এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • আফগানিস্তান নিয়ে যা মনে হলো - কল্লোল 

    Kallol Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ২০ আগস্ট ২০২১ | ৭২১৬ বার পঠিত
  • আফগানিস্তানের বৈশিষ্ট, চিরকাল শাসক পশ্চিমী "প্রগতি" আনতে চেয়েছে, যা আফগানিস্তানের গ্রামীণ সাধারন ভালো চোখে দেখে নি। শাসকেরা অভিজাত নারীদের দিয়ে প্রকাশ্যে হিজাব ছিঁড়িয়েছে, অথচ একবারও গ্রামের ক্ষেতে কাজ করা মহিলাদের কথা ভাবেই নি যারা পর্দা না মেনেই কাজ করতেন ক্ষেতে-মাঠে কিন্তু পর্দাকে ধর্ম বলে জানতেন। আসলে সংস্কার উপর থেকে চাপালেই হয় না। তা মান্যতা পাওয়াতে ধৈর্য লাগে, সময় লাগে। ফলে মৌলবাদীরা চাপিয়ে দেওয়া “সংস্কার”এর সুযোগ পেয়ে যায়। ঐসব তথাকথিত সংস্কার কাবুলের অভিজাত মহলেই আটকে থেকেছে। এমনকি কান্দাহার বা হীরাতেও তা পৌঁছায়নি। শাসকেরা চিরকাল সাম্রাজ্যবাদের দালালী করেছে, সাধারন মানুষের জীবনের উন্নতির জন্য বামপদের কনিষ্ঠ আঙ্গুলটিও নাড়ে নি। যে সব মিনিস্কার্ট পড়া মহিলাদের ছবি দেখেন, তারা অভিজাত ধনী ঘরের। সাধারন গরীব আফগান মেয়ের মিনিস্কার্ট তো দূরস্থান, বিয়েতে পাওয়া সালোয়ারটিই সারা জীবন ধরে পরে থাকেন, তালির পর তালি দিয়ে। মুজতবা আলির দেশে বিদেশে পড়ে নেবেন উৎসাহীরা। যদি যুক্তি দেন সেতো ১৯২০/৩০ সালের কথা। জেনে নেবেন এই ২০১১তেও আফগানিস্তান এক চুল এগোয় নি। তার দায়িত্ব শাসকদের, তা সে বৃটিশ, রাশিয়া, আমেরিকার তাঁবেদার কি তালিবান যেইই হোক। মৌলবাদীরা এর সুযোগ নেয়। যদি কোন যুক্তিবাদী অন্যধারার মানুষ এই সাধারনের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছেন, তাঁকে এই উপজাতিরা ঈশ্বরের দূত বলে মেনেছে। প্রমান আব্দুল গফফর খান - সীমান্ত গান্ধী। এই সরল গবীব মানুষগুলোকে মানুষের মর্যাদা দিয়ে, তাদের উপযোগী সংস্কার আনলে নিশ্চই ফল ফলতো। কিন্তু সে চেষ্টাই তো তেমনভাবে কেউ করে নি। ফল যা হবার তাইই হচ্ছে।

    ভারতের মতো, ঔপনিবেশিক শক্তি মূলতঃ দুর্গমতার কারনেই আফগানিস্তানের সমাজ-অর্থনীতির পুরানো কাঠামো একেবারে ধ্বংস করে ফেলতে পারে নি। ফলে শাসক এখানে শুধুমাত্র কর আদায়কারী হিসাবেই রয়ে গেছে। জমি রয়ে গেছে গ্রামসমাজের হাতে। গ্রামের প্রশাসন রয়ে গেছে গ্রামসমাজের হাতে। এর কুফল আছে, যেমন তুলনামূলক ধনীকশ্রেণী ও বিশেষ করে মোল্লাতন্ত্রের আধিপত্য, তেমনি ভালো দিকটি এঁদের স্বাধীনতাস্পৃহা। এঁরা বাইরের শক্তি, সে বিদেশী হোক বা অন্য উপজাতি কারুর বশ্যতা মানে না। ফলে বাবর বা বৃটিশ, সোভিয়েৎ বা আমেরিকা কেউই বিশেষ সুবিধা করতে পারেন নি। ঐ জালালাবাদ-কাবুল-কান্দাহারের মত বাণিজ্যকেন্দ্র নিয়ে গড়ে ওঠা শহর ও তার অভিজাত অধিবাসীরা মান্যতা দিয়েছে, তার বেশী নয়।

    এই উপমহাদেশে শাসকের বিরুদ্ধে কৃষক বিদ্রোহ ধর্মের হাত ধরে এসেছে। এই সত্য এখানকার “প্রগতিশীল”রা বুঝতে চান নি। ধর্ম এখানে “নিপীড়িতের দীর্ঘশ্বাস, আত্মাহীন দুনিয়ার আত্মা, মানুষের আফিম”। সেই আফিম যা ব্যথা কমায়। এমনকি কমিউনিস্টদের কৃষক অভ্যুত্থানের গান, কবিতা যখন কমিউনিস্টরাও বাঁধছেন তাতেও ধর্ম ফুটে ওঠে ।

    পাষাণী অহল্যা, ওগো যত রাজপথ
    কান পেতে কি আমার আগমনী শোন ?
    - সলিল চৌধুরী

    স্পষ্টতঃ রামায়ণে অহল্যার রামের আগমন প্রতীক্ষার অনুষঙ্গ।

    নকশালবাড়ির অন্দোলনের গান –
    চন্দনপিঁড়ির অহল্যা গো, দৈবকিনী মা জননী
    মরলেন কংসরাজের অত্যাচারে, গর্ভে নিয়ে চক্রপাণী
    বোনকে মেরে কংসরাজা আপনারে কি রাখা যায় ?
    কৃষ্ণে কি আর কংসকারায় বেঁধে রাখা যায়?
    দ্যাখো মাঠে মাঠে লক্ষ কৃষ্ণ অগ্নিবাঁশের বাঁশি বাজায়………
    - অজিত পান্ডে

    নকশাল আন্দোলনের দাবানল অন্ধ্রের শ্রীকাকুলামে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে কৃষক অভুত্থানে শহীদ ভাই-বোন নির্মলা আর পঞ্চাদ্রী কৃষমূর্তির উদ্দেশে রচনা হচ্ছে -

    শ্রীকাকুলাম জ্বলিছে আমার বুকে তার আগুণ নিভে যাবে না
    নির্মলা বোন আমার সুখে ঘুমাও
    পঞ্চাদ্রী ভাই আমার সুখে ঘুমাও
    রাবণ এবার তোমায় ছুঁতে পাবে না
    – সুব্বারাও পাণীগ্রাহী, অনুবাদ অজানা

    তাই আফগানিস্তানেও ধর্ম কথা বলে।

    এই মরশুমের অন্য খেলাটি কৌতুহলোদ্দীপক।

    আফগানিস্তানের অর্থনীতি চলে আফিম, ফল ও বন্দুকের কুটির শিল্পের উপর। ফল ছাড়া দুটি পণ্যই আন্তর্জাতিক বাজারে বেআইনী। কিন্তু কিন্তু কিন্তু - আজারবাইজানের তেল করাচীর বন্দরে আনতে গেলে আফগানিস্তানের জমিনে কব্জা লাগবে। চীন-পাকিস্তান সেই কারনেই তালিবানের পাশে। করাচী থেকে রাস্তা তৈরীর কাজ বহুকাল ধরে চীন চালাচ্ছে। এই সাফল্য যতটা তালিবানেদের তার চেয়ে বেশী চীনের।

    চীনের বৈদ্যুতিন পুঁজি টক্কর দিচ্ছে আমেরিকার প্রথাগত পুঁজির সাথে। চীন "রেয়ার আর্থ" খনিজের জোরে (যা মোবাইল, কম্পিউটারের ব্যাটারী তৈরীতে লাগে) বলিয়ান। শোনা গেছে আফগানিস্তানেও এ বস্তুটি প্রচুর আছে। আমরা হয়তো আরও একবার দ্বি-কেন্দ্রীক বিশ্বের বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে। আফগানিস্তানে নর্দান অ্যালায়েন্সের যে "প্রতিরোধ" নিয়ে কথা হচ্ছে, তাদের সব কটি নেতার সিআইএ অতীত আছে। কিছু প্রগতিশীল মানুষের অসন্তোষ আছে, কিন্তু তার শক্ত কোন জমি নেই। যারা তালিবানি "নৃশংসতা" নিয়ে রোজ সাংবাদমাধ্যম তোলপাড় করছেন, তারা সৌদির প্রকাশ্যে আইনী শিরচ্ছেদ নিয়ে হিরন্মময় নীরবতা পালন করেন। যারা আফগান মেয়েদের নিয়ে চোখের জলেরর বন্যা বওয়াচ্ছেন তারা ইরাণ-সৌদিতে শরিয়া কানুনে ধর্ষিতাকেই পাথর ছুঁড়ে হত্যার নিদান মনে রাখেন না। যে প্রতিবাদ বেছে করা হয়, তা শয়তানির নামান্তর। ফলে আফগানিস্তানের লড়াই তার মানুষকেই লড়তে হবে।

    আমরা এখান থেকে, বাস্তব না জেনে বুঝে আমেরিকা বা তালিবানের মুন্ডপাত করে "ছায়ার সাথে যুদ্ধে" "গাত্রে ব্যথা" ছাড়া কিছু অর্জন করতে পারবো না। আর যারা বলছেন তালিবান আসলে আমেবান বা তালিরিকা - তারা আরও একবার "বিজেমূল" জাতীয় ফাঁদে পড়বেন ও ঢোঁক গিলবেন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২০ আগস্ট ২০২১ | ৭২১৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • aranya | 2601:84:4600:5410:5175:ba72:6f79:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২১ ২০:৫১496919
  • 'তাই আফগানিস্তানেও ধর্ম কথা বলে'


    - ধর্ম কথা ​​​​​​​বলুক, ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​তা ​​​​​​​যেন মৌলবাদ ​​​​​​​না ​​​​​​​হয়। নকশালবাড়ীর গানগুলোতে ধর্ম ​​​​​​​এসেছে , ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​মৌলবাদ ​​​​​​​নয়। 


    'পর্দাকে ধর্ম বলে জানতেন'


    - পর্দা, ​​​​​​​বোরখা, ​​​​​​​হিজাব ​​​​​​, ​​​​​​​নিকাব ​​​​​​​এসব ​​​​​​​যে ​​​​​​​ধর্ম ​​​​​​​নয় ​​​​​​​এমন ​​​​​​​একটা ​​​​​​​ন্যারেটিভ ​​​​​​​তো ​​​​​​​আসতে ​​​​​​​হবে, ​​​​​​​মুসলিমদের ​​​​​​​ভিতর ​​​​​​​থেকেই ​​​​​​​আসতে ​​​​​​​হবে 

  • aranya | 2601:84:4600:5410:5175:ba72:6f79:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২১ ২০:৫৬496920
  • চীনের জয় - এখনো পর্যন্ত। ঠিকই লিখেছেন 

  • হীরেন সিংহরায় | ২০ আগস্ট ২০২১ ২৩:৩৩496925
  • ঠিক। মুজতবা আলী ওই শেষ কথাটি বলে গেছেন । 

  • Somnath Roy | ২০ আগস্ট ২০২১ ২৩:৪১496926
  • ধর্ম ব্যতীত পরাধীন জাতির মুক্তিসংগ্রাম কি সম্ভব?

  • Kallol Dasgupta | ২১ আগস্ট ২০২১ ০৭:০৭496932
  • #তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে!
    কয়েকদিন যাবৎ এই খবরে দুনিয়া তোলপাড় হয়ে চলেছে . . . . . . . . . . . .
    লিখেছেন : মানস দাশ

    ■ আফগানিস্তান,
    আফগানিস্তান নামটি শুনলে হয়তো আপনার প্রথমেই মনে হবে, জঙ্গি সন্ত্রাস ও যুদ্ধ বিগ্রহে বিদ্ধস্ত চরম দুর্নীতিগ্রস্ত একটি দেশ। বর্তমানে আফগানিস্তানের অর্ধেকের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। দারিদ্র্যতা, রোগ, শোক, নিরাপত্তাহীনতা, অশিক্ষা, দুর্নীতি, জাতিগত সংঘাত দাঙ্গা ও যুদ্ধ নিয়ে আফগানিস্তান যেন পৃথিবীর বুকে এক টুকরো নরক!

    ■ অথচ এই আফগানিস্তানেই রয়েছে মূল্যবান খনিজ সম্পদের বিশাল আধার। দেশটির এই অঢেল প্রাকৃতিক সম্পদ দেশটিকে স্বনির্ভরতা ও উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে পারে, মুক্তি দিতে পারে দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে। পরিণত করতে পারে একটি উন্নত দেশে। কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটেছে।

    ■ প্রায় ৬,৫২,০০০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট আফগানিস্তান বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ খনিজ সমৃদ্ধ দেশ। দেশটিতে আনুমানিক ১৪০০-র অধিক বিভিন্ন খনিজ ক্ষেত্র রয়েছে। খনিজ ক্ষেত্রগুলোর আনুমানিক মূল্য ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এর গোপন তথ্য অনুযায়ী সেটা সাত ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত হতে পারে।

    খনিজ পদার্থের তালিকায় রয়েছে, স্বর্ণ, রৌপ্য, প্লাটিনাম, ইউরেনিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, তামা, লোহা, ক্রোমাইট, লিথিয়াম ইত্যাদি আছে। সেই সঙ্গে উচ্চ মানের পান্না, রুবি, নীলকান্তমণি, ফিরোজা ইত্যাদি রত্ন-পাথর।

    ■ যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এর গবেষণা অনুযায়ী, আফগানিস্তানে,
    ৬০ মিলিয়ন মেট্রিক টন তামা,
    ২.২ বিলিয়ন টন লোহা,
    ১.৪ মিলিয়ন টন দুর্লভ বস্তু ল্যান্থানাম, সেরিয়াম, নিউডিমিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি রয়েছে।
    আর রয়েছে সোনা, রূপা, দস্তা, পারদ ও লিথিয়াম। দেশটিতে এত বেশি পরিমাণে লিথিয়াম আছে যে, দেশটি বিশ্বের লিথিয়ামের রাজধানী হয়ে উঠতে পারে।

    ■ দুর্লভ বস্তু বা রেয়ার আর্থ ইলিমেন্ট বা REE হচ্ছে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বস্তু। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে REE-র ব্যবহার বাড়ছে। হাতের মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ থেকে শুরু করে মহাকাশে পাঠানো স্যাটেলাইট, এমনকি হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরি ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রে REE ব্যবহার করা হয়। সামরিক শিল্পের জন্য খুব প্রয়োজনীয় পদার্থ। এটি ট্যাংক নেভিগেশন সিস্টেম, ক্ষেপণাস্ত্র গাইডেন্সিং সিস্টেম, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা উপাদান, স্যাটেলাইট এবং বিভিন্ন সামরিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উৎপাদনের মূল কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হাই-টেক শিল্পের উন্নয়নের সাথে সাথে REE-র প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। বর্তমান বিশ্বে লিথিয়ামের সর্বোচ্চ মজুদ রয়েছে বলিভিয়ায়। কিন্তু পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী আফগানিস্তানের শুধুমাত্র গজনি প্রদেশেই বলিভিয়ায় চেয়ে বেশি লিথিয়ামের মজুদ রয়েছে। ইউএসজিএস-এর তথ্য অনুযায়ী দেশটির হেলমান্দ প্রদেশে আনুমানিক ১.১ থেকে ১.৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন REE মজুদ আছে।

    ■ মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) ও আফগানিস্তান ভূতাত্ত্বিক জরিপ (এজিএস)-এর একটি যৌথ গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে, আফগানিস্তানের পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে পেট্রোলিয়ামের বিশাল মজুদ রয়েছে। শুধুমাত্র দেশটির উত্তরাঞ্চলেই বিভিন্ন তেল ও গ্যাসক্ষেত্রে আনুমানিক, ১.৬ বিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল, ১৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ৫০০ মিলিয়ন তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ রয়েছে। এছাড়াও এখানে প্রচুর অনাবিষ্কৃত পেট্রোলিয়াম ক্ষেত্র রয়েছে। বেশিরভাগ অপ্রকাশিত অপরিশোধিত তেল ও গ্যাসের অবস্থান দেশটির উত্তরাঞ্চলে আফগান-তাজিক এবং আমু দারিয়া অববাহিকায়। ১৯৫৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে যৌথভাবে সেখানে অনুসন্ধান শুরু হয়েছিল। এরপর সোভিয়েত যুগে আমু দারিয়া অববাহিকায় ছয়টি তেল ক্ষেত্র ও আটটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। এগুলোতে আনুমানিক প্রায় ৯৬৩ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল এবং ৫২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস রয়েছে।

    ■ আমু দারিয়া অববাহিকার মতোই একটি হচ্ছে আফগান-তাজিক অপরিশোধিত তেল অববাহিকা। এই অববাহিকায় অপরিশোধিত তেল দেশটির উত্তর ও উত্তর-পূর্বের প্রায় ৩১,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। ১৯৫৮ সালে আফগান-তাজিক অপরিশোধিত তেল অঞ্চলটি আবিষ্কৃত হয়। সেসময় সেখানে আনুমানিক প্রায় ৯৪৬ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল এবং ৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ ছিল। আফগান-তাজিক পাললিক অববাহিকায় তেল ও গ্যাস অঞ্চল ১২টি ব্লকে বিভক্ত। তন্মধ্যে শুধু দুটি ব্লকেরই ৫১৪ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল এবং ৯১ বিলিয়ন ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে।

    ■ দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ইরান সীমান্ত থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে প্রায় ২৬,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত ত্রিপুল তেল অববাহিকায় প্রচুর পরিমাণে গ্যাস ও তেল মজুদ রয়েছে। আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বে ৪৫,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে কাটোয়াজ তেল ও গ্যাস অঞ্চলে বিশাল পরিমাণ তেল ও গ্যাসের মজুদ রয়েছে। আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে মরুভূমিতে প্রায় ১,৩১,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে বিশাল হেলমান্ড অপরিশোধিত তেল অববাহিকা। এখানেও বিশাল পরিমাণে খনিজ তেল ও গ্যাস মজুদ রয়েছে।

    ■ হিন্দুকুশ ও কারাকোরাম পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত আফগানিস্তানে মূল্যবান রত্ন পাথরের বিশাল মজুদ রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই বণিকরা প্রাচীন সিল্ক রোড দিয়ে হিন্দুকুশ পর্বতমালা থেকে, আফগানিস্তান থেকে নীলকান্তমণি, পান্না, রুবি, ফিরোজা ইত্যাদি মূল্যবান রত্নপাথর মেসোপটেমিয়া, মিশর এবং ভারতে এবং নিজ নিজ দেশে নিয়ে যেতো। এভাবেই আফগানিস্তানের রত্নপাথর বিশেষ করে নীলকান্তমণি পুরো পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আফগানিস্তানে খনন করা প্রায় ৯৫ শতাংশ রত্নপাথর অবৈধভাবে উত্তোলিত হয় এবং তা কাটা ও বিক্রির জন্য অবৈধভাবে পাকিস্তানে চালান করা হয়। এরপর অবৈধভাবে পাকিস্তানের মাধ্যমে এইসব রত্নপাথর বিশ্বজুড়ে রফতানি করা হয়।

    ■ মূল্যবান রত্নপাথরের পাশাপাশি আফগানিস্তানে যথেষ্ট পরিমান সোনাও মজুদ রয়েছে। শতাব্দীকাল ধরে আফগানিস্তানের গজনী, জাবুল, কান্দাহার এবং তাখার প্রদেশ সহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে স্বর্ণ উত্তোলন করা হচ্ছে। এছাড়া বাদাখশান ও হেলমান্দ প্রদেশেও স্বর্ণের বিশাল মজুদ রয়েছে। পাহাড় সমৃদ্ধ আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি নদীর উপত্যকায় বিশেষ করে আঞ্জির, হাসার, নুরাবা এবং পাঞ্জ নদীর উপত্যকায় স্বর্ণের মজুদ রয়েছে। পাঞ্জ নদীর উপত্যকায় অবস্থিত সমতি খনিতে আনুমানিক প্রায় ২০ থেকে ২৫ মেট্রিক টন স্বর্ণ রয়েছে। এছাড়া দেশটির গজনি প্রদেশে থাকা স্বর্ণ ও তামার মজুদের আনুমানিক মূল্য ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    ■ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত আয়নাক তামা খনিটি দেশটির অন্যতম মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। ১৯৭৪ সালে সোভিয়েত ভূতাত্ত্বিকগণ কাবুলের আশেপাশে খনিজ সম্পদ খোঁজার জন্য ম্যাপ করে। সে সময় আইনাক, দারবান্ড এবং জাওখর তামা খনিগুলো পুনরাবিষ্কার করে। সে সময়ের জরিপ অনুযায়ী শুধুমাত্র আয়নাক খনিতেই ২৪০ মিলিয়ন মেট্রিক টন ২.৩ শতাংশ মানের তামা থাকার সম্ভাবনার উল্লেখ রয়েছে। আফগানিস্তানের অন্যান্য অঞ্চলে তামার মজুদ থাকলেও আয়নাকের তামা বিশ্ব বিখ্যাত।

    ■ রাজধানী কাবুল থেকে ১৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে বামিয়ান প্রদেশে বিখ্যাত হাজিগাক নামক লোহার খনিতে প্রায় ১.৮ বিলিয়ন টন লোহা সমৃদ্ধ বিশ্বমানের লোহার খনি রয়েছে। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশে, অ্যালুমিনিয়ামের চেয়ে হালকা বেরিলিয়ামের একটি খনি পাওয়া গেছে, যা এবং বিমান, হেলিকপ্টার, জাহাজ, মিসাইল এবং মহাকাশযানে ব্যবহৃত স্টিলের চেয়ে শক্তিশালী। সেখানে আনুমানিক ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বেরিলিয়াম রয়েছে।

    ■■■
    কয়েক ট্রিলিয়ন ইউএস ডলার সম্পদের উপর বসে আফগানরা দরিদ্রতর, কাঙালের জীবনযাপন করছে!
  • Amit | 118.2.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২১ ০৭:২১496933
  • মাটির তলায় তেল বা সোনা থাকলেই যদি দেশ বড়োলোক হয়ে যেত , তাহলে নাইজেরিয়া , মোজাম্বিক বা কঙ্গো র এই হাড়ির হাল কেন ? সব দোষ পশ্চিমি সভ্যতার বা বহুজাতিক শাকের ঘাড়ে চাপানো তো সোজা। তাতে কি আর নিজেদের ট্রাইবাল ফাইট , কুসংস্কার , রিগ্রেসিভ সোসাইটি , মেয়েদের অন্ধকারে ফেলে রাখা সব মাছের গন্ধ চাপা পড়ে ? 


    আর এই চাপিয়ে দেওয়া সংস্কার না থাকলে আজকে ইন্ডিয়াতে হয়তো সতী পোড়ানো চলতো আজও। কবে ট্রাইবাল খাপ লিডার দের শুভবুদ্ধি আসবে , ততদিন বসে থাকা উচিত .

  • aranya | 2601:84:4600:5410:5593:4ce1:8533:***:*** | ২১ আগস্ট ২০২১ ০৮:২৩496936
  • 'ধর্ম ব্যতীত পরাধীন জাতির মুক্তিসংগ্রাম কি সম্ভব?- সোমনাথ লিখেছে 


    ধর্মের যা ছিরি,  মেয়েদের সেক্স স্লেভ বানানো, জোর করে বিয়ে দেওয়া, পরকীয়ার অপরাধে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা, হিজাব না  পরার অপরাধে গুলি, চুরির দায়ে ধরা পড়লে হাত কেটে ফেলা - এমন ধর্ম মেনে নেওয়ার চেয়ে পরাধীন থাকা ভাল 

  • Voice | 103.22.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২১ ০৯:১৭496940
  • আহা, এই তো তালিবানদের ভয়েস টাও আসতে শুরু করেছে।

  • Kallol Dasgupta | ২১ আগস্ট ২০২১ ১৬:২৪496965
  • নাইজেরিয়া কঙ্গো মোজাম্বিকের তো বটেই, ভারতের কথাই ধরুন। মুঘল আমলেও সোনা রুপো দিয়ে কাপড় মশলা কিনে নিয়ে যেতো আজকের "উন্নত" দেশগুলো। সেই ভারত হঠাৎ এতো গরীব হয়ে গেলো কেন ? ইংরেজরা এদেশে কি কি কিত্তি করেছে সেগুলো না জানা থাকলে ইতিহাস পড়ুন। এমনি বাচ্চাদের ইতিহাস বই পড়িলেও হবে, গবেষকদের লেখা পড়ার দরকার নেই।  ঠক তেমনই কাজ এই "উন্নত" দেশের লোকে আমেরিকা আর আফ্রিকাতেও ঘটিয়েছে। সেগুলোও ইতিহাসের বইতেই পাওয়া যায়। গল্প নয়। সেই সম্পদ লুঠ করে তারা আজ উন্নত। দোষ তাদের দেবো নাতো কাদের দেবো ?  

  • পশ্চিম ভালো | 2409:4060:415:cb48:80ab:6d6f:5fc6:***:*** | ২১ আগস্ট ২০২১ ১৭:১৩496967
  • পশ্চিমী সভ্যতা একেবারেই regresive নয়, তাই তো black lives matter এর আজও প্রয়োজন হয়। Witch hinting, anti-semitism, pogrom পশ্চিমে কোনোদিন হয় নি। Spanish inquisition বা ভারতে goa inquisition শাকের প্রকারভেদ।

  • Dr Saurav Bhattacharya | ২১ আগস্ট ২০২১ ১৮:৩৯496970
  • যা দেখানো হচ্ছে আমরা তাই দেখছি। 

  • একক | ২১ আগস্ট ২০২১ ১৯:৪৬496975
  • দেশের স্বাধীনতা আবার কী জিনিস?  শ্রেণীর স্বাধীনতা হয়। সে বাম দিকে বসলে এক শ্রেনি।  ডানদিকে বসলে আরেক। মাঝখান থেকে লেলিরা দেশ ফেশ এনে ঘন্ট পাকায়। 


    সভ্যতা একটা ইউরোপীয় কন্সেপ্ট।  তা ওপর থেকেই আসে। ছুঁচো ইঁদুরের মত জীবন যাপন করাটাই যাদের ওব্যেস তাদের ঘাড়ে ধরে শেখাতে হয় কী পড়বে বা কী পরবে। সে ম্যানিফেস্টো পড়ান বা লিভাইস। 


    আর প্রাকৃতিক সম্পদ কথাটা নিজেই ভেগ জিনিস। জল তুলতে ও শোধন করতে যা হ্যাপা হয় ওটাই জলের দাম। সেই হ্যাপা যে পোয়ায় সেই জলসম্পদের অধিকারী। একদল অশিক্ষিত দেড়েল ছুঁচো ট্রিলিয়ন টনস অফ লিথিয়ামের ওপর অজান্তে তাঁবু খাটিয়ে বসে তুরুক দিয়ে দিয়ে পুশতু নাচন দিচ্ছিলো খাচ্ছিলো হাগছিল বলেই, তারা লিথিয়াম সম্পদের অধিকারী না। 


    এদের সামহাও বুঝিয়ে বাঝিয়ে হটিয়ে লিথিয়াম তুলে শোধন করে  কাজে লাগাতে হবে। সেই কাজে দুটো মডেল রয়েচে।


    এক হল ইউরোপীয় সভ্যতার মডেল। লুসিফারের জাতভাইরা শিক্ষার আলো দেবে,  ছোট পেন্টুল দেবে,  আইস্কিরিমের কল দেবে। এ মডেল লং টারম এ ভালো কিন্তু কেস ঘুরে যাওয়ার চান্স বেশি। এসব করে পশ্চিমারা অনেক ঠকেচে।


    আধুনিক মডেল হল, আলোর বদলে অন্ধকারকে প্রমোট করে ছুঁচোগুলোর মাথা কিনে নাও। ওরা ওদের মত মারাক,  দালালি খাও,  মাল সটকাও। 


    হাতে বেশি সময় কই?  সময় নাই। মার্স এ কলোনি হবে। শেষ বড়জোর পৌনে শতাব্দী আর।  

  • dc | 106.198.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২১ ২২:৫৯496980
  • কেউ পড়ে ম্যানিফেস্টো, কেউ পরে লিভাইস 


    এর হাতে ফাটাকেষ্ট, ওর হাতে ডিভাইস। 

  • guru | 146.196.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২১ ২৩:৫৮496982
  • কল্লোল বাবু খুব সহজসরল ভাবে একটা বেশ জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে তুলে ধরেছেন | আপনাকে ধন্যবাদ জানাই অনেকদিন পরে একটা খুব ভালো লেখা উপহার দেবারজন্য |   দুটি প্রশ্ন আছে আপনার কাছে |                                                     আচ্ছা সম্প্রতি দেখলাম তালিবান নেতারা বলছেন যে সৌদি ওয়াহাবি দের সঙ্গে তারা সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন | এখন তালিবানের হাতে কাবুলের পতনের পর keoblmatro রাশিয়া চীন এবং পাকিস্তানেরই এম্বেসী খোলা আছে কিন্তু সৌদিআরব এবং আমিরাতীরা দূতাবাস বন্ধ করে আমেরিকার পিছুপিছু পালিয়ে গেছে | এইব্যাপারটি একটু ব্যাখ্যা দেবেন ? পাকিস্তান ও চীন আসলে কি চায় আফগনিস্তানের তালিবান থেকে ?  আরেকটু  ব্যাখ্যা করে বলবেন ? আমেরিকা ২-৩ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেও কেন আফগানদের মিনারেলস কে ভোগ করতে পারলোনা ?   আপনার কী মনে হয় ?
  • Amit | 203.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২১ ০৯:১১496990
  • এককের ২১ আগস্ট ২০২১ ১৯:৪৬ পোস্টে ক। 
     
    কল্লোলদার মত বামপন্থায় বিশ্বাসী লোকজনের শেষে সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করার খাতিরে কিছু প্রিহিস্টোরিক বারবারিয়ান দের গুনগান করা দেখে জাস্ট পাতি খারাপ লাগছে। বামপন্থার কতটা দেউলেপনা হলে শেষে এসব অন্ধ ধর্মের আড়ালে নিজেদের লুকোতে হয় ? 
     
    আর সাথে ইরান বা সৌদির বর্বরতা টেনে এনেছেন এখানে। কেন ওদের টা কেউ কিছু করছে না, আরো একটা সিমিলার হ্যাজ নেমেছে অন্য টইতে। অদ্ভুত মাইরি।  তো ওদের বারবারিসম কেউ সাপোর্ট করছে কি এখানে ? তার সমাধান টা কি ? ওই দেশগুলো এটাক করা ?  তখন  তো আবার আপনারাই তো আম্রিগার সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে দিস্তা দিস্তা হ্যাজ নামাবেন। 
     
    আর এই তালিবান বা সৌদি  র জানোয়ারগুলোকে বাবা বাছা করে বুঝিয়ে পথে আনবেন ?শুভেচ্ছ রইল। আমি তিন বছর কাটিয়ে এসেছি এই দেশগুলোতে। তারপর আর পারিনি। আমারই দোষ হয়তো। 
  • Ranjan Roy | ২২ আগস্ট ২০২১ ০৯:৫৫496991
  • অমিত,
    "আর এই তালিবান বা সৌদি  র জানোয়ারগুলোকে বাবা বাছা করে বুঝিয়ে পথে আনবেন ?শুভেচ্ছ রইল।"
     --একেবারেই নয়। আসল কথা হোল আমরা কেন ওদের বাবা বাছা করে বুঝিয়ে পথে আনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেব?  আমাদের নিজের দেশে নিজের ঘরে আর কাজ নেই? এই দায়িত্ব নেয়ার চিন্তার পেছনে কি অবচেতনে আমাদের কলোনিয়াল 'অসভ্য বর্বরদের সভ্য করার বোঝা' কাজ করছে? একটু ভাবুন। তালিবানরা বাইরে থেকে আসেনি, আফগানিস্তানের জনগোষ্ঠীরই অংশ; তাদের বর্বরতার দায়িত্ব, সেখানকার লোকজনেরই নিতে হবে, সঙ্গে থাকতে হবে, বদলাতে হবে। 
     
    সেটা বাইরে থেকে হবেনা। আমেরিকা বা ভারত যেই হোক, এই কাজ করতে গেলে ছড়াবে।
    যে  বিলিয়ন ডলার সাহায্য আমেরিকা ও ভারত এতদিন দিয়েছে তা কোথায় গেছে? রাস্তাঘাট, স্কুল, হাসপাতাল কর্মসংস্থান গ্রামে হয়েছে? সব করাপ্ট মেশিনারি লুটেপুটে খেয়ে নিয়েছে। 
     
    ওদের দেশে ভোট দিয়েছে জনসংখ্যার একটা ভগ্নাংশ, বোধহয় ৬%। তার একটা অংশ গত সরকারকে ভোট দিয়েছে। এর প্রভাব গাঁয়ে পড়েনি। গাঁয়ের লোক এই সরকারকে দেখেছে সাদা শয়তানদের চ্যালা হিসেবে। আর দেখেছে বোমাবর্ষণ ও ড্রোন আক্রমণ।
    আপনি তালিবানকে বর্বর জানোয়ার বলতেই পারেন, কিন্তু কয়েক কোটি আফগান যারা কঠিন মাটি ও পাহাড়ে বরফে আমাদের হিসেবে 'প্রিহিস্টোরিক' জীবন যাপন করছে, তাদের রবীন্দ্রনাথের আফ্রিকা কবিতার মত 'মানহারা মানবী" ভাববেন না? 
    সৌদিরা  ইসলামের সবচেয়ে জঙ্গী ও হিংস্র ব্যাখ্যার প্রমোটার। বিশ্ব জুড়ে জেহাদের ফাইনানশিয়ার। 
    কিন্তু ভারতের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজের ক্ষেত্রে তারা আমাদের বড় উত্তমর্ণ। তাদের তো বয়কট  করিনি? ইরানকে যারা খৌমেইনি শাসনের উত্তরাধিকার বহন করছে তাদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক
     রেখে চলছি। কেন? তারা একক বর্ণিত 'দেড়েল' নয় বলে? চেহারায় পোশাকে জীবনযাত্রার মানে প্রথম বা দ্বিতীয় দুনিয়ার কাছাকাছি বলে? 
     একবার ভাবুন, তালিবানি বর্বরতা যেমন আফগান জনগোষ্ঠীর সমস্যা, তেমনই ভারতে যারা কথায় কথায় খাদ্য পোষাক ধর্মাচরণ নিয়ে একতরফা ফরমান দিচ্ছে, লোককে পিটিয়ে মারছে-- তারাও আমাদের সমাজের অঙ্গ, তাদের আমরা খেদিয়ে দেবনা। তাদের সঙ্গে এনগেজ করে সমাজের মানসিকতায় গড়পড়তা পরিবর্তন আনা আমাদের কাজ, বর্তমান ও ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এটা অন্য কেউ করবেনা, করতে পারেনা। 
    কল্লোলের লেখাটি আবার পড়লাম। দুটো কথা।
    এক, লেচ ওয়ালেসার সলিডারিটি পোল্যান্ডে গোমুলকা স্থাপিত প্রক্সিতে রুশী  অধিকারের বিরুদ্ধে রোম্যান ক্যাথলিক কালচারের ধ্বজা উড়িয়েই এসেছিল।
    দুই, কল্লোলের  লেখাটি ব্যাখ্যা করছে কীভাবে এত সহজে তালিবান কাবুলে কব্জা করে নিল, কেন রেজিস্ট্যান্স হয়নি-- তাকে জাস্টিফাই করছে না। আগুন কেন সহজে কাগজ পোড়ায় ব্যাখ্যা করলে আগুনের গুণগান করা হয়কি?
    তালিবানের বিজয়ে উল্লসিত হওয়া বা বেশ হয়েছে, ভিয়েতনামের মত আমেরিকাকে মাত দিয়েছে বলে লাফাবার কিছু নেই। দুদিন আগে যেসব চ্যানেল নর্দান রেজস্ট্যান্সের নামে লাফাচ্ছিল কাল অল জজিরায় রেজিস্ট্যান্সের বড় নেতার তালিবানি কোয়ালিশন সরকারে যোগ দেওয়ার বা হাত মেলানোর খবরে চুপসে গেছে।
    ভারতের চিন্তা করার আছে। পাকিস্তান আমেরিকার টাকায় আফগানি সরকারকে সাহায্য করার বদলে তালিবানকে পুষেছে। এবার তারা সেই দাম উসুল করবে। ভারতের এত বিনিয়োগ ডুবল বলে। কালকেই দেখলাম তালিবান নেতারা প্রেস কানফারেন্স করে ভারত সরকারকে ধমকি দিচ্ছে কাশ্মীরে   অত্যাচারের বদলা নেবে ভারতে হামলা করে। পাকিস্তান ওদের দিয়ে প্রক্সি করাবে, নিজেরা ভিজে বেড়াল সাজবে।
    সামনা সামনি যুদ্ধ হলে তালিবান ভারতীয় ফৌজের সামনে উড়ে যাবে, কিন্তু ফিদাইনি হামলা! ভয় পাওয়ার কথা।
     
     
  • #NoMarxInMars | 121.5.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২১ ১০:৩৬496993
  • We don't need taliban and communism in future. We need Elon Musk and Mars colonization. #NoRedInRedPlanet #NoMarxInMars
  • অনিন্দিতা | ২২ আগস্ট ২০২১ ২২:০৯497016
  • বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে গ্রীন টেকনোলজির দিকে যে পরিবর্তনের আয়োজন শুরু হয়েছে, তাতে এই খনিজ পদার্থগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ই ভেহিকল সোলার উইন্ড ইত্যাদি। অতএব যে দেশ এই গ্রীন টেকনোলজি  ট্রানজিশনে লীডার হতে চাইবে ,  সে আফগানিস্তানের প্রতি আগ্রহী  হবেই। 
  • Kallol Dasgupta | ২৩ আগস্ট ২০২১ ০৯:৪০497024
  • অমিত।
    আমার জবাবটা রঞ্জন দিয়ে দিয়েছে। আম্র এর চেয়ে বেশী কিছু বলার নেই। শুধু একটাই বলার। তালিবানেরা আমেরিকা, রাশিয়ার চাইতে খারাপ নয়। এটা বলা মানেই তালিবানদের সমর্থন করা, এই বাইনারিটা থেকে বের হতে পারলে না তুমি বা একক। 
    যাগগে।
    গুরু,
    আমেরিকার পক্ষে আফগানিস্তানের "হাতি পোষা" পোষাচ্ছিলো না। এক তো খরচ। তার উপর আমেরিকান সেনা মারা গেলে(যা প্রায়ই যাচ্ছিলো) দেশের মানুষের অসন্তোষ (তাদের ঘরের ছেলেপিলে মরছে) সামাল দিতে সরে আসা।  
  • s | 100.36.***.*** | ২৩ আগস্ট ২০২১ ১৮:৪৯497031
  • ভাল খারাপ মাপার ইয়ার্ডস্টিকটা কি? আমেরিকা বা রাশিয়া তালিবানদের থেকে খারাপ মেনে নিতে অসুবিধে নেই যদি দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতার মত কোনো অবজেক্টিভ কোয়ান্টিটি মেপে দুটো এন্টিটির মধ্যে তুলনা করে বলা যায় কে ভাল আর কে খারাপ। কোন কোন প্যারামিটার ইউজ করে বলা হচ্ছে যে তালিবানরা আমেরিকার থেকে ভাল? সেটা না জানলে তালিবানরা আমেরিকার থেকে ভাল শুনলে পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু মনে হবে না।
  • Kallol Dasgupta | ২৭ আগস্ট ২০২১ ০৭:৪৭497160
  • এস। তালিবানেরা আফগানিস্তানের মানুষ। আমেরিকানরা আফগানিস্তানে কি করতে এসেছে ? গণতন্ত্র ? সেটা সৌদীতে গিয়ে করুক না। সে বেলায় তো দাঁত কপাটি। একটা দেশের মানুষ ঠিক করবে তাদের দেশ কিভাবে চলবে। পছন্দ না হলে তারাই বিদ্রোহ করবে। আজ যদি কারুর বিজেপির শাসন পছন্দ না হয়, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিদ্রোহ না করে আমেরিকা কি চীনকে ডেকে আনাটাই উচিৎ বলে মনে হয় আপনার ? তেমন কিছু হলে বিজেপি বা মাওবাদী যারাই ঐ বিদেশী হস্তক্ষেপের বিরোধীতা করবে তাদের সবসময় "ভালো"ই মনে হবে।   
  • Amit | 203.***.*** | ২৭ আগস্ট ২০২১ ০৮:৪১497180
  • "একটা দেশের মেজরিটি মানুষ ভোট দিয়ে ঠিক করবে তাদের দেশ কিভাবে চলবে?"  নাকি একটা আর্মড মিলিশিয়া ঠিক ​​​​​​​করবে ? আপনি ​​​​​​​কি ​​​​​​​নিশ্চিত ​​​​​​​তালিবানদের ​​​​​​​পেছনে ​​​​​​​মেজরিটি ​​​​​​​আফগানের সাপোর্ট ​​​​​​​আছে ?
     
    বরং সেই হিসেবে তো মোদী সরকার অনেক বেশি ক্রেডিবল  - দুবার লোকের ভোটে জিতে এসেছে । তাহলে আখলাক বা রোহিত ভেমুলারা মরলে এতো হইচই করেন কেন ? মায়াপাতা ছাড়া কোথাও বিপ্লব হচ্ছে আর ? 
  • khuk | 2a0f:9100:110:a::***:*** | ২৭ আগস্ট ২০২১ ০৯:৩৯497183
  • সৌদিই  অমিতচাড্ডির মোদীসোনাকে কি একটা পেরাইজ দিছে। অইজন্যি দ্যাকো সৌদীর নিন্দে কল্লেই কেমন ক্ষেপে তেড়ে আসচে। 
  • Kollol | 2409:4060:e88:afe0::d09:***:*** | ২৭ আগস্ট ২০২১ ১০:৪৪497193
  • আমিত ।  ব্যঙ্গলোরের গুরুর সাথে থাকার সুবাদে তুমি জানো আমি দরকারে রাস্তায় নামি । ব্যঙ্গালোরেই নন্দীগ্রাম নিয়ে প্রতিবাদ  সঙ্গঠিত করেছি ।  গৌহাটিতে আলফার বিস্ফোরণের প্রতিবাদে একাই রাস্তায়  পোস্টার নিয়ে বসেছি ।  সুদীপ্তর  পুলিশি  হেফাজতে  মৃত্যুর প্রতিবাদে  মমতাকে কালো পতাকা দেখাতে আমিই এসএফআই কে ডেকে এনেছি ।  কাজেই শুধুই মায়াপাতা নয় , সেটা ভালো করে জেনেও, শুধুই তর্ক করার জন্য এসব লেখা তোমায় মানায় না ।  আমি বিজেপির বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবো , কারন এটা আমার দেশ । নো ভোট টু বিজেপি বলে চিল্লাবো , কিন্তু আমেরিকা রাশিয়া চিন বা কিউবাকে ডাকবো না । 
  • Amit | 203.***.*** | ২৭ আগস্ট ২০২১ ১০:৪৯497195
  • আসল প্রশ্নটা ছিল ""একটা দেশের মেজরিটি মানুষ ভোট দিয়ে ঠিক করবে তাদের দেশ কিভাবে চলবে?   নাকি একটা আর্মড মিলিশিয়া বন্দুকের ডগায় ​​​​​​​ঠিক ​​​​​​​করবে ? আপনি ​​​​​​​কি ​​​​​​​নিশ্চিত ​​​​​​​তালিবানদের ​​​​​​​পেছনে ​​​​​​​মেজরিটি ​​​​​​​আফগানের সাপোর্ট ​​​​​​​আছে ? "
  • Kallol Dasgupta | ২৭ আগস্ট ২০২১ ১৭:০৮497249
  • আফগানিস্তানে ভোট হবে কি না জানিনা। হলেও তাতে অন্য কেউ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবে কি না জানি না। করলেও সে ভোট কতোটা অবাধ হবে তাও জানি না। ফলে এই প্রশ্নের জবাব আমার কাছে নেই। আফগানেরা যদি তালিবান শাসনে ভালো না থাকে, অসন্তোষ দেখা দেবেই এবং আবার সশস্ত্র লড়াই হবে, কারন আফগান মানুষের কাছে এছাড়া আর কোন প্রতিবাদের রাস্তা খোলা নেই। তালিবানেরা কিছু ঈশ্বর প্রেরিত দূত নয়। এরপর আছে আন্তর্জাতিক খেলা যা খেলবে মূলতঃ চীন। 
  • Amit | 118.2.***.*** | ২৭ আগস্ট ২০২১ ১৭:২৬497254
  • ওকে। আদিগন্ত ভাটের শেষে একটা অন্তত স্বীকার করলেন যে তালিবানদের আদৌ ম্যাস সাপোর্ট আছে কিনা সেটা জানা নেই ? 
  • s | 100.36.***.*** | ২৭ আগস্ট ২০২১ ১৭:৪৮497255
  • কল্লোল,
    আপনি ২৩শে আগস্ট লিখেছেন -
    "'আমার জবাবটা রঞ্জন দিয়ে দিয়েছে। আমার  এর চেয়ে বেশী কিছু বলার নেই। শুধু একটাই বলার। তালিবানেরা আমেরিকা, রাশিয়ার চাইতে খারাপ নয়।"
    আমার প্রশ্ন হচ্চে তালিবান আর আমেরিকার মধ্যে কি কি প্যারামিটার ব্যাবহার করে এই সিদ্ধান্তে আসা গেল? একটা উদাহরণ দিচ্ছি - আমেরিকা আর নরওয়ের মধ্যে ওয়েলফেয়ার সিস্টেমের তুলনা করলে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে নরওয়ের ওয়েলফেয়ার আমেরিকার তুলনায় অনেক বেশি মজবুত। আবার আমেরিকায় ফ্রিডম অফ স্পিচ প্রায় অ্যাবসলিউট। তো এই রকম কি কি মাপকাঠি আপনি ব্যবহার করেছেন যাতে কিনা আপনার মনে হয়েছে তালিবানরা আমেরিকার চেয়ে ভাল? আর্থনীতি? বিদেশনীতি? সামাজিক সুরক্ষা? তিন চারটে হলেই চলবে।
    আর এটার সরাসরি উত্তর না জানা থাকলে সৌদিতে গনতন্ত্র, তালিবানদের মাস সাপোর্ট ইত্যাদি বলে কথা ঘোরানোর দরকার নেই। কিছু না লিখলেও চলবে।
  • Kallol Dasgupta | ২৭ আগস্ট ২০২১ ১৯:১৫497259
  • এস। জবাব দিচ্ছি,কারন ভদ্রতা। আপনার শেষ লাইনটা পড়ে জবাব দিতে ইচ্ছে করছিলো না। কিন্তু তাহলে আমি নিজেকে আপনার "ভদ্রতা"র স্তরে নামিয়ে আনতাম। সেট সম্ভব নয়। তাই জবাব দিলাম। 
    আমি কথা ঘোরাই না যা বলার সোজাসুজিই বলি।
     আপনি লিখেছেন "নরওয়ের ওয়েলফেয়ার আমেরিকার তুলনায় অনেক বেশি মজবুত। আবার আমেরিকায় ফ্রিডম অফ স্পিচ প্রায় অ্যাবসলিউট। তো এই রকম কি কি মাপকাঠি আপনি ব্যবহার করেছেন যাতে কিনা আপনার মনে হয়েছে তালিবানরা আমেরিকার চেয়ে ভাল? আর্থনীতি? বিদেশনীতি? সামাজিক সুরক্ষা? তিন চারটে হলেই চলবে।"
    না তিনটের কোনটাতেই তালিবান, আমেরিকার পুতুল গনি সরকার রাশিয়ার পুতুল বারবাক কারমাল বা নাজিবুল্লা কি ১৯৩০এর বাদশাহ আমানুল্লার আমলেও আফগানিস্তান নরওয়ে বা আমেরিকার সাথে তুলনা তো দূরস্থান কাছকছিও ছিলো না। আমি নিশ্চিত সামনের ৫ বছরেও থাকবে না। তো ?
    একটু "কথা ঘোরাই" ? আপনি কি মনে করেন ভারতে আমেরিকার মত "ফ্রীডম" আছে ? ফ্রীজে বা থলেতে গরুর মাংস না ডিমের কালিয়া কি মিক্সড ফ্রূট স্যালাড আছে কি না তাই নিয়ে কেউ আমেরিকায় মাথা ঘামায় ? সন্দেহ হলে পিটিয়ে মেরে ফেলে ? ফেসবুকে লাইভ করে একজন মানুষকে পুড়িয়ে মারার পর সেই হত্যাকারী শাসকদল থেকে ভোটের টিকিট পায় ? সংবাদ মাধ্যমে দেখানো ফেক ভিডিওর সত্যতা যাচাই না করে অভিযুক্তকে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বছরের পর বছর আটকে রাখা হয় ? এর উত্তর যদি হ্যাঁ হয় অর্থাৎ আপনি মনে করেন - আমেরিকায় এগুলো হয়। তবে তারা তলিবনের চেয়ে ভালো কি না আপনিই বলুন। আর আর আর এর উত্তর যদি না হয় আপনি কি এই পাতায় অন্ততঃ লিখিত দাবী রাখবেন - ভারতের সরকার হঠিয়ে আমেরিকা ভারতে তার শাসন কায়েম করুক। 
     
    আমি বলেছিলাম তালিবান শাসন আফগানিস্থানে আমেরিকার শাসনের চেয়ে অনেক বেশী কাম্য। কারন তালিবানেরা আফগানিস্তানেরই। ভারতের অর্থনীতি,সামাজিক সুরক্ষা কি আমেরিকার সাথে তুলনীয় ? মনে তো হয় না। তাহলে কি ভারতের সরকার সরিয়ে এখানে আমেরিকার সরকারের শাসন কায়েম হোক - এটা এখানে লিখিত ভাবে জানাবেন ?
    আমি মনে করি বিজেপি সরকার একটা ব্যর্থ সরকার। এদের ভোটে ভারিয়ে দেওয়ার জন্য রাস্তায় নামবো। কিন্তু আমেরিকা বা চীনকে চাইবো না। 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন