এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • আরজি কর কাণ্ড - তথ্য এবং গুজব - সেপ্টেম্বর ১৯

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৩৭ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • ১। কলতান দাশগুপ্ত দীর্ঘ শুনানির পর হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন। বিচারক রায়ে বেশ কটি কারণ দেখিয়েছেন। মোটামুটি ভাবে এই, যে, গ্রেপ্তারটি পদ্ধতিগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ। সর্বোচ্চ সাত বছরের কম সাজা হতে পারে, এরকম মামলায় জামিন দেওয়াই বৈধ। এছাড়াও অভিযুক্তের কোনো অপরাধমূলক অতীত নেই। কাউকে হুমকি দেবার আশঙ্কা নেই, কারণ অভিযোগকারী পুলিশ। পালিয়ে যাবার আশঙ্কা নেই, কারণ তিনি একটি পত্রিকার সম্পাদক।  এরকম অনেকগুলি কারণ দেখানো হয়েছে। শেষে বলা হয়েছে, "বিচারব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে এবং পুনরুদ্ধার করতে এফআইআরে নাম উল্লেখিত অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তি দেওয়া উচিত।" 

    কৌতুহলোদ্দীপক ব্যাপার হল, সঞ্জীব ওই একই অভিযোগে জামিন পাননি। কেউ তাঁর হয়ে বোধহয় সওয়ালও করেননি, বিচারকও মাথায় রাখেননি। আরও কৌতুহলোদ্দীপক ব্যাপার হল, কলতানের উকিলরা অডিওটেপ যে বানানো, বলেননি। শুধু বলেছেন, ওটা কলতান বা সঞ্জীবের রেকর্ড করা নয়। সরকারপক্ষের উকিল বলেছেন, কলতান স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন এবং তাঁর কল লিস্ট যাচাই করেই এগোনো হয়েছে। এটারও কেউ বিরুদ্ধতা করেননি। 

    তবে এটা জামিনের আবেদন। ফলে এত কিছু নাও আসতে পারে। এর কী ঠিক কী বেঠিক, সে তো আসল বিচারেই জানা যাবে বলে আশা করা যেতে পারত। আগেই লেখা হয়েছিল, এতে একটা এসপার ওসপার হয়ে যাবে। অডিও টেপ ভুয়ো হলে গোটা পুলিশের মুখ পুড়বে, কুনাল ঘোষেরও, যদি এখনও কিছু পোড়ার থাকে। আর ঠিক হলে মুখ পুড়বে সিপিএমের। কিন্তু আদালতের রায় যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে এরকম কোনো এসপার ওসপার হবার সম্ভাবনা কমছে। আদালত জামিন দিয়েছে, প্রক্রিয়াগত ত্রুটি হলে দেবারই কথা। যদিও সঞ্জীব কেন পাননি কে জানে। আদালত কার্যত রায়ে বলেছে, যে, এরপর কোনো ছুতোয় কলতানকে আবার গ্রেপ্তার করা যাবেনা। সেটাও ঠিক। কিন্তু যেটা সমস্যার, সেটা হল, কলতানকে "আদালতের অনুমতি ছাড়া আর তদন্ত প্রক্রিয়ায় জোড়া যাবে না"। এইটা হলে তদন্ত কী হবে, বোঝা মুশকিল। একজন অভিযুক্তকে না জুড়ে তদন্ত হবেটা কীকরে। অডিও টেপ ভুয়ো হলে, পুলিশের অজুহাত থেকে যাবে, অভিযোগের যথার্থতা বোঝা যায়নি।  আর সঠিক হলে অভিযুক্তকে ধরাই যাবেনা। ফলে এসপার-ওসপার হওয়া কঠিন। আদালতের দিক-নির্দেশ যেদিকে যাচ্ছে, সেটাও প্রশ্নচিহ্নের ঊর্ধ্বে না। কীরকম একটা জিনিসকে ঢেকে দেওয়া হচ্ছের মতো লাগছে। 

    এই একই অস্বচ্ছতা দেখা গেছে আরেকটা ক্ষেত্রেও। ১৪ ই আগস্ট রাতে আরজিকরে যে হামলা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়েছিল। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, চাপান-উতোরও হয়েছিল। পুলিশ মোট চুয়াল্লিশ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের আদালতে তোলাও হয়েছে। কিন্তু তাদের আদৌ কোনো রাজনৈতিক পরিচিতি আছে কিনা, কোনো ষড়যন্ত্র ছিল কিনা, সে নিয়ে পুলিশের দিক থেকে আদৌ কোনো আপডেট আসেনি। মিডিয়াও সম্পূর্ণ নীরব। অথচ এটা এই আন্দোলনের একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল। যে পক্ষই ঘটিয়ে থাক, তদন্তের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশদ বিবরণ প্রকাশ্যে আসার দরকার ছিল। সেটার একান্ত অভাব হচ্ছে। এখানেও মনে হচ্ছে কিছু একটা চাপা দেওয়া হল। 

    যাঁরা এই ঘটনার গভীরে পৌঁছতে চান, এই আপডেটটা অনুসরণ করছেন, এই দুটো জায়গায় বিরাট ফাঁক দেখা যাছে, এইটা একটু খেয়াল করবেন বলে আলাদা করে উল্লেখ করা হল। কলতানের মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশের মোটামুটি মূলানুগ অনুবাদ রাখা হল নিচে। 

    -----
    হাইকোর্টের নির্দেশঃ 

    ১. আবেদনকারী, যাঁর প্রতিনিধিত্ব করছেন মাননীয় সিনিয়র আইনজীবী শ্রী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য দ্বারা, গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের একজন বিশিষ্ট নেতা। তাকে একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ফৌজদারি মামলায় ভুলভাবে জড়িত করা হয়েছে, যা ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানার মামলা নং ১৭৩/২৪ হিসাবে ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে নথিভুক্ত হয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩ (বিএনএস)-এর বিভিন্ন ধারা, যেমন ধারা ২২৪, ৩৫২, ৩৫৩(ক)(খ)(২), ৩৫১(২), ১৯৬, এবং ৬১ এর অধীনে। আবেদনকারী মহিলাদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার জন্য রাজ্য কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। এই প্রতিবাদটি ৯ই আগস্ট, ২০২৪ তারিখে আর.জি. কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে একজন স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার পর ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করে। আবেদনকারী অন্যান্য সিভিল সমাজের সদস্যদের সাথে একত্রে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন, যা ভুক্তভোগীর জন্য ন্যায়বিচার ও তদন্তে স্বচ্ছতার দাবি জানাচ্ছে। পরে মাননীয় উচ্চ আদালতের আদেশে এই তদন্ত কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)-এ স্থানান্তরিত হয়।

    ২. ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে প্রায় দুপুর ২:১৫ মিনিটে, ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানার সাব-ইন্সপেক্টর প্রীতম সিং তথ্য পান যে, সঞ্জীব দাস নামক একজন ব্যক্তি আবেদনকারী কলতান দাশগুপ্তর সাথে স্বাস্থ ভবন, সল্টলেক, সেক্টর ভি, কলকাতায় প্রতিবাদের সময় একটি সহিংস আক্রমণ সংগঠিত করার বিষয়ে ফোনে কথা বলেছেন। অভিযোগ করা হয়েছে যে, এই আক্রমণের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের, বিশেষ করে চিকিৎসকদের লক্ষ্যবস্তু করা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই তথ্যের ভিত্তিতে, কল ডায়েরির রেকর্ড উদ্ধার করা হয় এবং কথোপকথনের একটি পেনড্রাইভ ও তার প্রতিলিপি সংগ্রহ করা হয়। এরপর, সঞ্জীব দাস ও আবেদনকারীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

    ৩. এখানে আবেদনকারী তার গ্রেপ্তারের বিষয়ে উত্তরদাতা কর্তৃপক্ষের বিশেষত বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট (উত্তরদাতা নং ৩)-এর বেআইনি কর্মকাণ্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। আবেদনকারী দাবি করেছেন যে, তার গ্রেপ্তার মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের আরনেশ কুমার বনাম বিহার রাজ্য (২০১৪) ৮ এসসিসি ২৭৩ মামলায় উল্লিখিত আইনি নীতির সরাসরি লঙ্ঘন, যা সাত বছর পর্যন্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারের জন্য কঠোর প্রক্রিয়াগত প্রোটোকল অনুসরণ করতে বলে। আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এফআইআরে উল্লেখিত সমস্ত অভিযোগ, একটি বাদে, জামিনযোগ্য এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩ অনুযায়ী অজামিনযোগ্য নয়। একমাত্র অজামিনযোগ্য অভিযোগের সর্বাধিক শাস্তি তিন বছর, যেখানে আরনেশ কুমার (উল্লেখিত) মামলার নির্দেশিকা অনুসরণ করা প্রয়োজন ছিল, তাই হেফাজতে গ্রেপ্তারের শর্ত পূরণ করা হয়নি। উপরন্তু, উক্ত অজামিনযোগ্য অপরাধটি পরে বাজেয়াপ্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এবং সেই অনুযায়ী, উত্তরদাতা পুলিশ কর্তৃপক্ষ কোনও অনুমতি বা মাননীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ছাড়া এই ধারা যোগ করতে পারেননি, যা প্রক্রিয়াগত বাধ্যবাধকতাগুলির একটি গুরুতর লঙ্ঘন, যার মধ্যে ছিল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩ এর ধারা ৩৫-এর অধীনে নোটিশ প্রদান এবং অভিযুক্তকে প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ দেওয়ার অধিকার।

    ৪. আরও বলা হয়েছে যে, কোনও পূর্ববর্তী কণ্ঠস্বরের নমুনা মেলানো হয়নি, তাছাড়া প্রথম এফআইআর বা অভিযোগে প্রাথমিকভাবে কোনও অপরাধের কথা বলা হয়নি বা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়নি। এফআইআর এবং এর সমর্থনে সংগ্রহ করা উপাদান কোনও অপরাধ হচ্ছে বলে দেখায়না এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও মামলাও দায়ের করে না। ফৌজদারি কার্যক্রমটি পরিষ্কারভাবে দুরভিসন্ধি দ্বারা পরিচালিত এবং একটি অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে প্ররোচিত হয়েছে। বর্তমান মামলায় সর্বোচ্চ অভিযোগের শাস্তি সাত বছরের কম কারাদণ্ডযোগ্য। অতএব, পুলিশ আবেদনকারীর বিরুদ্ধে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ২০২৩ এর ধারা ৩৫(৩) অনুসারে নোটিশ প্রদান না করে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। উপরন্তু, অভিযোগের ষড়যন্ত্রে আবেদনকারীর সংশ্লিষ্টতা প্রতিষ্ঠা করার মতো কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ ছিল না। এই গ্রেপ্তারটি মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের ২০শে আগস্ট, ২০২৪ তারিখের নির্দেশেরও লঙ্ঘন, যা রাজ্যকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের বিষয়ে সংযম প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছিল।

    ৫. এছাড়াও, যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, উত্তরদাতা কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে আবেদনকারীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করেছে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং মিডিয়ার কাছে যাচাই না করা অডিও রেকর্ডিং ফাঁস করে, যদিও আবেদনকারী বা সঞ্জীব দাস কেউই উক্ত অডিওটি  রেকর্ড করেননি, কারণ বাজেয়াপ্তির সময় একটি কিপ্যাড মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছিল, যা অডিও রেকর্ডিংয়ের সমর্থনে সক্ষম ছিল না। উক্ত রেকর্ডিংগুলি প্রয়োজনীয় ফরেনসিক বিশ্লেষণ বা ভারতীয় সাক্ষ্য আইন, ২০২৩ (বিএসএ)-এর ধারা ৬৩ অনুযায়ী সঠিক সার্টিফিকেশন না নিয়েই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আবেদনকারীর আটক প্রক্রিয়াটি প্রক্রিয়াগত ত্রুটির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ছিল গ্রেপ্তার মেমো না থাকা, তার পরিবারকে দেরিতে যোগাযোগ করা এবং তার গ্রেপ্তারের স্থান সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রদান করা। এই সমস্ত লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে, আবেদনকারী অবৈধ আটক থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি এবং আরও হয়রানি থেকে সুরক্ষা চান।

    ৬. শ্রী কিশোর দত্ত, যিনি উত্তরদাতা কর্তৃপক্ষের পক্ষে উপস্থিত আছেন, সম্মানপূর্বক দাবি করেছেন যে, আবেদনকারীর গ্রেপ্তার বৈধ ছিল এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩ (বিএনএসএস)-এর ধারা ৩৫ এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল, যা কর্তৃপক্ষকে অগ্রিম নোটিশ না দিয়ে যেকোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা প্রদান করে, যদিও অভিযোগিত অপরাধের শাস্তি সাত বছরের কম। আরও দাবি করা হয়েছে যে, উত্তরদাতা কর্তৃপক্ষ তাদের উৎস থেকে প্রাপ্ত বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে অবহিত হয়েছিল, বিশেষ করে স্বাস্থ ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদের সময় গণহত্যার সম্ভাবনার বিষয়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, উত্তরদাতারা আবেদনকারী ও সঞ্জীব দাসের কল রেকর্ড পর্যালোচনা করে, যা তাদের বৈধ গ্রেপ্তারের দিকে নিয়ে যায়।

    ৭. আদালতের প্রশ্নের জবাবে রাজ্য আরও দাবি করেছে যে, চলমান তদন্তের স্বার্থে আবেদনকারীর ধারাবাহিক আটক প্রয়োজনীয়, কারণ অতিরিক্ত প্রমাণাদি এবং বিভিন্ন বিষয়গুলির বিস্তারিত তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। আবেদনকারী তার দোষ স্বীকার করে একটি জবানবন্দী দিয়েছেন এবং স্বেচ্ছায় তার মোবাইল ডিভাইস আনলক করেছেন, যা পরবর্তীতে পুলিশ কর্তৃপক্ষ বাজেয়াপ্ত করেছে। উত্তরদাতা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে, তাদের কার্যক্রম আইনগত ক্ষমতার মধ্যে এবং জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে, সেইজন্য আবেদনকারীর কোনো ছাড়ের দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। রাজ্য আরও দাবি করেছে যে, সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াগত ব্যবস্থা মেনে চলা হয়েছে, যার মধ্যে ছিল সরাসরি বিধাননগরের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ-এর তত্ত্বাবধানে সঠিক পুলিশ কর্মীদের নিয়োগ, যা আন্দোলনের স্থান ছাত্রদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়ক ছিল।

    ৮. মাননীয় অ্যাডভোকেট জেনারেল রিপোর্ট জমা দিয়েছেন এবং কার্তার সিং বনাম পাঞ্জাব রাজ্য (১৯৯৪) ৩ এসসিসি ৫৬৯ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের উপর নির্ভর করেছেন, যেখানে নিম্নলিখিত উল্লিখিত হয়েছে:
    "৪০...'৩৫৯... যদি উচ্চ আদালতগুলি তাদের বিশেষ অধিকার ব্যবহারের মাধ্যমে অনুচ্ছেদ ২২৬-এর অধীনে জামিন আবেদন গ্রহণ করে এবং আদেশ জারি করে, তাহলে আইনটির মূল উদ্দেশ্য এবং সংসদের অভিপ্রায় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হবে। তবে এক্ষেত্রে বলা যায় না যে, উচ্চ আদালতের কোনো এখতিয়ার নেই। তাই আমরা সম্পূর্ণভাবে সম্মত যে, যদি উচ্চ আদালত অনুচ্ছেদ ২২৬-এর অধীনে কোনও আবেদন গ্রহণ করতে চায়, তবে সেই ক্ষমতা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এবং কেবলমাত্র বিরল ও উপযুক্ত ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা উচিত।"

    ৯. মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট ওসমানভাই বনাম গুজরাট রাজ্য (১৯৯৮) ২ এসসিসি ২৭১ মামলায় পুনরায় উল্লেখ করেছেন যে, ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৪৩৯ ও ৪৮২-এর অধীনে উচ্চ আদালতের এখতিয়ার অপসারণ অনুচ্ছেদ ২২৬-এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো বনাম কিশান লাল (১৯৯১) ১ এসসিসি ৭০৫ মামলায়ও নির্ভর করা হয়েছে। এছাড়া, ওয়ারিয়াম সিং বনাম অমরনাথ, এআইআর ১৯৫৪ এসসি ২১৫ মামলায়ও এই আদালত পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে, অনুচ্ছেদ ২২৭-এর দ্বারা প্রদত্ত তত্ত্বাবধানে ক্ষমতা অত্যন্ত সংযমের সঙ্গে প্রয়োগ করা উচিত এবং শুধুমাত্র ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে, বিশেষত নিম্ন আদালতগুলি তাদের এখতিয়ারের মধ্যে চলছে  কিনা তা নিশ্চিত করতে, তবে ভুল সংশোধন করার উদ্দেশ্যে নয়। অতএব, উচ্চ আদালতকে এই ধরনের পরিস্থিতিতে জামিন প্রত্যাখ্যান চ্যালেঞ্জকারী আবেদনগুলি গ্রহণ করতে অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।

    ১০. উভয় পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি দীর্ঘসময় ধরে শোনা হয়েছে।

    ১১. গুজরাট রাজ্য বনাম মোহনলাল জিতামলজি পরওয়াল এবং অন্যান্য (১৯৮৭) ২ এসসিসি ৩৬৪ মামলায় মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট "বিশ্বাস করার কারণ" বিভিন্ন আইনের অধীনে ব্যাখ্যা করেছেন। আদালত রায় দিয়েছেন যে, "বিশ্বাস করার কারণ" মানে শুধুমাত্র বিষয়গত সন্তুষ্টি বা স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নয়। এটি অবশ্যই উদ্দেশ্যমূলক ভিত্তিতে, যুক্তিসঙ্গত ও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হতে হবে, যদিও চূড়ান্ত প্রমাণ প্রয়োজন নয়। বিশ্বাসটি অবশ্যই সুস্থ বিশ্বাসে হতে হবে এবং অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে সন্দেহের যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি থাকতে হবে। আদালত আরও জোর দিয়েছেন যে, এই মানটি ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করে এবং কর্তৃপক্ষ যাতে স্বেচ্ছাচারীভাবে কাজ না করে তা নিশ্চিত করে। বর্তমান মামলায়, "বিশ্বাস করার মতো সন্দেহ" নেই যে আবেদনকারী কোনও বেআইনি কার্যক্রমে জড়িত, কারণ এফআইআর এবং এর সমর্থনে সংগ্রহ করা উপাদান কোনও অপরাধ হয়েছে বলে দেখাচ্ছে না  এবং আবেদনকারীর বিরুদ্ধে কোনও কেস তৈরি হয়না। 

    ১২. মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট **আর্নেশ কুমার (উল্লিখিত)** মামলায় রায় দিয়েছেন:
    “৫. গ্রেপ্তার অপমান বয়ে আনে, স্বাধীনতা সীমিত করে এবং স্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করে। আইন প্রণেতারা এটি জানেন, পুলিশও জানে। আইন প্রণেতাদের এবং পুলিশের মধ্যে এক ধরনের লড়াই চলছে এবং দেখা যাচ্ছে যে পুলিশ এখনও তার শিক্ষা গ্রহণ করেনি: সেই শিক্ষা যা ফৌজদারি কার্যবিধি (CrPC) তে অন্তর্নিহিত এবং প্রতিফলিত হয়েছে। স্বাধীনতার ছয় দশক পরেও পুলিশ তার ঔপনিবেশিক ভাবমূর্তি থেকে মুক্ত হয়নি, এবং এটি সাধারণত হয়রানি ও দমন করার একটি হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হয়, অবশ্যই জনগণের বন্ধু হিসেবে নয়। গ্রেপ্তারের ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সতর্কতার প্রয়োজন বারবার আদালত দ্বারা গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জিত হয়নি। গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পুলিশদের অহঙ্কারে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে, এবং ম্যাজিস্ট্রেটর ব্যর্থতা এটি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয় না। শুধুমাত্র তাই নয়, গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পুলিশ দুর্নীতির একটি লোভনীয় উৎস। প্রথমে গ্রেপ্তার করা এবং তারপর বাকি প্রক্রিয়া চালানোর মানসিকতা ঘৃণ্য। এটি সেই পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য একটি সুবিধাজনক হাতিয়ার হয়ে উঠেছে যারা সংবেদনশীলতার অভাব বা কুটিল উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে।”

    ১৩. **অর্ণব মনোরঞ্জন গোস্বামী বনাম মহারাষ্ট্র রাজ্য ও অন্যান্য** (২০২১) ২ এসসিসি ৪২৭ মামলায় মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট জামিনের আবেদন বিবেচনার সময় কিছু বিষয় উল্লেখ করেছেন, যা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২২৬-এর অধীনে প্রযোজ্য:

    **ক.** অভিযোগিত অপরাধের প্রকৃতি, অভিযোগের ধরন এবং দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তির মাত্রা। আবেদনকারীকে এমন অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে যার শাস্তি সাত বছরের কম কারাদণ্ড।
       
    **খ.** সাক্ষীদের প্রভাবিত করার বা অভিযোগকারী বা সাক্ষীদের জন্য হুমকি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে কিনা। এখানে অভিযোগকারী একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং আবেদনকারী পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অবস্থানে নেই।

    **গ.** বিচারে অভিযুক্তের উপস্থিতি নিশ্চিত করা বা অভিযুক্তের পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। আবেদনকারী স্নাতক সম্পন্ন করেছেন এবং তিনি একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক, সুতরাং জামিন মঞ্জুরের সময় যুক্তিসঙ্গত শর্ত আরোপ করে তার উপস্থিতি নিশ্চিত করা যেতে পারে।

    **ঘ.** অভিযুক্তের অতীত অপরাধের রেকর্ড ও তার পরিস্থিতি। বর্তমানে অভিযুক্তের কোনো অপরাধমূলক পটভূমি নেই।

    **ঙ.** অভিযোগ অনুযায়ী এফআইআরের ভিত্তিতে অপরাধের উপাদান প্রাথমিকভাবে গঠিত হয়েছে কিনা। সাব-ইন্সপেক্টরের অভিযোগ এবং রিমান্ড রিপোর্টে প্রক্রিয়াগত ত্রুটি রয়েছে (এফআইআর রাজ্যের জমা দেওয়া রিপোর্টের সাথে সংযুক্ত নয়)।

    **চ.** জনগণের বা রাজ্যের স্বার্থ এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়। বিচারব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে এবং পুনরুদ্ধার করতে এফআইআরে নাম উল্লেখিত অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তি দেওয়া উচিত।

    ১৪. স্পষ্ট যে গ্রেপ্তার এবং আটক সংবিধানগত অধিকার লঙ্ঘন না করার জন্য যথাযথভাবে পর্যালোচনা করা হয়নি। আবেদনকারীর কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই এবং পালানোর বা প্রমাণ প্রভাবিত করার কোনো উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি নেই। তিনি ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ থেকে আটক রয়েছেন। তদন্তের জন্য আর হেফাজতে প্রয়োজন নেই এবং অভিযোগিত অপরাধের তুলনামূলক সামান্য প্রকৃতি বিবেচনায় আদালত মনে করে যে, আবেদনকারীকে জামিন প্রদান করা সমীচীন হবে এবং তার মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত রাখা হবে।

    ১৫. আবেদনকারী ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ থেকে আটক রয়েছেন এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩-এর ধারা ১৮০-এর অধীনে তার জবানবন্দী রেকর্ড করেছে। অতএব, আদালতের মতে, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জন্য আর হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই।

    ১৬. সুতরাং, আবেদনকারীকে ৫০০ টাকার বন্ড এবং একই পরিমাণের একটি জামিনদার প্রদান সাপেক্ষে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো, যা উত্তর ২৪ পরগনার বিধাননগরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সন্তুষ্টির জন্য প্রয়োজন।

    ১৭. উত্তরদাতা কর্তৃপক্ষকে আবেদনকারীর বিরুদ্ধে বর্তমান মামলায় বা তার বিরুদ্ধে নিবন্ধিত বা নিবন্ধিত হওয়া কোনো মামলায় আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনো প্রকার জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো।

    ১৮. স্পষ্ট করা হচ্ছে যে, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩-এর বিভিন্ন ধারায় নিবন্ধিত ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানার মামলা নং ১৭৩/২৪ সম্পর্কিত উপরোক্ত পর্যবেক্ষণগুলি কেবলমাত্র আবেদনকারীকে দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা বা স্থগিতাদেশের প্রেক্ষিতে। মামলাটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই সুরক্ষা থাকবে। তবে আবেদনকারী ইতোমধ্যে তার জবানবন্দী দিয়েছেন এবং তার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সুতরাং তাকে আদালতের অনুমতি ছাড়া আর তদন্ত প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হবে না।

    ১৯. রাজ্য চার (০৪) সপ্তাহের মধ্যে তার জবাবী হলফনামা দাখিল করবে এবং তারপরের চার সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারী তার জবাব দাখিল করতে পারবে।

    ২০. এই মামলাটি ১৮ই নভেম্বর, ২০২৪-এ শুনানির জন্য আবার তালিকাভুক্ত হবে।

    ২১. সকল পক্ষ আদালতের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে যথাযথভাবে আদেশের সার্ভার কপি সংগ্রহ করে তা অনুসরণ করবে।

    -----------

    ২। জুনিয়ার ডাক্তারদের কর্মবিরতি আংশিক ভাবে উঠে যাবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। গত দুদিনে কিছু চিঠিচাপাটি বিনিময় ছাড়া বিশেষ কিছু অগ্রগতি না হয়নি। এর আগেরদিন বৈঠকের পর ডাক্তাররা খুশি হননি। তারপর মুখ্যসচিব একটি চিঠি দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিবকে, তাতে মূলত সুপ্রিম কোর্টে বলা কথাগুলোই দ্বিতীয়বার বলা হয়েছে। ডাক্তাররা তার পরে ঠিক করেন আগামী কাল কর্মবিরতি আংশিক ভাবে উঠবে। শুক্রবার বিকেল ৩টে নাগাদ ধর্নামঞ্চ থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তারদের একটি মিছিল হবে। তার মাধ্যমেই অবস্থান তুলে নেওয়া হবে। শনিবার থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে জরুরি পরিষেবায় যোগ দেবেন আন্দোলনকারীরা।

    বিশদ ঘোষণাঃ https://www.facebook.com/61564577258092/videos/499604039366507
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:f860:1584:c1ec:***:*** | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০১537829
  • "বিচারক রায়ে বেশ কটি কারণ দেখিয়েছেন। মোটামুটি ভাবে এই, যে, গ্রেপ্তারটি পদ্ধতিগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ"
     
    এই যুক্তি অভিজিত মন্ডলের (টালা থানার ওসি) আইনজীবিও বলেছিলেন। ওসি একটা কম্যান্ড স্ট্রাকচার ফলো করেছেন, আর ওনাকে গ্রেপ্তারের আগে পুলিশের (নাকি রাজ্য সরকারের) অনুমতি দরকার, এইসব। তবে পুলিশ আর সিবিআই এর অ্যারেস্ট ইত্যাদির আইন বোধায় আলাদা, তাই জামিন দেওয়া হয় নি। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:

RGKar
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন