তার মানে কি অতীতের ওপরে ইরেজার চালিয়ে নতুন ছবি আঁকা ? আমি যুদ্ধ শেষের তিন দশক বাদে পশ্চিম জার্মানি আসি, আমি জার্মান রেডিও এবং টেলিভিশনকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ বিভীষিকা বর্ণনায় সঙ্কুচিত হতে দেখি নি । ১৯৭৭ সালে দশ পর্বের একটি ডকুমেনটারি দেখি , তার নাম ফোর ফিয়েরতসিগইয়ারেন , চল্লিশ বছর আগে । জার্মান নিউজরিল , ব্রিটিশ ফরাসি রাশিয়ান টি ভি থেকে সংগৃহীত বিশাল ফুটেজ , জার্মান বর্বরতার নির্মম ছবি । ১৯৭৮ সালে জার্মান স্টেট টেলিভিশন হলোকষ্ট নামের পাঁচ পর্বের একটি একান্ত সত্যনিষ্ঠ আমেরিকান সিরিয়াল ( জারমানে ডাব করা ) দেখায় । নাৎসিদের হাতে , গ্যাস চেম্বারে ইহুদি ভাইস পরিবারের মৃত্যু যাত্রা । তখন মনে হয়েছে অতীতের মোকাবিলা করতে হলে অতীতকে যে জানা দরকার সেটা পশ্চিম জার্মানি হয়তো অস্বীকার করে নি । অথচ দেশ এবং মানুষের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পরে জেনেছি পশ্চিম জার্মান স্কুলের ইতিহাস ক্লাসে নাৎসি পিরিয়ড শুধু ছুঁয়ে যাওয়া হতো , গভীরে কখনোই নয়- শিশুদের মাথার ভেতরে অপরাধবোধের গজাল ঠুকে দেবার কি প্রয়োজন ? ( এখন অবশ্য সেটা খানিক বদলেছে, যদিও ক্লাসরুমে ১৯৩২-১৯৪৫কে গুরুত্ব দেওয়া হয় না )। পূর্ব জার্মানির স্কুলের শিক্ষা অন্য রকমের । সেখানকার পাঠক্রম অনুযায়ী নাৎসি দর্শন কার্যকলাপ অত্যন্ত নিন্দনীয় , অমানবিক । মাননীয় নেতা এরিখ হোনেকার সহ বহু কমিউনিস্ট নাৎসিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন ; প্রতিরোধ ব্যর্থ হয়েছে, নাৎসিরা ক্ষমতা দখল করে তাদের ওপরে অত্যাচার চালায় বারো বছর যাবত । ইহুদি হত্যা, কনসেনট্রেশন ক্যাম্প , পোল্যান্ড ইউক্রেন রাশিয়ায় তাণ্ডবের জন্য নাৎসিরা দায়ী , পূর্ব জার্মানি নয় । নিতান্ত ভাগ্যের বশে রাশিয়ান ভাইয়েরা এসে নাৎসি দুঃস্বপ্ন থেকে দেশকে বাঁচিয়েছে । ... ...
আমেরিকায় মে দিবস পালিত হয়না আর। শ্রমিক ইউনিয়ন আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে। অথচ, সে ইতিহাস এই দেশেরই ইতিহাস। ... ...
বিএনপি একটা দল যারা এমনই দেউলিয়া অবস্থায় পৌঁছে গেছে যে এই চরম দুর্নীতিবাজ ছাত্রদের সাথেও পেরে উঠছে না। সকাল বিকাল ধমক দেয় ছাত্ররা। ৫ আগস্ট পরবর্তী চাঁদাবাজি এমন পর্যায়ে করেছে যে এখন মানুষ তাদেরকে সহ্য করতে পারে না। আমি আমার এলাকায় যা দেখছি তার কথা বলতে পারি। দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাহিরে থাকায় পাতি নেতারা ঝরে পড়ে গেছিল। আমি এক সময় রাজপথ কাঁপানো ছাত্র নেতাকে দেখছি আমাদের নিউ মার্কেট মোড়ে অটো লাইন ধরানোর কাজ করত। জ্যাম বেঁধে গেলে লাঠি দিয়া অটো, রিকশাকে সামনে আগানোর কাজ করত। ওই করে কয় টাকা কামাই করত জানি না। কিন্তু দিনের পর দিন এই করতে দেখছি। যার কথা বলছি সে আমাদের স্কুলেই পড়ত। পড়াশোনা কেন বাদ দিল, কেন রাজনীতির নেশায় পেয়েছিল ওকে কে জানে। কিংবা সবাই জানে মনে হয়। প্রবল প্রতাপ দেখানোর লোভ, সেই ২০০২/০৩- ২০০৫/০৬ সালে বিশ একুশ বছরের একটা ছেলের যদি শহর কাঁপানোর ক্ষমতা থাকে, টাকা থাকে তাহলে পড়াশোনাকে বাহুল্য মনে হবে না? ওর তাই হয়েছিল। ওকে সহ আরও কয়েকজনকে দেখতাম এই অটো সামলানোর কাজ করত। এবার আসুন ৫ আগস্টের পরের পর্বে। আবার ওদের চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেছে। কাপড় চোপর চিকচিক করছে! দুইজন দোকান দিয়ে বসেছে, আরেকজন আল্লাই জানে কী করছে এই মুহূর্তে। যা বুঝলাম কামাই করে নিয়েছে এরা প্রত্যেকেই। ... ...
সাতসকালে মুঠোফোনে আত্মীয় পরিজন বন্ধু বান্ধবের কাছ থেকে নানান ধরনের শুভেচ্ছাবার্তা ভেসে আসে। সেইসব শুভেচ্ছা বার্তার মধ্যে কিছু বার্তা বা দৃশ্যপট এমন থাকে যা কখনও কখনও নতুন ভাবনার পথে মনকে ছুটিয়ে দেয়। এমনই দুই প্রভাতী শুভেচ্ছাবার্তা নিয়েই এই মনকথা। ... ...
অতীতের দুর্বল পঙ্গু পূর্ব জার্মান মার্ককে ( মার্ক ডের ডে ডে এর) আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে অর্থ ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করেছিল যে মহার্ঘ্য ডয়েচ মার্ক , তার স্থান নিয়েছে আরও এক শক্তিশালী মুদ্রা, ইউরো: ১.৯৯ পুরনো ডয়েচ মার্কের বিনিময়ে পাওয়া গেছে এক ইউরো । বদলেছে তো আরও অনেক কিছু - পুবের রাস্তাঘাট , টালির চাল , বাড়ির দরোজা দেওয়াল মেরামত হচ্ছে , মেটে হলদে রঙের দেওয়ালে পড়ছে রঙ্গিন পোঁচ। লিডল , আলদি সুপার মার্কেট সর্বত্র , ক্বচিৎ কোথাও গ্রামের চাষিরা সবজিটা মুরগিটা নিয়ে মার্কট প্লাতসে বসে, ট্রাবান্ত ওয়ারটবুরগ গাড়ি রাস্তায় দেখা যায় না, পয়সা খরচা করে মিউজিয়ামে তাদের দেখতে যেতে হয় , টেলিফোন ঘরে ঘরে । এগারো বছর আগে স্টাডরোডায় এসে মনে হয়েছিল জার্মানি কোথাও ছেড়ে এসেছি , এ এক অন্য দেশ। আজ হাইকের বাড়ি থেকে ফেরার সময়ে মনে হল আমার চেনা জার্মানির কোন একটা ছোট শহর থেকে বেরুচ্ছি । বদলালো তো আরও কিছু ; যেমন , একশোর বেশি দেশে ছিল জার্মান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের ( ডয়েচে ডেমোক্রাটিশে রেপুবলিক, ডে ডে এর ) দূতাবাস । ১৯৭০ সালে দিল্লিতে পাপুর ছবির প্রদর্শনী করতে গিয়ে পরিচয় হয়েছিল ডে ডে এর দূতাবাসের কালচারাল আটাশের সঙ্গে , খুব কৌতূহলের সঙ্গে দেখলেন, নানান প্রশ্ন করলেন পরিষ্কার ইংরেজিতে । আজ তাঁর মতন কালচারাল আতাশে কেন,কাজ হারিয়েছেন তদানীন্তন পূর্ব জার্মানির একশোর বেশি রাজদূত, ফার্স্ট সেকেন্ড অফিসার। দেশ যখন একটা, দূতাবাস হবে একটাই। রাজা অপ্রসন্ন হলে রাজদূতের গর্দান এবং চাকরি দুটোই যেতে পারে। দুই রাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষ উৎপন্ন হলে রাজ দূতাবাসের দরোজায় তালা পড়ে। যেমন ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ সালে বার্লিনের ৭৩ নম্বর ভিলহেলমস্ত্রাসের রাইখ চ্যান্সেলরিতে গিয়ে জার্মানির বিরুদ্ধে ব্রিটেনের যুদ্ধ ঘোষণাপত্রটি বিদেশ মন্ত্রী ইওয়াকিম ফন রিব্বেনত্রপের সহকারীর ( রিব্বেনত্রপ দেখা করেন নি ) হাতে দিয়ে রাজদূত সার নেভিল হেনডারসন দু কদম দূরের ৭০ নম্বর ভিলহেলমস্ত্রাসের ব্রিটিশ দূতাবাসে ফিরে বলেছিলেন , পাততাড়ি গুটোও ,আমরা চললাম ( প্যাক ইয়োর ব্যাগস, অফ উই গো ) । যুদ্ধ শেষে সেই বাড়িতেই ফেরেন নতুন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত । জার্মানির পুনর্মিলনের সঙ্গে সঙ্গে এক ধাক্কায় একশো রাষ্ট্রদূতের ছুটি হলো। ... ...
সেই সময় এই প্রসঙ্গ ধামাচাপা পড়লেও যতই সময় ঘনিয়ে আসল ততই এই প্রসঙ্গ প্রাসঙ্গিক হতে থাকল। এবং শেষ মুহূর্তে হেফাজতে ইসলাম থেকে বলা হল মঙ্গল শোভাযাত্রা করা যাবে না, এই নাম চইলত ন! ফলাফল হাতেনাতে, চারুকলার ডিন জানিয়ে দিলেন তারা নাম পরিবর্তন করছে, এবারের শোভাযাত্রার নাম হবে আনন্দ শোভাযাত্রা! ব্যাস, হয়ে গেল সব! ফারুকির নাক গলানোর পরেই যে ব্যাচ এবার দায়িত্বে থাকার কথা তারা একটা বিবৃতি দেয়, দিয়ে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেয় যে তারা এবার এই দায়িত্ব পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু এবার যে শোভাযাত্রা হচ্ছে তার সাথে তারা জড়িত না! সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এবারের শোভাযাত্রার আয়োজন করছে, তাদেরকে এর সাথে রাখা হয়নি, তারা সাথে নাইও। উপদেষ্টার জন্য এরচেয়ে লজ্জার কী হতে পারে? কিন্তু না, ফারুকি এই সামান্য বিষয়ে থেমে যাওয়ার লোক না। ... ...
বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করার যন্ত্রণা আছে। আপনি যাকে একদম পছন্দ করেন না, যার কথা মানেই প্রলাপ, তার সেই প্রলাপ বকার স্বাধীনতাই বাক স্বাধীনতা। আপনি যা পছন্দ করেন তা বলবে আর আপনি বলবেন আমি তো কথা বলতে দিচ্ছিই, কাওকে তো বাধা দেই নাই, এইটা বাক স্বাধীনতা না। এই সব কিছু যন্ত্রণা আছে সুনাগরিকের, আপনি মানবিক হবেন, আপনি মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাস করবেন অথচ আপনার অপছন্দের লোকের অকারণ হেনস্থায় চুপ থেকে মজা নিবেন, এইটা হবে না। অন্যায় হলে তার প্রতিবাদ করতেই হবে তা সে আপনার পছন্দের হোক বা অপছন্দের হোক। আমি সুনাগরিক লিখছি, মানবিক লিখছি, আসলে এইটা মানুষেরই ধর্ম। এ না হলে মানুষ বলা কঠিন হবে আমার পক্ষে। এই যে শাহরিয়ার কবিরকে হত্যা মামলায় হেনস্তা করা হচ্ছে, অসুস্থ একটা লোককে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে এইটা অন্যায় হচ্ছে। শাহরিয়ার কবির মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে পরিমাণ লেখালেখি করেছে তা অবিশ্বাস্য। এখন কি সেই দায় মিটাচ্ছে? মুক্তিযুদ্ধ এখন অপাংক্তেয় বিষয় এই দেশে। সেই সূত্রেই অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন শাহরিয়ার কবির? নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়, একাত্তরের যিশু, বাভারিয়ার রহস্যময় দূর্গসহ দুর্দান্ত সব কিশোর উপন্যাস লেখা শাহরিয়ার কবিরের কী হবে? আমরা হেরে যাচ্ছে কোথায়? কাদের কাছে? ... ...
রাতের অন্ধকার দূর করতে আলোর ওপরেই ভরসা করতে হয় আমাদের, অথচ সেই আলোকে ঘিরেই এখন জমাট বাঁধছে গভীর অন্ধকার। আমাদের জীবন থেকে ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে রাতের অন্ধকার। আলোর দাপট দেখিয়ে অন্ধকারকে দূরে সরিয়ে রাখতে গিয়ে আমরা, বিশেষত নগরবাসী মানুষজন,রাতের শান্ত স্নিগ্ধ রূপকে হারিয়ে ফেলেছি। এই সূত্র ধরেই দূষণের দাপট বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আজ এরফলে আক্রান্ত আমরা, বিপন্ন প্রাণিকুল। এই নিবন্ধের আলোচ্য আলোকে ঘিরে বেড়ে ওঠা ঘনায়মান অন্ধকার নিয়ে। ... ...
৯ নভেম্বর ১৯৮৯ সালের সন্ধ্যায় পুবের উত্তাল জনতা পথে নেমেছিলেন , তাঁরা চাইলেন পরিবর্তন , বাক ও প্রেস স্বাধীনতা এবং অবশ্যই আর্থিক উন্নয়ন কিন্তু সেটা ঘটবে কি ভাবে ? দুই দেশের দুই নেতা , হেলমুট কোল ও হান্স মদরো যে আলোচনায় বসলেন ১৯শে ডিসেম্বর, ড্রেসডেনে , তাতে বোঝা গেলো এই দুজনের দুটি পথ দুটি দিকে বেঁকে যাবে । মদরো চাইলেন দুই জার্মানি রইবে দুই স্বতন্ত্র সার্বভৌম দেশ ; পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে পূবে ঘটবে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কার , রিফরম, দুই জার্মানি চলবে সমান্তরাল ভাবে রেলের দুটি লাইনের মতন; বড়ো ভাই পশ্চিম জার্মানির কাছে চাইলেন আর্থিক সাহায্য। হেলমুট কোল সে সব শুনতে রাজি নন । মদরোর এই ভাষ্যকে সম্পূর্ণ নাকচ করে জানালেন দুই জার্মানির আশু পুনর্মিলন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ইউনিয়ন। পরবর্তীকালে আধুনিক চিনের কায়দায় ‘ এক দেশ দুই ব্যবস্থা ‘ ( যেমন চিনের হংকং এ গাড়ি চলে রাস্তার বাঁ দিকে, সাংহাই বেজিঙ্গে ডান দিকে !) নয় । পরবর্তী ছ মাসের মধ্যে পশ্চিম জার্মানির ডয়েচে মার্কের বুলডোজার দেখিয়ে দেবে পুবের অর্থনৈতিক রাজনৈতিক রিফরম হেলমুট কোলের কাম্য নয়, তিনি চান এক জার্মানি , তাঁর নিজস্ব শর্তে । ইতিহাসের পরিহাস – যেখানে কোন দ্বিতীয় মতের স্থান ছিল না, সেই প্রাক কমিউনিস্ট দেশ চাইল আলাপ আলোচনা করে, আইন ও সংবিধান বদলে নিজস্ব গতিতে সমাজ ও অর্থ ব্যবস্থার সম্পূর্ণ সংস্কার । তখন মুক্ত চিন্তা ও বাক স্বাধীনতার ধ্বজাধারী পশ্চিম জার্মানি জানালে , ওসব ভুলে যান , রিফরম নয়, রি ইউনিফিকেশান ! মাই ওয়ে অর হাইওয়ে। ... ...
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হল বঙ্গবন্ধু সহ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া চারশজনকে মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না যেহেতু তাঁরা কেউ সরাসরি সম্মুখ সমরে লড়াই করে নাই! এই যুক্তি দিয়ে তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী বলা হবে এখন থেকে, মুক্তিযোদ্ধা না। বঙ্গবন্ধুকে মুক্তিযোদ্ধা বললেই কী আর না বললেই কী? একই কথা খাটে তাজউদ্দীন আহমেদসহ বাকি শীর্ষ নেতাদের ক্ষেত্রে। প্রশ্নটা হচ্ছে এদের চেষ্টার! কী আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে যদি কোন ভাবে ছোট করা যায় এঁদেরকে। কোনভাবে যদি আরেকটু নামানো যায় তাঁদের অবস্থান থেকে। এরা যে সূত্র দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বাপ মাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাতিল করছে সেই সূত্রে তো মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গণি ওসমানীকেও মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না! তিনি যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সম্মুখ যুদ্ধে লড়াই করেছেন? এখন দেখেন তো শুনতে কেমন লাগে যে যাকে সেনাপতি বানানো হল যুদ্ধের তিনিই যোদ্ধা না! দারুণ না? ... ...