এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • অনুব্রত মণ্ডল জামিন পেলেন কেন

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১১১৯ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা। বিখ্যাত উক্তি চড়াম-চড়াম। নরমে গরমে বীরভূমকে কার্যত বিরোধীশূন্য করে ছেড়েছিলেন। রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে বলেছিলেন। খুব হইচই হয়েছিল সে সময়। খুনের চেষ্টার অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। শঙ্খ ঘোষ লিখেছিলেন, "খড়্গ হাতে দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন।" অনুব্রত আবার বলেছিলেন, কে এই কবি? সেই নিয়ে প্রচুর লেখালিখি। এই অধমও লিখেছিল কিছু।

    তারপর এলো ইডি-সিবিআই যুগ। গরু পাচারের দায়ে গ্রেপ্তার করা হল অনুব্রতকে। নতুন আইনের বলে। যাতে কোনো প্রমাণ লাগেনা। মিডিয়া হইচই করে লাফালেও আমি বলেছিলাম, সারা ভারতের মতো এটাও সম্পূর্ণ 'ফাঁসানো'র কেস। তার উপর গরু পাচার, সাম্প্রদায়িকতার তকমা লাগানো একদম। গুন্ডামি-জবরদখল, সবকটা ঠিক, তার বিরুদ্ধে জনসমাজে হইচই ফেলাও উচিত, কিন্তু এটা একেবারেই সেই কেস না। এর বিরোধিতা করা প্রয়োজন।  তাতে অনেকেই খুব রেগে গিয়েছিলেন। মনীশ, কেজরি, প্রবীর সব কেসেই এজেন্সি ক্ষমতার অপব্যবহার করে খালি অনুব্রতর কেসে নয়, এই ছিল বক্তব্য।

    এই বকব্যের যথার্থতা প্রমাণে তাঁরা মিডিয়ার খবরের সাহায্য নিয়েছিলেন। মিডিয়া আবার নিয়েছিল "সূত্র"এর সাহায্য। গত দু বছর ধরে এই ধরণের খবরে প্লাবিত হয় মিডিয়া। সব দেওয়া সম্ভব না, তবু  মোটের উপর কী কী ছিল একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া  যাক। 

    জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ঃ বীরভূম জেলার সিউড়ি কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে বেনামে প্রায় ১৭৭টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিস পান গরুপাচারকাণ্ডে তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিকেরা। 
    ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩ঃ  "বীরভূমের বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয় অর্ক দত্ত এবং বিজয় রজককে। গোয়েন্দাদের দাবি, অর্ক আপ্ত সহায়ক এবং বিজয় পরিচারক হিসাবে কাজ করতেন অনুব্রতের। পাশাপাশি, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বাহিরি পঞ্চায়েতের প্রধান শুভঙ্কর সাধু এবং অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
    সিবিআই সূত্রে খবর, ডেকে পাঠানো প্রত্যেকের নামে সমবায় ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই টাকার উৎস কী, তা জানতেই ওই ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সিবিআইয়ের দাবি। গত মাসে ‘বীরভূম কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক’-এর সিউড়ি শাখায় হানা দিয়ে প্রথমে ১৭৭টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিস পান তদন্তকারীরা। ওই অভিযানের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানতে পারে যে, ওই ব্যাঙ্কে আরও ভুয়ো অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর পরেই গত বুধবার আবার ওই ব্যাঙ্কে হানা দেয় সিবিআই। আরও ১৫৩টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। সব মিলিয়ে মোট ৩৩০টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
    তদন্তকারীদের দাবি, গরু পাচারচক্রের কালো টাকা সাদা করতেই সিউড়ির ওই সমবায় ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছিল। গ্রামবাসীদের নামে ওই অ্যাকাউন্টগুলি রয়েছে। যাঁদের নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁরা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। এমন অনেকের নামেই অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যাঁরা সই-ও করতে পারেন না। এ নিয়ে তদন্তে বৃহস্পতিবার বোলপুরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।" 

    এই দিয়ে শুরু। এরপর গরু পাচারে কারা জড়িত, কী রুট, কী বিপুল ষড়যন্ত্র, পুরোটাই বেরিয়ে যায় কাগজে। তারিখ ধরে ধরে দিতে গেলে লম্বা হয়ে যাবে। সিউড়ির ওসি, বীরভূমের ব্যবসায়ী, কে নেই সেই তালিকায়। শেষ পর্যন্ত যা দাড়িয়েছিল, সেটাই দেওয়া যাক। এটা আনন্দবাজার থেকে পুরো কপি করা। তারিখ মে ৫,  ২০২৩ঃ 
    • ঘটনার সূচনা ২০১৫ সালে। সেই সময় লালগোলা, ডোমকল, জাঙ্গিপুর, ঔরঙ্গাবাদের শুল্ক দফতরে গরুর নিলামের দায়িত্বে ছিলেন এনামুল হক এবং তাঁর সহযোগী জেএইচএম ভাই বলে পরিচিত জাহাঙ্গির আলম, হুমায়ুন কবীর এবং মেহদি আসান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন শেখ আব্দুল লতিফ এবং আরও কয়েকজন।
    • সাধারণত সীমান্তে পাওয়া বেওয়ারিশ গরুরই নিলাম হয়। সেই টাকা যায় সরকারি তহবিলে। নিলামে কেনা গরু বিক্রি করে যেহেতু বিশেষ লাভ হত না দ্রুত এই দলটি গরু পাচারের কাজে জড়িয়ে পড়েন।
    • তখন শুল্ক ভবনে গরুর নিলাম হত নামমাত্র। এনামুল আর তাঁর সঙ্গীরা নিজেদের নামে বা চেনা-পরিচিতদের নামে ওই গরু কিনে নিতেন।
    • নিলামের গরু ছাড়াও সীমান্তের কাছে থাকা বিভিন্ন জেলার হাট থেকে গরু সংগ্রহ করা হত। ইলমবাজার পশু হাট, বীরভূম পশু হাট, বীরভূমের পাকুর পশু হাট, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘী, ওমরপুর পশু হাট, উত্তর দিনাজপুরের ডালগোলা পশুহাট থেকে গরু আনাত এনামুলেরা। 
    • এর মধ্যে বীরভূমের হাট থেকে গরু কেনা এবং বীরভূমের উপর দিয়ে গরু নিয়ে যাওয়ার কাজের দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল লতিফ ওরফে হিঙ্গল। 
    • গরু পাচারের পুরো কাজটিই নিয়ন্ত্রিত হত একটি হোটেল থেকে। হোটেলটির নাম সোনার বাংলা। এর মালিকানা ছিল এনামুলের সহযোগী ওই তিন ভাইয়ের। যাঁরা একসঙ্গে জেএইচএম ব্রাদার বলে পরিচিত। 
    • এই সোনার বাংলা হোটেলই পরে হয়ে ওঠে গরু পাচারের কেন্দ্র।
    • হোটেল ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বদলে সোনার বাংলায় চালু হয় মার্বেলের ব্যবসা। কিন্তু সেটা ছিল লোক দেখানো। আসলে ভিতরে নিজের অফিস খুলেছিলেন এনামুল।
    • ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছেই ছিল সোনার বাংলা। সেখানেই তৈরি হয় গরু পাচারের সিন্ডিকেট।
    • প্রথমে সোনার বাংলার কাজ সামলাতেন তিন ভাইয়ের একজন—হুমায়ুন ওরফে পিন্টু হাজি। পরে দায়িত্ব বদলায়। 
    • বিভিন্ন হাট থেকে গরু নিয়ে আসা ট্রাকের চালকদের আসতে হত এই সোনার বাংলার অফিসে। এখান থেকেই ঠিক হত কোন সীমান্তে কোন গাড়ি যাবে। যেমন, মুর্শিদাবাদের বিএসএফের ৩৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের অন্তর্ভুক্ত বিওপি নিমতিতা, বিওপি খান্ডুয়া, বিওপি গিরিয়া। 
    • যে ট্রাক ড্রাইভাররা গরু আনতেন তাঁদের একটি টোকেন দেওয়া হত। যাতে পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসন এই গরুর ট্রাকের যাতায়তে কোনও বাধা না দেয়। 
    • এর পর সীমান্ত এলাকায় এই গরু তুলে দেওয়া হত স্থানীয় রাখালদের হাতে। যাঁদের কাছে এই সীমান্ত এলাকা হাতের তালুর মতো চেনা। 
    • রাত ১১ টা থেকে ভোর ৩টে ছিল গরু পাচারের সময়। 
    • এ ব্যাপারে এনামুল এবং তাঁর সঙ্গীরা আগেভাগে বিএসএফের সঙ্গে ‘সেটিং’ বা বোঝাপড়া করে রাখতেন।
    • বিএসএফের পরোক্ষ সাহায্যেই রাতের অন্ধকারে ভারতের সীমান্ত থেকে গরু নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছে দিতেন ওই রাখালেরা। 
    • ইডি চার্জশিটে জানিয়েছে, বীরভূমের পশুহাট থেকে গরু কেনা এবং তা সুরক্ষিত ভাবে নজর বাঁচিয়ে মুর্শিদাবাদে পাঠানোর দায়িত্বে ছিল অনুব্রতের। 
    • নিরপত্তার এই দায়িত্বের বদলেই এনামুলদের কাছ থেকে টাকা আসত অনুব্রতের কাছে। 
    • এনামুল এবং লতিফ এ ব্যাপারে অনুব্রতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তাঁর দেহরক্ষী সহগল হোসেনের ফোনে। 
    • এনামুল এবং সহগলের যোগাযোগের প্রমাণ হিসাবে কল ডিটেলস এর বিস্তারিত তথ্যও রয়েছে চার্জশিটে।
    এই পুরো বিস্তারিত ব্যাপারটার পরেই আপডেট কমে আসে মিডিয়ায়। কারণ অপরাধ মোটের উপর তো "প্রমাণিত"। আজ দু বছর পরে দেখা যাচ্ছে, প্রমাণ তো দূরস্থান, ইডি এইসব নিয়ে বিশেষ কোনো তথ্যই জমা দিতে পারেনি। এবং শুধু অনুব্রতর বিরুদ্ধেই না, কেজরি, মনীশ, মানিক, সুকন্যা, সবাই লাইন দিয়ে ছাড়া পাচ্ছেন। সর্বত্রই উৎসব, দিল্লি থেকে বীরভূমে। অনুব্রত মণ্ডল বস্তুত ক্লিনচিট পেলেন। জামিন হলেও, এক্ষেত্রে সেটাই প্রায় মুক্তির কাছাকাছি। কারণ, নতুন আইনের দৌলতে ইডি যাকে খুশি ধরে জেলে পুরে রাখতে পারে, প্রমাণ-টমান লাগেনা। কাজেই এইসব জামিন দেখায়, দোষ প্রমাণের ধারেকাছেও এগোতে পারা যায়নি।

    কথা হল, গুন্ডামি, বিরোধীদের উপর হামলা, এমনকি খুনের চেষ্টার অভিযোগও ছিল অনুব্রতর বিরুদ্ধে। যা খবর পাওয়া যায়, সেগুলো মোটের উপর ঠিকই। সেগুলোর আদৌ কি কোনো বিচার হল? হলনা। অনুব্রত এমন একটা মামলায় জামিন পেলেন, যেটা বস্তুত ভুয়ো। এতে করে কার লাভ হল? মিডিয়ার হল।  মিডিয়া "সূত্র" উল্লেখ করে কিছু আষাঢ়ে গপ্পো ছড়িয়েছে। সান্ধ্য জমায়েত বসিয়েছে। তাদের টি আরপি বেড়েছে। কিছু উকিলের লাভ হল। প্রচার-প্রসার পেলেন। বিজেপির হল। "আমরা দুবছর তো জেলে ভরে রেখেছিলাম। টাইট দিতে আমরাই পারি" বার্তা দেওয়া গেল। তৃণমূলের হল। "পারলি আটকাতে? ন্যায় তো হবেই"। ইডি-সিবিআই এর হয়তো কারো প্রোমোশন হল। কিন্তু যে অপরাধে অনুব্রত দুষ্ট, তার কোনো বিচার হল কি? কিস্যু না। 

    এই অলীক কুনাট্য তো একবার হলনা। হয়েই চলেছে। এই পুরো বৃত্তটা বারবার পুনরাবৃত্ত হয়ে চলেছে। এই টিআরপি-রাজ আর কুনাট্যের প্রযোজকদের চেপে ধরবে কে? যাঁদের ধরার কথা, তাঁরাই তো এর অংশ, হয় ফুটেজ খাচ্ছেন, নয় গিলছেন।  

    সূত্রঃ    
    https://www.anandabazar.com/west-bengal/bardhaman/anubrata-mandal-interrogated-by-cbi-officials-on-fake-bank-account-case-special-cbi-court-extended-his-jail-custody-to-3-february-in-cow-smuggling-case-dgtld/cid/1400633

    https://www.anandabazar.com/west-bengal/purulia-birbhum-bankura/cattle-smuggling-case-cbi-interrogates-anubrata-mondals-close-aide-in-birbhum-dgtld/cid/1404144

    https://www.anandabazar.com/west-bengal/what-did-ed-says-in-their-chargesheet-against-anubrata-mondal-a-summury-dgtl/cid/1427778
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১১১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PRABIRJIT SARKAR | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৫০537907
  • কদিন বাদে অর্পিতা পার্থ ও জামিন পাবে। দুর্নীতির টাকা যেটুকু বাজেয়াপ্ত হল ওদের লোকসান। মোদি বলেছে এইসব টাকা বঙ্গের জনগণ কে দিয়ে দেবে। রোজভ্যালির টাকা সারদার টাকা যারা ক্ষতিগ্রস্ত তারা পেয়েছেন কিনা জানিনা। তবে কাজের মেয়েদের সূত্রে শুনলাম ওদের থেকে আধার কার্ড চাওয়া হয়েছে। ওরা অনেকে টাকা রেখেছিল!
     
  • বিপ্লব রহমান | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:২০537923
  • মুক্ত গণতন্ত্র
    শঙ্খ ঘোষ
     
    সবাই শুধু মিথ্যে রটায়।
    পথগুলি সব দেদার খোলা-
    যার খুশি আয় বিরুদ্ধতায়।
     
    যথার্থ এই বীরভূমি-
    উত্তাল ঢেউ পেরিয়ে এসে
    পেয়েছি শেষ তীরভূমি।
     
    দেখ্ খুলে তোর তিন নয়ন
    রাস্তা জুড়ে খড়্গ হাতে
    দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন।
     
    সবাই আমায় কর্ তোয়াজ-
    ছড়িয়ে যাবে দিগ্ বিদিকে
    মুক্ত গণতন্ত্র আজ।
     
  • :|: | 174.25.***.*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৩৩537928
  • ১৫:৫০ -- "মোদি বলেছে এইসব টাকা বঙ্গের জনগণ কে দিয়ে দেবে।"
    সেই যে সুইসব্যাংকের কালো টাকা নিয়ে এসে সব ভারতীয়কে ১৫ লাখ দেবার মতো? 
  • PRABIRJIT SARKAR | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৪১537931
  • হতে পারে। তবে ১৫ লাখ দেবে আমিও জানতাম। পরে ভিডিও দেখলাম (হতে পারে ফেব্রিকেটেড) তাতে ঠিক দেবার প্রতিশ্রুতি ছিল না। আমাদের এত টাকা সুইস ব্যাংকে আছে সেটা উদ্ধার করতে পারলে মাথা পিছু ১৫ লাখ হবে।
  • b | 14.139.***.*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৬537933
  • অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কি চার্জশিট জমা  পড়েছে ? চার্জশীট দাখিল হলে   তো জামিন  দেওয়া দস্তুর। 
  • সিএস  | 103.99.***.*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:০৭537934
  • কোর্ট কী বলেছে ।

    তথ্য প্রমাণ খুবই দুর্বল, সবই সহ- অভিযুক্তদের বয়ান।

    আর এইসব খবরে, ছাপা আবাপ মনে হয় এখনো আয় দেয়।

  • PRABIRJIT SARKAR | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:১১537936
  • কেউ অপরাধী হতে পারে। শেষ পর্যন্ত জেল হতে পারে।জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়ে গেছে আর উপযুক্ত মূল্যের বন্ড দিয়ে তার পালানো ইন্সুরড।তাকে জামিন মঞ্জুর করা যেতে পারে। পাসপোর্ট জমা রাখতে হয়। অনুব্রত তার মেয়ে এর আগে সারদা কান্ডতে যাদের ধরেছে সবাই এই ভাবে জামিনে মুক্ত। কেস চলছে। তারা দোষী না নির্দোষ বলা যাবে না। খুনের আসামী দের জামিন দেয় না।
  • PRABIRJIT SARKAR | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:১৮537938
  • অনেক সময় যদি দেখা যায় কারোর অপরাধে সর্বোচ্চ সাজা 5 বছর সে বিচার প্রক্রিয়ার দেরি হওয়ায় 5 বছর বা তার বেশি আটকে আছে জেলে তাহলে শুনেছি ছেড়ে দেয়।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:cc4e:ac14:3825:***:*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৫৪537991
  • 'সারা ভারতের মতো এটাও সম্পূর্ণ 'ফাঁসানো'র কেস'
     
    'অনুব্রত এমন একটা মামলায় জামিন পেলেন, যেটা বস্তুত ভুয়ো'
     
    - ওপরের কথা গুলো, ফাঁসানো, ভুয়ো মামলা ইঃ , এগুলো কি তথ্য না গুজব ? smiley
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:২৩537995
  • ওগুলো আমার ধারণা। তখন ছিল। এখনও খুব কিছু বদলায়নি। প্রমাণ নেই, তবে পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য আছে। আরও বছর তিনেক পরে রায় বেরোলে তখন বোঝা যাবে, ধারণা ঠিক না বেঠিক। 
     
    পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য কী? অনুব্রত তো একা না, কেজরি, মনীশ, মানিক, সুকন্যা, লাইন দিয়ে সবাই ছাড়া পাচ্ছেন দুর্বল প্রমাণের কারণে। ঘটনাচক্রে সবাই অবিজেপি। এই আর কি। 
  • a | 2405:8100:8000:5ca1::24a:***:*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:৩২537996
  • মোদী সবাইকে পনের লাখ করে টাকা দেবে এটাও কাগুজে গুল। গুজরাট দাঙ্গায় মোদীর ভূমিকার মতো। কাগজে সব প্রমাণিত, বাস্তবে ঘণ্টা।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:509f:e961:8246:***:*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:৩৬537997
  • তবে মোদী যে করণ থাপারের ইন্টারভিউ থেকে পালিয়ে গেছিল, সেটা গুল না। 
  • রঞ্জন | 2402:e280:3d02:20a:358b:8833:74e4:***:*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৮537999
  • যেগুলো গুল নয়:
    উনিজী উবাচ:
    1. বিদেশের ব্যাংকে যত কালোটাকা রয়েছে তা উদ্ধার করলে সব গরীবের অ্যাকাউন্টে 15 লাখ করে দেয়া যায়।
        মোটাভাই পরে সেটাকে নির্বাচনী জুমলা আখ্যা দিয়েছেন। 
    2. পরীক্ষার হলে প্রথমে সবচে কঠিন প্রশ্নের উত্তর লেখা উচিত। সহজগুলো পরে।
    3. উনি প্রাইভেটে পরীক্ষা দিয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তৃতীয় বিভাগে স্নাতক হয়েছেন।  
    4 গুজরাত থেকে এম এ পাশ করেন প্রথম বিভাগে। বিষয়: Entire Political Science!
     অনলাইনে সার্টিফিকেট দ্রষ্টব্য। 
    5 উনি দ্রুত একটা বই পড়ে ফেলেন --বিশেষ ক্ষমতায়। এক একটা  পাতা  বাঁ থেকে ডাইনে নয়, উপর থেকে নীচে মাথা ঝাঁকিয়ে স্ক্যান করেন। ফটোগ্রাফিক মেমরি।
    6.  উনিই এদেশে প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তোলেন এবং আড়বাণীজিকে ই-মেল করে অবাক করে দেন। ওদুটো তখন এদেশে ছিল না।
    7. নর্দমার গ্যাস থেকে স্টোভ জ্বালিয়ে চা বানানোর পরামর্শ দিয়ে অনেক চাওলাকে অনুপ্রাণিত করেন। 
    8. বালাকোটের সময় বিমান বাহিনীকে পরামর্শ  দেন মেঘের আড়াল থেকে বোম ফেলতে। তাহলে পাকিস্তানের রাডার দেখতে পাবে না।
    9 2022 নাগাদ কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। 
    10. গণেশের শুঁড় হল পৌরাণিক যুগে প্লাস্টিক সার্জারির অকাট্য প্রমাণ। 
    11 উনি পিতামাতার বায়োলজিক্যাল সন্তান নন, পরমাত্মার।
    আর গুজরাত দাঙ্গার সময় উনি রাজধর্ম পালন করেন নি-- অটলজীর তিরস্কার। 
     
  • dc | 2a02:26f7:d6c0:680d:0:18bf:c4c:***:*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৩538000
  • ৭। ইনক্লুডিং জুহি চাওলা 
  • রঞ্জন | 2402:e280:3d02:20a:358b:8833:74e4:***:*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৪১538005
  • যেগুলো গুল নয়:
    12. উনিজী বলেছেন-ডলারেৱ তুলনায় টাকার দাম যত পড়বে,  দেশের সম্মান তত কমবে।
     
    বাবা রামদেব 
    ========///
    1. উনি চীনে রক্তচন্দনের কাঠ বে-আইনি ভাবে পাচারের প্রচেষ্টায় অভিযুক্ত। 
    ওনার পারমিট সি-গ্রেডের। DRT যে কনসাইনমেন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে তাতে সি লেবেল লাগিয়ে এ এবং বি সাপ্লাই হচ্ছিল বলে অভিযোগ। 
      মামলা ধীর গতিতে DRT কোর্টে চলছে।
    2. অনেক আগে এক আদালত তাঁকে 11 টি নিম্ন মানের প্রোডাক্টের জন্য 11 লক্ষ টাকা ফাইন করে।
    3 কোভিড সারানোর ওষুধ আবিষ্কারের মিথ্যে প্রচার করেন।
    4
     সাজানো ঘটনার জোরে জেড প্লাস সুরক্ষা পেয়েছেন। 
    5 বিজেপি সরকার এলে পেট্রল 35 টাকা লিটার হবে-- দাবি করেছেন। 
  • :|: | 174.25.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৩৭538006
  • ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:১১ -- "অনুব্রত তার মেয়ে এর আগে সারদা কান্ডতে যাদের ধরেছে সবাই এই ভাবে জামিনে মুক্ত।"
    সুদীপ্ত দেবযানীরা জেলের বাইরে? মানে জামিনে হলেও মুক্ত? সত্যিই জান্তুমনা। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন