
শক্তি: এবার আমার গল্পটা বলি। বিয়ের আগের দিন রাত্রিবেলা আমি হাজতে ছিলাম। (ঘরের মধ্যে হাসির হুল্লোড় পড়ে গেল)। আমি অলিম্পিয়ায় মদ খেয়ে ফিরছি। রাত দেড়টা। তার পরের দিন আমার বিয়ে। আমি সকলকে বললাম, অলিম্পিয়ায় চলে এস। তখন অলিম্পিয়ায় আমার ঠেক। বেরিয়ে এসে রাস্তায় চাঁদ দেখছি। চাঁদটা একটু ভাল ভাবে দেখা দরকার। চাঁদ পড়ে আছে ... চাঁদ না দেখলে তো বিয়ে হয় না। পুলিশ আমাকে তুলে নিয়ে গেল। তার আগের দিন থানার ও-সিকে রাতে জড়িয়ে ধরে চুমু-টুমু খেয়েছি। ব্যাটা ছেলের চুমু ওর পছন্দ হয়নি। মেয়েছেলের চুমু খেতে অভ্যস্ত। ... ...

ভূগোলের কথা বলতে গেলেই কেবল বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ আর স্যার ম্যাডামদের কথা মনে পড়ে যায়। ওঁদের দেখানো পথেই তো হেঁটে চলেছি এতদিন। যা হোক এবারে একটু বাংলার বাইরে আরও খানিকটা পূর্ব দিকে ঘুরে আসা যাক। সেবার বল্লরীদি বলল যে আমাদের ব্রহ্মপুত্র নদ দেখাবে। ছেলেমেয়েদের সঙ্গে আমাদের মনটাও বেশ ডগমগ হয়ে উঠলো। ‘কবে আসবে দিনটা ম্যাডাম’ ... ...

সুনীল-শক্তি-ভাস্করদের আরো একটা আড্ডা ছিল। তার নাম, ‘বুধসন্ধ্যা’। প্রায়ই বুধবার সন্ধ্যায় কোন এক বন্ধুর বাড়ি পালা করে আড্ডা বসত। আমি কলকাতায় থাকতাম না। সুতরাং আমার কোন দিন যাওয়া হয়নি সেই আড্ডায়। একবার ভাস্কর বলল, “ অমলেন্দু, এবার শীতে কলকাতায় আসছ কি ?” আমি বললাম, “ হ্যাঁ, আমরা যাব।” ভাস্কর : তা হলে ভালই হল। আমার বাড়িতে ‘বুধসন্ধ্যার’ আড্ডা হবে। তুমি আর অরুন্ধতী আসবে। ... ...

তিনি বললেন ইউরোপে স্পেনই বুঝি একমাত্র দেশ যেখানে স্পেনের মানুষ প্রজন্মের পর প্রজম্ন যতিহীন ভাবে রবীন্দ্র চর্চা করে গেছে। কাম্প্রুবি ও হুয়ান রেমনের রবীন্দ্র অনুবাদ মাদ্রিদ তথা স্পেনের বহু স্কুল লাইব্রেরী ও পাবলিক লাইব্রেরীতে রাখা হত। এখানে মনে রাখা দরকার যে কাম্প্রুবি ও হুয়ান রেমনের রবীন্দ্র অনুবাদ স্পেনের “ Generation of 1927” (১৯২৭-র প্রজন্ম)-র বুদ্ধিজীবীদের উপর এক বিরাট প্রভাব ফেলেছিল। এদের মধ্যে আছেন রাফায়েল আলবের্টি (Rafael Alberti), ফ্রেদেরিকো গারসিয়া লোরকা (Frederico Garcia Lorca), ভিসেন্তে আলেক্সান্দ্রে (Vicente Aleixandre – 1977 Nobel Prize); এবং লাতিন আমেরিকান নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক গাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল ও পাবলো নেরুদা (Gabriela Mistral and Pablo Neruda – Nobel Prize 1945 and 1971 respectively) এবং চিত্র পরিচালক লুই বুনুয়েল (Luis Bunuel)। অবশ্যই রবীন্দ্রনাথ ও ওকাম্পো কাহিনীও উল্লেখযোগ্য। ... ...

প্রথমবারের জন্য হিমালয় জয় করে আমরা তো বাড়ি ফিরে এলাম। সঙ্গে করে আনলাম চিরকালের স্মৃতির পুঁটুলি। নিজেদের যা অভিজ্ঞতা হল হল, স্যারেদের মুখ থেকে তাঁদের জীবনের ফিল্ডের নানারকম রোমহর্ষক কাহিনী যেগুলো শুনলাম, তাই বা কম কী। ... ...

রিচার্ড নিজে আমাদের মিউজিয়ামের সংগ্রহশালায় নিয়ে গেলেন। মিউজিয়ামের অমূল্য সম্পদ সব কি দারুণভাবে সুরক্ষিত করে রাখা থাকে তা দেখে আশ্চর্য না হয়ে পারিনি। রিচার্ডের হাতে একগুচ্ছ চাবি। একটার পর একটা দরজা খুলে, মনে নেই কতগুলো, মিউজিয়ামের অন্দরমহলে একটা ছোট ঘরে গিয়ে আমরা বসলাম। এই ঘরে কতকগুলো উঁচু ঢালু লম্বা টেবিল পাতা। প্রত্যেক টেবিলের উপর এক বিশেষ ধরণের আলো, ছবি বা চিত্রশিল্প দেখার জন্য; বেশী উজ্বল নয়, অনেকটা স্তিমিত দিনের আলোর মত। ... ...

সবচেয়ে লাভ হয়েছিল, 'মার্কসিজম টুডে' একটা পত্রিকা পড়ে। ১৯৮৫তে। সেখানে পি সুন্দরাইয়ার লেখা পড়ে চমকে যাই। সেখানে সুন্দরাইয়া ইন্দিরা গান্ধীকে আধা ফ্যাসিবাদী বলে পূর্ণাঙ্গ ফ্যাসিবাদী আর এস এসের হাত ধরার জন্য সিপিআই (এম) নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন। এবং পার্টির পলিটব্যুরোর সম্পাদক পদ ছেড়ে দিয়ে সাধারণ পার্টি সদস্য হয়ে যাচ্ছেন। এর অভিঘাত সবটা বুঝিনি। বোঝার ক্ষমতাও হয়নি। কেউ বুঝিয়ে দেওয়ার লোকও ছিল না। ... ...

আর কী ভাগ্য! পেলাম পুইঁ শাকের তরকারি। তবে কুমড়ো নেই। দিদিই ব্যাখ্যা দিলেন। ৭০ টাকা কেজি। কী করে কিনি? আমি সুযোগ পেয়ে বললাম, বেশি করে মোদিকে ভোট দিন। একজন রাগতভাবে তাকালেন। বলতেই হল, বেশিদিন থাকলে ১০০ টাকা কেজি চাল হবে। বেগুন ৩০০। দুশো টাকা তো দেখেই ফেলেছি। দোকানদার দিদি নাতির বায়না সালাচ্ছিলেন। নাতি কাল চম্পাহাটিতে ফিরতে চায়। নাটকের পার্ট করবে কালীপূজায়। ... ...

বর্ধমান শহর স্বাস্থ্য উদ্ধারের শহর ছিল। বিদ্যাসাগর বঙ্কিমচন্দ্র দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ এই শহরে এসেছেন স্বাস্থ্য ভালো করবার আশায়। স্বাস্থ্য শহর থেকে মশা মাছি ধানের শহর কবে হল বর্ধমান? দিনক্ষণ লেখা নেই। তবে হল, একদিকে সিপাহি মহাবিদ্রোহ দমনের জন্য ক্যাম্পিং গ্রাউন্ডে সেনা শিবির অন্যদিকে রেল লাইন নির্মাণের জন্য কৃষি জমি দখল করে মাটি উঁচু রেলপথ নির্মাণ। জল নিকাশীর সহজ বন্দোবস্ত গেল ধ্বংস হয়ে। ম্যালেরিয়া এল। পথের পাঁচালী-র ইন্দির ঠাকরুণের দল বেঘোরে মরতে লাগলেন। জল নিকাশী ব্যবস্থা গড়ে না তোলায়। ... ...

যাই হোক, আমরা সাহস করে লাচুং এর বুকের পাথরে দাঁড়িয়েছিলাম, ঐ কতকটা মাঝ নদীতে বলা যায়। পায়ে হিম জলের ছিটে লাগছিল, হাত দিলে জল না ছুরি বোঝা দায়। হঠাৎ স্যার বললেন যে যেখানে আছ, নদী যে দিক থেকে আসছে সে দিকে ফিরে দাঁড়াও। আমরা ফিরে দাঁড়ালাম লাচুং এর উৎসের দিকে, আসলে অতীতের দিকে, ল্যান্ডস্কেপ কথা বলে উঠল। কানে তালা লেগে যাচ্ছে। সে কী শিহরণ! ঈশ্বর দর্শন কি এমনই হয়? ... ...

সুদীপ্তর সঙ্গে কথা বলে তৃপ্তি পেতাম। ওর বিশ্লেষণ শক্তি অসাধারণ, দৃষ্টি অনন্য। জটিল বা দৈনন্দিন যে কোন বিষয়ই হোক তার উপর সাধারণ মানুষের যা মতামত, তা ওর সঙ্গে আলোচনা করার পর বদলে যাবে। চিরদিনের লালিত ভাবনাকে নতুন করে চিন্তা করতে ইচ্ছা হবে। আমার অতি পরিচিত বস্তুকে এতকাল যে দৃষ্টিতে দেখেছি তার যে আরও একটা দিক আছে তা সুদীপ্তর সঙ্গে কথাবলার পর আবিষ্কার করেছি। নিরিবিলিতে আমাদের কথাবার্তা হত যখন আমরা পরস্পর পরস্পরের বাড়িতে যেতাম। ওরা যতদিন লন্ডনে ছিল ততদিন এমনই দেখা সাক্ষাৎ প্রায়ই হত। ... ...

গত এক হাজার বছরে বাঙালি বা ভারতীয় বা পৃথিবীর যেকোনও দেশের নাগরিক খেয়াল করবেন গত চার দশকে মানুষের মনোজগতে এক বিপুল পরিবর্তন হয়েছে। রেডিও এবং দূরদর্শন প্রথমদিকে মধ্যবিত্তের কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক জগতকে সযত্নে লালন করেছে। এবং দূরদর্শনে সিরিয়ালের আগমন পারিবারিক জীবনে পরিবর্তন আনতে শুরু করে। প্রথম প্রথম প্রতিবেশী বা আত্মীয় এলে একসঙ্গে বসে সিরিয়াল বা খবর বা খেলা দেখার চল ছিল। এরপর মধ্যবিত্ত পরিবারে সিরিয়ালের সময় কেউ এলে বিরক্তি উৎপাদন শুরু হল। ... ...

এক বিকালে দরজায় ঘন্টা বাজল। দরজা খুলে দেখি শ্মশ্রুশোভিত, দীর্ঘকেশ, ধুতি-পাঞ্জাবী পরিহিত এক যুবক। অচকিতে ঢিপ করে একটা প্রণাম করে বলল, “আমি আরিন্দম চক্রবর্তী।” আমি বললাম, “জানি, দেবাশিস আমাকে তোমার কথা বলেছে। ভিতরে এসো।” অনুর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলাম। সেই শুরু; আমরা হয়ে গেলাম ওর অনেক দিনের দাদা-বৌদি। ... ...

রেডিওর মানুষদের দেখা একটা বিরাট ব্যাপার ছিল তখন। রেডিওর কোনো মানুষকে প্রথম দেখি ১৯৮১-তে। সেকালে কোনও শিল্পীর পাশে বেতার খ্যাত লেখা মানে বিশাল ব্যাপার। ১৯৭৫-এ কলকাতায় টিভি এল। এর ১০ বছর পর মফস্বলে ভালো করে টিভি ছড়াল। বিশেষ করে রাজীব গান্ধীর কল্যাণে দূরদর্শনে রামায়ণ ধারাবাহিক সম্প্রচার হওয়ার পর। তার আগে টিভির গুরুত্ব ছিল বিশ্বকাপ ফুটবল ক্রিকেট ম্যাচ সংবাদ আর চিত্রহারে। মারাদোনা এবং আর্জেন্টিনা দলের জন্যও টিভি বিক্রি বেড়েছে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সময়। টিভি কোম্পানিগুলোর উচিত মারাদোনার পরিবারকে পয়সা দেওয়া এবং রামানন্দ সাগরের পরিবারকে। তার চেয়েও বেশি রাজীব গান্ধীর পরিবারকে। স্যাম পিত্রোদার সহায়তায় তথ্য ও সম্প্রচার ভারতে এক উন্মাদনা সৃষ্টি করে। এর সঙ্গে যোগ দিলেন প্রণয় রায়। প্রতি শুক্রবার রাতে বিশ্ব সংবাদের এক নতুন জগৎ খুলে দিলেন। খুল যা সিম সিম। যা টিভি দেখা অন্যায় মনে করতেন সেই বামপন্থীদের পরিবারেও টিভি ঢুকল। মানে ঢোকার একটা নৈতিক মতাদর্শ খাড়া করা গেল। প্রণয় রায় দেখা দরকার-- কী ভালো যে করছে লোকটা। ... ...

রেডিও চালানোর ঝকমারি ছিল অনেক। রেডিওতে অ্যান্টেনা উঠিয়ে প্রায় ২০ থেকে ৩০ ফুট একটা সোনালি রঙের জালি দেওয়া তার থাকতো, সেটা মাঝে মাঝে নাড়াতে হতো। নাহলে সিগন্যাল ভালো পাওয়া যেতো না। রেডিও চালানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করে লাইসেন্স নিতে হতো। যাদের বড় রেডিও তাঁদের দিতে হতো বার্ষিক ২০ টাকা। মাঝারি রেডিওর ১২ টাকা। ডাকঘরে গিয়ে পৌষ মাস তথা জানুয়ারি মাসে জমা দিতে হতো। ... ...

বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে আমরা একশ কুড়িজন ছাত্রছাত্রী। তার মধ্যে কুড়ি জন করে স্যার ম্যামেরা গ্রুপ ভাগ করে নিলেন। আমরা ব্রেবোর্নাইটরা সব রোল নাম্বারে মোটামুটি প্রথম কুড়ির মধ্যেই ছিলাম। আমাদের গ্রুপে উনিশটি মেয়ে এবং একটি ছেলে - তাপস। আসল নামটা বলেই দিলাম। প্রৌঢ় বয়সে কী বা যায় আসে? গ্রুপে সে বেচারা গোবেচারা হয়ে থাকতেই বাধ্য হয়েছিল। তবে এখন আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মেয়েদের যেমন নেকুপুশু ভাব দেখি, যন্ত্রপাতি বইতে হলেই - ‘ওরে, ছেলেরা, তোরা ধর’ - অমন আমরা মোটে ছিলামনা। ... ...

পোয়েটস কর্ণারটা একটু অন্যরকমের। এখানেও কবি ও কবিতা নিয়ে আলোচনা হত। তবে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হত অংশগ্রহণকারী কবিদের স্বরচিত কবিতা পাঠের উপর। এরকম আসরে আমি প্রায়ই যেতাম এবং মাঝে মাঝে অংশ নিতাম। নিজের কবিতা পড়তাম। একবার এমনই এক আসরে গিয়ে একটা নতুন কিছু পেলাম যা আমাকে চমক দিয়েছিল। এখানে কয়েকজন তরুণ তরুণী কবির সঙ্গে আলাপ হল। তাদের এক অভিনব কর্মকান্ড দেখে আমি অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম। ... ...

বন্ধু ভাস্কর দত্ত আনন্দবাজার পত্রিকার বাদল বোসের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিল। একদিন এক আড্ডায় বাদল বোস আমাকে বলল কলকাতার পাব্লিশার্স গিল্ড লন্ডনে বই মেলার আয়োজন করছে। আমি যদি ওদের বইগুলো আমার বাড়িতে রাখতে দিই তাহলে ওদের খুব উপকার হয়। আমি সানন্দে রাজী হলাম। যথাসময়ে বেশ কয়েক বাক্স বই আমার বাড়িতে এসে হাজির। এর কিছুদিন বাদে কলকাতা থেকে গিল্ডদের পক্ষ থেকে অনিল আচার্য্য ও শ্রীবিন্দু এলো লন্ডনে। ক্যামডেন টাউন হলে পূজা মণ্ডপে বই সাজানো হল। আমি ও অনু প্রতিদিন সব বইয়ের বাক্স আর অনিল ও শ্রীবিন্দুকে নিয়ে গাড়ী করে ক্যামডেন টাউন হলে যেতাম। গাড়ী থেকে বাক্স বাক্স বই নিয়ে টেবিলে সাজানো সবই আমাদের নিজে হাতে করতে হত। লন্ডনে কুলি মজুর বা কোন সাহায্যের লোক পাওয়া যেত না। তারপর টেবিলে বসতাম ও বই বিক্রি করতাম। ... ...

ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু হয়েছিল কলকাতা থেকে, এবং এই অসামান্য কাজটি করেছিলেন শিশিরকুমার মিত্র। ১৯২৬ এর ২৬ আগস্ট। এই আগস্ট মাসে কার্যত ভারতে বেতার সম্প্রচারের একশো বছর। কিন্তু কোথাও কোনও হেলদোল নেই। কলকাতার পর বেসরকারি উদ্যোগে বোম্বাই, কলকাতা ও মাদ্রাজে রেডিও ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৭ সালে 'ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি (IBC)' বোম্বে স্টেশন থেকে বেতার সম্প্রচারের শুরু করে। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার দেখলেন এত শক্তিশালী মাধ্যম। দখল নিলেন বেতার সম্প্রচারের। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হল সরকারের প্রতিষ্ঠান। ১৯৩৬এ নাম পরিবর্তন করে 'অল ইন্ডিয়া রেডিও'। পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর নাম দেন আকাশবাণী। ... ...

পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে ওপাশের ফিরতি পথের জিপ থেকে প্রশ্ন ভেসে আসে, কিছু দেখতে পেলেন ভাই? আমার ভ্রাতুষ্পুত্রের চটজলদি জবাব শুনে চমকে যাই - হ্যাঁ হ্যাঁ গাছে গাছে বুনো পিঁপড়ে দেখলাম প্রচুর। দুই জিপেই হাসির রোল ওঠে। হাসির রেশ শেষ হবার আগেই উল্টোমুখে চলতি জিপ দুটি পরস্পরের থেকে অদৃশ্য হয়। মনে ভাবি পুরোটাতো রসিকতা নয়। জঙ্গলকে বুঝতে হলে শুধু বড় বড় জন্তুজানোয়ার দেখাটাই সব নয়। বড় গাছ, ছোট গাছ, ঝোপঝাড়, লতাপাতা, কীটপতঙ্গ, পশুপাখি সবাইকে নিয়ে পুরো সংসারটাকেই অনুভব করতে হবে। ... ...