এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • করোনা-নীতি বিষয়ে একটি প্রশ্নোত্তর

    বিষাণ বসু লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৭ এপ্রিল ২০২০ | ৬৩৩১ বার পঠিত
  • লকডাউন না হলে কী হত?

    লকডাউন না হলে? কী আবার!! অ্যাদ্দিনে দেশের সব্বার করোনা হয়ে যেত।

    তাই নাকি?

    অবশ্যই। এক্সপোনেনশিয়াল স্প্রেড অফ ডিজিজ জানেন না? কেমন করে একজন থেকে দু-তিনজন, সেই দু-তিনজনের প্রতি একেকজন থেকে আরো দু-তিনজন… আরো আরও… দেশের সব্বার হতে ওই কয়েক সপ্তাহ…

    হুমমমমম… আসলে এর আগে যখন নতুন ছোঁয়াচে অসুখ সমাজে এসেছে, ভাইরাসগুলো এই এক্সপোনেনশিয়াল গ্রোথের নিয়ম জানত না বোধহয় - কোনো দেশেই ১০০% মানুষের অসুখ হয়ে গ্যাছে, এমন হয়নি - তাই ভাবছিলাম…. কিন্তু, সে কথা থাক - আপাতত আপনার কথা মেনে নিলাম। অনেক অনেক লোকের করোনা হলে কী হত?

    এ আবার জিজ্ঞেস করার কী আছে!! লাখ লাখ কোটি কোটি মানুষ মারা যেতেন।

    কে বলেছে?

    সবাই।

    সবাই মানে কারা? তাঁরা কীসের উপর ভিত্তি করে বলেছেন? কোথা থেকে এই হিসেব পাওয়া গেল?

    কেন? টিভি দ্যাখেন না? গ্রাফ দেখেননি? ওঠা-নামা ফার্স্ট পিক, সেকেন্ড পিক, থার্ড পিক - কার্ভ ফ্ল্যাট করা…

    হ্যাঁ, সে তো দেখেছি। কিন্তু, এই কার্ভগুলো কোথা থেকে এলো? মানে, এগুলো তো স্ট্যাটিস্টিকাল মডেল - তার পিছনে তথ্য বা ডেটা কোথা থেকে এলো?

    হুমমমমম….

    না, আমি কিন্তু বলতে চাইছি না, যে, বিশেষজ্ঞরা একেকজন বুরবক - ফালতু বকছেন - এসব কার্ভ একেবারে মনগড়া।

    তাহলে কী বলতে চাইছেন?

    বলতে চাইছি, এই কার্ভ এবং তার থেকে পাওয়া মৃত্যুর প্রোজেকশন এবং সেই প্রোজেকশন থেকে লকডাউনের উপকারিতা বিষয়ে উপনীত হওয়া সিদ্ধান্ত - এর গোড়ায় একটা বড়সড় গলদ আছে। এসব তথ্য প্রথম বিশ্ব থেকে আহৃত - গ্রাফও অতএব প্রথম বিশ্বের দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য - আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এই গ্রাফ এবং সে থেকে গৃহীত সিদ্ধান্ত ভুল হওয়ার সম্ভাবনা। এপিডেমিওলজির খবর যদি রাখেন, তাহলে জানবেন, সেখানে এপিডেমিওলজিকাল ট্রায়াড বলে একটা ব্যাপার আছে - ত্রিভুজের তিনটি বাহু - অসুখের জীবাণু (এজেন্ট), সংক্রমণ যাঁর হচ্ছে তিনি বা তাঁরা (হোস্ট) এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশ (ইনভায়রনমেন্ট) - সব কথা শুধু করোনাভাইরাস অর্থাৎ এজেন্ট নিয়েই হচ্ছে - বাকিদুটো ভুলে গেলে চলবে!!!!

    হুমমমমমম….

    লকডাউন এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় না রাখলে প্রথম বিশ্বের দেশগুলোতে কয়েক মিলিয়ন মানুষ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা। সেদেশে লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সংশয় নেই। কিন্তু, সবদিক বিচার করে লকডাউন কার্যকরী করার পর কত প্রাণ বাঁচল - সে হিসেবও এক দেশ থেকে আরেক দেশে আলাদা। যেমন ধরুন, হিসেব কষে দেখা গেছে, একইরকম কার্যকরী লকডাউন হলে, কোভিডে মৃত্যুর হাত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাঁচানো যাবে তের লক্ষ মানুষের প্রাণ, জার্মানিতে সোয়া চার লাখ - কিন্তু, নাইজেরিয়াতে এক লাখ। আরেকদিকে, লকডাউনের কড়াকড়িতে কাজ হারিয়ে, না খেতে পেয়ে নাইজেরিয়াতে ঢের বেশী সংখ্যক লোক মারা যেতে পারে আমেরিকা বা জার্মানির তুলনায়। এই ভারসাম্যের হিসেবটা জরুরী - লকডাউন করে কতজনকে বাঁচাচ্ছি বনাম লকডাউনের চোটে কজন মারা যেতে পারেন (স্বল্পমেয়াদে এবং দীর্ঘমেয়াদে)। গরীব দেশে লকডাউন না করে বাঁচানো যাবে না, এমন মানুষের সংখ্যা কম - কিন্তু লকডাউন হলে অন্য কারণে (মূলত আর্থিক) মারা যাবেন এমন মানুষের সংখ্যা বেশী - এরকম হলে কিন্তু মুশকিল - তাই না??

    ওরকম ভুলভাল হিসেবের মানেই হয় না - এগুলো স্রেফ কিছু তথ্য থেকে প্রোজেকশন - পুরোটাই অনুমান।

    ঠিকই। কিন্তু, লকডাউনের পেছনেও তো রয়েছে সেই তথ্যভিত্তিক অনুমানই - তাই না। স্ট্যাটিস্টিকাল মডেলের হাজারো গলতি থাকে - টিভিতে যাঁরা দোকান খুলে লকডাউন বিক্রি করছেন, তাঁদের মডেলে আস্থা রাখলে এই হিসেবটাও উড়িয়ে দেবেন না, প্লীজ।

    বেশ। শুনছি। তা এই হিসেবপত্রের পিছনে যুক্তি কী? লকডাউন করলে প্রাণে বেঁচে যাবেন, এমন মানুষের সংখ্যা গরীব দেশে কম!!!! এদেশে অসুখ হলেও লোক মরবে না? গরীব দেশে লোকের কইমাছের জান - এই বলবেন তো??

    না না, আরেকটু শুনুনই না। বিলেতের ইম্পিরিয়াল কলেজের রিপোর্ট বলছে - না, ওঁরা ঠিক পাড়ার চায়ের দোকানের বিশুদা নন, এধরণের কাজে ওনাদের নামডাক আছে - তাঁদের রিপোর্ট বলছে, করোনা অবাধে ছড়িয়ে পড়তে দিলে মারা যেতে পারেন বাংলাদেশের জনসংখ্যার শূন্য দশমিক চার শতাংশ মানুষ, কিন্তু আফ্রিকার গরীব দেশে সেই সংখ্যাটা শূন্য দশমিক দুই শতাংশ - আর মার্কিন দেশে মারা যেতে পারেন জনসংখ্যার শূন্য দশমিক আট শতাংশ। হ্যাঁ, এই হিসেব গরীব দেশের বেহাল স্বাস্থ্যব্যবস্থার কথা মাথায় রেখেই কষা হয়েছে - হেলথ ফেসিলিটি সমান হলে গরীব দেশে মৃত্যুর সংখ্যাটা দাঁড়াত আরো অনেক অনেএএক কম।

    কিন্তু, কেন?

    আপনি নিশ্চয়ই জানেন, করোনায় মারা যাচ্ছেন মূলত বয়স্ক মানুষেরা - যে যে জায়গায় মৃত্যুহার সর্বাধিক, সেখানেও অল্পবয়সীদের মধ্যে মৃত্যু বেশ কম - কিন্তু, ষাটোর্ধ্বদের মধ্যে মৃত্যুহার সাড়ে ছয় শতাংশ, আশীর উপরে প্রায় সাড়ে তেরো শতাংশ। আবার বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, যেসব দেশের মাথাপিছু গড় বার্ষিক আয় হাজার ডলারের নীচে, তাদের জনসংখ্যায় সিনিয়র সিটিজেনের (পঁয়ষট্টি বা তদুর্ধ্ব) অনুপাত গড়ে তিন শতাংশ - প্রথম বিশ্বের দেশগুলিতে গড়ে সাড়ে সতেরো শতাংশ। (আমাদের দেশে মোটামুটি ছয় শতাংশের আশেপাশে)। কাজেই, অসুখ লাগামহীন ছড়াতে থাকলেও, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে মৃত্যুহার প্রথম বিশ্বের দেশের মাপে পৌঁছাবে না - এমনকি, বেহাল স্বাস্থ্যব্যবস্থা সত্ত্বেও। সুতরাং, প্রথম বিশ্বের দেশের গ্রাফ আর কার্ভ নিয়ে লাফালাফি করে প্যানিক ছড়ানোটা খুব একটা কাজের কথা নয়। না, করোনার বিপদকে লঘু করে দেখানোর প্রশ্নই ওঠে না, কিন্তু প্যানিক বা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী করাটাও ভুল - তাই না?

    তাহলে বলছেন, লকডাউন ব্যাপারটাই ভুল?

    না না, এখুনি অতো ব্যস্ত হবেন না। আরেকটু শুনুন। যেকোনো ওষুধের সাইড-এফেক্ট থাকে - অসুখের ভয়াবহতা, ওষুধের কার্যকারিতা, আর সাইড-এফেক্টের সম্ভাবনা এবং তজ্জনিত ঝুঁকি - সবদিক বিচার করে ঠিক করা হয়, ওষুধটা দেওয়া হবে কি হবে না। লকডাউনকে যদি ওষুধ ভাবি, তাহলে আমরা দেখলাম -

    ১.অসুখটি প্রথম বিশ্বে যতখানি বিপজ্জনক, এদেশে সে তুলনায় কম। কিন্তু, এও মাথাহ রাখা যাক, জনসংখ্যা হিসেব করলে, ইম্পিরিয়াল কলেজের অনুমান ধরে এগোলে, অসুখ অবাধে ছড়ালে, আমাদের দেশে শূন্য দশমিক চার শতাংশ মানুষ মারা যাওয়ার অর্থ - পঞ্চাশ লক্ষ মানুষের মৃত্যু। আমেরিকার জনসংখ্যার শূন্য দশমিক আট শতাংশ মারা গেলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াবে পঁচিশ লক্ষ - আমাদের অর্ধেক।

    ২. প্রথম বিশ্বের দেশের তুলনায়, এদেশে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করা মানুষের সংখ্যা বেশী - লকডাউনে রুটিরুজি হারিয়ে এঁদের পথে বসার সম্ভাবনা বেশী - দেশের জনসংখ্যার এক বিপুল অংশ অনাহারের মুখে পড়ার সম্ভাবনা বেশী। দ্বিতীয়ত, প্রথম বিশ্বের তুলনায় আমাদের দেশে, জনসংখ্যার এক বিপুল অংশ সরকারি খাতার বাইরে রয়ে যান - যাঁরা ফুটপাথে রাত্তির কাটান, এদিক-ওদিক খাবারের সন্ধানে থাকেন - অতএব, ঠিক কত কোটি মানুষ বিপদে পড়বেন, তার আন্দাজও সরকারের হাতে পুরোপুরি নেই - এঁদের কাছে সংগঠিতভাবে ত্রাণ পৌঁছানোর সম্ভাবনাও কম। তৃতীয়ত, লকডাউনের কড়াকড়ির উল্টোপিঠে আমাদের সরকারবাহাদুর অর্থবরাদ্দের ব্যাপারে ভয়ানক কৃপণ - লকডাউনের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তায় জার্মানির বরাদ্দ জিডিপির তিরিশ শতাংশ, আমাদের সেটা জিডিপির শূন্য দশমিক আট শতাংশ। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে - লকডাউনের কড়াকড়ির ব্যাপারে আমাদের দেশ বিশ্বের প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে থাকলেও, লকডাউন মোকাবিলায় আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে আমরা সবচেয়ে নীচের কয়েকটি দেশের মধ্যে। এই দুই এক্সট্রিমের মিলন যাকে বলে ডেডলি কম্বো - অন্তত, গরীব মানুষের পক্ষে। অর্থাৎ, লকডাউনকে যদি ওষুধ মনে করেন - সে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনিবার্যভাবেই আমাদের দেশে প্রচুর বেশী।

    ৩. অসংগঠিত ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করেন, লকডাউনের অর্থ একেবারে সরাসরিই তাঁদের উপার্জনের পথ বন্ধ করে দেওয়া। এবং যেহেতু এঁরা প্রায়শই দিন-আনি-দিন-খাই শ্রেণীভুক্ত, ছয় সপ্তাহের লকডাউনের অর্থ নিশ্চিত অনাহার। আর যেকোনো মানুষ, স্বাভাবিকভাবেই, দূরের অনিশ্চিত অসুখের সম্ভাবনার চাইতে সেই মুহূর্তের খিদেটাকে বেশী গুরুত্ব দেন - লকডাউনের নিয়ম মেনে চলাটা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয় না - রাষ্ট্র হাজার নজরদারি করতে চাইলেও না। বাংলায় কথা আছে না - ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই!! অতএব, লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর করার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা অনিবার্য - এবং, লকডাউনের কার্যকারিতা যেটুকুনি হতে পারত, আমাদের মতো দেশে, বাস্তবে, সেটুকুও হয় না।

    অতএব, দেখা গেল - প্রথম বিশ্বের তুলনায় অসুখটার বিপদ বা ভয়াবহতা এদেশে কম (তর্কযোগ্য অবশ্যই) - লকডাউনকে ওষুধ ভাবলে এ অসুখে এই ওষুধ আমাদের দেশের আন্দাজে তেমন কার্যকরী না হওয়ার সম্ভাবনা - এবং ওষুধের সাইড-এফেক্ট অত্যন্ত বেশী।

    আরে, বলতে চাইছেন কী এক্স্যাক্টলি? লকডাউনটা ভুল - এই তো??

    এককথায় ঠিক নাকি ভুল - বলা মুশকিল। কিন্তু, তার চেয়েও বড় কথা - বলে আর লাভ নেই। আমরা তো লকডাউনের চতুর্থ সপ্তাহে আছি। লকডাউনই বলুন বা সোশ্যাল ডিস্টান্সিং - তার আর্থিক প্রভাব গভীর। শুধু গরীব লোকই না - আঁচ পড়বে আমার বা আপনার উপরেও - কিন্তু, অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষেরা যেমন ঘোর বিপদে, নিশ্চিহ্ন হওয়ার মুখে, আপনি বা আমি ততোখানি নই। লকডাউন ঠিক হয়েছিল, নাকি ভুল - এ নিয়ে আলোচনা করার সময় অনেক পাওয়া যাবে - স্রেফ লকডাউন করে করোনার থাবা থেকে কত লক্ষ বা কত কোটি মানুষকে বাঁচিয়ে দেওয়া গেল, সে নিয়েও হাওয়া গরম করার সময় পরে মিলবে - আপাতত এটুকু নিশ্চিত করা যাক, যাতে লকডাউনের কারণে অনাহারে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘায়িত না হতে পারে।

    হুমমমমমমম…

    দ্বিতীয়ত, কড়া দাওয়াই প্রয়োগ করা হল - বেশ কথা। এদেশ যদি করোনার প্রকোপ থেকে বেঁচে যায় - যাবে, সম্ভবত - তার পেছনে বাকি সব ছেড়ে লকডাউনের কৃতিত্বের ভাগ নেওয়ার জন্যে লাইন পড়ে যাবে, সেটুকু নিশ্চিত। কিন্তু, লকডাউন যাবতীয় প্রচারের আলো টেনে নিচ্ছে এখনই - আপনি অলরেডি ভুলেই গিয়েছেন লকডাউন আদতে একটা বড় প্যাকেজের অংশ মাত্র - লকডাউন আর টেস্ট আর আইসোলেশন - থ্রী মাস্কেটিয়ার্সের একজনকে নিয়ে এত হইচইয়ের কারণ, ওই একটিই উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া সম্ভব - বাকি দুটোর জন্যে সাংগঠনিক দক্ষতা ও পরিকাঠামো জরুরী। অথচ, তিনটে না হলে কোনো কাজই হবে না।

    অর্থাৎ, আমরা এমন একটা অসুখের জন্যে কড়া দাওয়াইয়ের কথা ভাবলাম, যে অসুখটার বিপদ এদেশে কতোখানি, আমরা ঠিক জানি না - জাস্ট বিলেতের টুকলি বাদ দিয়ে আন্দাজ পাওয়ার চেষ্টাও করিনি।

    সে অসুখের জন্যে এমন ওষুধ ভাবলাম, যে ওষুধের কার্যকারিতা আমাদের দেশে কতখানি, সে নিয়েও তলিয়ে ভাবিনি - ওই ফোরেন মাল টুকলি বাদ দিয়ে।

    ওষুধের সাইড-এফেক্ট বিদেশের তুলনায় এখানে বেশী, সে নিয়েও ভাবিনি - পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রশমনের জন্যে চেষ্টাও করিনি সেভাবে।

    আর সবশেষে, এত কিছুর পরেও, ওষুধটায় যেটুকু কাজ হতে পারত, সে ব্যাপারেও মনোযোগী হই নি - এমনভাবে ওষুধ প্রয়োগ করলাম, কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহের হাজারগণ্ডা সুযোগ থাকলেও - পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সন্দেহের অবকাশই নেই।

    আশ্চর্য!!! তাই না??

    তাহলে??

    হুমমমমমমম….

    ঋণস্বীকার -

    ১.https://foreignpolicy.com/2020/04/10/poor-countries-social-distancing-coronavirus/

    ২.https://www.economist.com/finance-and-economics/2020/04/03/emerging-market-lockdowns-match-rich-world-ones-the-handouts-do-not
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৭ এপ্রিল ২০২০ | ৬৩৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • রৌহিন | ১৬ এপ্রিল ২০২০ ২৩:৪৫92383
  • এই কথাগুলো সাহস করে বলে উঠতে পারিনা
  • ? | 162.158.***.*** | ১৬ এপ্রিল ২০২০ ২৩:৫৫92384
  •  "বিলেতের ইম্পিরিয়াল কলেজের রিপোর্ট বলছে - না, ওঁরা ঠিক পাড়ার চায়ের দোকানের বিশুদা নন, এধরণের কাজে ওনাদের নামডাক আছে - তাঁদের রিপোর্ট বলছে, করোনা অবাধে ছড়িয়ে পড়তে দিলে মারা যেতে পারেন বাংলাদেশের জনসংখ্যার শূন্য দশমিক চার শতাংশ মানুষ, কিন্তু আফ্রিকার গরীব দেশে সেই সংখ্যাটা শূন্য দশমিক দুই শতাংশ - আর মার্কিন দেশে মারা যেতে পারেন জনসংখ্যার শূন্য দশমিক আট শতাংশ। "

    এই রিপোর্ট ভারতের কথা কী বলছে?  আর এটা কি জনঘনত্ব,  জনসংখ্যা মাথায় রেখে?  ভারতের মত সুবিপুল জনসংখ্যার ক্ষেত্রে. ০.৮% নাহয়ে ০.৪ % হলেও আবসলিউট সংখ্যায় অন্য বহু দেশের থেকেই সেটা বিশাল বেশি হতে পারে!!  এটা তো লেখাতেই নেইই! 

    এছাড়াও ভারতে ইয়ং পপুলেশন যেমন বেশি, এই ডেমোগ্রাফিক সুবিধা নাকচ হয়ে যেতে পারে,  ভারতে বয়স্ক লোকজনের অনেক বেশি একসংগে থাকার সুবাদে।  বাচ্চাদের সংগে দাদুদিদাদের অনেক বেশি মিক্সিং বাবদে।  মাবাবার সংগেও। ঘরের জায়গা অনেক অনেক ছোট হওয়ার কারণে। তা এই ফ্যাকটরগুলো ইম্পিরিয়াল কাজ মডেল করার সময় কনপ্সিডার করেছেন কি? 

  • বেলাল হোসেন | 162.158.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০০:২৬92385
  • ভারী চমৎকার বিশ্লেষণ।

    প্রচুর পরিশ্রম করেছো বোঝাই যাচ্ছে ।

    আমার মনে হয়, রাজ্যসরকার এইদিকটা নজর করছে। কিন্তু মিডিয়াতে কিছু ডাক্তার লকডাউনের শিথিলতা নিয়ে চেঁচামেচি জুড়ে দিয়েছে গেল গেল রবে।

  • পারমিতা | 14.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০১:৪৮92388
  • খুব ভালো লেখা।
  • আনন্দময় সিনহা | 108.162.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৪:২০92389
  • একটা বিষয়ে দ্বিমত পোষন করছি। যদি লকডাউন না করে, অবাধ সংক্রমনের পথ প্রশস্ত করা হতো, তার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া কি খুব আলাদা হত? সংক্রমন আর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে দেখলে লোকে কি স্বেচ্ছায় লকডাউনে চলে যেত না? মুম্বাইয়ে বা কেরলের কর্মরত শ্রমিক কি স্রেফ বাঁচার তাগিদে নিজের রাজ্যে ফেরার চেষ্টা করতেন না? তাদের সাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়াই বলে দেয় তারা কাজ বাঁচানোর জন্যে ওখানে পড়ে থাকতেন না। ফেরার ট্রেন ধরতেন। মুম্বাইয়ে যেবার প্লেগ হয়েছিল, লোকে ভয়-সন্ত্রস্ত হয়ে শহর ছেড়েছিলেন। সে তো অনেকদিন আগের কথা তখন এসব লকডাউনের চল ছিল না। সংক্রমন আর মৃত্যুর কথা একবার চাউর হলে আপনার ইম্পিরিয়াল কলেজের হিসাবের কথা খুব কম লোকই কানে তুলতো। সুতরাং লকডাউন না হলেও অর্থনৈতিক সংকোচন কিছু কম হতো না। 

  • S | 108.162.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৪:২৯92390
  • লকডাউনটা দরকার ছিল। মোটামুটি ডাক্তার থেকে হু সবাই প্রেসক্রাইব করেছে। নইলে যে পরিমাণ রোগী বাড়ত, সেটা হাসপাতালগুলোর ক্যাপাসিটির বাইরে। চিকিৎসার কোয়ালিটি আরো খারাপ হত।

    তবে এসব চিন্তা এখন না করে যখন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সরকারি বরাদ্দ প্রয়োজন মতন বাড়ানো হয়্না আর দিদি-মোদি ঘটা করে হাসপাতাল চত্ত্বরে টিভি ক্যামেরা নিয়ে হাজির হয়ে নাটক করে, তখন ভাবা উচিত ছিল।

    আরো আছে। গতবছর যখন গ্রোথের নামে কর্পোরেটদের বিশাল ট্যাক্স কাট দেওয়া হল, তখন সেটার বিরোধীতা করা উচিত ছিল। ঐ টাকা থাকলে আজ দিনমজুরদের মুখে দুটো ভাত তুলে দেওয়া যেত। ট্যাক্স কাটের ফলে খুব গ্রোথ হয়েছে, রিসেন্ট টাইমে এর উদাহরণ বইয়ের বাইরে কোথাও পাওয়া যায় নি।

    তা পলিসি নিয়ে আর কেই বা কোনদিন মাথা ঘামিয়েছে। লকডাউনের বিরোধীতা যদি এই অ্যাজাম্পশান থেকে যে কিচ্ছুটি হবেনা - তাইলে এখানেই ইতি দিলাম।
  • ? | 162.158.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৭:৫২92392
  •  আপনার এই তত্ত্ব এই একটিও কথা ভেবেছে?  না ভেবে যদি এসব 'মনে হওয়া' হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন, তো তাহলে খুবই বিপজ্জনক হতে পারে মানুষজনের জন্য। তাঁরা এই লেখা পড়ে ফিজিকাল ডিস্ট্যান্সিং না মানলে ( যদিও ডিস্ট্যান্সিং ও কেন মানতে বারণ করছেন, বোঝা যায়নি, সেই প্রবণতা ছড়িয়ে গেলে,  আর তার ফলে একটা বিশাল সংখ্যার মানুষ অসুস্থ ও মৃত হলে তার দায় আপনি নেবেন তো?  অসুস্থতা এবং মৃত্যুও যে ইকনমিক আক্টিভিটি খুবই শ্লথ করে, সে হিসেব আপনার মডেল করেছে তো? 

    বরং প্রশ্ন করতে পারতেন, লকডাউন ওঠানোর পরে কি হতে পারে, তাকে কিকরে সামলানো যাবে। লকডাউন পিরিয়ডে যা সময় পাওয়া গেল তাতে কি সেই প্রস্তুতি নেওয়া হল? দুমদাম লকডাউন ঘোষণার জেরে যে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে প্যানিক ভিড় হল, তার ফলে কতটা ক্ষতি হল?  এর জেরে বাকি সমস্ত চিকিতসা ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ পড়ে রইল, তার জন্য কত ক্ষতি হল? কিন্তু সেসব কিছুই ঠিকভাবে করা যেত, প্ল্যান থাকলে। প্ল্যান মাফিক ডিস্ট্যান্সিং করালে। সব ব্যবস্থা নিয়ে যেখানে প্রয়োজন লকডাউন করালে। লকডাউন করলেই এত মানুষের এরকম না খেতে পাওয়ার অবস্থা হওয়ার কথা নয় তো, সেটা লকডাউন ইম্পলিমেন্টেশনের একেবারে ফেলিওর, প্রশ্নটা সেই নিয়ে করুন না, ঠিক করে করা যেতনা কিনা? সব দেশে লকডাউনের কারণে এত লোকে মরছে নাকি?  কেরালা তামিলনাড়ুও দেখিয়ে দিল না, মানুষকে অভুক্ত না রেখেও লকডাউন করা যায় কিনা?    

    "With that caveat, let’s consider why the death rate may be lower in India. Initial data from China suggested that the mortality rate from Covid-19 infection is much higher among the elderly: it is 14.8% for those above 80, but just 0.2% for individuals below 39. In India, only 0.8% of the population is above 80 and nearly 75% are below the age of 40. An offsetting factor, however, is the poor health of even younger Indians. The fatality rate rises by roughly 30% if a person has cardiovascular disease, diabetes, chronic respiratory disease, or hypertension. India has roughly double the rate of heart disease as Italy, and among the highest prevalence of respiratory diseases in the world. In addition, India is home to one in six people with diabetes.

    Another complicating factor is that India is home to many multi-generational, joint families. This structure places elderly Indians at considerable risk from catching diseases from younger family members, especially asymptomatic ones."

  • Bishan Basu | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৮:০২92393
  • একটা কথা ঠিকই - লকডাউন না হলেও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হত - মহামারীতে হয়ই। কিন্তু, দিনমজুরি করেন যাঁরা, তাঁদের উপার্জনের পথ, হয়ত, এমন করে বন্ধ হয়ে যেত না। কিছুটা সুযোগ থাকত - উপায় থাকত।

    দ্বিতীয়ত,  বাংলাদেশের জনঘনত্ব এদেশের চাইতে কম নয় - সেই সব হিসেব এবং পরিকাঠামোর কথা মাথায় রেখেই হিসেবটা কষা হয়েছিল।

    একদেশের ভাইরাসের সংক্রমণক্ষমতা এবং অসুখের প্রকৃতির গ্রাফ দেখে সেটাই আমাদের ভবিতব্য মেনে আতঙ্কে ভুগবো? হোস্ট  বা এনভায়রনমেন্টের কথাটা মাথায় রাখার দরকারই নেই??

     তৃতীয়ত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একবারও বলেনি - লকডাউনই একমাত্র পথ - সেই অর্থে রেকমেন্ডও করেনি। ব্যাপারটা প্রায় গোয়েবলসএর পলিসির লেভেলে পৌঁছে গেছে - শুনতে শুনতে মাথায় গেঁথে গেছে - সবাই সব্বাই বলছে...     

     https://www.globalresearch.ca/12-experts-questioning-coronavirus-panic/5707532/amp

    https://ratical.org/PerspectivesOnPandemic-II.html

    https://www.business-standard.com/article/current-affairs/we-cannot-run-away-to-the-moon-need-to-develop-herd-immunity-dr-muliyil-120040601232_1.html

    পড়ে দেখতে পারেন - এবং এঁরা কেউই হেঁজিপেঁজি নন। 

    কিন্তু, লকডাউন ভালো নাকি খারাপ - সে নিয়ে আলোচনা করা নিরর্থক। আমরা অলরেডি চতুর্থ সপ্তাহে। কিন্তু, লকডাউন একটা প্যাকেজ - তার বাকি দুটো প্যাকেজ মিসিংং - সুবিধের হোক না না হোক, আমরা প্যাকেজটা নিয়েছি। প্যাকেজটা যে অকাজের নয় - তার প্রমাণ কেরালা। বাকি সর্বত্র তো লকডাউন বাদ দিয়ে বাকি কথা হচ্ছেই না। এই রাজ্যে টেস্টিং পরিস্থিতি বাড়াবাড়ি খারাপ, সে নিয়ে সংশয় নেই - কিন্তু সারা দেশে টেস্ট কতটুকু?

    লকডাউন কার্যকরী করার জন্যে যে আনুষঙ্গিক আর্থিক সহায়তা - তার উদ্যোগই বা কতটুকু?

     সেসব ইস্যু নিয়ে কথাবার্তা শুরু না হলে, লকডাউনের যেটুকু সুবিধে, সেটুকুও পাওয়া যাবে না।

  • ? | 172.69.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৮:১০92394
  • আপনিও এটা দেখেছেন আশা করি!
    https://www.cnbc.com/2020/04/03/who-says-more-and-more-young-people-are-dying-from-the-coronavirus.html

    ইয়ং লোকেদের মধ্যে মরবিডিটি, সিভিয়ারিটি, মর্টালিটি?

    আর ইয়ং লোকেরা ইনফেকশন ক্যারি করে আনলে বাড়ির বয়স্কদের কীভাবে বাঁচাতেন? ইন্ডিয়ায় ক'জন বয়স্ক লোক আলাদা থাকেন? তাঁদের জন্য কী প্ল্যান আপনার? একটু পড়ে বুঝিয়ে দিন না, ইমপ্লিরিয়াল কলেজের মডেলে এগুলো কোথায় কীভাবে আকোমোডেট করা হয়েছে? প্লিজ, মডেলটা একটু বুঝিয়ে দেবেন?
  • S | 162.158.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৮:২২92395
  • এইযে হু এর রেকোমেন্ডেশান। একবার গুগল সার্চ করতেই তো পেয়ে গেলাম।

    Bruce Aylward, senior advisor to the WHO Director-General, says governments must keep their populations under lockdown while chasing down every suspect case for testing, and treating and isolating those who test positive.

    https://www.weforum.org/agenda/2020/03/how-to-stop-covid-19-find-test-isolate-treat/
  • সঞ্জয় ব্যানার্জি | 162.158.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৮:৪৫92397
  • লেখাটা পড়লাম, করোনা মহামারী নিয়ে নানান তথ্য সম্বলিত লেখা পড়েছি , বিষাণ বসুর  এই লেখাটির আলাদা একটা পরিপ্রেক্ষিত আছে । তবে মনে হয় আমাদের  অবস্থা শাাঁখের  কড়াতের মত । 

  • ডাঃ গৌতম সরকার | 162.158.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৮:৪৮92398
  • এককথায় অসাধারণ।প্রচুর গবেষণাসমৃদ্ধ লেখা। ভালো লেখা প্রশাসনের উচিত এই বিষয়গুলো নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করা।     

  • S | 162.158.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৮:৫১92399
  • আমেরিকায় লকডাউনের বিরোধীরা।
  • ডাঃ গৌতম সরকার | 162.158.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৯:২২92403
  • কেরালা পেরেছে সব শর্ত মেনে লকডাউন কার্যকরী করতে। এরজন্যই ওরা করোণা মোকাবিলায় যথেষ্টই সফল। ধন্যবাদ বিষাণ।   

  • dc | 108.162.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১০:১১92405
  • তামিল নাড়ুতেও লকডাউন মোটামুটি কার্যকরী হয়েছে। অনেকগুলো টেম্পোরারি শেল্টার খোলা হয়েছে মাইগ্রান্টদের জন্য, আম্মা ক্যান্টিনগুলো থেকেও খুব কম দামে তিন বেলা খাবার দেওয়া হচ্ছে। রেশন ফ্রি, আর মাসে হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। রেশন দোকানগুলোতে অনেক সময়েই লম্বা লাইন পড়ছে, গোল্লা কেটে সেসব সামলানো হচ্ছে। আর দুই পার্টিরই পলিটিশিয়ানরা গরীব ফ্যামিলিদের পনেরশো বা দুহাজার করে দিচ্ছেন (ক্যাশ দেওয়া অবশ্য তামিল নাড়ুর ঐতিহ্য, বন্যার সময়েও দেখেছিলাম, ভোটের আগেও দেওয়া হয়)। এসবের ফলে গত দুতিনদিন নতুন ইনফেকশান কম ধরা পড়ছে (কতোটা জল মেশানো হচ্ছে জানিনা), নতুন মৃত্যুও কম হচ্ছে (মোটামুটি ভেরিফায়েড)।
  • বিষাণ বসু | 172.69.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১১:২৫92406
  • হু বোধহয় জানেন না, দুনিয়ায় কিছু কিছু হোমলেস লোকজন রয়েছেন। তাঁদের স্টে অ্যাট হোম বললে আচমকা হোম-টি কোত্থেকে গজিয়ে উঠবে, বলা মুশকিল।

     হু-এর অ্যাডভাইজারের মত যে সরকারিভাবে হু-এর মত নাও হতে পারে - এটা জেনে ওঠা একটু মুশকিল সম্ভবত।

    হু সরকারিভাবে লকডাউন রেকমেন্ড করেছেন, এটা একটু খুঁজে দিলে ভালো হতো।

    ইন্ডিয়ায় না হয় বয়স্ক লোকেরা আলাদা থাকেন না - সব্বাই নিশ্চয়ই নিজের নিজের ঘরে ফিজিকাল ডিস্টান্সিং-এর নিয়ম-টিয়ম মেনে থাকেন - তাই না?? ইম্পিরিয়াল কলেজের হিসেবে সরাসরি ভারতের কথা না থাকলেও ওভারক্রাউডেড বাংলাদেশের কথা রাখা হয়েছে। সময়-সুযোগ পেলে ওটা একবার দেখে নিতে পারেন।

  • dc | 108.162.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১১:৩৪92409
  • লকডাউন নিয়ে হু এর স্পেশাল এনভয় এর ইন্টারবিউ এখানে আছেঃ

    https://www.indiatoday.in/india/video/decisive-action-has-been-taken-in-line-with-who-recommendations-dr-david-nabarro-on-india-s-lockdown-1660138-2020-03-26

    মোটামুটি যা বলেছেন, তা হলো লকডাউন করে ইন্ডিয়া ঠিক ডিসিশান নিয়েছে, কিন্তু তার সাথে কমিউনিটি পাবলিক হেল্থ সার্ভিস থাকতে হবে, তাতে নাকি ইন্ডিয়ার পারফর্ম্যান্স ভালো।
  • শেখর | 172.69.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১৩:৩৬92411
  • ১৯৯৪ সালের  সেপ্টেম্বরে সুরাটের নিউমনিক প্লেগের কথা মনে আছে নিশ্চয়। সারা ভারত মিলে (বেশিটাই গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে) আক্রন্ত হয়েছিল সাড়ে বারোশোর কাছাকাছি আর মৃত্যু হয়েছিল মাত্র ৫২ জনের(এরমধ্যে  সুরাটেই ৪৯ জন)। সেসময় সুরাটের জনসংখ্যা  ছিল ১৪ লক্ষের মত, যার ৪০% ই ছিল পরিযায়ী শ্রমিক।  এই শ্রমিকদের ৮০% ছিল বস্তিবাসী।  প্লেগের প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে ২ লাখ লোক সুরাট ছেড়ে নিজ নিজ ভূমে চলে গিয়েছিলেন শুধুমাত্র রোগের হাত থেকে বাঁচার তাগিদে। বলা বাহুল্য এদের বেশিরভাগই ছিলেন ঐ পরিযায়ী শ্রমিকদের দল। শুধু তাই নয়,  প্লেগের ভয়ে সুরাটের ৭৬% জেনারেল প্র্যাকটিশনারও শহর ছেড়ে পালিয়েছিলেন।  বোঝা যাচ্ছে যে মহামারী বা অতিমারী শুরু হলে রুজি-রুটি হারিয়েও প্রাণভয়ে নিজের রাজ্যে ফিরে যাওয়াটা মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি (বিশেষতঃ যাদের নিজ রাজ্য বা দেশ ছেড়ে জীবিকার্জনের জন্য পরভূমে থাকতে হয়), সে লকডাউন থাকুক বা নাই থাকুক।

    লকডাউন না থাকলে বা না মানলে বস্তি বা ঝুপড়িতে থাকা এই প্রান্তিক মানুষজনের পরিবারগুলোর মধ্য  রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা   আরও বেশি।

    আমাদের মত আর্থসামাজিক কাঠামোর দেশে যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে, মহামারী বা অতিমারীতে সবচেয়ে বেশি  ক্ষতিগ্রস্ত হন সমাজের  প্রান্তিকেরাই। তাদের রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে আসে। রাষ্ট্র  তাদের কথা ভাবে না। কিন্তু সচেতন নাগরিক হিসাবে আমাদের কাজ হল এদের ভাল-মন্দের কথা ভাবতে রাষ্ট্রের উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে  যাওয়া এবং সাধ্যমত এদের পাশে দাঁড়ানো। 

  • dc | 172.69.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১৩:৪৬92412
  • "বোঝা যাচ্ছে যে মহামারী বা অতিমারী শুরু হলে রুজি-রুটি হারিয়েও প্রাণভয়ে নিজের রাজ্যে ফিরে যাওয়াটা মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি"

    একদম একমত। যে কোন মানুষ বিপদে পড়লে ঘরে ফিরতে চায়।
  • dc | 172.69.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১৩:৪৬92413
  • "বোঝা যাচ্ছে যে মহামারী বা অতিমারী শুরু হলে রুজি-রুটি হারিয়েও প্রাণভয়ে নিজের রাজ্যে ফিরে যাওয়াটা মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি"

    একদম একমত। যে কোন মানুষ বিপদে পড়লে ঘরে ফিরতে চায়।
  • বিষাণ বসু | 108.162.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১৪:৪৭92414
  • শেখরদা, সুরাতের উদাহরণটা এক্ষেত্রে ঠিক প্রযোজ্য কি?

     সুরাত থেকে যাঁরা পালিয়ে আসছিলেন, তাঁদের ভরসা ছিল, আগে তো প্রাণে বাঁচি - গ্রামে ফিরে যে করে হোক খেটে সংসার চালিয়ে নেব।

    আর এখন যাঁরা ফিরতে চাইছেন, তাঁরা জানেন, গ্রামে ফিরেও রোজগারের সব পথ বন্ধ - কিন্তু, গ্রামে গেলে পড়শি হয়ত দুমুঠো চাল দেবে, যেটা শহরে কেউ দিচ্ছে না। আশা বলতে এটুকুই।

    সুরাতের উদাহরণ গ্রাহ্য হলে এই দফায় লকডাউন না মেনে রেশনের দোকানে বা অনুদান সংগ্রহে লম্বা লাইন হতে পারত কি? 

  • sm | 172.68.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১৫:৪১92415
  • হু এর ডেফিনেশন ওহ হেলথ হচ্ছে স্টেট অফ ফিজিক্যাল,সোশ্যাল অ্যান্ড মেন্টাল ওয়েল বিইং অফ হিউম্যান বিইং।
    এখন লক্ষ্যনীয় তিনটে জিনিসই জরুরি। শরীর, মন ও সমাজ। ডিজিজের কথা উল্লেখ নেই।
    এবারে,তিনটে জিনিস খতিয়ে দেখা যাক।
    লক ডাউন কি করে?
    টিভি এক্সপার্ট রা কি বলেছেন?
    হু কি বলতে চেয়েছে?

    লক ডাউন মূলত কার্ভ ফ্ল্যাট করে।অর্থাৎ ভাইরাস এর কাছে অতিরিক্ত সময় ধার করে।যাতে হেলথ ইনফ্রা এর ওপর বেশি চাপ না পড়ে।
    কিন্তু কতো দিন? তার পর কি হবে?
    উন্নত দেশ এই ক সপ্তাহের মধ্যে নিজেকে গুছিয়ে নেবে।অর্থাৎ ঔষধ,ভেন্টিলেটর,অতিরিক্ত বেড ও স্বাস্থ্য কর্মী মজুত করবে।রোগীদের সু চিকিৎসার বন্দোবস্ত করবে।এটি সুচারু ভাবে না করতে পারলে কি হয়?সামনেই উদাহরণ আছে ইতালি,স্পেন,ব্রিটেন ও আমেরিকা।
    কিন্তু বর্তমানে ভারতের ভেন্টিলেটর কতো?বোধ হয় হাজার ত্রিশেক চালু আছে।কেউ কনফার্ম করলে ভালো হয়। আই সি ইউ বেড কতো?
    এর উত্তরের মধ্যেই লুকিয়ে আছে লক ডাউন এর সার্থকতা।
    দামি এন্টি ভাইরাল ভারতের মতো দেশে নেবার মতন সামর্থ্য ক জনার আছে?
    লকডাউন শুরুতে,টিভি বিশেষজ্ঞগণ বলছিলেন প্রথম দুসপ্তাহ খুব ইম্পর্ট্যান্ট।
    এখন বলছেন সামনের দুসপ্তাহ খুব ইম্পর্ট্যান্ট।তার মধ্যে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পিক আসতে পারে। কেন এরকম বলছেন?
    ভারতে লক ডাউন খুব কার্যকর হতে পারে,যদি প্রচুর ঘাটতি কমানো যায় (যেমন মাইগ্র্যান্ট লেবার সমস্যা),প্রচুর কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থাকে,হটস্পট এলাকায় প্রচুর টেস্ট করানো যায়।
    যদি কেস ও কনট্যাক্ট ভালো ভাবে না নির্দিষ্ট করা যায়।তাহলে ধারাভির মতো বিশাল মেট্রো শহরের বসতি গুলোতে দু তিন জন ইনফেক টেড হলে সারা বসতি ছড়িয়ে যেতে বেশি সময় লাগবে না।
    এর পর রয়েছে লকডাউন জনিত রুজি রোজকার এর প্রবলেম ও অন্যান্য রোগ ভোগ এর চিকিৎসা ব্যাহত হওয়া।
    কোটি কোটি মানুষ দিন আনি দিন খাই।উপযুক্ত আর্থিক সহায়তা না পেলে,তাদের ওই হু ডেফিনেশন এর মেন্টাল ও সোশ্যাল দিক টি চূড়ান্ত ব্যাহত হবে।এ ক্ষত মিটবার নয়।
  • Pralay | 162.158.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১৭:০৯92417
  • Please cheque out data about spanish flue in first world war period and no of Indian people died at that time....

  • sm | 162.158.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১৯:২৯92419
  • @প্রলয়,স্প্যানিশ ফ্লু তে,দেড় কোটি মতন ইন্ডিয়ান মারা গিয়েছিল।

    কিন্তু এই পরিসংখ্যান দিয়ে কি হবে?

    স্প্যানিশ ফ্লু আর কোভিড এক জিনিষ নয়।গত চার মাসে কোভিড 1 লাখ 25 হাজার মতন মৃত্যুর কারণ হয়েছে। অনুমান,খুব বেশি হলে লাখ তিনেক ছাড়াবে না।

    স্প্যানিশ ফ্লু এর ফ্যাটালিটি 6 পার্সেন্ট মতন।যেখানে কোভিড এর 1 শতাংশ বা তার ও কম।

    এখন চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক উন্নত।

    এর আগে দুটো করোনা প্যান্ডেমিক সার্স ও মার্স কয়েক হাজার এর বেশি প্রাণহানি ঘটায় নি।

    এখনো পর্যন্ত,আফ্রিকার বহু দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একশো র কম।নেপাল, ভিয়েত নাম এ নাম মাত্র আক্রান্ত হয়েছে।এসব দেশ গুলোয় খুব কড়া কড়ি করে লক ডাউন হয়েছে শুনিনি।বিদেশি পর্যটক ও প্রচুর আসা যাওয়া করে।এরাও চীনের প্রতিবেশী দেশ বলা চলে।

    তাইওয়ান ও হংকং এও তেমন রোগ ছড়ায় নি। কেন??এই উত্তর গুলো তো  আগে জানতে হবে।

  • দোবরু পান্না' | 172.69.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ২২:২১92425
  • স্প্যানিশ ফ্লু ছড়িয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ভারত থেকে নিয়ে যাওয়া সৈন্যদের মাধ্যমে। সেই মৃত্যুমিছিল ভারতের আরো অনেক কিছুর মতই ইউরোপীয়দের দান। ভারতে ফ্লু ছড়ায় রেলগাড়ির মাধ্যমে। মুম্বাই থেকে যত দূরে, ফ্লু এর প্রকোপ তত কম। বাংলা সহ পূর্ব ভারতে ফ্লু এর প্রভাব পড়েইনি বলতে গেলে।
  • r2h | 162.158.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ২৩:২৭92428
  • লকডাউন হয়ে কী হচ্ছে আমরা তো দেখছি সবাই, চারদিকে মানুষের খুব দুর্দশা, আটকে পড়া মানুষ, গুজব, সন্দেহ, নানান অমানবিক ব্যাপার।

    আর ভালো দিকে হলো,
    অসংখ্য মানুষ ত্রাণের জন্যে এগিয়ে এসেছে, হাত বাড়িয়ে দেওয়ার দরকার বোধ করেছে।
    সরকারগুলি ঢোঁক গিলেও ত্রাণ শিবির, আশ্রয়, খাবার এসবের ব্যবস্থা করছে (এটা ত্রাণ না, পলিসি হওয়া উচিত, কিন্তু সেটা অন্য ও দীর্ঘমেয়াদী প্রশ্ন)।
    লকডাউন ইত্যাদির অস্যার্থ যেহেতু এটা ভয়ানক সংক্রামক ব্যাপার (সরকারী ভারসনেই), তাই কারো রোগ ধরা পড়লে সামর্থের অভাবে চিকিৎসা হবে না, এমনটা অসম্ভব বলে ধরে নিতে পারছি।

    এবার, লকডাউন যদি না হতো, তবে কী হতো?

    কলকারখানা চলতো, রুজি রোজগার হত।
    সুতরাং ত্রাণের দরকার বোধ হত না, খেটে খাও মোডে চলার সম্ভাবনা বেশি হতো সরকার ও মানুষের ক্ষেত্রে। কলকারখানা ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ না হলে, অসুস্থ মানুষের কাজ যাওয়ার ভয়ে রোগ লুকানোর সম্ভাবনা বাড়তো; ছাঁটাই সম্ভাবনা বাড়তো। এবং অর্থনীতি যেহেতু চলছে তাই ত্রাণের প্রশ্ন নেই।

    লোকজন নিজের ইচ্ছেমত যেখানে খুশি যেতে পারতো। ধরে নিলাম ভারতে লকডাউন হলো না এবং সব ঠিক চললো, কিন্তু বিশ্বজোড়া মন্দার আবহে সব তো ঠিক চলতো না। লোকজন নিজের মত নিজের গন্তব্য ও ঠিকানা খুঁজতে বাধ্য হতো, সরকারের দায় ছাড়া। যমুনার ধারে কয়েকশো মানুষের ত্রাণে এগিয়ে আসার বদলে দূষণকারী বা জবরদখলকারী হিসেবে তাদের ঠ্যাঙতে ব্যস্ত হত সরকার।

    মধ্যবিত্তদের বাটামও আসছে, তবে আপাতত শুধু নিম্ন। তো, নিম্নবিত্তদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, নির্মল বাতাস ইত্যাদির সুযোগ কম। সুতরাং রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি (এটা তো বোধয় ধরেই নেওয়া যায়?)। বিলেতফেরতদের আনা অসুখ খপ করে ধরে মোরগের লাল ঝুঁটি।

    লকডাউন যেহেতু সরকারের সিদ্ধান্ত, তাই বিপর্যয়ের দায় সরকারের, সরকার সেসবের জন্যে আনসরেবল থাকবে। সেটা না হয়ে জনগণকে গোবিন্দায় নম করে দিলে কী হতো, তার তুল্যমূল্য বিচারটাও কূট।

    আর, অতিমারীতে মানুষ মরতে শুরু করলে তা ঠেকানোর উপায় নেই, কিন্তু দুর্ভিক্ষ, আজকের দিনে ঠেকানো সম্ভব, যদি মানবজাতির মিলিত কনশায়েন্স ঠিকঠাক কাজ করে। 'যদি' আছে, তবে সে তো সর্বত্রই।
  • r2h | 162.158.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২০ ২১:৫৫92483
  • যদিও, বাকি সব কথার সঙ্গে পুরোপুরিই একমত, লকডাউন একটি প্যাকেজের অংশ, বাকিগুলোর কথা যেন আমরা ভুলে না যাই, এইসব, আর -"আপাতত এটুকু নিশ্চিত করা যাক, যাতে লকডাউনের কারণে অনাহারে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘায়িত না হতে পারে"।
  • Kalyan Ghoshal | 108.162.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ২১:৩১92539
  • How much HCQ IS SUCCESSFUL IN TREATING CORONA VIRUS. EVEDY COUNTRY IS ASKING FOR THIS MEDICINE. WHY

  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন