'তাই আফগানিস্তানেও ধর্ম কথা বলে'
- ধর্ম কথা বলুক, কিন্তু তা যেন মৌলবাদ না হয়। নকশালবাড়ীর গানগুলোতে ধর্ম এসেছে , কিন্তু মৌলবাদ নয়।
'পর্দাকে ধর্ম বলে জানতেন'
- পর্দা, বোরখা, হিজাব , নিকাব এসব যে ধর্ম নয় এমন একটা ন্যারেটিভ তো আসতে হবে, মুসলিমদের ভিতর থেকেই আসতে হবে
চীনের জয় - এখনো পর্যন্ত। ঠিকই লিখেছেন
ঠিক। মুজতবা আলী ওই শেষ কথাটি বলে গেছেন ।
ধর্ম ব্যতীত পরাধীন জাতির মুক্তিসংগ্রাম কি সম্ভব?
মাটির তলায় তেল বা সোনা থাকলেই যদি দেশ বড়োলোক হয়ে যেত , তাহলে নাইজেরিয়া , মোজাম্বিক বা কঙ্গো র এই হাড়ির হাল কেন ? সব দোষ পশ্চিমি সভ্যতার বা বহুজাতিক শাকের ঘাড়ে চাপানো তো সোজা। তাতে কি আর নিজেদের ট্রাইবাল ফাইট , কুসংস্কার , রিগ্রেসিভ সোসাইটি , মেয়েদের অন্ধকারে ফেলে রাখা সব মাছের গন্ধ চাপা পড়ে ?
আর এই চাপিয়ে দেওয়া সংস্কার না থাকলে আজকে ইন্ডিয়াতে হয়তো সতী পোড়ানো চলতো আজও। কবে ট্রাইবাল খাপ লিডার দের শুভবুদ্ধি আসবে , ততদিন বসে থাকা উচিত .
'ধর্ম ব্যতীত পরাধীন জাতির মুক্তিসংগ্রাম কি সম্ভব?- সোমনাথ লিখেছে
ধর্মের যা ছিরি, মেয়েদের সেক্স স্লেভ বানানো, জোর করে বিয়ে দেওয়া, পরকীয়ার অপরাধে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা, হিজাব না পরার অপরাধে গুলি, চুরির দায়ে ধরা পড়লে হাত কেটে ফেলা - এমন ধর্ম মেনে নেওয়ার চেয়ে পরাধীন থাকা ভাল
আহা, এই তো তালিবানদের ভয়েস টাও আসতে শুরু করেছে।
নাইজেরিয়া কঙ্গো মোজাম্বিকের তো বটেই, ভারতের কথাই ধরুন। মুঘল আমলেও সোনা রুপো দিয়ে কাপড় মশলা কিনে নিয়ে যেতো আজকের "উন্নত" দেশগুলো। সেই ভারত হঠাৎ এতো গরীব হয়ে গেলো কেন ? ইংরেজরা এদেশে কি কি কিত্তি করেছে সেগুলো না জানা থাকলে ইতিহাস পড়ুন। এমনি বাচ্চাদের ইতিহাস বই পড়িলেও হবে, গবেষকদের লেখা পড়ার দরকার নেই। ঠক তেমনই কাজ এই "উন্নত" দেশের লোকে আমেরিকা আর আফ্রিকাতেও ঘটিয়েছে। সেগুলোও ইতিহাসের বইতেই পাওয়া যায়। গল্প নয়। সেই সম্পদ লুঠ করে তারা আজ উন্নত। দোষ তাদের দেবো নাতো কাদের দেবো ?
পশ্চিমী সভ্যতা একেবারেই regresive নয়, তাই তো black lives matter এর আজও প্রয়োজন হয়। Witch hinting, anti-semitism, pogrom পশ্চিমে কোনোদিন হয় নি। Spanish inquisition বা ভারতে goa inquisition শাকের প্রকারভেদ।
যা দেখানো হচ্ছে আমরা তাই দেখছি।
দেশের স্বাধীনতা আবার কী জিনিস? শ্রেণীর স্বাধীনতা হয়। সে বাম দিকে বসলে এক শ্রেনি। ডানদিকে বসলে আরেক। মাঝখান থেকে লেলিরা দেশ ফেশ এনে ঘন্ট পাকায়।
সভ্যতা একটা ইউরোপীয় কন্সেপ্ট। তা ওপর থেকেই আসে। ছুঁচো ইঁদুরের মত জীবন যাপন করাটাই যাদের ওব্যেস তাদের ঘাড়ে ধরে শেখাতে হয় কী পড়বে বা কী পরবে। সে ম্যানিফেস্টো পড়ান বা লিভাইস।
আর প্রাকৃতিক সম্পদ কথাটা নিজেই ভেগ জিনিস। জল তুলতে ও শোধন করতে যা হ্যাপা হয় ওটাই জলের দাম। সেই হ্যাপা যে পোয়ায় সেই জলসম্পদের অধিকারী। একদল অশিক্ষিত দেড়েল ছুঁচো ট্রিলিয়ন টনস অফ লিথিয়ামের ওপর অজান্তে তাঁবু খাটিয়ে বসে তুরুক দিয়ে দিয়ে পুশতু নাচন দিচ্ছিলো খাচ্ছিলো হাগছিল বলেই, তারা লিথিয়াম সম্পদের অধিকারী না।
এদের সামহাও বুঝিয়ে বাঝিয়ে হটিয়ে লিথিয়াম তুলে শোধন করে কাজে লাগাতে হবে। সেই কাজে দুটো মডেল রয়েচে।
এক হল ইউরোপীয় সভ্যতার মডেল। লুসিফারের জাতভাইরা শিক্ষার আলো দেবে, ছোট পেন্টুল দেবে, আইস্কিরিমের কল দেবে। এ মডেল লং টারম এ ভালো কিন্তু কেস ঘুরে যাওয়ার চান্স বেশি। এসব করে পশ্চিমারা অনেক ঠকেচে।
আধুনিক মডেল হল, আলোর বদলে অন্ধকারকে প্রমোট করে ছুঁচোগুলোর মাথা কিনে নাও। ওরা ওদের মত মারাক, দালালি খাও, মাল সটকাও।
হাতে বেশি সময় কই? সময় নাই। মার্স এ কলোনি হবে। শেষ বড়জোর পৌনে শতাব্দী আর।
কেউ পড়ে ম্যানিফেস্টো, কেউ পরে লিভাইস
এর হাতে ফাটাকেষ্ট, ওর হাতে ডিভাইস।