এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • পায়ের তলায় সর্ষে_ মেটিয়াবুরুজ

    স্বাতী রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৫ জুলাই ২০১৮ | ১০৭৫ বার পঠিত
  • দিল ক্যা করে যব কিসিসে কিসিকো প্যার হো গ্যয়া - হয়ত এই রকমই কিছু মনে হয়েছিল ওয়াজিদ আলি শাহের। মা জানাব-ই-আলিয়া ( বা মালিকা কিশওয়ার ) এর জাহাজ ভেসে গেল গঙ্গার বুকে। লক্ষ্য দূর লন্ডন, সেখানে রানী ভিক্টোরিয়ার কাছে সরাসরি এক রাজ্যচ্যুত সন্তানের মায়ের আবেদন জানাতে চললেন তিনি। সঙ্গে আরেক ছেলে সিকন্দর হাশমত। অথচ যার জন্য করা, সেই নবাবই রয়ে গেলেন কলকাতায়। সাল ১৮৫৬। আসলে নবাবটি একটু অন্য ধাতের - যুদ্ধ বিগ্রহ রাজ্য শাসনের থেকে তাঁর মন বেশি গান- নাচ- কবিতা-প্রেম এই সবে।

    সে বছরই রাজ্য হাতছাড়া হবার পরে মে মাসে লন্ডন যাবেন বলে কলকাতায় এসেছেন নবাব। লক্ষণৌ থেকে বারাণসী - সেখান থেকে দু মাসের নৌকা ভ্রমণ - স্টিমার ম্যাকলয়েড এ চড়ে কলকাতা। কলকাতায় এসে নবাব আর লড়লেন না - অজুহাত ভগ্নস্বাস্থ্য । মাঝ বয়সী বেগমসাহেবা চললেন বিদেশে। কুইনের সঙ্গে দেখা করে সুবিচার জোগাড় করার আশায়। মায়ের স্বপ্ন অবশ্য পুরণ হয় নি। ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে তার যে মোলাকাত হয়, সেটি শুধুই সৌজন্যসাক্ষাৎ - তারপরে তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে যে আবেদন করেন সেটি নিয়েও অকারণ তাল-বাহানা করে সরকার। ইতিমধ্যে হয় ১৮৫৭ র সিপাহী বিদ্রোহ। ওয়াজিদ কে ইংরেজ্ রা সাময়িক ভাবে বন্দী করে ফোরট উইলিয়ামে - জুন ১৮৫৭ থেকে জুলাই ১৮৫৯ অবধি তিনি নজরবন্দী থাকেন ফোর্ট উইলিয়ামের ভিতর, আরমহারস্ট কুঠীতে। এদিকে ল্ক্ষ্শনৌ তে ওয়াজিদ আলির এক বেগম হজরত মহল বিদ্রোহে যোগ দেন। এরপর আর বেগমের আশা পুরণ হওয়ারও কোন সম্ভাবনা থাকে না - দেশের পথে রওনা দেন। পথেই মৃত্যু - প্যারিসের Père Lachaise তে সমাধি দেওয়া হয় তাকে। রাজ সম্মান জানাতে উপস্থিত ছিলেন তুর্কী আর পারস্যের সুলতানের প্রতিনিধি। দিনটা ২৪ শে জানুয়ারী, ১৯৫৮। কলকাতায় সেদিন কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের বরষ-পূর্তি উৎসব।

    নবাবের কি হল? নজরবন্দীর থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে তার ঠিকানা হল পরীখানা - বেগম, তওয়ায়েফদের সৌন্দর্যে সত্যিই সেখানে পরী নেমে আসে যেন। নবাব রইলেন তার পশু, পাখি, কবিতা, নাচ, গান আর হারেম সুন্দরীদের নিয়ে। বছরে বার লক্ষ টাকা পেন্সন। তারই মধ্যে সংসার চালান ৩৮৪ জন বেগম নিয়ে। লক্ষণৌ নগরীর আদলে গড়ে তুললেন ইমামবাড়া, মসজিদ, চিড়িয়াখানা। এই চিড়িয়াখানার থেকেই নাকি একবার এক বাঘ পালিয়ে গঙ্গা পেরিয়ে ওপারের শিবপুরের বট্যানিকাল গার্ডেনে গিয়ে হানা দেয়!

    এত কথা কেন? আজ সকালে গিয়েছিলাম মেটিয়াবুরুজ সফরে। হেরিটেজ ওয়াক কলকাতার ব্যবস্থাপনায়। শ্রীনন্দার তত্ত্বাবধানে Space and Memory : The Exile Walk -এ অংশ নিতে। জানতাম ইতিহাসের বেশিটাই আর নেই, কারণ ১৮৮৭ সালে নবাবের মৃত্যুর পরে ইংরেজরা নবাবের সব সম্পত্তি দখল করে নেয়, তবু যেটুকু আছে সেই টুকুও হারিয়ে যাওয়ার আগে দেখে ফেলাটা দরকার মনে হল। পরীখানা, যেটা বোধহয় এখন রেলের সম্পত্তি, সেটা দেখার লিস্টিতে ছিল না। ছিল চারটি ঐতিহাসিক মনুমেন্ট - Qasrul Buqa Imambara. আজকেই প্রথম জানলাম ইমামবাড়া আর মসজিদের মধ্যে তফাত। জন্মে ইস্তক হুগলীর ইমামবাড়া দেখেও জানা ছিল না যে ইমামবাড়া তে মহরমের মিছিলের জিনিসপত্র রাখা থাকে। অবশ্য বাড়ি ফিরে গুগুল বাবার দৌলতে জানলাম যে ইমামবাড়াতে মেয়ে এবং শিশুদের ঢোকার মানা নেই যেটা মসজিদে বারণ। এই Qasrul Buqa Imambara চারপাশের বাড়ীঘরের দখলদারির মধ্যে কোনক্রমে এখনও নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। ছোট্ট একটি বাড়ী অথবা ঘরই বলা উচিত - শুধু রাস্তার উপর বোর্ডটি আছে বলে বোঝা এটি খুব সম্ভবতঃ মেটিয়াবুরুজের প্রথম ইমামবাড়া।

    পরের গন্তব্য শাহী মসজিদ। ভিতরে ঢোকা গেল না। বাইরে থেকেই যেটুকু দেখা - আমাদের চোখে মসজিদ বলতেই যে ছবি ভাসে, তার থেকে বেশ খানিকটা আলাদা। কোন গোল গম্বুজ নেই মাথার উপরে , নেই সরু লম্বা নজর কাড়া মিনারেট। তবে ছাদের উপরে সূর্যের নিশানটি বেশ ইউনিক। কোন এক সময় হয়তো গঙ্গার পাড়েই ছিল এই মসজিদ। এখন সে সব দেওয়ালে ঢেকে গেছে। শুনেছিলাম এই মসজিদের ভিতরে একটি মারবেলের মিরহাব আছে - কিন্তু ভিতরে ঢুকতে না পারায় সেটা দেখার সৌভাগ্য হল না।

    এর পরের যে গন্তব্য সেটি নবাবের এক স্ত্রীর বানান এক ইমামবাড়া। নাম বোধহয় বেগম মসজিদ। আসলে শ্রীনন্দা যখন এর নাম বলছিল আমি তখন মন দিয়ে সেখানকার উঠোনের রান্নার প্রস্তুতি দেখছিলাম - দরিদ্রদের খাওয়ানর প্রস্তুতি চলছে। বিশাল বিশাল হাড়িতে রান্না চেপেছে। যে কোন ধর্মস্থানের এটাই একমাত্র মহিমা - চাইলে অতি সহজে সে জনকল্যাণের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। যে কোন ডোল সিস্টেমের কুফল নিয়ে আলোচনা হতেই পারে - তবু যার অধিক আছে তার এই ভূমিকাটুকুই বড় ভালো। ভিতরের দেওয়ালটি অসাধারণ সুন্দর - কাঁচের উপর রং দিয়ে মার্বেলের উপর ইনলে কাজের এফেক্ট আনা হয়েছে। সব জায়গাতেই বড় বড় ঝাড়-লণ্ঠন ঝোলানো। আমাদের আধুনিক ইন্টিরিয়রের চোখে এতটুকু জায়গায় এত বড় ঝাড়লনঠন একটু বেমানান লাগে বটে। কিন্তু হয়তো সেই প্রাক ইলেক্টিরিসিটি যুগে সেটাই দস্তুর ছিল।

    আজকের শেষ দ্রষ্টব্য শাহী ইমামবাড়া - মধ্যযুগের কারুকার্যময় উত্তর বা পশ্চিম ভারতীয় মসজিদ বা ইমামবাড়ার তুলনায় সে কিছু নয় অবশ্য। তবু সরল সাদাসিদের উপর বেশ। লক্ষনৌর সিবতৈনবাদ ইমামবাড়ার আদলে তৈরি। নবাবও ঘুমিয়ে আছেন এখানেই। এখানেই আছে নবাবী আমলের তাজিয়া। আর আছে নবাবের ইনসিগনিয়া - একটি বিশালাকৃতির সূর্য-সদৃশ ব্রোঞ্জের ঢালের উপর সিংহ, সূর্য , জোড়া ফেরেস্তার ছবি। অবাক লাগে সেই এক সূর্য হিন্দু রাজপুত রাজ্যেরও প্রতীক আবার মুসলিম অযোধ্যার নবাবেরও প্রতীক। প্রকৃতির তো কোন ধর্ম নেই।

    নবাব ছিলেন কতদিনই বা - ১৮৫৬ থেকে ১৮৮৭ - মোটে একত্রিশ বছর। নিজের চারপাশে গণ্ডী কেটে বসবাস করেছেন। স্থানীয় বরেণ্যদের সঙ্গে তেমন মিশেছেন কি? পড়ি নি কোথাও। তেমন ভাবে মেশেন নি স্থানীয় সুন্নি মুসলমানদের সঙ্গেও। তবু তাঁর দরবারের সারেঙ্গীর সুর, কত্থকের বোল ধীরে ধীরে মিশে গেল বাঙ্গালীর জীবনে। গোরেবাজ, পতংবাজ , মেয়েবাজ মানুষটা জায়গা পেলেন ইতিহাসে। সে সৌভাগ্য হয় নি অবশ্য সেই মানুষগুলোর যারা সারা ভারত থেকে বিশেষত উত্তর প্রদেশ, বিহার ইত্যাদি থেকে এসে পৌছেছিলেন কলকাতায় তারপর কন্ট্র্যাক্ট লেবার হিসেবে পাড়ি দিয়েছেন মরিশাস, ত্রিনিদাদ, সুরিনাম ইত্যাদি দিকে দিকে। ১৮৩৩ থেকে ১৯১৭ - চলেছে এই পর্ব। দাসপ্রথার থেকে কিছু মাত্র উন্নত কি? মনে তো হয় না। আরও অদ্ভুত হল এই পর্বের একটা বড় সময় কালকে আমরা বলি বাংলার নবজাগরণ পর্ব যার কেন্দ্রে রয়েছে কলকাতা। অথচ তখন কলকাতাই ছিল এই নব্য দাসপ্রথার অন্যতম কেন্দ্র। প্রদীপের নীচেই অন্ধকার! আর যে ওয়াজিদ আলি শাহ তখন সংস্কৃতির পেট্রণ হচ্ছেন, তখন তাঁর প্রাক্তন রাজ্যের প্রজারাও তো এভাবে হারিয়ে যাচ্ছেন চেনা মাটি, চেনা দেশ ছেড়ে - তবু কোন মুজরোর আসরের সুর কাটল কি? নবাবদের সঙ্গে অবশ্য সাধারণ মানুষের কি ই বা সম্পর্ক! প্রায় বার লাখ লোক এই ভাবে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। ১৮৭৩ সালের ৫ই জুন ( সে বছরই বিহারে মহাদুর্ভিক্ষ হয়) কলকাতা থেকে প্রথমবারের জন্য লাল্লা রুখ জাহাজে চেপে ৩৯৯ জন শ্রমিক গিয়ে পৌঁছায় আখের ক্ষেতে কাজ করার জন্য। হোক না সুরিনাম ডাচ কলোনি - লাভের টাকা গুণে নিতে পারলে তার জন্য শ্রমিক খুঁজে দেবেন চিরশত্রু ইংরেজরাও। যারা বলেন করপোরেট রাজত্বের আমলেই সীমাহীন লোভের জাল বোনা শুরু হয়েছে আর তার আগে প্রায় রাম রাজ্য ছিল, তাদের একটু এই সব ইতিহাস পড়ে দেখতে বলি। সুরিনাম সরকার তাদের এই পিতৃপুরুষদের মাইগ্রেশনকে মান্যতা দিতে তাদের যাত্রা পথের দুই প্রান্তে বসান দুটি একই রকম মাই-বাপ স্ট্যাচু। একটি কলকাতায় , একটি পারামারিবো তে। সেই সুরিনাম মেমোরিয়াল স্ট্যাচু দিয়ে আমরা আজকের হাঁটা শুরু করেছিলাম।

    প্রায় আড়াই- পৌনে তিন ঘন্টা হাঁটার পরে পেটে তখন আগুন জ্বলছে। হেরিটেজ ওয়াকের বদান্যতায় জুটল একটি দুর্ধর্ষ ব্রেকফাস্ট। নিহারি আর তন্দুরি রুটি। কলেস্টরলের নিয়মিত ওষুধের দাপটে রেড মিট প্রায় বন্ধই - তবু তুলতুলে একটি বৃহদাকার মাংস খন্ড যার উপরের দিকটায় প্রায় এক ইঞ্চি পরিমাণ চর্বি আর জিভে দিলেই গলে যাচ্ছে - এ জিনিস ছাড়া যাবে না। গতকালের রথের পাঁপড় মিশে গেল আজকের নিহারির ঝোলে।

    ( যে ছবিগুলো তুলেছিলাম সেগুলো ঠিক পাতে দেবার যোগ্য নয় - নিজের চোখে দেখে আসাটা অনেক ভালো। আর জায়গাটার বেশ ট্যুরিজম সম্ভাবনা আছে - কিনতু সেজন্য একটু রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন করা , একটু সৌধগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, একটু মশা মাছি কমান এগুলো প্রয়োজন। সরকার যদি নাও তাকায় , একটা লোক্যাল NGO হতে পারে যারা স্থানীয় ছেলে মেয়েদের ট্রেনিং দিয়ে walk এর বন্দোবস্ত করল আর লাভ দিয়ে জায়গাটার রক্ষণাবেক্ষণ করল। ভাবা যায়? )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৫ জুলাই ২০১৮ | ১০৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্বাতী রায় | ***:*** | ১৬ জুলাই ২০১৮ ০১:৪৬65025
  • @প্রতীক অনেক ধন্যবাদ। দেখলাম। আরও খুঁজতে গিয়ে দেখলাম যে এই অযোধ্যার লোকজনের মুল লুকিয়ে আছে আজকের আজারবাইজানে - আর পারস্যের সঙ্গে বিবাহ যোগ তো ছিলই। তাই হয়তো এম্বলেমটা অনুপ্রাণিত ছিল - অন্য কোন ইতিহাস জানলে একটু জানাবেন।
  • | ***:*** | ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৫:০৭65022
  • বাঃ যেতে হবে একবার।
  • শঙ্খ | ***:*** | ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৫:৫৩65023
  • ভালো লাগল পড়ে। যেতে হবে।
  • প্রতীক | ***:*** | ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৭:০৩65024
  • সিংহ-সূর্য প্রতীকের জন্ম আড়াইহাজার বছর আগের দারিউসের আখামেনিদ পারস্য। 'lion-sun emblem' লিখে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন।
  • I | ***:*** | ১৭ জুলাই ২০১৮ ০৪:১৩65026
  • দারুণ লেখা। আর একটু চলত না?
  • | ***:*** | ১৭ জুলাই ২০১৮ ০৪:৫২65027
  • ইন্দ্রাণী | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:০৯528756
  • ঘুরে এলাম এবারে।
    তবে ঠিক হেরিটেজ ওয়াক নয়। নো ইওর নেবার ওয়াক জানুয়ারি ২০২৪ । সাবির আমেদের উদ্যোগ। আমরা হাঁটা শুরু করেছিলাম শাহনি বেগম মসজিদ (প্রতিষ্ঠা ১৮৮৬) থেকে। তারপর ষোলো আনা মসজিদ গেট পেরিয়ে সেন্ট ইগ্নাসিয়াস চার্চ,(্প্রতিষ্ঠা ১৯১১), ষোলো আনা মসজিদ, সেন্ট বার্নাবাস হাই স্কুল,(্প্রতিষ্ঠা ১৮১৬), সেন্ট বার্নাবাস চার্চ (প্রতিষ্ঠা ১৮৬৭), হাজি আলাউদ্দিন সুইটসের মিষ্টি খাই। শামীমের বিরিয়ানির বিশাল হাঁড়িগুলি পেরিয়ে খিদিরপুরের দিকে হাঁটতে থাকি; অতঃপর সেন্ট টেরিজাজ, সেন্ট টমাস স্কুল দেখে অরফ্যানগঞ্জ বাজার। রকেট চার্চ (সেন্ট স্টিফেন্স চার্চ), খিদিরপুর হরিসভা (১২৯৫ বঙ্গাব্দ), ইয়াং বেঙ্গল পাইস হোটেল (৯০ বছরের পুরোনো, রোজকার মেনুঃ ভাত ,ডাল, ধোঁকার ডালনা, কাঁচকলার কোপ্তা, সুক্তো, মুড়িঘন্ট, এঁচোড়, মাছ, চিকেন কষা, চাটনি, স্পেশাল মেনুঃ চাপড় ঘন্ট, মুগ মনোহরা, চিতল পেটি, ভেটকি পাতুরি , চিংড়ি মালাইকারি ইত্যাদি) হয়ে কবিতীর্থ। সেখানে রঙ্গলাল, হেমচন্দ্র ও মধুসূদনের ভগ্নপ্রায় বাড়ি গুলি।
    তারপর মেটিয়াবুরুজ। অপরিচ্ছন্ন, অপরিসর বিচালিঘাট(১৮৫৬ সালের মে ১৩ তে ওয়াজেদ আলি শা এখানে এলেন ) প্রথমে। তারপর শাহী মসজিদ, ইমামবাড়া। স্বাতী যেমন লিখেছিলেন।

    ধীরে ধীরে হেঁটেছি সকলে। কলকাতার ভিতরে আর এক কলকাতা। যা আমরা আবছা জানি, বা জানি না বা দেখি নি। বিভিন্ন ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতির ঠাস বুনোট। খুব স্বাভাবিক বুনোট। নানা গল্প ইতিহাস।
    সাবির যে কাজ করছেন তার তুলনা হয় না- নো ইয়োর নেবার।
    তোমার পাশে যে রয়েছে তাকে জানো। তাতে ঘৃণার অবসান সম্ভব।
  • স্বাতী রায় | ২৪ মার্চ ২০২৪ ১৮:৩৮529759
  • ইন্দ্রানী, এই কমেন্ট আমার চোখে পড়ল ঠিক এক মাস পরে। দুঃখিত। সাবির দারুণ কাজ করেছেন। শ্রদ্ধা। সত্যিই চেনার মধ্য দিয়ে অপরের গন্ডি ছিঁড়ে আপন হয়। ব্যক্তিগত ভাবে আমি অন্তত বড় গন্ডিবদ্ধ জীবন কাটাই যেটা বেশ মাথাব্যথার কারণ। আপনার অনুভব বিবরণ যদি বড় করে লেখেন,বড় ভাল লাগবে। যা মনে হচ্ছে আপনারা সত্যিই বিভিন্ন সংস্কৃতির মহামিলন প্রত্যক্ষ করেছেন।    
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন