"বিলেতের ইম্পিরিয়াল কলেজের রিপোর্ট বলছে - না, ওঁরা ঠিক পাড়ার চায়ের দোকানের বিশুদা নন, এধরণের কাজে ওনাদের নামডাক আছে - তাঁদের রিপোর্ট বলছে, করোনা অবাধে ছড়িয়ে পড়তে দিলে মারা যেতে পারেন বাংলাদেশের জনসংখ্যার শূন্য দশমিক চার শতাংশ মানুষ, কিন্তু আফ্রিকার গরীব দেশে সেই সংখ্যাটা শূন্য দশমিক দুই শতাংশ - আর মার্কিন দেশে মারা যেতে পারেন জনসংখ্যার শূন্য দশমিক আট শতাংশ। "
এই রিপোর্ট ভারতের কথা কী বলছে? আর এটা কি জনঘনত্ব, জনসংখ্যা মাথায় রেখে? ভারতের মত সুবিপুল জনসংখ্যার ক্ষেত্রে. ০.৮% নাহয়ে ০.৪ % হলেও আবসলিউট সংখ্যায় অন্য বহু দেশের থেকেই সেটা বিশাল বেশি হতে পারে!! এটা তো লেখাতেই নেইই!
এছাড়াও ভারতে ইয়ং পপুলেশন যেমন বেশি, এই ডেমোগ্রাফিক সুবিধা নাকচ হয়ে যেতে পারে, ভারতে বয়স্ক লোকজনের অনেক বেশি একসংগে থাকার সুবাদে। বাচ্চাদের সংগে দাদুদিদাদের অনেক বেশি মিক্সিং বাবদে। মাবাবার সংগেও। ঘরের জায়গা অনেক অনেক ছোট হওয়ার কারণে। তা এই ফ্যাকটরগুলো ইম্পিরিয়াল কাজ মডেল করার সময় কনপ্সিডার করেছেন কি?
ভারী চমৎকার বিশ্লেষণ।
প্রচুর পরিশ্রম করেছো বোঝাই যাচ্ছে ।
আমার মনে হয়, রাজ্যসরকার এইদিকটা নজর করছে। কিন্তু মিডিয়াতে কিছু ডাক্তার লকডাউনের শিথিলতা নিয়ে চেঁচামেচি জুড়ে দিয়েছে গেল গেল রবে।
একটা বিষয়ে দ্বিমত পোষন করছি। যদি লকডাউন না করে, অবাধ সংক্রমনের পথ প্রশস্ত করা হতো, তার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া কি খুব আলাদা হত? সংক্রমন আর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে দেখলে লোকে কি স্বেচ্ছায় লকডাউনে চলে যেত না? মুম্বাইয়ে বা কেরলের কর্মরত শ্রমিক কি স্রেফ বাঁচার তাগিদে নিজের রাজ্যে ফেরার চেষ্টা করতেন না? তাদের সাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়াই বলে দেয় তারা কাজ বাঁচানোর জন্যে ওখানে পড়ে থাকতেন না। ফেরার ট্রেন ধরতেন। মুম্বাইয়ে যেবার প্লেগ হয়েছিল, লোকে ভয়-সন্ত্রস্ত হয়ে শহর ছেড়েছিলেন। সে তো অনেকদিন আগের কথা তখন এসব লকডাউনের চল ছিল না। সংক্রমন আর মৃত্যুর কথা একবার চাউর হলে আপনার ইম্পিরিয়াল কলেজের হিসাবের কথা খুব কম লোকই কানে তুলতো। সুতরাং লকডাউন না হলেও অর্থনৈতিক সংকোচন কিছু কম হতো না।
আপনার এই তত্ত্ব এই একটিও কথা ভেবেছে? না ভেবে যদি এসব 'মনে হওয়া' হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন, তো তাহলে খুবই বিপজ্জনক হতে পারে মানুষজনের জন্য। তাঁরা এই লেখা পড়ে ফিজিকাল ডিস্ট্যান্সিং না মানলে ( যদিও ডিস্ট্যান্সিং ও কেন মানতে বারণ করছেন, বোঝা যায়নি, সেই প্রবণতা ছড়িয়ে গেলে, আর তার ফলে একটা বিশাল সংখ্যার মানুষ অসুস্থ ও মৃত হলে তার দায় আপনি নেবেন তো? অসুস্থতা এবং মৃত্যুও যে ইকনমিক আক্টিভিটি খুবই শ্লথ করে, সে হিসেব আপনার মডেল করেছে তো?
বরং প্রশ্ন করতে পারতেন, লকডাউন ওঠানোর পরে কি হতে পারে, তাকে কিকরে সামলানো যাবে। লকডাউন পিরিয়ডে যা সময় পাওয়া গেল তাতে কি সেই প্রস্তুতি নেওয়া হল? দুমদাম লকডাউন ঘোষণার জেরে যে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে প্যানিক ভিড় হল, তার ফলে কতটা ক্ষতি হল? এর জেরে বাকি সমস্ত চিকিতসা ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ পড়ে রইল, তার জন্য কত ক্ষতি হল? কিন্তু সেসব কিছুই ঠিকভাবে করা যেত, প্ল্যান থাকলে। প্ল্যান মাফিক ডিস্ট্যান্সিং করালে। সব ব্যবস্থা নিয়ে যেখানে প্রয়োজন লকডাউন করালে। লকডাউন করলেই এত মানুষের এরকম না খেতে পাওয়ার অবস্থা হওয়ার কথা নয় তো, সেটা লকডাউন ইম্পলিমেন্টেশনের একেবারে ফেলিওর, প্রশ্নটা সেই নিয়ে করুন না, ঠিক করে করা যেতনা কিনা? সব দেশে লকডাউনের কারণে এত লোকে মরছে নাকি? কেরালা তামিলনাড়ুও দেখিয়ে দিল না, মানুষকে অভুক্ত না রেখেও লকডাউন করা যায় কিনা?
"With that caveat, let’s consider why the death rate may be lower in India. Initial data from China suggested that the mortality rate from Covid-19 infection is much higher among the elderly: it is 14.8% for those above 80, but just 0.2% for individuals below 39. In India, only 0.8% of the population is above 80 and nearly 75% are below the age of 40. An offsetting factor, however, is the poor health of even younger Indians. The fatality rate rises by roughly 30% if a person has cardiovascular disease, diabetes, chronic respiratory disease, or hypertension. India has roughly double the rate of heart disease as Italy, and among the highest prevalence of respiratory diseases in the world. In addition, India is home to one in six people with diabetes.
Another complicating factor is that India is home to many multi-generational, joint families. This structure places elderly Indians at considerable risk from catching diseases from younger family members, especially asymptomatic ones."
একটা কথা ঠিকই - লকডাউন না হলেও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হত - মহামারীতে হয়ই। কিন্তু, দিনমজুরি করেন যাঁরা, তাঁদের উপার্জনের পথ, হয়ত, এমন করে বন্ধ হয়ে যেত না। কিছুটা সুযোগ থাকত - উপায় থাকত।
দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের জনঘনত্ব এদেশের চাইতে কম নয় - সেই সব হিসেব এবং পরিকাঠামোর কথা মাথায় রেখেই হিসেবটা কষা হয়েছিল।
একদেশের ভাইরাসের সংক্রমণক্ষমতা এবং অসুখের প্রকৃতির গ্রাফ দেখে সেটাই আমাদের ভবিতব্য মেনে আতঙ্কে ভুগবো? হোস্ট বা এনভায়রনমেন্টের কথাটা মাথায় রাখার দরকারই নেই??
তৃতীয়ত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একবারও বলেনি - লকডাউনই একমাত্র পথ - সেই অর্থে রেকমেন্ডও করেনি। ব্যাপারটা প্রায় গোয়েবলসএর পলিসির লেভেলে পৌঁছে গেছে - শুনতে শুনতে মাথায় গেঁথে গেছে - সবাই সব্বাই বলছে...
https://www.globalresearch.ca/12-experts-questioning-coronavirus-panic/5707532/amp
https://ratical.org/PerspectivesOnPandemic-II.html
পড়ে দেখতে পারেন - এবং এঁরা কেউই হেঁজিপেঁজি নন।
কিন্তু, লকডাউন ভালো নাকি খারাপ - সে নিয়ে আলোচনা করা নিরর্থক। আমরা অলরেডি চতুর্থ সপ্তাহে। কিন্তু, লকডাউন একটা প্যাকেজ - তার বাকি দুটো প্যাকেজ মিসিংং - সুবিধের হোক না না হোক, আমরা প্যাকেজটা নিয়েছি। প্যাকেজটা যে অকাজের নয় - তার প্রমাণ কেরালা। বাকি সর্বত্র তো লকডাউন বাদ দিয়ে বাকি কথা হচ্ছেই না। এই রাজ্যে টেস্টিং পরিস্থিতি বাড়াবাড়ি খারাপ, সে নিয়ে সংশয় নেই - কিন্তু সারা দেশে টেস্ট কতটুকু?
লকডাউন কার্যকরী করার জন্যে যে আনুষঙ্গিক আর্থিক সহায়তা - তার উদ্যোগই বা কতটুকু?
সেসব ইস্যু নিয়ে কথাবার্তা শুরু না হলে, লকডাউনের যেটুকু সুবিধে, সেটুকুও পাওয়া যাবে না।
লেখাটা পড়লাম, করোনা মহামারী নিয়ে নানান তথ্য সম্বলিত লেখা পড়েছি , বিষাণ বসুর এই লেখাটির আলাদা একটা পরিপ্রেক্ষিত আছে । তবে মনে হয় আমাদের অবস্থা শাাঁখের কড়াতের মত ।
এককথায় অসাধারণ।প্রচুর গবেষণাসমৃদ্ধ লেখা। ভালো লেখা প্রশাসনের উচিত এই বিষয়গুলো নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করা।
কেরালা পেরেছে সব শর্ত মেনে লকডাউন কার্যকরী করতে। এরজন্যই ওরা করোণা মোকাবিলায় যথেষ্টই সফল। ধন্যবাদ বিষাণ।
হু বোধহয় জানেন না, দুনিয়ায় কিছু কিছু হোমলেস লোকজন রয়েছেন। তাঁদের স্টে অ্যাট হোম বললে আচমকা হোম-টি কোত্থেকে গজিয়ে উঠবে, বলা মুশকিল।
হু-এর অ্যাডভাইজারের মত যে সরকারিভাবে হু-এর মত নাও হতে পারে - এটা জেনে ওঠা একটু মুশকিল সম্ভবত।
হু সরকারিভাবে লকডাউন রেকমেন্ড করেছেন, এটা একটু খুঁজে দিলে ভালো হতো।
ইন্ডিয়ায় না হয় বয়স্ক লোকেরা আলাদা থাকেন না - সব্বাই নিশ্চয়ই নিজের নিজের ঘরে ফিজিকাল ডিস্টান্সিং-এর নিয়ম-টিয়ম মেনে থাকেন - তাই না?? ইম্পিরিয়াল কলেজের হিসেবে সরাসরি ভারতের কথা না থাকলেও ওভারক্রাউডেড বাংলাদেশের কথা রাখা হয়েছে। সময়-সুযোগ পেলে ওটা একবার দেখে নিতে পারেন।
১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বরে সুরাটের নিউমনিক প্লেগের কথা মনে আছে নিশ্চয়। সারা ভারত মিলে (বেশিটাই গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে) আক্রন্ত হয়েছিল সাড়ে বারোশোর কাছাকাছি আর মৃত্যু হয়েছিল মাত্র ৫২ জনের(এরমধ্যে সুরাটেই ৪৯ জন)। সেসময় সুরাটের জনসংখ্যা ছিল ১৪ লক্ষের মত, যার ৪০% ই ছিল পরিযায়ী শ্রমিক। এই শ্রমিকদের ৮০% ছিল বস্তিবাসী। প্লেগের প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে ২ লাখ লোক সুরাট ছেড়ে নিজ নিজ ভূমে চলে গিয়েছিলেন শুধুমাত্র রোগের হাত থেকে বাঁচার তাগিদে। বলা বাহুল্য এদের বেশিরভাগই ছিলেন ঐ পরিযায়ী শ্রমিকদের দল। শুধু তাই নয়, প্লেগের ভয়ে সুরাটের ৭৬% জেনারেল প্র্যাকটিশনারও শহর ছেড়ে পালিয়েছিলেন। বোঝা যাচ্ছে যে মহামারী বা অতিমারী শুরু হলে রুজি-রুটি হারিয়েও প্রাণভয়ে নিজের রাজ্যে ফিরে যাওয়াটা মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি (বিশেষতঃ যাদের নিজ রাজ্য বা দেশ ছেড়ে জীবিকার্জনের জন্য পরভূমে থাকতে হয়), সে লকডাউন থাকুক বা নাই থাকুক।
লকডাউন না থাকলে বা না মানলে বস্তি বা ঝুপড়িতে থাকা এই প্রান্তিক মানুষজনের পরিবারগুলোর মধ্য রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও বেশি।
আমাদের মত আর্থসামাজিক কাঠামোর দেশে যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে, মহামারী বা অতিমারীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন সমাজের প্রান্তিকেরাই। তাদের রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে আসে। রাষ্ট্র তাদের কথা ভাবে না। কিন্তু সচেতন নাগরিক হিসাবে আমাদের কাজ হল এদের ভাল-মন্দের কথা ভাবতে রাষ্ট্রের উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে যাওয়া এবং সাধ্যমত এদের পাশে দাঁড়ানো।
শেখরদা, সুরাতের উদাহরণটা এক্ষেত্রে ঠিক প্রযোজ্য কি?
সুরাত থেকে যাঁরা পালিয়ে আসছিলেন, তাঁদের ভরসা ছিল, আগে তো প্রাণে বাঁচি - গ্রামে ফিরে যে করে হোক খেটে সংসার চালিয়ে নেব।
আর এখন যাঁরা ফিরতে চাইছেন, তাঁরা জানেন, গ্রামে ফিরেও রোজগারের সব পথ বন্ধ - কিন্তু, গ্রামে গেলে পড়শি হয়ত দুমুঠো চাল দেবে, যেটা শহরে কেউ দিচ্ছে না। আশা বলতে এটুকুই।
সুরাতের উদাহরণ গ্রাহ্য হলে এই দফায় লকডাউন না মেনে রেশনের দোকানে বা অনুদান সংগ্রহে লম্বা লাইন হতে পারত কি?
Please cheque out data about spanish flue in first world war period and no of Indian people died at that time....
@প্রলয়,স্প্যানিশ ফ্লু তে,দেড় কোটি মতন ইন্ডিয়ান মারা গিয়েছিল।
কিন্তু এই পরিসংখ্যান দিয়ে কি হবে?
স্প্যানিশ ফ্লু আর কোভিড এক জিনিষ নয়।গত চার মাসে কোভিড 1 লাখ 25 হাজার মতন মৃত্যুর কারণ হয়েছে। অনুমান,খুব বেশি হলে লাখ তিনেক ছাড়াবে না।
স্প্যানিশ ফ্লু এর ফ্যাটালিটি 6 পার্সেন্ট মতন।যেখানে কোভিড এর 1 শতাংশ বা তার ও কম।
এখন চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক উন্নত।
এর আগে দুটো করোনা প্যান্ডেমিক সার্স ও মার্স কয়েক হাজার এর বেশি প্রাণহানি ঘটায় নি।
এখনো পর্যন্ত,আফ্রিকার বহু দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একশো র কম।নেপাল, ভিয়েত নাম এ নাম মাত্র আক্রান্ত হয়েছে।এসব দেশ গুলোয় খুব কড়া কড়ি করে লক ডাউন হয়েছে শুনিনি।বিদেশি পর্যটক ও প্রচুর আসা যাওয়া করে।এরাও চীনের প্রতিবেশী দেশ বলা চলে।
তাইওয়ান ও হংকং এও তেমন রোগ ছড়ায় নি। কেন??এই উত্তর গুলো তো আগে জানতে হবে।
How much HCQ IS SUCCESSFUL IN TREATING CORONA VIRUS. EVEDY COUNTRY IS ASKING FOR THIS MEDICINE. WHY