সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোনআলোচনা | রাজনীতি | ০৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৫৩৬ বার পঠিত
সব যখন লিখছি, এটাও লিখতে হবে। দুদিন আগে অবশেষে জুনিয়ার-ডাক্তাররা সিবিআইকে কিছু প্রশ্ন করতে পেরেছেন। আশি দিন পেরিয়ে যাবার পর। সেটা অভিনন্দনযোগ্য। সাংবাদিকে বৈঠক করে জানিয়েছেন। সিবিআইয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন, তাঁদের বলেননি কেন, নিয়মিত আপডেটের দাবী করেননি কেন, বা বললে কী উত্তর পেয়েছেন, জানা নেই। মিডিয়াতেও যা করেছেন, তাতেও হোমওয়ার্কের এত অভাব কেন বোঝা দুষ্কর। তাহলেও পুরো প্রশ্নগুলো এক এক করে দেখা জরুরি।
পুরো সাংবাদিক সম্মেলনের অডিও ভিশুয়াল পাইনি। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে দেবাশিস হালদারের উদ্ধৃতি দেওয়া পুরো বক্তব্যটা পেয়েছি এবিপি আনন্দে। সেগুলো টুকরো করে নিয়ে দেখা যাক। উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে দেবাশিসের বক্তব্য, নিচে আমার মন্তব্য।
১। "সৎকারের কাজে পুলিশের এত দ্রুততার কারণ কী ? কে নির্দেশ দিয়েছিল ? কার নির্দেশে মৃতদেহ সৎকারের সময় বাড়ির লোকেদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি ?" এতে হোমওয়ার্কের অভাব প্রবল, অথবা ইচ্ছে করে কিছু ভুল তথ্য গুঁজে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির লোকেদের সৎকারে যেতে দেওয়া হয়নি, এরকম কোনো অভিযোগ কোথাও পাওয়া যায়নি। দ্রুততার সঙ্গে সৎকার হয়েছে, ঠিক, কীভাবে হয়েছে, সে নিয়ে পাবলিক ডোমেনেই প্রচুর তথ্য আছে। তারপরেও সিবিআইয়ের কাছে প্রশ্ন করাটা ভ্যালিড।
২। "চার্জশিট অনুযায়ী, সঞ্জয় রায় ভোর ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ আরজি কর হাসপাতালে ঢোকে। তারপর ট্রমা কেয়ার বিল্ডিংয়ে যায় ৩টে 34 মিনিটে। বেরিয়ে আসে ৩টে ৩৬ মিনিটে। এরপর এমার্জেন্স বিল্ডিংয়ের ফোর্থ ফ্লোরে সে যায়। সময় দেওয়া নেই। ৪টে ৩ মিনিটে থার্ড ফ্লোরে চেস্ট মেডিসির ওয়ার্ডের সিসি টিভিতে তাকে দেখা যায়। এর মাঝে প্রায় আধ ঘণ্টা সময় সে কি ফোর্থ ফ্লোরে ছিল ? ফোর্থ ফ্লোরে সে ঠিক কী করছিল ?" এটা জানতে চাওয়া উচিতই। তিনভাবে এটা জানা যায়। কল রেকর্ড দেখে। সিসিটিভিতে যেটুকু আছে, দেখে। অথবা প্রত্যক্ষদর্শী কিছু পাওয়া গেছে কিনা। তিনটেই সিবিআইয়ের কাছে থাকার কথা। উত্তর না দিতে পারলে বুঝতে হবে, ফাঁকিবাজি আছে।
৩। "সঞ্জয় রায়ের শরীরে আঘাতের চিহ্নগুলো নির্যাতিতার প্রতিরোধের কারণেই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। নির্যাতিতার নখের যে নমুনা নেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার জন্য, তাতে কি সঞ্জয় রায়ের টিস্যু পাওয়া গিয়েছে ? উল্লেখ নেই চার্জশিটে। কেন ?" এর দুটোই বিকল্প হতে পারে। এক, টিসু পাওয়া যায়নি। দুই, ফরেনসিক রিপোর্ট আসেনি। দুটোই সিবিআই য়ের জানার কথা।
৪। "সঞ্জয় রায়ের ব্লুটুথ এয়ারফোনের উপর ভিত্তি করে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। চার্জশিটে চেস্ট মেডিসিন সিসি টিভিতে সঞ্জয় রায়ের গতিবিধির বর্ণনা দেওয়া আছে। ৪টে ৩ মিনিট নাগাদ গলায় ব্লুটুথ এয়ারফোন গলায় সঞ্জয় ক্যামেরার ডান দিক থেকে ওয়ার্ডের দিকে যায়। ৪টে ৩২-এ সে ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যায়। তখন তার গলায় এয়ারফোন ছিল না। এরমধ্যে একবার ৪টে ৩১ মিনিটে ওয়ার্ড থেকে তাকে ক্যামেরার দিকে যেতে দেখা যায়। আবার সে ওয়ার্ডে ফিরে য়ায়। লক্ষণীয়ভাবে, এই সময় তার গলায় এয়ারফোন ছিল কি ছিল না, চার্জশিটে তার উল্লেখ নেই। কেন ?" এটার প্রাসঙ্গিকতা বুঝিনি। কিন্তু সিবিআইয়ের উত্তর দিতে পারা উচিত। যদি না ফাঁকি মেরে থাকে।
৫। "সাদা গাঢ় তরলের উল্লেখ কেন নেই চার্জশিটে তার জবাব আমরা চাই।"
এইটাই সেই সুবিখ্যাত ১৫০ গ্রাম। এরও দুটো বিকল্প। ফরেনসিক রিপোর্ট আসেনি। অথবা, খুব সম্ভবত গাঢ় তরলটিতে বীর্য ছিলনা, বা যেভাবে এবং যে পরিমানে ছিল, তার ডিএনএ বিশ্লেষণ করা যায়নি। যদি আদৌ কিছুই না পাওয়া যায়, তো গণ-ধর্ষণ ন্যারেটিভটাই ভেঙ্গে পড়ে। ফলে এটা জানা ভীষণ দরকার।
এখনও পর্যন্ত চার্জশিটে যা পাওয়া গেছে, তা হল সঞ্জয় রাইয়ের পোশাকে নির্যাতিতার রক্ত পাওয়া গেছে। আর নির্যাতিতার শরীরে সঞ্জয় রাইয়ের লালা। এবং সন্দেহাতীতভাবে সঞ্জয় রাই, ঘটনার মোটামুটি সময়ে ঘটনাস্থলে ছিল। ফলে শারীরিক সংযোগ রক্তারক্তি অবশ্যই হয়েছে। কিন্তু দুটোই পারিপার্শ্বিক প্রমাণ। সেটাও খুনের। গণ তো নয়ই, ধর্ষণেরও কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ চার্জশিটে নেই। পরে হয়তো যোগ করা হবে, কিন্তু আপাতত নেই। ফলে এর মধ্যে কয়েকটা প্রশ্ন খুবই জরুরি।
এই হল ওঁদের বক্তব্য। যে বিষয়গুলো কৌতুহলোদ্দীপক, তা হলঃ ১। এগুলো সিবিআইকে আদৌ দেওয়া হয়েছে কিনা জানা নেই। ২। সাক্ষ্যপ্রমাণ গায়েব হয়েছে, ময়নাতদন্ত ঠিক হয়নি, বা পাশের বাথরুম ভেঙে ফেলা হয়েছিল সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য, এ সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন নেই। ওগুলো যে ঠিক নয়, সে তো আগেই দেখা গিয়েছিল। জুনিয়ার ডাক্তারও মোটামুটি মেনে নিয়েছেন দেখা যাচ্ছে, কেন আগে বলেননি, সে নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা অবশ্য দেননি। যাহোক, এগুলো বলায়, অনেক লোক গাল খেয়েছিলেন, দেখা যাচ্ছে, অকারণেই খেয়েছিলেন। ৩। এই তালিকায় অনেক গুলো প্রশ্নই জরুরি। পরে আরও প্রশ্ন আসতেও পারে। কিন্তু সিবিআইয়ের কাছে নিয়মিত আপডেটের কোনো দাবীও এখনও নেই। সিবিআইকে ওঁরা আদৌ চাপ দিতে চান, নাকি করতে-হয় কটা প্রশ্ন করে দিলেন, বোঝা যাচ্ছেনা।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
দীপ | 2402:3a80:196b:73fe:678:5634:1232:***:*** | ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৩৪539103
আগের মৃতদেহ রেখে নির্যাতিতা চিকিৎসকের মৃতদেহ সৎকার করা হয়েছিল। শ্মশান ম্যানেজারের বক্তব্য।
দীপ | 2402:3a80:196b:73fe:678:5634:1232:***:*** | ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৫৬539104
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার বাবা জানান, তাঁর মনে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠেছে, সেগুলোই তিনি জানাতে চান এবং জবাবও চান । কোন কোন বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেখে নিন
হাসপাতালের তরফে প্রথমে কোনও মেডিকেল টেস্ট করা হয়নি । তাহলে কীভাবে কোনও পরীক্ষা ছাড়াই বলা হল যে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন?
মেয়েকে দেখার জন্য দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালে তাঁদের অপেক্ষা করতে হয়েছে । মেয়ের মুখ দেখার জন্য ওর মা পুলিশের হাতে-পায়ে ধরেছেন । কিন্তু, কেন মেয়েকে দেখার জন্য সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হল ?
ময়নাতদন্তে কেন দেরি হয়েছে?
টালা থানা অনেক দেরিতে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে । নির্যাতিতার বাবার দাবি, তিনি এফআই করেছেন সন্ধ্যা সাড়ে ৬’টা থেকে ৭টার মধ্যে। কিন্তু সেই এফআইআর রাত পৌনে ১২টায় দায়ের করা হয়েছে । কেন এত দেরি করে এফআইআর দায়ের হল, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ।
দীপ | 2402:3a80:196b:73fe:678:5634:1232:***:*** | ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:০০539105
এই সময়: আরও একবার টাকার বিনিময়ে মুখ বন্ধ করানোর অভিযোগে সরব হলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকদের ডাকা আলো বন্ধ করে প্রতিবাদে সামিল হতে এদিন হাজির ছিলেন নির্যতিতার বাবা এবং মা। সেখানেই এই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন নির্যাতিতার বাবা।
তিনি বলেন, ‘টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর চাই।’ ঠিক কী অভিযোগ তাঁর? নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, ‘মেয়ের দেহ যখন বাড়িতে তখন ডিসি নর্থ ঘরের ভিতরে নিয়ে গিয়ে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আমরা আমাদের মতো জবাব দিই।’
পুলিশের বিরুদ্ধে দেহ সৎকারেও তাড়াহুড়ো করা অভিযোগ তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, ‘সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছিলাম।’ একই সঙ্গে পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
তাঁদের দাবি, ‘প্রায় জোর করেই মেয়ের দেহ দাহ করতে হয়েছে। চাপ দিয়েছে পুলিশ।’ একই সঙ্গে তাঁরা অভিযোগ করেন, ‘ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বার বার মিথ্যা কথা বলছেন।’
এদিকে, লালবাজারের একটি সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার জন্য নির্যাতিতার পরিবারকে একটি ফর্ম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সেটা নিতে অস্বীকার করেন। পরে পুলিশ আর জোর করেনি। এর আগে তাঁরা সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছিলেন, পুলিশ কোনও টাকা দিতে চায়নি। সেই প্রমাণও পুলিশের কাছে আছে।’
দীপ | 2402:3a80:196b:73fe:678:5634:1232:***:*** | ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:০৪539106
আরেকটি তথ্য জানিয়ে রাখি। চিকিৎসকের দেহ অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া ও দাহ করার পিছনে অন্যতম কর্মকর্তা ছিলেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ মহোদয়! তিনি নিজে উপস্থিত থেকে সমস্ত কিছু পরিচালনা করেন! এই অতি সক্রিয়তার কারণ জানতে পারি?
দীপ | 2402:3a80:196b:73fe:678:5634:1232:***:*** | ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:০৯539107
মনুষ্যত্ববর্জিত দলদাস অবশ্য তার মিথ্যা প্রচারণা থামাবে না! এমনকি চিকিৎসকের অসহায় বাবা-মা কে নিয়ে মিথ্যাচার করবে!
dc | 2402:e280:2141:1e8:b5f6:f1b9:d5da:***:*** | ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:০২539109
সিবিআই এর নেক্সট চার্জশিট কবে? একটা সাপ্লি চার্জশিট দেবে, এরকম কিছু পড়েছিলাম যদ্দুর মনে পড়ছে।
দীপ | 2402:3a80:196b:5f05:678:5634:1232:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:০৩539139
সেটিং স্পষ্টভাবেই বোঝা যায়!
দীপ | 2402:3a80:196b:5f05:678:5634:1232:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:০৮539140
টেলিভিশনের টকশো'য়ে মুখ দেখা যায় শান্তনু সেন বলে এক "ভদ্র"লোকের! চেনেন তো নিশ্চয়ই? নেতা মানুষ। লোকে বলে, এবং উনি নিজেও নিজের নামের আগে লেখেন "ডাক্তার"। শুনেছি নাকি রাজ্যসভারও সাংসদ।
তা ওনার কন্যা সৌমিলি সেন নীট পরীক্ষায় স্থান পেয়েছে 1,21,473 নম্বরে। মাত্র 461 নম্বর পেয়ে!! এতেও নাকি ডাক্তারী পড়তে ভর্তি হওয়া যায়!!!! তা হয়েছেও: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে!
আরটিআই করে জানা গেছে, সুবর্ণ বণিক সমাজের কোটায় নাকি সে ভর্তি হয়েছে। ওদের চারটে সীটের কোটা আছে। শোনা যাচ্ছে, এক একটি সীট নাকি ওরা ন্যূনতম পঞ্চাশ থেকে ষাট লক্ষ টাকায় বিক্রি করে।
কী বুঝলেন? এদের মতো "ডাক্তারে"র হাতে ভবিষ্যতে রাজ্যের মানুষের স্বাস্থ্যের হাল হকিকত কতো উজ্জ্বল হবে বুঝতে পারছেন তো?
ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত।
সর্ববিদ্যাবিশারদ মহাবিপ্লবীরা অবশ্য এসব তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন না!
"শোনা যাচ্ছে, এক একটি সীট নাকি ওরা ন্যূনতম পঞ্চাশ থেকে ষাট লক্ষ টাকায় বিক্রি করে। "
বেশ বেশ। এই বাজারে শোনা যাওয়ার খুব দাম। তার ওপর 'ওরা' নামক কোন গোষ্ঠীকে মার্কা মারতে পারলে আরোই ভালো। আর সংরক্ষণের সুযোগ নিয়ে কেমন করে বদ লোকেরা সব সুযোগ সুবিধে নিয়ে নিচ্ছে -এটাও একটা চমৎকার উত্তেজনামূলক ব্যাপার।
আর ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ যে চুল কাটার সেলুন বা চায়ের দোকানের থেকে খবর, তত্ত্ব, দর্শন, বিশেষজ্ঞের মতামত - ইত্যাদির প্রাপ্তিস্থান হিসেবে বেশি উমদা, তাতে তো কোন সন্দেহই নেই।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর, ভাটিয়া৯, হরিদাস পাল(ব্লগ) এবং খেরোর খাতার লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই। | ♦ :
পঠিত সংখ্যাটি ১৩ই জানুয়ারি ২০২০ থেকে, লেখাটি যদি তার আগে লেখা হয়ে থাকে তাহলে এই সংখ্যাটি সঠিক পরিমাপ নয়। এই বিভ্রান্তির জন্য আমরা দুঃখিত।
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন
গুরুচন্ডা৯ বার্তা
গুরুতে নতুন?
এত নামধাম দেখে গুলিয়ে যাচ্ছে? আসলে আপনি এতদিন ইংরিজিতে সামাজিক মাধ্যম দেখে এসেছেন। এবার টুক করে বাংলায়ও সড়গড় হয়ে নিন। কটা তো মাত্র নাম।
গুরুর বিভাগ সমূহ, যা মাথার উপরে অথবা বাঁদিকের ভোজনতালিকায় পাবেনঃ
হরিদাসের বুলবুলভাজা : গুরুর সম্পাদিত বিভাগ। টাটকা তাজা হাতেগরম প্রবন্ধ, লেখালিখি, সম্ভব ও অসম্ভব সকল বিষয় এবং বস্তু নিয়ে। এর ভিতরে আছে অনেক কিছু। তার মধ্যে কয়েকটি বিভাগ নিচে।
শনিবারের বারবেলা : চিত্ররূপ ও অক্ষরে বাঙ্ময় কিছু ধারাবাহিক, যাদের টানে আপনাকে চলে আসতে হবে গুরুর পাতায়, ঠিক শনিবারের বারবেলায়।
রবিবারের পড়াবই : পড়া বই নিয়ে কাটাছেঁড়া সমালোচনা, পাঠপ্রতিক্রিয়া, খবরাখবর, বই নিয়ে হইচই,বই আমরা পড়াবই।
বুধবারের সিরিয়াস৯ : নির্দিষ্ট বিষয় ধরে সাপ্তাহিক বিভাগ। ততটা সিরিয়াসও নয় বলে শেষে রয়ে গেছে ৯।
কূটকচা৯ : গুরু কিন্তু গম্ভীর নয়, তাই গুরুগম্ভীর বিষয়াশয় নিয়ে ইয়ার্কি ফুক্কুড়ি ভরা লেখাপত্তর নিয়েই যতরাজ্যের কূটকচা৯। কবে কখন বেরোয় তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই।
হরিদাস পাল : চলতি কথায় যাদের বলে ব্লগার, আমরা বলি হরিদাস পাল। অসম্পাদিত ব্লগের লেখালিখি।
খেরোর খাতা : গুরুর সমস্ত ব্যবহারকারী, হরিদাস পাল দের নিজের দেয়াল। আঁকিবুঁকি, লেখালিখির জায়গা।
টইপত্তর : বিষয়ভিত্তিক আলোচনা। বাংলায় যাকে বলে মেসেজবোর্ড।
ভাটিয়া৯ : নিখাদ ভাট। নিষ্পাপ ও নিখাদ গলা ছাড়ার জায়গা। কথার পিঠে কথা চালাচালির জায়গা। সুতো খুঁজে পাওয়ার দায়িত্ব, যিনি যাচ্ছেন তাঁর। কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।
লগিন করে থাকলে ডানদিকের ভোজনতালিকায় যা পাবেনঃ
আমার গুরুঃ আপনার নিজস্ব গুরুর পাতা। কোথায় কী ঘটছে, কে কী লিখছে, তার মোটামুটি বিবরণ পেয়ে যাবেন এখানেই।
খাতা বা খেরোর খাতাঃ আপনার নিজস্ব খেরোর খাতা। আঁকিবুকি ও লেখালিখির জায়গা।
এটা-সেটাঃ এদিক সেদিক যা মন্তব্য করেছেন, সেসব গুরুতে হারিয়ে যায়না। সব পাবেন এই পাতায়।
গ্রাহকরাঃ আপনার গ্রাহক তালিকা। আপনি লিখলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকরা পাবেন নোটিফিকেশন।
নোটিঃ আপনার নোটিফিকেশন পাবার জায়গা। আপনাকে কেউ উল্লেখ করুক, আপনি যাদের গ্রাহক, তাঁরা কিছু লিখুন, বা উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটুক, জলদি পেয়ে যাবেন নোটিফিকেশন।
বুকমার্কঃ আপনার জমিয়ে রাখা লেখা। যা আপনি ফিরে এসে বারবার পড়বেন।
প্রিয় লেখকঃ আপনি যাদের গ্রাহক হয়েছেন, তাদের তালিকা।