আপনার সঙ্গে আমি অনেকাংশে সহমত। তবু একটি মতানৈক্য থাকছে, সেটি না বলে পারছি না।
একটা গানের ভাল লাগা না-লাগা, অধিকাংশ শ্রোতার ক্ষেত্রে সত্যিই সুরনির্ভর, এতে সন্দেহ নেই। খুব কম শ্রোতার ক্ষেত্রে গানের কথা গানটির উৎকর্ষের মানদণ্ড হয়ে ওঠে। আপনার লেখাটিও এই মতটিকেই স্বীকৃতি দেয়। মুশকিল অন্য জায়গায়। যে-দৃষ্টিকোণ থেকে 'সাহারা'-এর সঙ্গে 'আকাশে ছড়ানো'-এর স্থানবদলটি ঘটেছে, সেটি নিয়্র কিছু বলার নেই। কারণ ওই, ধরে নেওয়া হয়েছে সামান্য কিছুজনের কাছে গান বিষয়টা সুরের পপুলার দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার্য নয়, কথার দিক থেকে। কিন্তু 'সামান'-এর সঙ্গে তার যে অনুবাদটি করা হয়েছে, সেটির খুব একটা ভিত্তি নেই। কারণ, সুরের কোনও অনুবাদ লাগে না, কিন্তু কথার ভাষার কোনও অনুবাদ সম্ভবই নয়। 'সামান' শব্দটি এখানে হৃদয়কে দ্যোতিত করুক আর না-ই করুক, কিছু এসে যায় না। কিন্তু 'সামান'-এর অনুবাদ হিসেবে মারমুখো হয়ে 'হৃদয়' বসানো হোক, 'লাগেজ' বসানো হোক, কী 'বিষাদ' বসানো হোক, কিছুতেই কিচ্ছু এসে যায় না। কোনও বিদেশি উপন্যাসের, গানের, কবিতার যখন অন্য ভাষার অনুবাদ পড়া হয়, সেটি কি পাঠককে বা শ্রোতাকে–নিরপেক্ষভাবে দেখলে–সথাযথ পরিতৃপ্তি, মুগ্ধতা এনে দিতে পারে কি? তার মানে কি এই যে সেই উপন্যাসটি/গানটি/কবিতাটি নিম্নমানের? বুদ্ধদেব বসুর ব্যোদলেয়রের অনুবাদ পড়ে যদি কারও সুপাঠ্য মনে না হয়, তবে কি এই বলা যায় যে 'লা ফ্ল্যর দু মাল' একটি মধ্যমানের শিল্প?
বিঃ দ্রঃ আমার ব্যক্তিগতভাবে হিন্দি গানের প্রতি কোনও বিশেষ সহানুভূতি নেই। ভুল বুঝবেন না আশা করি। আপনার বিশ্লেষণ আমাকে মুগ্ধ করে। নমস্কার জানবেন।
হিন্দি গানের কিম্ভুত বঙ্গানুবাদ নিয়েও যদি দুকথা বলতেন!
যেমন, আশাজি গাইলেন, "খুব চেনা চেনা মুখখানি তোমার, লাগছে আমাকে!" :পি
এ বাবা হিন্দি গানের লিরিক নিয়ে এতো লিখলেন অথচ শ্রেষ্ট লিরিকটাই বাদ দিয়ে দিলেন? এই সেই কালজয়ী লিরিকঃ
রাম্বা হো হো হো হো
সাম্বা হো হো হো হো।
শুনে নিন উষা উত্থুপের অমর কন্ঠেঃ
হা হা। একটা গানের সুরে আরেকটা গান গাওয়া বা গানের শব্দগুলো বিশেষ বিশেষ শব্দ দিয়ে বদলে দেওয়া কলেজের দিনের কথা মনে করালো।
এটাও বাদ গেছেঃ জিলেল্লে জিলেল্লে আয়ো আয়ো জিলেল্লে। কোথায় এই সব দুনিয়া কাঁপানো লিরিক্স, আর কোথায় ওইসব বাক্সপ্যাঁটরা।
গুরুদক্ষিণা সিনেমার গানগুলো নিয়ে একটা আলাদা পেপার লেখা যেতে পারে।
ফুল কেনো লাল হয়, সে কি বলা যায়? এর মতো গভীর জীবন দর্শন ও আছে সেখানে।
যাই হোক, লিরিক যা নিয়ে অহো অহো করি আমরা, সেগুলি যে আদতে খুবই হাস্যকর এটা নিয়ে খুব দ্বিমত নেই।
সেই ডন ভার্সেস বসন্ত বিলাপের সিকুয়েল টা অনেক দিন ডিউ ছিল। নেমে গেছে দেখছি।হিন্দি ভার্সেস বাংলা সিনেমার গল্প , গানের লিরিক্স এপিসোডের পর এবার নাচের তুলনা আসবে হয়তো।
জঘন্য লেখা। হিন্দি বাংলা সব গানই ভালো লাগে।
দারুন দারুন... তবে এখন লিরিক্স গুলো জোরজার করে বেশি মিলিয়ে দেওয়া।.. তাই বারবার একই প্রশ্ন আসে "মেরা কুছ সামান" এর মত গান আর হবে কি ??