরি ১৯৪০এ রামনাথ গেছেন, শুনেছেন। ভাঙাভাঙি ১৯৪০ এ হয় নি হয় নি হয় নি। আফগানিস্তানে ইসলাম আসতে শুরু করে সপ্তম শতাব্দীর দিকে, শঙ্করাচার্যের অদ্বৈত বেদান্তমত অষ্টম শতাব্দীতে প্রচারিত হয়। তো মোটামুটি ধরা যায় ওই অষ্টম শতাব্দী খুব বেশী হলে নবম শতাব্দী নাগাদ বুদ্ধমূর্তির মুখ নষ্ট করা হয়। তার প্রায় হাজার বছর পরে ১৯৪০ এ লেখক দেখেছেন এবং শুনেছেন।আফগানিস্তান বাণিজ্যপথের একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ছিল। সেখানে নানা দেশ থেকে লোকজন আসত বাণিজ্যের জন্য। তাদের নিজস্ব ধর্মবিশ্বাস ছিল। কাজেই অদ্বৈত বেদান্তধর্ম বা শৈব ইত্যাদি না যাওয়ার কোন কারণই নেই।
- Tania Basu Dutta | 49.47.***.*** | ২৫ জুন ২০২৫ ২২:৫১732183
- খুব ভালো লাগলো . হিন্দু - মুসলিম এর ধারণা গুলি বেশ বিস্ময়কর ।....বই টি পড়ার ইচ্ছে রইলো .
-
- গুরুতে স্বাগতম তানিয়া। ধন্যবাদ। উপরে দেখুন পাপাঙ্গুল বইয়ের সফটকপির লিংক দিয়েছে। চাইলে নামিয়ে পড়ে নিতে পারেন।
- Tania Basu Dutta | 2405:201:900e:319a:c456:36bd:5438:***:*** | ২৬ জুন ২০২৫ ১১:২০732187
- আচ্ছা . ধন্যবাদ :)
- অরিন | 2404:4404:4405:700:3aba:f8ff:fe54:***:*** | ২৬ জুন ২০২৫ ১২:৫৯732188
- https://ia801409.us.archive.org/6/items/in.ernet.dli.2015.458248/2015.458248.Afghanistan.pdfনিন পড়ুন পৃষ্ঠা পিছু কম করে ১ ০০ ০০০ টাকা করে দ কে দেবেন !
- b | 117.238.***.*** | ২৬ জুন ২০২৫ ২২:৫১732191
- ঐতিহাসিক অমলেন্দু গুহর একটি ভ্রমণকাহিনী আছে অসমীয়াতে । সেটার বাংলা অনুবাদ হয়েছে কিনা জানি না । সম্ভবতঃ ষাটের দশকের স্মৃতি ।দেশে বিদেশের থেকে রামনাথ বিশ্বাসের লেখাতে আফগানিস্তান ও আফগানদের দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কে বেশি জানা গেলো ।
- অরিন | 2404:4404:4405:700:9048:7aa9:f281:***:*** | ২৭ জুন ২০২৫ ০১:৪৫732192
- "দেশে বিদেশের থেকে রামনাথ বিশ্বাসের লেখাতে আফগানিস্তান ও আফগানদের দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কে বেশি জানা গেলো । "আমারও ঐ কথা মনে হয়েছে। দুটি বই দুরকম। মুজতবা আলি বড় ছবিটাকে নিপুণভাবে ধরেছিলেন, সমকালীন রাজনীতি সমাজনীতি আফগানিস্তান সব নিয়ে সাংঘাতিক ভাল লেখা যার জন্য বারবার ফিরে আসতে হয়। খালেদ হোসেইনির কাইট রানার পড়ে চমকে উঠেছিলাম কীভাবে তালিবানদের উত্থান সে দেশে। কিন্তু সে গল্পও লেখা হয়েছে এলিট লোকের চোখে।সেদিক দিয়ে বিবেচনা করলে রামনাথ বিশ্বাস একটা আটপৌরে জীবনের কথা লিখে গেছেন, আমার অন্তত পড়ে ভাল লেগেছে।
- মত | 173.62.***.*** | ২৭ জুন ২০২৫ ০৭:৩৭732193
- আপনাদিগের সব্বাইকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করা যায় না, কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গেলুম! মুজতবা আলী সম্ভবতঃ ১৯২৭-২৯(১ম দিক) য়ের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলেন, আর এইটি মনে হয় ১৯৩৪ বা ১৯৩৫ য়ের। কবে লিখেছেন রামনাথ ঠিক বুঝলুম না, ১৯৪০ তে হতে পারে, তবে উনি বলেছেন নিয়মিত ডায়েরী রাখতেন। আলী আমানউল্লা কথা বিস্তারিত লিখেছিলেন, বাচ্চায়ে সকাওয়ের আগমনবার্তা শুনিয়ে গিয়েছিলেন, আর রামনাথ বাচ্চা-ই-সাক্কোর রহস্যভেদের চেষ্টা করেছেন।
-
- সকলকে অশেষ ধন্যবাদ । অরিনকে বিশেষ করে।
- মতামত দিন
-
বিষয়বস্তু*:
-
গুরুচণ্ডা৯-র গ্রাহক হোন
কোনোরকম কর্পোরেট ফান্ডিং ছাড়া সম্পূর্ণরূপে জনতার শ্রম ও অর্থে পরিচালিত এই নন-প্রফিট এবং স্বাধীন উদ্যোগটিকে বাঁচিয়ে রাখতে গুরুচণ্ডা৯-র গ্রাহক হোন।
- ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
এই সাইটটি
বার পঠিত
- বুলবুলভাজা : সর্বশেষ লেখাগুলি
কাদামাটির হাফলাইফ - ইট পাথরের জীবন : ইমানুল হক(লিখছেন... )
মধুবাতা ঋতায়তে : শারদা মণ্ডল(লিখছেন... দ, দ, Sara Man)
প্রতিমানাটক -৫ম অঙ্ক : শেখরনাথ মুখোপাধ্যায়(লিখছেন... হীরেন সিংহরায়)
তবিলদারের দুনিয়াদারি - শহর থেকে শহরে - পর্ব ৯ - বার্সেলোনা দুই : হীরেন সিংহরায়(লিখছেন... হীরেন সিংহরায়, হীরেন সিংহরায়, হীরেন সিংহরায়)
সেই দিন সেই মন পর্ব ১৪ : অমলেন্দু বিশ্বাস(লিখছেন... তপতী বিশ্বাস, সিংগাপুর। , অমলেন্দু বিশ্বাস)
- হরিদাস পালেরা : যাঁরা সম্প্রতি লিখেছেন
সুরক্ষিতা - পর্ব ৫ : Kishore Ghosal(লিখছেন... )
নামের আমি নামের তুমি : হীরেন সিংহরায়(লিখছেন... প্রতিভা, হীরেন সিংহরায়, Tapan Kumar SenGupta)
অমলেন্দু বিশ্বাসের কবিতা ১০ : অমলেন্দু বিশ্বাস(লিখছেন... )
লাল রঙ : Nirmalya Nag(লিখছেন... )
শ্রীশ্রী বলরাম-সুভদ্রা-জগন্নাথ পাঁচালি : Tanima Hazra(লিখছেন... )
- টইপত্তর : সর্বশেষ লেখাগুলি
পদ্য: অপঘাতে মৃত্যু বা এক ফালি পিঁজা : Amitava Mukherjee(লিখছেন... )
বাংলাদেশের মহিয়সী জননীদের কথা : দীপ(লিখছেন... )
এক নয়, অথচ এক-ই : ভিক্ষুক(লিখছেন... PRABIRJIT SARKAR, Naresh Jana)
নির্যাতিতার জবানবন্দী : দীপ(লিখছেন... :|:, ?!, PRABIRJIT SARKAR)
ধন্য শিক্ষাব্যবস্থা!!! : দীপ(লিখছেন... Tania Basu Dutta )
- কি, কেন, ইত্যাদি
- বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
- আমাদের কথা
- আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
- বুলবুলভাজা
- এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
- হরিদাস পালেরা
- এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
- টইপত্তর
- নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
- ভাটিয়া৯
- যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
- টইপত্তর, ভাটিয়া৯, হরিদাস পাল(ব্লগ) এবং খেরোর খাতার লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই। | ♦ : পঠিত সংখ্যাটি ১৩ই জানুয়ারি ২০২০ থেকে, লেখাটি যদি তার আগে লেখা হয়ে থাকে তাহলে এই সংখ্যাটি সঠিক পরিমাপ নয়। এই বিভ্রান্তির জন্য আমরা দুঃখিত।
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত