এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • আরজি কর কাণ্ড  - চার্জশিটের পর কী কী ভুয়ো খবর ধরা পড়ল - বিশেষ প্রতিবেদন

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ২২৯৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • এই সিরিজের লেখা হলেও, এটা নিস্পৃহ রিপোর্টিং না, বিশ্লেষণ। সেটা মাথায় রেখে পড়বেন। ধ্রুব সত্য ধরে নেবেন না। 

    এখন অনশন চলছে। কিন্তু লোকে নিজের কাজও করছেন। আমার কাজ, আমিই ঠিক করেছি, এর শেষ দেখে ছাড়া। অতএব চার্জশিট থেকে কী কী বেরোলো, সেটা দেখা যাক। এই চার্জশিট অসম্পূর্ণ। কিন্তু কিছু ডাহা মিথ্যে অবশ্যই নিশ্চিত করা গেল এর থেকেই। এর অবশ্যই প্রথমে  আসবেন সুবর্ণ গোস্বামী।  তিনি আনন্দবাজার ​​​​​​​অনলাইনে বলেছিলেন, যে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখেছেন। তারপর বলেন, "পোস্টমর্টেম রিপোর্টে যা লিখেছে, তাতে একটা হিউজ পরিমান, প্রায় দেড়শো গ্রামের বেশি লিকুইড স্যাম্পল তারা পেয়েছে, সেটা হয়তো কিছুটা রক্তমাখা সিমেন হতে পারে, কিন্তু এতটা ভারি স্যাম্পল, আমাদের যা মনে হয়, এটা একজনের বীর্য হতে পারেনা।"
    আরেকজন আরও ​​​​​​​একধাপ ​​​​​​​এগিয়ে।রিপাবলিক টিভিতে রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি আবার আইএমএ র যুগ্ম সম্পাদক। তিনি বলে দিলেন "১৫০ গ্রাম বীর্য যেভাবে যোনিদ্বারে পাওয়া গেছে, এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ যাঁরা ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই সন্দীপ ঘোষের অত্যন্ত অনুগত,  পুরো ব্যাপারটার মধ্যে গভীর রহস্য রয়েছে। বীর্যর যে পরিমান এবং বীর্য যেভাবে বাইরে থেকে ইনজেক্ট করা হয়েছে, সেটার প্রকৃত তদন্ত দরকার, কারণ এখানে কাউকে লুকোনো হচ্ছে, কারো অপরাধকে লুকোনো হচ্ছে।"  

    গণ-ধর্ষণ তত্ত্বটা এইরকম ভাবেই ছড়ানো হয়েছিল। এর মধ্যে বীর্য ইনজেক্ট করাটা তো এতই অলীক যে মন্তব্যই নিষ্প্রয়োজন। এবং এখন আমরা জানি, ১৫০ গ্রাম বীর্য পেতে গেলে খান পঞ্চাশ বা তার বেশি লোক লাগবে। ষাঁড়ই বোধয় লাগবে পাঁচটা। এঁরা মানুষের ডাক্তার না ষাঁড়ের, কীকরে মানুষকে চিকিৎসা করার অধিকার পেলেন, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসে গেছে। এবং এই ঘোড়া বা ষাঁড়ের ডাক্তাররা আইএমএ বা ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের মাথায় কী করছেন, জানা নেই। তবে এই সংগঠগুলিকে এর দায় নিয়ে বা এঁদের ঝেড়ে ফেলে বিষয়টা পরিষ্কার করা উচিত। কারণ ​​​​​​​ময়নাতদন্ত বিশেষজ্ঞ ​​​​​​​না ​​​​​​​হয়েও ​​​​​​​এইটুকু ​​​​​​​আমরা ​​​​​​​বলতেই ​​​​​​​পারি, ​​​​​​​যে, ​​​​​​​"ময়নাতদন্তে ​​​​​​​অমুক ​​​​​​​আছে" বলার ​​​​​​​পর ​​​​​​​যদি ​​​​​​​দেখা ​​​​​​​যায়, ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​ময়নাতদন্তে ​​​​​​​নেই, ​​​​​​​তো ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​ডাহা অসত্যভাষণ। 

    শুধু ​​​​​​​ডাক্তাররা ​​​​​​​নন। ​​​​​​​শুধু ইলেকট্রনিক মিডিয়াও নয়। প্রিন্ট মিডিয়াও এর তালিকায় ​​​​​​​আসবে। আনন্দবাজার ​​​​​​​পত্রিকায় শুভাশিস ​​​​​​​ঘটক ​​​​​​​এবং শান্তনু ঘোষ, পরপর ​​​​​​​অনেকগুলি ​​​​​​​প্রতিবেদন ​​​​​​​লেখেন। ​​​​​​​সিরিজের প্রথমটায়, ​​​​​​​২৫ শে সেপ্টেম্বর, লেখা ​​​​​​​হয়, ​​​​​​​তদন্তকারীরা ​​​​​​​মনে ​​​​​​​করছেন, ​​​​​​​আবছা ​​​​​​​আলোয় ময়নাতদন্ত ​​​​​​​করা ​​​​​​​হয়। ​​​​​​​তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, ওই দিন ময়নাতদন্তে উপস্থিত দু’জন ডোমকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করে ময়না তদন্তে গাফিলতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। সিবিআইয়ের এক কর্তার কথায়, “সেমিনার হলে মৃতদেহ থেকে ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহে নানা গাফিলতি ধরা পড়েছে। এ বার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে গিয়েও রহস্যজনক পরিস্থিতির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।”  পরের ​​​​​​​দিন ​​​​​​​২৬ ​​​​​​তারিখ, ​​​​​​​শান্তনু ​​​​​​​ঘোষ ​​​​​​​লেখেন, ​​​​​​​ভিডিওগ্রাফি ​​​​​​​অস্পষ্ট। ​​​​​​​কল্যাণী ​​​​​​​এবং ​​​​​​​দিল্লি ​​​​​​​এমসের ​​​​​​​বিশেষজ্ঞদের ​​​​​​​দেখিয়েও ​​​​​​​স্পষ্ট ​​​​​​​কিছু ​​​​​​​বোঝা ​​​​​​​যায়নি। 
    ২৭ তারিখ, শুভাশিস ঘটক লেখেন, শুধু ময়নাতদন্তই নয়, সুরতহালেও বহু ত্রুটি পেয়েছে সিবিআই। সিবিআইয়ের এক কর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয় "২৬ বছরের চাকরি জীবনে এত অবহেলায় তৈরি রিপোর্ট দেখিনি।"  এছাড়াও তদন্তকারী সূত্রের দাবী, বিভিন্ন রিপোর্টের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, ঠাণ্ডা মাথায় সুকৌশলে ধাপে ধাপে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়ে থাকতে পারে। 
    ২৮ তারিখ শুভাশিস আরেকটি বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনেন। ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে এক সিবিআই কর্তাকে উল্লেখ করে জানানো হয়, "সবেতেই গাফিলতি হয়েছে"। কী গাফিলতি? সেটাও সূত্রের খবর অনুযায়ী এই, যে, একজন ডোমকে কোনো কাজ করতে দেওয়া হয়নি, চিকিৎসকরা নিজেরাই করেছেন। এর চেয়েও বড় ব্যাপার হল, সূত্র বলছেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকেও ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত থাকতে দেওয়া হয়নি বলে শোনা যাচ্ছে। এবং এই সিরিজের সর্বশেষ প্রতিবেদন অক্টোবরের ৩ তারিখে। শুভাশিস ঘটক লেখেন, মৃতার দেহে ২৪ টি ক্ষত ছিল। মার দেওয়া হয়েছিল গণপ্রহারের ধাঁচে। এবং এক সিবিআই কর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, "একার পক্ষে অসম্ভব"। খুন করাই আততায়ী বা আততায়ীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল, তদন্তে ইচ্ছাকৃত ধোঁয়াশা আনতেই ধর্ষণের ঘটনাটা সামনে আনা হয়, এটাও বলেন তদন্তকারী সূত্র। এর সঙ্গে প্রমাণ লোপাট, খারাপ ভিডিওগ্রাফি, ময়নাতদন্তে গাফিলতি, এগুলিও আবার বলা হয়। 

    সব মিলিয়ে এই গোটা সিরিজ থেকে তৈরি হয়েছিল একটা ন্যারেটিভ। যেখানে, গণপিটুনির ধাঁচে খুন করা হয়, যা একার পক্ষে অসম্ভব। সেটাকে ঢাকতে খারাপ ময়নাতদন্ত। বাজে ভিডিওগ্রাফি। এবং সবশেষে প্রমাণ লোপাট। 

    এবার দেখা যাক, এই নিয়ে চার্জশিট কী বলছে। চার্জশিট অসম্পূর্ণ। তবে তারপরেও কিছু জিনিস স্পষ্ট করে বলা আছে। ময়নাতদন্ত, সুরতহাল এবং ভিডিওগ্রাফি, এতে কি কোনো গোলমাল আছে? সিবিআই এগুলো নিয়ে দুদফায় ক্রসচেক করায়। চার্জশিটেই লেখা আছে, এইমস কল্যাণীর এফমটি প্রধান একটি বিশেষজ্ঞ বোর্ড তৈরি করেছিলেন, যারা সুরতহাল এবং ময়নাতদন্তের সময়ের ভিডিওগ্রাফি পরীক্ষা করে দেখবেন এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ভিডিওগ্রাফির সঙ্গে মিলছে কিনা এই নিয়ে মতামত দেবেন। তাঁরা মতামত দিয়েছেন, এবং তাঁদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, "দেখা গেছে, উল্লিখিত সুরতহাল প্রক্রিয়া এবং ময়নাতন্তের সময়ের ভিডিওগ্রাফি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে সুসমঞ্জস" ।  

    এছাড়াও এটা নিয়ে আরেকটা বোর্ডও তৈরি হয়। সিবিআই এর অনুরোধে ডিরেক্টর জেনারাল অফ হেলথ সার্ভিস মেডিকো-লিগাল মতামত দেবার জন্য, অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকাল বোর্ড গঠন করেন, যাতে এইমস দিল্লি, রামম্নোহর লোহিয়া, সফদরজঙ সহ দিল্লির অনেকগুলি প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা আছেন। এইমসের ফরেনসিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ আদর্শ কুমার এর চেয়ারম্যান। তাঁরা একটি অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট পেশ করেন। সেই রিপোর্টে অনেকগুলি পয়েন্টের মধ্যে একটি হল, "সুরতহাল ময়নাতদন্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।" 

    এছাড়াও ফরেনসিক সাক্ষ্য নিয়ে সিবিআই ক্রসচেক করে মোট তিনটি জায়গায়। ১৪ তারিখে ক্রাইম সিন থেকে নেওয়া তথ্য, আরজিকরের নানা জায়গার ডিভিআর, অভিযুক্তর ফ্রেশ নানা স্যাম্পল, ময়নাতনন্তের সময় নেওয়া নির্যাতিতার নানা নমুনা, নির্যাতিতার মোবাইল ল্যাপটপ, অভিযুক্তের মোবাইল, পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা ব্লুটুথ নেকব্যান্ড,  সবই সিএফএসএল কলকাতা, দিল্লি এবং চণ্ডীপড়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তাতে যা ফলাফল পাওয়া যায়, সংক্ষেপেঃ 
    ক। অভিযুক্তর মূত্রনালীতে বীর্য আছে। সেটা অভিযুক্তের। 
    খ। স্তনবৃন্তে লালা আছে। সেটা অভিযুক্তর। 
    গ। ক্রাইম সিন থেকে পাওয় চুল। অভিযুক্তর। 
    ঘ। অভিযুক্তর মোবাইল এবং ঘটনাস্থলের ব্লু টুথ। পেয়ারিং হয়েছে। 

    অর্থাৎ ময়নাতদন্ত দুবার এবং ফরেনসিক তিনবার ক্রসচেক করা হয়েছে। তারপরেও হয়তো এগুলো সবই ভুল হতেই পারে। ক্ষেত্রে ভারতবর্ষের সমস্ত বিশেষজ্ঞদের এই চক্রান্তে যুক্ত থাকতে হবে। আছেন কিনা সেটা আমরা জানিনা, মনে হয় সম্ভাবনা খুবই কম। হয়তো শুভাশিস ঘটক বলতে পারবেন। কিন্তু আমরা যেটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, যে, সিবিআই সূত্র অমুক বলেছে বলে  তিনি যেগুলো লিখেছেন, সেগুলো মিথ্যা। সিবিআই ওরকম কিছু বলেনি, ঠিক উল্টো কথা বলেছে, সে তো চার্জশিটেই দেখা যাচ্ছে। 

    সাংবাদিকতা আগে দুরকম হত। এক, সূত্র উল্লেখ করে খবর পেশ করা। সেখানে সূত্র যদি বলেন সূর্য পশ্চিম দিকে ওঠে, তো দায় সূত্রের। আরেকটা হত সূত্রের নাম উল্লেখ না করে খবর দেওয়া। সেক্ষেত্রে সাংবাদিকরা পরিবেশনের দায় নিজের কাঁধে নিতেন। এবং অসম্ভব সতর্কতা অনুসরণ করতেন। ওয়াটারগেট থেকে স্নোডেন অবধি, এরকম নানা বিস্ফোরণ আমরা দেখেছি, কোনোটাই মিথ্যা বলে দেখা যায়নি। ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে তিন নম্বর একটা সাংবাদিকতা আমরা দেখেছি। সূত্র উল্লেখ না করে সম্পূর্ণ গুল দিয়ে দেওয়া। সুধীর চৌধুরি বলেছিলেন মোদীর নতুন নোটে চিপ লাগানো আছে, যা স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। রীতিমতো গ্রাফিক টাফিক দিয়ে। নিঃসন্দেহে, সেটা ডাহ মিথ্যা। এবং এই করে সুধীর চৌধুরি সাংবাদিকতার জগতে একটা নতুন দিগন্ত খুলে দেন। শুভাশিস ঘটক, যদি কোনো ব্যাখ্যা না দেন, তো তিনিও ওই হল অফ ফেমে জায়গা পেতে চলেছেন। খুব কৌতুহলোদ্দীপক যেটা, শুভাশিস বা সুবর্ণ যেভাবে লিখেছেন বা বলেছেন, সেটা কীকরকম একই সূত্রে গাঁথা মনে হয়। যার একমাত্র প্রতিপাদ্য হল, গণধর্ষণ হয়েছে, নৃশংসতা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তেমনই আছে, অথবা রিপোর্টটাই ভুল। এর চেয়ে কমে কিছু হতে পারেনা। তাহলে কি কোনোভাবে এগুলো এক সুতোয় গাঁথা? সুতোটা গাঁথছেন তবে কে? এই প্রশ্ন থাকবেই। 

    প্রশ্ন উঠবে সিবিআইয়ের দিকেও। তারা কি সাংবাদিকদের বোকা বানিয়েছে, ভুল জিনিস লিক করে? হতে পারে। তাতে সাংবাদিকের দায় কমেনা, কিন্তু অনৈতিক কাজের জন্য আঙুল সিবিআইয়ের দিকেও ওঠে। তদুপরি, প্রায় দুমাস পরে তারা একটা চার্জশিট দাখিল করেছে, যা বস্তুত কলকাতা পুলিশের ২৪ ঘন্টা কাজের ফসল। নতুন কিচ্ছু দেয়নি। দুটো অত্যন্ত জরুরি প্রশ্নের উত্তর নেই চার্জশিটে। এক, খুনের মোটিভ কী। নিশ্চয়ই স্রেফ যৌনতা নয়। খুনি তো পতিতাপল্লীতে গিয়েছিল, যৌনক্ষুধা মেটায়নি। তাহলে কী? দুই, খুনি চারতলার একটা একলা ঘরে একাকিনী মহিলার উপস্থিতির কথা জানল কীকরে? হঠাৎ করে পৌঁছে খুন-ধর্ষণ করে ফেলল? 

    এই দুটো খটকা আছে, থাকবে। অন্য কেউ প্রশ্ন না করলেও আমরা করে চলব। এই নিয়েও প্রচুর সংবাদ বেরিয়েছে। মৃতের সঙ্গে সঙ্গম, লাশ-পর্নো চক্র, লাশপাচার, পরীক্ষাচক্র, জাল ওষুধ চক্র, জৈব বর্জ্য চক্র, এবং টাকার জন্য খুন। সেগুলো সত্য না মিথ্যা এখনই বলা যাবেনা। কারণ সিবিআই মোটিভ নিয়ে কিচ্ছু বলেনি। কিন্তু সেদিকেও নজর থাকবে। খবর এলেই খুঁটিয়ে দেখা এবং প্রশ্ন করা, এটা আমরা ছাড়বনা। এটা সুবিচারের দাবী নিয়ে শুরু হয়েছিল, সেই দাবীটা মুখ্য হয়ে থাকবে।

    সূত্রঃ 
    সুবর্ণ গোস্বামীর বক্তব্যঃ
      
    রঞ্জন ভট্টাচার্যর বক্তব্যঃ 

    আনন্দবাজারের সূত্র সংকলন শুভাশিস ঘটক এবং শান্তনু ঘোষ প্রণীতঃ
    https://epaper.anandabazar.com/imageview_79781_32815737_4_71_25-09-2024_0_i_1_sf.html
    https://epaper.anandabazar.com/imageview_79797_24358683_4_71_26-09-2024_0_i_1_sf.html
    https://epaper.anandabazar.com/imageview_79809_25121205_4_71_27-09-2024_0_i_1_sf.html
    https://epaper.anandabazar.com/imageview_79829_33913252_4_71_28-09-2024_0_i_1_sf.html
    https://epaper.anandabazar.com/imageview_79903_31417215_4_71_30-09-2024_0_i_1_sf.html
    https://epaper.anandabazar.com/imageview_79955_3249574_4_71_03-10-2024_0_i_1_sf.html

    চার্জশিটের সংক্ষিপ্তসারঃ https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=31232

    আনন্দবাজারে সোমা মুখোপাধ্যায়ের লেখাসমগ্র, যা মূলত মোটিভ অনুসন্ধান করে, যার উপর নজর থাকবেঃ 

     https://epaper.anandabazar.com/imageview_79671_43530355_4_71_21-09-2024_0_i_1_sf.html
    https://epaper.anandabazar.com/imageview_79699_41453328_4_71_22-09-2024_0_i_1_sf.html
    https://epaper.anandabazar.com/imageview_79745_31131881_4_71_23-09-2024_0_i_1_sf.html
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ২২৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • @All | 51.159.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:০৫538469
  • পোস্টমর্টেম রিপোর্টে কী লেখা ছিল? "As noted, White thick viscid ([viscous]) liquid present inside endocervical canal, which is collected as noted above. Wt-151 gm."
    সাধারণভাবে তাড়াতাড়ি পড়লে এটা পড়ে ওই থিক ভিসকাস ফ্লুইডের ওজনই দেড়শ গ্রাম মনে হতে পারে। আরো বেশি মনোযোগ দিয়ে পড়ে ও পোস্ট মর্টেম যাঁরা করেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে অনেক পরে newslaundry-র তরফে এটা নিশ্চিত করা হয় যে ১৫০ গ্রামটা প্রত্যঙ্গের ওজন। বাক্যে ক্লাসিক ইংরেজি ব্যকরণ অনুযায়ী পড়লে, হুইচ শব্দটা এন্ডোসার্ভাইকাল ক্যানালের কোয়ালিফায়ার থিক ভিসকাস ফ্লুইডের নয়। এই ইংরেজি বাক্য পড়ার ভুলটা খুব স্বাভাবিক একটা ভুল, অনেকেই করেন, বা করতেই পারেন, স্পোকেন ইংলিশ তথা মুখের কথায় তো হামেশাই চলে।
     
    বিশেষত সেদিনের ওই টেনসড পরিস্থিতিতে এটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ভুল নয়। তার চেয়ে অনেক বেশি বড় ভুল তথা ফেক বা গুজব ছড়ানোর কাজ ঠান্ডা মাথায় এই প্রতিবেদনের লেখক করেছেন। তিনি নিশ্চয়তা দিয়েছেন অভিযুক্তের বীর্যই মৃতার যোনিতে ছিল, যা এখনও কেউই বলেনি। তিনি লিখেছেন এবং প্রচার করেছেন, এই সাইটে এবং ফেসবুকে, সিবিয়াইয়ের চার্জশিট থেকে জানা যাচ্ছে "ক। যোনিপথে বীর্য আছে। সেটা অভিযুক্তের।" 
    চার্জশিটের ১৮ পাতায় 16.23-এর টেবিলে কী লেখা ছিল?
     
    "Urethral Swab (B5) (preserved during MLC of accused on 10.08.24) - Human Semen Present and belongs to accused Sanjoy Roy"
     
    চোখ বন্ধ করে পড়লেও এ থেকে ওই (ক) সিদ্ধান্ত আসে না। বিশেষত যিনি আগের দিনই গোটা চার্জশিট অনুবাদ করেছেন। ভিকটিমের কোনো urethral swab-এর উল্লেখই গোটা রিপোর্টে কোথাও নেই।
     
    তাছাড়াও এর আগেই ১২ পাতায় 16.13 তে পরিষ্কার লেখা ছিল "Thereafter, Medico Legal examination (MLC) of the accused Sanjay Roy was conducted by Dr. Biswanath Saren ... During his MLC, urethral swab & smear, nail clipping & scrapings were preserved and handed over to police.... "
     
    সুতরাং সুবর্ণ গোস্বামীকে গালি দেওয়া বা সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোল্লাই দেওয়া দুটোই পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া। 
     
    সাধারণ পাঠক এইদিকে খেয়াল রাখবেন আশা করি।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:a4f3:8d80:d966:***:*** | ১২ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:২১538470
  • "এই ইংরেজি বাক্য পড়ার ভুলটা খুব স্বাভাবিক একটা ভুল, অনেকেই করেন, বা করতেই পারেন, স্পোকেন ইংলিশ তথা মুখের কথায় তো হামেশাই চলে"
     
    একজন ডাক্তারও কি এরকম ভুল করেন? 
     
    সৈকতবাবু ভুল স্বীকার করেছেন। যিনি গুজবটা ছড়িয়েছেন তিনি ভুল স্বীকার করেছেন কি? 
  • সাধারণ মানুষ | 2405:8100:8000:5ca1::20e:***:*** | ১২ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:২৪538471
  • ভুল ধরিয়ে দেবার পরে সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় ভুল স্বীকার করেছেন। লেখা আপডেট করেছেন। আরো কিছু ভুল থাকলে সেটাও ধরিয়ে দিতে বলেছেন।
     
    সুবর্ণ গোস্বামী ভুল স্বীকার করেছেন বলে কোথাও দেখিনি। গণধর্ষণের মূল প্রমাণ ওই সিমেন পেলভিক বোন ভাঙা। সেগুলো যে ভুল সে স্বীকারোক্তিও কোথাও দেখি নি।
     
    তফাত স্পষ্ট
  • সিমেন গোস্বামীর ভুল | 2409:40e0:103c:e91d:c93:b8ff:fee8:***:*** | ১২ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:৩২538472
  • এই ভুলটা একটা ডাক্তার করবেন?  যিনি করবেন, তিনি একজন ডাক্তার?  নিউজলন্ড্রির অনেক আগেই এটা ভুল সেই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৫০ গ্রাম সিমেনের জন্য ১০০ জন লোক লাগে, এর জন্য নিউজলন্ড্রি লাগেনা, মাথায় সাধারণ বুদ্ধি লাগে।  আর যিনি ডাক্তার, তিনি সেই ভুল করলে  সাধারণ কান্ডজ্ঞানহীন সাধারণ মানুষের থেকেও বাজে ব্যাপার হবে। এক্ষেত্রে হয়েছে। 
    আর একবারও উনি ভুল স্বীকার করেননি। তারপরেও এটা চালিয়ে গেছেন। এখনো তড়পে চলেছেন।
     
    @all. এর উদ্দেশ্যও গন্ডগোলের মনে হচ্ছে। 
     
    সিমেন গোস্বামী তো পাঁড় সিপিএম। কিঞ্জল এসব নিয়েই সিপিএম এর উপর তোপ দাগলেন না তো? 
     
     
  • মীনাক্ষীর ভুল | 2409:40e0:103c:e91d:c93:b8ff:fee8:***:*** | ১২ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:৩৮538474
  • 'সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে রয়েছেন সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁদের প্রশ্ন, যে হাসপাতালে ঘটনা ঘটল, সেই হাসপাতালেই কেন ময়নাতদন্ত করা হল? পাশাপাশি, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মিনাক্ষীরা। '
     
     
    আরজিকরের জুনিয়র ডাক্তাররাই আরজিকরে ময়নাতদন্ত চেয়েছেন জানার পর মীনাক্ষি ভুল স্বীকার করেছেন?   সেদিন তিনি জানতেন না, এটা ধরেই বলছি। জানলে তো বলতে হয়, সেই আন্দোলন কেন করলেন, তাই নিয়েই তদন্ত করতে হয়।
  • সিবিআইয়ের ভুল? | 2409:40e0:103c:e91d:c93:b8ff:fee8:***:*** | ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ০০:০৩538475
  • @all সেদিন মেয়েটির সঙ্গে থাকা যেসব জুনিয়র ডাক্তারদের দিকে আপনি তীর চালাচ্ছেন, তার জন্য আপি আপনার হাতে কী প্রমাণ আছে?  আপনি তো পুরো মনের মাধুরী মিশায়ে স্পেকুলেশনের চূড়ান্ত করে ওই ছেলেগুলিকে দোষী বলে গুজব রটাচ্ছেন।  প্রথম থেকেই রটেছিল অবশ্য। এদের পাঁচজনের নাম দিয়ে হোয়াপ ভাইরাল হচ্ছিল। তারপর সেই শুভদীপ ছেলেটির প্রোফাইল ছবি ভাইরাল করে,  তাকে তিনু নেতার ছেলে বানিয়ে, ফেরার বলে তাকে ধরা আর মারার জন্য সে কি মবজাস্টিসের গণহিস্টিরিয়া।  ভুল ধরা পড়ার পরে কেউ ভুল স্বীকার করেছে?   ওদিকে সিবিয়াই এদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও ছেড়ে দিল কেন?  সিবিয়াই ভুল করেছে? তাহলে সেটা স্পষ্ট করে বলুন। 
    আর এদের জেরা করে ছেড়ে দিলে, এদের নামে কোন অভিযোগই চার্জশিটে না আনলে, আবার এদের নামে এই গুল্প বানাচ্ছেন কেন?  তথ্য প্রমাণ দিন। এত যদির কথা নদীতে না ফেলে।  
  • @All | 51.159.***.*** | ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৩৪538539
  • রাজ্যের সরকারী পুলিশ এবং তারপর পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং টিম তৈরি করে তারা ৯ তারিখে সংগৃহিত ভিকটিমের স্যাম্পেল এবং ১০ তারিখে সংগৃহিত অ্যাকিউজড-এর স্যাম্পেল ল্যাবে না পাঠিয়ে ৫ দিন ফেলে রেখেছিল যতদিন না হাইকোর্ট কেসটা সিবিয়াই-এর হাতে  তুলে দেয়। ৯ তারিখ সংগৃহিত রক্ত ভিসেরা ইত্যাদি আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস তারা ১৩ তারিখেও ল্যাবে পাঠিয়ে উঠতে পারেনি, যা সিবিয়াই ১৪ তারিখ ল্যাবে পাঠায়। অভিযুক্তকে ১০ তারিখ গ্রেপ্তার করলেও খুনের দিনে তার পরিহিত জামাকাপড় জুতো,যাতে ভিকটিমের রক্ত লেগে ছিল, তার বাসা থেকে উদ্ধার করতে পুলিশ দুদিন লাগায়, তারপরেও দুদিন সেসব ল্যাবে না পাঠিয়ে ফেলে রাখে। ক্রাইম সিন থেকে কোনো ফিঙ্গার প্রিন্ট পায়ের ছাপ না সংগ্রহ করে প্রচুর লোক ঢুকতে দিয়ে সেসব সংগ্রহের সম্ভাবনা নষ্ট করে। ইতিমধ্যে সরকারের স্বাস্থ্যসচিব সন্দীপ ঘোষকে প্রাইজ পোস্টিং দেয়। সরকারী রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে ও পুলিসের প্রশ্রয়ে ক্রাইম সিন ভ্যান্ডালাইজ করা হয়, সিসিটিভি হার্ডডিস্কের ঘরে ঢুকেও ভাঙচুর চালানো হয়।
     
    এরপরে যেটা করা হচ্ছে তা হল তদন্তের ভার সি বি আই কে দেওয়া হয়েছে বলে কটাক্ষ, তারা নাকি কলকাতা পুলিশের কাজ ক্রস চেক ছাড়া কিছুই করেনি এমত বিদ্রুপ, আর তাদের তদন্তের প্রোপাগেশন বোঝা যাচ্ছে না বলে ঘুরিয়ে সেসব জানতে চাওয়ার আর্জি।
     
    নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিই বটে, একেবারে নির্মোহ যাকে বলে।
     
     
  • @ @all | 2409:40e0:57:1f5f:1ca0:1bff:fe23:***:*** | ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৩৫538541
  • এইগুলি কীসের ভিত্তিতে লিখেছেন?  এসবের তথ্য প্রমাণ আছে?  
     
    "রাজ্যের সরকারী পুলিশ এবং তারপর পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং টিম তৈরি করে তারা ৯ তারিখে সংগৃহিত ভিকটিমের স্যাম্পেল এবং ১০ তারিখে সংগৃহিত অ্যাকিউজড-এর স্যাম্পেল ল্যাবে না পাঠিয়ে ৫ দিন ফেলে রেখেছিল যতদিন না হাইকোর্ট কেসটা সিবিয়াই-এর হাতে  তুলে দেয়। ৯ তারিখ সংগৃহিত রক্ত ভিসেরা ইত্যাদি আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস তারা ১৩ তারিখেও ল্যাবে পাঠিয়ে উঠতে পারেনি, যা সিবিয়াই ১৪ তারিখ ল্যাবে পাঠায়। অভিযুক্তকে ১০ তারিখ গ্রেপ্তার করলেও খুনের দিনে তার পরিহিত জামাকাপড় জুতো,যাতে ভিকটিমের রক্ত লেগে ছিল, তার বাসা থেকে উদ্ধার করতে পুলিশ দুদিন লাগায়, তারপরেও দুদিন সেসব ল্যাবে না পাঠিয়ে ফেলে রাখে।"
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:8868:407:391c:***:*** | ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৪৩538545
  • জুনিয়র ডাক্তাররা নাকি রাজ্যপালের কাছে গেছিলেন, যে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আছে? বেশ। 
  • সিএস | 2405:201:802c:7858:68c7:54b6:aaa8:***:*** | ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:৫৮538549
  • গিয়ে কী লাভ হবে সে সন্দেহ ছিল, কিন্তু তারপরেও উনি গভঃ কে কথা শোনানোর এত বড় সুযোগ ছেড়ে দিলেন, সে দেখে অবাকই হলাম। হয়ত নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা মনে করে অধোবদন অথবা বিজেপির কোন পরিচিত মুখ না দেখে রেগে গেছেন। অথবা, হয়ত, যা হওয়াই খুবই সম্ভব যে প্রবল লেভেলে সেটিং হয়ে গেছে যে এখনো কোন শব্দ করেননি।
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:০৯538624
  • অল তো এবার গল্প লিখছেন। পুলিশ দুদিন ফেলে রাখে তো কোথাও লেখা নেই। সিবিআই কবে ল্যাবে পাঠিয়েছে লেখা আছে। বাকিটা তো মনের মাধুরি। 
     
    জুতো টুতো যা উদ্ধার করেছে, সবই পুলিশ। তারিখ খেয়াল নেই। মনে হচ্ছে ১০ তারিখই। চেক করে দেখতে হবে। কিন্তু করেছে তো। সিবিআই কী করল?
  • :|: | 174.25.***.*** | ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ১১:১৯538626
  • নটা নয় -- শেষ প্রশ্নের উত্তর : সিবিয়াই এদ্দিন ধরে এন্টারটেইনমেন্ট দিলো এবং এখনও ফিচিক ফিচিক করে লিক করে দিয়ে যাচ্ছে সেটি বুঝি কিছু নয়? 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন