এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • ভারতীয় উপমহাদেশে ক্রিকেটের পথিকৃৎ সারদারঞ্জন রায় : আজ ১৬৫তম জন্মদিন

    Suchetana Mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ২৪ মে ২০২৩ | ১০৭৪ বার পঠিত


  • ক্লাস টেনে যখন ইতিহাস পড়াই, সেসময় এই আকালেও কিছু আগ্রহী কিশোর-কিশোরী আমায় জিজ্ঞেস করে ওদের বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে খেলার ইতিহাসের ভিতর উল্লিখিত গোবর গুহ, নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী বা সারদারঞ্জন রায়দের সম্পর্কে। ওরা জিজ্ঞেস করলে খুব ভালো লাগে আর ওদের গল্পের মতো করে বলি সেসব কথা। সিলেবাসের চোখরাঙানি স্বত্ত্বেও বিস্মৃতির ধুলো সরিয়ে অনন্য সব ভারতীয়ের কৃতিকথা বর্তমানের সামনে উজাগর করে তোলা আমাদের মানে ইতিহাসের গবেষক - শিক্ষক বা আগ্রহী পাঠকদের একটি জরুরি কাজ।

    তামাম বাংলা-বাঙালি তথা ভারতীয় উপমহাদেশের মনের জমিতে ক্রিকেট খেলাটিকে যিনি রোপণ করেছিলেন সেই সারদারঞ্জন রায়ের আজ ১৬৫তম জন্মদিন। আজ সারাদিন কাজী নজরুলের জন্মতিথিতে তো সব্বাই তাঁকে স্মরণ করেছেন নানা ভাবে। আমি বরং "ভারতীয় ক্রিকেটের W. G GRACE". তথা ক্রিকেটার-অধ্যাপক-সংগঠক সারদারঞ্জন রায়কে আজ স্মরণ করি। 'ক্রিকেটপাগল' বাঙালিকে যিনি 'পাগল' হতে শিখিয়েছিলেন এই আই পি এলের ভরা মরশুমে বরং বিস্মৃতির ধুলোয় আবছা হয়ে যাওয়া সেই সারদারঞ্জনের কৃতি জীবন আর অনন্য উদ্যোগগুলিকে আরেকবার ফিরে দেখি আজ।

    ……..

    সাবেক ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ জেলার কাটিয়াদি অঞ্চলের মসুয়া গ্রামের সংস্কৃত-আরবির পন্ডিত কালিনাথ রায়ের পাঁচ ছেলে-তিন মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিলেন সারদারঞ্জন। কিশোরগঞ্জ মাইনর স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তিনি নিয়মিত শরীরচর্চার জন্য ব্যায়াম আর ক্রিকেট খেলাকে বেছে নিয়েছিলেন। ছোটো চারভাইও ক্রিকেটের উদ্যোগে শুরু থেকেই ছিলেন দাদার সঙ্গে। ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে পড়ার সময় গ্রামের কাদামাখা পথে এক হাতে ব্যাট আর অন্য হাতে স্কুলের বইপত্র ধরা হেঁটো ধুতি পরা এক সুগঠিত কিশোরকে দেখতে অভ্যস্ত ছিলেন এলাকার সবাই।

    তুখড় মেধাবী সারদারঞ্জন ঢাকা কলেজে ভর্তি হলেও স্নাতকশ্রেণীতে পড়ার জন্য অতি সম্মানের প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি পেয়ে কলকাতার সংস্কৃত কলেজে পড়তে চলে যান। যুগপৎ সংস্কৃত আর অংকে অসামান্য দক্ষতার পাশাপাশি তাঁকে সমবয়স্ক -সহপাঠীদের থেকে স্বতন্ত্র করেছিল, ক্রিকেট খেলার প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসাবোধ। নিছক একটি খেলা নয়, দেহমনকে সুস্থ-সবল করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ক্রিকেট তাঁর কাছে ছিল এক কার্যকর আর আনন্দময় পথ।

    সেকালে ভারতে ক্রিকেট কেবল ইংরেজ সমাজ আর বম্বে শহরের অভিজাত পারসি জনগোষ্ঠীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। আম ভারতীয়রা খেলার মাঠে উপস্থিত থাকতেন মূলত পরিচারক বা দর্শক হিসেবে। সেরকম দর্শক হিসেবেই সারদারঞ্জনের ক্রিকেট শেখা। ঢাকায় কলেজে পড়াকালে ১৮৭০ এ তিনি অভিবক্ত বাংলার প্রথমতম ক্রিকেট ক্লাব ' ঢাকা কলেজ ক্রিকেট ক্লাব' গড়ে তোলেন। তাঁর চার ভাই ছাড়াও এই ক্লাবে নিয়মিত ক্রিকেট শিখতেন ও খেলতেন ঢাকার তৎকালীন ছাত্রদের একটি বড় অংশ।

    এম.এ পড়া শেষ না করেই সারদারঞ্জন আলিগড় অ্যাঙলো ওরিয়েন্টাল মহামেডান কলেজে অংকের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। সেখান থেকে ফিরে কিছু সময়ের জন্য বহরমপুর আর তারপর ঢাকা কলেজে পড়ানো শুরু করেন তিনি। আলিগড়, বহরমপুর আর ঢাকা; তিনটি জায়গাতেই তিনি কলেজের ছাত্রদের তো বটেই ভারতীয় অধ্যাপকদেরও ক্রিকেট খেলায় উৎসাহিত করতেন। তাঁর নেতৃত্বে নিয়মিত ইংরেজ ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে খেলতো দুটি দলই। সারদারঞ্জন নিজে যেমন দুর্ধর্ষ ব্যাটসম্যান ও ক্যাপ্টেন ছিলেন, তেমনি ক্রিকেট কোচ হিসেবেও ছিলেন অসামান্য।

    ১৮৭০-৮০ এর সেসব দশক, ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আপামর মধ্যবিত্ত ভারতীয়ের জীবন-মননে জাতীয়তাবাদী চিন্তা-কর্মপন্থার বিকাশ তথা এদেশে আধুনিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্মকাল। এমন একটি যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ভারতীয় যুবসমাজের মধ্যে ঐক্য আর জাতীয়তাবোধ গঠনের একটি কার্যকরী মাধ্যম হিসেবে ক্রিকেটের অপার সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করেছিলেন সারদারঞ্জন। ক্রীড়াঅনুরাগী তো বটেই, এক নিখাদ দেশপ্রেমিক ভারতীয় হিসেবেই মূলত বাংলায় ক্রিকেটের প্রসারকে তিনি এক মহত্তর মাত্রা দিয়েছিলেন।

    ১৮৮৪। ঢাকা কলেজের শিক্ষক-ছাত্রদের নিয়ে তাঁর হাতে গড়া দলটি কলকাতার ইডেন গার্ডেনে খেলতে এলো প্রেসিডেন্সি কলেজের বিপক্ষে। সারদারঞ্জনের ক্ষুরধার নেতৃত্ব, প্রশিক্ষণ এবং দুইভাই কুলদারঞ্জন আর প্ৰমদারঞ্জনের দুর্দান্ত ব্যাটিং-বোলিংয়ের সামনে গুঁড়িয়ে গেলো প্রেসিডেন্সি। কিন্তু টাউনের বাঙালি দলের কাছে হার মানতে ইগোতে বাঁধলো ব্রিটিশ রাজধানীর পয়লা নম্বর কলেজের সাহেব অধ্যাপকদের। ছাত্রদের দলে কেন শিক্ষকরা খেলেবেন, এই জিগির তুলে, তাঁরা সারদারঞ্জনের বিরোধিতায় কোমর কষেন। সাহেব অধ্যাপকদের খোলাখুলি সমর্থন করে সারদারঞ্জনকে নানাভাবে অপদস্থ করে শহর কলকাতার সাহেবি ক্রিকেট প্রতিষ্ঠান, ১৭৯২ তে প্রতিষ্ঠিত খ্যাতনামা ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব।

    ঢাকা কলেজের ইংরেজ কর্তৃপক্ষ তাঁর পাশে না দাঁড়ানোয় আত্মমর্যাদাময় সারদারঞ্জন কলেজ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশন কলেজে অধ্যক্ষ্য হিসেবে যোগ দেন। ১৮৮৪-তেই কলকাতায় সমমনোভাবাপন্ন কিছু বাঙালির সঙ্গে মিলে গড়ের মাঠের একদিকে তিনি গড়ে তোলেন টাউন ক্লাব। ঢাকা কলেজ আর টাউন ক্লাব, দুটি দলই নিয়মিত তাঁর নেতৃত্বে সেকালের বিভিন্ন ইংরেজ দলগুলির বিরুদ্ধে ক্রিকেট খেলতো। কথিত আছে এরকমই এক ব্রিটিশ দলের বিরুদ্ধে সারদারঞ্জনের নেতৃত্বে, নিখুঁত লাইন-লেংথে খেলে এক ইনিংসে মাত্র ২০ রান খরচ করে ৭টি উইকেট নিয়েছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত নাম সিমলে পাড়ার এক তরুণ। ১৮৮৭ তে সন্ন্যাস নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ হয়ে ওঠার আগে পর্যন্ত তিনি নাকি নিয়মিত টাউন ক্লাবের হয়ে ক্রিকেট খেলতেন।

    কেবল কলকাতা আর ঢাকা শহরেই নয়, অনলস শ্রম ও আন্তরিকতায় সাবেক অবিভক্ত বাংলার প্রায় সমস্ত জেলা, মহকুমা, টাউন আর গ্রামে ক্রিকেট খেলাকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সারদারঞ্জন। তাঁর উদ্যোগে বাংলার বাঙালি দলগুলির মধ্যে নিয়মিত আয়োজিত হতো নানা স্তরের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। বাংলায় পড়তে এসে ক্রিকেট ভালোবেসে ফেলা অবাঙালি ছাত্রদের হাত ধরেই ১৮৯০ এর দশক নাগাদ ক্রিকেট উত্তর আর মধ্য ভারতেও আমজনতার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল ক্রমে। ১৮৯৯ সালে ভগ্নিপতি হেমেন্দ্রমোহন বসুর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আগ্রহী কিশোর-যুবা'দের সহজে ক্রিকেট শেখানোর জন্য বাংলা ভাষার প্রথম ক্রিকেট-প্ৰশিক্ষণ বইটি লিখেছিলেন সারদারঞ্জন রায়। ১৮৯১ তে বিদ্যাসাগরের মৃত্যুর পর মেট্রোপলিটন কলেজটি চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে। দীর্ঘসময় বেতন না পাওয়া আর ক্রিকেটের জন্য অকাতর ব্যয়ের কারণে সংসারের অনটন ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। এই দুঃসময়ে সারদারঞ্জন ইংরেজি ও সংস্কৃতের নানা পাঠ্যবই, টিকা ইত্যাদি লিখে সংসারে অর্থের যোগান দিতেন। বাংলা আর ইংরেজিতে পাটিগনিত- বীজগনিত, ত্রিকোণমিতি আর জ্যামিতির নানা পাঠ্য বই, সংস্কৃত থেকে বাংলায় কুমারসম্ভব, অভিজ্ঞান শকুন্তলম, মুদ্রারাক্ষস সহ নানা নাটক ও ব্যাকরণ বইয়ের অনুবাদ লিখে উপার্জন করতেন তিনি। সাপ্তাহিক ১০০-২০০ টাকার বিনিময়ে ইংরেজির টিউশনও দিয়েছিলেন সেসময় তবে কলেজ ও পরিবারের আর্থিক সমস্যার স্থায়ী সমাধানও ক্রিকেটপাগল এই মানুষটি খুঁজেছিলেন ক্রিকেটের পথেই।

    সেসময় কলকাতায় সুলভে ক্রিকেটের কোন সরঞ্জামই পাওয়া যেতোনা। ফলে সাধারণ ঘরের ছেলেরা প্রতিভা থাকলেও ব্যয়বহুল এই খেলাটিকে নিয়ে দূরে এগোনোর কথা ভাবতেও পারতেন না। ক্রিকেট সরঞ্জামকে সুলভে বিক্রি করা এবং তা থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে কলেজ ও পরিবারের অর্থ-সংকট মেটানোর জন্য ১৮৯৫ তে কলকাতায় এস. রায় এন্ড কোম্পানি নামে একটি বিপনি খোলেন সারদারঞ্জন। সুদূর শিয়ালকোট থেকে আনানো উইলো কাঠ থেকে যশোর রোডের নিজস্ব কারখানায় দেশীয় প্রযুক্তি ও কারিগরদের সাহায্যে উঁচুমানের ব্যাট, উইকেট ইত্যাদি তৈরী করে সহজ দামে বিক্রি করতেন তিনি। তাঁর কারখানায় তৈরী ব্যাট ১৯০৬ সালে কলকাতায় ইংরেজ সরকারের 'শিল্প ও কৃষি প্রদর্শনী'তে "balanced bat " এর পুরস্কার জিতে নিয়েছিল। 

    কেবল ক্রিকেট নয়; মাছচাষ আর মাছধরার বিষয়েও আগ্রহী ছিলেন তিনি। নিজের কারখানায় যেমন তৈরী করতেন মাছ ধরার উন্নতমানের সামগ্রী, তেমনি ভারতীয় ফুটবলের বিকাশের ক্ষেত্রেও উৎসাহী ছিলেন তিনি একইরকম। ১৯২০ তে কলকাতায় সুরেশচন্দ্র চৌধুরী ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠা করলে, সারদারঞ্জন রায় ক্লাবের প্রথম প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। 

    একমুখ সাদা দাঁড়িগোঁফ মন্ডিত দীর্ঘদেহি এই ক্রিকেটপাগল মানুষটিকে ময়দানে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষের ইংরেজ বোলারদের উড়িয়ে দিতে দেখে সাহেব হোন বা খবরের কাগজে বিদেশী ক্রিকেট ম্যাচের বিবরণ পড়া মধ্যবিত্ত বাঙালি দর্শক সক্কলেরই মনে হতো সমকালীন কিংবদন্তি ইংরেজ ক্রিকেটার ও ক্রিকেটসংগঠক W.G GRACE এর কথা। ক্রিকেট খেলার উন্নতিকল্পে GRACE যে ভূমিকা ইংল্যান্ডে নিয়েছিলেন, প্রশ্নাতীতভাবে তার থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল পরাধীন ভারতীয় উপমহাদেশের এক বড় অংশের সাধারণ জনতার মাঝে ক্রিকেটের বিকাশে সারদারঞ্জন রায়ের অবদান।

    মূলত তাঁর পথে হেঁটেই যেভাবে ১৮৯০ এর দশক থেকে কলকাতায় একের পর এক বাঙালি ক্রিকেট ক্লাব তৈরী শুরু করেছিল, সেই ধারা দ্রুত বিস্তার পেয়েছিল সারা বাংলায়। ১৯২৫-এ প্রয়াণবেলায় অশীতিপর সারদারঞ্জন অবিভক্ত বাংলার সমস্ত প্রান্তে ৫০-টিরও বেশি বাঙালি ক্রিকেট ক্লাব দেখে যেতে পেরেছিলেন।

    একদিন স্কুল আর গ্রামের মাঠে সম্পূর্ণ নিজের ভালোবাসা থেকে যে খেলা শুরু করেছিলেন সারদারঞ্জন, সেই খেলার অপার জনপ্রিয়তা ক্রমে অভিনব সব জাতীয়তাবাদী প্রতিবাদ আর ছাত্র-যুব'র শরীরমন গঠনের ময়দান পেরিয়ে চিরকালের মতো পৌঁছেছিল বাংলার মধ্যবিত্ত জনতার মনের আঙিনায়। আর আজ যে আদিগন্তপার ক্রিকেট-প্রেম গোটা ভারতীয় উপমহাদেশের প্রায় প্রতিটি আমআদমির কোষে-শিরায়-ধমনীতে বয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত, সেই ভালোবাসার একদম গোড়ায় চিরভাস্বর একমুখ দাঁড়িগোফের সেই ক্রিকেট পাগল গণিতজ্ঞ, সেই কর্মোদ্যোগী সংগঠক, সেই নিখাদ দেশপ্রেমিক বাঙালি মানুষটিকে যেন আমরা কক্ষনো বিস্মৃত না হই।

    উৎস সূত্র:

    ১) The Rays before Satyajit: Creativity and Modernity in Colonial India : Chandak Sengoopta
    ২) "Cricket in colonial Bengal (1880–1947): A lost history of nationalism" : Boria Majumdar, The International Journal of the History of Sport
    ৩)"When Swami Vivekananda claimed seven wickets and other Eden Gardens tales" : Atreyo Mukhopadhayay
    ৪) https://khela71.com/life-of-sarada-ranjan-roy-chowdhury/
    ৫) https://web.archive.org/web/20210805160111/https://banglaamarpran.in/saradaranjan-roy-father-of-bengal-cricket/
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৪ মে ২০২৩ | ১০৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 42.***.*** | ২৪ মে ২০২৩ ১০:১১520027
  • সারদারঞ্জন ভারতের খেলার ইতিহাসে এক অসামান্য ব্যক্তিত্ব! তাঁকে নিয়ে আলোচনার জন্য লেখিকাকে ধন্যবাদ জানাই!
  • Ranjan Roy | ২৪ মে ২০২৩ ১৯:৩৬520034
  • আমারও একই কথা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন