এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  •  মিশ্র সংস্কৃতির ঐতিহ্য ১ : সঙ্গীত

    Eman Bhasha লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৬৪ বার পঠিত
  • মিশ্র সংস্কৃতি ও ভারত
    ইমানুল হক

    তবলা আবিষ্কার করেন আলাউদ্দিন খিলজির সভাসদ আমীর খসরু। খেয়াল প্রথম গাওয়া হয় তাঁর দরবারে। প্রবর্তক আমীর খসরু।
    আলাউদ্দিন খিলজি ছিলেন সঙ্গীত প্রিয় নিজে 'নারাং' নামে বাদ্যযন্ত্র বাজাতে ভালবাসতেন।
    (সূত্র: সঙ্গীত রত্নাকর)
    আবার মজার বিষয়, সঙ্গীতে যে লক্ষ্ণৌ আগ্রার এতো নাম সেই আগ্রায় খেয়াল আসে গোয়ালিয়র থেকে। (সূত্র: কুদরত রঙ্গিবিরঙ্গি, কুমারপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, পৃ. ১৫)।
    খুদা বখ্শ নামে আগ্রা ঘরানার একজন নামজাদা গায়ক আগ্রা থেকে গোয়ালিয়র যান আনুমানিক ২২৫ বছর আগে। নথ্থন পীর বখশের কাছে তালিম। খুদা বখ্শ ছিলেন ধ্রুপদ ধামারের রাজা। কিন্তু তাঁর গলা এত কর্কশ ছিল, লোকে তাঁকে, ঘগ্গে খুদা বখ্শ বলে ডাকত। নথ্থন পীর বখশ তাঁকে প্রথমে স্বরসাধনা, পরে নানান গোয়ালিয়র ঘরানার খেয়াল টপ্পার তালিম দেন। 
    এরপর ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলেন। লোকে তো নথ্থন বখশের গলা ও গায়কী শুনে অবাক। হলো কী?
    অবস্থা এমন দাঁড়ায়, বিয়ে শাদিতে তখন মাইক রেকর্ড ছিল না, জলসা / মেহফিল  বসতো।   সেখানে নথ্থন বখশকে কেউ গাইতে দিতেন না। কারণ তাঁর শুনে লোকে কেঁদে আকুল হয়ে যেতো। 
    বলা হয়, ভাস্কর বুয়া ছাড়া নথ্থন বখশের মতো সঙ্গীত পরিবেশন করতে পারেন নি।
    এই ভাস্কর বুয়ার সঙ্গে তাঁর গুরুদের সম্পর্ক আজ ইতিহাস।
    গরিব মারাঠা পরিবারের সন্তান ভাস্কর বুয়া। জন্ম ১৮৬৯-এ। তৎকালীন বরোদা স্টেটের এক গ্রামের ছেলে। ভাস্কর বুয়ার গলা সুরেলা। পেটের দায়ে কাজ করেছেন‌ নাট্য কোম্পানিতে। কির্লোস্কার নাট্ কোম্পানি। তিনি স্ত্রী চরিত্রে অভিনয় করতেন। মারাঠি 'রামরাজ্যবিয়োগ' নাটকে রামের পিতা দশরথের সুন্দর স্ত্রী 'কুখ্যাতা'  কৈকেয়ীর চরিত্রে অভিনয় ও গান করে খ্যাতি হয়। তখন নাটক ও নাট্যসঙ্গীতের প্রতি আকর্ষণ ছিল ওস্তাদ গাইয়েদের। ইন্দোরে এসেছে কির্লোস্কার কোম্পানি। ইন্দোর রাজসভায় সভাগায়ক প্রবাদপ্রতিম হদ্দু খাঁ-র জামাই বন্দে আলি খাঁ। তিনি তো ভাস্কর বুয়ার গান শুনে মাত। পরপর দুদিন গেলেন নাটক দেখতে। নিজের পাখোয়াজ বাদক নানা পাসনে-কে বললেন, ওঁকে আমার চাই। বাড়িতে এনে রাজার কাছ থেকে চানা মিঠাই এনে খাইয়ে বললেন, শাগরেদ হও। আরো মিঠা গান শেখাবে। ভাস্কর বুয়া জানালেন, আমার তো পয়সা নেই।  বন্দে আলি খাঁ নিজের জেব/ পকেট থেকে একটা তামার পয়সা ও এক পাই বের করে দিয়ে বললেন, এই তোমার গুরুদক্ষিণা।
    বন্দে আলি খাঁ একবার সঙ্গীত আসরে শাগরেদ ভাস্কর বুয়াকে থাপ্পড় মারেন। কারণ? ভাস্কর বুয়া আসরে জোরে জোরে তানপুরা বাজাচ্ছিলেন। বন্দে আলি খাঁ বলেন, লোকে তোমার তানপুরা শুনতে এসেছে না আমার বীণ?

    সারাজীবন ভাস্কর বুয়া এটা স্মরণ করতেন। গর্বের সঙ্গে। আমি কে জানো? বন্দে আলি খাঁ-র ঝাপড় খেয়েছি।

    এরপর ভাস্কর বুয়ার গলা ভাঙ্গে। নাটকের দলের কাজ যায়।  জোটেন ফয়েজ মহম্মদ খাঁয়ের কাছে। বরোদা স্টেটের শিক্ষা বিভাগের তেলং শাস্ত্রীর সুপারিশে। ফয়েজ মহম্মদ খাঁয়ের কাছে ভাস্কর হয়ে উঠলেন পাকা ওস্তাদ। ফয়েজ মহম্মদ খাঁ ছিলেন মেজাজি। একবার গান শেখাতে শেখাতে ফয়েজ মহম্মদ খাঁয়ের গলায় পানের কুচি আটকে যায়। মুখের সেই চেবানো পান নিজের হাতে ধরে বাইরে ফেলে আসেন ভাস্কর বুয়া।
    ভাস্কর বুয়া গুরুর পা হাত টেপা সব করতেন।   ভাস্করের গুরুভক্তির পরীক্ষা নেওয়ার জন্য পেঁয়াজ রসুন পর্যন্ত না ছোঁয়া ভাস্কর বাখলে পণ্ডিত গোরুর মাংস কিনে গুরুর তত্ত্বাবধানে রান্না করে খেতে দেন।
    কেন? 
    ভাস্কর বুয়া তাঁর বন্ধুকে বলেছিলেন, পিতা জন্ম দিয়েছেন, ছোটো বেলায় খেতে দিয়েছেন। ওস্তাদ দিয়েছেন বিদ্যা। যার চেয়ে বড় জিনিস আর পৃথিবীতে নেই।
    গুরুর আদেশ পালন না করলে সব বৃথা।
    আজকের বিদ্বেষ মুখর ভারতে এ কাহিনি অলীক মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই আবহমান ভারত। আবহমান বাংলা।

    ফয়েজ মহম্মদ খাঁ শিষ্যকে আরো শেখানোর জন্য পাঠালেন নথ্থন খাঁয়ের কাছে। নথ্থন খাঁ কিছুই শেখান না। কোনো বনেদি ঘরের ছেলে নয়। নথ্থন খাঁয়ের স্ত্রী জসিয়া বেগম শেখালেন সঙ্গীত। নথ্থন খাঁ ছেলে আব্দুল্লাহকে যা যা শেখাতেন তাই শেখালেন জসিয়া বেগম। গুরুর অজ্ঞাতে। তারপর অমৃতসরে সঙ্গীত সম্মেলন। গুরু নথ্থন খাঁ গেছেন বন্ধুর বাড়ি নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে। ভাস্কর তানপুরা নিয়ে রেওয়াজ করছেন তাঁবুতে। শুনে ভিড় জমে গেল। লোকে ধরল ওকে আধঘন্টা গাইতে দিতেই হবে। নথ্থন রাজি নন। ছোকরাকে তো কিছুই শেখাননি।  অবশেষে রাজি হলেন। শেষে আসরে গান শুনে তাজ্জব। ছোকরা এত ভালো শিখলো কী করে। ভাস্কর বুয়া গুরুর পা ধরে জানালেন রহস্য। নথ্থন খাঁ নিজের ছেলের চেয়েও বেশি যোগ্য মনে করে দরদ দিয়ে শেখাতে লাগলেন।
    ৪.
    ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ আর ওস্তাদ আলি আকবর খাঁ এবং পণ্ডিত  রবিশঙ্করের সম্পর্ক তো সবার জানা। নিজের মেয়ে অন্নপূর্ণার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন প্রিয় শিষ্য রবিশঙ্করের।
    ৫.

    সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রথম দিকের শিক্ষাগুরু ছিলেন আচার্য যামিনী গঙ্গোপাধ্যায়। তারপর চিন্ময় লাহিড়ির কাছে অল্পদিন।  এরপর  বড়দা রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের কাছে নিয়ে যান এবং সেখানেই উস্তাদ বড়ে গোলাম আলির কাছে ‘গন্ডা’ বেঁধে গান শিখতে শুরু করেন। পরবতীকালে উস্তাদজির ছেলে মুনাব্বর আলির কাছেও তিনি তালিম নেন।
    লতা মঙ্গেশকরের গলায় প্যায়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া--'মুঘল-ই-আজম' ছবির এই গান নৌশাদের লেখায় ভারতের প্রেমসঙ্গীত হয়েছিল।

    সারে জঁহাসে আচ্ছা হিন্দুস্তান হামারার লেখকের নাম আল্লামা ইকবাল। তিনি পরে পাকিস্তানের জাতীয় কবি হন। আর এর জবাবে আন্তর্জাতিকতার জন্ম দিলেন শাহির লুধিয়ানভি। 
    লিখলেন,  
    চীন-ও-আরব হামারা, হিন্দুস্তান হামারা/ রহনে কোন ঘর নেহি হ্যায়/ সারা জাহান হামারা।

    গানটি গেয়েছেন মুকেশ। আমার সবচেয়ে প্রিয় শিল্পী মুকেশ। ছবির নাম ফির সুবাহ হোগি। পরিচালক রমেশ সেহগাল। সঙ্গীত পরিচালক খৈয়াম।  রাজ কাপুর দরিদ্র যুবক। তাঁর চরিত্রের নাম রাম।  রাম মায়ের মানি অর্ডারের অপেক্ষায় থাকে।   একদিন মানি অর্ডার আসে না। লালার কাছে সব বন্ধক দেয়। তবু সমস্যা মেটে না। রাম কলেজের বেতন দিতে পারে না। বাড়ি ভাড়াও বাকি পড়ে। রামকে আর্থিকভাবে সাহায্য করে রহমান। এরমধ্যেই রাম প্রেমে পড়ে সোনি নামে এক তরুণীর। সোনির বাবা মাতাল। ঋণে জর্জরিত। রাম সোনিকে সাহায্য করে। 

    গৃহহীন আশ্রয়হীন রামের কন্ঠে শাহির লুধিয়ানভি দেন এই অসাধারণ গান। চীন আরব হিন্দুস্তান সব আমাদের। কিন্তু থাকার মতো ঘর নেই। বড় বড় প্রাসাদ সব শেঠদের। গরিবের জন্য আছে ফুটপাত। বিপ্লবী সাম্যবাদী সঙ্গীতকার শাহির লুধিয়ানভি। জাতীয়তাবাদের মোহ তাঁকে ভোলাতে পারেনি। সারা দুনিয়ার গরিবের ঘর নেই ধনীর আছে। 
     ৭.
    কবীর ছিলেন জোলা। কবীর রামানন্দের শিষ্য। 
    কবীরের পুত্র কমাল বা কামাল দীক্ষা দিয়েছিলেন দদ্দু বা দাদুকে। দাদু সকলকে 'দাদা দাদা' বলে সম্বোধন করতেন, তাই লোকে নাম দেন, দাদু বা দদ্দু। তিনি ব্রহ্মাকে গুরু মানতেন। প্রচলিত অর্থে নিরক্ষর। কিন্তু প্রবল জ্ঞানী প্রজ্ঞাবান। তিনি আল্লা, নারায়ণ, রাম, খোদা শব্দ ব্যবহার করেছেন ব্রহ্মাকে বোঝাতেই।
    তিনি গেয়েছেন:
    ঘীব দুধমে রমি রহা
    ব্যাপক সবই ঠৌর।
    দাদু বক্তা বহুত হৈঁ
    মথি কাঢ়হিঁ তে ঔর।
     

    ঘি রমণ করছে দুধের মধ্যে, তিনি ব্যাপক সকল স্থানেই। হে দাদু, বক্তা আছেন অনেক, কিন্তু মন্থন করে বার করবার লোক আলাদা।

    ভারত বাংলাদেশে মিশ্র সংস্কৃতির ইতিহাস ছড়ানো।
    তাকে মন্থন করার লেখক কোথায়?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৬৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন