এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • না, এটা স্রেফ চাঁদা না

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৮ মার্চ ২০২৪ | ১১৫২ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)
  • না, এটা স্রেফ চাঁদা না। আগে ভারতবর্ষ স্বর্গরাজ্য ছিলনা, শিল্পপতিরা এমনকি স্বাধীনতার আগে থেকেই পার্টিতে পয়সা দিতেন। জিডি বিড়লার আত্মজীবনী পড়লেই দেখা যাবে, কংগ্রেসের পিছনে তিনি কত টাকা ঢেলেছিলেন, স্বাধীনতার আগেই। ইংরেজের সঙ্গে দরকষাকষির জন্য কংগ্রেসকে তাঁর দরকার ছিল। গোলটেবিল বৈঠকেও উপস্থিত হয়েছিলেন এক আধবার।  টাটা কোনো পয়সা-টয়সা দিতেননা, কারণ ইংরেজ তাঁকে পুষত। নিজের স্বার্থেই। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পূর্ব গোলার্ধ্বে একখানা ইস্পাত কারখানা তাদের দরকার ছিল, যদি যুদ্ধ-বিগ্রহ লাগে, সেই জন্য।

    এসবই ওঁরা উশুল করে নিয়েছিলেন, দেশভাগের সময়। স্বাধীনতার ঠিক আগে বোম্বে প্ল্যান তৈরি করেন, টাটা, বিড়লা, ঠাকুরদাস মিলে। বোম্বে প্ল্যান হল, স্বাধীন ভারত্র অর্থনীতি কিরকম হবে তার রূপরেখা। টেবিলের আড়ালে দেশভাগও করে ফেলতে হবে, তারও হিসেব ছিল। ওতে করে টাটা-বিড়লা আর ইস্পাহানি ভারতীয় উপমহাদেশকে ভাগ করে ভোগ-দখল করতে পারবেন। বিড়লা তো আস্ত একখানা পুস্তিকাই লিখে ফেলেছিলেন, দেশভাগ চাই বলে। কোনো যাদুমন্ত্রবলে কংগ্রেস দেশভাগ মেনে নেয়, তারপর প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বোম্বে প্ল্যানের অংশটা মোটামুটি অনুসরণই করা হয়েছিল। সেই থেকে ভারতীয় ক্রোনি ক্যাপিটালিজম শুরু হয়। সরকারি দাতব্যে এবং একচেটিয়ায় কিছু পুঁজিপতি ফুলে-ফেঁপে ওঠে। পূর্বভারত থেকে পয়সা ফানেল করে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। এ চলে আশির দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

    তারপরে আসে উদারীকরণ। সকলে ভেবেছিলেন আপদ গেল, এবার হুহা প্রতিযোগিতা। নব্বইয়ের শেষের দিকে মাশুল সমীকরণও যায় উঠে। সকলে তো উদ্বাহু ছিলই, এমনকি সিপিএম অবধি রাজ্যসরকার কীকরে চলবে সেই সংক্রান্ত নীতি বদলে ফেলে কিছুদিন পরে। তারপরে এসে যান বুদ্ধবাবু, কিন্তু সে অন্য গপ্পো, এখানে কথাটা হল, সকলকে কাঁচকলা দেখিয়ে তারপরই শুরু হয় লুঠের দ্বিতীয় অধ্যায়। এই আম্বানি আদানির মতো ভুঁইফোঁড় শিল্পপতিদের উত্থান হয় এই পর্বেই। আগের পর্বের সঙ্গে এর তফাতটা কী? না, আগের পর্বে সরকারের কিছু দায়দায়িত্ব ছিল। গণপরিবহনে ছিল রেল, সিনেমায় এনএফডিসি, রেশনে ফুড কর্পোরেশন। এবার সবই প্রতিযোগিতা। অতএব পেটোয়া শিল্পপতিদের সরকারি সম্পত্তি বেচা শুরু হয়, জলের দরে। আর লাইসেন্সিং এর বদলে শুরু হয়, চেনা শিল্পপতিদের শিল্প তৈরির মূলধন জোগানো। এটা কংগ্রেসি আমলেই শুরু। চিদাম্বরম খুব গাল খেতেন এর জন্য, পশ্চিমবঙ্গের বাইরের বামপন্থীদের কাছে। 

    কিন্তু তখনও সরকারের কিছু দায়বদ্ধতা ছিল। বামপন্থীদের চাপে হোক যাই হোক, একশদিনের কাজের প্রকল্প ছিল। মানে, সব হাত গুটিয়ে নিয়ে সব বেচে দিলাম, এ জিনিস তখনও হয়নি। সেটা হল পরের পর্বে। মোদিবাবু আসার পর। শুরু হল  ধোকলা ও ভুজিয়াওয়ালাদের খোলাখুলি লুঠতরাজ। এ জিনিস ভারতবর্ষ আগে দেখেনি। এবার ঋণ দেবার বদলে, কার্যত অনুদান দেওয় শুরু হল পেটোয়া শিল্পপতিদের। মানে, ধরুন, আপনি জনৈক খ্যাতনামা গ্রেওয়াল। আপনি পাঁচশো কোটি টাকা দামের সরকারি সম্পত্তি কিনবেন আড়াইশো কোটি টাকায়। তাতে এমনিই আপনার লাভ। কিন্তু সে কি আবার গাঁটের কড়ি খরচা করে কিনবেন? মোটেও না। ব্যাংক আপনাকে ধার দেবে। তারপর আপনি আর শোধ দেবেননা। ব্যাংকও মকুব করে দেবে। অর্থাৎ আপনি পাবলিকের টাকায়ই পাবলিকেরই সম্পত্তি কিনলেন, কিন্তু সেটা হল আপনার। তারপর আপনি শিল্পপতি হিসেবে হেবি ঘ্যাম পেলেন। পাবলিক কী পেল? তার খাতায় ঋণাত্মক অঙ্ক। সরকার? সে পেল ডেফিসিট। আর শাসক দল? বলা ভারি মুশকিল, কিন্তু আন্দাজ করা যায়, এই পয়সার কিছু অংশ তাদের পকেটে ঢুকল। 

    এই মডেলে কিছু পেয়ারের শিল্পপতিরা অতিরিক্ত সুবিধে পেতে শুরু করলেন, যাদের একসঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বলা হয়। এঁদের কেউ কেউ বাড়াবাড়ি করে ফেলে হাজার হাজার কোটি টাকা গায়েব করে দেশান্তরী হলেন। বাকিদের জন্য পদ্ধতিটা একদম মসৃণ। সরকারি সম্পত্তি বেচে দাও। ভারতের পশ্চিমে সম্পদ লুঠে নিয়ে যাও। তার জন্য টাকা লাগলে ব্যাংক দেবে। পেটোয়া শিল্পপতিদের খরচ করার কোনো দরকার নেই। বিনিময়ে খানিকটা পয়সা ঢেলে দাও শাসকের ফান্ডে। ব্যস। চমৎকার ব্যবস্থা।

    এইটা করতে করতে দেখা গেল, যে, ব্যবস্থাটা একটু সরকারি না করলে হচ্ছেনা। হিসেব রাখা যাচ্ছেনা। তখন এল বন্ড। আর আছে সরকারি ক্ষমতা। ফলে পুরো পদ্ধতিটাই সরকারি হয়ে গেল। তুমি দেশের সম্পত্তি লোটো, তার জন্য ব্যাংক থেকেই পয়সা নাও, আর তার খানিক এদিকে পাচার কর। ব্যস, তোমার নামে জয়ধ্বনি হবে। যদি না পাচার কর, তো তোমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হবে পেয়াদা। তারপর হয় চাঁদা দাও, নয় জেলে যাও। পাড়ার পাঁচু মস্তানও এই ভাবেই তোলা তোলে। কিন্তু একটা গোটা দেশের সরকার? হাজার হাজার কোটি টাকা? নিশ্চিত নই, তবে আমার জ্ঞান মতে বিশ্বে প্রথম। উনি থাকলেই সব সম্ভব। 

    এটা আগের যেকোনো জমানা, ভারত এবং ভারতের বাইরের যেকোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার থেকে গুণগতভাবে আলাদা। এরা লুঠটাকেই আইন বানিয়েছে। তোলা তোলার জন্য সর্বশক্তিমান সংস্থাদের ব্যবহার করেছে। এবং তার জন্য যা দরকার সব করবে। ব্যাপারটাই আলাদা। এই দেখুননা, আগের জমানায় বাঙালি বঞ্চিত ছিল, কিন্তু বাঙালি মানেই বাংলাদেশী কেউ কখনও বলেনি। কিন্তু এরা এনআরসি, সিএএ, করবেই। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিয় কোম্পানি মাশুল সমীকরণের মতো ঘুরপথে ছিঁচকে চুরিতে বিশ্বাস করেনা। এরা একদম লুটি তো ভাণ্ডার। পশ্চিমী পুঁজির স্বার্থে বাংলাকে শ্মশান করে ছাড়বে, দরকার হলে গোটা জাতকে ডিটেনশনে পাঠাবে। যেমন পাঠাচ্ছে, তোলা দিতে অস্বীকার করা লোকজনকে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৮ মার্চ ২০২৪ | ১১৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • আদানি ইন্ডিয়া কোম্পানি | 2409:40e7:f:e9c6:d00f:dcff:fea0:***:*** | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১১:২১529530
  • এনডিটিভি অফিসে সিবিআইয়ের অভিযান, প্রতিষ্ঠাতা প্রাণয় রায়ের বাড়িতে।

    ফলাফল➡️ আদানি গ্রুপ এখন এনডিটিভিতে 64.71% শেয়ার মালিক।

    সিসিআই টিম এসিসি, অম্বুজা সিমেন্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে।

    ফলাফল➡️ আদানি গ্রুপ এখন অম্বুজা সিমেন্ট অর্জন হিসাবে ২য় বৃহত্তম সিমেন্ট খেলোয়াড়।

    মুম্বাই বিমানবন্দরে ইডি জিভিকে গ্রুপ অফিসে অভিযান চালিয়েছে।

    ফলাফল➡️ আদানি বিমানবন্দর হোল্ডিং জিভিকে বিমানবন্দর ডেভেলপারদের প্রায় 98% স্টক মালিক।

    আয়কর কর্মকর্তারা নয়ডার কুইন্টের অফিসে অভিযান চালিয়েছেন।

    ফলাফল➡️ আদানি ৪৮ কোটি টাকায় কুইন্টিলিয়ন বিজনেস মিডিয়ায় ৪৯% অর্জন করেছে।

    নেলোর কৃষ্ণপত্তনম বন্দরে আইটি কর্মকর্তাদের অভিযান

    ফলাফল➡️ আদানি পোর্টস এবং এসইজেড কৃষ্ণপট্টনাম পোর্ট অধিগ্রহণ সম্পূর্ণ করেছে।

    তারপরে যদি আমরা আশা করি, এই গণমাধ্যমগুলো বিরোধী কন্ঠস্বরের কথা তুলে ধরবে, তাহলে, আপনি মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন।
    এই মিডিয়াই প্রচার করে, মোদী আবার ক্ষমতায় আসছে, এরাই আমার আপনার মস্তিষ্ক দখল করে রেখেছে, এটাকেই বলে পারসেপশন তৈরী করা বলে। এই দেখে বিভ্রান্ত হবেন না, এবার বিজেপি জিতবে না, ২০০৪ সালে যেমন শাইনিং ইন্ডিয়ার অতো ঢক্কানিনাদ পরাজিত হয়েছিল এবার ও বিকশিত ভারতের শ্লোগান হারবে, এটা মানুষের গ্যারেন্টি। মিলিয়ে নেবেন।

    জিতেগা ভারত জুড়েগা ইন্ডিয়া।
     
     
    - সুমন সেনগুপ্ত
  • Subhro Bhattacharyya | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১১:২৭529532
  • শুধুই কি বাংলা বা বাঙালি বিদ্বেষ এর পেছনে কাজ করছে ? আজকের দিনেও যে দুটো রাজ্য দেশভাগের সময় ভাগ হয়েছিল সেই দুটো রাজ্যে বিরোধীদল ক্ষমতাসীন, তারা ভাল কি মন্দ সে প্রশ্নে যাচ্ছি না, এটাও কি কোনও কারণ হতে পারে ? অবস্থান অনুযায়ী দেশের পূর্ব দিকের রাজ্য গুলোর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।  এই রাজ্য গুলোকে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল করলে আখেরে কোন লাভ হবে কি ? চীনের দিকের থেকে বিপদের সম্ভাবনা তো ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আপনার কি মতামত?
  • dc | 2401:4900:2341:2ef1:197:2f86:7651:***:*** | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৩:২৫529543
  • "এটা আগের যেকোনো জমানা, ভারত এবং ভারতের বাইরের যেকোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার থেকে গুণগতভাবে আলাদা। এরা লুঠটাকেই আইন বানিয়েছে। তোলা তোলার জন্য সর্বশক্তিমান সংস্থাদের ব্যবহার করেছে। এবং তার জন্য যা দরকার সব করবে। ব্যাপারটাই আলাদা।" 
     
    এই লেখার সাথে অনেকটাই দ্বিমত। প্রথমত, শুধু দুর্নীতি দেখলে, বিজেপি আর কংগ্রেসের একফোঁটাও তফাত নেই। কংগ্রেসের দুর্নীতির সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে, ঘুষ খেয়ে সরকার ফেলা, ঘুষ খাইয়ে সরকার বাঁচানো, এসবেরও সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে। কোম্পানিদের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা আর টাকা পেয়ে অন্যায় সুবিধে পাইয়ে দেওয়া, এসবেও কংগ্রেসের বহু দশকের কৃতিত্ব। চিদাম্বরম অর্থমন্ত্রী থাকা কালীন কোম্পানিদের থ্রেট দেখানোয় বিশেষ সুখ্যাতি ও পারদর্শীতা অর্জন করেছিলেন। কংগ্রেসও সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্সাম ইত্যাদি ব্যবহার করে তোলাবাজি করতো। দুর্নীতির দিক থেকে এখন যা হচ্ছে তা আগের জমানার থেকে একেবারেই আলাদা নয়। 
     
    হ্যাঁ, বিজেপি বিপজ্জনক কারন ওদের পেছনে আছে আরেসেস, যাদের শুরু থেকে একটাই অ্যাজেন্ডা, হিন্দুরাষ্ট্র। বিজেপি ফ্যাসিস্ট, কংগ্রেস না। কিন্তু দুর্নীতির দিক থেকে দেখলে কংগ্রেসের থেকে কেউই এগিয়ে নেই। ইনস্টিটিউশনালাইজড করাপশান কথাটাই তৈরি হয়েছে কংগ্রেস এর কথা মাথায় রেখে। ইলেক্টোরাল বন্ডের খেলায় বিজেপি ফেঁসে গেছে বটে, আর সেটা খুবই ভালো ব্যপার হয়েছে, কিন্তু ইলেক্টোরাল বন্ড ফন্ড ছাড়াই কংগ্রেস হাজার হাজার কোটি টাকা তুলেছে। 
     
    ইন্ডিয়ার সবকটা পলিটিকাল পার্টি কিন্তু ওদের ফরেন ফান্ডিং সোর্সের অডিট করানোর বিরোধিতা করে। সেটা এমনি এমনি না :-)
  • dc | 2401:4900:2341:2ef1:197:2f86:7651:***:*** | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৪:১১529548
  • এ রাজা, কাণিমোঝিদের কথা আর কি বলবো। ডিএমকের ইউথ উইং এর একজন জেলা সেক্রেটারি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সে ভেতরকার সব কিছুই জানে, তার কাছে ডিএমকের টাকা খাওয়ার অনেক গল্প শুনেছি।  
  • dc | 2401:4900:2341:2ef1:197:2f86:7651:***:*** | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৪:২৪529549
  • "মানে, সব হাত গুটিয়ে নিয়ে সব বেচে দিলাম, এ জিনিস তখনও হয়নি। সেটা হল পরের পর্বে। মোদিবাবু আসার পর। শুরু হল  ধোকলা ও ভুজিয়াওয়ালাদের খোলাখুলি লুঠতরাজ। "
     
    এটাও ভুল। ধিরুভাই আম্বানির প্রথম সারির শিল্পপতি হয়ে ওঠা, তারপর মুকেশ আর অনিল আম্বানি, এসবই কংগ্রেস আমলের, বহু দশকের গল্প। হ্যাঁ, মোদি আসার পর আদানি বিশেষ সুবিধা পেয়েছে, কারন আদানি মোদির বিশেষ ঘনিষ্ঠ। তবে মোদি না এলেও আদানি হয়তো উঠে আসতো (এতোটা নাও হতে পারতো)। মজার কথা হলো, আদানির বিরুদ্ধে কোন পার্টিই কিছু বলে না, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম, যেই হোক না কেন। আদানি ইনভেস্ট করতে চাইলে সব দলই খুশী হয়। সেইজন্যই, শুধুমাত্র করাপশনের কথা হলে, বিজেপি, কংগ্রেস, ডিএমকে, আরজেডি, সপা, বসপা, কারুর কোন তফাত নেই। ইলেক্টোরাল বন্ডের ভালো দিক হলো এই ব্যপারটা পরিষ্কার করে দেখিয়ে দিল, বিশেষত গৌমাতারা আর এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারবে না।  
  • কং আদানির বিরুদ্ধে বলে না? | 2409:40e7:f:e9c6:9009:b1ff:feec:***:*** | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৫:৩২529553
  • In a statement on the judgement, Congress general secretary in-charge communications Jairam Ramesh hit out at Adani, saying "truth dies a thousand deaths when we hear Satyameva Jayate from those who have gamed, manipulated and subverted the system this past decade".
     
    Ramesh said the Supreme Court judgment on certain matters relating to transactions by the Adani Group has proven "extraordinarily generous" to the Securities and Exchange Board of India (SEBI), not least by extending its original investigation deadline of August 14, 2023 by another three months to April 3, 2024.
     
    It is noteworthy that SEBI has "failed" to complete its investigation into the violation of securities laws and stock manipulation by the Adani Group and its associates ten months after the Supreme Court's expert committee asked it to do so, Ramesh said.
     
  • অনেক আলাদা | 2409:40e7:f:e9c6:9009:b1ff:feec:***:*** | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৫:৩৩529554
  • চাঁদা তো ছিল, কিন্তু ইডি লেলিয়ে হপ্তা তোলা ছিল কই? 
     
     
  • ডিসেম্বরে জয়রাম রমেশ | 2409:40e7:f:e9c6:9009:b1ff:feec:***:*** | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৫:৩৬529555
  • “Your close friend Adani siphons out Rs 17,500 crore from India by inflating the prices of imported coal and power equipment. He brings another Rs 20,000 crore back into India via offshore shell companies and inflates his stock prices under SEBI’s eyes. He borrows billions from banks at his service using inflated stocks as collateral. He invests the money in projects kindly gifted to him using ED, CBI and IT. He zooms from literally nowhere to the second richest man in the world. Who pays for this unprecedented growth?” Jairam Ramesh asked.
    He claimed that the people paid for Adani’s “unprecedented growth” via “inflated electric bills”.
  • শংকর দাশ | 103.143.***.*** | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৬:৩৫529558
  • সোজা কথায় পুঁজির থাবা সর্বগ্রাসী ও সর্বত্র বিরাজমান। এই দেখুন না, পকেটে পয়সা আছে বলেই বউয়ের ওপর খবরদারি করছি। ছেলেমেয়েদের ওপর হম্বিতম্বি করছি। 
  • dc | 2401:4900:2341:2ef1:f4e0:c8ae:e609:***:*** | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৯:৩৬529562
  • ঠিক আছে, জয়রাম রমেশ, মানে কং্গ্রেস আদানির বিরুদ্ধে বলেছে। যদিও আদানির থ্রু দিয়ে মোদিকে আক্রমণ করেছে, সেবির থ্রু দিয়েও মোদিকেই আক্রমণ করেছে, আমি যে সেন্সে আদানি-আম্বানির বিরুদ্ধে বলার কথা লিখেছিলাম, এটা ঠিক তা নয়। বাট স্টিল, পয়েন্ট টেকেন :-)
     
    আর হ্যাঁ, কংগ্রেস এরকম নির্লজ্জ ভাবে ইডি লেলিয়ে তোলা তুলতো না। এটা মনে রাখা দরকার যে কংগ্রেস ৭০ বছর ক্ষমতায় ছিল, কাজেই করাপশানের যেসব চ্যানেল গড়ে তুলেছিল, তোলা আদায়ের যে ফিনেস অ্যাকুয়ার করেছিল, সেসব তৈরি করতে বিজেপির হয়তো আরও সময় লাগবে। বা হয়তো বিজেপির অ্যাপ্রোচটাই অতো সূক্ষ না, কারন অন্য যেকোন ফ্যাসিট নেতার মতোই বিশ্বগুরুও ওভার দ্য টপ অ্যাপ্রোচে বিশ্বাস করে (পুটিনের উদাহরণ হাতের কাছেই আছে)। আমি যেটা বলতে চাইছি, আবারও, যে শুধু করাপশানের কথা বললে কং্গ্রেস আর বিজেপির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্যটা অন্য জায়গাতে। 
  • r2h | 165.***.*** | ১৮ মার্চ ২০২৪ ২০:৩০529563
    • dc | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৯:৩৬
    • ...শুধু করাপশানের কথা বললে কং্গ্রেস আর বিজেপির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্যটা অন্য জায়গাতে। 
     
    একমত। 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৬:১৭529592
  • দুঃখের বিষয় দিনের শেষে সাধারণ মানুষের কাছে শুধু দুটো অপশন পড়ে থাকে - চুরিকে শিল্পের জায়গায় নিয়ে যাওয়া চোর আর দাঙ্গাবাজ ফ্যাসিস্ট চোর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন