এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  বইপ্যাঁচা৯

  • ক্ষমতাশীলদের নানা অপকর্মের হাতিয়ার

    রজত রায়
    পড়াবই | বইপ্যাঁচা৯ | ২৭ জুন ২০২১ | ২৪৬৮ বার পঠিত
  • ফেসবুক। দুনিয়া জুড়ে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২২৭ কোটি। ভারতে ২২ কোটি। মানুষের মনের জমিন দখলে ব্যস্ত, নব্য উপনিবেশবাদী ক্রিয়াকাণ্ডের দোসর এই প্ল্যাটফর্মটির আসল চেহারা প্রকাশের লক্ষ্যে লেখা একটি বই। পড়লেন সাংবাদিক রজত রায়


    বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে ইংল্যান্ডের একজন প্রভাবশালী রাজনীতিক ও দ্য ডেইলি এক্সপ্রেস সহ বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রের মালিক লর্ড বিভারব্রুক একবার রয়্যাল কমিশনের সামনে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আমি ডেইলি এক্সপ্রেস নিছক মুনাফার জন্য চালাই না। প্রভাব বিস্তার করাটাই আমার প্রধান উদ্দেশ্য।’’ বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম সংবাদশিল্পের (সংবাদপত্র, টিভি ইত্যাদি) মালিক রুপার্ট মার্ডকও বলেছেন, নিছক মুনাফা অর্জনই তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। সেই সঙ্গে জনসাধারণের মনে প্রভাব বিস্তার করাটাও তাঁর লক্ষ্য। নোম চমস্কি এটাকেই বলেছেন Manufacturing Consent, অর্থাৎ সংবাদ ও তথ্যকে এমন একপেশে ও আংশিক ভাবে পরিবেশন করা হয় যাতে রাষ্ট্র, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তি এবং কর্পোরেট দুনিয়ার গৃহীত কর্মকাণ্ডের প্রতি সাধারণ মানুষের মনে ইতিবাচক মনোভাব জন্ম নেয়। শাসকশ্রেণির পক্ষে এই জনসাধারণের এই ‘অনুমোদন’ (consent) লাভ করাটা খুবই জরুরি, কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এই সাধারণ মানুষ আবার ভোটদাতাও বটে।



    সেই বিখ্যাত বইটির প্রচ্ছদ। এই লিংকে দেখুন অ্যানিমেশনের মাধ্যমে বর্ণিত বইটির মূল কথা ও অধ্যাপক নোম চমস্কির এ বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকার



    রাষ্ট্র, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তি ও বৃহৎ পুঁজির পক্ষে মতামত গড়ে তোলার এই কাজটি এতদিন করে আসছিল সংবাদমাধ্যম। গত শতাব্দীর শেষে ইন্টারনেট এসে অর্গল খুলে দিয়েছে। এখন ইন্টারনেট-বাহিত ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম প্রভৃতি মঞ্চ ব্যবহার করে সাধারণ মানুষ শুধু দুনিয়ার খবর জানতে পারছেন তাই নয়, নিজের মনের কথাও আত্মীয়, বন্ধু এবং অপরিচিত মানুষের সঙ্গে আদানপ্রদান করতে পারছেন। টিভির সুবাদে শুরু হয়েছিল সংবাদের গণতান্ত্রীকরণ। কিন্তু মুঠোফোন এসে তার আরও বিস্তার ঘটাল। আর যেহেতু এটা একতরফা নয়, অর্থাৎ এখানে তথ্যের আদান ও প্রদান দুটোই হচ্ছে, তাই সাধারণ মানুষ নিজে যত না বলছে, তার চাইতে অনেক বেশি করে দেখছে ও শুনছে অন্যদের কথা। এই অন্যরা হল বিজ্ঞাপনদাতারা, মিথ্যে তথ্য দিয়ে ঘৃণা প্রচারকারীরা, রাজনৈতিক ও ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ব্যক্তি ও সংস্থারা। আর এখন এ সবের সবচেয়ে বড়ো বাহন বা মাধ্যম হল ফেসবুক। এই মুহূর্তে বিশ্বে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২২৭ কোটি। আর ভারতে এই সংখ্যাটা ২২ কোটি। বলা বাহুল্য, মানুষের মনে প্রভাব বিস্তার করার জন্য এত বড়ো জাল প্রচলিত সংবাদমাধ্যমের নেই। তাই ফেসবুক নিয়ে চিন্তাভাবনা করাটা যুক্তিযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক। গোড়াতে যা মনে করা হচ্ছিল সাধারণ মানুষের তথ্যের অধিকারকে মান্যতা দিয়ে তার ক্ষমতায়ন ঘটাবে, আজ দেখা যাচ্ছে তা ক্ষমতাশীল শক্তির তরফে দাঙ্গা, গণহত্যা ও ঘৃণার রাজনীতি ছড়ানোর হাতিয়ারে পরিণত হতে চলেছে।



    পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা, অর্ক দেব ও সিরিল স্যাম লেখকত্রয়ী এ নিয়ে গবেষণা করে এই বইটি আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদার্হ। তাঁদের আরও ধন্যবাদ প্রাপ্য এই জন্য যে এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ইংরেজি ও অন্য ভাষায় এখন কিছু গবেষণা হলেও বাংলা ভাষায় কোনো গভীর চর্চা হয়নি। সেদিক থেকে তাঁরা অবশ্যই পথিকৃৎ। ১৭৯ পৃষ্ঠার এই বইটিতে ২৯ টি অধ্যায় বা ২৯ টি ছোটো ছোটো প্রবন্ধ রয়েছে। ফেসবুক যে মোটেই নিরপেক্ষ ভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংগতি রেখে মানুষের কাছে তথ্য পরিবেশন করে না, তা এই বইয়ের পরতে পরতে ধরা পড়ে যায়। ধুলাগড়—নৈরাজ্যের দিনগুলি, বসিরহাট দাঙ্গা: খসল ফেসবুকের মুখোশ, তেলেনিপাড়ার আগুন, দিল্লির দাঙ্গায় ফেসবুকের ইন্ধন, নিজভূমে পরবাসী: রোহিঙ্গা গণহত্যায় ফেসবুকের ভূমিকা শীর্ষক লেখাগুলির শিরোনাম থেকেই বিষয়বস্তু সম্পর্কে স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে। আবার করোনা অতিমারির সময় গুজব ছড়ানোয় ফেসবুকের কাজকর্ম নিয়েও স্বতন্ত্র একটি লেখা রয়েছে।

    ফেসবুক ও সামাজিক গণমাধ্যম নিয়ে কথা বলতে গেলে বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীর কথা উঠতে বাধ্য। এ নিয়েও একগুচ্ছ প্রবন্ধ রয়েছে বইতে। যেমন, নরেন্দ্র মোদী এবং ফেসবুক: সম্পর্কের ভিয়েন, ভারতে ফেসবুকের ব্যাবসার আয়তন বিষয়ে দু-কথা, মোদীর আইটি বন্ধুরা, রাজেশ জইন- আখ্যানের নেপথ্যমুখ, ভারতে ফেসবুকের স্বাধীনতা: এক অলীক কুনাট্য, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা, গুজবের আখড়া—নমো অ্যাপ, ভুয়ো খবরের বিষ ইত্যাদি। ফেসবুক যে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের হয়ে জনমত গঠনের জন্য ক্রমাগত মিথ্যা খবর পরিবেশন করা, শাসকদলের কথা প্রচারে সক্রিয় হওয়া এবং বিরোধীদের কণ্ঠস্বর চেপে রাখার জন্য কাজ করে চলেছে, সেটা এইসব লেখায় ভালো ভাবেই তথ্য ও যুক্তি সহকারে পেশ করা হয়েছে।



    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ফেসবুকের মালিক মার্ক জুকেরবার্গ

    ফেসবুকের এহেন কার্যকলাপের দরুন সাধারণ মানুষের মনে তার সম্পর্কে প্রশ্ন জাগা দরকার। সেই কাজটাই লেখকত্রয়ী করেছেন ‘ফেসবুকের জন্য একগুচ্ছ প্রশ্ন’ শীর্ষক লেখায়। আবার আর-একটি লেখায় জানিয়েছেন ফেসবুকের বক্তব্য (ফেসবুকের কৈফিয়ৎ)। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ধারাবাহিক ভাবে নিজেদের কাজের সাফাই দিয়ে আসলেও সেখানে কর্মরত অনেক কর্মীই যে তা পছন্দ করেননি, তা কয়েকজন ইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে এসে মুখ খোলার পরে জানা যায়। এ নিয়েই লেখা—আমার দু-হাত রক্তে ভরা, এক ফেসবুক কর্মীর জবানবন্দি।

    শুরুতেই মুখবন্ধে লেখকত্রয়ী জানিয়ে দিয়েছেন যে বইটি রচনার কাজ শেষ হয় ৭ জানুয়ারি, ২০২১। তখনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ক্যাপিটল হিলে মার্কিন কংগ্রেসের ভবনে ট্রাম্পের উস্কানিতে তাঁর ভক্তরা হিংস্র আক্রমণ চালায়। এ ব্যাপারে বইয়ের লেখকরা যা বলছেন তা সরাসরি উদ্ধৃত করা যাক : ‘‘অবশেষে ক্লাইম্যাক্স। বাইডেনকে শংসাপত্র দেওয়ার জন্য একদিকে যখন ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ে প্রস্তুতি চলছে, ট্রাম্প একটি জনসভা থেকে ভক্তদের বলেন, আমরা কিছুতেই পিছু হটব না। তাঁর বক্তব্যের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারে। উসকানিতে বোধ খুইয়ে মার্কিন মুলুকের নানা অঞ্চলের ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালায়। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ৪ জনের, আহত হন বহু।’’

    লেখকত্রয়ী জানিয়েছেন: ‘‘স্বাভাবিক ভাবেই গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষ প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন, ফেসবুক, টুইটার কেন আগাম ব্যবস্থা নেয়নি? মানুষের দুর্দশার ধারাবিবরণীকে সামনে রেখে এই প্রশ্নটিই আমরা গোটা বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ে করে গিয়েছি।’’ এটা স্বীকার করতেই হবে যে এই অনুসন্ধান প্রক্রিয়া চালাতে গিয়ে তাঁরা অনেকটাই সফল হয়েছেন। যেভাবে বইয়ের পরতে পরতে ফেসবুকের মুখোশ সরিয়ে দিয়ে আসল মুখের চেহারা সামনে উঠে এসেছে, তা আজকের দিনে সাধারণ মানুষের মনের জমিন দখলে ব্যস্ত এই নব্য উপনিবেশবাদীদের আসল চেহারাটাকে চিনিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

    আলোচ্য বইয়ে যেভাবে তিন লেখক ফেসবুকের আধিপত্যবাদী অভিযানের ক্ষতিকারক দিকগুলো দেখিয়ে দিয়েছেন, তা নিয়ে দ্বিমত হওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। শুধু সবিনয়ে নিবেদন, মোদীর বিজেপির মতোই ফেসবুকও অপ্রতিরোধ্য নয়। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেল। সেখানে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জেতার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ প্রায় সব বড়ো নেতাই বারবার পশ্চিমবঙ্গে এসে ঘুরে ঘুরে প্রচার করেছেন। ফেসবুক ইত্যাদিতে তেমন করেই জেতার প্রচার চালানো হয়েছে। তাসত্ত্বেও বিজেপি শোচনীয় ভাবে হেরে যায়। রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল তো জেতেই, সুশীল সমাজের একাংশ ‘নো ভোট টু বিজেপি’ প্রচার প্রধানত ওই ফেসবুকেই এমন জোরালো মাত্রায় করে যে তা দ্রুত সমাজের অনেক মানুষের কাছে পৌঁছোয় ও ইতিবাচক সাড়া পায়। অন্যদিকে, দিল্লির উপান্তে, পঞ্জাবে, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে সংঘবদ্ধ কৃষক আন্দোলন গত বছরের শেষ দিকে শুরু হয়ে এখনও পর্যন্ত দিব্যি চলছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও উত্তরপ্রদেশের পুলিশবাহিনী বলপ্রয়োগ করেও আন্দোলন ভাঙতে ব্যর্থ। ফেসবুক ইত্যাদি সামাজিক গণমাধ্যমে বিজেপি এই কৃষক আন্দোলনকে নানা ভাবে দেশবিরোধী তকমা দেওয়ার চেষ্টা করেও সফল হয়নি। এই দুই ঘটনা থেকেই মনে হয়, ফেসবুকের নেতিবাচক দিকগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া যেমন দরকার, তেমনই দরকার এই হাতিয়ারকে শাসকশ্রেণির বিরুদ্ধে ব্যবহার করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ারও। হয়তো কাজটা সহজ নয়, কিন্তু গেরিলা কায়দায় বা subversion-এর মাধ্যমে চেষ্টা চালানো যেতেই পারে।

    শেষে বইটি সম্পর্কে অন্য একটি কথা না বললেই নয়। সেটি হল বইটির দুর্বল সম্পাদনা, যে কারণে অজস্র ভুল পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে। দেখে আদৌ সম্পাদনা করা হয়েছে বলে মনে হয় না। বরং সন্দেহ হয়, পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা না করে অবিকৃত রেখে ছেপে দেওয়া হয়েছে। এই ভুলগুলি নানাধরনের। প্রথমটি অবশ্যই বানান ও যতিচিহ্নের ভুল প্রয়োগ সংক্রান্ত। তা ছাড়া আরও কয়েকটি গুরুতর ত্রুটি দেখা যায়। যেমন, প্রচুর ইংরেজি ক্রিয়াপদ অবিকৃত রেখে বাংলায় ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা শীর্ষক লেখায় এক জায়গায় রয়েছে, ‘‘শ্রীলঙ্কা সরকার নির্দিষ্ট সংগঠনটিকে ব্যানড করে।’’ আবার ওই লেখা সহ বেশ কয়েকটি লেখাতেই এমন কিছু বাক্যবন্ধ রয়েছে যা দেখে মনে হয় আসল লেখা ইংরেজিতে ছিল, তার বাংলা করার দুর্বল চেষ্টা হয়েছে। যেমন, ‘‘এই সাফল্যের নিরিখ অসীম।’’ আর-এক জায়গায় লেখা হয়েছে, ‘‘... দেখা যায় রাষ্ট্রপতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের একাধিক কনটেন্ট মার্কেটিং কোম্পানি থেকে লাইক এবং শেয়ার কিনছেন।’’ অথবা, ‘‘...দলের সমর্থকরা সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল ব্যবহার করে...।’’ ‘ঈশ্বর নির্মাণ’ শীর্ষক প্রবন্ধ থেকে এই নমুনাটা সংগৃহীত: ‘‘...কীভাবে তাদের প্ল্যাটফর্মের নিউজফিডে পোস্ট হওয়া কনটেন্ট ব্যবহারকারীদের মানসিক অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে।’’

    এটা ঠিক যে সব ইংরেজি ক্রিয়াপদ ও নামপদের সঠিক বাংলা প্রতিশব্দ পাওয়া যায় না। বিশেষ করে যদি আলোচনার বিষয়টি প্রযুক্তিকেন্দ্রিক হয়, তাহলে সমস্যা বেশি। কিন্তু অনুবাদের সমস্যা এড়িয়ে এ ভাবে ইংরেজি কথাকে তার অর্থ ব্যাখ্যা না করে বাংলায় চোরাচালান করলে পাঠকের প্রতি অবিচার করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে যে ইংরেজি লেখার একেবারেই ভুল অর্থ করা হয়েছে। যেমন, ‘ছিল রুমাল হল বেড়াল’ শীর্ষক লেখার গোড়াতেই বলা হচ্ছে, ‘‘...আঁখি দাসকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়—বিরোধী দলের নানা কাজকর্মকে কাঠগড়ায় তুলবে এমন বিজ্ঞাপনগুলিকে বেছে বেছে কেন আটকাচ্ছে ফেসবুক?’’ স্পষ্টতই এখানে ঠিক উল্টো প্রশ্নটা করা হয়েছিল। অর্থাৎ, সম্পাদনার অভাবে এখানে সত্যিই ছিল রুমাল হল বেড়াল। ভুলের তালিকা দীর্ঘ করে লাভ নেই। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে বর্তমান সংস্করণটি তার বিষয়ের গুরুত্বের কারণেই দ্রুত শেষ হবে এবং দক্ষ সম্পাদনার ফলে পরিমার্জিত হয়ে নতুন সংস্করণ শীঘ্রই পাঠকের হাতে পৌঁছোবে। বইটির প্রতি পাঠকের আগ্রহ তাতে বাড়বে বই কমবে না।




    ফেসবুক: মুখ ও মুখোশ
    অর্ক দেব, পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা, সিরিল স্যাম
    গুরুচণ্ডা৯
    মুদ্রিত মূল্য: ১৬০ টাকা
    প্রাপ্তিস্থান: কলেজস্ট্রিটে ধ্যানবিন্দু, দে'জ, দে বুক স্টোর(দীপুদা)


    বাড়িতে বসে বইটি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।



    গ্রাফিক্স: মনোনীতা কাঁড়ার
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ২৭ জুন ২০২১ | ২৪৬৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ২৭ জুন ২০২১ ০৯:০৩495341
  • এই বই নিয়ে ১৫ না ১৬ই মে এই বিভাগেই আরেকটা আলোচনা বেরিয়েছিল। একই বিভাগে এত তাড়াতাড়ি একই বই নিয়ে আলোচনা কেমন যেন, সে যত ভাল বইই হোক না কেন। 


    আজকের 'এই সময়'এর সম্পাদকীয় পাতায় এই বইটা নিয়েই বিষাণ বসুর মস্ত আলোচনা আছে।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন