এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • দারা শুকোহ বনাম ঔরঙ্গজেব আর শান্তিদাস

    upal mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ২৪ মার্চ ২০২৫ | ৪৮৬ বার পঠিত
  • প্রাককথা

    শাহাজাদা দারা শুকোহ কে পাশ্চাত্যের কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন কলোনির সমর্থক ওরিয়েন্টালিস্ট হয়েও তুলনায় উদারচেতা ফরাসি পণ্ডিত প্রবর আব্রাহাম হায়াসিন্থ অক্তিল দুপেরন। তিনি শাজাহানের দরবারের সংস্কৃত পণ্ডিত কবিন্দাচার্য সরস্বতীর নেতৃত্বে ও দারার পরিপোষণায় উপনিষদের ফার্সি অনুবাদ প্রকল্প সিরর ই আকবর পড়ে এতোই অভিভূত হলেন যে একটা ল্যাটিন অনুবাদও করে ফেললেন। অক্তিল নিজে ‘প্রাচ্যকে উদ্ধার করতে কলোনি দরকার’ এই ওরিয়েন্টালিস্ট ধারণার সমর্থক হয়েও প্রথম থেকেই – ‘প্রাচ্য ব্যবস্থা মানেই স্বৈরাচারী’ বা প্রাচ্য স্বৈরাচারের একপেশে তত্ত্বের খণ্ডন করে এসেছেন। হয়ত গোঁড়া ওরিয়েন্টালিস্টদের পাল্টা যুক্তি দিতে এক উদারচেতা, সব মতের ভালোটা গ্রহণে সক্ষম বুদ্ধিজীবী হিসেবে তিনিই প্রথম শাহাজাদা দারাকে দেখতে শুরু করেন। এই কাজটা পাশ্চাত্যের বুদ্ধিজীবীদের কাছে ‘প্রাচ্যের নবজাগরণ’ তুল্য বোধ হয়ে হইচই ফেলে দেয়। পরে জার্মান দার্শনিক শপেনহয়াওয়ারকে অক্তিলের এই ল্যাটিন অনুবাদে এমনই মজে থাকতে দেখা যাচ্ছে যে তিনি নাকি বইটা বিছানার পাশে না রেখে ঘুমতে পারছেন না মোটে। একই সঙ্গে এই ন্যারেটিভে অপর হিসেবে কুচুটে, গোঁড়া আর ধর্মান্ধ মুসলমান হিসেবে, দারার হত্যাকারী ঔরঙ্গজেব একদম খাপে খাপ মিলে যায়। ব্যাস আর যায় কোথায়, গোটা ওরিয়েন্টালিস্ট চিন্তন বিশ্ব দারাকে নায়ক আর আলম গীরকে খলনায়ক বানিয়ে হিন্দুস্থানের ইতিহাস লিখে, আমাদের দাসত্ব প্রিয় কলোনির মাথা খাবার কাজটা সম্পন্ন করেছে। সে ইতিহাস দারা ভালো আর ঔরঙ্গজেব মন্দের বাইনারি। কিন্তু বাস্তবে দারা ব্যক্তিত্বের মানুষী চেহারাটা কি এতে ধরা পড়ে অথবা ঔরঙ্গজেবের সাফল্যের রসায়ন? বাস্তবে দারা শুকো হ ছিলেন একাধারে বুদ্ধিজীবী ও অত্যন্ত ক্ষমতার দম্ভে দাম্ভিক, দুর্মুখ আর অস্থিরচিত্ত সেনানায়ক যিনি রাজনৈতিক–সামরিক আঁতাত গড়তে ব্যর্থ হন। ঔরঙ্গজেবের ষড়যন্ত্র নয় এসবই তাঁর ব্যর্থতার কারণ নইলে বকলমে মোঘল তখতে থেকে, যাবতীয় শাহী মদত পেয়েও যুদ্ধে হারার কথা কি? সমসময়ে মোঘল দরবারের অনেকেই তাঁর দুর্ব্যবহারে অতিষ্ট ছিলেন কিন্তু শাহাজাদা এ বুলন্দ ইকবাল - সৌভাগ্যমণ্ডিত শাহাজাদা, শাজাহানের পছন্দের উত্তরাধিকারীর বিরুদ্ধে যেতে পারতেন না ভয়ে। শাজাহানকেও এ ব্যাপারে আশংকা প্রকাশ করতে দেখা যায়। বিপরীতে ঔরঙ্গজেব ছিলেন মোঘল  দরবারের রীতিনীতি মানা, ভদ্র বিনয়ী, দৃঢ় চেতা অথচ কুশলী যোদ্ধা আর সর্বোপরি রাজনৈতিক-সামরিক আঁতাত গড়তে দক্ষ এক ব্যক্তিত্ব। তাঁর সঙ্গে দরবারের আমির, উজির আর সেপাইসালারদের অনেকেরই সুসম্পর্ক ছিল আর দূরে দূরে থেকেও সুকৌশলে তিনি এটা বজায় রাখতেন। তাই বেশির ভাগ মোঘল অভিজাতই ক্রমে সম্ভাব্য বিজয়ীর সঙ্গে, যে ক্ষমতার জন্য সব কিছু করতে পারে সেই ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে ভিড়ে যায়। দারার ট্রাজেডি হলো যে এমনকি তাঁর বেয়াই মারওয়ারের রাজা যশবন্ত সিংহও দেওরাইয়ের নির্ধারক যুদ্ধে সুযোগ বুঝে তাঁকে ছেড়ে নিরপেক্ষ থেকে গেলেন। পরে ওই পণ্ডিত ও কবি রাঠোর রাজকে আলমগীরের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা যাবে। শান্তি দাস জহুরি যিনি ছিলেন বিখ্যাত ব্যবসায়ী ও মোঘল রাজশক্তির টাকার যোগানদার, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের নিরিখে কলোনির সযত্ন লালিত দারা - ঔরঙ্গজেব বাইনারি তত্ত্ব ভেঙে যায়।

    দারা শুকোহ কি পড়াশোনা, আধ্যাত্মিকতার জগতে জীবন যাপন করে বৈভবের বাস্তব জগৎ আর ক্ষমতা বিমুখ হয়ে পড়েছিলেন? তাঁর চালচলন দেখে সে মনে হয় না। তিনি যে ক্ষমতা বৃত্তের কেন্দ্রে ছিলেন তা হাড়ে হাড়ে পান ঔরঙ্গজেব। জাহানারার কাছে একাধিক চিঠিতে দারার বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেছেন তিনি।তাছাড়া দারা পেল্লায় বাড়ি বানাতে, দামি দামি জিনিস হীরে–জহরত কিনতে কম যাননি। গুজরাটি হীরে জহরতের, স্বর্ণমুদ্রার (বুলিয়ন) সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী, বাদশাহের টাকার যোগানদার শান্তিদাসের সঙ্গে দারা আর ঔরঙ্গজেবের সম্পর্কের তুলনা টানলে দারার টন টনে বিষয় জ্ঞান আর ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে তাঁর টেনশনের আসল চেহারাটা বেরিয়ে আসে। বেশ খানিক আলো পড়ে আসল ঘটনায়।

    * শান্তিদাসের সঙ্গে ঔরঙ্গজেবের সম্পর্ক : শাহাজাদার মন্দির ভাঙ্গা ও বাদশাহের মন্দির দান

    ১) অভিযোগ ষোলোশো পয়ঁতাল্লিশে গুজরাটে সুবেদার থাকার সময় ঔরঙ্গজেব শান্তিদাসের তৈরি পারশনাথ মন্দির অপবিত্রকরণ করেন। বিগ্রহের অঙ্গহানী করা হয়। এর ভিত্তি হিসেবে ফার্সি সূত্রে অজানা লেখকের মিরাত-এ আহমাদির বর্ণনায় মন্দির অপবিত্র করে সেখানে কোবাল-উল ইসলাম (Quvval-ul-Islam) নামের একটা মসজিদ বানানর কথা জানা যাচ্ছে হয়। ফরাসি পর্যটক জন দ্য থেভেনটের বিবরণীতে এবিষয়ে আর একটু বিশদে উল্লেখ করা হয় কিন্তু অধ্যাপক রিচার্ড ম্যাক্সওয়েল ইটন যে ইন্দো-মুসলিম শাসকের মন্দির অপবিত্রকরণের তালিকা দিয়েছেন তাতে এর কথা বলা নেই। *আরেক ইতিহাসকার সুপ্রিয়া গান্ধি অবশ্য এই ঘটনার উল্লেখ করছেন।

    ২) তিনি বলছেন এরপরও ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে শান্তিদাসের সম্পর্ক ছিল। ষোলোশো ছাপান্নর মাঝামাঝি ঔরঙ্গজেবের এক চিঠির উল্লেখ করছেন সুপ্রিয়া, সেটা তিনি পেয়েছেন সায়িদ আকবরালি ইব্রাহিমালি তিরমিজির মোঘল ডকুমেন্টস, খণ্ড দুই থেকে (The Emperor who never was Dara shukoh in Mughal India page 204) যে চিঠিতে শাহাজাদা নিম্নমানের জিনিস (হীরে-জহরত?) দেওয়ার জন্য শান্তিদাসকে কড়কানোর পর এক দামি কাপড়ও উপহার হিসেবে দিলেন। অর্থাৎ সালতানাতের টাকার যোগানদারের সঙ্গে শাহাজাদার অম্লমধুর সম্পর্ক, কখন কী কাজে লাগে!

    ৩) ক্ষমতা দখলের যুদ্ধে শান্তিদাস যে মুরাদ ও ঔরঙ্গজেবকে সাহায্য করেন তার প্রমাণ  আছে ঔরঙ্গজেব আলমগীরের ষোলোশো ষাটের মার্চ মাসের ফরমানে সেখানে দেখা যাচ্ছে ফৌজকে সাহায্যের জন্য গ্রাম ও মন্দির দান করা হচ্ছে শ্রাবক সম্প্রদায়ের শান্তিদাসকে। সম্প্রদায়গত চারণভূমি ও জঙ্গলের অধিকার দেওয়া হচ্ছে শ্রাবক সম্প্রদায়কে। মন্দির ও বন সম্পদ রক্ষার কথা বলছে ফরমান। এই ফরমানকে - শান্তিদাসকে আবু ও গিরনার দানের ফরমান বলে উল্লেখ করছে অধ্যাপক এম এস কমিসারিয়েটের স্টাডিস ইন দ্যা হিস্ট্রি অফ গুজরাট বইটার ডিসকভারি অফ নিউ ফরমানস অন শান্তিদাস অধ্যায়, চুয়াত্তর পাতায়। পুরো ফরমানটার ইংরিজি দেওয়া হল :

    In the name of Allah, the compassionate and the merciful. (Toghra in vermilion).
    * O ye Faithful, obey God and obey the 4 Aura eb’a ^ ro P^ et atJ d those in authority from amongst you. grant oi Abu ( Square lineal seal)
    *Abul Muzaffar Mubi-ud*
    SbanHdas^ 12 Muhammad Aurangzeb Alamgir Badsbah
    Ghazi.
    March. * 1660.

    At this time the exalted Farman is issued. that since Satidas Jawahari, son of Sahasbhai, of the Srawak 1 community, has solicited and been hopeful for special favours, and I has greatly helped the army during its march with provisions, and l expects to be honoured with special rewards, therefore, the village (deh) of Palitana, which is under the jurisdiction of Abmadabad, and the bill of Palitana famous as Satrunja, and the temple on it, all these we give to the said Satidas Jawahari of the Srawak community. Further that the grass which grows there may be used for grazing by the animals and cattle of the Srawak community ; and the timber and fuel which is to be found on the hill of Satrunja should belong to the Srawak community so that they may utilise these for whatever purpose they like. Whoever guards the hill of Satrunja and the temple should be entitled to the income of Palitana and they should continue in prayer for the maintenance of the eternal government.

    * শান্তিদাসের সঙ্গে দারার সম্পর্ক : শাহী ক্ষমতা প্রয়োগ

    ১ ) ঔরঙ্গজেবের শান্তিদাসের তৈরি পারশনাথ মন্দিরে কিছু হস্তক্ষেপের বিষয়ে শাহাজাদা দারা শুকোহর একটা আদেশ –নিশান লভ্য। যার তারিখ ষোলোশো আটচল্লিশের তেসরা জুলাই যখন দারাকে গুজরাতের সুবেদার করা হয় শায়েস্তা খানের জায়গায় তিনি নিজে দরবারে থেকে গেইরাত খানকে পাঠিয়েছিলেন তাঁর হয়ে নায়েব হিসেবে কাজের জন্য। সে সময়ের নিশানে ঔরঙ্গজেবের মন্দির অপবিত্রকরণের বিষয়ে কিছু বলা হয় না। কিন্তু মনে করিয়ে দেওয়া হয় আগের সুবেদার শায়েস্তা খানকে দেওয়া একটা আদেশের কথা।

    সেই আদেশে বলা ছিলঃ শান্তিদাসকে বাদশাহের দেওয়া মন্দিরের জমিতে, শাহাজাদা ঔরঙ্গজেব বাহাদুর কিছু মিরহাব বা প্রার্থনা করার জন্য মক্কার দিক নির্দেশক আর্চ বানিয়ে একটা মসজিদ করেছিলেন। সেই জমি যেহেতু শান্তিদাসের তাই মোল্লা আব্দুল হাকিম নামের জনৈক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে অলঙ্ঘ্য ইসলামী আইন মোতাবেক সেখানে মসজিদ হতে পারে না। তাই বিখ্যাত শাহাজাদার তৈরি মিরহাব সরিয়ে জমি শান্তিদাসকে প্রত্যার্পণ করতে হবে।

    ওই আদেশনামার উল্লেখ করে দারার নিশান বলল : বিজেতা শাহজাদার তৈরি মিরহাব রাখা হোক কিন্তু মন্দির আর মিরহাবের মধ্যে তুলতে হবে দেওয়াল। যেহেতু বাদশাহের দান তাই শান্তিদাসকে তাঁর ধর্মমতে উপাসনা করতে দিতে হবে মন্দিরে। যে সব ফকিররা সেখানে রয়েছে তারাও যেন চলে যায়। বোহরারা মন্দিরের অংশ (material) নিয়ে গেলে তা যেন তারা ফেরত দেয়। ব্যবহার করে থাকলে যেন মূল্য ধরে দেয় ইত্যাদি। দারার পুরো আদেশনামা-নিশান আছে অধ্যাপক এম এস কমিসারিয়েটের স্টাডিস ইন দ্যা হিস্ট্রি অফ গুজরাট বইটার, ফ্যামিলি এন্ড কেরিয়ার অফ শান্তিদাস জহুরি অধ্যায়ে, আটান্ন থেকে উনষাট পাতায়।

    একটা জিনিস পরিষ্কার দারা ন্যায় বিধানে শাহী ক্ষমতার সুপ্রয়োগ করলেন।

    ২) ষোলোশো পঞ্চান্নর একটা চিঠিতে শাহাজাদা দারা শুকোহকে বৈষয়িক ঔরঙ্গজেবের মতোই শান্তিদাসকে কড়কাতে দেখা যাচ্ছে। অভিযোগ, কেন তিনি অন্যকে, মানে ধরেই নেওয়া যায় ঔরঙ্গজেবকে, দামি হীরে-জহরত পাঠাচ্ছেন। এখানেই না থেমে দারা শাহী ঘ্যাম দেখিয়ে পরিষ্কার হুমকি দিচ্ছেন সাড়ে আটতিরিশ ক্যারাটের এক পেল্লায় হীরে (বর্তমানে কোহিনূরের একতৃতীয়াংশের বেশি!) অবিলম্বে পাঠান, না হলে শাজাহানের কাছে খবর হবে। পরিষ্কার শাহী ক্ষমতা দেখিয়ে চাপ সৃষ্টির উদাহরণ এটা।
    সূত্র :
    1) স্টাডিস ইন দ্যা হিস্ট্রি অফ গুজরাট, অধ্যাপক এম এস কমিসারিয়েট
    2) The Emperor who never was Dara shukoh in Mughal India সুপ্রিয়া গান্ধী
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৪ মার্চ ২০২৫ | ৪৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • MP | 2409:4060:2d1c:43a5:f68d:8163:1fe8:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২৫ ২৩:১০541889
  • উপলবাবু , দারা আর আলমগীরের লড়াইটাই কি স্বাভাবিক ছিলো ? অটোমান সুলতানদের সময়েও যেমন একজন সুলতান অন্য সব ভাইকেই মেরে ফেলতেন এটা কি সেরকমই ?
  • upal mukhopadhyay | ২৫ মার্চ ২০২৫ ০০:০৯541895
  • প্রথমে সুজা তারপর মুরাদ নিজেদের বাদশাহ ঘোষণা করেন ।ঔরঙ্গজেব সবচেয়ে শেষে ময়দানে নেমেছিলেন অনেক হিসেবের পর 
  • MP | 2401:4900:733a:d7f4:3c51:3805:b481:***:*** | ২৫ মার্চ ২০২৫ ০৭:২৬541900
  • @উপলবাবু , ঠিকই বলেছেন l আসলে আমার প্রশ্ন ছিল যে আলমগীরের কাছে কি আর কোনো অপশন্স ছিলো নিজের অস্তিত্ব রক্ষার্থে দারার বিরুদ্ধে না গিয়ে ? ধরুন দারা আজকে দিল্লিতে নিজেকে বাদশাহ ঘোষণা করে দিলেন এবং সেক্ষেত্রে উনি যে চোখে আলমগীরকে বা অন্য ভাইদের দেখতেন সেক্ষেত্রে উনিও কি চাইতেননা নিজের সব ভাইদের খুন করে নিস্কন্টক হতে ? ঠিক যেটি সমসাময়িক অটোমান বাদশারা করতেন যেমন শাহজাহানের সমসাময়িক অটোমান সম্রাট চতুর্থ মুরাদ করেছিলেন l আমি কি ঠিক পথেই ভাবছি ? 
  • upal mukhopadhyay | ২৫ মার্চ ২০২৫ ০৯:০১541902
  • আপনি যা বলছেন ত্রুসকেও তাই বলেন । দারা এলে উল্টোটাই হতো ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন