এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • দখিন হাওয়ার দেশ :-)

    অরিন লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৮ জুলাই ২০২০ | ১৮৯৯ বার পঠিত
  • (এলোমেলো করে সাজানো নিউজিল্যান্ড নিয়ে কিছু লেখা )

    || ৩ ||
    (মাওরি, ইত্যাদি)
    Atoz " কিংবদন্তীর মাউই ছিপ ফেলে হেইয়ো হেইয়ো করে দ্বীপটা কি টেনে তুল্লেন এমনি এমনি? ভালো না হয়ে যায় কোথা? ঃ-)"

    ভালো বললেন।

    মাউই এর মায়ের নাম "তরঙ্গা ", :-), আমার কাছে বেশ লাগে ভাবতে যে সমুদ্রের ঢেউ ( আমাদের "তরঙ্গ "?) নাকি মাউই কে বড় করেছে।

    যে মাছটাকে সে টেনে তুলেছিল সেইটা উত্তর দ্বীপ, মাউই এর নৌকোটা হলো দক্ষিণ দ্বীপ। আরো একটা দ্বীপ আছে, সেখানে ঘন জনবসতি নেই, তার নাম stuart island । সেও ভারী সুন্দর । তারপর সমুদ্র অপার , ওধারে এন্টার্কটিকা।

    আবার, আমদের দেশের পায়রা , এখানে অনেক রকম প্রজাতির পায়রা আছে। এক প্রজাতির পায়রা কে মাওরিরা বলে "পারেয়া ", :-), । আবার আরেক রকমের জংলী পায়রা কে মাওরিরা বলে কেরু।

    এক ধরণের হলুদ মাথাওয়ালা পাখি আছে, আজ সকালেই বাড়ির বাগানে ঘোরাঘুরি করছিলো, তার মাওরি নাম "মহুয়া"।

    আমাদের দেশের টুনটুনি পাখির মাওরি নাম "হিহি"।

    @Atoz "আরে অরিন, কিউয়ি পাখি? সত্যি সত্যি ঘুরে বেড়ায়? আমার ধারণা ছিল লুপ্তপ্রায়"

    নানা , লুপ্তপ্রায় কেন হবে,তাঁরা দিব্যি ঘুরে বেড়ান । বহাল তবিয়তে আছেন।

    তবে সব সময় তো তাঁর বা তাঁদের দেখা পাওয়া যাবে না, তাঁরা রাতের পাখি, এমনকি চিড়িয়াখানাতে তাঁকে দেখতে গেলেও যে ঘরে তাঁকে দেখতে হবে, সেখানে টুঁ শব্দটি করা চলবে না, ক্যামেরায় ফ্ল্যাশ লাগানো চলবে না। ঘন অন্ধকারে নিভু আলোয় তাঁকে দেখতে হবে। জঙ্গলে ও তাই। রাতে ক্যাম্প করে থাকলে গভীর জঙ্গলে খুব রাতের দিকে তাঁর গলার আওয়াজ পাবেন, পা টিপে টিপে ক্যাম্প থেকে বেরোলে দেখবেন তিনি মাটি থেকে খুঁটে খুঁটে পোকা খেয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে মানুষকে বিশ্বাস করেন।

    নিউ জিল্যান্ডে বন্য প্রাণী বিশেষ নেই, শুধু পাখি। সাপ খোপের ভয় নেই। এক ধরণের বিষাক্ত মাকড়শা শুধু আছে, তাও সব জঙ্গলে নেই। যা প্রাণী সবই প্রায় সায়েবের ঢোকানো , যেমন বুনো শুওর, হরিণ । মাওরিরা যখন এসেছিলো তখন কুকুর নিয়ে এসেছিলো, আর সায়েবরা কুকুর নিয়ে আসে।

    @lcm :" নিউজিল্যান্ডে কি একটা হাঙ্গি ডিনার আছে, মাটিতে গর্ত করে আগুন জ্বালিয়ে মাংস-টাংস রেখে মাটি চাপা দিয়ে কিভাবে যেন করে। ওটা খেয়েছেন কখনও?"

    অনেকবার।

    মাওরি দের উৎসব অনুষ্ঠানে ভোজ আপ্যায়নের ঐটাই রীতি। মাওরি ভাষায় খাওয়া দাওয়া কে "কাই " বলে । হাঙি (উচ্চারণ: হাইঁ, চন্দ্রবিন্দু র অবস্থান টা নজর করবেন ) । মাটিতে গর্ত করে আগুন জ্বালিয়ে তারপর পাথর দিয়ে নিভু নিভু আঁচে গর্তের মধ্যে নানারকম শাকসবজি রাঙালু মাছ মাংস দিয়ে তারপর কাঠ ইত্যাদি দিয়ে মাটি চাপা দিয়ে রেখে দেওয়া, তারপর রান্না হয়ে গেলে বের করে নিয়ে খাওয়া দাওয়া । আজকাল কাজ সহজ ও দ্রুত করার জন্যে অবিশ্যি "hangi oven " পাওয়া যায়, তাতে অবিশ্যি আসল পদ্ধতিতে রান্না করার স্বাদ পাওয়া যায় না। মাটিতে গরম পাথরে দমে রান্না হয়। বিশেষ করে মাছ খেতে দারুন লাগে। অন্য রকম।

    Atoz: "প্রশান্ত মহাসাগরীয় সংস্কৃতি। ঃ-)"

    "আতা মারিয়ে" বন্ধুগণ! (মাওরী ভাষায় আতা মারিয়ে কথার অর্থ "সুপ্রভাত"!)

    প্রশান্ত মহাসাগরীয় সংস্কৃতি হয়ত নিশ্চয়ই একসূত্রে বেঁধেছে, তবে এখানে থাকতে থাকতে দেখেছি, মাওরিদের সঙ্গে আমাদের বাঙালীদের নানারকমের মিল আছে। আমি তো কোন ছার, স্বয়ং মার্ক টোয়েন মশাই "Following the Equator" বইয়ের ১৯৯ পাতায় কি লিখছেন দেখুন,

    "The Maoris had the tabu; and had it on a Polynesian scale of comprehensiveness and elaboration. Some of its features could have been importations from India and Judea. Neither the Maori nor the Hindoo of common degree could cook by a fire that a person of higher caste had
    used, nor could the high Maori or high Hindoo employ fire that had served
    a man of low grade; if a low-grade Maori or Hindoo drank from a vessel belonging to a high-grade man, the vessel was defiled, and had to be destroyed. There were other resemblances between Maori tabu and Hindoo caste-custom."

    এ নিয়ে কিছু কথা লেখা যেতে পারে। তবে দু-তিনটি মিলের মধ্যে একটা হচ্ছে দলাদলি,, ;-) দুই রান্না বাড়ি খাওয়া দাওয়া যে ব্যাপারটা মারক টোয়েনের দৃষ্টি এড়ায়নি। মাওরিদের মধ্যে যে কি প্রচণ্ড রকমের দলাদলি কি বলব, তবে থেকে মিশে বুঝতে হবে ওপর ওপর দেখে বোঝা যাবে না। একটা উদাহরণ নিউ জিল্যাণ্ডের উত্তর দ্বীপের মাওরিদের অসংখ্য জাতি ("Tribe", "iwi", ইউয়ি), সে তুলনায় দক্ষিণ দ্বীপে দু- একটা "নেয়াই টাহু" (Ngai Tahu), কিন্তু উত্তর দ্বীপের মাওরিরা দক্ষিণ দ্বীপের মাওরিদের দেখলে কেমন যেন নাক সিঁটকিয়ে "নেয়াই টাহু মনুষ্য নয়ে, উড়ে নয় প্রাণী, লম্ফ দিয়ে গাছে ওঠে " টাইপের ভাব দেখায়, ;-) । এখানে রোতোরুয়া নামে একটি শহরে মাওরিদের ভারি সুন্দর একটি মিউজিয়াম আছে। সেখানে আপনি সব জাতির সাংস্কৃতিক বৈচিত্র দেখতে পাবেন, কারা কেমন করে কাঠ খোদাই করেন, কোন জাতির কি ইতিহাস, শুধু দক্ষিণ দ্বীপের নেয়াই টাহুর কোন উল্লেখ নেই। টুর গাইডকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এমন মুখ করে তাকিয়ে থাকবেন যেন ও প্রশ্নের কোন উত্তর হয় না। আবার দক্ষিণ দ্বীপের মাওরিও তাই।

    মাওরিদের অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়া ভীষণ রকমের দরকারী। এমনি নয়, রীতিমত কোব্জি ডুবিয়ে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া , না হলে সে সব অনুষ্ঠান পদবাচ্যই নয়। লোকে ছি ছি করবে ! খাওয়া দাওয়ার মাওরী নাম "কাই" (মনে করুন "খাইখাই " এর "খাই") । তারপর ধরুন, হেঁসেলে/রান্নাঘরে জুতো পরে যাওয়া একেবারেই চলবে না! এমনকি বাইরে থেকে এলে বাড়ির ভেতরেও জুতো পরে যাওয়া চলবে না। মাওরি বাড়িতে ঢুকতে গেলে জুতো বাইরে খুলে খালি পায়ে যেতে হবে। খাবার টেবিলে আপনি যে টেবিলে পিঠ/পেছন ঠেকিয়ে দাঁড়াবেন, পারবেন না, চূড়ান্ত অসভ্যতা! কোন অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়া শুরুর আগে রীতিমতন একজন সিনিয়র/পুরোহিত মতন কেউ এসে খাবার পূর্বপুরুষদের উৎসর্গ করবেন, তারপর আপনি শুরু করতে পারবেন (সাহেবের 'গ্রেস' নয়, অনেকটা আমাদের দেশের খাবার উৎসর্গ করার প্রথার মতন।

    আরেকটা ব্যাপার আমার খুব অবাক লেগেছিল। আমরা ওয়েলিংটনের বিখ্যাত "টে পাপা" মিউজিয়ামে প্রথম বিশ্বযু্দ্ধ নিয়ে একটি ভারি সুন্দর ডিসপ্লে হচ্ছিল, একদিক দিয়ে প্রবেশ করে অন্যদিক দিয়ে বেরোতে হবে, পুরোটা দেখতে প্রায় ঘন্টাখানেক লাগে। মৃত সেৈনিক মূর্তি, পোষাক, আষাক, ইত্যাদি রাখা। ডিসপ্লে থেকে বেরিয়ে দেখি একটা জলের বাটি রাখা, সবাই জল দিয়ে নিজেদের শরীরে ছিটিয়ে নিচ্ছে। জিজ্ঞাসা করতে জানা গেল, যে যেহেতু আমরা "মৃতের ঘর" (কাঁচা বাংলায় "মড়ার বাড়ি") থেকে বেরিয়েছি, গায়ে মাথায় জল ছিটিয়ে নিতে হবে, এইটা মাওরি প্রথা (মৃতদেহ সৎকার করে ঘরে ফেরার পর মাওরিদের মধ্যে প্রথা) ।

    এইরকম সব আরো ব্যাপার স্যাপার।

    || ২ ||
    মাওরি ভাষায় পেঁচাকে রুরু বলে। আমাদের এক মাওরি বন্ধু আছেন, তিনি নিজেকে "te ruru " ("টে রুরু ") বা " শ্রী পেঁচা" বলে থাকেন। তিনি সুপন্ডিত এবং অসাধারণ গায়ক।
    (পাখীর কথা)
    মাওরি ভাষায় পাখিদের নাম শুনতে মিষ্টি ।

    পেঁচা যেমন রুরু ("রু রু" করে ডাকে বলে), বড় সুন্দর টিয়াপাখি আছে,তার নাম "কিয়া"। কিয়া পাখিরা ভারী মিশুকে, মানুষকে এতটুকু ভয় পায় না । সবথেকে লাজুক আর শুধু রাতের অন্ধকারে ঘুরে বেড়ায়, সে পাখি, কিউয়ি পাখি। সে আবার উড়তেও পারে না । আরো আরেক রকম টিয়া, সে ও উড়তে পারে না, তার নাম "কাকাপো" । বড় বড় হলুদ চোখ অলা পেঙ্গুইন , আন্টার্কটিকা থেকে সাঁতরে নিউ জিল্যান্ডে ডিম পাড়তে আসে, তাদের নাম হোইহো ।
    bellbird হচ্ছ কোরিমাকো । টুই এর ও ভারী মিষ্টি আওয়াজ। )

    যেমন ছোট বুনো মুরগি, তার নাম ওয়েকা ("weka ") ।

    আবার "কাকাপো" যেমন আছে, তেমন "কাকা" ও আছে. কাকা ও এক ধরণের টিয়া, কাকা উড়তে পারে, কাকাপো পারে না। কাকা যেমন আছে, "কাকী" ও আছে, কাকী জলের পাখি, ইংরেজিতে "stilt " , কালো রঙের।

    আরেক ধরণের মুরগি আছে ঘন নীল রঙের , যখন তখন আমাদের এদিকের রাস্তায় দেখতে পাই রাস্তা পেরিয়ে মহা ব্যস্ত হয়ে এদিক ওদিক যাচ্ছে , তার নাম "পুকেকো" । ভারী মিষ্টি দেখতে।

    || ১ ||
    আমি নিউজিল্যাণ্ডের কলোনীর ইতিহাস , বিশেষ করে ভারত নিউজিল্যাণ্ড সম্পর্ক পড়তে গিয়ে দেখছি যে সেযুগে (১৭৭০-)ইংরেজের পূর্ব এশিয়া এবং প্যাসিফিক অভিযান করার সময় চট্টগ্রামের স্থানীয় নাবিক, বিশেষ করে লস্করদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। লশকর ব্যতীত ইংরেজের বার বার নৌঅভিযান করে অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডে কলোনী প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হত না। এবং বহু লশকর ইংরেজের জাহাজে নিউজিল্যান্ড পৌঁছনোর পর বে অফ আইল্যাণ্ডে এসে মাওরীদের মাঝে নিরুদ্দেশ হয়ে যেত। মাওরীদের সঙ্গে আর বাঙালীর সঙ্গে ইংরেজের কলোনী প্রতিষ্ঠার স্ট্র্যাটেজির মিল আছে।

    যাই হোক,যেটা বলতে চাইছি, সেই সময় সুবে বাংলা শুধু সমৃদ্ধই ছিল না, বস্তুত চীন, এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হয়তবা প্যাসিফিকের করিডোরও ছিল। মনে করে দেখুন, ওয়ারেন হেস্টিংস পাঞ্চেন লামার সঙ্গে চুক্তি করে তিব্বতের রাস্তা খোলার চেষ্টা করেছিলেন। বাংলা দখল না করলে সম্ভব ছিল না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৮ জুলাই ২০২০ | ১৮৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • b | 14.139.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৮:৩১95276
  • সেই জ্ঞানবৃক্ষটা কি এখনও আছে, @অরিন?
  • অরিন | ১৮ জুলাই ২০২০ ১০:১৫95279
  • কোন জ্ঞানবৃক্ষ?

  • b | 14.139.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ১০:৪৭95280
  • আরে না না, ঠ্যাং টানছিলুম। এতো সুন্দর দেশ, বুঝি বা আমাদের কল্পনার garden of eden।
  • dc | 103.195.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ১১:৫৮95281
  • এইসব লকডাউন উঠলে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, নিউ জিল্যান্ডে বেড়াতে যাবো। বেশ কয়েক বছর ধরেই ইচ্ছে আছে, নানান কারনে হয়ে ওঠেনি। এমনিতেও বালি যাবার প্ল্যান ক্যান্সেল হয়ে গেল, কাজেই নেক্সট বার নিউ জিল্যান্ড।
  • রৌহিন | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৩:৩৬95282
  • এখন থেকে কেউ বেশী আঁতলামি দেখালে তাকে "সুপ্রভাত" বলব

  • dc | 103.195.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৪:১১95284
  • তবে সেরা অবসার্ভেশান কিন্তু r2h এর। কাল ভাটে বলেছিলেন কাকাপো পাখিটা কেমন অপমানিত দেখতে। সত্যিই তাই, অপমানিত টিয়া। যেমন এই ছবিটাঃ

  • Du | 47.184.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৬:৫৯95291
  • দখিন হাওয়ার মতই ফুরফুরে!
  • de | 182.57.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ২১:৩১95301
  • বাঃ, খুব ভালো - এইটা খুব দরকারী ছিলো!

    মন খারাপ হলে এই টইটা পড়ে যাবো - এই সব করোনা ব্যাধি লোপাট হোক - নিউজিল্যান্ড ঘুরতে যেতে চাই।

    তবে, কালকের ভাটের সেরা মন্তব্য - কাকাপো কে অপমানিত রাজ্যপালের মতো দেখতে ঃ-))))

    এতো হেসেছি এটা পড়ে -বলার নয়!
  • নিউজিল্যান্ড | 165.225.***.*** | ১৯ জুলাই ২০২০ ২২:৪৩95341
  • নিউজিল্যান্ডই বোধহয় সেই দেশ, যে দেশেতে আঁধার নাই
  • অরিন | 161.65.***.*** | ২০ জুলাই ২০২০ ১২:৩৯95359
  • আঁধার নাই কোন অর্থে বলছেন? 

    নরওয়ের মত নয় কিন্তু । 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন