আরে দারুণ তো!
ওদিকে, যতদূর মনে পড়ে, "ভোলগা থেকে গংগা" বইতে পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন এমত জানাচ্ছেন, সিন্ধু নদের পাড়ে গড়ে ওঠা প্রাচীন সভ্যতাকে আর্যরা "হিন্দু" বলে চিহ্নিত করেছিলেন, আর্যগণ "দন্তস্য" উচ্চারণ করতে পারেতেন না বলে "স" বদলে "হ" উচ্চারণ করতেন।
বিপ্লববাবু, আর্যদের ভারতীয় শাখা স কে স বলত, ইরানীয় শাখা স কে হ। ইরানীয় শাখাতেই নামটি হিন্দু বা হিন্দ হয়ে যায়, সেখান থেকে গ্ৰীক ভাষায় ইন্ডিয়া হয়
সুন্দর লেখা, প্রয়োজনীয় লেখা
সুদীপ্ত,
আচ্ছা। চলুক
"ভোলগা থেকে গংগা" এই বইটি আমার কাছে আছে।
সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসেও হিন্দ শব্দ আছে। ভারতে ইসলাম ধর্মের প্রসার বিষয়ে এ হাদিস পাওয়া যায়। হিন্দ শব্দ দিয়ে হিন্দুস্তান বা ভারতবর্ষ বুঝানো হয়েছে।
্সাভারকরও তাঁর "হিন্দুত্ব" বইয়ে পারসিক ইরাণীয়দের স কে হ উচ্চারণ এবং সপ্তসিন্ধুকে হপ্তহিন্দু এই উদাহরণ দিয়েছেন। অবশ্য তাতে এটাই প্রমাণিত হয় --সুদীপ্ত পাল যেমন বলেছেন-- হিন্দু অভিধাটি প্রতিবেশীদের দেওয়া। ভারতের অধিবাসীরা কখনই নিজেদের ,বৈদিক বা প্রাক বৈদিক যুগে , হিন্দু বলত না ।
হিন্দ শব্দের তথ্যসূত্র ঃঃ
http://ihadis.com/books/nasayi/hadis/3175
এছাড়া গুগুলে 'গাজওয়াতুল হিন্দ' লিখে সার্চ করে দেখতে পারেন। অনেক ধন্যবাদ।
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমার উম্মতের দুটি দল, আল্লাহ্ তা‘আলা তাদেরকে জাহান্নাম হতে পরিত্রাণ দান করবেন। একদল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে, আর একদল যারা ঈসা ইব্ন মারিয়াম (আঃ)-এর সঙ্গে থাকবে।
লেখার মধ্যে বলা হল, বিভিন্ন জাতির সৈনিকদের নাম লেখা ছিল। সেখানে হিদস জাতির নাম ছিল। প্রশ্ন হল, কেউ যদি কোন স্থান ঘুরে কিছু লেখে তবে সেখানকার মানুষের কাছ থেকে জেনেই তবে লেখে। তার ইচ্ছে মত লেখে না। ফলে ওই নামটা এখানকার মানুষেরই দেওয়া। যদি না হয়, তবে শুধু হিদস নামটা ওরা দিল কিন্তু অন্য জাতির নামগুলো সে দিল না। এ কেমন যুক্তি? আবার, ভাষ্যমতে তারা স. উচ্চারণ করতে পারা সত্তেও ভারতের ক্ষেত্রে স টা হ হয়ে গেল। যুক্তি বড় অদ্ভুত! সেখানে পারসিক পারহিক এবং পারস্য পারহ্য হওয়ার কথা। সেটা তাদের কোন লেখায় কি পাওয়া গেছে? যদি না যায় তো এ ধরনের অপযুক্তি না দেখানোই ভাল। এছাড়া হিন্দুকুশ পর্বত আর হিন্দুমহাসাগরের (ভারত মহাসাগর) নাম কি ওদের দেওয়?
সুন্দর গবেষণা। একটা আলাদা কিন্তু প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন হলো যে বাইরের দেওয়া নামকরণ, যার উদ্দেশ্যটা শুধু ভৌগলিক নামকরণ, সেটা কি করে একটা পরিচিতি বানিয়ে ফেলা হলো? অর্থাত হিন্দু শব্দটার ব্যুতপত্তিগত আলোচনাও যেমন করা যায়, হিন্দু পরিচিতিটার সৃষ্টির ইতিহাসও আলোচনা করা যায়। নিঃসন্দেহে অনেক রাজনীতি জড়িয়ে আছে।