গুরুচণ্ডা৯-তে পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি লেখা প্রকাশিত হয়, এবং তার ভিডিও সম্প্রচারিত হয় বর্গী এল দেশে চ্যানেল থেকেও। সেখানে মাননীয় শ্রী তথাগত রায় মন্তব্য হিসেবে একটি লেখা লেখেন এই বিষয়ে। লেখাটির প্রত্যুত্তরও দিয়েছেন পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যুত্তরটি প্রকাশিত হল এখানে। বলাবাহুল্য, তথাগতবাবুর ৯ শব্দের ব্যবহারে গুরুচণ্ডা৯র পক্ষ থেকে আমরা যার-পর-নাই আহ্লাদিত। সিরিয়াস৯।
তথাগত রায় তাঁর লেখায় পূর্ণচ্ছেদের আগে স্পেস দিয়েছেন। পাঠকের পক্ষে তেমনভাবে পাঠে অসুবিধা হতে পারে বলে সেখানে বদলটুকু করে দেয়া হল। বানান বদলান হল না।
নিউ ইয়র্কে এরকম বাঙালি ‘ডাক্তার’ অনেক আছে, এরকম ‘বিস্ফোরণ’ও অনেকে করেছেন, এঁকে আমি অতিরিক্ত গুরুত্ব দেবার কোনো কারণ দেখছি না। কেউ একজন আর এস এস সম্বন্ধে কোনো এক সময়ে বীতশ্রদ্ধ হয়ে ছেড়ে দিতেই পারেন।It does not set a pattern। মনে হচ্ছে ইনি বামপন্থী প্রচারের চক্করে পড়েছিলেন। সেও ঠিক আছে। তবে বক্তব্যের মধ্যে বেশ কিছু absurdity আছে সেগুলো সংক্ষেপে বলছি।
১। ইনি যে ক্রমাগত ‘বাঙালি’, ‘বাঙালি’, ‘বাঙালি renaissance’ ইত্যাদি বলে চলেছেন সেটা কোন বাঙালি? ইনি বাস্তবে শুধু বাঙালি হিন্দুর কথা বলছেন যারা বাঙালির 30 % মাত্র। যদিও সেটা নিজে টের পাচ্ছেন না। বাকি 70% অর্থাৎ বাঙালি মুসলমান বেশিরভাগই ওঁর উচ্ছ্বাসকে পাত্তা দেবে না।
২। আর এস এস এর একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে “হিন্দু সমাজকে হিন্দু হিসাবে জাগ্রত ও সংগঠিত করা”-অর্থাৎ বাঙালি-বিহারি হিসাবেও নয়, ব্রাহ্মণ-শূদ্র হিসাবেও নয়। এ কাজটা না করলে হিন্দু সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
৩। আর এস এস হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ায় বিশ্বাস করে না, হিন্দিকে একটি সর্বজনবোধ্য ভাষা হিসাবে ব্যবহার করে মাত্র। বস্তুত আর এস এস-এর কর্তাব্যক্তিরা বেশিরভাগ মারাঠি, হিন্দি তাঁদের মাতৃভাষা নয়। আর, আর এস এস রবীন্দ্র-বিরোধী এটা একদম বাজে কথা। বাস্তবে সাহিত্য নিয়ে আর এস এস মাথাই ঘামায় না।
৪। আর এস এস হিটলার-মুসোলিনির অনুগামী এটাও একদম বাজে কথা। হিটলার-মুসোলিনি বাকি পৃথিবীর নজরে এসেছিলেন ১৯৩০-এর দশকের দ্বিতীয়ার্ধে, আর আর এস এস প্রতিষ্ঠিত ১৯২৫ সালে। আর এস এস প্রতিষ্টাতা ডাঃ হেডগেওয়ার কলকাতা মেডিকেল কলেজে পড়েছিলেন, স্বামীজী ও বাংলার বিপ্লবীদের আদর্শে প্রভাবিত হয়েছিলেন। আর তাঁর পরবর্তী সরসঙ্ঘচালক গুরুজী গোলওয়ালকর রামকৃষ্ণ মঠ মিশনের ব্রহ্মচারী ছিলেন স্বামী অখণ্ডানন্দর অধীনে মুর্শিদাবাদ জেলার সারগাছি আশ্রমে দুর্ভিক্ষ ত্রাণের কাজ করেছিলেন।
নিউ ইয়র্কের বাঙালি ডাক্তারবাবু যা বলেছেন তার বেশিরভাগই কম্যুনিস্টদের জাবর কাটা।
পারলে এটা কাঠবিড়া৯ কে পাঠিয়ে দিস।
------------
তথাগত রায়ের উত্তর পড়ে কৃতজ্ঞ হলাম। তিনি ব্যস্ত মানুষ, তাও আমার কথাবার্তা মন দিয়ে শুনেছেন। কিন্তু তাঁর উত্তর পড়ে আশ্চর্য হইনি, কারণ বরাবরই তিনি সমালোচকদের এই ধরনের ভাষাতেই আপ্যায়িত করে থাকেন, তাঁর দলের লোকজনরাও এই ভাষায় উৎসাহিত বোধ করেন। এর আগেও তিনি বহুবার নানা বিষয়ে মতামত দেওয়ার সময়ে অপভাষা ব্যবহার করেছেন -- বাঙালি শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে। আমি এতে আর আশ্চর্য হই না। কিন্তু আশ্চর্য হলাম তিনি ইতিহাস সম্পর্কে এত কম জানেন দেখে। সংক্ষেপে প্রত্যুত্তর দিচ্ছি। তাঁর প্রতিক্রিয়া আগে উদ্ধৃতিচিহ্নের মধ্যে দিচ্ছি, যাতে বুঝতে কোনও অসুবিধা না হয়।
(১) "ইনি যে ক্রমাগত ‘বাঙালি’, ‘বাঙালি’, ‘বাঙালি renaissance’ ইত্যাদি বলে চলেছেন সেটা কোন বাঙালি? ইনি বাস্তবে শুধু বাঙালি হিন্দুর কথা বলছেন যারা বাঙালির 30 % মাত্র। যদিও সেটা নিজে টের পাচ্ছেন না। বাকি 70% অর্থাৎ বাঙালি মুসলমান বেশিরভাগই ওঁর উচ্ছ্বাসকে পাত্তা দেবে না।" -- এর থেকেই বোঝা যায় বাঙালি জাতিকে তিনি কত কম চেনেন। পশ্চিমবঙ্গের তথাকথিত এলিট শিক্ষিত বাঙালিদের বাইরেও যে বাঙালিদের এক বিরাট জগৎ পড়ে আছে দুই বাংলায় এবং ভারতের ও বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায়, তিনি তার খোঁজ রাখেননা। বিশেষ করে বাংলাদেশের বাঙালিদের সম্পর্কে তাঁর এবং তাঁর দলের সমর্থকরা এক বিজাতীয় বিদ্বেষ পোষণ করেন, এবং মুসলমান বাঙালিদের বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও যত্নকে তাঁরা বোঝেন না। বস্তুত, বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও তার চেতনা ও ইতিহাসকেই তাঁরা অগ্রাহ্য করেন। মুসলমান বাঙালিদের তাঁরা বাঙালি বলেই মনে করেন না। তাঁদের এই অজ্ঞতা ও অশ্রদ্ধা আকাশচুম্বী। তাঁরা ক্ষমতায় এলে বাংলার মুসলমানদের সঙ্গে তাঁরা কী আচরণ করবেন, তা আর বুঝতে বাকি থাকেনা। উত্তরপ্রদেশে তা আমরা এখনই দেখতে পাচ্ছি।
(২) "আর এস এস এর একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে “হিন্দু সমাজকে হিন্দু হিসাবে জাগ্রত ও সংগঠিত করা”-অর্থাৎ বাঙালি-বিহারি হিসাবেও নয়, ব্রাহ্মণ-শূদ্র হিসাবেও নয়। এ কাজটা না করলে হিন্দু সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।" -- হিন্দু সমাজকে হিন্দু হিসেবে জাগ্রত করার লক্ষ্য যদি স্বামী বিবেকানন্দের মত হতো, যা অহিংসা ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল, একজন হিন্দু ও অ-কমিউনিস্ট বাঙালি হিসেবে আমি খুব আনন্দিত হতাম। (কারও কোনো কথা পছন্দ না হলেই তাকে কমিউনিস্ট বা গ্যাং ছাপ দিয়ে দেওয়াটা আপনাদের একটা পুরোনো খেলা।) কিন্তু আরএসএস'এর নির্দেশে বিজেপি ও তার সহযোগী দলগুলো যে রাস্তা নিয়েছে, তাতে ভারতের মানুষকে সম্পূর্ণভাবে পোলারাইজ করে দেওয়া হচ্ছে, এবং ঘৃণা ও হিংসার রাজনীতি কেবলমাত্র একটি শ্রেণিকেই জাগ্রত করেছে -- তা হলো মাফিয়া ও তাদের বিলিয়নেয়ার আনি পানি জানিরা, যাদের একমাত্র উদ্দেশ্য দেশের সাধারণ মানুষের শ্রম, সম্পদ ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা দখল। হিন্দু সমাজ চরমপন্থী আরএসএস ও বিজেপি ছাড়াই কয়েক হাজার বছর বেঁচেবর্তে আছে। কয়েকশ বছরের মুসলমান শাসনে এবং দুশ বছরের ব্রিটিশ শাসনেও ও হিন্দু সমাজ ধ্বংস হয়ে যায়নি। বরং বিদ্যাসাগর রবীন্দ্রনাথ রামকৃষ্ণ চৈতন্যদেবের জন্ম দিয়েছিল। আপনারা শুধু হিন্দু মুসলমানের মধ্যে নয়, হিন্দুসমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যেও বিষবৃক্ষ বপন করেছেন। আপনারা হিন্দুধর্মকেই ধ্বংস করছেন। ভুলে যাবেন না, আপনারা নাথুরাম গডসের দল। সাভারকারের দল।
(৩) "আর এস এস হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ায় বিশ্বাস করে না, হিন্দিকে একটি সর্বজনবোধ্য ভাষা হিসাবে ব্যবহার করে মাত্র। বস্তুত আর এস এস-এর কর্তাব্যক্তিরা বেশিরভাগ মারাঠি, হিন্দি তাঁদের মাতৃভাষা নয়। আর, আর এস এস রবীন্দ্র-বিরোধী এটা একদম বাজে কথা। বাস্তবে সাহিত্য নিয়ে আর এস এস মাথাই ঘামায় না।" -- ঘোড়ায় হাসবে। এমনকী আপনাদের নিজেদের লোকেরাও হাসবে আপনার কথা শুনলে। আপনি যদি বুদ্ধিমান হতেন, এই বক্তব্য রাখার আগে একটু কৌশলী হতে পারতেন। আপনাদের নেতারাই বিগ মিডিয়াতে এবং আইটি সেলে ক্রমাগত জাতীয় সংগীত বদলে ফেলার কথা বলে আসছেন। হিন্দিকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রচার করছেন দিবারাত্র। হ্যাঁ, সাহিত্য আপনারা বোঝেন না, এটাই একমাত্র সত্যি কথা আপনি বলেছেন এখানে। বাংলা সাহিত্য বুঝলে বিজেপি করতেন না।
(৪) "আর এস এস হিটলার-মুসোলিনির অনুগামী এটাও একদম বাজে কথা। হিটলার-মুসোলিনি বাকি পৃথিবীর নজরে এসেছিলেন ১৯৩০-এর দশকের দ্বিতীয়ার্ধে, আর আর এস এস প্রতিষ্ঠিত ১৯২৫ সালে। আর এস এস প্রতিষ্টাতা ডাঃ হেডগেওয়ার কলকাতা মেডিকেল কলেজে পড়েছিলেন, স্বামীজী ও বাংলার বিপ্লবীদের আদর্শে প্রভাবিত হয়েছিলেন। আর তাঁর পরবর্তী সরসঙ্ঘচালক গুরুজী গোলওয়ালকর রামকৃষ্ণ মঠ মিশনের ব্রহ্মচারী ছিলেন স্বামী অখণ্ডানন্দর অধীনে মুর্শিদাবাদ জেলার সারগাছি আশ্রমে দুর্ভিক্ষ ত্রাণের কাজ করেছিলেন।" -- এসব ফালতু কথা আর কতদিন বলবেন, ফালতু উদাহরণ কতদিন দেবেন? ইতিহাস পড়ুন। হিটলার ও মুসোলিনির উত্থানের ইতিহাস পড়ুন। গোলওয়ালকারের লেখা পড়ুন, যেখানে তিনি বার বার নাৎজি জার্মানির প্রশংসা করছেন। সাভারকারও তাই। বাল থ্যাকারে। তার ওপর আপনাদের দীর্ঘ ইতিহাস স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে হাজার মাইল দূরে থাকা। ব্রিটিশদের চর হিসেবে কাজ করা। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বিরোধিতা করা।
আসলে, আপনার কাছ থেকে আর একটু বেশি পড়াশোনা ও বিজ্ঞতা আশা করেছিলাম। আমারই ভুল হয়েছিল। আমি তো নিজেই দেখেছি আপনাদের খুব কাছ থেকে। অটলবিহারী, দেওরাস, নানাজী, দেশমুখ, ঠেঙাড়ি, রাজেন্দ্র সিং-ঘনিষ্ঠ আমার শ্রদ্ধেয় পরলোকগত পিতা জিতেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীকেও সারা জীবন দেখেছি। অবশ্য, আজকের আরএসএস বিজেপির তুলনায় তাঁরা ছিলেন আদর্শবাদী, সৎ ও ত্যাগী মানুষ। আজকের কালো টাকায় ঘোড়া কেনাবেচার কারবারি, হিংস্র উন্মত্ত ক্ষমতালোভী দুর্নীতিগ্রস্ত আরএসএস-বিজেপি তাঁরা ছিলেন না। তাঁরা প্রগতিশীলতা, নারীস্বাধীনতা বোঝেননি, আধুনিকতা বোঝেননি ঠিকই, কিন্তু ধর্ষণ জাস্টিফাই করতেন না। তাঁরা হিন্দুত্ববাদী ছিলেন ঠিকই, কিন্তু গুজরাট গণহত্যাকে সমর্থন করতেন না। আপনারা বিজেপিকে অন্য স্তরে নিয়ে গেছেন।
At lteast kono senior leader reply diyeche pointwise, tmc ba vam hole hoi tumi maobadi na hoi সাম্রাজ্যবাদী।
This is the difference between a people's party and family party & communism.
There is no point in talking abt Congress.
"বাস্তবে সাহিত্য নিয়ে আর এস এস মাথাই ঘামায় না"
এইটে কিন্তু আমারও মনের কথা। এইসব সাহিত্য টাহিত্য নিয়ে আমিও একদম মাথা ঘামাই না। এই বামগুলো কি যে রোবিন্দোনাথ আর জিবোনানন্দো আর হ্রিত্তিক রোশান নিয়ে পড়ে থাকে কে জানে!
নাঃ এবার ভোটটা আরেসেস কেই দেবো ভাবছি।
সে সাহিত্য নিয়ে মাথা ঘামায় না, সে মানুষ নিয়েও মাথা ঘামায় না। কারণ মানুষ নিয়েই সাহিত্য
মানুষ নিয়ে আবার কোন আহাম্মক মাথা ঘামাতে যায়? ভোট পেলেই তো হলো, নাকি? ওসব সাহিত্য ধুয়ে কি জল খাবে?
বটেই তো! বটেই তো!
হ্রিত্তিক রোশান কে নিয়ে মাথা ঘামালে ভোটটা আরেসেস কেই দেওয়া উচিত :-)
এই প্রশ্নোত্তর পর্বে পার্থবাবু কে দুটি অনুরোধ
১) আপনি প্রাজ্ঞ আপনার তথ্য যুক্তিনির্ভর বিশ্লেষন বোঝার এবং তাকে অনুধাবন তো দুরের কথা সেটা দেখে শেখার ক্ষমতা তথাগত রায়ের নেই সেটা ও জানে।এখন ওকে করে কম্মে খেতে হবে সামনে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার ভোট নিম্নগামী এই রাজনীতি তে শ্রীমতি এখন পুরোনো ব্র্যান্ড তাই কুযুক্তির প্রবাহে দলবদলুরা প্রতিযোগিতা মূলক সাম্প্রদায়িকতার তাস আস্তিনে লুকিয়ে রেখে এখন দুর্নীতির পঙ্কে নিমজ্জিত হয়ে ওয়াশিংমেশিন নামক বঙ্গ বি জে পির নয়া মুখ।
তাই তথাগত অপ্রাসঙ্গিক হবার ভয়ে মাঝে মাঝেই ভুল বকে ভুল লেখে জাস্ট লাইক গৈরিক সারমেয় শুধু ঘেঊ ঘেউ করে।
২) আপনি আপনার বৌদ্ধিক দৃষ্টিকোন এবং অসাধারন যৌক্তিক লড়াই এ সারা পৃথিবীব্যাপি এই নয়া ফ্যাসিস্ট ধান্দার পুঁজির বিরুদ্ধে কলম আর ক্ষুরধার করুন।
প্রাক্তন আরএসএস কর্মী পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলি, তাঁর শ্রদ্ধেয় পরলোকগত পিতার সমসাময়িক আরএসএস নেতা, কর্মীরা হয়তো সামাজিকভাবে সৎ, অবশ্যই আদর্শবাদী ছিলেন। তবে সে আদর্শ ছিল ভয়ংকর, সমাজ ধ্বংসকারী। হিংসা, বিদ্বেষ এবং অবিরত মিথ্যার ভাষণে তাঁরা ছিলেন অতীব পারদর্শী। অনেক উদাহরণ আছে।
যেমন, উত্তরপ্রদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রসচিব রাজেশ্বর দয়াল তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে মুসলমান গণহত্যার উদ্দেশ্যে গোলওয়ালকরের ভয়াবহ পরিকল্পনার কথা। গোলওয়ালকরকে উনি তৎক্ষনাৎ গ্রেফতার করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু অনুমতি দেননি কংগ্রেসের হিন্দুত্ববাদী নেতা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী গোবিন্দ বল্লভ পন্থ।
আডবানী আরএসএসের করাচির শাখার দায়িত্বে থাকার সময়, স্বাধীনতা দিবসে করাচির বিভিন্ন অঞ্চলে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিল আরএসএস। ধরা পড়ে করাচি পুলিশের হাতে, আচমকা বিস্ফোরণে দুই স্বয়ঙসেবক মারা যায়। এ সম্পর্কে বহু ইতিহাস রয়েছে প্রকাশ্যে।
তবে, এটা ঠিক তদানীন্তন সামাজিক পরিবেশের প্রভাবে নেতাদের মুখে হয়তো এত ইতরভাষণ, অসততা, নৈতিক অধঃপতনে পারদর্শী হয়েছেন।
আর তথাগত রায়ের ইতরভাষণে কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া বা তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করতে যুক্তির অবতারণা করা অর্থহীন। কারণ এই স্কিলটিতে উনি সবিশেষ পারদর্শী। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, উনি একজন উচ্চশিক্ষিত, উচ্চমেধার মানুষ। রেলের উচ্চপদে ছিলেন। নবীন বয়স থেকে আরএসএসের শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার ফলে, এই আচরণ আর অস্বাভাবিক লাগে না। উনি আর এস এসের অতীত হিংসাত্মক ইতিহাস সম্পর্কে অবহিত নন ভাবলে ভুল হবে।
ওই লোকটা 'তথাগত"না কি যেন ।..কে যে নাম টা দিলো ।..একেবারেই মিলছে না !!ভীষণ বাজে লোক ।।.কথা বার্তা ভালো না ।।.কত দূর পড়েছেন জানি না ।..কিন্তু মিথ্যে বলেন এবং অসভ্য ব্যবহার করেন সবার সাথে !!!ঘৃণ্য লোক !!!আলোচনা করা বৃথা এর সম্বন্ধে !!!!
https://www.youthkiawaaz.com/2021/01/casteism-inside-rss-and-its-abhorrence/
“I Could Not Be Hindu: The Story Of A Dalit In The RSS”
Casteism Inside RSS, And Its Abhorrence!
"The architect of India’s constitution Dr Ambedkar was ‘untouchable’ and had come to conclusions that Hinduism can’t be reformed. He chose Buddhism in October 1956 and found emancipation through the teachings of Buddha.
The same is the case with Bhanwar Meghwanshi who is an Ambedkarite today, learned a different version of Ambedkar in his RSS years. Even God knows that RSS has appropriated Dr Ambedkar conveniently, for its own political agenda.
Bhanwar’s ethnographic encounter in his book “I could not be Hindu – the story of a Dalit in the RSS” is essential to refute the pseudo-science of RSS or Hindutva trollers on the subjects of Islam, untouchability and other narratives.
The book sheds a detailed light on what RSS is, casteism in the RSS, and how RSS makes its ground in the society.
Navayana Publishing House mustered the courage to publish the book, unlike other ‘popular’ publishing houses, according to Bhanwar. He dreamt of becoming a ‘pracharak’ but was stopped to become a ‘vistarak’ because of his ‘caste’ and this is where he learned that he is a lesser Hindu than other Hindus in RSS.
He left RSS after a very bitter experience. He writes, “We had organised an event of Sangh in my hometown, I was heading the event as I was the most active and passionate worker in my area. I had planned to make food at my home only for the senior guests and the priests who would join the event. My father strongly opposed and said that they would never eat food cooked by us. I did not listen to him. I cooked good Rajasthani food with pure ghee and invited them. They did not come home but said that ‘you just pack the food we will eat it in the next village, as we are running out of time’. I packed the food for them, I later learned that they did not have my food but threw it in a naala (gutter). As the district chief, I got angry with them and asked the reason, but did not get satisfactory answers. I was reminded of my father’s words that ‘people like us did not own any place in the Sangh’, it solely belongs to the upper castes.”