এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বই

  • জোর্জে আমাদো'র লেখা

    বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
    আলোচনা | বই | ১২ অক্টোবর ২০০৬ | ১৬২৫ বার পঠিত
  • যা বোঝা গেলো এই Amado-র সাংঘাতিক লেখার ক্ষমতা।

    ব্যঙ্গ, বিদ্রূপ আর তাচ্ছিল্য টাই এনার এক ধরণের শৈলী।

    এবং যৌনতা-ই প্রধান বিষয়, অন্তত আমি যে বইটা পড়ছি সেই বইটার।
    dona flor and her two husbands ।

    এটাও বোঝা গেল, বিচিত্র, জটিল জীবন চর্যা ও ব্যক্তিঙ্কÄ।

    মানবেন্দ্র বন্দ্যো-র করা 'একটি বেড়াল ও একটি পাখি(?)' অনেক দিন আগে হাতে এসেছিল। তখন থেকেই এনার লেখা পড়ার ইছে ছিল। তাছাড়া নেরুদার আত্মজীবনী তে সম্ভবত: অনেকটা তীর্যক আবার কিছুটা শ্রদ্ধাপুর্ণ মন্তব্য ছিল এঁর সম্পর্কে।

    তাই আগ্রহ ছিল amado সম্পর্কে।

    ভাবতে পারো, একেকটা রান্নার recipe এর স্টাইলে এ একেকটা স্বগোতোক্তি লেখা! কারণ নায়িকা dona flor এক জন chef . রান্না শেখানোর স্কুল চালিয়ে সংসার চালান!

    কি ক্ষমতা মাইরি।

    লম্বা লেখার আগে কয়েকটা তথ্য:

    ১। jorge amado (১৯১২-২০০১(?)), বাহিয়া, ব্রাজিল।

    ২। Dona Flor প্রথম পোর্তুগীজ সংস্করণ ১৯৬৬।

    ৩। ইংরেজি অনুবাদ ১৯৬৯।

    ৪। আমি যে সংস্করণ টা পড়ছি তার
    অনুবাদক - harriet de onis.
    প্রকাশক - Serpents Tail

    ৫। অন্যান্য নাম শুনেছি বই:

    ক . The Violent Land
    খ . Gabriela, Clove and Cinnamon
    গ . Tieta, the Goat Girl

    তাহলে সংক্ষেপে গপ্পো টা দিয়ে আরম্ভ করা যাক।

    হাড় জ্বালানী দজ্জাল গিন্নি রাজিল্‌দা র ফুট ফুটে, লাজুক, শান্ত, লক্ষ্মীটি কন্যে ফ্লোরিদেস বা ফ্লোর, শেষে কিনা ফেরেব্বাজ, জুয়াড়ী, ঠগ, বেশ্যাপাড়ার শের-ই-লালবাত্তি, মখ্‌মলি বুলবুল ভালদিনো র প্রেমে পড়ে গেলো? কেচ্ছার এক শেষ! মন্দের মদ্যে ভালো, বহুদিন পর যেন ঝিমিয়ে পড়া সাদায়, কালোয়, গমরঙ্গা মুলাটোয়, পাঁচমিশিলি জগঝম্প মার্কা, জলদেবী Yemenjaa র আশীর্বাদ ধন্য Largo de Sant' Ana এলাকায় এট্টু নিন্দে মন্দ , গাল গপ্পো করার দিন এলো। পাড়ার জেঠিমা, মাসীমা, মা, কাকিমারা নইলে স্রেফ আলসে আর নীরস, বাপ, খুড়ো আর পিসে দের নিত্য নৈমিত্তিক এ হাই তুলে তুলে তদ্দিনে ক্লান্ত।

    আর সে প্রেম বলে প্রেম, বেটা দিন নেই রাত নেই, মানে একটু রাতের দিকেই মুলত:, যতো সব গাইয়ে বাজিয়ে, তালে তাল দেওয়া সাঙ্গ পাঙ্গ জোগাড় করে (তার মদ্যে একটা আবার নাকি রুশ কাউন্ট এর বেটা, কাউন্ট না হাতির মাথা) পাড়ার মোড়ে, ফ্লোর মামণির জান্‌লার থেকে শ খানেক গজ দুরে তার সে কি আবেগের গান। ব্যায়ালার করুণ সে সুরে বুঝি পাষাণ ও গলে, গলে না সুদু রাক্ষুসি রাজিল্‌দার মন,

    'ওগো রাত্রি,
    ওগো আকাশ,
    এই নৈশ্বব্দ যে আর সইতে পারি না গো,
    ঐ হিংসুটে চাঁদ যে ওদিকে বন জঙ্গল নরম রুপোলি আলোয় ভাসিয়ে দিলেন গো!
    আর কন্যে তুমি কিনা ঘুমুচ্চো?
    ঘুমিয়ো না আর,
    আর ঘুমিয়ো না।'

    আর সেই ন্যাকা ন্যাকা গান শুনে ওপাড়ার কার্লা মাসির ছেনাল বাড়ির মেয়ে গুলোর সে কি ছলো ছলো চোখ আর আবেগ রুদ্ধ চাপা হাত তালি।
    একেবারে নাকে মুকে চুন্‌কালি করে ছাড়লে একরত্তি মেয়ে।

    চোখ ঢাকছেন, কানে তুলো গুঁজছেন তো? দাঁড়ান পোড়ার মুখীর কীর্তি র এখনো অনেক বাকি ...

    তাপ্পরে ...

    শুভাকাঙ্খী Lita মাসি আর মেসো, নর্মা দিদি, আর ভাদিনিও র দু চারজন সমাজে প্রতিষ্ঠিত জুয়াড়ি বন্ধুর সাহায্যে পরম করুনাময় কে সাক্ষী রেখে ফ্লোর তো আর তর সইতে না পেরে গাঁট্‌ছড়া পজ্জন্ত বেঁধে ফেল্লে।

    তর সইতে না পারার কারণ তো সহজেই অনুমেয়। ভাদিনো-র পকেটে মাল থাক না থাক, সন্ধের বাজি তে সে জিতুক না জিতুক, অ্যাল্কোহোল এর বিষ তার মাথায় চড়ে থাকুক বা না থাকুক, উপরওয়ালার দিব্যি, তার ঐ হাসি আর টেরি, ঐ অনর্গল ঠাট্টা আর ঘন রঙ্গ, ঐ পাগল করা চোখ, ঐ কোমরের জোর আর ওলোট পালোট করে দেওয়া বিছানা জোড়া ঢেউ এ কোন মেয়ে না ভাসবে আর ডুববে, অন্তত স্বপ্ন দেখবে। মিষ্টি ফ্লোর বিবি বড় হলেন আর তার বুক, ঠোট আর যার কথা বলতে নেই সেই আপাত: অনাস্বাদিত, স্বেদি পুষ্পটি থেকে শুরু হয়ে একটা চিন চিনে দমবন্ধ চাওয়া আর সুখ ছড়াতে ছড়াতে বাহিয়া ছেয়ে ফেল্লে। সাটিন এর গাঢ় রঙ এর চাদর এর সাধ্যি কি তাকে ঢাকা ঢুকো দেয়।

    তা জোচ্চোর ভাদিনিয়ো-র তা সইবে কেন। সে তো জুয়ো খেলা আর ফুর্তি করার জন্যো জম্মেছে।

    ফুট ফুটে বউ টা কে অশ্রু সাগরে নিমজ্জিত করে, সাত সাত টা বছর ফ্লোর কে হাসিয়ে , কাঁদিয়ে, তোলপাড় করে, তিলে তিলে গড়া রান্না আর ঘরকন্না র স্কুল থেকে বাঁচানো সমস্ত টাকা মিষ্টি কথা আর বিছানাময় উচ্চাঙ্গের খেলোয়াড়ি বা স্রেফ তছ্রুপ করে, ঈশ্বর কে চোখ মটকে এক রবি বার সক্কাল সক্কাল, কার্নিভাল এর শুভ দিনে, নাচিয়ে র মুখোশের আড়ালে হাসতে হাসতে , বেঁচে থাকার নেশায় বড় বেশি মশ্‌গুল হয়ে রাস্তাতেই সজ্ঞানে ভবতরী পার হোলো।

    ঐ ছোটোখাটো শান্ত হরিণ এর মত মেয়েটা, যে ঐ দায়িত্বজ্ঞান্‌হীন ফুর্তিবাজ টাকে ভালো বাসা আর তার আদরে অন্ধ হওয়া ছাড়া তেমন কোনো ই দোষ করেনি, সম্পুর্ণ বিনা নোটিশে বিধবা হয়ে গেলো আর তার উপরে দেশের আর সমাজের, পাড়ার আর শহরের কিম্বা গ্রামের এর বাঁধুনি ধরে রাখার জন্যে বিশুদ্ধ বৈধব্য পালনের দায়িত্ব পড়্‌ল।

    শোকে মুহ্যমান বেচারি ফ্লোর তাতে কি একটা টুঁ শব্দ টি করেচে? তার রাগ আর অভিমান আর সেই ফোলানো ঠোঁট দুটো কে বুকের মদ্যে ঘষে গুঁড়ো করে দেওয়ার ওস্তাদ শয়্‌তান টা এখন আর বাড়ি ই আসে না, আজ বছর পার হতে চল্লো ...
    (১। উচ্চারণ টা ভাদিনিয়ো ই হবে, ভালদিনো নয়। প্রথমে ভুল লিকেচিলাম।)

    এবং ...

    একেনে একটু অবিন ঠাকুর কে টুকবো, নেহাৎ ই ছবি টা আমাদের চেনা বলে।

    'তুষের ছাইচাপা আগুন যেমন ধিকি ধিকি করে জ্বলতে জ্বলতে একদিন শেষে দাউ দাউ করে' দাবানলে ছড়িয়ে পড়ে, তেমন ই শ্রীযুক্তা ফ্লোর এর সেই চিন চিনে চাওয়া আর না পাওয়া তার শরীরের সমস্ত, কিছুটা চেনা আর অনেকটাই অচেনা নিভৃতি থেকে তার অনাবৃত চেতনায় ছড়িয়ে গেল, তন্দ্রা, স্বপ্ন কিছুই রেহাই পেলো না।

    বকম বকম প্রতিবেশী অথবা শুভাকাঙ্খী নর্মা দিদি সবার ই এক কথা। 'কি ই বা বয়স তোর, চাদ্দিকে কত সুপাত্তর, দাঁড়া দেখছি!'

    তিতি বিরক্ত হতে হতে, চুপ করে থাকতে থাকতে, ঐ শরীরময় আকুতি র সঙ্গে রাতভর লড়াই করতে করতে শেষ পর্যন্ত কিছুটা অধৈর্য হয়েই যেন ফ্লোর বিয়েতে সায় দিলেন ভাদিনিয়ো র মৃত্যুর বছর দেড়েক পর।

    নক্ষত্র যোগ,রোজা পিসির দিব্য বাণী,নর্মা দিদি সহ সমস্ত সখি বাহিনী র প্রভুত গায়ে পড়া ঘটকালি, সমস্ত কিছুর একটা যৌগিক সংমিশ্রণে যিনি হাতে ফুল আর পরনে শৌখীন হাল্কা স্যুট ,বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী, চওড়া কাঁধ, বিনীত সম্ভ্রম নিয়ে এসে দাড়ালেন, তিনি এবং স্থৈর্য্যে, ধৈর্য্যে শ্রদ্ধেয় এবং স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি তে স্বচ্ছল শহরের সবচেয়ে বড় ওষুধের দোকানের মালিক তথা প্রধান ফার্মাসিস্ট ড: থিওডোরো। বছর চল্লিশেক বয়স, কিন্তু মনে ধরল ফ্লোরেরো। শান্ত মানুষ টিকে মনে মনে ভরসাও করতে শুরু করলো ফ্লোর।

    সমস্ত আত্মীয়, বন্ধু, মাসি, পিসি, এমনকি, মা রাজিল্‌দা, পরিচিত অপরিচিত প্রত্যেকে যারা বিধবা ফ্লোর এর সুকনো মুখ আর কালো পোশাক দেকে দেকে ঝিমিয়ে পড়েছিলো, তারা সব্বাই খুশি হল।

    এই কোর্টশিপ আর বিয়ে সব হল যেন Dr. Theodoro -র ওষুধের মত, নিক্তি দিয়ে মাপা, সমস্ত কিছুই নিয়ম মাফিক, এতো টুকু ভুল নেই, বেহিসেব নেই, চঞ্চলতা নেই।

    থিওডোরো সপ্তাহে এক দিন করে এক মাস, সপ্তাহে দু দিন করে এক মাস এবং সপ্তাহে তিন দিন করে তিন হফ্‌তা ... ফ্লোর এর বাড়িতে আসার পরে, যথা বিহিত সময়ে বিবাহ প্রস্তাব করলেন লিখিত ভাবে। চিঠি দিয়ে। ফ্লোর দিকের সমস্ত লোক, প্রায় পৃথিবীর সমস্ত জীবিত ও নির্বাচিত কিছু মৃত লোককে শ্রদ্ধা জানানো আর তাঁর নিজের আর্থিক স্থায়িঙ্কÄ র বিবরণের সঙ্গে সঙ্গে তিনি যে মনে করে বিয়ের কথাটা এক-ই চিঠি তে পাড়তে পেড়েছিলেন, এই আশ্চর্য্য। কি সুক্ষ্মতা, কি শিক্ষা, কি আদব।

    সাবধানী নর্মদিদির বর সাম্পাইয়ো জামাই বাবু জুতোর দোকান চালাতে চালাতে এদিকেও নজর দিলেন। তার গোছানো ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি দিনেই কেউ না কেউ সেই সময় ফ্লোর এর সঙ্গে থাকতো আর রবিবার এ ফিলিম দেকার সরকারি দিনে সঙ্গে যেতেন নোর্মা আর সাম্পাইয়ো নিজে।

    এই নিয়মানুবর্তিতার নিরাপত্তায় ধীরে ধীরে ফ্লোর এর রাত্‌গুলিতে ঘুম ফিরে এলো। ওম শান্তি ইত্যাদি হয়ে একেনেই , সুখেন ইতরে জনা: হওয়া অথবা নটেটি মুড়োনো উচিত ছিল।

    কিন্তু এই প্রকল্পে জড়িত সমস্ত বাহিয়া বাসী, লেখক, জনৈক ফার্মাসিস্ট, তামাম পাঠক কুল এর দুর্ভাগ্য, দুর্বিনীত, অসভ্য, জুয়োপ্রেমী ভাদিনিয়ো র পিরেত ঈর্ষা পরায়ণ হয়ে ফিরে আস্তে শুরু করল তদ্দিনে বাহিয়ায় বিশিষ্ট তম রান্নার স্কুল এর প্রথিতযশা মালকিন শ্রীজুক্তা ফ্লোর এর বসার ঘরে, রান্না ঘরে, কাছ কাছি দোকানে , বাজারে, রাস্তায়, এমন কি শোবার ঘরে। না না জায়্‌গায় এমন নানা সময়ে সে আবির্ভুত হতে লাগলো যে কহতব্য নয় ...

    বাকিটা বললে সবাই আলসে হয়ে গিয়ে গপ্পোটাই আর পড়বে না! একটা পাচশো পাতা র পেপার ব্যাক ফিরি তে তিন পাতায় পড়বেন, সেটি হচ্চে নি।

    গপ্পো তো অনেক্‌ক্ষন হল। এই বার গপ্পের গপ্পো হোক।

    জোর্জে আমাদো সম্ভবত ব্রাজিল এর সবচেয়ে খ্যাতনামা ঔপন্যাসিক।

    সে দেশের বিচিত্র বর্ণে, উথাল পাথাল এ , মুখাবয়বহীন শহরের, মফস্বল এর নিম্ন-মধ্য বিত্ত মানুষের জীবনের চলায়, আকাঙ্খায়, স্বাদে, গন্ধে ভরপুর তাঁর লেখা।

    স্পেন এর কলোনিয়াল রা তো বটেই, ইউরোপের নানা অংশের অসংখ্য মানুষ এর সঙ্গে ব্রাজিল এ প্রায় ১০ মিলিয়ন আফ্রিকার কালো মানুষেরা দাস হয়ে এসে ছিলেন মানুষ বেচা কেনার ব্যবসার রম রমার যুগে।

    তাই আমাদো র লেখার কোনো চরিত্র রাই এক মাত্রিক নয়। কোনো গল্পেই কালো মানুষ রা অনুপস্থিত নন।

    আর গদ্য রীতি র ইনি একেবারে মাস্টার মশাই।

    এক ই অনুচ্ছেদে কত রকমের বাচন যে ভদ্রলোক ব্যবহার কর্তে পারেন তার সীমা নেই। সেই যে বলেছিলাম, রান্নার রেসিপির মতো করে লেখা স্বগোতোক্তি! আঙ্গিক বাছেন চরিত্র টির মনের বা পারিপার্শিকের অবস্থা কিরকম তার উপরে নির্ভর করে। এবং তা ক্রমাগত বদ্‌লায়। তবে যে অংশ গুলো ব্যঙ্গাত্মক তার চাবুক বোঝাই যায় ব্রাজিল এর dictator দের কেন বার বার বিব্রত করেছে।

    স্রেফ আফ্রিকা আর পোর্তুগীজ ভাষী দক্ষিন আমেরিকার গন্ধ মেশানো রান্নাও যদি শিখতে চান এ বই পড়ে দেখতে পারেন। আর হ্যাঁ যৌনতা। যৌনতার বর্ণনা দিয়ে সম্ভবত একটা ভীতু সংস্কারাচ্ছন্ন, মুখোশ ধারী সমাজ কে কান ধরে ওঠবোস করান যেন।

    আমি বেম্মো স্কুল এ পড়া ভিক্টোরিয়ো বালক, তিন মাইলের মধ্যে কোনো প্রাণী থাকলে বে করা নিজের একমাত্র বৌ এর হাত ধরতে নজ্জা পাই, কালের ফেরে আর পেটের দায়ে মৃদু পশ্চিমি হয়েছি, স্বীকার করি এই বই পড়তে গিয়ে আমায় ঘন ঘন বেগুনি হয়ে উঠতে হয়েছে। নেহাত আমার টিউব সহযাত্রীরা মুলত নিরুত্তাপ, বা সান পত্রিকায় ললনা দের বক্ষদেশ বা নিতম্ব ও অনবৃত কটি খানি র ছবি সহ পরিবেশিত দৈনন্দিন রাজনৈতিক সংবাদ/মন্তব্য পড়তে পারেন ডিক্‌শনারি পড়ার মত করে, তাই সাহস করে এই বই পড়তে পেরেছি।

    পড়ুন, আরাম করে গুছিয়ে আমাদো পড়ুন।

    তবে ঐ যে এট্টু মন্তব্য না করলে বাঙ্গালী ক্যান্টীন এর সুমহান ভাটৈতেহ্য তো রসাতলে যাবে। দেশপ্রেমিক হিসেবে তাই একটি -ই কতা বলবো।

    কিছুদিন পরেই ফিরিয়ে নেবো, হয় আরো পড়ে বা বকুনি খেয়ে। বা মনেই পড়বে না বলেছি -

    ব্রাজিল দেশটার সঙ্গে জড়িত সমস্ত exotica র সংগ্রহ কে ব্যবহার করে, পরতে পরতে ব্যঙ্গ দিয়ে তা যতই মখানো হোক না কেন, এই যে ট্রপিকাল সাহিত্য রচনা হল, এতে যারা পরে exotica র ঘোর কাটাতে চাইবেন, তারা যে আমাদো র মত বাম্পন্থির হাতেই বাঁশ খেলেন এটা কি ন্যায় বিচার হোলো? সবার কি আর সে কব্জির জোর আছে?

    ব্যাস।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১২ অক্টোবর ২০০৬ | ১৬২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০৬ আগস্ট ২০২০ ১৫:২১95965
  • .
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন