এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • অনশন উঠল - আলোচনা কী হল 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ৮৫৩ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • সরকার- জুডা আলোচনার পুরোটা শুনলাম। আগেই লিখেছিলাম, এই দাবী-টাবীগুলো মোটের উপর মিটে গেছে, একটা বাদে। স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ। সেটা বেশিদূর যাবেনা, সেটাও বলেছিলাম। সেটা নিয়ে চারটি কথা হল। ওঁকে আদৌ অভিযুক্ত বলা যায় কিনা, আইনগতভাবে। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, বলা যায়না। ওঁরা বললেন যায়। এবার অভিযোগ কোন পর্যায়ে গেলে সেটা ফর্মাল হয়, আইনত আমি বলতে পারবনা। তবে ওটা এক্তিয়ারের বাইরে, বললেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং সেখানেই কথা শেষ। ডাক্তাররা মেনে নিয়েছেন, অনশনও তুলে নিয়েছেন, ফলে বোঝাই যাচ্ছে, ঠিকই বলেছিলাম, ওটা বড় কোনো ব্যাপার ছিলনা।

    বাকি যে কটা পয়েন্ট হল, তাতে নীতিগত কিছু নেই, মোটামুটি মেনে নেওয়া আগেই হয়ে গিয়েছিল (নতুন এক আধটা জিনিস এল, মানা হয়নি)। এটাও আগেই লিখেছিলাম। 

    ১। টাস্ক ফোর্স, স্টেকহোল্ডার্স কমিটি, রোগীকল্যাণ সমিতি, গ্রিভ্যান্স সেল, ইন্টারনাল কমপ্লেন্টস কমিটি, অ্যান্টির‌্যাগিং সেল, আরও কিছু থাকতে পারে, সেই কমিটিতে কে কে থাকবেন, স্রেফ এই নিয়েই মূল কথা।  ব্যাপারটা নিয়ে সবাই একমত। কোন পর্যায়ে হবে, তাদের কাজ কী হবে, কে কে থাকবে, এই নিয়েই কথা হল। জুনিয়ার ডাক্তাররা  দাবী করলেন, সর্বত্র নির্বাচিত প্রতিনিধিদের থাকতে দিতে হবে। 
    ২। এই নির্বাচনই একটা বড় ইস্যু, সেটাও আগেই লিখেছিলাম। সেও দেখি মিটে গেছে। দেখলাম, সব্বাই জানেন, একমতও, যে, ছাত্র সংসদের নির্বাচন পরের বছর মার্চ মাসের মধ্যে হবে, তার আগে পরীক্ষা। আরেকটা জিনিসও দেখলাম সবাই জানেন, এবং একমত। তবে রেসিডেন্ট ডাক্তারদের অ্যাসোসিয়েশন নিয়ে কিছু জটিলতা আছে। 
    ৩। মামলার জন্য শূন্যপদে নিয়োগ বন্ধ আছে। রাজ্যে নিয়োগ নিয়ে সর্বত্র মামলা হয় শুনি, এটা অবশ্য কে করেছেন জানিনা। 
    ৪। রেফারাল সিস্টেমের পাইলট চালু হয়েছে। ডাক্তারবাবুরা রেফার করবেন, কিন্তু কম্পিউটার সিস্টেমে হাত দেবেন না, এইরকম একটা দাবী এল। অন্য লোককে নিয়োগ করতে হবে। সেটাও মিটে গেল। 
    ৫। মেডিকাল কাউন্সিল নিয়ে কথা হল। সেটা কেন এল বুঝিনি, কিন্তু হল। ওটা নিয়ে কিছু করা যাবেনা, এক্তিয়ারের বাইরে।
    ৬। সিসিটিভি, এইসব নিয়েও কথা হল। কিন্তু সেও খুবই কেজো। কে মনিটার করবে, ঘুরেফিরে আবার কমিটিতেই চলে এল। ওটাও মিটেই গেল।  

    এগুলো আলোচনা করতে কেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক লাগল, বা আদৌ অনশন লাগল বোঝা দুষ্কর। কয়েকদিন আগেই তো এই অবস্থাই ছিল। তার থেকে কিছু নড়েচড়েনি। 

    এর বাইরে চাট্টি কথা হল। কিঞ্জল নন্দ থ্রেট কালচার প্রসঙ্গে বললেন ডায়মন্ডহারবারের গোলমালের কথা। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, উত্তরবঙ্গে ঘেরাওয়ের কথা। ঘেরাও করে চাপ দিয়ে কাউকে পদত্যাগ করানো হয়েছে। আরজিকরের প্রধান ৪৭ (নাকি ৫৯) জনকে সাসপেন্ড করেছেন। তাঁদের আগে জানানো উচিত ছিল। এসবই থ্রেট কালচার। যে যখন পাওয়ারে অন্যজনকে থ্রেট করবেন এটা হবেনা।

    অনিকেত এর মধ্যে বলেন এনকোয়্যারি কমিটি করে কলেজ কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরজিকরের সাসপেনশনের বিষয়ে। যাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে, তারা ক্রিমিনাল। এরা থ্রেট কালচারের জন্য দায়ী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এরকম করা যায়না। রাজ্য সরকারকে জানানোর দরকার ছিল। একা একা নিজেদের এনকোয়্যারি কমিটি করে সিদ্ধান্ত নেওয় যায়না। রাজ্য সরকারকে পাঠাতে হবে। ডাক্তাররা তীব্র বিরোধিতা করেন, বিশেষ করে আরজি করের ক্ষেত্রে ওই দাবীতে স্থির থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী মানেননি। একটা প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে বলেন। ডাক্তাররা সেটা মেনে নিয়েই অনশন তুলে নেন, এটা দেখা গেল। 

    এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিস্টেমটাকে ট্রান্সপারেন্ট করা দরকার। এছাড়া পরীক্ষাকে ট্রান্সপারেন্ট করার কথা বলেন। নিরপেক্ষভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ইত্যাদি প্রভৃতি। শূন্যপদ প্রসঙ্গে বললেন, একসময় ডাক্তার চেয়েও পাননি। সুপ্রিম কোর্টে কেস পেন্ডিং। ডাক্তারদের উকিলরাও যদি তোলেন তো ভালো হয়। এছাড়াও বেড বেড়ে প্রায় দুগুণ হয়েছে। বাংলা ভারতের মধ্যে এক নম্বর। কিন্তু ডাক্তারদের আইনজীবী কোর্টে বলেছেন হাসপাতালে তুলো ছাড়া কিছু পাওয়া যায়না। 

    এ ছাড়া আরও দুটো  গুরুত্বপূর্ণ জিনিস তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। 
    ১। সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি চলাকালীন ৫৬৩ জন জুনিয়ার ডাক্তার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করে স্বাস্থ্যসাথীর বিলে সই করেছেন। এটা বেআইনী। 
    ২। ৪৫০ কোটি টাকা খরচা হয়েছে কর্মবিরতির জন্য। এটা খুব সম্ভবত বেসরকারি হাসপালের বিল। 
    ৩। কেন্দ্রীয় সরকার ৫০% ওষুধের দাম বাড়িয়েছে। 

    এর সবকটাই কাগজে আগে বেরিয়েছে। জুনিয়ার ডাক্তাররা এর কোনো জবাব দেননি। এটা সরকারি নথি, শুনলাম। ডাক্তারদের দাবীগুলি নিয়ে সরকারের বক্তব্য আমরা শুনেছি। সরকারের অভিযোগ নিয়ে ডাক্তারদেরও স্বচ্ছতার সঙ্গে উত্তর দেওয় উচিত বলেই মনে হয়। বিশেষ করে ৫৬৩ জন জুনিয়ার ডাক্তার কর্মবিরতি চলাকালীন বেসরকারি বিলে সই করছেন মানে, সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি হবারই সম্ভাবনা। 

    এবং সবশেষে। সব দাবীদাওয়ার শেষে তিলোত্তমার সুবিচারের কথা এল ফুটনোটের মতো। ডাক্তাররাই বললেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব বললেন, তাঁরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে যা দেবার দিয়ে দিয়েছেন। জুনিয়ার ডাক্তাররা এই নিয়ে, মানে সিবিআই তদন্ত নিয়ে  কী দাবী করছেন, এটা এখনও লিখিতভাবে জানাননি। সুপ্রিম কোর্টেও না, অন্যত্রও না।
     
    পুঃ ভারতবর্ষের ইতিহাসে এর চেয়ে ঢের ছোটো আকারের গণআন্দোলনও কখনও এভাবে মিটেছে বলে দেখিনি। আন্দোলনকারীরা সংযত। পুলিশ সংযত। মুখ্যমন্ত্রী খান কতক বৈঠক করলেন, শুনলেন এবং উত্তর দিলেন। প্রবল গুজব, তীব্র মেরুকরণ, সব কিছুর মধ্যেই এটা হল। সেটা অভূতপূর্ব। বাকি অনেককিছুর মধ্যে, এইটায় ভালো না লেগে পারেনা। 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ৮৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:1909:53a3:e99b:***:*** | ২২ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:৫৯538752
  • দেখেছেন, লাস্ট প্যারাটা আমিও কিছুক্ষন আগে ভাটে পোস্ট করছিলাম। গতকালের মিটিং এর কথা আজ সকালে জানলাম, আন্দোলন মিটে গেছে সেটাও তারপর খবরে পড়লাম। মাইরি বলছি, সৈকতবাবুর কম্পুতে আমার অ্যাক্সেস নেই laugh
  • সিএস  | 103.99.***.*** | ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১০:৩৬538753
  • অনেক অনেক দিন আগে লিখেছিলাম, মমতা যদি নরম থাকে আর দল যদি এক থাকে তাহলে টিএমসি উৎরে যাবে। তো সেইটা মোটামুটি হয়েছে, মমতা দলকে চুপ করিয়ে (কুনাল বাদে, ওটা স্ট্রাটেজি) নিজে 'দেখার' চেষ্টা করেছে, ডাক্তারদের মীটিং-এ গেছে, একাধিকবার মীটিং ডেকেছে, বসে আছে ছবি বার করেছে ইত্যাদি। গভঃ চেষ্টা করছে, এই ভাবটা করে গেছে। পুলিশ লাঠি চালায়নি, বন্দুক বার করেনি, চ্যাংদোলা করে লোক তুলে নিয়ে যায়নি, হাওয়াই চটি পড়া লোক ঢুকিয়ে অনশন ভাঙেনি। এইগুলো কনসিস্টেন্টলি একটি আইডিওলজিকাল পার্টি করত (ওঁয়ারা তো আবার সত্যের পথে, ক্ষমতা তো দরকার নেই, তাই সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য এইসব করতেন), কিন্তু মমতার তো ক্ষমতা দরকার, ফলে ওসব করলে যে আর সামলাতে পারবে না সে ভালোই বুঝেছিল ফলে নরম হয়ে থেকেছে ও দেখিয়েছে। এভাবেও ভাবতে পারেন। কিন্তু গভঃ - কে এই পথে থাকতে বাধ্য করাই এই আন্দোলনের বড় জয়।
  • Ami | 103.25.***.*** | ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১১:০০538754
  • এটাই আপনার বিশেষত্ব, আপনি যে কোনো আলোচনা বা বক্তব্য বিশেষে সাধারণ ভাবে কি বলা হোলো আর আসলে তার অন্তর্নিহিত অর্থ ব্যাখ্যা করে থাকেন।
     
    আপনি তাই স্বাভাবিক ভাবেই দেখতে পান না, মুখ্যমন্ত্রীর এপ্রোচ যেটা বোঝানো হয় সেটার রূপ আর কি দাঁড়াতে পারে, যা উনি আগেও প্রযোগ করে এসেছেন।
     
    ১৮৩৫-এ যেদিন মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হয়েছিল, তার ১ বছরের মধ্যে কলেজের আভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা, লেখাপড়ার মান, উপযুক্ত মানের চিকিৎসা এবং চিকিৎসা ও সিলেবাসের ব্যাপারে সার্বিক দেখাশোনার জন্য কলেজ কাউন্সিল গঠন করা হয়। এর ইতিহাস প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কাউন্সিল নিত - যেমন ১৮৩৮-৩৯-এর প্রথম পাস করা ছাত্রদের সার্টিফিকেট দেওয়া, ৪ জন ছাত্রকে উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডনে পাঠানো, এমনকি কাদম্বিনীকে ভর্তি ও পাস করানোর মতো ক্ষেত্রে। এরপরে প্রয়োজনে এডুকেশন কমিটির কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো। 
    এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটি এতই কার্যকরী ছিল যে, এনএমসি-ও একে মান্যতা দেয়। এখানে কোন ব্যক্তির সিদ্ধান্ত ধর্তব্যের মধ্যে নয়, সে তিনি যে পদেই থাকুন না কেন।
    আজ এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটিকে আঘাত এবং নাকচ করা হল। কীভাবে? কলেজ কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ মারফত। 
    অনেকের কাছে বিষয়টি এত স্পর্শকাতর যে হাইকোর্টে যাবার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। মনে রাখা দরকার, এর আগে প্রায় সমস্ত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে নাকচ করা হয়েছে। এবার আক্রমণ এল কলেজ কাউন্সিলের ওপরে।
  • সিএস  | 103.99.***.*** | ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১১:০২538755
  • হ্যাঁ, আর ঐ সুবিচার, ও তো গেছে, যাওয়ারই ছিল, আদৌ ঠিকঠাক হল কিনা সেও বোঝা যাবে না। সব পক্ষই অন্যদিকে, ডাক্তারদের সিস্টেমের উন্নতি, বিরোধীদের দ্রোহকাল, গভঃ তো কথাগুলো আর না উঠলেই খুশী, সিবিআই, 'তদন্ত করছি' মোড, লিকও আর করছে না, ভবিষ্যতে দরকার হলে করবে, বাঘা উকিলরা রিপোর্টে অখুশী সে কথা জানা যায়নি, পাবলিক নিউজের 'কনজিউমার' আর দেখ কেমন লাগে মোডে। ডাক্তাররা অবশ্য ছুঁয়ে থাকার মত, দেখলাম ক'দিন আগে মেয়েটির বাড়ি থেকে মিছিল করল আর গত রাতে অনশন তুলল বাবা-মায়ের 'কথা শুনে'। তো এও মনে হয়েছিল, ঘটনাটি নিয়ে সব পক্ষই রগড়েছে, গভঃ সবথেকে বেশী দায়ী, তারা চাপার চেষ্টা করেছে আর বিরোধীপক্ষ সেই চাপাকে কাউন্টার করার জন্য অনেককিছু বানিয়েছে। তো এত বানানো, অতিকথা আর স্বার্থের মধ্যে ব্যক্তির ক্ষতি চাপা পড়বেই।
  • Somenath Guha | ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:০৬538759
  • 563 জন বেআইনি বিল সই, 450 কোটি এক্সট্রা খরচ, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগগুলো বললেন, আর ডাক্তারদের অভিযোগ চেপে গেলেন। নারায়ণের বিরুদ্ধে ফাইলের অভিযোগ গুলো কী হবে, অভিক বিরূপাক্ষ নাম বলা মাত্র ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দিল। কলেজে প্রিন্সিপাল কোনো ছাত্রর বিরুদ্ধে স্টেপ নিলে সেটাও ওনাকে জানাতে হবে, কী আবদার। রাজ্যে সব কিছুর ওপর ওনারই মাতব্বরি মানতে হবে। 
  • রঞ্জন | 103.59.***.*** | ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:০৪538765
  • ঠিক কথা।
    কিন্ত ডাক্তারদের এই ইস্যুতে সফট হওয়া এবং আন্দোলন তুলে নেওয়ার ব্যাপারটা বুঝলাম না।
     
    সন্ধ্যার সময় জানা গেল ডায়মন্ডহারবার কেসে ডিসিশন পালটে 'দোষী' ছাত্রদের সাসপেন্ড করার আদেশ খারিজ!
    এখানেও আন্দোলনকারীদের হিতে বিপরীত হল।
  • upal mukhopadhyay | ২২ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৫৮538772
  • এই আন্দোলন লিঙ্গ রাজনৈতিক অভ্যুথানের লগে লগে হয়েছে। হঠাৎ গজিয়ে ওঠা এই সংগঠন স্বীকৃত নয়। তার ওপর অনেকেই প্রাইভেটে কামায়। ওদের স্বীকৃতির সমস্যাই সবচেয়ে ঝামেলায় ফেলবে।
  • দীপ | 2402:3a80:1cd7:b8c6:878:5634:1232:***:*** | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১১:০৪538787
  • কলমে : দীপাঞ্জয় ঘোষ 
     
    ঠিক কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রাজনীতিকে মান্যতা পাইয়ে দেন, খেয়াল করুন।
     
    National Medical Commission এ প্রস্তাবনা অনুযায়ী MBBS এর অন্তিম বর্ষের পরীক্ষার পর আবার একটা MCQ পরীক্ষা হবে, যার নাম NEXT1। এই NEXT1 এ পাশ করলে তবেই ইন্টার্নশিপে জয়েন করতে পারবে মেডিকেল ছাত্ররা। অর্থাৎ, ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষায় পাশই যথেষ্ট নয়, দিতে হবে আরো একটা পরীক্ষা। তাতে অকৃতকার্য হলে আবার ৩মাস পর দেওয়ার সুযোগ হবে।
     
    এবার একবছরের rotatory internship এর পর আবার একটা পরীক্ষা হবে, যার নাম NEXT2। এবার NEXT1 এ প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে মেডিকেল ছাত্ররা MD, MS এর মতো নানাবিধ স্নাতকোত্তর পড়াশোনায় প্রবেশ করতে পারবে, তবে তার জন্য NEXT2 পাশ করতে হবে। কারণ NEXT2 পাশ করলে তবেই মিলবে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট। 
     
    অর্থাৎ, ব্যাপারটা সীতার অগ্নিপরীক্ষার মতো, বারবার দিতেই হবে।
     
    এবার খেয়াল করুন, গতকাল ডাক্তার অনিকেত যে ৫৯জনের কথা বললেন, যাদের খাতা দেখলে ১০০এ ১০ও আসবে না, সেটা একটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। এ থেকে বিজেপি অবশ্যই NEXT এর পক্ষে বলার ন্যারেটিভ পাবে এবং সেটা অস্বাভাবিকও নয়। উপরন্তু যারা NEXT এর বিরোধীও ছিলেন, তারাও এমতাবস্থায় NEXT কে সমর্থন করা ছাড়া উপায় পাবেন না।
     
    NEXT চালু হলেই সবকিছু দুর্নীতিমুক্ত হবে, একথা ভাবা ভুল। গতবারের NEET এর রেজাল্ট, আশা করি, কেউই ভুলে যাননি। একদিকে যেমন NEXT এর চাপে ছেলেমেয়েদের মধ্যে কাজ শেখার আগ্রহ কমবে, অন্যদিকে বাড়বে কোচিং সেন্টার তথা অ্যাপের রমরমা বাজার। যাঁতাকলে পড়বে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা।
     
    সম্পূর্ণ চিত্রটা খেয়াল করলে বুঝবেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলের কিছু লুম্পেনকে বাঁচাতে গোটা স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যবস্থার এক চরম বাণিজ্যকরণকে আপাত যৌক্তিক করে দিচ্ছেন মানুষের দৃষ্টিতে। পুঁজিবাদকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে সহায়ক ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন তিনি।
  • :|: | 174.25.***.*** | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৪৮538788
  • ১১ টা চারের মতো ঘাঁটা টোকা বিরল। মানে বুঝলে এমন বিকট শব্দ সারণী টোকার কথা নয়। সীতার অগ্নি পরীক্ষা ছাড়া আর কিছুই বুঝি নাই। আর বিজেপির যোগ রামের সঙ্গে। সীতা নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য শুনিনি। এখন যে কথা তারা বলেই নি কোনওদিন না বলতেও পারে সেই কথা তারা বলতে পারে ধরে নিয়ে এই মুহূর্তে সরকারের প্রস্তাবনা সহ আলোচনা করা ... এ মানে প্রচুর গঞ্জিকা সেবন না-করলে বোঝা অসম্ভব। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন