এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  পরিবেশ

  • বিপন্ন বিশ্বজলবায়ুঃ মুক্তির উপায় কি? পর্ব ৩

    সূর্যদীপ্ত নাগ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | পরিবেশ | ০৪ জুন ২০২৩ | ৬৫৪ বার পঠিত
  • উষ্ণায়নের ঠ্যালায় পকেটে টান
     
    উনবিংশ শতাব্দীর শেষ অর্ধে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা যা ছিল তার থেকে এক ডিগ্রি বাড়তে সময় লেগেছে এক শতাব্দীরও বেশি। কিন্তু সেখান থেকে আরেক ডিগ্রী বাড়ার (অর্থাৎ মোট দুই ডিগ্রী বাড়ার) সময় কিন্তু মোটেও এতটা লাগবেনা। গ্রীনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমিয়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং রোধ করার যতগুলি বাস্তববাদী প্ল্যান এই মুহূর্তে আছে তাদের কোনটার দ্বারাই ২০৫০ সালের আশেপাশে আরেক ডিগ্রি টেম্পারেচার বৃদ্ধিকে আটকানো যাবে বলে মনে হয় না। এর ফলে পৃথিবীর কত জায়গা যে বসবাসের পক্ষে সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে যাবে ভাবতেও আতঙ্ক হয়! দুই ডিগ্রীর কথা বাদ দিন, মাত্র দেড় ডিগ্রী তাপমাত্রার বৃদ্ধিতেই পৃথিবীর জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ প্রতি পাঁচ বছরে অন্তত একবার মারক হিট ওয়েভের মুখোমুখি হতে বাধ্য হবে। অর্থাৎ প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ তাপমাত্রার কারণে বিপদের মুখে পড়বেন। আর সেটা বেড়ে পুরো দুই ডিগ্রি হলে সংখ্যাটা হয়ে যাবে ৩.৩ বিলিয়ন! এবং, +২° তাপমাত্রায় শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্যই অন্তত ১০০ কোটি মানুষকে মাইগ্রেট করে কোন শীতল জায়গায় চলে যেতে হবে। (তথ্যসূত্র: Nomad Century)
     
    এই ভবিষ্যৎ যে আমাদের থেকে দূরে নেই তার লক্ষণ এখনই দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীর বহু জায়গাতে উষ্ণায়নের এফেক্টগুলি স্পষ্টভাবে নজরে পড়তে শুরু করছে। এবং, এটা অত্যন্ত আনন্দের কথা যে, পৃথিবীর সবথেকে উন্নত ইকনোমিগুলিও এর হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ২০২২ এ ইউরোপে যে রকম খরা পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল গত পাঁচশ বছরের ইতিহাসে তার জুড়ি মেলা ভার! অন্যদিকে চীন এবং আমেরিকা, অর্থাৎ গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমনে যে দুটি দেশ এই মুহূর্তে সবার আগে, ক্লাইমেট ক্রাইসিসের কল্যানে ভালোমতোই অ্যাফেক্টেড হচ্ছে। অর্থাৎ, এরা যে 'তোরা নিজেদের মতো যা পারিস কর' বলে হাত-পা গুটিয়ে আপন মনে ফুর্তি করতে ব্যস্ত থাকবে, সেই উপায় আর নেই। 
     
    সাংবাদিক এবং ফিউচারিস্ট Hamish McRae তাঁর The World In 2050 বইতে একটা সম্ভাবনার কথা বলছেন। হয়তো ২০৫০ এর আগেই বিশ্বজুড়ে ক্লাইমেট ক্রাইসিস এমন একটা চেহারা নেবে যে গোটা পৃথিবী আর সবকিছু লাটে তুলে এই বিপদ কি করে সামলানো যায় সেই দিকে ফোকাস করতে বাধ্য হবে! অর্থাৎ, Covid প্যান্ডেমিকের সময় যেমন সারা পৃথিবীর ডাক্তার, বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ, পুলিশ এবং আরো অনেকে এক হয়ে গিয়েছিলেন পরিস্থিতি সামাল দিতে, তেমনই আর একটা অবস্থা হয়তো আমরা আমাদের জীবদ্দশায় দেখতে চলেছি এই বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে। তবে ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই সস্তা হবেনা। 
     
    এই যে একান্নশো কোটি টন কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস বাতাসে প্রতি বছর মিশছে, এটিকে যদি সরাসরি রিমুভ করা হয় তাহলে খরচা কি রকম পড়বে? গাছপালা এই কাজটাই করে ঠিকই, কিন্তু এই মুহূর্তে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ এতটাই বেশি যে শুধুমাত্র তাদের দিয়েই হবে না। সেজন্য একটি বেশ খরচাসাপেক্ষ পদ্ধতি আছে বাতাস থেকে সরাসরি কার্বন-ডাই-অক্সাইড অপসারণ করার। এর নাম ডাইরেক্ট এয়ার ক্যাপচার বা DAC। এই পদ্ধতিতে বিশেষ কিছু যন্ত্রের দ্বারা (বা আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে কিছু ভৌত এবং রাসায়নিক পদ্ধতিতে) বাতাসের কার্বনডাই-অক্সাইডকে সরাসরি বদ্ধ করে এবং অতঃপর সেটিকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে সলিডিফাই করে স্টোর করা হয়। DAC মেশিন হল অনেকটা রাসায়নিক চালনীর মতো। এতে এমন কিছু কেমিক্যাল থাকে যা বাতাসের কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে বদ্ধ করে, কিন্তু অন্যান্য গ্যাসকে পাস করতে দেয়। এবার মেশিনে থাকা ওই রাসায়নিক কার্বন-ডাই-অক্সাইড শুষে সাচুরেটেড হয়ে গেলে পর তাকে তাপ দিয়ে গরম করা হয়, এবং এর ফলে বিশুদ্ধ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয় (যাকে গ্যাস হিসেবে আলাদা করে ক্যাপচার করে নেওয়া হয়) এবং মেশিনের রাসায়নিকটি পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে পুনর্ব্যবহারের জন্য। 
     
    বায়ুমন্ডলের অতিরিক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড রিমুভ করার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কতটা কার্যকর হবে সে বিষয়ে এখনও বিজ্ঞানীরা সহমত নন, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা ছাড়া গতি নেই। পরে সিমেন্ট ইস্পাত প্রভৃতির মেটারিয়াল এর উৎপাদন কালে বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে উৎপন্ন কার্বন ডাই অক্সাইড কিভাবে বায়ুমন্ডল থেকে হটানো যায় সেই প্রসঙ্গে এই DAC-এর কথায় আসবো। কিন্তু আপাতত এর খরচ কি রকম সেই বিষয়টাই দেখা যাক।
     
    প্রতি টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড এই পদ্ধতিতে বাতাস থেকে সরাসরি ক্যাপচার করার জন্য এখন খরচা পড়ে আন্দাজ ২০০ ডলার (প্রায় ১৬৫০০ টাকার মত)। তবে বিল গেটস আশা প্রকাশ করছেন যে বিভিন্ন টেকনোলজিক্যাল ব্রেকথ্রুর দ্বারা এই খরচাটা হয়ত আরেকটু কমিয়ে ১০০ ডলারের মত করা সম্ভব হবে। তাহলে তখন ৫১ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাস থেকে ক্যাপচার করতে খরচা কত পরবে? ৫.১ ট্রিলিয়ন ডলার। শুনে বোধহয় বুঝতে পারছেন না সংখ্যাটা ঠিক কতটা বড়? গোটা ভারতবর্ষের ২০২৩ সালের জিডিপিই হল ৩.৭৪ ট্রিলিয়ন। এবং ৫.১ ট্রিলিয়ন ডলার গোটা পৃথিবীর জিডিপির প্রায় ৬ শতাংশের মতো! এই পরিমাণ অর্থ প্রতি বছর ব্যয় করতে হবে শুধুমাত্র বাতাসে যাতে অতিরিক্ত গ্রীন হাউস গ্যাস যোগ না হয় সেটার জন্যই। 
     
    এর ধাক্কা আপনার উপর কেমন ভাবে পড়বে? ধরুন যদি আপনার বাৎসরিক আয় হয় পাঁচ লক্ষ টাকা, তাহলে তার মধ্যে সরকার ট্যাক্স ছাড়াও (আপাতদৃষ্টিতে) প্রতিবছর তিরিশ হাজার টাকা অতিরিক্ত নেবে শুধুমাত্র বিশ্ব উষ্ণায়ন আটকানোর জন্য। হয়তো জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে এতটাই যাতে এই বিপুল অর্থ উঠে আসে সেখান থেকে। তবে ব্যাপারটা মোটেও এতটা সরল অংক থাকবে না। ভুলে যাবেন না যে একটা অর্থনীতিতে প্রচুর মানুষ এমনও থাকেন যারা প্রায় কিছুই রোজগার করেন না। স্বাভাবিকভাবেই তাদের খরচাটাও এসে পড়বে, যারা উপার্জনক্ষম তাদের উপর। সেই খরচ টানতে টানতে ক্লান্ত হয়ে যাবে ভবিষ্যতের মানুষ।
     
    তবে আশার কথা এটাই যে, নেট জিরো এমিশানে পৌঁছানোর কিছু সস্তা এবং টিকাও পদ্ধতিও আছে। সারা পৃথিবীর প্রায় সব রাষ্ট্র মিলে যদি সে ব্যাপারে উদ্যোগী হয় তাহলে হয়তো জোরকা ধাক্কা কিছুটা ধীরেসেও লাগাতে পারে। পরের পর্ব থেকে সেগুলি নিয়েই আলোচনা করব।
     
    পুনশ্চঃ বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড সরাসরি অপসারণ করার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। তার মধ্যে একটার ব্যাপারে সামান্য একটু ধারণা দেবার চেষ্টা করছি। এটির নাম পাইরোলীসিস। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন অর্গানিক ম্যাটেরিয়ালকে (এই যেমন ধরুন ফসল কেটে নেবার পর চাষ হওয়া উদ্ভিদের যে অংশটা অবশিষ্ট থেকে যায়) অক্সিজেন বিহীন চেম্বারে উচ্চ তাপে পোড়ানো হয়। এর ফলে তিনটি জিনিস উৎপন্ন হয় - ১. সিন্থেটিক গ্যাস (বা syngas), ২. পাইরোলিসিস অয়েল এবং ৩. বায়োচার (biochar)। এদের মধ্যে প্রথম দুটি জিনিস দাহ্য। তৃতীয়টি হলো এই জাতীয় অর্গানিক মেটেরিয়াল এর মধ্যে স্টোর হয়ে থাকা কার্বন। গাছপালা প্রভৃতির মৃত্যুর পর সালোকসংশ্লেষ পদ্ধতিতে উৎপন্ন কার্বন ডিকম্পোজিশনের মাধ্যমে আবার প্রকৃতিতেই ফিরে যায়। একে কার্বন চক্র বলে। পাইরোলীসিসের দ্বারা কার্বন ডাই অক্সাইডের বায়ুমন্ডলে ফিরে যাওয়া রোধ করা হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাতাসের কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমতে থাকে। প্রসঙ্গত বলে রাখি, বায়োচার জিনিসটা কিছু ধরনের মাটির ক্ষেত্রে সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আবার গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। ভারতের মতো দেশে এই পদ্ধতি অবলম্বন করার অনেকগুলি সুবিধা আছে। যারা দিল্লি বা গুরগাঁওতে থাকেন তারা প্রত্যেক বছর শীতকালে কমপ্লেন করেন যে ওই সময়ে ওই অঞ্চলে দূষণ এতটাই চরম পর্যায়ে পৌঁছায় যে বাড়ি থেকে বের পর্যন্ত হওয়া যায় না! এর কারণ, পাশের রাজ্যগুলির কৃষকরা ওই সময়ে ফসল কাটার পর পড়ে থাকা উদ্ভিদের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে দেন। পাইরোলিসিস পদ্ধতি অবলম্বন করলে দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের দূষণও অনেকটাই রোধ করা সম্ভব হবে।
     
    [বোরিং লেখা পড়তে যাদের অসুবিধা হয় তাদের জন্য ইউটিউবে করা পডকাস্টের লিংকও রইল।] 
     

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৪ জুন ২০২৩ | ৬৫৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সূর্যদীপ্ত নাগ | ০৪ জুন ২০২৩ ০৯:৪২520216
  • [বোরিং লেখা পড়তে যাদের অসুবিধা হয় তাদের জন্য ইউটিউবে করা পডকাস্টের লিংকও রইল।] 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন