এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • নন্দীগ্রাম ফন্দিগ্রাম 

    Naresh Jana লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৬ জুন ২০২৪ | ৯৬২ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • ইলিয়াস সাহেব, আপনার সঙ্গে আমার দ্বিতীয়বার দেখা হয়েছিল ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি। তখনও আপনি নন্দীগ্রামে থাকতে পারছিলেন। ততদিনে অবশ্য হলদি নদীর এপারে শঙ্কর সামন্তকে পুড়িয়ে মারা হয়ে গেছে আর ওপারে গঙ্গামোড়ে ডিআইবি ইন্সপেক্টর সাধুচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ঘাড় ভাঙা লাশ শেষ অবধি উদ্ধার হয়েছে হলদির গর্ভ থেকে। এক জোড়া পাথর বেঁধে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল লাশটা। নন্দীগ্রামে ততদিনে সিপিএম 'ফিনিস।' ৭ই জানুয়ারির মধ্যেই নন্দীগ্রামের সমস্ত রাস্তা কেটে ফেলা হয়েছে। ৭নম্বর জলপাই গ্রামের ৬৫ বছরের মাখন বাবুকে তাই রিকশা ভ্যানে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেনি ছেলে সুখদেব। বাড়িতে রাখা দু'টো ইনহেলারই শেষ। অতগুলো হাঁদল কাটা রাস্তা পের করতে করতেই রাস্তাতেই মরে গেছেন ৬৫ বছরের মাখন বাবু।  ততক্ষনে পুড়ে গেছে শ'দুয়েক বাড়ি আর লুট হয়েছে শ'পাঁচেক বাড়ি। 'সিপিএম' আর থাকে কোন সাহসে?

    তালপাটি খালের ওপারে ভাঙাবেড়ায় সিপিএম আর সিপিআই সমর্থক পরিবারগুলির আশ্রয় শিবির উপচে পড়ছে। শেষ দলটি সোনাচূড়া থেকে পালিয়ে এসেছে দিন চার দিন আগে। এই দলটি মন্ডল পরিবারের। মাওবাদী নেতা তেলেগু দীপক, মধুসূদন মন্ডলরা তাঁদের বেসক্যাম্প পেয়ে গেছে তৃনমূলের অন্দরে। সিদ্দিকুল্লা ততদিনে মহম্মদ ইলিয়াসকে মানে আপনাকে 'হারাম' বলে দেগে দিয়েছেন। খালি কংগ্রেসের সবুজ প্রধান তখনও বুঝে উঠতে পারেননি খেলাটা। ভাবছেন, নিপাট কৃষি জমি রক্ষার আন্দোলন একটা। তিনিও ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটিতে কিন্তু তাঁকে আড়াল করেই নন্দীগ্রামে নীল নকশা বুনে যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী, সেক সুফিয়ান, তেলেগু দীপক, সিদ্দিকুল্লারা। 'আ্যকশন বাহিনী' গড়ে নিজেদেরই দুটো দল গড়ে খালের এপার ওপার বোমাবর্ষণ আর গুলির মহড়া চলছে। রাতের নন্দীগ্রাম বোমার আওয়াজে কাঁপছে আর হার্মাদ জুজু বোনা হচ্ছে। জুজু এই কারনেই বলা যে সেই 'হার্মাদ' তখনও নন্দীগ্রামে আসেনি। 

    সবুজ তো বলেই ফেললেন, ' একটা মারাত্মক ভুল হয়ে গেছে। 'হার্মাদ' মনে করে আমাদের বাহিনীর লোকেরাই গুলি করে মেরে ফেলেছে আমাদেরই কয়েকজনকে।' আসলে খেলাটা বুঝতে পারেননি সবুজ, গ্রামবাসীদের ক্ষেপানোর জন্য আর 'হার্মাদ' গল্প ফাঁদার জন্য মাওবাদীদের লাশের দরকার তাই 'হার্মাদ' ঠেকানোর রাত পাহারায় থাকা ভরত মন্ডল, বিশ্বজিৎ মাইতি আর শেখ সেলিমের লাশের দরকার হয়ে পড়েছিল। সবুজ প্রধানের মত ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতারা তখনও বুঝতে পারেননি, কালিচরনপুর হাইস্কুলের পাশেই ডেরা বেঁধে আছে প্রশিক্ষিত মাওবাদীদের একটি দল। রাতে এরাই নিশিকান্ত মন্ডলের জিম্মায় থাকা অস্ত্র নিয়ে লড়াই লড়াই খেলে আর চমকে ওঠে নন্দীগ্রাম। ৭তারিখ মধ্যরাতে মাওবাদীদের গুলিতে মরলেন ভরত, সেলিম, বিশ্বজিৎ আর সেটাকেই হার্মাদ বলে চালিয়ে দিয়ে শঙ্কর সামন্তর বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারা হল শঙ্কর সামন্তকে।

    ইলিয়াস সাহেব আপনার সঙ্গে দেখা হল গাঙড়ায়। সাইকেলে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, দেখে মনে হল পদ্মা নদীর মাঝি। হলদিতে বৈঠা বাইতে বাইতে এই মাত্তর উঠে এলেন আমার ডাকে। সবুজ প্রধান বলেছিলেন, মানুষটা বড় ভালো। আমি বলেছিলাম, কিন্তু ওঁর সঙ্গে দেখা করব কী করে? সবুজ বললেন, 'আমি বললেই আসবেন।' আসলে আমার কিছুই করার ছিলনা । ৩রা জানুয়ারি নন্দীগ্রাম ঢুকতে ব্যর্থ হয়েছি। থানার মধ্যেই বসে রয়েছি সারাদিন। যে বাছাই করা কয়েকজন রিপোর্টারের নন্দীগ্রাম ঢোকা বারণ তাদের মধ্যে আমিও একজন। এর আগে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতা সেক সুফিয়ানের কাছে দরবার করেছিলাম, তিনি সোজা হাঁকিয়ে দিয়ে বললেন, 'ভেতরে ঢোকার কী দরকার? নন্দীগ্রাম থানায় বসে থাকুন। বর্তমান, একদিনের রিপোর্টাররা তো খবর আনবে তাদের কাছ থেকেই আপডেট নিয়ে নেবেন। তাছাড়া রাস্তা ফাস্তা সব কাটা আছে।' আমি জানি রানা, দয়াল, পাবকরা ততদিনে খবর খাওয়াচ্ছে, লড়াইয়ের গল্প শোনাচ্ছে, হাড় হিম সন্ত্রাসের।

     সবুজকে বললাম। সবুজ বললেন, আপনাকে সোনাচূড়া অবধি আসতেই হবে, বাকিটা আমরা ম্যানেজ করে নেব। আমি ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির আরেক নেতা আবু তাহেরকে পাকড়াও করলাম। থানার একটু দূরে তাঁর এতিমখানায় দাঁড়ালাম। এসে বললেন, ' আপনার বন্ধুরাই তো বাগড়া দিচ্ছে দাদা। বলছে ওই লোকটাকে কোনও ভাবেই নন্দীগ্রামের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া যাবেনা। সব ফাঁস করে দেবে।' আমি বললাম, কিন্তু ফাঁস করার আছেটা কী?' আবু বললেন, না, তেমন কিছুই নেই। আচ্ছা দাঁড়ান। কাউকে একটা ফোন করলেন। তারপর বললেন, 'বাইকে করে একজন আপনাকে সোনাচূড়া বাজার অবধি নিয়ে যাবে কিন্তু ওই পর্যন্ত। আর ওপাশে যাবেননা পরের জায়গাটা হার্মাদদের দখলে! আর তেলের দামটা দিয়ে দেবেন। ' আমি বললাম, তাই সই। আবু যে ছেলেটিকে দিয়েছিলেন, তার ফোন নম্বর নিয়েছিলাম। এরপর তাকেই ফোন করে নিতাম। দিনটা সম্ভবতঃ ১২ই ফেব্রুয়ারি, দুদিন আগেই হলদির গর্ভ থেকে ডিআইবি ইন্সপেক্টর সাধুচরণ চট্টোপাধ্যায়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাত্র কয়েকমাস ছিল অবসর নিতে। ঈশ্বরদহ উত্তরপল্লীতে ভাবনীপুর থানার পুলিশের সঙ্গে একটা তদন্তে এসে নিখোঁজ হয়ে গেছিলেন সাধু। 

    যাইহোক সবুজকে ফোন লাগলাম, 'সোনাচূড়ায় যাচ্ছি।' ততদিনে চৌরঙ্গী বাজার, হাজরাকাটা, গড়চক্রবেড়িয়া থেকে সোনাচূড়া অবধি সাত আটটা জায়গায় রাস্তাকাটা হয়ে গেছে। বাকি রাস্তায় কাঠের মিল থেকে নিয়ে আসা লম্বা লম্বা লগ ফেলে রাস্তা সঙ্কীর্ণ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের গাড়ি যাতে না ঢুকতে পারে। প্রতিটি রাস্তা কাটা জায়গায় চার পাঁচজন দাঁড়িয়ে থাকে। ওই বাইক চালকের ইশারায় তারা কাটা রাস্তার ওপর মোটা তক্তা বিছিয়ে দেয়। বাইক পেরুতে পেরুতে সোনাচূড়া বাজার। বেলা দেড়টা। সবুজ এলেন। সবুজই কথা বলে রেখেছিলেন, এলেন নিশিকান্ত মন্ডল। ছিপছিপে লুঙ্গি পরা মানুষটিই তখন সোনাচূড়ার নেতা। রাতে এঁর বাড়ি থেকেই পরিচালনা হয় 'আ্যকশন বাহিনী'। তেলেগু দীপক, মধুসূদন মন্ডলরা নাকি এর বাড়িতেই ডেরা গাড়েন। অনেক পরে খুন হয়েছিলেন নিশিকান্ত মন্ডল। মাওবাদীরাই গুলি করে মেরেছিল তাঁকে। এক মাওবাদী নেতা পরে আমার কাছে আফসোস করে বলেছিলেন, নিশিকান্ত মন্ডলকে মারা ভুল হয়েছিল। ওনার কাছে আমাদের যে অস্ত্রগুলি ছিল তা উনি ফেরৎ দিতে অস্বীকার করেছিলেন বলেই ওনাকে মারা হয়। কিন্তু পরে আমরা জানতে পারি এটা উনি ওনার এক শীর্ষ নেতার নির্দেশেই করেছিলেন। মাওবাদী সেই নেতাতো সরাসরি  অধিকারী বাবুর নাম নিয়েছিলেন।

    সোনাচূড়া বাজারের একটা চায়ের দোকানে বসে কথা হল নিশিকান্ত মন্ডল, সবুজ প্রধান, খোকন শীটের সঙ্গে। এরইমধ্যে সবুজ কথা বলে নিয়েছিলেন মহম্মদ ইলিয়াসের সাথে। আমাকে বললেন, উনি গাঙড়া পর্যন্ত আসতে পারবেন। কিন্তু আপনি যাবেন কী করে? আমি বললাম, কেন বাইকে? সবুজ বললেন, মাথা খারাপ ওরা আমাদের বাহিনীর ছেলে। নন্দীগ্রামের বাম বিধায়কের কাছে আপনি বাহিনীর বাইকে যাবেন? এদিকে বাইক চালকও ততক্ষনে অধৈর্য্য হয়ে উঠছে আর উশখুশ করছে। ওকে বললাম, ভাই আপনি চলে যান। তেলের টাকা দিয়ে দিলাম। ছেলেটি খুশি মনে চলে গেল। সোনাচূড়া থেকে গাঙড়া প্রায় তিন কিলোমিটার। চড়া রোদ, মাথা ঝিমঝিম করছে। পরনের হাফ সোয়েটার খুলে মাথায় চাপালাম। সবুজের কথায় খোকন আমাকে গাঙড়ার মুখে নামিয়ে দিয়ে বললেন, বাকিটা হেঁটে চলে যান। বাকিটা হেঁটেই আপনার কাছে গেলাম। রাস্তার ওপর একটা কার্লভাটে বসলাম দু'জন। কার্লভাটটার তলা দিয়ে তখন কুলকুল করে জল ঢুকছে পূর্ব থেকে পশ্চিমে। আমি সেদিকে তাকাতেই আপনি বললেন, হলদিতে জোয়ারের জল ঢুকছে।

    দিনটা আমার এই কারনেই মনে আছে যে, নন্দীগ্রামের এই অংশ থেকে শেষ সিপিএম সমর্থক পরিবার চলে গেছে কয়েকদিন আগেই ঠিক যেদিন নদীর ওপাড়ে গঙ্গামোড়ের কাছে ঈশ্বরদহ থেকে নিখোঁজ হয়েছেন সাধুচরণ চট্টোপাধ্যায়। এপারে সেই দিনই ক্লাশ নাইনের ছাত্রী সুমিতা মন্ডলের লাশ উদ্ধার হয়েছে। অনেক অশান্তির মধ্যেই থেকে গিয়েছিল সুমিতার পরিবার। সুমিতার বাবা নন্দীগ্রামে হলদিয়ার মতই শিল্প চেয়ে মিছিল করেছিলেন। দিনে দুপুরেই ১৪বছরের সুমিতাকে ধর্ষণ করার পর মেরে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে তার বাড়ির সামনেই একটা গাছে। এরপরও আপনি নন্দীগ্রামে থাকতে পারছেন? প্রশ্ন করেছিলাম। আপনি বললেন, আছি। তবে কতদিন থাকতে পারব জানিনা। পরে বুঝেছি আপনার দলও ততদিনে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে নরম গরম বক্তব্য রাখছে। অশোক ঘোষ, ক্ষিতি গোস্বামীর মতই মঞ্জুকুমার মজুমদাররাও বলতে শুরু করেছেন, এর পুরো দায় সিপিএমকেই নিতে হবে। আপনাদের সমর্থক পরিবারগুলো ততদিনে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তাঁদের রুটিন মত মিছিল মিটিংয়ে হাঁটছে। আপনি বললেন, ' মানুষ ভুল বুজছে কিন্তু আশাকরি সত্যটা বুঝতে পারবে। তেরপেখ্যা সেতুটা হলেই....' আপনাকে বড় বিষন্ন লাগছিল। প্রথমবার ৫ই জানুয়ারি আপনার চৌরঙ্গীর বাড়িতে দেখা সেই আপনি তখন মারাত্মক বিষন্ন, হতাশা গ্রাস করেছে আপনাকে।

    ওই বছররই ৫ ডিসেম্বর খবরটা ভেসে উঠল টিভিতে। নন্দীগ্রাম বিধায়ক ইলিয়াস মহম্মদ ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়েছে! কোন ইলিয়াস? ১৯৯৩ আর ১৯৯৮  নন্দীগ্রাম-১-এর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি? ২০০১ আর ২০০৬ সালে নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পলেস্তারা খসে পড়া একতলা বাড়ির মালিক? দলের নির্দেশে সরকারি চাকরি ছেড়ে বিধায়ক হওয়া ইলিয়াস মহম্মদ। দু'টো বেকার ছেলের কোথাও গছাতে না পারা অপদার্থ বাপ  ইলিয়াস মহম্মদ ? আপনি এতটাই ভোলে ভালা যে সংবাদিক রূপী তৃনমূল কর্মীটিকে চিনতে পারলেননা।

    ততদিনে আপনার বাড়িতেও হামলা হয়ে গেছে। আপনি এমএলএ হোস্টেলে। সাংবাদিক সাজা তৃনমূল কর্মী শঙ্কুদেব পণ্ডা নন্দীগ্রামের 'উন্নয়নে'র জন্য কাজ করতে চাওয়া এক এনজিওর হয়ে বিধায়কের শংসাপত্র নিতে গেছিল আপনার কাছে। আমার ফোনটা ধরেই কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন, " নন্দীগ্রামে উন্নয়নের কাজ হবে শুনেই শংসাপত্র দিয়েছিলাম। ও আমার পকেটে একটা নোটের বান্ডিল গুঁজে দিল। আমি টাকাটা বের করে ওর হাতে দিয়ে বললাম, ' এইভাবে  দলের ফান্ডে টাকা নেইনা আমরা।' আমি টাকাটা ফেরৎ দিলাম। সেটাই ওরা ছবি করে দেখিয়ে দিল!' আপনার বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ শেষ অবধি ধোপে টেকেনি বরং বিধানসভায় চিৎকার করে আপনাকে চোর বলে যিনি স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ এনেছিলেন সেই সৌগত রায়কে নারদ মামলায় ঘুষ নিতে দেখেছে সবাই। আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা শঙ্কুদেবও ধরা পড়েছেন নারদ ঘুষকান্ডে। আপনি নির্দোষ প্রমাণিত কিন্তু তাঁরা এখনও অবধি নন।
     
    ৪ঠা এপ্রিল ২০২২, আপনার এন্তেকাল! শুনলাম স্ট্রোক হওয়ার পর জমি জায়গা বেচে গত ২বছর আপনার চিকিৎসা হচ্ছিল। আর নন্দীগ্রামে এখন কৃষিজমি খুঁড়ে মাছের ভেড়ি হচ্ছে, সিঙুরের মতই। হলদিয়া শহরের প্রতিটি জনপদে ঝুপড়ির পর ঝুপড়ি বাড়াচ্ছে নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামের শিক্ষিত যৌবন ছুটেছে বেঙ্গালুরু, আহমেদাবাদ, হায়দ্রাবাদ। আপনার এন্তেকাল হয়েছে আজই, আপনি সব দেখতে পাবেন। দেখে আসুন হলদিয়ার বাবাজীবাসার কোনে যে ছেলেটা সবজি দোকান করে, সে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার, আপনারই নন্দীগ্রামে বাড়ি। আর ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধকারী সেই মহান মানুষটির এখন জাহাজ প্রমান বাড়ি!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৬ জুন ২০২৪ | ৯৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Argha Bagchi | ১৬ জুন ২০২৪ ২১:২৯533342
  • ভয়ংকর। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই বিষয়ে আরো অনেক লেখা পড়তে চাই। পারলে সাথে কিছু অকুস্থলের ছবি, সেদিন ও এদিনের। এ থেকে পরিবর্তনের রূপরেখাটা পরিষ্কার ধরা পড়বে।
  • দীপ | 2402:3a80:198f:5f4b:878:5634:1232:***:*** | ১৬ জুন ২০২৪ ২২:১৩533344
  • সব বিরোধীদের চক্রান্ত! 
    গপ্পিবাজি বন্ধ হবেনা!
    সেজন্যই আজ পিসি-ভাইপো পার্টির কাছে ল্যাজেগোবরে হতে হয়, অন্যদিকে বিজেপি উঠে আসে!
    দুকানকাটার লজ্জা নেই!
  • ☠️ | 2406:7400:63:4744:d5ca:11c0:50b2:***:*** | ১৬ জুন ২০২৪ ২২:৪০533346
  • দু টাকার লালু সাংবাদিক এর দু পয়সার লেখা | 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:211f:d497:7b9:***:*** | ১৭ জুন ২০২৪ ০৫:৪৮533354
  • ধন্যবাদ
  • Debasis Sarkar | ১৭ জুন ২০২৪ ০৮:৩০533357
  •  আগেও বলেছি এটাই তোমার USP। ঘাম রক্ত ঝরানো অভিজ্ঞতায় জারিত তোমার লেখাগুলি । সেনাবাহিনীর পেছনে ক্রলিং করার জন্য তোমার প্যান্ট ছিঁড়ে হাঁটু রক্তাক্ত হয়েছিল মনে পড়ে ? সে রাতে কাতরাতে কাতরাতে আমাকে ফোন করেছিলে  ,সেটা তুমি ভুলে গেছো , আমার মনে আছে ।  তুমি এবং হাতে গোণা এক দুজন বাদ দিয়ে সবাই তো পাল্লা দিয়ে fabricated  সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছিল ।  আমার ধারণা ওই  হলুদ সাংবাদিকতার জন্য তারা যথেষ্ট কামিয়ে নিয়েছিল ওই পর্বটাতে ।  যাহোক ঘন ঘন ওই প্রতিবেদন গুলো লিখে  এই পাতাটাকে আকর্ষণীয় করে তোলো দেখি ! 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৭ জুন ২০২৪ ০৯:০৮533358
  • এই তথ্যগুলো তুলে আনার জন্য লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। 
  • Info Pedia | ১৭ জুন ২০২৪ ১০:২৩533365
  • খুব সুন্দর লেখা। পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা হিসেবে চাই এই কলঙ্কিত অধ্যায় এর ইতিহাস সামনে আসুক। মানুষ জানুক আসল সত্যি টা কি । এই সাহসী পদক্ষেপ কে কুর্নিশ জানাই। আরো তথ্য সামনে নিয়ে আসুন।
  • দীপ | 2402:3a80:196c:c8ca:778:5634:1232:***:*** | ১৭ জুন ২০২৪ ১৩:৪৭533373
  • "আমরা ২৩৫, ওরা ৩০। ওরা কি করবে?" 
    "চারপাশ ঘিরে পেটাবো।"
    "লাইফ হেল‌ করে দেব।"
    এই হুমকি গুলো মনে আছে? কোনো সভ্য দেশে এইভাবে প্রকাশ্য জনসভায় হুমকি দিলে লাথি মেরে জেলে ঢোকানো হতো! 
    এরপরও বড়ো বড়ো কথা বলতে এসেছেন!
  • ☠️ | 2406:7400:63:4744:e938:e878:8689:***:*** | ১৭ জুন ২০২৪ ১৯:৫০533384
  • প্রচন্ড হতাশ বুড়ো দু টাকার লালু এখন অল্টারনেট হিস্ট্রি লিখছে | অবশ্য  বাংলায় গাঁজা সস্তা |
     
  • দীপ | 2402:3a80:198b:2e86:678:5634:1232:***:*** | ২৫ জুন ২০২৪ ১৩:০২533697
  • আমাদের দেশের বামপন্থীরা যদি সত্যিই মানুষের জন্য কাজ করতেন, তাহলে তাঁদের আজ এই পরিণতি হতোনা!
    কৃষক ও শ্রমিকদের নিয়ে সমবায় গঠন করে তাঁরা কাজ করতে পারতেন। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হতো, বিপুল কর্মসংস্থান হতো।
    কিন্তু সেসব না করে তাঁরা বড়ো বড়ো বাতেলা মারতে থাকলেন! 
    কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা, বক্তৃতার বেলায় হনুমান! 
    ফল তো দেখতেই পাচ্ছি! 
    অবশ্য এরপরও লজ্জা নেই!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন