এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • আরজি কর - শীর্ষ আদালতের শুনানি - তৃতীয় দিন - সেপ্টেম্বর ৯ 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৮৮১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • এটা এআই এর অনুবাদ নয়। কানে ইংরিজি শুনতে শুনতে তাৎক্ষণিক অনুবাদ। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাবানুবাদ। কিছু অংশ ছোটো করা হয়েছে। মোটামুটি কী হয়েছে বুঝতে পারবেন। তাতেও মিডিয়ার বিবরণের থেকে ভালো। কারণ, তারা শুধু পছন্দমতো টুকরো তোলে। আর আরেকটা কথা। ছাত্রদের আইনজীবী আসলে ছিলেন দুজন। তাঁরা ছাত্র এবং ডাক্তারদের প্রতিনিধি। লেখা হয়েছে ছাত্রদের আইনজীবী বলে। 
    ( আগের দিনের বিবরণীটা পাবেন এখানেঃ https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=30895
     
    ------------------
    সিব্বলঃ ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয় দুপুর ১ঃ৪৭। পুলিশ স্টেশনে ইউডি এন্ট্রি ২ঃ৫৫ । দ্বিতীয় প্রশ্ন। পরবর্তী প্রক্রিয়া, ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট সিজএম নথি এবং বাকি সব কিছু আছে। 
    বিচারপতি নথিপত্র খুঁটিয়ে দেখেন। 

    বিচারপতিঃ জিডি এন্ট্রি টা কী? 
    সিব্বলঃ ৫৬৫। 
    বিচারপতিঃ কখন রেকর্ড করা হয়েছিল এটা? 

    সিব্বলঃ ২ঃ৫৫ পিএম। 
    বিচারপতিঃ জিডি তো রেকর্ড করা হয় ৩ঃ৩০ এ । এটা তো কেবল একটা মেডিকাল সার্টিফিকেট। পাতা ৬৪। 
    সিব্বলঃ এটা পুলিশ স্টেশনের রেকর্ড। সার্টিফায়েড কপি আছে। কোর্টকে দেওয় হয়েছে।
     
    বিচারপতিরা  নথি খুঁটিয়ে দেখেন। 

    সিব্বলঃ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসেন ৪ঃ১০ এ। সুরতহাল হয় ৪ঃ২০ থেকে ৪ঃ৩০। ভিডিগ্রাফ করা হয়।  
    দ্বিতীয় প্রশ্ন। সার্চ অ্যান্ড সিজার ঠিক কোন সময় করা হয়?
    রাত ৮ঃ৩০ থেকে ১০ঃ৪৫। ফোটোগ্রাফ করা হয়। 
    মেহতাঃ  দেহ পাওয়া গিয়েছিল সকাল নটায়।  
    সিব্বলঃ হ্যাঁ।  ময়নাতদন্তের জন্য যখন দেহ সরানো হয়, তারপর(সার্চ অ্যান্ড সিজার)  হয়।
    মেহতাঃ কে করেছিল? 
    সিব্বলঃ ১২ঃ৪৫ থেকে তার পরে যা হয়েছে সবকিছুরই ফটোগ্রাফ আছে।অরিজিনাল। 
    বিচারপতিঃ এটা শেয়ার করাই যায়, যে একটা সিসিটিভি ফুটেজ আছে, ঠিক কটার সময় অভিযুক্ত সেমিনার রুমে ঢোকে, এবং কোন সময় বেরোয়। অবশ্যই তার পরে ভোর ৪ঃ৩০ এর পরে নিশ্চয়ই সিসিটিভি ফুটেজ থাকবে। পুরো দিনেরটা। পুরো সিসিটিভি ফুটেজটাই কি সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে? 
    সিব্বলঃ হ্যাঁ। 
    মেহতাঃ হ্যাঁ, আমরা পেয়েছি। কিন্তু আমাদের পুরো সিনটাই রিকনস্ট্রাক্ট করতে হয়েছে, দূরত্বের জন্য। 
    বিচারপতি (মেহতাকে)ঃ আপনার এফিডেভিটের চোদ্দ পাতায় এই জিনিসটা আপনি কীকরে ব্যাখ্যা করবেন? 
    বিচারপতিঃ কলকাতা পুলিশ কি পুরো সিসিটিভি ফুটেজটা আপনাদের দিয়েছে? যেটা ৮ঃ৩০ থেকে ১০ঃ৪৫ এর মধ্যে ঘটেছে তার? 
    মেহতাঃ হ্যাঁ হ্যাঁ। 

    বিরতি। 

    মেহতাঃযা শেয়ার করা হয়েছে, সেটা ২৭ মিনিটের। চারটে ক্লিপ, সব মিলিয়ে ২৭ মিনিট। এবং ১৭ঃ০৬ মানে ৫ঃ০৬ থেকে যা যা হয়েছে,  সেখান থেকে ২২ঃ৪৫ ( ১০ঃ৪৫) পর্যন্ত। 
    সিব্বলঃ দুটো আলাদা জিনিস। ৮ঃ৩০ থেকে ১০ঃ৪৫ দেওয়া হয়েছে। তারপরের ভিডিও টুকরোয় দেওয়া হয়েছে। একটা টেকনিকাল গ্লিচ হয়েছিল, ভিডিও নানা টুকরোয় জমা হয়েছিল, কিন্তু দেওয়া হয়েছে পুরোটাই (Stored in parts, given in full)।
    মেহতাঃ এর পরিপ্রেক্ষিতে, আরেকটা কথা আমাকে বলতে হবে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আছে। ফরেনসিক রিপোর্টে একটা জিনিস অ্যাডমিট করা হয়েছে। মেয়েটিকে পাওয়া যায় ৯ঃ৩০ এ। তার জিনস ছিলনা, অন্তর্বাস ছিলনা। দেহ পড়েছিল অর্ধনগ্ন অবস্থায়। এটাও জানা গেছে, যে শরীরে ক্ষতচিহ্ন ছিল। ওঁরা স্যাম্পল  নিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের সিএফএসএল এ পাঠিয়েছেন। এই তার রিপোর্ট। 
    সিব্বলঃ ওটা সেন্ট্রাল ল্যাব। 
    মেহতাঃ ঠিক ঠিক। এটা দেখুন। এটা গুরুত্বপূর্ণ। সিবিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্যাম্পলগুলো এইমস এবং অন্য ফরেনসিক সেন্টারে পাঠানোর। মেয়েটি অর্ধনগ্ন ছিল, শরীরে ক্ষতচিহ্ন ছিল, এবং এইটা হল ফরেনসিকের ফলাফল। তাই কে স্যাম্পল নিয়েছিল, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। একটু দেখুন। 
    আদালত রিপোর্ট দেখে। 
    মেহতাঃ হাইলাইট করা অংশটা দেখুন। দুটো স্পেসিমেন। দুটো সোয়াব এবং ফলাফল। 
    বিচারপতিঃ মিস্টার মেহতা, তদন্ত চলছে দেখতে পাচ্ছি। খোলা আদালতে এই নিয়ে আমরা এখন মন্তব্য করতে চাইছিনা, যাতে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা রিভিউ করব। পরের সোমবার আমাদের জানান আর কোন কোন ব্যাপার তদন্তে উঠে এল। সামনের সোমবারের মধ্যে একটা স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিন।  সিবিআই এগিয়ে চলুক। তাদের যা লিড আছে তাই নিয়ে। সোমবার।
    মেহতাঃ সোমবার ছুটি। মঙ্গলবার। 
    মেহতাঃ এক মিনিট। একটা আইএ জমা দেওয় হয়েছিল।
    বিচারপতিঃ আগে এই ব্যাপারে আমরা একটা ছোটো নির্দেশ দেব। আগে এই ব্যাপারটা পরিষ্কার করে নিয়ে আমরা অন্য ব্যাপারে ফিরে আসব। ( বিচারপতি নির্দেশ ডিকটেট করছেন) সিবিআই এর তরফে একটি স্টেটাস রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে যা দেখা যাচ্ছে, তদন্ত চলছে। আমরা পরের শুনানির আগেই সিবিআইকে নতুন স্টেটাস রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিচ্ছি। তাই মঙ্গলবার স্টেটাস রিপোর্টটা দিতে হবে। দেখা যাক, আজ থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে কী হয়। গত দশ দিনে যা সংগ্রহ করা হয়েছে,  তা ভেরিফাই করা দরকার। 

    মেহতাঃ কে স্যাম্পল নিয়েছে, আমরা সেটাও তদন্ত করব। 
    বিচারপতিঃ আমরা কীভাবে তদন্ত করতে হবে সেটা সিবিআইকে বলে দেবনা। সিবিআই তদন্ত করছে। আপনারা সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন, পরের দিন আমাদের বলুন। 
    মেহতাঃ এফএসএল এর রিপোর্ট। এটাও রেকর্ডে আছে। আরেকটা জিনিস। সিআইএসএফ এর তিনটি মহিলা কম্পানি আছে। তাদের থাকার জায়গা দেওয়া হচ্ছেনা। তাদের সিআইএসএফ ক্যাম্প থেকে আসতে হচ্ছে, যেটা দেড় ঘন্টা দূরে। অনেকগুলো জিনিসের জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। ১৫ দিনের বেশি হয়ে গেল। 
    সিব্বলঃ ওঁরা যা চেয়েছেন, সবই দেওয়া হয়েছে। নোট দেখুন। 
    বিচারপতিঃ তিনটে কম্পানি, এরা কোথায় আছেন এখন? 
    সিব্বলঃ দিচ্ছি। কেএমসিপি ডে স্কুল। ২.৬ কিলোমিটার। ১৩ মিনিটের দূরত্বে। ইন্দিরা মৈত্রী শিশু কল্যাণ হসপিটাল। ৬ মিনিট দূরত্বে। আরএমও কোয়ার্টাসে তিনটে ফ্ল্যাট। হাসপাতালের মধ্যে। বাকিরা ১২ কিলোমিটার দূর থেকে আসছেন। এগুলো সিআইএসএফ নিজেই চেয়েছে। আমরা সেখানেই রেখেছি। পুলিশের লোকেরা পুলিশ ট্রেনিং অ্যাকাডেমি হাওড়ার মতো দূরের জায়গা থেকে আসেন। ২২ কিমি। (ইত্যাদি, পুরোট লেখা হয়নি) 
    মেহতাঃ আমার কাছে কী তথ্য আছে দেখুন। আজ ১০ঃ৩০ তে পাওয়া। আমরা দরজার সাইজের মেটাল ডিটেক্টর চেয়েছি। 
    সিব্বলঃ সব দেওয়া হয়েছে। 
    বিচারপতিঃ এখনও কী দেওয়া বাকি আছে? (বিচারপতি সিব্বলের রিপোর্টটা পড়েন) 
    মেহতাঃ আমার কাছে কী তথ্য আছে দেখুন। আজ ১০ঃ৩০ তে পাওয়া।

    বিচারপতিঃ (বিচারপতি সিব্বলের রিপোর্টটা পড়েন)

    মেহতাঃ কিছু সিকিউরিটি গ্যাজেট দেওয়া হয়েছে, কিছু হয়নি। এগুলো বলে কিন্তু আমার কিছু লাভ হচ্ছেনা। এগুলো দরকার, যদি কিছু ঘটে, আমি তো নিরাপত্তার জন্য দায়ী। সিআইএসফ দায়ী। 
    বিচারপতিঃ মিঃ সিব্বল, মিস আস্থা আপনারা দেখুন আপনারা একট কম্পানির কথা বলেছেন, কিন্তু এরা তিনটে কম্পানি নামিয়েছে। বাকি দুটোর কী হবে।
    সিব্বলঃ দেখুন, তিনটে জায়গার কথা বলা আছে। (তিনটে নাম আবার পড়েন) 
    বিচারপতিঃ ওঁরা যা দিয়েছেন, আর আপনারা যা দিয়েছেন, আমরা মেলানোর চেষ্টা করছি। ওঁরা বলছেন, একটা কম্পানির জায়গা দেওয়া হয়েছে তিনটে জায়গায়। (তিনটে জায়গার নাম বলেন)। তার মানে একট কম্পানি কে জায়গা দেওয়া হয়েছে। 
    সিব্বলঃ রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিন চেক করে আসতে। 
    বিচারপতিঃ কেন রেজিস্ট্রারকে বলতে হবে কেন? রাজ্য সরকারের একজন সিনিয়ার অফিসার আর সিআইএসএফ এর একজন সিনিয়ার অফিসারই ...
    সিব্বলঃ ওখানে সেটা আমরা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছি। জমিতে চিত্রটা আলাদা, আমি আর কী বলব বলুন। 
    বিচারপতিঃ (নির্দেশ দেন) সিআইএসফ এর তিনটি কম্পানি আরজিকরের নিরপত্তর জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্য সরকার, বলেছেন, থাকার ব্যবস্থা হয়ে গেছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী একটি কোম্পানির থাকার জায়গা হয়েছে, তিনটে জায়গায় (জায়গার নাম বলেন)। আজকে সন্ধ্যের মধ্যেই জায়গাগুলো তুলে দেওয়া হবে। কোনো সমস্যা থাকলে, আমরা নির্দেশ দিচ্ছি, যে, রাজ্যসরকারের একজন এবং সিআইএসফ এর একজন সিনিয়ার অফিসার সমস্যাটার সমাধান করবেন। যাতায়াতের ব্যবস্থাও করতে হবে। সিকিউরিটি গ্যাজেটের ব্যবস্থা করতে হবে (সংক্ষেপিত)। 
    সিব্বলঃ এসব কালই করা হয়ে গেছে। আমার তিনটে বিষয় আছে। 
    বিচারপতিঃ মিঃ সিব্বল। বাকিগুলো পরে শুনছি। ন্যাশানাল টাস্ক ফোর্সের ব্যাপারে রাজ্যসরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে? 
    সিব্বলঃ  স্টেটাস রিপোর্টে আছে।
    বিকাশঃ ময়নাতদন্তের যাথার্থ্যকেও তদন্তের আওতায় আনা হোক। এছাড়াও ওরা টাকা অফার করেছে, যাতে পুলিশের সঙ্গে ওঁরা একই সুরে কথা বলেন। এটাও তদন্তের আওতায় আন হোক।
    বিচারপতিঃ আমাদের এই নিয়ে কোনো আলাদা নির্দেশ দেবার দরকার নেই। কারণ, সিবিআই এর মধ্যেই দেখছে, স্টেটাস রিপোর্টেও আছে। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ  ময়নাতদন্ত ৬ টার পরে হতে পারেনা। আমাকে দু মিনিট দিলে আমি দেখিয়ে দেব, এই তদন্ত কীভাবে কম্প্রোমাইজড হয়েছে। ভারতবর্ষের কোথাও ময়নাতদন্ত ৬ টার পরে হতে পারেনা, এবং পশ্চিমবঙ্গে, যখন এটা ধর্ষণ এবং খুন। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে একজন সিভিল সার্জেন্টের নোট থাকতে হবে, যে ডিসিপি কিংবা সিপি এটা সার্টিফাই করেছেন, তারপর সেটা সুপারের কাছে যায়, তারপর পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের ডাক্তারদের কাছে। এই তিনজন ডাক্তার, একজন প্রফেসর, করেছেন, কারণটা কী? দেহটার একট ব্যবস্থা করতে ( টু গেট রিড অফ দা বডি) । জিডির সঙ্গে ফর্ম ২৭ দেখাতে বলুন এঁদের। ২৭ তারিখে ফর্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট। কলাম সিতে জিডি এন্ট্রি নম্বর আছে, যা থেকে এফআইআর হয়। ৫৭৭। ইউডি কেস ছিল ৫৭৬। রাত ১১ঃ৪৫। গত ২৭ বছরের কেরিয়ারে আমি কখনো দেখিনি এফআইআর এর আগে সিজার হয়েছে। 
    বিচারপতিঃ এফআইআর হয়েছে ১১ঃ৩০ এ। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ  হ্যাঁ। এফআইআর গোপন করা হয়েছে। (হ্যাজ বিন সাপ্রেসড)
    সিব্বলঃ আপনি শেষ করুন। 
    বিচারপতিঃ তথ্য দিয়ে বলুন। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখুন। ইউডি কেসের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে দেখবেন, নির্যাতিতার জামাকাপড় পোস্টমর্টেম রিপোর্টের আগেই দেওয়া হয়েছে কিনা। জিন্স, টপ, অন্তর্বাস, সবকিছু দেওয়া হয়েছে কিনা। কারণ, নির্দেশঅনুযায়ী, আমি নোটিফিকেশন দেখাব, এগুলো পোস্ট মর্টেম ডাক্তারের সিল করার কথা, এবং তারপর আইওকে দেবার কথা। দেখুন পোস্টমর্টেম ডাক্তার পাঠিয়েছিলেন কিনা। আমি কি রিপোর্টের একটা কপি দেব? 
    বিচারপতিঃ আমরা রিপোর্ট দেখেছি। কিন্তু আপনার যদি কোনো পয়েন্ট থাকে, আমরা আবার দেখব। 
    সিব্বলঃ সবই তো লেখা আছে।  
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ প্রথমে ভিডিওগ্রাফ। কে করেছে, লেখা নেই। কোন পদ, কে, কোথা থেকে এল, কিচ্ছু নেই। এটা কি রিরাইটেবল সিডি না নন-রিরাইটেবল, এটা পোস্টমর্টেম রিপোর্টের প্রথম লাইনে থাকার কথা। 
    সিব্বলঃ পোস্টমর্টেমের সময় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ সমস্ত ডাক্তাররা নর্থ বেঙ্গল লবির অংশ। 
    সিব্বলঃ পাঁচজন মহিলা ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন। 
    বিচারপতিঃ এগুলো এখানে আলোচনা করবেন না। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ দ্বিতীয় লাইনটা দেখুন। এটা ৪ সেন্টিগ্রেড হবার কথা। 
    বিহারপতিঃ কেস নম্বর এবং সময় পড়েন। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ ওইখানেই রহস্যটা। কারণ বিকেলবেলায় যখন জিডি করা হয়, সেটা ৫৬৫। আর টালা পুলিশ স্টেশনে রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত তার পর  মাত্র ১০ টা জিডি এন্ট্রি? আড়াইটে থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত মাত্র ১০ ট জিডি? পুরোটাই কি ম্যানুফ্যাকচারড? এইটা ১৯৫৩ সালে শুরু হয়, যখন প্রথম জিডি এন্ট্রি ম্যানুফ্যাকচার করা হয়। 
    সিব্বলঃ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পুরোটারই সাক্ষী। পুরোটাই রিপোর্টে আছে তো। 
    ময়নাতদন্ত রিপোর্ট কিছুটা পড়া হয়।  শরীরে আঘাতের চি, গলা টিপে খুন, ধর্ষণের সম্ভাবনা ইত্যাদি। 
    মেহতাঃ  অবজারভেশনে দেখুন।  প্রথমটা দেখুন। ল্যাবরেটরি কী পেয়েছে দেখুন। পড়ছিনা, দাগ দেওয়া অংশটা দেখুন। সিবিআই এগুলো আবার পরীক্ষার জন্য পাঠাবে। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ খুবই শকিং। টপ কলমটা দেখুন। সমস্ত পরিধেয় ডাক্তারের সামনে উপস্থিত করা হয়েছিল। 
    বিচারপতিঃ দেখছি। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ কীকরে বিকৃত করা হয়েছে। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ এবার ইউডি কেসের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন। 
    বিচারপতিঃ সলিসিটার জেনারাল, অফিসার তো উপস্থিত আছেন, তাঁকে এই রিপোর্টটা হাতে নিতে বলুন। প্রথম লাইন। যদি ডিসক্লোজ করতে না চান, কোনো সমস্যা নেই। মনে মনে পড়ুন। আমি দাগ কেটে দিচ্ছি। এটা কী? ইন্টারপোলেশন বা অন্য কিছু? 
    অফিসার / মেহতাঃ এটা তদন্তের বিষয়। সময়ের তফাতটা। 
    বিচারপতিঃ স্টেটাস রিপোর্টে আছে। ৯ নম্বর পাতায় দেখুন। 
    বিচারপতিঃ এগুলো সিবিআইএর তদন্তের বিষয়। আমরা আলাদা করে 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ এর আগে একট এফআইআর ছিল। আমাকে এক মিনিট দিন. 
    বিচারপতিঃ আগে একটা এফআইআর ছিল? এটা কীকরে বলছেন? 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ সেকশন ১৭৬-৩ অফ বিএনএনএস। এটা বলছে ইনফরমেশন পাবার পর এফআইআর করতে হবে। ১৭৬-৩ কী বলছে? ইনফরমেশন অফ অফেন্সের খবর পেলে একজন ফরেনসিককে ডাকতে হবে। তাহলে একটা এফআইআর থাকতেই হবে। নইলে ফরেনসিক ডাকা যাবেনা। ফরেনসিক টিম বিকেলেই এসেছিল। তাহলে একটা এফআইআর থাকতেই হবে। এফআইআর না থাকলে ফরেনসিক টিম ডাকা যাবেনা। 
    বিচারপতিঃ বলা হচ্ছে, প্রথম এফআইআর, ১১ঃ৩০ এ হয়েছিল। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ তার আগে একটা এফআইআর ছিল। 
    মেহতাঃ উনি বলতে চাইছেন, থাকার কথা। সম্ভবত ছিল। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ নইলে ফরেনসিক ডাকা যাবেনা। ওটা ছিল। নইলে ফরেনসিক ডাকা যাবেনা। এফআইআর নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কে করেছে জানিনা। 
    বিচারপতিঃ আমরা স্টেটাস রিপোর্ট দেখেছি। আমরা অন্য দিকের যা বক্তব্য ছিল শুনেছি। জিডি এন্ট্রি যা আছে। একটা ৫৪২।
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ ওটাও ভুল। 
    বিচারপতিঃ ওহ, সেটা তো তদন্তের বিষয়। আজকে যা নথি আছে, সিবিআইয়ের কাছেও যা আছে। ৫৪২। ৫৬৫। ৫৭৬। ৬৮১। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ আর ৫৭৭? 
    মেহতাঃ এগুলো বাদ দিলেও, যখন খুন আর ধর্ষণ হয়, 
    বিচারপতিঃ যে অসঙ্গতির কথা বলছেন, সিবিআই সেসব জানে। এর উপরেই সিবিআইয়ের তদন্ত চলছে। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ সোয়াব ৪ সেন্টিগ্রেডে রাখার কথা। তিনজন ডাক্তার উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে ৪ ডিগ্রিতে রাখেননি। এখন স্যাম্পলটাই খারাপ হয়ে যেতে পারে। এটা ৪ ডিগ্রি তে রাখতেই হবে। 
    মেহতাঃ আমি বলব, ধর্ষণ আর খুনের ক্ষেত্রে প্রথম ৫ ঘন্টাই হল গুরুত্বপূর্ণ। যখন এলাকাটা কর্ডন করতে হবে। (এরকম নয়) যে খুশি এল গেল, ফটো তুলল, সাক্ষ্য নষ্ট হয়ে গেল। আমরা পাঁচদিন পরে যখন সিনে এলাম, আমাদের তো নিজেদের অনেক সমস্যা আছে। 
    বিচারপতিঃ আমরা প্রথম যে প্রশ্নটা করেছিলাম, ৪ঃ৩০ এর পর থেকে সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ আপনাদের দেওয়া হয়েছে কিনা। 
    সিব্বলঃ হয়েছে। 
    বিচারপতিঃ সিবিআই বলেছে আছে। তাদের দেখতে দেওয়া হোক।
    মেহতাঃ কেবল ২৭ মিনিট।  
    সিব্বলঃ না না না। পুরোটা। নথি আছে। 
    বিচারপতিঃ এই নিয়ে সামান্য বিভ্রান্তি আছে মিঃ সলিসিটর। সিবিআইকে যা দেওয়া হয়েছে, আপনিও যা বললেন, সেটা হল ২৭ মিনিটের ফুটেজ, যেটা সার্চ অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত। এবং তারপর যা সুরতহাল হয়েছে, তার। আমরা জানতে চেয়েছি, আপনার কাছে কি পুরো ঘটনাবলীর সিসিটিভি ফুটেজ আছে, যখন অভিযুক্ত হল ছেড়ে বেরোয় এবং (তার পরে) 
    মেহতাঃ সিসিটিভি কেবল দেখাচ্ছে, অভিযুক্ত ঢুকছে ইত্যাদি। 
    সিব্বলঃ না না।  
    বিচারপতিঃ আর কে ঢুকল দেখতে হবে। এটাও দেখুন। দেখে সামনের দিন আমাদের জানান। 
    সিব্বলঃ আরেকটা জিনিস উল্লেখ করতে চাই। 
    ছাত্রদের পক্ষের আইনজীবীঃ আমি ছাত্রদের পক্ষ থেকে বলছি। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ দেহটা পাওয়া গিয়েছিল। পা গুলো সমকোণে ছিল। হিপ ভেঙে না গেলে সমকোণ হওয়া সম্ভব না। একতু দেখবেন, এক্সরে প্লেটগুলো সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে কিনা। এক্সরে হয়েছিল, এক্সরে প্লেট দেওয়া হয়েছিল? 
    বিচারপতিঃ মিস আস্থা, একটাই প্রশ্ন। যখন সুরতহালের পর পোস্ট মর্টেমের জন্য বডি পাঠানো হয়েছিল, আপনার কাছে সেই চিঠিটা আছে? 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ ফর্ম নম্বর ...
    বিচারপতিঃ আমরা একটা নির্দিষ্ট কারণে কথাটা বলছি। আমরা ওটা দেখতে চাই। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ হাইকোর্টে দেখানো হয়েছিল। 
    বিচারপতিঃ এইসব তর্কে জড়িয়ে পড়বেননা। আমরা নথিটা চেয়েছি। দেখতে চাই। এখানে কি আছে? 
    সিব্বলঃ ডেডবডি চালান আছে আমার কাছে। 
    বিচারপতিঃ এইটা চাইছি না। এট হল দেহ যখন বাবা-মাকে দেওয়া হল, সেটা, আমরা যেটা চাইছি ...
    সিব্বলঃ এইটাই আছে এখন। অন্যটা পাচ্ছিনা। এইটাই এই মুহূর্তে আছে, এইটুকুই বলতে পারি। 
    বিচারপতিঃ কারণ, ডাক্তারদের কাছে যখন দেহ পাঠানো হল, এইটাই সেই জিনিস যেটা ডাক্তাররা সবার আগে দেখবেন। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ ছিল তো। হাইকোর্টে দেখেছি। 
    বিচারপতিঃ আমি রাজ্য সরকারের কাছে চেয়েছি তো। তারা দিক না। 
    সিব্বলঃ আমাদের ফাইলে এটা নেই। 
    বিচারপতিঃ শর্মা, চালানটা কোথায়? 
    সিব্বলঃ দেখছি। না, আমরা ১০০% নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলবনা। 

    ফাইলে খোঁজাখুঁজি চলে।

    বিচারপতিঃ এট খুব গুরুত্বপূর্ণ আরেকটা কারণে। কারণ এতে একটা কমেন্ট কলাম আছে, যেখানে লেখা থাকে, কী কী জিনিস বা পোশাক দেহের সঙ্গে গেল।  দেহের সঙ্গে আরও জিনিস পাঠানো হয়েছিল নিশ্চয়ই। সেগুলো আমরা দেখতে চাই। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ অবশ্যই সিডির সঙ্গে ছিল, আমি দেখেছি। 
    সিব্বলঃ নাঃ নেই। এবং সিবিআইকে যেটা দেওয় হয়েছে, তাতেও নেই। কিন্তু আমার বন্ধু যেমন বললেন, তার থেকে মনে হচ্ছে, এটা আছে। কারণ, উনি বলছেন, হাইকোর্টে এটা দেখানো হয়েছিল। 
    বিচারপতিঃ এটা ছাড়া তো বডি পোস্টমর্টের জন্য নেবেই না।

    বিচারপতিঃ পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের তৃতীয় কলামটা দেখুন। "কনস্টেবল, যে এনেছে"। এই কনস্টেবলের ওইটা নিয়ে আসার কথা। কিন্তু ফর্মে এর কোনো রেফারেন্স নেই। এইটা আপনাকে ব্যাখ্যা করতে হবে। 
    সিব্বলঃ অবশ্যই। 
    বিচারপতিঃ কাল যদি এই নথিটা হারিয়ে যায়, তাহলে কিছু গোলমাল আছে। 
    সিব্বলঃ আমর খুঁজে বার করব, কেন এখানে নেই। একটা এফিডেভিট করে জানাব।
    বিচারপতিঃ অন্য আইনজীবী বলছেন, ওটা সিডির অংশ ছিল। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ ছিল। সেটা লাইভ স্ট্রিম করা হয়েছে। লিংক থাকলে দেখেও নেওয়া যেতে পারে। 
    মেহতাঃ কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্টে উল্লেখ না থাকলে, এতে কিছু গোলমাল আছে কিনা, পরে বানানো হয়েছে কিনা, তদন্ত করে দেখার দরকার আছে। 
    সিব্বলঃ কী আবার পরে বানানো হয়েছে। কিছুই হয়নি। আমরা এভিডেভিট ফাইল করব। 
    বিচারপতিঃ ঠিক আছে, পরেরদিন দেখব।
    অন্য আইনজীবীঃ ময়নাতদন্তে একটা ব্যাপার পরিষ্কার নয়। মৃত্যুর সময় মোটামুটি কখন। 
    বিচারপতিঃ না। কিছু ব্যাপার খানিকটা পরিষ্কার। মৃত্যুর সময়। কেন ওখানে যাওয়া। গতিবিধি। 
    অন্য আইনজীবীঃ প্রথম যে দেখে, সেই তো প্রথম ইনফর্মেশন দেয়। সেটাই তো এফআইআর এর সময় হওয়া উচিত। দেরির তো সেখান থেকেই শুরু। 
    বিচারপতিঃ খুব পরিষ্কার যে ১৪ ঘন্টা দেরি হয়েছে। 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ অন্য যে বিষয়টা। অর্থনৈতিক দুর্নীতি। 
    বিচারপতিঃ ওটা সিবিআই তদন্ত করছে। আমাদের আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে এখন। 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃএতে প্রবলেম আছে। আমি যে ২৫০০০ ডাক্তারের  প্রতিনিধিত্ব করছি, কেউ আরজিকরে, কেউ স্বাস্থ্যদপ্তরে। তারা হুমকির মুখে। আমরা যা চাইছি, সেটা হল এটা নিয়েও একটা স্টেটাস রিপোর্ট চাওয়া হোক, কারণ হাইকোর্ট দেখেছে, দুটোই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। 
    বিচারপতিঃ এই জড়িয়ে থাকাটা নিজেই তো তদন্তের বিষয়। 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ আমরা দেখতে চাইনা। আপনি ব্যাপারটার ট্র‌্যাক রাখলেই হবে। 

    মেহতাঃ মিঃ সিব্বলের ব্যাখ্যা করার কথা, যে, ওই সুপারিন্ডেন্টেদ্ট কেন অন্য জায়গায় বদলে হয়ে গেলেন। কিন্তু আমি ওইট দিয়ে শুরু করিনি।
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ  আমাদের বলা হয়েছিল আরজিকরের দুর্বৃত্তদের নাম বন্ধ খামে দিতে। আমি দিতে পারি? যারা সিনে এসে প্রমাণ ধ্বংস করেছে।
    বিচারপতিঃ প্রমাণ ধ্বংস খুব একটা জোরালো শব্দ। সাবধানে ব্যবহার করবেন। সিবিআইকে তদন্ত করতে দিন। 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ আমি তিনটে ছবি দিতে পারি? 
    বিচারপতিঃ আপনি চান, প্রমাণ ধ্বংস করা নিয়ে আমরা কোনো পর্যবেক্ষণ দিই? তদন্ত তো চলছে। 

    সিব্বলঃ সিবিআই  তো এখনও বলেনি, তাদের সিল ভাঙা হয়েছে। কেন এইসব বক্তব্য রাখা হচ্ছে? সিবিআই কিছুই বলছেনা, আপনি বলছেন। এরকম রান্ডম বক্তব্য, 
    বিচারপতিঃ কখন এই ছবিগুলো তোলা? 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ যেখানে দেহ ছিল। ঘটনার দিন। এবং আমি সবার নাম দিয়েছি, যারা গিয়েছিল। সবাই ঢুকছিল, বেরোচ্ছিল। শেষ পাতাটা দেখুন। 
    বিচারপতিঃ দেখেছি। 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ কোনো স্ট্রাগল থাকত। কোনো চিহ্ন থাকত। নেই, কারণ ব্যাপারটা বানানো। পরের দিন সব ধ্বংস করে দেওয়া হয়। 

    বিচারপতিঃ আপনার বক্তব্য শুনলাম। 
    আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ আমি বলি। টয়লেটে একট বেসিন ছিল। দেয়ালে টাইল ছিল। সব বদলে গেছে। লুমিনল টেস্ট করলেও আর কিছু বদলাতে যাবেনা। ওখানেই হাত ধুতে গিয়েছিল। 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ সিআইএসএফ চেক না করেই ঢুকতে দিচ্ছে, ঢুকে পড়ছে এমার্জেন্সিতে, কারণ লোকে বলছে তারা ডাক্তার কিংবা কর্মী। পশ্চিমবঙ্গে এক লক্ষ সরকারি কর্মী আছে, যারা পুলিশের উপরে। তারা ঢুকছে আর বেরোচ্ছে। তারা সিভিক ভলেন্টিয়ার। 

    বিচারপতিঃ সিআইএসফ কে দেখতে হবে। 
    মেহতাঃ ব্যবস্থা করা হয়েছে তো। 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ আরেকটা কথা। সোশাল মিডিয়ায় নির্যাতিতার ছবি তোলা হচ্ছে। এটা নামিয়ে নেবার আদেশ দেওয় হোক। 

    বিচারপতিঃ আপনি যে ছবিগুলো দিয়েছেন, 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ কারণ আমরা ওখানে ছিলাম। আমরা সবাই ওখানে ছিলাম। 
    বিচারপতিঃ আপনি বলতে চাইছেন, আপনি ছবি তুলেছেন? 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ অন্য অনেক লোক। 
    বিচারপতিঃ আপনি কোথা থেকে পেলেন? 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ ক্রাইম সিনে কোনো কর্ডন ছিলনা। 
    বিচারপতিঃ আপনি কোথা থেকে সংগ্রহ করলেন ছবিগুলো? 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ এই ছবিগুলো  তো ঘুরে বেড়াচ্ছে, এবং একজন ১০-২০ জন লোকের নাম দিয়েছে, যারা আসল দুষ্কৃতী। সমস্ত হাসপাতালে এই ইস্যু দেখা যাচ্ছে। 
    বিচারপতিঃ নির্যাতিতার ছবি সোশাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেলতে হবে, এরকম একটা আদেশ দিচ্ছি। (নির্দেশ দেন) 
    সিব্বলঃ সিজার লিস্টও। প্রাইভেসি ইসু আছে। পোশাক আশাক সব কিছু আছে। সব বন্ধ হওয়া দরকার। 
    বিচারপতিঃ কিন্তু আপনি যখন দায়িত্বে ছিলেন তখনি তো ফাঁস হল। 
    সিব্বলঃ না না না। চার সেপ্টেম্বর  এসব বেরিয়েছে। ৫ তারিখ শুনানি হবার কথা, তার আগের দিন। 

    বিচারপতি নির্দেশ দেন, চালান জমা দিতে হবে, যেটা পাওয়া যায়নি। ফর্মটা ছিল বলেছেন আইনজীবী - সম্ভবত ফিরোজঃ, কিন্তু ফাইলে নেই। ওটা জমা দিতে হবে (সংক্ষেপিত)। 

    কলেজে নিরাপত্তা নিয়ে এরপর কিছু পরামর্শ আসে। 
    বিচারপতিঃ এটার জন্য তো কমিটি বানানো হয়েছে। 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ আমাদের ডাক্তাররা কাজে ফিরেছেন। তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। 

    সিব্বলঃ না ফেরেননি। সেটা আমার আরেকটা ইসু। 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ ২৫০০০ ডাক্তার। 

    বিচারপতিঃ আমরা চাইনা, কমিটির রিপোর্টের জন্য রাজ্য সরকার অপেক্ষা করুক। নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয় হোক আগেই। 
    সিব্বলঃ করা হয়েছে। 
    বিচারপতিঃ টাকা দেওয়া হয়েছে বলা হয়েছে রিপোর্টে। কী পদক্ষেপ নিয়েছেন বলা হয়নি। 
    সিব্বলঃ না না । স্বাস্থ্য সচিব সব বলেছেন। 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ হাসপাতালে গুন্ডা ঘুরে বেড়াচ্ছে। 

    সিব্বলঃ স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট কি দেখাব? 
    বিচারপতিঃ দেখা যাক, আপনার কী করেছেন। 

    সুপারিশগুলো পড়া হয়। সিসিটিভি। বাথরুম। আলো। ইত্যাদি। 

    বিচারপতিঃ বলুন কী করা হয়ে গেছে। পরের দিন জানান। শুধু অর্ডার দেওয়া হয়েছে বলবেননা। 
    সিব্বলঃ অবশ্যই। এবার আরেকট জিনিস দেখুন। ২৩ জন মারা গেছে, ৬ লাখ লোক চিকিৎসা পাননি কারণ এঁরা কাজ করছেন না। সরকারি হাসপাতালে এঁরা কাজ করছেন না. স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। (সংক্ষেপিত) এখান থেকে আমরা কোথায় যাব? আদালত শেষবার বলেছিল কাজে ফিরতে। তারা কাজে ফিরেছে? আদালত বলুক, না গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মেআই হেল্প বুথ তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো ভেঙে দিয়েছে। সারা রাজ্যে প্রতিবাদ হচ্ছে। পুলিশকে কিছু জানানো হচ্ছেনা। এতো অন্যদিকে গড়াবে ব্যাপার। ৪০ জন পুলিশ আহত। একজন চোখ হারিয়েছে। পুলিশকে বলছে চিকিৎসা দেবেনা। আমার কাছে ছবি আছে।  (সংক্ষেপিত)। 
    এই সময় বাকবিতন্ডা শুরু হয়। কৌস্তভ চিৎকার করে কিছু বলেন  (শোনা যায়নি)। সিব্বল বলতে থাকেন, আমাকে শেষ করতে দিন। ছাত্রদের আইনজীবীরাও একসঙ্গে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। 
    বিচারপতিঃ ছাত্র ডাক্তারদের পক্ষে যারা আছেন, তাঁরা বলছেন, আপনারা সবাই ডিউটি দিচ্ছেন, কেউ কর্মবিরতিতে নেই? 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ জুনিয়ার ডাক্তাররা কাজ করছেন না। স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং নার্সিংহোমে ডাক্তাররা কাজ করছেন। সিনিয়াররা কাজ করছেন। জুনিয়াররা কাজ করছেন না।

    বিচারপতিঃ গোটা রাজ্যে? 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ না। শুধু কলকাতায়। শুধু বৃহত্তর কলকাতায় কাজ হচ্ছেনা, কারণ তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাদের বলা হচ্ছে, আমরা জানি তোমাদের বাবা-মা সরকারি চাকরি করেন। আমি দুষ্কৃতীদের নাম দিয়েছি। 

    বিচারপতিঃ ডাক্তাররা যদি এখনই কাজে ফেরেন, কোনো বিরূপ পদক্ষেপ নেওয়া হবেনা। এইটুকু বলতে পারি। কিন্তু যদি কাজে না ফেরেন তাহলে রাজ্যকে ব্যবস্থা নিতে বারণ করতে পারিনা। সেটা সম্পূর্ণ রাজ্যের এলাকা। 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ আগে দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে হবে। (চারটে উদাহরণ দেওয়া হয়েছে)। ডাক্তাররা যা চাইছেন, তা হল, আলাদা ঘর, আলাদা রেস্টরুম। 

    বিচারপতিঃ হুমকি টা কিসের? 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ বুলি করছে, মারছে। কারণ, অনেককে ভিকতিমাইজ করা হচ্ছে, কারণ তারা প্রতিবাদ করেছে। একট মেডিকাল ফোরামের নাম করে এসব হচ্ছে। আমি রাজনীতিতে ঢুকতে চাইনা। কিন্তু ডাক্তাররা ভলান্টিয়ার ডিউটি করছেন, হাসপাতালের বাইরে।

    বিচারপতিঃ কাজে ফিরে যাচ্ছেননা কেন। 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ আমাদের বিশ্রাম নেবার ঘর চাই। ছেলে এবং মেয়েদের। টয়লেট চাই। সিসিটিভি চাই। কাছে সিআইএসফ চাই। যাতে আর হুমকি পেতে না হয়। 

    বিচারপতিঃ আপনার কাছে তথ্য থাকলে আমাদের দিতে পারেন। (সিব্বলকে) কতজন রেসিডেন্ট ডাক্তার আছেন? 
    সিব্বলঃ আমি জানিনা। 
    বিচারপতিঃ কতগুলো হাসপাতাল, কত ডাক্তার? 
    সিব্বলঃ খোঁজ নেব। 

    বিচারপতি নির্দেশ দেনঃ রাজ্যসরকার রেসিডেন্ট ডাক্তারদের কর্মবিরতি  নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থার অবনতি হয়েছে। (সংক্ষেপিত) রাজ্য ডাক্তারদের আশ্বস্ত করুক, যে, নিরাপত্তার ব্যাপারটা দেখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ ব্যবস্থা নিক, নিরাপত্তার ব্যাপারে। মেয়ে এবং পুরুষদের আলাদা ঘর এবং টয়লেটের ব্যবস্থা করুক, সিসিটিভিরও। রাজ্য সরকার ফান্ড রিলিজ করেছে, ব্যবস্থাও নিক। এটা নজরে রাখতে হবে। ডাক্তারদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য এটাও বলা হোক, যে, কাল পাঁচটার মধ্যে কাজে যোগ দিয়ে কোনো বিরূপ পদক্ষেপ নেওয়া হবেনা। নিরাপত্তার অভাবের আরও অভিযোগ এলে, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু কাল পাঁচটার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। সেটা এড়ানোর জন্য যোগ দেওয়াই ভালো। যাদের চিকিৎসা করার কথা, তাদের কথা ডাক্তাররা ভুলে যেতে পারেননা। এই সময়ের মধ্যে কাজে ফিরুন। (সংক্ষেপিত এবং পুনর্লিখিত) 

    ছাত্রদের আইনজীবীঃ আমরা ওয়র্কফোর্সের মাত্র ২%। 
    বিচারপতিঃ তার মানে এই না, যে, আপনারা বলতে পারেন, অন্যরা কাজ করুক, আমরা করবনা। 
    ছাত্রদের আইনজীবীঃ তিনদিনে ওঁদের জমা দিতে বলুন। 
    বিচারপতিঃ দুদিন দিয়েছি। কালকে পাঁচটা। 

    এরপরে যা হয়, তা মূলত চেঁচামেচি। সেটা টোকা হয়নি। কৌস্তভই সবচেয়ে বেশি চেঁচান। "আপনি কি গ্যালারি শো দিচ্ছেন" বলে বিচারপতির ধমক খান। বিচারপতি এবং বাকিদের বক্তব্য মূলত পুনরাবৃত্তি। সেটা অবশ্য অনুবাদকের ব্যক্তিগত মনে হওয়া। মিনিট পাঁচেকের ওই অংশটা জানতে হলে শুনে নিতে পারেন।  
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৮৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Amitava Sen | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৪৪537484
  • ভালো কাজ হচ্ছে এটা, যা ঘটেছে তার নিখুঁত বিবরণী।
  • পাপাঙ্গুল | 49.36.***.*** | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩১537487
  • কৌস্তভ না, ওগুলো ফিরোজ এডুলজির সওয়াল। কৌস্তভ শেষের দিকে চেঁচামেচি ছাড়া আর কিছু করেননি। তখন সিব্বল একবার বলেন, "এই ব্যক্তি পুলিশকে পাথর ছুঁড়ছে তার ছবিসহ প্রমাণ আমার কাছে আছে।"  
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:71c6:d3a7:6cee:***:*** | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০০537490
  • বাপরে এতো ডিটেলে পড়তে পারলাম না। তবে কাল এন্ডিটিভির খবরে দেখলাম কোর্টে দুটো ব্যাপার হয়েছেঃ 
     
    এক, চালান ছাড়া ময়না তদন্ত করা যায়না এরকম একটা কথা উঠেছে, তাই বিচারপতিরা জানতে চেয়েছেন চালান কোথায়। 
    দুই, কে একটা চাড্ডি উকিল নাকি খুব চেঁচামেচি করছিল, তাই বিচারপতিরা তাকে ধমকে দিয়েছেন। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:71c6:d3a7:6cee:***:*** | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০২537491
  • আচ্ছা, তার নাম কৌস্তুভ। পাপাঙ্গুল লিখেছেন। 
  • | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫৫537493
  • হ্যাঁ ওটা। ফিরোজ এডুলজি। ইনি কামদুনির ফাঁসির আসামীকে বেকসুর খালাস করিয়েছেন। 'গুণী মানুষ' বলতেই হবে।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:71c6:d3a7:6cee:***:*** | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৫৮537498
  • আরেকটা কথা হলো, সিবিআই যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সেটা বোধায় পাবলিক করা হয়নি (শিওর না)। অবশ্য সেটা "লিক" করা হয়েছে। স্যার হামফ্রের সেই অমর উক্তিঃ দ্য শিপ অফ স্টেট ইজ দ্য ওনলি শিপ, বার্নার্ড, দ্যাট লিকস ফ্রম দ্য টপ।  
  • সিএস | 2401:4900:706f:35a4:a0cf:477c:9126:***:*** | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৩৭537499
  • আর কোরাপশন কেসে সিবিআই ট্রায়াল কোর্টে আজ বলেছে সন্দীপ ঘোষ জেল হেফাজতেই থাকুক, আমাদের ওকে এখন দরকার নেই। আমরা দূরে বসে ওঁর ল্যাপটপ আর মোবাইল পড়ব।

    এই প্রথম এত বছরে শুনলাম সিবিআই অভিযুক্তকে কাছে চায় না।

    তদুপরি, কোর্টেও সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে যেতে চায়নি, ভার্চুয়াল করতে চেয়েছিল। হয়, সন্দেহ ছিল আবার যদি সিবিআই উকিল না আসে আর নয়, ভয় পেয়েছিল কোর্টে উকিল আর লোকে মিলে সন্দীপকে ক্যালাবে (মোটামুটি যা হয়েছে)। লোকে আগের দিন থপ্পড় মেরে, দর্শকদের আনন্দ দিয়ে আজকে কোর্টপরিস্থিতি আরো ঘোরালো করেছে।

    তো, ১৪ দিন ১০ ঘন্টা ধরে জেরা করে সন্দীপ ঘোষকে মূল কেসের সাথে যুক্ত করা গেল না, প্রমাণ লোপাটের সাথেও নয় আর আজ কোরাপশন কেসটা কেমন যেন ! 
     
    কোরাপশনের সাথে দেহাংশ পাচার আর সেক্স র‌্যাকেটও যুক্ত ছিল, সেগুলোরই বা কী হবে ?

    মূল ঘটনাটা নিয়ে অনেক অনেক গর্জানো হয়েছে, ফল হয়েছে বটে যে লোকে রাস্তায় নেমেছে কিন্তু কেসগুলো কোথায় যাবে কে জানে !
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৩৪537502
  • এটাও ফেবুতে টুকে রেখেছি। কত কদিনে আরও কিছু ঘটেছে। এক সঙ্গে দেব।
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৩৮537503
  • এছাড়াও ফেবু আপডেট। নবান্ন থেকে মেল  এসেছে ১০ জনকে প্রতিনিধি হিসেবে মিটিংয়ে ডাকা হয়েছে। Jr ডাক্তাররা তাতে অপমানিত হয়েছে। তারা যাবে না বলেছে। ডাক্তররাই লিখেছেন, ভুল হবার চান্স কম। তবু ফেবু-হোআ। কনফার্মড না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বাস নেই।
  • সিএস | 2405:201:802c:7858:e4e7:e976:763a:***:*** | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৪৯537504
  • এ তো আবাপে আছে।

    স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ চাইছে, অথচ সে মেইল করবে কেন। এটা একটা কারণ। আর নাকি, মিলে Sir বলে সম্বোধন করেছে কেন, মেয়েরাও তো আন্দোলনে যুক্ত।

    রিয়েলি, এসব যুক্তি নাকি ?

    এখানে তো দেখছি, মেইলটাও আছে, হোয়া থেকে কিনা জানি না।

    https://www.thewall.in/west-bengal/kolkata/mamata-wants-to-sit-in-the-discussion-the-health-secretary-sent-an-email-message-to-the-junior-doctors/tid/137090
  • সিএস | 2405:201:802c:7858:e4e7:e976:763a:***:*** | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:২১537505
  • ডাক্তারদের না যাওয়ার আরো নানা রকম কারণ আছে।

    এটা এখন চলবে, গভঃ বলবে সমাধান করতে চাই, ডাক্তাররা বলবে এসব লোকদেখানো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন